![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহরের ঝাঁ চকচকে আম্বরখানা-টিলাগড় রোড ধরে মাইল খানেক যেতেই বাঁ দিকে একটা গলি । গলি থেকে কিছু দুরে একটা উপগলি মিশে গেছে লাক্কাতুড়া পাহাড়ের অপরুপ চা-বাগান আর রাবার বাগানের সাথে । গোয়াইটুলি বাই লেইন । জায়গাটা এখনো টিলাময়, মাঝে মাঝেই কিছু আদিম জঙ্গলের রুপ । ছাড়া ছাড়া কিছু পুরানো টিনশেড আধাপাকা বাড়ি । অল্প কিছু বহুতল ইমারত এই আদিম বসতিতে আধুনিক নগরের বিজয় ঝান্ডা তুলে ধরেছে । গোয়াইটুলি বাই লেইনের শেষ প্রান্তে চা-বাগানের জায়গা দখল করে কয়েকটা কলোনি, মুলত নিম্ন আয়ের মানুষের বাস । মুল গলি আর গোয়াইটুলি বাই লেইনের সংগমস্থলে একটা উঁচু টিলায় চাষনী পীরের দরগাহ । সারা মহল্লা জুড়ে অবাধে ঘুরে বেড়ায় লিজার্ট বানরের দল । লেংগুর হনুমানের তাড়া খেয়ে লাক্কাতুড়া উপত্যকার গভীর অরন্য থেকে বিতাড়িত হয়ে এই বানরের দল চাষনী পীরের দরগায় আশ্রয় নিয়েছে । দরগায় তারা সম্মানিত অতিথী, জিয়ারত করতে আসা লোকজন তাদের কলা-বিস্কুট খেতে দেয় । পুরো মহল্লা জুড়ে তাদের আধিপত্য । স্থানীয় মানুষের সাথে তাদের খুব একটা বিরোধ নেই, শুধু নিজেদের উপদলীয় কোন্দলের সময় বাড়িগুলোর টিনের চালে লংকাকান্ড ঘটানো ছাড়া । এই বুনো বানরের দলকেও যুঝতে হয় আরেকটি দলের সাথে, মহল্লার বালক দল ।
এই মহল্লার দেয়াল ঘেরা এক আধপাকা টিনের ঘরের বারান্দায় লম্বা একটা কাঠের বেঞ্চি । সন্ধ্যায় আলো জ্বলার পর বেঞ্চির এক প্রান্তে গোমড়া মুখে বসে আছে একাদশ বর্ষীয় বালক সৈকত । স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস ফোরে পড়ে সে । সারা বিকেল পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করে এসে রোজ সন্ধ্যায় এই বেঞ্চিতে বসেই পড়াশোনা করে, দু'পা ছড়িয়ে নৌকা চালানোর ভঙ্গিতে । প্রতিদিনের মতই তার সপ্তদশবর্ষীয়া বোন মিনু মুড়ির বৈয়াম হাতে বেঞ্চির অপর পাশে বসে । বৈয়াম খুলতে খুলতে আড়চোখে গোমড়ামুখো ভাইটিকে দেখে নেয় মিনু । মুখে কপট হাসি ফুটিয়ে শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করে,
"কি রে সৈকত, তোর আবার ডিমুশুন হইছে নি ?"
বুবুর প্রশ্ন শুনে সৈকতের গুমড়ামুখো গাল আরো ফুলে উঠে । কড়া চোখে বুবুর দিকে তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে নেয় । মিনু মজা পেয়ে মুখে কৃত্রিম রাগ ফুটিয়ে আবার বলে,
"কত্ত বড় সাহস ঐ পুচকে রাশু'র ! আমার ভাইকে ইস্টাইকার থাইকা ডিমুশুন দিয়া বেগি বানায়া দিছে ! কয়, আমার ভাই নাকি খালি আসমানের দিকে গৌল করে । আবার আমার ভাইরে সবার সামনে বটলা সৈকত ডাকে । ওরে পাইয়ালই, এমুন কানমলা দিমু না !"
সৈকত বুঝতে পারে মিনু বুবু কৌশল করে তাকেই 'বটলা' বলছে । দু'হাত দিয়ে বেঞ্চিতে বিশাল একটা থাপা দিয়ে চিৎকার করে উঠে, "বুবু তুমি চুপ করবা ?"
মিনু বুঝতে পারে আজকে বড় রকমের কোন ঝামেলা হয়েছে । তাই এবার গলার স্বরটা একটু নরম করে বলে,
"তোরে কি এবার ডিমুশুন দিয়া গৌলি বানাইছে ? অই, খুইলা কস না কেন ?"
সৈকত কোন কথা না বলে হাফপ্যান্টের পকেট থেকে একটা চামড়ার টুকরা বের করে মিনুর সামনে তুলে ধরে । মিনু এটা দেখেই বিস্ময়ে চিৎকার দিয়ে উঠে,
"হায় হায়, এইডা কি ? এইডাতো দেখি ফুটবলের চামড়া । আমি তোরে ফুটবল কিনার লাগি চান্দার টাকা দিলাম, নতুন বলটা কাটলো কেডা ??"
সৈকত মাথা নিচু করে উত্তর দেয়, "রাশু !"
এই হলো রাশু । সৈকতদের ফুটবল টীমের ক্যাপ্টেন রাশু । গোয়াইটুলি বাই লেইনের বালকদের অবিসংবাদিত নেতা । সৈকতের চেয়ে বছর তিনেক বড়, ক্লাস টু পর্যন্ত স্কুলে যাওয়া আসা করেছে । বাবা নাই, মা আর সৎ বাবার সাথে কলোনীতে ভাড়া থাকে । শাহীঈদগাহ মোড়ে বাবার চায়ের টংয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করে । বাবা দুপুরে বাসা থেকে ভাত খেয়ে দোকানে ফিরে আসার পর তার ছুটি । সারা বিকেল মহল্লায় ঘুরে বেড়ানো, ফুটবল ডাংগুলী মার্বেল খেলা আর ঘুড়ি উড়ানোই তার কাজ । ছোটরা তাকে সমীহ করার আরেকটা কারন রাশু সবজান্তা । আম্বরখানা থেকে শাহীঈদগাহ পর্যন্ত যতগুলো মহল্লা ভিত্তিক মাস্তান গ্রুপ আছে, সবাইকে সে চেনে । শুধু চিনে বললে কম বলা হয়, হাঁড়ির খবরও রাখে । কোন গ্রুপের সাথে কোন গ্রুপের টক্কর লেগেছে, কাদের হাতে কি ধরনের 'জিনিসপত্র" আছে, সব তার নখদর্পণে । গোয়াইটুলি বাই লেইনের মাস্তান গ্রুপের কাছে রাশু খুব বিশ্বস্ত । আশেপাশের সব মহল্লার খবর সে এখানে পৌছে দেয় ।
পরেরদিন বিকেলে মাঠে যাওয়ার জন্য সৈকতের মন উসখুস করতে থাকে । কিন্তু ফুটবল ছাড়া কিভাবে খেলবে ? আটজন মিলে দশ টাকা করে চাঁদা তুলে ওরা একটা পাঁচ নম্বরি ফুটবল কিনেছিলো । গতকাল খাসদবিরের ছেলেদের সাথে খেলা ছিলো । সে খেলায় হেরে যাওয়ায় রাশু রাগ করে ফুটবলটাকে কেটে আট টুকরো করে ভাগীদারদের হাতে কাটা চামড়া ধরিয়ে দেয় । তবু সৈকত মাঠের দিকে হেটে যায় । লাক্কাতুড়ার একটা কম ঢালু টিলা সামান্য কেটেছেঁটে বানানো হেলানো মাঠে দশবারো জন জটলা করে আছে । কাছে গিয়ে সৈকত দেখতে পায় রাশু একটা অভিনব বল নিয়ে এসেছে । ছাইপুড়া জাম্বুরার বলটা নিয়েই সবার জটলা । সাথে একটা সুখবরও আছে, মহল্লার এক বড়লোক বড়ভাই একটা ফুটবল কিনে দিবে । এর বিনিময়ে রাশুকে একটা কাজ করে দিতে হবে, কিন্তু কাজটা কি ধরনের তা সবার কাছে খুলে বলেনা । এটা নিয়ে না ভেবে সবাই মহা উৎসাহে জাম্বুরা বল নিয়েই ফুটবল খেলতে শুরু করে দেয় ।
একটা আধপুড়া জাম্বুরা নিয়ে সবাই যার যার ফুটবল প্রতিভা দেখাতে থাকে । জাম্বুরা নিয়ে যে যত বেশি ডজ দিতে পারে সে তত ভালো প্লেয়ার । নিজেরা দুভাগ হয়ে খেলছে । সৈকত তার নতুন পজিশন অর্থাৎ ব্যাক স্টপারে বেশ ভালো কয়েকটি ক্লিয়ার করে । এবার প্রতিপক্ষ দলের স্টাইকার রাশু জ্বলে উঠতে থাকে । কেরি কেটে কয়েকজনকে ডজ দিয়ে বিপুল বিক্রমে জাম্বুরা পায়ে গোল পোস্টের দিকে আগাতে থাকে । গোলকিপার ছাড়া খেলা, তাই সৈকতই শেষ ভরসা । নিশ্চিত গোল ঠেকানোর জন্য সৈকত কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে জাম্বুরা বরাবর লাস্ট চার্জ করে । কিন্তু তার কিক জাম্বুরায় না লেগে রাশুর পায়ে লাগে । সাথে সাথে রাশু 'ও আল্লাগো' বলে চিৎকার দিয়ে হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় । সারা মাঠ হঠাৎ নিস্তব্ধ হয়ে যায়, প্লেয়াররা যে যেখানে ছিলো সেখানে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে । সৈকত বুঝতে পারে রাশু এটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিবেনা, তাই সে দৌড়ে মাঠ থেকে পালাবে বলে মনস্ত করে । কিন্তু পালাতে গিয়ে যেন সৈকত এক পা ও নড়তে পারেনা, মাটিতে গড়িয়ে পড়া রাশুর দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে । রাশু এক লাফে মাটি থেকে উঠে 'ফকিন্নির পোলা আমারে ফাউল করছস' বইলা ধরাম করে সৈকতের উরু বরাবর একটা লাথি মারে । আঘাতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে সৈকত টালমাটাল হয়ে মাটিতে পরে যায় । লাথি দিয়েও রাশুর রাগ পড়েনা, সৈকতের উদ্দেশ্যে অনবরত খিস্তি আউরে যেতে বলতে থাকে, "অই ফকিন্নির পোলা, তোর মিনু বইনরে কলেজের সামনে থাইক্যা বালুচরের মস্তানরা উঠায়া নেয়ার লাগি টানাটানি করছিলো, এইডা আমি জানিনা মনে করছস ??"
মার খেয়ে সৈকত এমনিতেই ফুঁসছিলো, এবার মিনু বুবুরে নিয়ে রাশু খারাপ কথা বলায় তার বুক ফেটে কান্না আসতে থাকে । চোখের সামনে সদা হাস্যজ্জোল মিনু বুবুর মুখ ভাসতে থাকে । মিনু এক বছর ধরে কলেজে যায়না মাস্তানদের ভয়ে । সৈকত মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে সেও বড় মাস্তান হবে । প্রকাশ্যে তার বোনের হাত ধরে টানাটানি করা মাস্তানদের খুঁজে বের করে উচিৎ শিক্ষা দিবে । তার মাস্তানি শুরু হবে আজ, এখন থেকেই । রাশুকে পিটিয়ে আজ সে মানুষ বানাবে । কিন্তু সৈকত তার প্রতিজ্ঞায় অবিচল থাকতে পারেনা, রাশুর কাছে নিজেকে বড়ই দুর্বল আর অসহায় মনে হয় । অন্যরা ইতিমধ্যে রাশুকে সৈকতের সামনে থেকে সড়িয়ে নিয়ে গেছে । সৈকত মাটি থেকে উঠে শরীরের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বাসার দিকে যেতে থাকে ।
এই ঘটনার পর সৈকত আর রাশুদের সাথে খেলবেনা বলে প্রতিজ্ঞা করে । কিন্তু পরদিন বিকেল হতেই মাঠে যাওয়ার জন্য আবার তার মন চঞ্চল হয়ে উঠে । বিকেলের অলস সময়টা পার করার জন্য সে চাষনী পীরের দরগার দিকে হাটা দেয় । প্রতিদিনের মত আজকেও কিছু ভক্ত দরগায় এসেছে । তারা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে বানরদের কলা-বিস্কুট সাধছে, আর বানরেরা কাছে এসে হাত দিয়ে সেগুলো নিয়ে যাচ্ছে । জন্মের পর থেকেই সৈকত এই দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত, তবু আজ এগুলো দেখে তার খুব মজা লাগছে । তার নিজেরও ইচ্ছে হয় দুটো কলা কিনে বানরকে দিতে, কিন্তু পকেটে হাত দিয়েই সৈকত চুপসে যায় ।
সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরে আসে সৈকত । বারান্দায় বেঞ্চির এক পাশে দু'পা ছড়িয়ে বসে বাঘবন্দী খেলা খেলতে থাকে । খেলায় মগ্ন সৈকত টেরই পায়না কখন রাশু এসে তার পিছনে দাঁড়িয়েছে । কোন ভনিতা না করে বেঞ্চির অপর পাশে বসতে বসতে রাশু বলে, "কিরে আজকে মাঠে যাস নাই যে !" সৈকত রাশুকে দেখতে পেয়ে প্রথমে হতচকিত হলেও রাগ আর অভিমানে মাথা নিচু করে ফুঁসতে থাকে । রাশু নরম গলায় বলে, "কাইল তোরে মারছি, মিনু'বুরে গাইলাছি । ক্যান মারুমনা, এই দ্যাখ আমার এংকেল ফুইলা গেছে ।"
সৈকত রাশুর ফুলে যাওয়া পায়ের দিকে তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে থাকে । দুজনে কিছুক্ষন মুখোমুখি চুপচাপ বসে থাকে । এমন সময় মিনু আসে । রাশুরে দেখেই বলে, "কেডা, রাশু লিডার নি ? দুইজনে ঘাপটি মাইরা বইয়া আছস ক্যান ? খাড়া, তোগো লাইগা গুড়মুড়ি নিয়া আসি ।"
মিনু ঘরে চলে যায় । সৈকত রাশুর দিকে চোখ বাঁকা করে তাকায় । রাশু মাথা নিচু করে অপরাধীর মত বসে আছে । আবার দুজনে চোখাচোখি হতেই রাশু হঠাৎ উঠে দাঁড়ায় । তারপর ঘরের বাইরে চলে যেতে যেতে সৈকতকে বলে যায়, "কাইল নতুন ফুটবল আইবো, মাঠে আহিস ।"
পরদিন বিকেলে সৈকত যাবনা যাবনা করেও মাঠের দিকে চলে যায় । রাশু পাঁচ ছয় জন অনুসারীকে নিয়ে মন খারাপ করে বসে আছে । সৈকতও তাদের পাশে গিয়ে বসে । ওদের মন খারাপের কারন অনুমান করতে কষ্ট হয় না । প্রতিশ্রুতি মত মাহল্লার বড় ভাই নতুন ফুটবল কিনে দেয় নাই । আজকে জাম্বুরা বলও নিয়ে আসা হয় নাই । এই অবস্থায় কি করা যায় তা কেউ ভেবে পায়না । রাশুই প্রস্তাবটা দেয়, নারিকলের মোয়া খাওয়ার । সবাই আগ্রহভরে জানতে চাইলে রাশু সবাইকে ইশারায় সাবধান করে দেয় । তারপর ফিসফিস করে বলে, "দেখিস কেউ য্যান না জানে । হাসু মিয়ার কলোনিতে এক বেডা নয়া ভাড়া আইছে । দিনরাত ঘরের ভিতর বইয়া থাকে, কোনহানে যায়না । হের ঘরে একদিন চুপি দিতেই আমারে ডাক দিছে । নাম জিগায়, বাসা জিগায় । হেরপর বেডায় আমারে নারকেলের মোয়া খাইতে দিছে । আমার কেমুন জানি সন্দে লাগছে যে বেডা ভালা না । সাংবাদিক মাহবুব ভাইরে কথাডা কইতেই আমারে কইছে বেডারে চোখে চোখে রাখতে । এখন আমি প্রায়ই বেডার কাছে যাই আর মোয়া খাইয়া আসি । এখন বল, তোরা নারিকেলের মোয়া খাবি কি না ?"
রাশুর গল্প বলার ভঙ্গিতেই ভয় পেয়ে দুজন যাবেনা বলে দিয়েছি । সৈকত শিশির আর পরাগ রাশুর সাথে যেতে রাজি হয় । রাশু দীপ্ত পায়ে সামনে হাটতে থাকে । অজানা আশংকা আর মোয়া খাওয়ার প্রলোভনে বাকি তিনজন তার অনুগামি হয় । ফিরোজ মিয়ার কলোনি পার হয়ে একটা রাস্তা চা-বাগানে মিশে গেছে, আরেকটা সরু রাস্তা দুইটা ছোট টিলা পার হয়ে হাসু মিয়ার কলোনিতে গেছে । জায়গাটা অপেক্ষাকৃত নির্জন, কলোনিতে দশ-বারোটা খুপড়ি ঘর । কলোনির পেছনে একটা টিনশেড ঝুপড়ি ঘরের সামনে তারা দাঁড়ায় । রাশু তিনজনকে ইশারায় দাঁড় করিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা করে । হঠাৎ তার হাত লেগে পুরানো টিনের দরজা মচমচ করে উঠে । ভিতর থেকে একজন হাঁক দেয়, 'কেডা ?' রাশু গলা নামিয়ে জবাব দেয়, 'আমি রাশু ।'
কিছুক্ষন পর দরজা খুলে গাট্টাগোট্টা মাঝবয়সি একটা লোক বেরিয়ে আসে । রাশুরে দেখেই বলে উঠে, 'কিল্লাই আইছস ?' রাশু প্রথমে আমতা আমতা করে, তারপর দ্রুত নিজেকে সামলিয়ে বাকি তিনজনকে দেখিয়ে বলে, ' আমরা এইহান দিয়া যাইতেছি, আপনের মোয়া খুব মজা শুইনা ওরা কইলো.." লোকটা বাকি তিনজনের দিকে চোখ পিটপিট করে তাকায় । "ও মোয়া খাইবি ? খাড়া লই আই" । লোকটা ঘরে গিয়ে মোয়া হাতে ফিরে আসে । রাশুর হাতে একটা মোয়া দিয়ে পরাগের দিকে তাকিয়ে বলে 'তোর নাম কি ?' পরাগ নাম বলার পর লোকটা তার হাতে একটা মোয়া দিয়ে গালটা আলতো করে টিপে দেয় । তারপর শিশিরকেও একটা মোয়া দিয়ে তার গাল টিপে সৈকতের দিকে এগিয়ে যায় । সৈকতের গলার পেছনে একটা হাত আলতো করে রেখে তার নাম জিজ্ঞেস করে । সৈকত খুব ইতস্তত করতে থাকে । লোকটা সৈকতের হাতে মোয়া দিয়ে ওর গাল আঙুল দিয়ে ঘষতে থাকে । সৈকতের প্রচন্ড খারাপ লাগতে শুরু করে, কিন্তু কি করবে ভেবে বুঝে উঠতে পারেনা । হ্যাচকা টানে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে লোকটা তাকে আরো চেপে ধরে বলে, খাস না ক্যান?' রাশু বুঝতে পারে সৈকত লোকটার হাত থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারছে না । সে চোখ লাল করে লোকটার দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলে, ওরে ছাইড়া দ্যান, নাইলে ভালা হইবো না কইলাম' । লোকটাও তখন চোখ বড় করে রাশুর দিকে তাকায় । রাশু তার হাতের মোয়া লোকটার দিকে ছুড়ে দিয়ে বলে, 'বেডা বদমাইশ, তোরে আইজ শিক্ষা দিমু । লোকটা সাথে সাথে সৈকতকে ছেড়ে দিয়ে রাশুর গালে বিশাল একটা থাপ্পড় লাগায় । থাপ্পড় খেয়ে রাশু গালে হাত দিয়ে বসে পড়ে । বাকি তিনজন হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে । হঠাৎ রাশু উঠে এক দৌড়ে লোকটার ঘরে যায় এবং খানিক পরেই একটা চাকু হাতে বেরিয়ে আসে । লোকটাও তখন রাশুকে ধরার জন্য এগিয়ে যায় । রাশু চিৎকার করে বলতে থাকে, 'তোরা পালা, তোরা পালা ।' সৈকত-শিশির-পরাগ তখনই এক দৌড়ে আঙিনার বাইরে একটা গাছের আড়ালে দাঁড়ায় । রাশু হাত দিয়ে চাকু ঘুরিয়ে যাচ্ছে আর লোকটা একবার ডানে একবার বামে ছুটে গিয়ে রাশুর হাত ধরার চেষ্টা করতে থাকে ।
শিশির হঠাৎ বলে উঠে, 'এই বেডায় রাশুরে মাইরা ফালাইবো' । সৈকত ওরে ধমক লাগিয়ে কয়েকটা ইট আনতে ইশারা করে । শিশির আর পরাগ তখনই কয়েকটা ইটের আধলা নিয়ে আসে আর গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে তারা লোকটাকে অনবরত ঢিল ছুঁড়তে থাকে । একটা ঢিল লোকটার গায়ে লাগতেই সে ঘুরে দাঁড়ায়, অমনি রাশু এক দৌড়ে লোকটাকে কাটিয়ে গাছের কাছে চলে আসে । সেখান থেকে চারজন দৌড়াতে দৌড়াতে ফিরোজ মিয়ার কলোনিতে এসে থামে । হাঁপাতে হাঁপাতে রাশু নির্দেশের সুরে বলে, 'অই তোরা এই ঘটনা চাইপা যাইস, কাউরে কইস না । চাকু আনার সময় বেডার ঘরে একটা 'জিনিস' দেখছি । আমি মাহবুব ভাইরে খবরটা দিয়া আসি, তোরা বাসায় চইলা যা ।'
ভয়ংকর সন্ধ্যাটার কথা ভেবে ভেবে সৈকত রাতে ঘুমুতে পারেনি । সকালে উঠে সে বেঞ্চিতে বইপত্র নিয়ে পড়তে বসে, কিন্তু চোখের সামনে থেকে বজ্জাত লোকটাকে কিছুতেই সড়াতে পারছে না । বেঞ্চির অপর পাশে বসে মিনু আপন মনে বালিশের কাভারে ফুল এঁকে যাচ্ছে । এমন সময় দৌড়াতে দৌড়াতে রাশু আসে । "সৈকত, অই বেডারে কাইল রাইতে পুলিশে ধরছে, এই দ্যাখ পেপারে ছবি দিয়া খবর ছাপছে ।"
"কোন বেডারে পুলিশে ধরছে রে রাশু, দেখি পেপারটা' বলেই মিনু রাশুর হাত থেকে স্থানীয় দৈনিকটা নিয়ে খবর খুজতে থাকে । রাশু পেপারের প্রথম পাতার নিচের দিকের খবরটা দেখায় । "টাঙ্গাইলের শিশু ধর্ষণকারী ফুরকান অস্ত্র সহ সিলেট থেকে গ্রেফতার ।" মিনু এক নিশ্বাসে খবরটা পড়ে । রাশু তখনই পেপারটা নিয়ে বাকিদের দেখানোর জন্য দৌড় লাগায় ।
খবরটা পড়ে মিনু রাগে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে । বেঞ্চির ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সৈকত মিনুর আগুনে চোখ দেখে মাথা নিচু করে থাকে । "অই পোলাপানের লগে কালকে তুইও ছিলি ?"
সৈকত কোন উত্তর না দিয়ে চুপচাপ বেঞ্চিতে বসে পড়ে । মিনু সৈকতের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে, তার চোখগুলো কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে । হাতগুলো শক্ত ইস্পাতের মত হয়ে যায় । মিনুকে এইভাবে এগিয়ে আসতে দেখেও সৈকতের কোন ভাবান্তর হয় না, নিশ্চুপ মাথা নিচু করে বসে থাকে । সৈকতের কাছে এসেই মিনু বেঞ্চিতে বসে পড়ে । তারপর সৈকতকে দু'হাতে জড়িয়ে ধরে বলে, "তুই আমার লক্ষ্ণী ভাই ।"
বুবু'র বুকে মাথা রেখে সৈকত বুঝতে পারে তার পিঠে-কাঁধে টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে মিনুবু'র চোখের জল ।
***********************************
উৎসর্গঃ গল্পকার হাসান মাহবুব । 'অফস্পিন' পড়ার পর কিশোরদের নিয়ে আমিও কিছু লিখতে চেয়েছিলাম ।
***********************************
আরো একটি গল্পঃ
সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে স্নানঘাটের সিঁড়িতে ।
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: পুত্তম কমেন্ট পাইলাম ।
শুভকামনা ভ্রাতা
২| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর। ১ম লাইক, কমেন্ট দিতে ভালই লাগল।
অফটপিকঃ আমার প্রতিটা কমেন্ট করতে বার বার লগইন করতে হচ্ছে। এই সমস্যা কি শুধুই আমার বুঝতে পারছি না।
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে আর ১ম লাইকের জন্য ধন্যবাদ ।
আমার আপাতত লগইন প্রবলেম হচ্ছেনা । অপেক্ষা করুন, ঠিক হয়ে যাবে হয়ত ।
৩| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: এক গোছা প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইডি ।
তবে 'লাইক' বাটনে টিপ পড়লে আমার একটা হীট বাড়তো
৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
শিব্বির আহমেদ বলেছেন: ৩য় ভাল লাগা +
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । বিভিন্ন ম্যাগাজিনের ডাউনলোড লিংক শেয়ার করাটা দারুন কাজ ।
শুভকামনা ।
৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: ভাল লাগা জানবেন
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালোলাগা বুঝে পেয়েছি ভাই
অনেক ধন্যবাদ ।
৬| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
নিষ্কর্মা বলেছেন: বস এইডা কি লিখছুইন? ভাববার পারি নাই এত্তো সোনদর হৈবো! পিলাসের উপ্রে কিছু আছে কি না জানি না, থাকলে ঐডাই দিতাম
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: লাক্কাতুরার ঢালু মাঠে পোলাপাইনগোর ফুটবল খেলা আমার বাসার জানালা থাইক্যা দেখা যায় । আর আপ্নেওতো জায়গাটা ভালু চিনুইন । লাক্কাতুড়া উপত্যকার অই পাড়েই তো সিলট ক্যাডেট কলেজ ।
পিলাসের উপ্রেও জিনিস আছে, এইডা আপ্নের কাছ থাইক্যা সব সুময়ই পাই । জিনিসডার নাম 'ভালুবাসা'
৭| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০০
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: চমৎকার মামুন ভাই। এবার আপনাকে পূর্নাঙ্গ সাহিত্যিক মনে হচ্ছে ! সবকিছু কাছে থেকে দেখালাম। ভালো থাকবেন।
++++
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: এই সব বইলা শারমিন্দা বানাইয়েন না ভাই । ভালো লাগে তাই টুকটাক লিখি । :!> :#>
ভালো থাকবেন । শুভকামনা নিরন্তর ।
৮| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প পড়তে গিয়ে বানরের নাম জানা হলো -- লেঙ্গুর আর লিজার্ট। গোয়াইটুলি বাই লেইন আর আশেপাশের জায়গাটার বর্ণনাও সাথে সাথে জানা হলো। তবে বানরেদেরও কত ঝামেলা , বালকদলের সাথে যুদ্ধ করেই তাদের টিকে থাকতে হয়।
রাশুর সাহসী ক্যারেকটার ভালো লেগেছে বেশী যদিও এখানে সৈকতের কথার , ভাবনার দ্বারা রাশুর পরিচয় উঠে এসেছে।
ডায়ালগের মাঝে -- কথা কস না ক্যান, খামু , তোরে মাইরা ফালামু এগুলো মানান্সই। কিন্তু লেখক যখন গল্প লিখবেন তার লেখার টোন আর ডায়ালগের টোন ভিন্ন হওয়া চাই। যেমন দেখেন -
" সাথে সাথে রাশু 'ও আল্লাগো' বলে চিৎকার পারে এবং হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় "
--- ও আল্লাগো রাশুর ডায়ালগ কিন্তু ' চিৎকার পারে ' লেখকের ভাষা। এখানে -- সাথে সাথে রাশু 'ও আল্লাগো' বলে চিৎকার দিয়ে হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়
-- এমনটা হবার কথা ছিল।
তবে গল্পে সাহসী একদল ছেলের সাহসিকতার কথা পড়তে পড়তে নিজের ছেলেবেলায় চলে যাচ্ছিলাম। আর ধর্ষণকারীদের দৌরাত্ম্যও ভীষণ বেড়েছে।
গল্পে প্লাস।
এই ধরণের গল্প পড়তে আর লিখতে দুইটাই ভালো লাগে।
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: লিজার্ট বানরের দল আমার বাসার বারান্দা ব্যালকনি জানালায় সারাদিন ঘুরে বেড়ায় । এমনিতে কোন ক্ষতি করেনা, কিন্তু তাদের অন্তর্দলীয় কোন্দলে টিনশেড বাসার লোকজন খুব বিরক্ত হয় । আর তখনই অই পিচ্চি পোলাপান গুলতি দিয়ে বানরের বারোটা বাজিয়ে দেয় । একবার এক গুলতির গুলিতে আমাদের বাসায় জানালার কাঁচ ভেঙ্গে গিয়েছিল ।
মজার ব্যাপার হলো বাক্যটা লিখার সময়, এমনকি পোস্ট করার সময়ও 'চিৎকার পারা' শব্দটা চোখে পড়েছিলো, কিন্তু কেন যেন ঠিক করা হয়নি । ভুলটা ধরিয়ে দেয়ায় ধন্যবাদ, আমি ঠিক করে দিয়েছি ।
গল্পটা লেখার সময় আমিও আমার ছেলেবেলায় ঘুরে বেরিয়েছি । চাঁদা তুলে ফুটবল কিনে সেই ফুটবল আবার কেটে নিজেরা ভাগ করে নিয়েছি, জাম্বুরা বল দিয়ে কত খেলেছি । গল্পটা লেখে সত্যিই আমি খুব আনন্দ পেয়েছি ।
চমৎকার গঠনমুলক সমালোচনা আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা ।
৯| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সরাসরি বানর দেখতাম যখন পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া থাকতাম। সাধনার গলিতে দেখা পেতাম আর নবাবপুর, আলুবাজারে।
আজকাল বাচ্চাদের ফুটবল খেলতে দেখি না , তারা ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত। আমার ঘরের নবাবপুত্তুরও তাই। ফুটবল খেলা বুঝি না তাই এইটার মানে বুঝি নাই --
আমার ভাইকে ইস্টাইকার থাইকা ডিমুশুন দিয়া বেগি বানায়া দিছে
---- স্ট্রাইকার তো বুঝলাম ( নামে পরিচয় , কাজ কি জানি না ) কিন্তু বেগি কি ?
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ফুটবল এখন বাংলাদেশে আক্ষরিক অর্থেই গরীবদের খেলা । ক্রিকেটের মত এত সাজ সরন্জাম দরকার নাই, একটা চামড়া বা রাবারের গোলক হলেই চলে (আমরা জাম্বুরা দিয়েও খেলেছি) । আমরা ছোট বেলায় দুটোই খেলতাম, শীতের দিনে ক্রিকেট আর বর্ষাকালে ফুটবল ।
ফুটবলে যারা ডিফেন্স সামলায় তাদের বলে স্টপার ব্যাক । এই স্টপার ব্যাক'র আন্চলিক রুপ বেগি । গোল কিপার হয়ে যায় গৌলি । ইংরেজি শব্দের অপভ্রংশ বলা যায় ।
১০| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা বেশ লাগলো। একদম ঝরঝরে। কিছু টাইপো আছে। দেখে নিয়েন।
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সায়েম মুন ।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে ।
১১| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের এখানে কিশোরদের নিয়ে গল্প লেখা মানেই কোমলমতী, নিষ্পাপ, অবুঝ কিশোরদের কাহিনী। তাদের জীবনেও বড়দের মত জটিলতা আসে, তাদেরকেও জীবনের অন্ধকার দিকের সাথে পরিচিত হতে হয়। এসব নিয়ে লেখাই হয় না। গল্পটি পড়ার সময় আমারও অফ স্পিনের কথা মনে হচ্ছিল। তারপর জানলাম যে সেটাই আপনাকে এ গল্প লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে।
সম্মানিত বোধ করছি। পুরো গল্পটাই অনেক ভালো লেগেছে, তবে, শেষে একদল বালকের অপরাধীর বিরুদ্ধে বিজয়, সংবাদপত্রে প্রকাশ এসব গতানুগতিক লেগেছে।
শুভবিকেল!
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: খুব চমৎকার করে বলেছেন হাসান মাহবুব ভাই । আমাদের সাহিত্যে কিশোর মানেই কোমলমতি, নিষ্পাপ আর অবুঝ । আমরা এদেরকে যতই পূত-পবিত্র হিসেবে দেখতে চাইনা কেন, ডার্ক সাইটে ইনভলবমেন্ট এবং উৎসাহ কিন্তু এই বয়সেই শুরু হয় । যেটা আপনার 'অফস্পিন' গল্পে আপনি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছিলেন । এই বয়সে এদের মনে যে অপরাধ প্রবনতা ঢুকে, পরবর্তিতে সেটাই সে করে যায় ।
গল্পের শেষটা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি । কিন্তু ঐ যে, যাকে আমরা সীমাবদ্ধতা বলি সেটা আর অতিক্রম করতে পারিনি । শেষে গতানুগতিক স্রোতেই গা ভাসিয়েছি । যদি কখনো নতুন কিছু ভাবতে পারি, তাহলে এই গল্পের শেষটা আমি আবার লিখতে চাইব ।
অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই । ভালো থাকুন সব সময় ।
শুভ কামনা ।
১২| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: গল্প ভালো হইছে । তবে টুইস্টেড করতে পারেন নাই আমায় ।
আগে থেকেই পরিণতিটা , মিনুর এবিউসড হওয়ার বিষয়টা ধরতে পেরেছিলাম ।
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনি আগে থেকেই ধরতে পারায় আমি খুশি হচ্ছি । এর মানে হলো গল্প জিনিসটা আপনার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ক্রমশ ঢুকছে আর আপনার গ্রে সেলকে উদ্দীপ্ত করছে ।
গল্প ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ মন্ত্রী
১৩| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আসলেই ক্লাসিস মামুন ভাই ! আসেন একদিন ইভেন্ট ক্রিয়েট করে ফুটবল খেলি ! ঢাকার বাইরের বনাম ঢাকার ভিতরের সামু ব্লগার ! আমি কইলাম ইস্টাইকার হমু !
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, এরকম কখনো খেলতে পারলে সত্যি দারুন হবে ।
ইয়ে মানে আগেই বলে রাখি, ছোটবেলা আমার টার্গেটই থাকতো যেভাবেই হোক টীমে ঢুকতে হবে । এর জন্য স্ট্রাইকার থেকে গোলকিপার যেকোন পজিশনে খেলতে রাজি
১৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪
সানড্যান্স বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর!
আপনাদের লেখা দেখলে আমার লজ্জা হয়!
ভালোলাগা!
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫২
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় আমারও ভালো লাগছে ।
কিন্তু এর জন্য আপনার লজ্জা পাওয়ার দরকার নাই ভাইয়া । আপনার কবিতা গুলো অসম্ভব সুন্দর হয় । কিন্তু আমিতো কবিতা লিখতে পারিনা ।
শুভ কামনা নিরন্তর
১৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১১
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভালো লেগেছে অনেক ভাইয়া
২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু
১৬| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: চমৎকার গল্প
++
২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পড়ার জন্য এবং প্লাস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
১৭| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
একজন আরমান বলেছেন:
আপনার লেখা সেরা গল্পগুলোর মধ্যে একটি হল এইটা।
দারুন বর্ণনা।
২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার কমপ্লিমেন্টস পেয়ে উৎসাহিত বোধ করছি ।
ভালো থাকবেন আরমান ভাইডি ।
১৮| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যাদু আছে মামুন ভাইয়ের হাতে। হাতের ছোঁয়ায় গল্প হয়ে উঠে দুরন্ত ঠিক কিশোরদের মতই।
++++++++++++
২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: মিষ্টি মধুর মন্তব্যের যাদু কাঠির ছোঁয়ায় ভরে গেল প্রাণ মন । কি লিখলাম এটা বিষয় না, যা পেলাম তা অপার্থিব আনন্দময় ।
শুভ সকাল কান্ডারী ভাইয়া ।
১৯| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার গল্প। আমার বেশ প্রানবন্ত লেগেছে বর্ননার কারনে। পড়ে মজা পেয়েছি। একটা সুন্দর কিশোর গল্প।
২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় খুশি লাগছে । আবার গর্বও হয়, ছাইপাশ যাই লিখি এই সদা আনন্দময় সুন্দর মানুষটিকে পাশে পাই বলে ।
শুভ সকাল কা-ভা
২০| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৪
বোকামন বলেছেন:
গল্পঃ গোয়াইটুলি বাই লেইন ।
গল্পের প্রথমেই জায়গাটির বর্ণনা। তাই মনে হচ্ছিল, গল্পকার খুব আয়েশ করে গল্পটি শোনাবেন। ধারনা করেছিলাম গল্পটি বেশ বড় হবে। যাইহোক, সহজ সুন্দর সাবলীলভাবে গল্পটি শোনাতে থাকলেন, আমি সাধারণ পাঠক শুনতে থাকলাম সাবলীল ছন্দে।
"কি রে সৈকত, তোর আবার ডিমুশুন হইছে নি ?"
"হায় হায়, এইডা কি ? এইডাতো দেখি ফুটবলের চামড়া ।
চমৎকার প্রানবন্ত কথপোকথনে; চরিত্রগুলোর পাশাপাশি চলতে পাঠককে বেগ পেতে হয়নি। ফুটবল খেলা এবং রাশু, সৈকত, অন্যান্য কিশোরদের মধ্যকার সম্পর্ক মনে করিয়ে দিচ্ছিলো বয়সটাতে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা। শহুরে কিশোরদের মাদকের সাথে জড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ কিন্তু খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা। রাশু এবং সৈকতের মধ্যকার সাময়িক মন:মালিন্য অত:পর ফুলে যাওয়া পা দেখে সৈকতের বোধোদয় বিষয়গুলোর মাধ্যমে গল্পকার রাশু এবং সৈকতের ঘনিষ্ঠতা দারুণভাবেই বর্ণনা করেছেন। অত:পর বাস্তবতা, সমাজের ঘৃণ্য বাস্তবতা। রেহাই পাচ্ছে না ছোট-বড় কেউই। গল্পে টুইষ্টের প্রয়োজন না থাকলেও হয়তো বজ্জাত লোকটাকে ধরিয়ে দিতে কিশোরদের প্রচেষ্টা কিছুটা দু:সাহসিক বা অপ্রত্যাশিত করা যেত। গল্পকারের নিকট অনুরোধ থাকবে বিষয়টি ভাবার জন্য।
“বুবু'র বুকে মাথা রেখে সৈকত বুঝতে পারে তার পিঠে-কাঁধে টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে মিনুবু'র চোখের জল ।” গল্পকার চমৎকার মিনিংফুল একটি ম্যানেজ পৌঁছে দিলেন-
মিনুবু'র চোখের জল আমরা দেখতে চাই, তবে তা অবশ্যই আনন্দের।
শ্রদ্ধেয় মামুন রশিদ ভাই,
আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার চমৎকার লেখা এবং সচেতন চিন্তা-ভাবনা এভাবেই সমাজকে আলোকিত করতে থাকুক-এই কামনা করি।
ভালো থাকবেন।
২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: মনোযোগী পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।
গল্পের শেষটা নিয়ে আমারও অতৃপ্তি আছে । পুরো গল্পের স্পিরিটের সাথে শেষটা যায় না । চেষ্টা করেছি, কিন্তু নিজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে পারিনি । যদি কখনো নতুন কিছু ভাবতে পারি, গল্পের শেষটা আবার লিখতে চাইব ।
"মিনুবু'র চোখের জল আমরা দেখতে চাই, তবে তা অবশ্যই আনন্দের।" দারুন বলেছেন । আমরা চাইনা আর কোন মিনু রাস্তা ঘাটে বখাটেদের শিকার হউক, আমরা চাইনা আর কোন মিনু'র বুক ফাটা কান্না দেখতে । সব কান্না আনন্দ অশ্রুতে রুপ নিক ।
আপনার এই সুন্দর আর গঠনমুলক মন্তব্য আমার সকালের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে । আপনার প্রতিটা দিন প্রতিটা ক্ষন আনন্দময় হোক ।
শুভ সকাল
২১| ২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
আরমিন বলেছেন: দারুন লাগলো! কিশোর উপন্যাশ বা কিশোরদের নিয়ে লেখা গল্প আমার এমনিতেই অনেক ভাল লাগে, আর এই গল্পটির প্রথম দিকের বর্ণনা তো অসাধারণ লাগলো!
প্লাসায়িত!
২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরমিন২৯ ।
ব্লগে কিছু লেখার সুবিধা হলো সরাসরি পাঠকের ফিডব্যাক পাওয়া যায় । একটা লেখার ভালো-মন্দ সব দিক উঠে আসায় লেখক লেখাটির আপডেট করে নিতে পারে ।
গল্প ভালো লাগায় আমারও ভালো লাগছে
২২| ২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সবদিক থেকে গপটা ভালা পাইছি
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন
২৩| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
মাক্স বলেছেন: লেখার মধ্যে একটা গাম্ভীর্য নিয়া আসছেন। ভালো লেগেছে!
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: পুরানো দিনের বেজ গীটারের মত ??
হাঃহাঃহাঃ
ভালো থাকবেন মাক্স
২৪| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
তারছেড়া লিমন বলেছেন: অসাধারন একটা গল্প........++++++++++++++
২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিমন ভাই
২৫| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক দিন পরে সুন্দর একটা কিশোর গল্প পড়লাম। শেষ কবে পড়েছি ভুলেই গেছি।
গল্পে অপরাধীর বিরুদ্ধে কিছু সাহসী বালকের লাগা, শেষে পত্রিকায় নিউজ আসা এই বিষয়গুলো একটু পুরনো কনসেপ্ট মনে হয়েছে। জাফর ইকবাল স্যার এর প্রায় ১ ডজন উপন্যাসে আছে এসব নিয়ে।
আপনি বরং কিশোর মনের জটিলতা, তাদের বিভিন্ন সমস্যা, ভুল পথে চলে যাওয়া -এসব নিয়ে লিখতে পারেন। এই দিকটা নিয়ে খুব বেশি লেখা লেখি হয়নি আমাদের দেশে।
ভাল থাকুন, শুভকামনা।
২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নাজিম-উদ-দৌলা,
আপনি বরং কিশোর মনের জটিলতা, তাদের বিভিন্ন সমস্যা, ভুল পথে চলে যাওয়া -এসব নিয়ে লিখতে পারেন। এই দিকটা নিয়ে খুব বেশি লেখা লেখি হয়নি আমাদের দেশে।
খুব চমৎকার দিকনির্দেশনা পেলাম । বিষয়টি নিয়ে আমি সিরিয়াসলি ভাববো । মাত্রতো পথ চলা শুরু, এখনো পুরোপুরি গল্প লিখিয়ে হতে পারেনি । পথ চলার শুরুতে এই উৎসাহ প্রচুর উদ্দীপনা যোগায় । আমি চেষ্টা করব আমার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে যেতে ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা সতত ।
২৬| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি সত্যি বুঝতে পারি নি কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে ...
এমিল এর গোয়েন্দা বাহিনী মনে পরে গেল ...
লেখা টা একদমে শেষ করলাম ...।
২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার এই সরল মন্তব্যে খুব মজা পেয়েছি । এটা ইচ্ছাকৃত, গল্পের পরিনতি নিয়ে আগে থেকে কোন ক্লু দিতে চাইনি । মনে হচ্ছে আমার প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও স্বার্থক ।
ভালো থাকবেন আপু । শুভ কামনা নিরন্তর ।
২৭| ২৪ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ভাল লাগলো ।
২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই ।
ভালো থাকবেন
২৮| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
নেটের ঝামেলায় আছি, বার বার রিফ্রেশ দিয়ে কোন কোন পোস্ট পড়ে কমেন্ট করতে পাচ্ছি
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম তাইতো দেখলাম, গতকালও মনে হয় দুই বার ঘুরে গেলেন । নেটের সমস্যা নিয়ে সত্যি খুব বিরক্ত
গল্প নিয়ে কিছু কইলেন না যে আফা
২৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়...
অনেক সুন্দর লিখেছেন...আঞ্চলিক ভাষার নিপুণ ব্যবহারও মুঘদ করেছে।
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন সব সময় ।
৩০| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১০
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ভালো লাগা সহ একগুচ্ছ
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: এক গোছা ভালোবাসা,
এক গোছা ভালোলাগা বুঝিয়া পাইলাম ।
৩১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: দারুণ লেগেছে।
রাশু চরিত্রটা বেশ আকর্ষনীয়।
গল্পটা পড়ার সময় চোখের সামনে যেন জীবন্ত চিত্র ফুটে উঠে।
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাতুল ভাই ।
মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা । আসলে আমরা বেশিরভাগই এমেচার লেখক । একটা সুন্দর মন্তব্য আমাদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরনা শতগুনে বাড়িয়ে দেয় ।
ভালো থাকবেন । শুভকামনা নিরন্তর ।
৩২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মামুন ভাই ।
কেমন আছেন আপনি ? প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি শুরুর দিকে কমেন্ট করতে না পারায় । মানসিকভাবে একটু তাড়াহুড়ার মধ্যে ছিলাম , তাই নজর দেয়া হয়নি ।
গল্পটা একটানে পড়ে ফেললাম মানে পড়তে পেরেছি । খুব , খুব সাবলীলভাবে আপনি গল্পকে
এগিয়ে নিয়ে গেছেন । স্বচ্ছন্দ গতি ।
''আজকে আরো সিরিয়াস কিছু হয়েছে - ''আরো ' শব্দটা বাদ দিয়ে 'লিখলে ভাল হত বলে আমার মনে হচ্ছে ।
''আধলা '' শব্দটা আকর্ষণ করল বেশ । আধলা দিয়ে কি টুকরা বুঝানো হয় ?
বাঘবন্দী কিভাবে খেলে ?
আপ্নের শব্দটাও ঠিক করে দেবেন ।
লক্ষ্নী - এটার উচ্চারণ কি হবে ?
''রাশু নরম গলায় বলে, "কাইল তোরে মারছি, মিনু'বুরে গাইলাছি । ক্যান মারুমনা, এই দ্যাখ আমার এংকেল ফুইলা গেছে ।" -[ কমেন্ট তা ভাল লাগল । ব্যাটা ক্ষমা ও চাইল আবার নিজের সাফাই ও গাইল !
কিছু কিছু জায়গায় ক্রিয়াপদেআঞ্চলিকতা চলে আসছে । যেমন -
হারামজাদা রাশুরে ''পিটাইয়া '' আজ সে মানুষ বানাবে ।
এই লাইনটা একটু চোখে বাধতাছে । '' দিনরাত ঘরের ভিতর বইয়া থাকে, কোথাও যায়না । '' কোথাও যায়না না দিলে কোনহানে যায় না বা কুনুহানে যায় না দিলে কেমন হয় ?
আপনার প্লট নির্বাচনের জন্য ও আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি ।
যারা গল্পের পট খুজতে খুজতে খুজতে হয়রান ,চাইলে আশ পাশ হতেই প্লট জোগাড় করে সুন্দর করে গল্প লিখা যায় - আপনার গল্পটাই তার প্রমান ।
গল্পের টুইস্ট নিয়েও আমার একটা কথা আছে ।
অনেকেই চমক দেখতে আশা করেন । তবে সবসময় যে চমক দেখতে হবে এমন ত কোন কথা নেই । আসল জিনিস দেখতে হবে আগে । গল্প হইছে কিনা ? সেদিক দিয়ে আপনি সফল ।
আপনার গল্প পড়ে তৃপ্তি - আরাম দুটাই পাইছি ।
আপনি সার্থক ।
ভাল থাকবেন মামুন ভাই
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ, সুন্দর আর ডিটেইল মন্তব্যের জন্য ।
গল্পের প্লট আর ট্যুইস্ট নিয়ে আপনি খুবই ভালো বলেছেন । আমাদের আশেপাশে অনেক ভালো ভালো প্লট থাকে, শুধু খুঁজে নিতে হয় । আর সব গল্পের শেষে বিস্ময় বা চমক আশা করা ঠিক নয় । গল্প হয়ে উঠাই বড় কথা ।
কিছু কিছু টাইপো আর আন্চলিকতার মিশ্রন ছিলো, ঠিক করে দিয়েছি । গল্পে পড়ে ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভ কামনা নিরন্তর
৩৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০০
খেয়া ঘাট বলেছেন: গল্পের নামটা চমৎকার লেগেছে। বর্ণনা মুগ্ধ করার মতো।
তবে পুরো গল্প হিসাবে আরেকটু বেশীই আশা করেছিলাম।
ভালো ছাত্ররা ৮০ পেলেকি শুভাকাঙক্ষীরা খুশী হতে পারে????
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: শুধু গল্পের নামটা চমৎকার লেগেছে, নামটা পরিচিত ঠেকেনি ? ইলেকট্রিক সাপ্লাই আর বড়বাজারের পেছনে লাক্কাতুড়া ঘেষা মহল্লা এটা । হযরত শাহজালালের সঙ্গী ভূ-বিজ্ঞানী হযরত চাষনী পীরের দরগাহ এখানে । কথিত যে হযরত শাহজালাল ইয়েমেন হতে ভারতে আসার সময় উনার মামা এক মুঠো মাটি দিয়ে বলেছিলেন যেখানে এইরকম মাটি পাওয়া যাবে তিনি সেখানেই যেন খানকা গড়েন । হযরত চাষনী পীর উনার জিহবা দিয়ে চুষে সিলেটের মাটিকেই ইয়েমেন থেকে আনা মাটির অনুরুপ বলে নিশ্চিত করেন । সেই থেকে উনার নাম চাষনী পীর ।
এই অতিরিক্ত আশা একজন ছাত্রের জন্য যে কতটুকু বাড়তি চাপ.. চেষ্টার ত্রুটি থাকবেনা আশা রাখছি
৩৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আঞ্চলিকতার অংশটুকু ভালই মানিয়েছিল।
২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: সংলাপে আন্চলিক টান যথারীতি আছে, শুধু বর্ননার অংশটুকু এডিট করেছি ।
মন খারাপ করে আছেন কেন ?? কান্ডারী ভাইকে মন খারাপ দেখতে একদম ভালো লাগে না ।
৩৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেকদিন পর একটি কিশোর গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ মামুন ভাই এমন একটি চমৎকার গল্প উপহার দেয়ার জন্য
২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কুনো..
গল্প ভালো লাগায় ভালো লাগছে । তোমার লেখা গল্প পড়ার অপেক্ষায় আছি ।
৩৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: দুর্দান্ত হয়েছে
১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রত্যাবর্তন@
৩৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
তাসজিদ বলেছেন: অনেক দিন পর ভাল একটি কিশোর উপন্যাস পড়লাম। চমৎকার আপনার গল্পের গাথুনি।
আরও বেশি করে কিশোর উপন্যাস লিখুন আমাদের জন্য
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: পুরানো লেখাগুলো খুঁজে খুঁজে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
৩৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
তাসজিদ বলেছেন: মানুষ পুরনো হয়ে যায়। গাড়ি, বাড়ি সব পুরানো হয়ে যায়।
কিন্তু সাহিত্য?????
She is everlasting.
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম । ধন্যবাদ তাসজিদ ।
৩৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: জাফর ইকবাল স্যারকে মনে করিয়ে দিলেন ভাইয়া । পেলাসে পেলাসে পেলাসবহুল গোয়াইটুলি বাই লেইন !
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: মজার ব্যাপার হল, জাফর ইকবাল স্যারের লেখা যা পাই তাই নিয়ে আসি । কিন্তু আমি কখনো পড়িনি । শুধু স্যারের লেখা উপন্যাস থেকে নির্মিত দুটো ছবি দেখেছি- দীপু নাম্বার টু আর আমার বন্ধু রাশেদ ।
আমার মেয়ে স্যারের বইয়ের পোকা, তার জন্যই কালেকশন করতে হয় ।
হ্যাঁ, গল্পটি দীপু নাম্বার টু দ্বারা প্রভাবিত
৪০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০১
উদাস কিশোর বলেছেন: বরাবরের মতই ভাল লাগা
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু থ্যান্কু
৪১| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বৃষ্টিধারা বলেছেন: সুন্দর .....
০২ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বৃষ্টিধারা
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ক্লাসিক ++ ২য় ভালোলাগা
ভালো থাকবেন ভ্রাতা