নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগে ।

মামুন রশিদ

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগ...

মামুন রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে স্নানঘাটের সিঁড়িতে ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৮





দরোজা খুলে বাসায় ঢুকেই হাত পা ছড়িয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো রাজিয়া । সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবসের এই বিকালটায় অফিস থেকে বাসায় ফিরে খুব রিলাক্স লাগছে তার । সারা সপ্তাহ জুড়ে ঝক্বি ঝামেলা কম যায়নি । নতুন চাকরি, নতুন বাসার সবকিছু গুছিয়ে নেয়া সব মিলিয়ে দারুন ব্যস্ত কটা দিন পার হলো । চোখ দুটো বন্ধ করে গভীর একটা নিঃশ্বাস নিলো রাজিয়া । জীবনে প্রথম বারের মতো স্বাধীনতার আনন্দ সে উপভোগ করতে শুরু করেছে । আহ্ স্বাধীনতা, নিজের মত করে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা ।



বাবা-মায়ের সবচেয়ে ছোট সবচেয়ে আদরের কন্যা রাজিয়া সুলতানার জীবনের গল্প অতি সরল, আটপৌড়ে । মোটামোটি স্বচ্ছল পারিবারের পাঁচ ভাই-বোনের ছোটটি হিসাবে সবার আদরে কোলে পিঠেই সে মানুষ হয়েছে । কৈশোরে দুরন্ত পনার কোন শেষ ছিলোনা । নিজেদের বাড়িতেতো বটেই, আশেপাশে সব বাড়ির কুলবড়ই পেয়ারার খোজ ছিলো তার নখদর্পনে । কারো বাড়ির গাছ থেকে রাজিয়া ফল পেড়ে নিয়ে এসেছে, এটা তার জন্য কোন ব্যাপার ছিলো না । কারন আশেপাশের প্রতিবেশি সবার কাছেই রাজিয়া ছিলো প্রিয় মুখ । কালো একহারা গড়নের এই দস্যি মেয়েটির মুখটা ছিলো অতি মায়াবী । আর ছিলো সুন্দর চকচকে মুক্তোর মতো দাঁত । রাজিয়ার মা বলতেন যাঁতি'র দাঁত । শক্ত কাচা পেয়ারা, আস্ত সুপারী থেকে কুলবড়ইয়ের বিচি পর্যন্ত নিমিষেই খানখান ।



অষ্টম শ্রেনীতে পড়ার সময় থেকেই তার দস্যিপনা একটু একটু করে কমতে থাকে । বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ তখন, আর তাদের সেবা করার পবিত্র দায়িত্ব হাসি মুখেই গ্রহন করে রাজিয়া । কিছুদিনের ভেতরেই বাবা-মা দুজনেই মারা যাবার পর আরো চুপটি মেরে যায় সে । ভাইদের সংসারে রাজিয়া খুব একটা খারাপ থাকেনি, তবুও দিনকে দিন নিজেকে গুটিয়ে রাখে । স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়, কোন ঘটনা-দুর্ঘটনা ছাড়াই উচ্চমাধ্যমিকও পাশ করে যায় । কলেজে দু-চারজন বান্ধবী ছাড়া আর কারো সাথে তার তেমন ঘনিষ্টতা ছিলো না । ছেলেগুলোও তার পেছনে খুব একটা লাগেনি । হয়ত কালো বলে কিংবা হয়ত তার চুপচাপ অন্তর্মুখি স্বভাবের জন্য । তবুও ইন্টার পরীক্ষার আগে আগে রাজিয়ার একটি ছেলেকে মনে ধরে যায় । ছেলেটিও রাজিয়ার মতই চুপচাপ শান্ত কিন্তু ছাত্র হিসাবে ডাকসাইটে । ভালো লাগার ব্যাপারটি রাজিয়ার মনেই থেকে যায়, প্রকাশ্যে কখনও ব্যক্ত করেনি ।



ডিগ্রীতে ভর্তি হবার পর ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা আগের চেয়ে অনেক ঘনিষ্ট, অনেক বেশি বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে উঠে । রাজিয়াও বন্ধুদের আড্ডায় অংশগ্রহন করে । কিন্তু তার মনে দীর্ঘশ্বাস বয়ে যায় ঐ ছেলেটির জন্য, ভালো রেজাল্ট করে ছেলেটি ইতিমধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে চলে গেছে । ছেলেটি হয়ত কোনদিন জানতেও পারবেনা দুরে থেকে একটি মেয়ে তার জন্য এখনও নিশ্বাস ফেলে । এভাবেই দিন যায়, কিন্তু এই কালো চুপচাপ মেয়েটির জীবনে কোন রোমান্স আসেনা । হ্যাঁ অবশেষে এসেছে, কলেজের বাংলার স্যার একদিন তাকে একাকি পেয়ে বলেছিলেন, "তুমি বনলতা সেন কবিতা পড়েছো ?" রাজিয়া অবাক বিষ্ময়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে ছিলো । স্যার তখন আবৃত্তি করছিলেন, "চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তির কারুকার্য.. মনে হয় জীবনানন্দ তোমার কথা ভেবেই এটা লিখেছেন ।" স্যারের কথা শুনে রাজিয়ার সারা শরীরে বয়ে যায় আনন্দের বিদ্যুৎ প্রবাহ । অসম্ভব ভালো লাগে তার, লজ্জায় চোখ দুটো ঢেকে বাকী ক্লাস না করেই বাড়ি চলে আসে । কিন্তু বাড়িতে এসে তার স্যারের উপর খুব রাগ হয় । স্যার হলো বাবার মতো, আর তাছাড়া স্যারের নিজেরো বউ-বাচ্চা আছে । আর সেই স্যার কিনা আমাকে, ছিঃ.. ।



কিন্তু আজ এই সুন্দর বিকেলে স্যারের উপর রাজিয়ার কোন রাগ থাকে না । অনেকটা ঐ দিনের ভালোলাগার অনুভূতি ফিরে আসে তার হৃদয়ে । 'জীবনটা একেবারেই ব্যর্থ হয়নি রাজিয়া, অন্তত একজন পুরুষ তোমাকে কবিতার বনলতা সেনের সাথে তুলনা করেছে' । , "রাজিয়া, তুমি আর কি চাও ? ডিগ্রী পাশ করে আরো দুই বছর তুমি ভাই-ভাবিদের অন্ন ধ্বংশ করেছো । ভাইয়েরা প্রানপনে চেষ্টা করেছে তোমাকে বিয়ে দিতে, কিন্তু তুমি কালো বলে একটা পুরুষও আসেনি তোমাকে বিয়ে করতে । আস্তে আস্তে তোমার নিজেকে মনে হতে থাকে হীন, ভাইদের সংসারে তুমি বোঝা । একটা যেনতেন ছেলের কাছে তোমাকে গছিয়ে দিতে পারলেই তারা বেঁচে যায় । কিন্তু ভাইদের দায়মুক্তি দিতে কোন রাজকুমার এগিয়ে আসেনি । শেষে তুমি নিজেই তোমার মুক্তির ব্যবস্থা নিয়েছো । একটা চাকরি নিয়ে শহরে এসেছো, দুর সম্পর্কের এক মামার বাসায় সিংগেল ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তোমার নবজীবন শুরু করেছো । রাজিয়া সুলতানা, তুমি জীবনে আর কি চাও ??"



রমিজ মামারা এই শহরের ডাকাবুকা মানুষ । শহরের এক প্রান্তে দেয়াল ঘেরা বিশাল বাড়ি । মুল পাকা বাড়িতে রমিজ মামা তার পরিবার নিয়ে বাস করেন । সামনের আটচালা টিনের বাংলোঘর ছিলো তার বাবার আমলের বৈঠকখানা, এখন দেয়াল পাকা করে দুই অংশে ভাড়া দেয়া হয়েছে । বড় অংশে থাকে একটি পরিবার, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একটা এনজিওতে চাকরি করে । আর এক বেডরুম-রান্নাঘর-স্নানঘর নিয়ে রাজিয়ার সুখের সংসার । মুল বাড়ির পেছনে শান বাঁধানো পুকুর, এক সময় এখানে সবাই গোছল করলেও এখন শুধু মাছ চাষ হয় । স্নানঘর চলে এসেছে মুল ঘরে । এই রমিজ মামা রাজিয়ার মায়ের দুর সম্পর্কের ভাই । এই চাকরিটা হওয়ার পর রাজিয়ার বড়ভাই মামার সাথে যোগাযোগ করে এই ঘর ভাড়া নেন । মামা-মামী দুজনেই রাজিয়ার দেখাশোনা করেন । বিশেষ করে বেদৌরা মামীর কথা না বললেই নয় । রাজিয়ার মায়ের বয়সীই হবেন, এখনও এতো সুন্দর যে চোখ ফেরানো যায় না । ভালোমন্দ যাই রান্না হোক রাজিয়াকে দিয়ে যান । বিকেলে আছরের নামাজের পর প্রতিবেশি মহিলারা তার কাছে আসেন, বেদৌরা মামী সুন্দর করে কোরান-আক্বিদা নিয়ে কথা বলেন । রাজিয়াও বিকালে মামীর মজলিসে যাওয়া শুরু করেছে । মামী এতো সুন্দর করে বিবি আয়েশার পতি ভক্তির গল্প বলেন যেন পুরো ঘটনা চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠে । আর তখন মামীর মুখটা হয়ে উঠে পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল, ঝকঝকে । উপস্থিত মহিলারা সবাই মামীর প্রশংসায় মেতে উঠেন, সেই সাথে দায়িত্ববান স্বামী হিসাবে মামারও প্রশংসা জোটে । প্রশংসা শুনে বেদৌরা মামীর রক্তিম গাল আরো লালাভ হয়ে উঠে ।



আজকে আর রান্না-বান্নার ঝামেলা নেই । এমনিতে বেদৌরা মামীর সাথে মাগরিবের নামাজ পড়ে রাজিয়া নিজের ঘরে চলে আসে । কিন্তু আজকে মামী তাকে রেখে দেন, নিজের হাতে রান্না করে রাজিয়াকে খাইয়ে দেন । তারপর নিজের ঘরে এসে বুঝতে পারে পাশের ঘরের টুনা-টুনি এখনো ফিরেনি । ঘরের দেয়াল পাকা হলেও উপরে টিন, তাই পাশের ঘরের সব কিছুই শুনা যায় । বিশেষ করে অফিস থেকে ফিরেই শুরু হয় তাদের বারোয়ারি আলাপ । রাজিয়া শুনতে না চাইলেও ঐ বাসার প্রতিটা কথাই তার কানে আসে । বেদৌরা মামী বলেন, "হাদিসে আছে যাহারা পরের গোপন কথা শুনিবার উদ্দেশ্যে বেড়ার পাশে কান লাগাইয়া রাখে, কিয়ামতের দিন তাহাদের কানে গরম সীসা ঢালিয়া দেয়া হইবে"।



বেদৌরা মামীর হাদিসের বয়ান মনে আসিতে নিজের অজান্তেই রাজিয়া হাত দিয়ে তার কান দুটো ঢেকে দেয় । আর মনে মনে বলে, আল্লাহ তুমি স্বাক্ষী, গোপন কথা শুনিবার উদ্দেশ্যে আমি বেড়ার কান পাতি নাই, আমি এমনি এমনি শুনি । আর ওরা যখন ঝগড়া করে তখন তিন বাড়ি দুরে থেকেও তা শুনা যায় । ওদের ঝগড়া শুনতে রাজিয়ার মজা লাগে প্রথমদিকে ভদ্রলোকের কথায় তেজ বেশি মাত্রায় থাকলেও আস্তে আস্তে তা ক্রমশ ম্রীয়মান হতে থাকে, আর যুদ্ধক্ষেত্রে ভদ্রমহিলার একক জয় নিশ্চিত । আর এই সিচুয়েশনটাই রাজিয়া বেশি উপভোগ করে ।



এভাবে দিন গিয়ে মাস পার হয় । মামা-মামীর আদর আর পাশের ঘরের দম্পত্তির সাথে খোশগল্প করে রাজিয়ার দিন সুখেই কাটে । সারাদিন অফিসের কাজের চাপ সেড়ে বিকালে বাসায় যাওয়ার জন্য তার মন আকুপাকু করতে থাকে । আজ বিকালেও বেদৌরা মামীর বাসায় মজলিস বসেছে । বেদৌরা মামী তার সুললিত কন্ঠে বয়ান দিচ্ছেন আর উপস্থিত মহিলারা মাথা নেড়ে, কখনও সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলে মামীকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন । মামী বলছেন, " হযরত রাসুলুল্লাহ (দঃ) মাঝে মাঝে তাহার প্রিয়তমা পত্নী হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা (রাঃ) এর সহিত দৌড় প্রতিযোগিতায় নামিতেন । একদা দুইবারের দৌড়ে প্রথমবার হযরত (দঃ) জয়ী হইলেন এবং দ্বিতীয়বার হযরত আয়েশা (রাঃ) জয়ী হইলেন । তখন হযরত আয়েশা (রাঃ) বলিলেন এইবারে প্রথমবারের প্রতিশোধ হইলো ।" মহিলারা সমস্বরে সুবাহানাল্লাহ বলিলেন । এবার বেদৌরা মামী স্বামীর প্রতি স্ত্রী'র কর্তব্য নিয়ে বয়ান দিতে লাগলেন । "হাদিসে আছে যে স্বামী যদি কুষ্ঠরোগগ্রস্তও হয় আর তাহার ক্ষতস্থানসমূহের পূঁজ ইত্যাদি স্ত্রী নিজ জিহবার সাহায্যে চাটিয়া পরিষ্কার করে, তাহাতেও স্ত্রী স্বামীর হক আদায় করিতে পারিবেনা । স্বামী সেবার কাজে যদি স্ত্রী নিজের 'জান কোরবান' করিতেও হয় তাহাতেও তাহার কুন্ঠিত হওয়া উচিৎ নয় ।" এই ক্ষনে অন্যান্য মহিলারাও বেদৌরা মামীর স্বামীভক্তি এবং রমিজ মামার স্ত্রী'র প্রতি গত পঁচিশ বছরের অকৃত্তিম ভালোবাসার চাক্ষুস উদাহরন তুলিয়া ধরিলেন । অতঃপর মোনাজাতের মাধ্যমে আজকের মতো মজলিস সমাপ্ত হলো ।



বেদৌরা মামীর মজলিস থেকে নিজের ঘরে ফিরে রাজিয়ার খুব ক্লান্তি লাগছে । পাশের ঘরের ওরা ওদের দেশের বাড়ি গেছে । একাএকা বিছানায় কিছুক্ষন গড়াগড়ি করার পর একসময় ঘুমিয়ে পড়লো । কতক্ষন ঘুমালো নিজেও জানেনা । হঠাৎ দরোজার বাহির থেকে রাজিয়া রাজিয়া ডাক শুনে তার ঘুম ভেংগে গেলো । তখন রাত কয়টা বাজে তাও বুঝতে পারছেনা, বিছানা থেকে উঠে ঘুমের ঘোরেই দরোজা খুলে দিলো । কিন্তু তার ঘোর নিমিষেই কেটে গেলো যখন আগুন্তক তাকে এক ঝটকায় ঠেলে ঘরে ঢুকে দরোজা বন্ধ করে দিলো । ঘটনার আকষ্মিকতা আর ভয়ে চিৎকার দেয়ার সাথে সাথেই আগুন্তক প্রচন্ড জোড়ে তার মুখ চেপে ধরলো । রাজিয়া সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যায়, কিন্তু হায়েনা রুপি হিংস্র পশুর পাশবিক শক্তির কাছে সে ক্রমশ পরাজিত হতে থাকে । এক সময় রাজিয়ার সব শক্তি স্থিমিত হয়ে আসে এবং হায়েনা রাজিয়ার উপর পুরো নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় । শিকার এতো সহজে বাগে আনতে পারার উল্লাসে হায়েনা দিকবিদিক হারিয়ে ফেলে । স্থিমিত হয়ে পড়া নিরিহ শিকারের উপর কামক্রোব্ধ হায়েনা হামলে পড়তে থাকে, খুবলে নিতে থাকে শিকারের কাপড়, মাংস । প্রচন্ড উল্লাসে বোধহীন হায়েনা খেয়ালই করেনি রাজিয়ার অস্বাভাবিক স্থিমিত হয়ে পড়ার ফাঁদ । সময় সুযোগ মতো রাজিয়া হঠাৎ লাফিয়ে উঠে প্রচন্ড আক্রোশে কামড়ে ধরে হায়েনার উত্তুংগ লিংগ । রাজিয়ার 'যাঁতি'র মতো তীব্র শক্ত দাঁতের এক কামড়ে লুটিয়ে পরে হায়েনার শরীর, সাদা চকচকে দাঁত হায়েনার রক্ত মেখে হয়ে উঠে প্রতিশোধী ভাম্পায়ার । হায়েনা কোন রকম ক্ষতস্থান দুহাতে চেপে ধরে কুঁকাতে কুঁকাতে দৌড়ে পালায় ।



ঝড়ের বেগে আসা হিংস্র আক্রমনটা সামলে নিয়ে দরোজা বন্ধ করে রাজিয়া বিছানার উপর বসে । কতক্ষন এভাবে বসে থাকে তা নিজেও জানেনা । নিজের উপর তীব্র ধিক্বার আর রাগ জমে উঠে । এক সময় ভাবে নিজের জীবনটা নিজেই শেষ করে দেয়, কিন্তু তাও পারেনা । শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখে লেগে থাকা হায়েনার রক্ত মুছে নেয় । এভাবেই বসে বসে এক সময় ভোর হয়ে যায় । গোছল করে পরিষ্কার হয়ে নেয়া উচিৎ, কিন্তু স্নানঘরে যেতে তার মন চায় না । এক সময় বিছানা থেকে নেমে তোয়ালেটা হাতে নিয়ে দরোজা খোলে । সূর্য তখনো পুরোপুরি উঠেনি, কিন্তু পরিষ্কার ভোরের আলো ফোটে উঠেছে । বাইরে বের হয়েই দেখতে পায় বাড়ির নেড়ি কুত্তাটা বারান্দায় ছোপ ছোপ জমে থাকা রক্ত চেটে খেয়ে নিচ্ছে । কোন দিকে না তাকিয়ে রাজিয়া দৃপ্ত পায়ে হেটে যায় পুকুর ঘাটের দিকে । মুল বাড়ির পেছনের বারান্দায় আবছা অন্ধকারে কে যেন দাড়িয়ে আছে, সেদিকে ভ্রুকুটি না করে রাজিয়া স্নানঘাটের বাধানো সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায় পুকুরে । পুকুরের পানিতে অনেক্ষন ডুব দিয়ে থাকে । খুব ভালো লাগে রাজিয়ার, মনে হচ্ছে যেন তার উপর বয়ে যাওয়া সমস্ত পাপ ধুয়ে নিচ্ছে পুকুরের স্বচ্ছ জলে । এক সময় পানি থেকে উঠে আসে, শরীরে তোয়ালে পেচিয়ে ভেজা শাড়ি নিয়ে তার ঘরের দিকে হাটতে থাকে । সামনে একটু আগাতেই পরিষ্কার দেখতে পায় বেদৌরা মামী তীক্ষ নজরে তাকিয়ে আছে তার দিকে । রাজিয়া থমকে যায় । এতক্ষনে নিশ্চয়ই বেদৌরা মামী ঘটনা জেনে গেছে । আর তার প্রিয় স্বামীর লিংগ হারানোর কথা তার অজানা থাকার কথা নয় । শেষ রাতে এ্যামব্যুলেন্স আসার শব্দ রাজিয়া নিজেও শুনেছে । রাজিয়া বেদৌরা মামীকে ভালো করে দেখে নেয় । না, বেদৌরা মামীর অবয়বে রাগ বা ক্রোধের কোন চিহ্ন নেই । দেখে মনে হচ্ছে যেন ঝড়ে বিধ্বস্ত একটা মানুষ । পঁচিশ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা তার ভালোবাসার মোকাম আজ ভেংগে চুরমার হয়ে গেছে । বেদৌরা মামীর বিধ্বস্ত চোখের দিকে তাকিয়ে রাজিয়ার খুব করুনা হয় । আর দাড়িয়ে না থেকে সে নিজের ঘরের দিকে হাটা শুরু করে ।



হাটতে হাটতে রাজিয়ার চোখে বারবার ভেসে উঠে বেদৌরা মামীর করুন চাহনী । হঠাৎ করে রাজিয়া যেন আরো সাহসী হয়ে উঠে । দৃপ্ত প্রত্যয়ে সে এগিয়ে যায় সামনের দিকে । রাজিয়া মনে মনে শপথ নেয়, তাকে বেঁচে থাকতে হবে । সংসারে যুদ্ধ করেই তাকে একটা সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে হবে । হয়ত এই শহর ছেড়ে সে আজই চলে যাবে অন্য কোথাও, অন্য কোন শহরে ।









**************************************************



ব্লগে বেশিদিন হয়নি, তাই ইন্টারেকশনও কম ছিলো । ভেবে রেখেছিলাম যদি কখনও ভালো কোন গল্প লিখতে পারি, তাঁকে উৎসর্গ করে চমকে দিবো। কিন্তু জোছনা রাতে মুগ্ধতা ছড়াতে ব্লগার 'ইমন জুবায়ের' চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে অসীমের পথে । যদি কখনও ভালো কিছু লিখতে পারি, আমার লেখাগুলো খুঁজে ফিরবে সেই মহান মানুষটাকে ।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০

বাংলার গাদ্দাফি বলেছেন: পরথম ++ আমি দিলাম ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: পরথম ধইন্যা আপনাকে দিলাম । ;) :)

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: রাজিয়ারা এগিয়ে যাক চিরদিন।

ভালো লেগেছে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজিয়ারা এগিয়ে যাক চিরদিন ।



অনেক ধন্যবাদ তন্ময় ভাই । :)

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
প্রথম দিকে পড়ে মনে হচ্ছিলো পরিচিত গল্প। ভিন্নতা পাচ্ছিলাম না।তবে শেষটা চমৎকার। প্রতিটি নারীকেই রাজয়ার মতো দেখতে চাই।

গল্পে+

অটঃ এমন একটা বা দুইটা নিউজ পেপারে পড়ছিলাম।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: পরিচিত ঘটনা নিয়েই লিখলাম ভাই । একটার পর একটা ঘটনা ঘটেই চলছে । আমরা ক্রমশ বোধশূন্য হয়ে চলেছি । তাই যার যার অবস্থান থেকে কিছু লেখালেখি করে এই হায়েনাদের বিরুদ্ধে দাড়াতে চাই ।


গল্প ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

মাক্স বলেছেন: ++++++
গল্প খুবই ভালো হয়েছে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যার ।



গল্প ভালো লাগায় প্রীত হয়েছি । :)

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১

দিগন্ত নীল বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দিগন্ত নীল । :)

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

দলছুট শুভ বলেছেন: ধর্ষণ সহ সকল ধরণের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আলোর মিছিল

আগামী ১১ তারিখ। শুক্রবার, বিকেল ৪:৩০ মিনিটে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আলোর মিছিল শুরু হবে ধর্ষণ সহ সকল ধরণের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে। আশা করি সবাই অংশগ্রহণ করবেন।

যোগাযোগ ঃ দলছুট শুভ ( ০১৭১০- ২৬৩৮৫৫ )
সাকিন উল আলম ইভান ( ০১৭৩৭- ৩০১৯৮৯ )
তানভীর চৌধুরী পিয়েল ( ০১৬৭১- ৬১৩৮৬১ )

ইভেন্ট লিঙ্ক ।

'' ধর্ষকদের জন্য একটাই আইন চাই , ৯০ দিনের মধ্যে ফাঁসী চাই । যাবজ্জীবন কিংবা জরিমানা নয় । কোন প্রকার ক্ষমা / বিশেষ ক্ষমা / সাধারণ ক্ষমা নয় । ''

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ধর্ষন সহ সকল ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আলোর মিছিল ।



'ব্লগারস অব সিলেট' এর পক্ষ থেকে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সবাইকে অংশগ্রহনের আমন্ত্রন জানাচ্ছি ।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।+
শুভকামনা নিরন্তর।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চেয়ারম্যান সাহেব ।




আপনার জন্যেও শুভ কামনা, সব সময় :)

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

সিলেটি জামান বলেছেন: গল্পের শেষ অংশটা খুব ভালো হয়েছে। প্রতিটি নারীকেই রাজয়ার মতো দেখতে চাই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রতিটা নারীকেই রাজিয়ার মতো দেখতে চাই ।




গল্পের শেষ অংশটা ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ জামান ভাই । :)

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সময় উপযোগী সুন্দর গল্প


ভাল লেগেছে :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: মনিরা সুলতানা বলেছেন: সময় উপযোগী সুন্দর গল্প ।




গল্প ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: প্লাস

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে :)

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
সব নারী যদি হত রাজিয়া
তবে সংসার হত সুখের,
হারিয়ে যেত সব দুঃখ-ছায়া।

ভালো লাগল তব গল্প+++++



ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: সব নারী যদি হত রাজিয়া
তবে সংসার হত সুখের,
হারিয়ে যেত সব দুঃখ-ছায়া ।



অনেক সুন্দর লিখেছেন কবি । গল্প ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

বাংলার গাদ্দাফি বলেছেন: মামুন ভাই আমারে ধইন্যা দিলেন আর সবাইরে ধন্যবাদ দিলেন ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনি আমার পোস্টে প্রথম কমেন্ট করেছেন । তাই আপনাকে জেনেশুনে বাদ টা দেই কেমনে ? ;)



অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন । :)

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: যদি সব নারীরা রাজীয়ার মতো এমন সাহসি হইতো তাইলে ভালো হইতো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: যদি সব নারীরা রাজীয়ার মতো এমন সাহসি হইতো তাইলে ভালো হইতো।



অনেক ধন্যবাদ রাফাত ভাই । :)

১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৭

একটু স্বপ্ন বলেছেন:
সুযোগ থাকলে রাজিয়াকে পরামর্শ দিতাম শহরটি ছেড়ে না যেতে। সে জয়ী মানুষ, পরাজিতের মতো কাজ তাঁকে মানায়না। জয়ীরাইতো সংস্কার অতিক্রম করবে ভীরু বা পরাজিতরা নয়।

অনন্য গল্প মামুন। মেয়েটির প্রতি কেমন যেন একটু মায়া পড়ে গেছে। সে অর্থে এটি সফল গল্প! :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: সুযোগ থাকলে রাজিয়াকে পরামর্শ দিতাম শহরটি ছেড়ে না যেতে। সে জয়ী মানুষ, পরাজিতের মতো কাজ তাঁকে মানায়না। জয়ীরাইতো সংস্কার অতিক্রম করবে ভীরু বা পরাজিতরা নয়।


চমৎকার মন্থব্যের জন্য ধন্যবাদ মোর্শেদ ভাই । :)

১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

ফারজানা শিরিন বলেছেন: ++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফারজানা শিরিন :)

১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫

লোনলিফাইটার বলেছেন: ভালো লাগা নাম্বার ১০ ;)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইজান ;) ;) :)

১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৯

টুম্পা মনি বলেছেন: ভাষাহীন! কিছু বলব না। শুধু রাজিয়াদের জন্য শুভকামনা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: শুধু রাজিয়াদের জন্য শুভকামনা।




অনেক ধন্যবাদ । :)

১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

খুব ভালো হয়েছে , অসাধারন , দারুন এই ধরনের মন্তব্য করবনা করতে চাইওনা শুধু বলব অনেকেই আমরা গল্প লিখি কিন্তু আসলে সেগুলো শুধুই লেখা কিন্তু আপনি যেটা লিখেছেন পড়ে এতটুকুও মনে হয় নি আমি কোন গল্প পড়ছি আমি মনে হল যেন বাস্তবে মিশে গেছি ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ঘটনাগুলো আমাদের জানা, চেনা । অহরহই ঘটে চলেছে আমাদের চারপাশে । ধর্ষকের পশু শক্তির কাছে ধর্ষিতারা অসহায় । তবু যদি দু-চার জন দাড়িয়ে যায় ধর্ষক এত সহজে পার পাবেনা ।


আপনার মন্থব্যে অনেক অনুপ্রেরনা পেলাম । :)

১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

নোমান নমি বলেছেন: এমনটা খবরে পড়েছিলাম। ভালো লাগছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নোমান নমি :)


ধর্ষনের ঘটনা অহরহই ঘটে চলেছে, মাঝে মাঝে এইরকম কিছু প্রতিরোধের খবরও আমরা পাই । আমার গল্প লেখার উদ্দেশ্য শুধু এই প্রতিরোধকে বাহবা দেয়া নয় । ধর্ষকেরও সংসার থাকে, মা-বাবা-ভাই-বোন কিংবা স্ত্রী-পূত্র-কন্যা-পরিজন । ধর্ষিতার পাশাপাশি ধর্ষকের প্রিয়জনদেরও বিশ্বাস ভেংগে পড়ে, যদিও তা ধর্ষিতার আহাজারির সাথে তুলনীয় নয় । তবু আমি দেখাতে চেয়েছি ভিকটিম রাজিয়ারই শুধু নয়, পঁচিশ বছরে তিলে তিলে গড়ে তোলা ভালোবাসার স্ত্রী বেদৌরা'রও বিশ্বাস ভেংগে পড়েছে । ধর্ষকদের শুধু শাস্তি দিলেই ধর্ষকামিতা কমে আসবেনা, প্রত্যেক পরিবারেরও দায়িত্ব আছে তার পুরুষ সদস্যটি যেন কোথাও ধর্ষকের ভূমিকা নিতে না পারে তার জন্য পারিবারিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা ।

২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৮

ভিয়েনাস বলেছেন: রাজিয়াদের জয় হোক। সুন্দর লিখেছেন। এমন না হলে সমাজে টিকা থাকা দুস্কর হয়ে গেছে।

পোস্টে প্লাস।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজিয়াদের জয় হোক ।



ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস । :)

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪১

জেমস বন্ড বলেছেন: ++++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জেমস বন্ড :) :)

২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১১

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: এই সমাজের রাজিয়া'রা ভাল থাকুক ।
১৫ তম ভাল লাগা :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: এই সমাজের রাজিয়া'রা ভাল থাকুক ।



অনেক ধন্যবাদ নিয়েল :)

২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে আপনার গল্প।

প্রতিবাদী নারী চাই ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রতিবাদি নারী চাই ।




অনেক ধন্যবাদ জাকারিয়া মুবিন । :)

২৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম অসাধারন সাহসী এক মেয়ের গল্প বলার জন্য। বাংলাদেশের মেয়েরা প্রতিবাদী সাহসী হয়ে উঠুক এ কামনাই করি।

++++++++++++++++++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: বাংলাদেশের মেয়েরা প্রতিবাদী সাহসী হয়ে উঠুক এ কামনাই করি।



সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ । :)

২৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

সালমাহ্যাপী বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা ভাইয়া।


০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু :)

২৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম। রাজিয়ার মত প্রত্যেকটি মেয়ের জন্যই শুভকামনা। এগিয়ে যাও নারী।+++++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজিয়ার মত প্রত্যেকটি মেয়ের জন্যই শুভকামনা। এগিয়ে যাও নারী।



আপনাদের ভালো লাগা আমার অনুপ্রেরনা হয়ে থাক । :)

২৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। এমনটাই হয়ে উঠুক নারীদের প্রতিচ্ছবি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: এমনটাই যেন হয় নারীদের প্রতিচ্ছবি ।




অনেক ধন্যবাদ ভাই । :)

২৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

আমি ইহতিব বলেছেন: অসাধারণ, রাজিয়ার মতো প্রতিরোধী ও সাহসী হোক সব মেয়েরা তাহলে হয়তো ধর্ষকদের মনোভাব পরিবর্তন হবে, নারীকে অবলা ভেবে আর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়বেনা।

+++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজিয়ার মতো প্রতিরোধী ও সাহসী হোক সব মেয়েরা তাহলে হয়তো ধর্ষকদের মনোভাব পরিবর্তন হবে, নারীকে অবলা ভেবে আর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়বেনা।


আপনার সাথে পুরোপুরি একমত আপু । ভালো থাকবেন সব সময় । :)

২৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

আমিনুর রহমান বলেছেন: অনন্য ও অসাধারণ গল্প মামুন ভাই।

প্রতিটি নারী রাজিয়া হয়ে উঠুক।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রতিটি নারী রাজিয়া হয়ে উঠুক ।



প্রতিটি নারী তার পরিবারের পুরুষ সদস্যকে এই বার্তা দিক, আজকে সে অন্য নারীকে ধর্ষন করলে আরেকদিন অন্য পুরুষও তাকে ধর্ষন করতে পারে । প্রতিটি পরিবার তার পুরুষ সদস্যকে এই শিক্ষা দিক যে ধর্ষন একটি জগন্যতম অপরাধ ।

৩০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

ডেনজারাসবয় বলেছেন: অসাধারন লিখছেন :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: ডরাইছি :-& :-&



অনেক ধন্যবাদ । :)

৩১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: অনেক সুন্দর হইছে ! আপনি গল্প লিখুন নিয়মিত ! শেষের অংশ বেশি ভালো ! সব নারী রাজিয়া হয়ে উঠুক ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: সব নারী রাজিয়া হয়ে উঠুক ।



আপনার চমৎকার এই মন্থব্য থেকে অনুপ্রেরনার রসদ পাচ্ছি । ইদানিং গল্প বেশি টানছে, চেষ্টা করে দেখবো । আপনার জন্য শুভ কামনা । :)

৩২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অসাধারণ ! অসাধারণ একটা গল্প ভাই +++++++++



প্রিয়তে ++++++++

ভালো থাকবেন সবসময় ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার কাছ থেকে সব সময়ই উৎসাহ পাই ভ্রাতা । আর এই উৎসাহ মনে অনেক সাহস যোগায় ।



অপূর্ন ভাই ভালো থাকুন সব সময় । শুভ কামনা । :)

৩৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। রাজিয়ারা জেগে উঠবেই একদিন এবং সবাইকে জাগাবে। ইনসপায়ারিং।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজিয়ারা জেগে উঠবেই একদিন এবং সবাইকে জাগাবে।



অনেক ধন্যবাদ প্রিয় হাসান মাহবুব ভাই । গল্প লেখার ইচ্ছেটা জেগেছে যাকে দেখে, তার কাছ থেকে কমপ্লিমেন্টস পাওয়া সতয়িকারের ইনসপায়ারিং ।
নতুন বাবা-মা কে শুভেচ্ছা এবং কিউট বাবুটার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা । মেরী পপিন্স, নামটা অসম্ভব পছন্দ হইছে । !:#P !:#P

৩৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সুন্দর লেখা, খুব ভালো লাগলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন সব সময় । :)

৩৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২

আরজু পনি বলেছেন:

জয়ী হওয়ার গল্প। দারুণ লাগলো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু । আমাদের জয়ী হতেই হবে ।

৩৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মেহেরুন বলেছেন: চমৎকার লেখা ++++++

দাওয়াৎ রইলো আমার ব্লগ এ :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ।



আসছি.. :)

৩৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: এই সমাজে রমিজ মামাদের খুব একটা অভাব নেই , কিন্তু রাজিয়াদের মতো প্রত্যয়ী মেয়েদের বড়ই অভাব মামুন ভাই । :| :|

দেরী করে পড়ার জন্য দুঃখিত । পোস্টে বরাবরের মতই ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: এই সমাজে রমিজ মামাদের খুব একটা অভাব নেই , কিন্তু রাজিয়াদের মতো প্রত্যয়ী মেয়েদের বড়ই অভাব ।



অনেক ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী । আমিও চারদিন পর লগইন হলাম ।

৩৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

নেক্সাস বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা গল্প। রাজিয়াদের জয় হবেই...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজিয়াদের জয় হবেই...



অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস । :)

৩৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মাঝে কিছুদিন শীতনিদ্রায় থাকায় গল্পটা পড়া হয়নাই।
খুব সুন্দর, অনেক ভাল্লাগলো পড়ে ||

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।




ভালো থাকবেন সব সময় । :)

৪০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

ইনকগনিটো বলেছেন: গল্পটা সাধারন কিন্তু তারপরেও কেমন যেন অসাধারন হয়ে গেলো। এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুললেন। খুব ভালো লাগলো।

আমাদের দেশের প্রতিটা মেয়েই এমনভাবে জেগে উঠুক। প্রত্যাশা রইলো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: আমাদের দেশের প্রতিটা মেয়েই এমনভাবে জেগে উঠুক। প্রত্যাশা রইলো।



ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ কবি । :)

৪১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: শেষ টা দূর্দান্ত!

অনেক ভাল লাগা রইলো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: পাঠে আনন্দ পেয়েছেন জেনে কৃতার্থ বোধ করছি ।



আমার ব্লগে স্বাগত । :)

৪২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

প্রিয়তমেষূ বলেছেন: সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবসের অফিস শেষে!!!

আমার তো কেবল সপ্তাহ শুরু :( :(( :((

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: :( :(( :((

৪৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

শায়মা বলেছেন: অনেকগুলো + ভাইয়া।



রাজিয়ার জন্য শুভকামনা।


এমন অনেক রাজিয়া জন্ম নিক!!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: এমন অনেক রাজিয়া জন্ম নিক ।



প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভালো থেকো আপু ।

৪৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: রাজিয়া'রা ভাল থাকুক এবং জেগে উঠুক !

গপ ভালা লাগছে

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজিয়া'রা ভাল থাকুক এবং জেগে উঠুক !



ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ । :)

৪৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: আপনার মত লেখকের সাথে কিঞ্চিত হৃদ্যতা আছে ভেবেই গর্বিত হচ্ছি।

বসিক লেখা, বস !!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, আপনার কমপ্লিমেন্টস অনুপ্রেরনাদায়ী শুভাশীষ হিসাবেই নিচ্ছি ভাই । জানিনা কখনো লেখক হয়ে উঠতে পারবো কিনা । তবে স্বল্প সময়ের ব্লগীয় জীবনে শুভাত্মা কিছু মানুষের ভালোলাগা আর ভালোবাসায় আষ্টেপিষ্টে বাঁধা পড়ে যাচ্ছি । আর তাইতো বিচ্চিরি রকমের পেশাগত ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততার পরেও চেষ্টা করি রোজ কিছুটা সময় হলেও অন্তর্জালীয় এই বন্ধনের মোহে নিজেকে আটকে রাখতে ।

আপনার জন্য শুভ কামনা সব সময় । :)

৪৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫১

বোকামন বলেছেন:





সয়ে যাওয়া বাস্তবতা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলো গল্পটি। শেষে লেখক জেগে উঠলেন, দৃঢ় চিত্তে অন্যায়কে রুখে দেওয়ার প্রত্যয় দেখালেন।

দারুণ হয়েছে গল্প নামের প্রতিবাদী ম্যাসেজটি।

২৯ তম ভালোলাগা জানাতে পেরে ভালো লাগছে।

ভালো থাকুন প্রিয় লেখক।।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: অবাক হওয়া ভালোলাগা জানবেন প্রিয় বোকামন ।


ধৈর্য নিয়ে আমার পুরাতন পোস্টগুলো পড়ছেন, মানসিক আনন্দের সাথে সাথে সম্মানিতও বোধ করছি ।


অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভকামনা নিরন্তর ।

:) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.