![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
শহরের সুবিশাল অভিজাত একটা সুপারস্টোরের সামনে গাড়ি পার্ক করলাম ।
সারি সারি র্যাকে সাজানো দেশি-বিদেশি জিনিস পত্রের আকর্ষণীয় পশরা, বাহির থেকেই দৃষ্টিগোচর হয় । সূই থেকে বারবিডল, কাঠবাদাম থেকে ফ্রোজেন মিট- সংসারে প্রয়োজনীয় সব জিনিসের বিপুল সমাহার । পছন্দ করে বাস্কেটে রাখা আর দাম মিটিয়ে গাড়ি করে নিয়ে আসা- আপনার ব্যস্ত জীবনে এতটুকু স্বস্তি দিতে এদের চেষ্টার কোন অন্ত নেই ।
তবু হাল ফ্যাশনের সুপারস্টোর আমাকে টানে না । বাঙ্গালীর চিরায়ত স্বভাব মতই টিপে টিপে দরদাম না করে জিনিস কিনে তৃপ্তি পাই না । ব্যস্ততা আর আলসেমীর মাঝেও নিয়মিত বাজার করা তাই অভ্যেস হয়ে গিয়েছে । আজ একটা বিশেষ ব্র্যান্ডের সয়াসসের খোঁজে এখানে আসতে হয়েছে ।
সুপারস্টোরের ভিতরে সুবিশাল ভান্ডার থেকে পছন্দের ব্র্যান্ড খোঁজে বেড়াচ্ছি । হঠাৎ পাশে এক ভদ্রলোকের দিকে দৃষ্টি পড়ল । স্মার্ট সুবেশি একজন মানুষ গভীর মনোযোগ দিয়ে র্যাকের জিনিসপত্র দেখছেন । উনাকে দেখে একটা পরিচিত অবয়ব চোখে ভাসছে, কিন্তু মেলাতে পারছিনা । বিব্রত হওয়ার শন্কা আছে, তবু আস্তে করে বললাম, 'স্লামালিকুম ফারুক ভাই' । সালাম পেয়ে তিনি আমার দিকে দৃষ্টি ফেরালেন । কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে চোখেমুখে আনন্দ ফুটিয়ে প্রায় চিৎকার করে বললেন, 'আরে সবুজ নাহ'!
হ্যান্ডশেক করতে এগিয়ে যেতেই ফারুক ভাই পরম আন্তরিকতায় জড়িয়ে ধরলেন । প্রায় বছর বিশেক পর দেখা । ফারুক ভাই আমার চার ইয়ার সিনিয়র, ইউনিতে আমরা হলমেট ছিলাম । এক সাথে টেবিল টেনিস খেলতাম । তিনি খুব আন্তরিক আর কেয়ারিং মনোভাবের ছিলেন । ফোরহ্যান্ড স্ম্যাশ আর বিচিত্র সব স্ক্র্যু শট উনার কাছ থেকেই শিখেছিলাম । আলাপে জানলাম তিনি বিভাগীয় পর্যায়ের একজন উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা । বছর দুয়েক ধরে এই শহরে আছেন । আলাপচারিতা শেষে জানালেন সন্ধ্যার পর তিনি স্টেশন ক্লাবে থাকেন, অবসরে যেন দেখা করি ।
দুই
কোর্ট এলাকার নিরাপত্তা বেস্টনির ভেতর শহরের সবচেয়ে পুরাতন আর অভিজাত ক্লাব এটা । ব্রিটিশ আমলে রেল স্টেশন হওয়ার পর এই ক্লাবের গোড়াপত্তন । মুলত উর্ধতন সরকারি কর্মকর্তা আর শহরের রয়্যাল শ্রেনীর মানুষদের মিলিত আড্ডার জায়গা । ক্লাবের ওয়েটিং রুমে গিয়ে ফারুক ভাইকে কল দিতেই তিনি গার্ড কে ফোনে বলে দিলেন । গার্ড আমাকে ক্লাবের ভিতরে নিয়ে চললো ।
দুতলা ক্লাবের নিচতলায় একদিকে ক্যান্টিন আর বার, অন্যদিকে কনভেনশন সেন্টার । দুতলায় রিডিং রুম, জিমনেসিয়াম আর ইনডোর প্লে রুম । ইনডোর প্লে রুমে বেশ হইচই, টেবিল টেনিস আর ক্যারাম খেলা ঘিরে । শেষ রুমটা বেশ বড়, শুনশান । একদিকে কয়েকজন নিবিষ্ট মনে দাবা খেলে যাচ্ছে, অন্য দিকে তাস খেলার আয়োজন ।
কয়েকটা টেবিলে গোল হয়ে বসে তাস খেলা হচ্ছে । একটা টেবিল থেকে ফারুক ভাই উঠে এসে আমাকে রিসিভ করেন । প্লেয়ারদের পাশে একটা চেয়ার টেনে দিলে আমি বসে তাদের খেলা দেখতে থাকি ।
তিন
ইউনি লাইফে প্রচুর তাস খেলেছি । কানা শামীম ভাই আর আমি মিলে হলের ইনডোর কম্পিটিশনে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজে । কিন্তু এখানে খেলা হয় কন্ট্রাক্ট ব্রিজ । ফারুক ভাই জানালেন, বড় বড় ক্লাব আর বিদেশি দূতাবাসের আড্ডা এই কন্ট্রাক্ট ব্রিজ কে ঘিরেই আবর্তিত হয় ।
ফারুক ভাইয়ের সুবাদে প্রতি সন্ধ্যায় ক্লাবে যাই । উনার পার্টনার হতে বেশি দিন লাগেনি । খেলাটার ধরণ ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজের মতই । পার্থক্য হল কল এ । অকশন ব্রিজে (ইন্টারন্যাশনাল) যত কমে কল পাওয়া যায় তত ভাল, কিন্তু কন্ট্রাক্টে যত কল উঠবে তত বেশি পয়েন্ট । ফাইভ, সিক্স এমনকি সেভেন লেভেল পর্যন্ত কল উঠে যায় । কন্ট্রাক্ট ব্রিজ হল ফেক কল আর ট্রিক্সের খেলা ।
যেমন, আমার হাতে ছোটবড় দুটো স্যুট সহ বিশ পয়েন্ট আছে । আমি কল দিলাম ওয়ান নোটার্ম । ডানের বিপক্ষ প্লেয়ার একটা লম্বা স্যুট নিয়ে টু স্পেড । আমার পার্টনার একটা স্যুট সহ বেশ কিছু পয়েন্টস নিয়ে থ্রী হার্টস সাপোর্ট দিল । বাম পাশের বিপক্ষ প্লেয়ার পাস দিবার পর আমার কল ফোর ক্লাবস ।
খেলার মজাটাই এখানে, আমার ফোর ক্লাবস ডাকাটা কিন্তু ক্লাবসের স্যুট ছাড়াই । এটাকে বলে আসকিং কল, অর্থাৎ আমি জানতে চাচ্ছি পার্টনারের হাতে কয়টা টেক্কা আছে । পার্টনারের হাতে একটা টেক্কা থাকলে ডাকবে ফোর ডাইস, দুটোয় ফোর হার্টস, তিনটায় ফোর স্পেড আর চারটায় ফোর নোটার্ম । টেক্কার হিসাব নেয়ার পর কিং এর হিসাব নিতে কল দিব ফাইব ক্লাবস, এমনকি কুইনের হিসাবও নেয়া যায় সিক্স ক্লাব কল করে । এইভাবে পার্টনারের হাতের সব কার্ডের হিসাব বের করে ডিসিশন কল দেয়া হয় ।
চার
বিভাগীয় কমিশনার আর চেম্বার অব কমার্সের যৌথ উদ্যোগে ক্লাবে একটা ইনডোর গেমসের আয়োজন হয়েছে । সারা রাত ধরে গেমস চলবে । আমি আর ফারুক ভাই যথারীতি কন্ট্রাক্ট ব্রিজে নাম দিলাম । কয়েক রাউন্ড গেম জিতে ফাইনালে উঠে গেলাম । ফাইনালে আমাদের প্রতিদ্বন্ধি চেম্বার সভাপতি ইয়াজদানি সাহেব আর পুলিশের ডিসি-নর্থ এর জুটি ।
ইয়াজদানি সাহেব শহরে একজন সজ্জন মানুষ হিসাবে সুপরিচিত । অনেক বছর আগে উনাদের পরিবার পাটনা থেকে এই শহরে এসে বসবাস শুরু করেন । তিন পুরুষের তেজারতি সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তিনি আজ শহরের সবচেয়ে বড় শিল্পপতি, প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার এবং একজন ফিলানথ্রপিস্ট । শহরে নিজের নামে, বাপ-দাদার নামে প্রচুর দাতব্য প্রতিষ্টান তিনি গড়ে দিয়েছেন ।
এতদিন ইয়াজদানি সাহেবকে দুর থেকে দেখলেও কথা বলার কখনো সুযোগ হয়নি । আজকে কন্ট্রাক্ট ব্রিজে ফাইনাল খেলার সুবাদে উনার কাছে বসতে পারলাম । প্রথমেই তিনি মজার মজার কথা বলে একটা অন্তরঙ্গ আড্ডার পরিবেশ তৈরি করে দিলেন । ডিসি-নর্থ গম্ভীর মানুষ, সম্প্রতি তিনি এ শহরে বদলি হয়ে এসেছেন ।
প্রথম চার ডিলেই দুটি গেম করে রাবার সহ প্রচুর পয়েন্ট আদায় করে নিল প্রতিপক্ষ । আমি একটু নার্ভাস ফিল করছিলাম । পরের ডিলে আমি কল পেয়েও পার্টনারকে খেলতে দিয়ে ডামি থেকে গেলাম । ফারুক ভাই ঠান্ডা মাথায় খেলে গেম আদায় করে নিলেন । নিজেরা গেম পাবার পর আমার আত্মবিশ্বাস ফিরতে লাগল ।
আমাদের একটা গেম থাকায় প্রতিপক্ষ 'ভালনারেবল' পজিশন থেকে কল দিচ্ছিল । আমার হাতে ভাল পয়েন্ট থাকার পরও পাস দিয়ে যাচ্ছিলাম । কিন্তু ফারুক ভাই একাই কল দিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের কল সিক্সে নিয়ে গেল, আর আমি ডাবল দিই । ঐ ডিল থেকে হাজার খানেক পয়েন্ট নিয়ে এসেছি । ডিলে অপ্রত্যাশিত বড় একটা শর্ট খেয়ে ইয়াজদানি সাহেবের চেহারা দেখার মত হয়ে গেল । নাগিনা সিনেমার অমরেশপুরির মত চোখ বড় করে তিনি পার্টনারের দিকে অগ্নিদৃষ্টি বর্ষণ করলেন, আর ডিসি-নর্থ সাহেব মাথা নিচু করে কার্ডে শাপল দিতে থাকলেন ।
পরের ডিলগুলোতে প্রতিপক্ষ খুব ভালো খেলার চেষ্টা করে । কিন্তু রাতটা ছিল আমাদের, আমি হাতে প্রচুর ভাল কার্ডের সাপোর্ট পাচ্ছিলাম । আর ফারুক ভাই দুর্দান্ত খেলে যায়, বিশেষকরে তার ট্রিক্সগুলো ছিল অসাধারণ । সতের ডিলের খেলায় শেষ অবধি আমরাই জয়ী হলাম ।
পাঁচ
কম্পিটিশন গেমসে বিজয়ী হবার পর ইয়াজদানি সাহেব আমাদের সাথেই খেলেন । প্রায়ই তার পার্টনার বদল হয়, কোনদিন ডিসি-নর্থ সাহবে আবার কোনদিন নির্বাহি প্রকৌশলী সওজ । বর্ণাঢ্য চরিত্রের ইয়াজদানি সাহেবের প্রতি আমি এক ধরনের টান অনুভব করতে থাকি ।
কিন্তু তার সাথে খেলতে বসায় সমস্যাও আছে । কেউ না কেউ দেখা করতে আসে, খেলা বন্ধ রেখে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন । আমি অবাক হলাম, শহরের ডাকসাইটে রাজনৈতিক নেতা শরফুল সাহেব ইয়াজদানিকে খুব মেনে চলেন । মিনিস্টার ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করায় উনার অনুপস্থিতিতে শরফুল সাহেব সব কিছু দেখাশোনা করেন । মিনিস্টার সাহবের ডানহাত শরফুল শহরের ভবিষ্যত মেয়র প্রার্থী ।
আমার অবাক হওয়ার ব্যাপারটা লক্ষ্য করে ফারুক ভাই জানান, মিনিস্টারের ডানহাত আসলে ইয়াজদানি সাহেব । পর্দার আড়ালে থেকে তিনিই সবকিছুতে কলকাঠি নাড়েন । শরফুল সাহেব খেলার পুতুল । খেলাটা আরো ভালভাবে জমানোর জন্য ইয়াজদানি নাকি মাঠে নতুন পুতুল নামিয়েছেন । যুবনেতা ইসমাইল এখন শহরের রাজনীতিতে শরফুলের প্রতিদ্বন্ধি । রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন-টেন্ডার সবকিছুতেই শরফুল এখন কোনঠাসা । ইয়াজদানি সাহেব শরফুলকে বলে দিয়েছেন, ইসমাইলের সাথে মিলে মিশে চলতে ।
মিলে মিশে চলার মাশুল শরফুল ভালই দিচ্ছে । টেন্ডার-টোল ইতিমধ্যে ইসমাইল দখল নিয়ে নিয়েছে । ইয়াজদানির অজান্তে শরফুল ব্যাপারটা মিনিস্টারের কানেও তুলেছিল, কিন্তু পাত্তা পায় নি । ইসমাইল এখন মিনিস্টারেরও প্রিয়পাত্র ।
একদিন খেলার মাঝখানে একটা ফোন পেয়ে ইয়াজদানি সাহেব বিরস বদনে ক্লাব ত্যাগ করেন । ফারুক ভাই ডিসি-নর্থের সাথে আলাপ করে যা জেনেছিলেন সেটা ছিল ভয়াবহ । দল ক্ষমতায় আসার পর শরফুলের হাত দিয়ে সব ইনকাম আসত ইয়াজদানির হাতে, সেখান থেকে মিনিস্টার । ইয়াজদানি ভাবলেন, সবকিছু ক্রমশ শরফুলের একক হাতে চলে যাওয়ায় যেকোন সময় সে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে । এই আশঙ্কায় তিনি মাঠে নামান উদীয়মান যুবনেতা ইসমাইলকে । কিন্তু ইসমাইল এখন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে সবকিছু একাই গিলে খাওয়া শুরু করেছে । মিনিস্টার সাহেবের সাথে নাকি সে আলাদা রফাও করে ফেলেছে ।
অনিয়মিত হলেও ইয়াজদানি সাহেব ক্লাবে আসেন । তিনি চান না, তার রাজত্ব হারানোর ব্যাপারটা প্রচার পাক । প্রশাসন-পুলিশের সাথে তিনি সখ্যতা বজায় রেখে যাচ্ছেন । ইতিমধ্যে খবর এল, শরফুলের ক্যাডার বাহিনীর একটা বড় অংশ ইসমাইলের সাথে যোগ দিয়েছে । যুবনেতা ইসমাইল আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় মিনিস্টার সাহেব উপস্থিত হয়েছেন । মাননীয় মিনিস্টার এই প্রথমবার শহরে এসেও ইয়াজদানি সাহেবের সাথে কোন পরামর্শ করার প্রয়োজন বোধ করেন নি ।
ছয়
কিছুদিন ধরে ইয়াজদানি সাহেবকে ক্লাবে দেখা যাচ্ছে না । উনার রাজনৈতিক কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকা হয়ে গেছে ভেবে আমাদের আলোচনার গতি নতুন নতুন বিষয়ে মোড় নিয়েছে । আর এই অবস্থায় সাময়িক বিরতি কাটিয়ে তিনি আবার আমাদের মাঝে ফিরে এলেন । কিন্তু উনার অভিব্যক্তিতে কোন পরিবর্তন চোখে পড়ছে না, রাজ্যপাট হারানোর কোন চিহ্ন বা বেদনাও দৃশ্যমান নয় । শুধু বদল হয়েছে পার্টনার ।
ডিসি-নর্থ সাহেব বা নির্বাহি প্রকৌশলী কেউই ইদানিং ক্লাবে আসছেন না । ইয়াজদানি সাহেবের খেলার পার্টনার এখন অবসরপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল আব্দুল হাই সাহেব । তিনি এই শহরেরই মানুষ । এক সময় বাংলাদেশে ডাকবিভাগের দোর্দন্ড প্রতাপ ছিল, আর কৌশলী পরামর্শদাতা হিসাবে স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে হাই সাহেবের ছিল বিশেষ গুরুত্ব । সময়ের প্রয়োজনে ডাকবিভাগ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ার সাথে সাথে বুড়িয়ে যাওয়া হাই সাহেবের কথাও সবাই এক সময় ভুলে গিয়েছিল । কিন্তু তাকে একজন মানুষ ভুলেন নি, ইয়াজদানি সাহেব । এই দুঃসময়ে ঘাগু ইয়াজদানি নির্ভর করেছেন এই অভিজ্ঞ প্রাক্তন খেলোয়ারের উপর ।
ব্রিজ খেলার বিরতিতে হাই সাহেব স্থানীয় একটি পত্রিকা মেলে ধরলেন । প্রথম পাতায় ঝকঝকে ছাপা ছবি, শহরে মিনিস্টার সাহেবের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন । মিনিস্টার সাহেবের পেছনে হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে আছে ইসমাইল আর শরফুল । সবার মুখই হাসি হাসি । হাসি হাসি ইয়াজদানি আর হাই সাহেবের মুখও । ফারুক ভাই তার অনুমান জানিয়ে দিলেন, শরফুলকে ইসমাইলের সাথে ভিড়িয়ে দেয়ার চালটা ইয়াজদানি সাহেবের ।
ক্লাবে একদিন সবাই খেলায় ব্যস্ত । সেখানে ঘুরতে এলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি, দুজন সাংবাদিক সাথে নিয়ে । সবার সাথে হাত মিলিয়ে খোশ গল্প করে শেষে এলেন আমাদের টেবিলে । আমাদের সাথে সৌজন্যমুলক টুকটাক কথা বলে নিচে নেমে গেলেন । কিছুক্ষন পর হাই সাহেবকে সাথে নিয়ে ইয়াজদানিও নিচে নামলেন । ফারুক ভাইয়ের অনুসন্ধানী চোখ আন্দাজ করে নিল, নিচতলার বারে এখন হুইস্কির চুমুকে চুমুকে জটিল ব্লু-প্রিন্ট আঁকা হচ্ছে । মুখে বললেন, 'লোকাল পেপারে একটু চোখ রেখ' !
ফারুক ভাইয়ের আন্দাজ যে ভুল ছিল না, তা দুদিন পরেই বোঝা গেল । স্থানীয় পত্রিকায় ইসমাইলের দখলবাজি-চাঁদাবাজি নিয়ে বিশাল প্রতিবেদন এসেছে । সকালেই ইসমাইল খবর পেয়ে যায়, তার লোকজন হকারের কাছ থেকে সব পত্রিকা ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয় । রাত্রে তার ক্যাডার বাহিনী ঐ পত্রিকা অফিসে হামলা করে । অফিস ভাংচুরের পাশাপাশি কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিককে মারধর করা হয় । রাতেই পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । সাংবাদিক ইউনিয়ন ঘটনার প্রতিবাদের পরেরদিন মানববন্ধন আহবান করে । মানববন্ধন না করতে ইসমাইলের ক্যাডাররা কড়া হুমকী দিয়ে যায় । খবরটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে । স্থানীয় পত্রিকার পাশাপাশি জাতীয় পত্রিকাগুলোও ফলাও করে এই খবর ছাপে এবং 'মিনিস্টারের ছত্রছায়ায় ইসমাইলের চাঁদাবাজি-দখলবাজি' নিয়ে সিরিজ রিপোর্ট করে ।
সাত
ডিল শুরু করব, কিন্তু ইয়াজদানি সাহেব এখনো এসে পৌছান নি । ফারুক ভাই কার্ডে অনবরত শাপল দিয়ে যাচ্ছেন, আর দুজনেই হাই সাহেবের সার্ভিস লাইফের গল্প শুনছি । হাই সাহেবের কথা শুনতে ভালই লাগছে । পাকি পিরিয়ডে পাঞ্জাবী আর বিহারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রিক্স করে তিনি কিভাবে ডাকবিভাগে বুক ফুলিয়ে চাকরি করতেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন বেলুচ মেজরের সহায়তায় কিভাবে তার প্রাণ রক্ষা হয়েছিল- ইত্যাদি ইত্যাদি । এমন সময় ইয়াজদানি সাহেব ক্লাবে এসে পৌছলেন ।
এমনিতে সব সময় ইয়াজদানি সাহেব ফতুয়া-পাজামা পড়েন । ফতুয়ার উপর একটা সুন্দর কাশ্মিরি শাল ভাঁজ করা থাকে । আজকে উনি স্যুট-কোট-টাই পড়ে এসেছেন । কোটের পকেটে একটা লাল রেশমী রুমাল ত্রিভুজ আকৃতি নিয়ে উঁকি দিচ্ছে । দীর্ঘদেহি উজ্বল ফর্সা রঙের ইয়াজদানি সাহেবকে পার্টি ড্রেস ক্লাবের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছে । সবার দৃষ্টি উনার হাসি খুশি মুখের উপর ।
ইয়াজদানি সাহেব প্রসন্ন চিত্তে কয়েক ডিল তাস খেলে উঠে পড়লেন । উনার কোন এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় একটা পারিবারিক অনুষ্টানে যোগ দিবেন । পোস্টমাস্টার সাহেব ইয়াজদানির দিকে চোখ তুলে কন্ঠস্বর নামিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, গাড়ি এনেছ ? ইয়াজদানি মাথা নেড়ে বললেন, 'কাছেই প্রোগ্রাম রিক্সা নিয়ে যাব' বলেই প্রস্থান করেন । আমি ভাবলাম পোস্টমাস্টার সাহেবের লিফট দরকার হয়ত । উনাকে গাড়ি দিয়ে পৌছে দেয়ার কথা বলতেই নিঃশব্দে হাসলেন । 'আমি গাড়ি নিয়ে এসেছি' বলে কিছুক্ষন পর তিনিও উঠে চলে গেলেন ।
সে রাতে আমারও বাসায় কিছু জরুরি কাজ ছিল । তাই তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরেছি । রাত এগারটায় ফারুক ভাই ফোন দিয়ে বললেন কিছু শুনেছি কি না ! আমি বললাম কি ব্যাপারে ? তিনি ঠান্ডা গলায় বললেন, 'ইসমাইল ডেড! সামওয়ান শুট হিম ফ্রম ট্রিগার পয়েন্ট' !!
আট
শহর কয়েকদিন টালমাটাল অবস্থায় আছে । ইসমাইলকে কে খুন করতে পারে, তা কেউ ধারণা করতে পারছে না । শরফুল তার সাথে হাত মেলানোর পর প্রকাশ্যে ইসমাইলের শত্রুতা করার মত কেউ এই শহরে ছিল না । আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং পুরো শহরবাসি কেউই কিছু সাসপেক্ট করতে পারছে না । স্থানীয়-জাতীয় পত্রিকা আর টিভি মিডিয়া এটা নিয়ে কয়েকদিন গরম নিউজ রিপোর্ট করে । তারপর আস্তে আস্তে এই ইস্যু মিইয়ে যেতে যেতে এক সময় সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে ।
এর মধ্যে একটা সুসংবাদ এল । ফারুক ভাই পদোন্নতি পেয়েছেন । একটা জেলায় প্রশাসক হিসাবে খুব শীঘ্র তিনি যোগ দিবেন । তার ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি ক্লাব থেকেও একটা বিদায় সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে । চমৎকার একটা বছর ফারুক ভাইয়ের সান্নিধ্যে কাটিয়েছি, তাই আমার মনটা ছিল খুবই খারাপ । বিদায় কালে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়েই একান্তে ফারুক ভাইকে বললাম, 'বস প্লীজ সে, হোয়াট এবাউট লাস্ট মিস্ট্রি' ??
ফারুক ভাই আমার কাঁধে হাত রেখে রহস্যময় হাসি দিয়ে বললেন, 'ইসমাইলের ব্যাপারে জানতে চাইছ তো! তোমাকে ট্রাস্ট করি । তোমাকে যা বলব, নিজের সেফটি'র কথা ভেবেই তা নিজের কাছে রেখো' !!
ফারুক ভাই যা বললেন তার সারমর্ম এরকম, রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আর মিনিস্টারের ট্রাস্ট হারিয়েও ইয়াজদানির তেমন কোন ক্ষতি হয় নি । কিন্তু যেদিন অদৃশ্য মাদক সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণও ইসমাইলের হাতে চলে যায়, সেদিন ইয়াজদানির দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় । পোস্ট মাস্টারের পরামর্শে তাই ইসমাইলকে সরিয়ে দেয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । কিন্তু ইসমাইলকে শুট করার মত সাহসী কোন কিলার সে যোগার করতে পারেনি । আর তাছাড়া প্রফেশনাল কিলার এমনিতেই রিস্কি, ধরা পড়ে গেলে হড়হড় করে সবার নাম বলে দেয় ।
কেউ যেন সন্দেহ করতে না পারে, সেজন্য ঐদিন ইয়াজদানি তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় এক প্রোগরামের আয়োজন করে । গাড়ি ব্যবহার করলে নাম্বারপ্লেট নিয়ে সমস্যা হতে পারে, তাই সে তার ছদ্মবেশি বডিগার্ডের রিক্সায় চড়ে রওয়ানা দেয় । একটা গোপন ডিল নিয়ে কথা বলার জন্য ইসমাইলের সেখানে আসার কথা ছিল । এলাকাটা ছিল ইসমাইলের ক্যাডার বাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রনে, তাই নিরাপত্তা নিয়ে সে কোন শঙ্কা বোধ করেনি । কিংবা ইয়াজদানিকে নিয়ে সে হয়ত শঙ্কিত ছিল না । আর সেখানেই ইয়াজদানি পয়েন্ট বোরের সাইলেন্সর পিস্তল ইসমাইলের মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে । কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ইয়াজদানি তার আত্মীয়ের বাসার প্রোগরামে এটেন্ড করে ।
পুরো ঘটনা শুনে আমি চোখ বড় বড় করে ফারুক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছি । আমার মুখ থেকে অস্ফুট একটা শব্দ বেরুল, পুলিশ! পুলিশের তদন্ত!
ফারুক ভাই হেসে দিয়ে বললেন, 'এটাও বুঝ না! ইসমাইলের ডেড বডির কোন মুল্য নেই, মিনিস্টার-রাজনৈতিক নেতা-ক্যাডার-কর্মী কারো কাছে । তবু মিনিস্টার করুণা করে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসমাইলের খুনি যেই হোক, তাকে ধরে আইনের হাতে তুলে দেয়ার । আর পুলিশ নিয়ম মাফিক তদন্ত করতে গিয়ে কোন ক্লু বের করতে পারেনি । ইসমাইলের পরিবার থেকেও চাপ দেয়ার কেউ নেই । সো, ঘটনা এখানেই শেষ' !!
আমি কিছুই বললাম না । আমার কিছু বলারও নেই । শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম আমার কন্ট্রাক্ট ব্রীজ পার্টনারের মুখের দিকে ।
---------------সমাপ্ত----------------
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন ।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আগে লাইক দিলাম। পড়ার পর ভাল না লাগলে খবর আছে। অসাধ্য সাধন করা লাগবে। লা্ইক ফেরত চাইবো
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: লাইক টুথপেস্টের মত । একবার বের করলে আর ভিতরে রাখা যায় না
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ,
বেশ বড় হলেও ডিটেলসটা ভালো লেগেছে ।
উপরতলার মানুষ আর তাদের ধান্দার কার্ড সাফলিং আর ট্রাম্প কার্ড ছোঁড়া , এই রকমটাই হয় রাজনীতি আর ধান্দাবাজীতে ।
এজাতীয় খেলায় জিততে হলে ভালো এবং নির্ভরশীল একজন পার্টনার লাগেই ।
এটা মনে হয় ডার্ক ষ্টোরী নয় । রাজনীতিতে এটাকেই বলে " হোয়াইট" করে নেয়া ......
শুভেচ্ছান্তে ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: উপরতলার মানুষ আর তাদের ধান্দার কার্ড সাফলিং আর ট্রাম্প কার্ড ছোঁড়া , এই রকমটাই হয় রাজনীতি আর ধান্দাবাজীতে ।
এজাতীয় খেলায় জিততে হলে ভালো এবং নির্ভরশীল একজন পার্টনার লাগেই ।
গল্পের কী চমৎকার বিশ্লেষণ !! আমি খেয়াল করেছি, একটা পোস্ট কখনোই সমৃদ্ধ হয় না যদি বিশ্লেষণী মন্তব্য না আসে ।
আপনার মন্তব্য গল্পের স্পিরিট আর ম্যাসেজ দারুণ ভাবে তুলে ধরেছে । এই মন্তব্য পড়ে অনেক পাঠকই গল্পের মুল ভাব ধরতে পারবে ।
শুভকামনা এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই ।
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যাক টেবিল টেনিস ভালই খেলেছেন বোধ হয় স্ক্রর এক্সপার্ট ছিলাম আপনার সঙ্গে টিটি খেরার শখ জাগছে। আমার আছে ব্যাডমিন্টন্ দ্বৈ তে এক দৈত্য বধ করার কাহিনী। খেলাধূলা আর রাজনীতির গল্পকথায় ভাল একটা বিষয়ের অবতারণা করলেন। রাজনীতিকে ঘৃণা করলে কি হবে? রাজনীতির মধ্যে ই আমাদের বাস। আজও বঙ্গবন্ধু ,প্রেসিডেন্ট জিয়া তার জনপ্রিয়তায় শীর্ষে। ভাল লেগেছে তা ই লাইক আপনার কাছেই থাক।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: ভাল লাগল আপনার কমেন্ট, সেলিম ভাই । কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা হোস্টেল-হলে থেকেছে তাদের প্রায় সবাই কোন না কোন ইনডোর গেমস খেলেছে । আপনার ব্যাডমিন্টন দ্বৈতে দৈত্যবধের গল্প শোনার ইচ্ছা রইল ।
লাইক ফিরিয়ে না নেয়ায় অশেষ ধন্যবাদ ।
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুন বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পের মধ্যে দিয়ে নোংরা রাজনীতির রূপখানি তুলে ধরায় ।বিশেষ করে ঢাকার বাইরে শহরগুলোতে এ ধরনের খেলার আড়ালে চলে এটা প্রবলভাবে ।
+
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আমার লেখা গল্প জুনাপু'র ভাল লেগেছি, গল্পে জুনাপু'র প্লাস পেয়েছি- আর কি চাই...
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা আপু ।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ,
বেশ বড় হলেও ডিটেলসটা ভালো লেগেছে ।
উপরতলার মানুষ আর তাদের ধান্দার কার্ড সাফলিং আর ট্রাম্প কার্ড ছোঁড়া , এই রকমটাই হয় রাজনীতি আর ধান্দাবাজীতে ।
এজাতীয় খেলায় জিততে হলে ভালো এবং নির্ভরশীল একজন পার্টনার লাগেই ।
এটা মনে হয় ডার্ক ষ্টোরী নয় । রাজনীতিতে এটাকেই বলে " হোয়াইট" করে নেয়া ......
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী মামুনহোসেন ।
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: তাড়াহুড়া করে পোস্ট দিয়েছি । একটু পরেই চট্টগ্রামের ট্রেনে উঠব । মন্তব্যের উত্তর দিতে সাময়িক বিলম্ব হবে । এ জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ।
আশাকরি আগামিকাল দুপুরের আগে লগইন হতে পারব ।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন:
৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৯
সেয়ানা বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে রাখলাম। পরে পুরোটা পড়ে নিব। যত টুকু পড়েছি তাতে গল্পের কাহিনিতে গতি ও লেখনীতে সাবলীলতা চোখে পড়ার মত।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
স্বাগতম, আমার ব্লগ বাড়িতে
৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৮
কয়েস সামী বলেছেন: ভাল লাগল।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩২
সায়েম মুন বলেছেন: কন্ট্রাক্ট ব্রীজ এর খেলার মধ্য দিয়ে রাজনীতির আর এক খেলার কথা জানা হলো। ওয়েল ডান। শেষ পর্যন্ত পড়তে পেরেছি আপনার লেখনি গুনে।
ব্রীজের ক্ষেত্রে শব্দটা ডিল হওয়ার কথা। অনেক জায়গায় ড্রিল দেখলাম।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সায়েম মুন ভাই ।
ব্লগিং এর মজাই এখানে । আমরা জেনে বা না জেনে যে বানান ভুলগুলো করি, একটু ধরিয়ে দিলেই সেটা আমাদের শেখা হয়ে যায় । ঠিক করে দিয়েছি
১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কিছু বলার নেই। এক কথায় চমৎকার। এত সুন্দর করে ঘটনার বর্ণনা যে সামনে এগিয়ে না যেয়ে উপায় নেই। বলা যায় এক নিশ্বাসে পড়লাম।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সজীব ভাই ।
আপনার কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে ভাল লাগছে ।
১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মামুন ভাই, দারুণ গল্প। ইয়াজদানি আসার পর থেকেই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সে। পরিণতিটা কী হয় এটা জানার আগ্রহই পাঠককে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।
রাজনীতির অনেক নোংরা বিষয় তুলে এনেছেন নিপুণ হাতে।
ধন্যবাদ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম ।
হ্যাঁ, ইয়াজদানি আসার পরেই গল্পের মুল উত্তেজনা শুরু হয় । এর আগের অংশটুকু ভূমিকা মাত্র । তবে ভূমিকাটা না থাকলে গল্প পূর্নতা পেত না ।
১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: রাজনীতির মাঠ হলো মাফিয়াদের সবচেয়ে বড় বিচরণক্ষেত্র। কয়েকদিন আগে গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর মুভিটায় দেখলাম খুন টুন করতে চাইলে মানুষ ভাড়া না করে নিজেরাই করে আসে। এখানেও সেই ব্যাপার। এতে হয়তোবা শৌর্যের প্রকাশ পায়! চমৎকার লাগলো গল্পের ডিটেইলিং। তবে ব্রিজ খেলা আমি বুঝিনা। বুঝলে হয়তো আরো উপভোগ করতে পারতাম!
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর দেখি নাই । ৯৫ সালের দিকে খুলনার একজন সাবেক মেয়রকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে খুনি তিন ভাই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেয় আমাদের হলে । বড় ভাই ৮৮ সালে একবার জাসদ থেকে এমপি ইলেকশনও করেছিল । আমার সাথে বড় ভাইয়ের বেশ খাতির হয়ে গিয়েছিল । মেয়র হত্যায় তিনি সরাসরি স্পটে ছিলেন না । তবে এর আগে তিনি নিজ হাতে বেশ কয়েকটা খুন করেছেন, আর ঐ খুনগুলো করার সময় নাকি তিনি স্যুট-কোট পড়ে রিক্সা নিয়ে একা একা স্পটে যেতেন । গল্পগুলো তিনি আমার কাছে একান্তে বলেছিলেন । খুনের গল্প বলার সময় উনার চোখে আমি এক পৈচাশিক আনন্দ খেলা করতে দেখতাম, আমি এটা কোনদিন ভুলতে পারব না ।
গল্প ভাল লাগায় ধন্যবাদ হামা ভাই ।
ব্রীজ খেলাটা মুলত ক্লাব কেন্দ্রিক । অফিসার্স ক্লাব এবং ইউনিভার্সিটি ক্লাব আর হলগুলোতে এটা ব্যাপক খেলা হয় । আমি দুইদিন আগে ফেবুতে কন্ট্রাক্ট ব্রীজ নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, অলরেডি সাস্ট ক্লাব থেকে খেলার দাওয়াত পাইছি
১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩
এরিস বলেছেন: অনেকগুলো বর্ণনা আমার বুঝার বাইরে থেকে গেছে। তাই গল্পের সবটুকু স্বাদ নিতে পারিনি।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: ঠিক আছে বুঝলাম, কন্ট্রাক্ট ব্রীজের বর্ণনা মাথার উপর দিয়ে গেছে । কিন্তু আপনি কি জানেন, এই গল্প লেখার পেছনে আপনার অবদানও কম নয়..
বুঝিয়ে বলছি । গত বন্ধু দিবসে আমার তাস খেলার বন্ধুদের জন্য প্রাণটা হঠাৎ উতলা হয়ে গেল । বন্ধু সবুজ, কানা শামীম, ফারুক ভাই এদের কথা উল্লেখ করে ফেবুতে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই মনে আছে । সেই স্ট্যাটাসে আপনি আর একজন আরমান এসে ২৯ খেলার কথা বললেন । তখনই ভাবলাম কন্ট্রাক্ট ব্রীজ খেলার নিয়ম-রীতি নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে দেই ।
ইদানিং একটা সমস্যায় ভুগছি, যা ই লিখতে চাই গল্পের মত হয়ে যায় । আমার আইস কুল ম্যাংগো ডেসার্ট বানানোর গল্পটার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে । একই ভাবে কন্ট্রাক্ট ব্রীজ খেলার নিয়ম নিয়ে লিখতে গিয়ে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলেছি ।
আপনার আর 'একজন আরমান' এর প্রতি তাই কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখলাম
চার নাম্বার প্যারা অর্থাৎ গল্পে ইয়াজদানির আগমনের পর থেকে গল্পটা আবার পড়েন, দেখবেন পুরো স্বাদই পাবেন ।
১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কার্ড খেলা আমার মাথার ওপর দিয়ে যায়। কিন্তু গল্পের প্রবাহে মুগ্ধ হয়েছি। ভালো লেগেছে খুব!
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: এটা আমার সীমাবদ্ধতা যে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম গল্পটা অন্ধকার জগতের, তাস খেলার নয় । কন্ট্রাক্ট ব্রীজের মত জটিল জিনিস বোঝাতে গিয়ে পাঠকের মনোযোগ নষ্ট করেছি । এখন বুঝতে পারছি, গল্পে তাস খেলার অংশটা আরো সহজ ভাবে এবং গৌণ করে লিখলে গল্পটা বেশি গ্রহনযোগ্য হত ।
তার পরেও প্রোফেসর সাহেবের গল্প ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা ।
১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
আম্মানসুরা বলেছেন: তাস খেলার 'ত' ও বুঝিনা তাই খেলা সংশ্লিষ্ট একটা বাক্যও বুঝি নাই । তবে সমাজের অন্ধকার দিক টি ভালভাবে তুলে ধরেছেন। এই বিষয়ে আমার কোন ধারনা ছিল না, আজ কিছুটা ধারনা পেলাম। পোস্টে প্লাস।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আম্মানসুরা ।
গল্প ভাল লাগায় আর প্লাস দেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০২
সাইফুল ইসলাম নিপু বলেছেন: অসাধারণ
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফুল ইসলাম নিপু
১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ডার্ক , রিয়েল ডার্ক ! এমনি হয় বোধ হয় বাস্তবেও , সুন্দর পোষাকের আড়ালে কুটিল রাজনীতির প্রভাব ধরে রাখতে কত কিছুই না করতে হয় ! আপনার বর্ণনা নিখুত হয়েছে , ডিনার করতে করতে শেষ করলাম একটানে , ডিনার ও শেষ , গল্প ও শেষ ! তবে গল্প একটু বড় হওয়াতে বেশী খেয়ে ফেলেছি মনে হচ্ছে !
কন্ট্রাক্ট ব্রীজ , ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ খেলা কয়টা খেলিনি কখনো তাই বুঝি ও না , গল্পের ঐ অংশটা পীড়া দিয়েছে ! আপনার কাছ থেকে শিখতে হবে !
শুভকামনা শ্রদ্ধেয় মামুন ভাই !
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় স্বপ্নবাজ অভি ।
ডিনারটা যদি বাসায় করে থাকেন তাহলে খালাম্মা নিঃসন্দেহে আপনার উপর খুব খুশি হয়েছেন । প্রথমত ছেলের পড়াশোনায় মনোযোগীতা দেখে । খাবার টেবিলেও ছেলে পড়াশোনা করে । আর দ্বিতীয়ত ছেলের খাবারেও রুচি ফিরেছে । খাবার নিয়েও আর চাপাচাপি করা লাগেনা, নিজে নিজেই পেট পুরে খেয়ে নেয় ।
এরকম লক্ষী ছেলেটার জন্য নিশ্চয়ই তিনি ইতিমধ্যে লক্ষী একটা বউও খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন ।
১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অসাধারন! হলে কার্ড আর টিটি দুটাই খেলতাম। ভাল লাগল তাস খেলার বর্ননা। সামনে না থেকেও কি অবলিলায় গল্পের পরিবেশ ও কাহিনী ফুটিয়ে তুলেছেন! গ্রেট।
অনেক দিন পর ব্লগে এসে বেশ কয়েকজন দূর্দান্ত গল্প লেখক পেয়ে গেলাম। সামনে কয়েকমাস ব্যস্ত থাকা যাবে। চালিয়ে যান।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথমত আপনাকে স্বাগতম, আমার ব্লগ বাড়িতে ।
হল জীবনের টিটি তাস খেলা এমনকি টিভি দেখার স্মৃতিও খুব মজার আর আনন্দের । আমরা আরও আনন্দিত, আপনার মত একজন গল্পকার ব্লগারকে ব্লগে ফিরে পেয়ে ।
শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন
২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন।
রাজনৈতিক খেল বুঝা দুষ্কর, যতটা জানছি ভয়াবহ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কবি, ছোট্ট কিন্তু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ।
২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: কার্ড খেলা বুঝি না।
গল্পের ফ্লো ভালো লেগেছে। প্লাস!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে এতেই খুশি । কার্ড খেলা না বুঝলে ক্ষতি নেই ।
শুভকামনা সতত
২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৪
ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পের নামকরণের স্বার্থকতা পরিপূর্ন হয়েছে। রাজনীতির চাল খুব ভয়ংকর।এটা সমাজের একটি অন্ধকার দিক ......
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি ভিয়েনাস ।
সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পাই ।
শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা
২৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২১
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা।রাজনীতি আর তাসের চাল দারুণ মিলিয়েছেন।জাস্ট ওয়াও।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে এত্তগুলা ওয়াও..
ভাল থাকবেন । শুভ কামনা
২৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ডিটেইলিং টা বেশ লাগলো - টেলিফিল্মের জন্য একটা নাইস গপ!
চিত্রনাট্য লেইখ্যা ফালান
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৫
মামুন রশিদ বলেছেন: গপ বালা পাইছেন হুইন্না আমারও বালা লাগের
চিত্রনাট্য কিভাবে লিখতে হয় জানি না ভাই । তবে এভাবে আপনাদের শুভকামনা পেতে থাকলে বলা যায় না, হয়ত আমিও একদিন..
আপনার জন্য এত্তগুলা ভাললাগা
২৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পের শিরোনাম পড়ে অন্যকিছুই ভেবেছিলাম গল্প পড়ে মনে হল না শিরোনাম সার্থক হয়েছে।
+++++++ রইল
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কান্ডারী ভাই ।
অনুসন্ধিৎসু মন জানতে উৎসুক, গল্পের শিরোনাম পড়ে আপনার প্রাথমিক ভাবনাটুকু ।
যাক শেষ পর্যন্ত আপনার বিচারে গল্পের শিরোনাম স্বার্থক হওয়ায় উৎরে যাওয়ার আনন্দটুকু পাচ্ছি ।
প্লাসের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ।
ভাল থাকবেন । শুভকামনা ।
২৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
জটিল
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: তাই ? হাহাহা,
অনেকদিন পর পেলাম । কেমন আছেন ?
শুভকামনা ।
২৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
সোমহেপি বলেছেন: তাস খেলাই বুঝি না।
কিন্ত্ত গল্প পড় মজা পেলাম।টানটান একটা ভাব ছিলো।অভিজাত পাড়ার ডার্ক স্টোরি।অনেক ভালো লাগা।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পড়ে ভাল লেগেছে, এটাই আমার ভাললাগা । তাস খেলা না বুঝলেও ক্ষতি নেই । আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভাল লাগছে । আপনার অস্থির গল্পটা পড়ে খুব ভাল লেগেছিল । ভালো থাকবেন ।
শুভ কামনা ।
২৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা লেখা!! খুব চমৎকার। আপনি জানেন মামুন ভাই, আমি খুব একটা বড় মন্তব্য করতে পারি না। মন্তব্য করার ব্যাপারে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। গল্প পড়ে ভালো লাগলেই আমি আমার সেই চিরায়ত ডায়লগে চলে যাই, বাহ! চমৎকার , কিংবা বাহ! অসাধারন। এটাকে আমার সীমাবদ্ধতা হিসেবে দেখবেন।
যারা কার্ড খেলা বুঝেন না, তাদের জন্য গল্পের মূল মজাটা পেতে কিছুটা কষ্ট হবে। রাজনীতি আর তাসের চালের দারুন একটা সমন্বয়।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কাল্পনিক_ভালোবাসা,
যারা কার্ড খেলাটা বুঝে না তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে গল্পের চার নাম্বার প্যারা অর্থাৎ ইয়াজদানি সাহেবের আগমনের পর হতে গল্পটি পূনরায় পাঠ করার । আশাকরি গল্পের পুরো মজাই তারা পাবেন ।
কতটুকু বড় মন্তব্য পেলাম, এটা আমার কাছে কিছু নয় । মন্তব্যে মন্তব্যকারীর আবেগ আর ভালোবাসা-ভালোলাগাই আসলে মুখ্য । যেমন আপনি যখন লিখেন বাহ! চমৎকার! অথবা বাহ! অসাধারণ!.. আপনাকে যারা কাছে থেকে চিনে তারা কিন্তু ঠিকই আপনার হৃদয়ের উষ্ণতা অনুভব করে নেয় ।
তবে সাথে পোস্ট নিয়ে একটু বিশ্লেষণ থাকলে লেখকের উপকার হয়- এটাতো আপনি জানেন ।
ভালো থাকবেন ভাই । শুভকামনা নিরন্তর ।
২৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
বোকামন বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাইজান,
জাস্ট ফ্যান্টাসটিক ! ডার্ক স্টোরি হিসেবে প্লট প্লেয়িং খুব ভালো হয়েছে। যথেষ্ট ডিটেয়েলিং ছিলো বাট ! পাঠক ডিসট্রাকটেড হবে না আপনার লেখনীর গুনে।
কার্ড খেলার বর্ননাও গোলমেলে হয়নি ! আপনি এই খেলায় বেশ দক্ষ বুঝতে পারছি। আপনার গল্পগুলো মাটিঘেষা হয় ... বর্তমান সমাজব্যবস্থার অন্ধকার চিত্রগুলো ভেসে উঠে। সাধুবাদ জানাই :-)
[সবই একজন অতি সাধারণ পাঠকের মতামত মাত্র]
ভালো থাকুন সবসময় :-)
শুভেচ্ছা
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
মামুন রশিদ বলেছেন: এত সুন্দর এত মনোহর মন্তব্য পেলে কার না ভাল লাগবে বলুন !! সত্যিই আমি আনন্দিত, উচ্ছাসিত ।
আমি অনেক কার্ড খেলেছি । আর ভৌগোলিক ভাবে ভাটি এলাকার লোকজন তাস বেশি খেলে । বছরের প্রায় পাঁচ মাস সবকিছু পানির নিচে ডুবে থাকে, ভিটে ছাড়া । এই সময়টা এই এলাকার লোকজন মুলত তাস খেলেই সময় কাটায় । নৌকা নিয়ে হাওড়ের কৈবর্ত পল্লীতে ঘুরে ঘুরে দেখেছি, সারা গ্রামে হয়ত একজন শিক্ষিত মানুষই আছে যে ব্রীজ খেলার পয়েন্ট কাগজে লিখতে পারে । পাঁচ-ছয়টা গ্রুপে খেলা চলছে, আর ঐ একজনই ঘুরে ঘুরে সবার স্কোর লিখে দিচ্ছে ।
বানিয়াচঙ্গ, আজমিরিগঞ্জ, জলসুখা, কাকাইলছেও, পাহাড়পুর, মার্কুলি, ইনাতগঞ্জ, জগদল, দিরাই, শাল্লা, ইটনা- ভাটি এলাকার এইসব জনপদে প্রতি বর্ষায় বার্ষিক অকশন ব্রীজ প্রতিযোগিতা হয় । একেকটা কমপিটিশনে শতাধিক দল অংশগ্রহন করে । প্রতিযোগীতায় বিজয়ী দলেরা রঙিন টিভি, বাইসাইকেল, রেডিও, টর্চলাইট ইত্যাদি পুরষ্কার হিসাবে পায় ।
অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে ।
শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় বোকামন ।
৩০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
শ্যামল জাহির বলেছেন: শিরোনাম দেখে শিখার আগ্রহে পড়তে গিয়ে খেলার মাঝে আরেক খেলার সন্ধান পেলাম। কন্ট্রাক্ট ব্রীজ আর শিখতে চাইনা আমি!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, আপনার মন্তব্য পড়ে মজা পেলাম ।
ব্রীজ খেলাটা আসলেই মজার । শিখতে পারেন । ভাল ভাল মানুষদের সাথে খেলবেন, তাহলে কোন সমস্যায় পড়বেন না ।
ভালো থাকবেন
৩১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো লাগল!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ টুম্পা মনি ।
৩২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: গল্পে প্লাস। রাজনৈতিক অন্ধকার জগত চমৎকার ভাবে ব্যখা করেছেন। লেখাটাও সাবলীল।
কার্ড আমি খেলতে পারিনা
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তন্দ্রা বিলাস ।
গল্প ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল । কার্ড খেলা না জানলেও ক্ষতি নেই ।
ভালো থাকবেন
৩৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
কন্ট্রাক্ট ব্রীজ খেলাটা একটু আধটু বুঝি। ক্যাম্পাসে কিছু বড়ভাইয়ের খেলতে দেখতাম। রাবারের হিসেব কীভাবে করে সেটা নিয়ে একটু কনফিউজড আমি। এটা কি কল পেয়ে গেম পেলে হিসাবে আসে নাকি কল না পেলেও সম্ভব সেটা বুঝিনা।
গল্পের আড়ালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, গ্যাংবাজি, সহ বেশ কিছু ডার্ক বিষয় সাহসিকতার সাথে তুলে এনেছেন, এই জন্য আপনার সাধুবাদ প্রাপ্য। অনেক দিন পরে এমন একটা গল্প পড়লাম। গ্যাংস অফ অয়াসিপুর ১ আর ২ দেখতে পারেন। যদি ডার্ক স্টোরি সামনে আরও কিছু লিখতে চান, চিন্তার কিছু খোঁড়াক পাবেন।
শুভকামনা মামুন ভাই। ভাল থাকুন
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নাজিম-উদ-দৌলা ।
কোন একটা পক্ষে দুটো গেম হয়ে গেলে রাবার হয় । অকশনে রাবার পয়েন্ট ২৫০ আর কন্ট্রাক্টে ৭৫০ । এক পক্ষ রাবার পেলে প্রতিপক্ষের আগের করা গেম নষ্ট হয়ে যায় । আর গেম পেতে হলে অবশ্যই কল পেতে হবে ।
আসলে গল্পটা রাজনৈতিক আর মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের পেছনে অন্ধকারের শক্তির খেলা নিয়ে লেখা । কন্ট্রাক্ট ব্রীজ খেলাটা একটা উপলক্ষ মাত্র কিংবা একটা সুড়ঙ্গ মুখ । পর্দার এপাশ থেকে এই সুড়ঙ্গ দিয়েই অন্ধকারের খেলাটা আমরা দেখতে পেরেছি ।
হাসান মাহবুব ভাইও গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর রিকমেন্ড করেছেন । মাথায় রইলো, প্রথম সুযোগেই মুভিটা দেখার চেষ্টা করব ।
গল্প পড়ে সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা সতত ।
৩৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক !
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০০
মামুন রশিদ বলেছেন:
৩৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক !
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: আইচ্ছা !
৩৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৯
ভিয়েনাস বলেছেন: আপনি সবার পোস্টে যত সুন্দর অনুপ্রেরনাদায়ক মন্তব্য করেন তেমন সুন্দর করে মন্তব্য আমি কখনই করতে পারবোনা। আপনার করা প্রতিটি পোস্টের মন্তব্য আমি মনোযোগসহকারে পড়ি। আবার যে পোস্ট পড়ে আমার কঠিন লাগে বা বুঝতে অসুবিধা হয় সেই পোস্টের মন্তব্য গুলোর মধ্যে আমি আপনার মন্তব্য খুঁজি , কিছু একটু বুঝার জন্য
আচ্ছা তাস খেলায় স্পেড টার্ম কে কি কন্টাক্ট ব্রীজ বলে??
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার পূণঃমন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ।
না, স্পেড টার্ম আলাদা খেলা ।
বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় কবি ।
৩৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৮
নিয়েল হিমু বলেছেন: রাজনৈতিক এক্সপেরিয়েন্স না থাকলে এইভাবে গল্প সাজাধো সম্ভব না
তবে গল্পের ডিটেল কিন্তু চমত্কার লিখেছেন ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: না না না নিয়েল, আমার কোন রাজনৈতিক এক্সপেরিয়েন্স নাই
তবে রাজনীতিবিদরা তো মানুষের আশেপাশেই বাস করেন, একটু খেয়াল করলেই তাদের গতিবিধি বোঝা যায় ।
গল্প ভালো লাগায় ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
৩৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
অদৃশ্য বলেছেন:
কালকে একবার এসেছিলাম, সাইজ দেখে বুঝলাম পরে এসে পড়ে যেতে হবে... যাক মিস করিনি
অনবদ্য একটি গল্প... যার শুরু থেকে শেষ কোথাও থামতে হয়নি... অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রতিটি অংশকে উপস্থাপন করলেন... যেখানে স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক দৃশ্যগুলো চমৎকারভাবেই ফুটে উঠেছে...
গল্পটা থেকে চমৎকার একটি টেলিফিল্ম হতে পারে... পরিচিত থাকলে পাঠিয়ে দিন...
আপনার লেখার হাত কিন্তু চমৎকার...
শুভকামনা...
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভাল লাগায় অশেষ ধন্যবাদ ।
না ভাই, মিডিয়ায় আমার কোন চেনা জানা নাই । গল্প হিসেবে লিখেছি, গল্প হয়েই থাক ।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে আনন্দিত হয়েছি ।
শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন..
৩৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্রীজ খেলার ব্যাপার কিছুই বুঝি না তাই আপনার পোস্টে একটু দেরীতেই উঁকি দিলাম, নাম দেখে ভাবছিলাম কার্ড খেলার ব্যাপার নিয়া বোধ হয় গল্প। তবে গল্প পড়ে বুঝলাম গল্প একটা উপলক্ষ্য মাত্র , মূল খেলা ইয়াজদানি সাহেবের আর তার সহকারি পোস্ট মাস্টারের। রাজনৈতিক এই চাল গুলো ছবিতেই দেখেছি , প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। ঠাণ্ডা মাথার মানুষ ইয়াজদানিকে ভালো লাগলো।
এক জায়গায় এখনো ড্রিল রয়ে গেছে মামুন ভাই
একটা গোপন ড্রিল নিয়ে কথা বলার জন্য ইসমাইলের সেখানে আসার কথা ছিল । > ডিল
গল্পে প্লাস। কবে যে আমি আরেকটা নয়া গল্প লিখতে পারুম ! দীর্ঘশ্বাসের ইমো হবে !
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় অপর্ণা ।
বারবার চেক করার পরও টাইপোগুলো কিভাবে যেন থেকে যায় । ঠিক করে দিচ্ছি..
আমারও একটা গ্যাপ যাবে । আমি সাধারণত মাসে একটা গল্পই লিখি । এ মাসে তিনটা গল্প অলরেডি পোস্ট দিয়েছি ।
সকল দীর্ঘশ্বাস ঘুচে যাক । গল্প এসে ধরা দিক গল্পকন্যা অপর্ণার হাতে ।
প্লাসের জন্য আবারও ধন্যবাদ ।
শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
৪০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ওহ দারুণ গ্ল্যামারস! এই কারণেই গ্যাংস্টার মুভিগুলো মানুষ এত পছন্দ করে। চমৎকার লিখেছেন। গ্যাংস অফ ওয়াসীপুর দেখলাম কিছুদিন আগে, দারুণ একটা মুভি।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ।
গ্যাংস অফ ওয়াসীপুর দেখিনি । অনেকেই রিকমেন্ড করেছেন । দেখার ইচ্ছে আছে শীঘ্রই ।
শুভকামনা আর কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু ।
৪১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্রিজ খেলা আমার অন্যতম নেশা। এজন্য লেখাটা আমাকে বিশেষভাবে টানছিল। এক পর্যায়ে এসে মনে হলো সাম্প্রতিক দুই নেতার হত্যাকাণ্ডের ছায়া অবলম্বনে লেখা গল্প এটি। আমার ধারনাটা সত্যও হতে পারে।
রাজনীতির নোংরা ও ভয়ংকর দিকটা অত্যন্ত সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরেছেন। গল্প নির্মাণে আপনার মুন্সিয়ানার প্রশংসা করি।
চমৎকার একটা গল্প।
শুভ কামনা মামুন ভাই।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি ।
রাজনীতির নোংরা ও ভয়ংকর দিকটা এই গল্পের মুল উপজীব্য । সাম্প্রতিক কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে এই গল্পটা লেখা হয় নি । কিন্তু রাজনীতিতে এই সব ঘটনা অহরহই ঘটে বলে আমরা অনুমান করি ।
গল্প ভাল লাগায় ভাল লাগছে । আপনার মন্তব্য আমার জন্য প্রেরণা এবং প্রনোদনা হিসাবে কাজ করবে ।
শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন কবি ।
৪২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: দেরীতে হলেও, ২৫ তম প্লাস!
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ভাল থাকবেন । শুভ কামনা ।
৪৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রথমে ভেবেছিলাম গল্পের ছলে কার্ড খেলা শেখা যাবে
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পটা তো কার্ড খেলা শেখার টিউটোরিাল । কন্ট্রাক্ট ব্রীজ খেলার বিস্তারিত নিয়মাবলী দেয়া আছে এখানে ।
আপনি শিখতে পারেন নি ??
৪৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ভালো লিখেছেন । বিশেষ করে ৮ নাম্বার পার্টটা +++++্
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কন ভাই ।
প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা ।
৪৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
মেহেরুন বলেছেন: লেখাটা অনেক বড় কিন্তু লিখেছেন চমৎকার। +++++++++্
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ।
ভালো থাকবেন
৪৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: তাস খেলতে তো পারি না...;(
তাই এর চেয়ে দুঃখের কোন গল্প নাই , আমার কাছে।গল্প পড়ে তাই কমেন্টাইতে লজ্জা পাইতাছি!!!!
তাই,গল্প অনেক আগে দেখলেও কমেন্টাই নাই!!!
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, তাস খেলা না জানাতে কোন ক্ষতি নাই । এটা একটা বাজে আসক্তি । তাই তাস খেলা না জানাটা কোনভাবেই দুঃখজনক নয় ।
গল্পটা অন্ধকার জগতকে ঘিরে, তাস খেলাটা এখানে একটা উপলক্ষ মাত্র । তাস খেলার জায়গায় ফুটবল, ক্রিকেট খেলা দিলেও গল্পটা একই থাকত ।
ভাল থাকবেন ফজলুল করিম ভাই । শুভকামনা
৪৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫২
রোমেন রুমি বলেছেন: খেলাটা আমি পারিনা ; টুয়ান্তি নাইন ছাড়া তাসের আর কোন খেলাই আমি জানিনা । তবে খেলার ছলে যে গল্প হল তা দুর্দান্ত ।
গল্পে
ভাল লাগা রইল মামুন ভাই ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রোমেন রুমি । সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম ।
ভাল থাকবেন । শুভকামনা ।
৪৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: রাত এখন তিনটা ।ঝকঝকে , সাবলীল , টানটান ও গতিময় একটা গল্প পড়ে ঘুমাতে কেমন লাগে জানেন আপনি মামুন ভাই ?
ভাষা ও ভঙ্গি দুটোই নজরকাড়া ।
পড়ার সময় আপ্নের প্রতি একটু হিংসাও হইছে ।
গল্পের আমি কে খুব ক্লোজ লেগেছে । ভাল লেগেছে বলার ওস্তাদি ঢং ।
মূলের শাঁস আহমেদ জী এস ভাই ই বলে দিয়েছেন ।
বেশ কিছুদিন বিরতি কাটিয়ে ফিরলাম ।
এর মধ্যেই কত পোস্ট চলে এসেছে !
আপনার বাদবাকি ২ টা গল্প পড়ে আপনার পোস্ট মরটেম করা যায় কিনা দেখি
ভাল থাকবেন প্রিয় মামুন ভাই
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: এরকম সুন্দর একটা মন্তব্য পড়ে যদি কারো দিন শুরু হয়, কার না ভাল লাগে বলেন । আপনার মন্তব্য মনটা ভাল করে দিল মাহমুদ ।
মাঝখানে কিছুদিন আপনাকে মিস করেছি । নিশ্চয়ই ভাল আছেন ।
অনেকদিন আপনার লেখা পাইনা । শীঘ্রই আপনার লেখা চাই ।
ভাল থাকবেন । শুভকামনা নিরন্তর
৪৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২১
নোমান নমি বলেছেন: কিছু গল্প আছে ঢুকে যাওয়া যায়। ঢুকে গেলে অর্ধেক পড়ে ফিরে আসা যায় না। আপনারটাও তেমন। প্রথম থেকে গল্পে ঢুকিয়ে ফেলেছেন। শুরুর ছন্দটা যেমন ছিলো শেষটা বোধহয় তাড়াহুড়ায় সামান্য ছন্দপতন ঘটেছে। তা ছাড়া একদম ঝরঝরে একটা গল্প।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পে নোমান নমি'র কমপ্লিমেন্ট- দারুণ ব্যাপার
অনুপ্রেরনাদায়ি..
থ্যান্কু ব্রো..
৫০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
আরজু পনি বলেছেন:
খুব ভালো লেগেছে যে, রাজনীতির নোংরাটাকে কতো দারুণভাবে লেখায় নিয়ে এলেন ।
টেবিল টেনিসের কথা পড়ে বেশ কিছু স্মৃতি সামনে চলে এলো ....
ধন্যবাদ মামুন সুন্দর একটা লেখা উপহার দেবার জন্যে ।।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনি টিটি খেলতেন নাকি ? গ্রেট..
ইউনি লাইফটা খেলায় খেলায় কেটেছে- টিটি, তাস, ক্যারাম, প্রেম..
ভাল লাগল পনিপু'র মন্তব্য পেয়ে । আপনাদের উৎসাহ নতুন নতুন লেখায় অনুপ্রেরণা যোগায় ।
থ্যান্কস...
৫১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ডার্ক সমচার ভালই লাগল
ভেরি ইন্টারেস্টিং
অসাধারন +
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: আধ্যাত্মিক বন্ধুর ফু (পিলাচ) পাইচি, এইবার মোরে চেলিব্রেটি হওয়া ঠেকায় কে
৫২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
সানড্যান্স বলেছেন: এই গল্প এভাবে শেষ করলে হ্যাঙ্গোভার ফিলিংস হয়!!! পরিবেশটা মিস করতে থাকি!!
ভালো লাগা।
ধন্যবাদ!
২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সানড্যান্স
৫৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৪
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: কন্ট্রাক্ট ব্রীজ.............।।
ভাল লেগেছে। চমৎকার একটা পোস্ট।
পোষ্টে অনেক ভাল লাগা রেখে গেলাম।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু
৫৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
মাক্স বলেছেন: নিঃসন্দেহে চমৎকার একটা গল্প।
ইদানীং ব্লগে সময় কম দেই বলেই মিস করে যাই।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: জ্বী স্যার, আপনাকে ব্লগে খুব একটা পাইনা । অনেকদিন হল আপনার কোন পোস্টও নাই ।
আশাকরি ব্যস্ততা সেড়ে ব্লগে নিয়মিত হবেন । যাদের উপস্থিতিতে ব্লগে এসে আনন্দ পাই, আপনি একজন ।
ভাল থাকবেন প্রিয় মাক্স
৫৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: কন্ট্রাক্ট ব্রিজ নিয়ে দারুন উত্তেজিত ছিলাম ভেবেছিলাম খেলা নিয়েই কথা হবে।
তবে শেষমেষ লেখাটা ভাল লাগল।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: ব্লগে কন্ট্রাক্ট ব্রীজের রিয়েল একজন প্লেয়ার পেলাম
অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
৫৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: অনেক লম্বা গল্প কাল পড়ব
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: পড়ে জানাবেন কিন্তু
৫৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
আরজু পনি বলেছেন:
কলেজে খেলেছি ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন:
ওয়াও! দারুণ!
৫৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
আরুশা বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো মামুন রশিদ +++++্
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার কিছু বলারও নেই । শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম.......
++++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
তাসজিদ বলেছেন: Real life master piece.
কে নেই গল্পে। রাজনৈতিক নোংরামি, টেন্দারবাজি, মাদক বিজনেস, খুন, কিংবা আমলানামা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ তাসজিদ ।
৬১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
রাজধানীর বনানীতে এমন কিছু ক্লাব রয়েছে এছাড়া মতিঝিলে একটি ফুটবল টিমের ক্লাব রয়েছে যেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো বেশ কয়েকবার। আপনার গল্প পড়ে সেই দৃশ্যগুলো চোখে ভেসে উঠল।
দারুন লিখেছেন। আপনার লেখার হাত চমৎকার।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হেহে, আপনারেই খুঁজছি...
যাক খুব ভাল লাগল । আজ সারাটা দুপুর আপনাকে নিয়েই গবেষণা করে কাটিয়ে দিয়েছি ।
ঢাকার ক্লাবগুলোতে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার কখনো হয় নি, এমনকি মফস্বলের কোন ক্লাবেও না । গল্পে বর্ণিত ক্লাবের দৃশ্যাবলী পুরোটাই কল্পিত এবং গোবর মস্তিষ্ক প্রসূত । তবু বাস্তবের ক্লাবের সাথে মিলে যাওয়ায় স্লাগা বোধ হচ্ছে ।
ভাল থাকবেন
৬২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প!
ব্রিজ খেলার কথা লেখায় মনে পরলো আমিও ইন্টার হল চ্যাম্পিয়ান হইছিলাম ইন্টারন্যাশনাল কল ব্রিজ আর হার্টসে
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: ওয়াও !! দারুণ ব্যাপার !!
অনেক ধন্যবাদ রেজো.. আমিও গল্পটি লিখেছি হল লাইফের তাস খেলার নস্টালজিয়া থেকে ।
৬৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমি তাস খেলা পারিনা , তাই ভালো লাগাতে একটু কালচে দাগ থেকে গেলো !
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: তাস খেলাটা এখানে গেট ওয়ে । সুঁড়ঙ্গের ভিতরে চলমান অন্ধকারের খেলা দেখার উপলক্ষ মাত্র ।
পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা
৬৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০
কালীদাস বলেছেন: আমি তাস খেলতে পারিনা, হাস্যকর শোনাতে পারে বাট আমি স্ট্যাটিসটিক্সের গ্রাজুয়েট হয়েও সব কয়টা তাসও চিনিনা
কিন্তু একবার তাস খেলার জন্য ধরা পড়েছিলাম ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের হাতে
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, চুরি না করেও ধরা
স্ট্যাটিসটিক্স! (একটা গভীর নিঃশ্বাসের ইমো লাগবে!)
ইউনিতে পড়েছি ক্যামেস্ট্রি, সাবসিডিয়ারি ছিল ফিজিক্স আর ম্যাথ । এখন বুড়ো বয়সে এমবিএ পড়তে এসে ১ম সেমিস্টারে কোয়ান্টিটেটিভ এনালাইসিস আর ফিনান্স, থার্ড সেমিস্টারে স্টেটিস্টিকেল প্রসেস কনট্রোল আর বিজনেস রিসার্স
|
অবশ্য খারাপ করিনি, স্ট্যাট আর মেথ রিলেটেড সব কোর্সে গ্র্যাড আছে তবে জীবনের এই পর্যায়ে স্ট্যাটের মোকাবেলা করতে হবে, আগে কখনো ভাবিনি
৬৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
উদাস কিশোর বলেছেন: পলিটিক্সের মার-প্যাচ !
গল্পে ভাল লাগা মামুন ভাই
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনি কষ্ট করে একে একে আমার লেখা সব গল্প পড়ছেন, সত্যিই অভিভুত !
৬৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৫
উদাস কিশোর বলেছেন: গল্প লেখা শিখতে চাই , তাই সবার গল্প পড়ছি বেশি বেশি । তবে আপনাকে আগে টার্গেট করেছি
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ পড়ার বিকল্প নাই । আর এই প্রথমবার কোন কিছুর টার্গেটে পড়েও খুশি ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ডার্ক, রিয়েল ডার্ক !