নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগে ।

মামুন রশিদ

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগ...

মামুন রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধীরে ধীরে ধীরে বও ওগো উতল হাওয়া

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭





দুর থেকে ওদের চিৎকার চেঁচামেচি ভেসে আসছিল । রমিজের কন্ঠস্বর চিনতে পেরেই জাহিদ আর এক মুহূর্তও দেরি করল না । ওরা একটা ঘোট পাকানোর জন্যই তার রুমের দিকে আসছে । জাহিদ চুপিচুপি রুম থেকে বের হয়ে সিঁড়ির গোড়ায় গিয়ে নিজেকে আড়াল করে দাঁড়ায় । বারান্দার কোনা থেকে চেঁচামেচি গালিগালাজ করতে করতে রমিজ আর সায়েদ তার রুমের দিকেই যাচ্ছে ।



জাহিদ ভেবে পাচ্ছেনা পুরো ডিপার্টমেন্ট এই সময়ে এত সুনশান নিরিবিলি কেন ! ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারি সবাই গেল কোথায় ! সিঁড়ির আড়ালে লুকিয়ে সে তার রুমে চেয়ার-টেবিল ভাংচুরের শব্দ পাচ্ছে । তাহলে কি ফাঁকা ডিপার্টমেন্টে সে একা আছে জানতে পেরেই তারা তাকে আক্রমন করতে এসেছে !



রুম থেকে বেরিয়ে সিঁড়ির দিকে ওরা আসছে বুঝতে পেরেই জাহিদ দ্রুত দুতলায় উঠে যায় । রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে দেখতে পায় সায়েদ বারান্দার এদিক ওদিক খোঁজাখুজি করছে । আর রমিজ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসছে । দুজনের হাতে একটা করে টিনের কৌটা, কালো রঙের তরলে ভর্তি । রমিজ সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে জাহিদের নড়াচড়া টের পেয়েই ঐ তরল তার দিকে ছুড়ে মারে । জাহিদ কোনরকম সরে গিয়ে তরল আক্রমন থেকে নিজেকে বাঁচায় । দেয়াল আর সিঁড়ির একাংশ কালো রঙের পদার্থে থিকথিক করছে । তরল থেকে একটা রাসায়নিক গন্ধ বেরুচ্ছে । গন্ধটা নাকে আসতেই সে বুঝতে পারে জিনিসটা আলকাতরা । দোতলার কার্নিশ বেয়ে একটা রুমে গিয়ে চুপিসারে আত্মগোপন করে জাহিদ ।



ইতিমধ্যে সায়েদও দুতলায় উঠে আসে । হন্যে হয়ে তারা দুজনে জাহিদকে খুঁজতে থাকে । জাহিদ প্রমোদ গুনে, প্রতিরোধ না করলে ওরা তার শরীরে আলকাতরা মেখে দিবে । ওরা নিশ্চিত বুঝে গেছে, কালো কালি লেপন ছাড়া জাহিদের ডিপর্টমেন্টের চেয়ারম্যান হওয়া ঠেকাতে পারবে না ।



হঠাৎ জাহিদ আত্মগোপন থেকে দ্রুত বের হয়ে এসে সায়েদকে এক ধাক্কায় ফেলে দেয় । হাত থেকে পড়ে যাওয়া আলকাতরার নর্দমায় সায়েদ লুটোপুটি খায় । রমিজ দৌড়ে তাকে ধরতে এসে সেও আলকাতরার স্রোতে পিছলে পড়ে যায় । জাহিদ দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে । পেছন থেকে রমিজ আর সায়েদের চিৎকার গালাগাল ভেসে আসতে থাকে । তাদের দিকে ঘৃনামিশ্রিত থুথু ছুড়ে দেয় জাহিদ, চিৎকার করে বলে উঠে, "মর শালা ছুঁচোর দল" ।



-কি বললা তুমি ? কে তোমার শালা ?? তোমার এত অবনতি হইছে জাহিদ !! তুমি যে একটা ছোটলোক এটা শুধু আমি জানি, এখন সবাইকে জানানোর সময় এসে গেছে । হায় আল্লাহ, একটা ছোটলোকের সাথে আমারে ঘর করতে দিলা !!



শশীর ঘরময় চিৎকারে জাহিদের গভীর ঘুম ভেঙ্গে যায় । ধড়ফড় করে বিছানা থেকে নেমে এসে জিজ্ঞেস করে,



-কি হইছে !! কি হইছে শশী ??

-আর ন্যাকামো করতে হবে না । দিন যত যাচ্ছে তোমার কুৎসিত চেহারাটাও প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে । বলি আমার ভাইবোনেরা তোমাকে কি এমন প্যারা দিল যে তাদের ছুঁচোর দল বললা ? তোমাকে পুছার সময় ওদের কারো নাই । আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখ, নিজেকে ঠিক ঠিক চিনতে পার কি না !!



হতভম্ব জাহিদ কিছুতেই বুঝতে পারছেনা শশী কেন এই সাত সকালে তার উপর বিগড়ে গেল । কাঁচাঘুম নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় পা দুটো টলছে । আর শশীর লাগামহীন কথাবার্তা শুনে মাথাটাও ঝিমঝিম করছে । তবু পরিস্থিতি সাময়িক সামলে নেয়ার জন্য সে ছেলেমেয়ে দুটোকে দেখিয়ে বলল,

-আট'টায় না ওদের আর্ট ক্লাস, আট'টা তো প্রায় বাজে..

-হ্যাঁ তাইতো যাচ্ছি । দরজা ভেড়ানোর জন্য ডেকেছিলাম, আর এর জন্য গোষ্ঠিশুদ্ধ ছুঁচোর দল হয়ে গেলাম । ঠিক আছে, স্কুল থেকে ফিরে আসি, তারপর দেখা যাবে কারা আসল ছুঁচোর দল ।

-বাই বাবা ! বাই বাবা !!

-বাই !!



ছেলেমেয়ে দুটোকে আদর দিয়ে দরজা বন্ধ করে ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকল জাহিদ । ধাতস্ত হতে আরও কিছুটা সময় লাগল তার । ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখার মাঝে কি যে বলেছিল তা কিছুতেই মনে করতে পারছেনা । আর এটা শুনেই যে শশী তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে তা বেশ বুঝতে পারছে । সোফায় স্থির হয়ে বসে থেকে স্বপ্নটা মনে করার চেষ্টা করছে জাহিদ, কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছে না ।



এমনিতে ভোর ছ'টায় ঘুম হতে উঠা তার আশৈশব অভ্যেস । গতকাল ক্যাম্পাসে খুব ঝামেলা গিয়েছে, ভিসি স্যারের সাথে মিটিং ছিল বিকাল পাঁচটায় । সেই মিটিং বিকাল গড়িয়ে রাত আট'টায় শুরু হয়েছে । এমনিতে ভিসি সাহেব জাহিদকে পছন্দ করেন তার সোজাসোজি কথা বলতে পারার সৎসাহসের জন্য । মিটিংয়ে একজন সিনিয়র শিক্ষক ডিপার্টমেন্টে জাহিদের বিরুদ্ধে রমিজ-সায়েমদের তৎপরতা নিয়ে ভিসির দৃষ্টি আকর্ষন করেন । রমিজ সাহেব নাকি স্টুডেন্টদেরও জাহিদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে । সব শুনে ভিসি স্যার অভয় দেন, সিনিয়রিটির ভিত্তিতে জাহিদই হবে ডিপার্টমেন্টের নেক্সট চেয়ারম্যান ।



দিনটা অন্যান্য ছুটির দিনের মতই গৎবাঁধা রুটিন কাজ করে ব্যয় হয়ে যায় । দুপুরে সবাইকে নিয়ে জাহিদ একটা বিয়ের অনুষ্টানে যায় । বাইরে যাওয়ার কথা শুনলেই বাচ্চাদুটো আনন্দে লাফাতে থাকে । ডিপার্টমেন্টে একজন প্রোফেসর হিসাবে গাম্ভীর্য বজায় রাখলেও পরিবার বন্ধুদের সাথে সে যথেষ্ট খোলা মনের । বন্ধু বলতে শশীর তিন বান্ধবীর পরিবার, বাচ্চাদের স্কুল থেকে তাদের পরিচয় । গত পাঁচ বছরে এই সম্পর্ক নিবিঢ় পারিবারিক আবহে মোড় নিয়েছে । একসাথে বেড়ানো আর অনুষ্টানাদিতে যাওয়াতো আছেই, প্রতি সপ্তাহেই তারা কারো না কারো বাসায় আড্ডা দিতে বসে যায় । এদের পিচ্চিগুলোর মাঝেও প্রগাঢ় বন্ধুত্ব, এমনকি তারা বাইরের পিচ্চিদের সাথে মিশতেই চায় না ।



সকালের পর থেকে শশীর সাথে জাহিদের কথা বন্ধ । বিয়েতে বন্ধু পরিবারের উপস্থিতিতে সময়টা তাদের আনন্দেই কেটে যায় । চারজন পুরুষই উঁকিঝুকি মেরে নতুন বউ দেখে আর সরস মন্তব্য ছুঁড়ে দেয় । তাদের কথা শুনে তাদের বউরা হেসে লুটোপুটি খায় । বিয়ের অনুষ্টান শেষে বন্ধু পরিবারের সবাই তাদের বাসায় আসে । তাদেরকে বাসায় বসিয়ে জাহিদ হন্তদন্ত হয়ে বাইরে চলে যায়, সন্ধ্যায় তাকে একটা প্রাইভেট ইউনিতে ক্লাস নিতে হয় ।



বাসায় ফিরে ডিনার সেরেই জাহিদ বইপত্র নিয়ে বসে । রাত দশটা বাজলেই তার ঘুমের প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়ে যায়, কারণ এগারটার পরে আর সে জেগে থাকতে পারে না । সকালে জঘন্য একটা ঝগড়ার পর শশীকে স্বাভাবিক করার জন্য একটু প্রেম-রোমান্স করার প্রয়োজন বোধ করে সে । এমনিতে বাচ্চারা বড় হয়ে যাওয়ায় তাকে আলাদা খাটে একা ঘুমাতে হয়, তার উপর সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বাসার ফেরার পরই সে ঘুমের ঘোরে ঝিমুতে থাকে । তাই শশীর সাথে শারিরীক মিলন এখন আর তেমন হয়ে উঠেনা ।



বেডরুমে শশী বাচ্চা দুটোর হোমওয়ার্ক নিয়ে বসেছে । জাহিদ হঠাৎ অতি তৎপর হয়ে বিছানার বেড কভার পাল্টে দেয় । অগোছালো রুমটাকে সুন্দর করে গোছাতে থাকে । শশী আড়চোখে জাহিদের কার্যকলাপ দেখে ঠোঠ বাঁকায় । ঘর গোছানো হয়ে গেলে বাচ্চা দুটোকে গাল টিপে আদর দিয়ে বলে, "বাবারা, রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে । তোমরা এখন ঘুমুতে যাও, সকালে উঠে পড়তে বসবা" ।



বাসার কাজে কর্মে এই অতি তৎপরতা জাহিদের নিজস্ব সিগনাল, প্রেম-রোমান্সের সিগনাল । জাহিদের পরিষ্কার সিগনাল বুঝতে পেরেও শশী সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করে না । বাচ্চাগুলোকে আরো মনোযোগ দিয়ে পড়া দেখিয়ে দিতে থাকে ।



শশীর সাড়া না পেয়ে জাহিদ এবার এক্সট্রিম সিগনালের দিকে আগায় । নাইট গাউন পড়া খোলামেলা শশীর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে গদগদে ফিসফিস গলায় বলে, "সারাদিন একটুও রেস্ট নাওনি । ওদের ঘুম পাড়িয়ে আসো, মাথা মেসেজ করে দিলে ভাল লাগবে" ।



জাহিদের গদগদ গলা শুনতে না পাবার ভান করে শশী বাচ্চাদুটোকে ধমকে উঠে, :এই পড়! পড়া শেষ না হলে আজকে একটাকেও ঘুমাতে দেব না" ।



শশীর গলার ঝাঁঝটা যে তাকে লক্ষ্য করেই, জাহিদ তা বেশ বুঝতে পারে । এই অবস্থায় বাচ্চাদের সামনে নিজেকে খুব খেলো আর অস্বস্তিকর লাগে । তাই সে পাশের রুমে চলে যায় । শশীর প্রত্যাখানে তার শরীরে জ্বলে উঠা রোমান্স ধীরে ধীরে নিভে যেতে থাকে । ইতিমধ্যে রাজ্যের ঘুম এসে জড়ো হয় তার দু'চোখে । রোমান্সের ইচ্ছেটা অবদমিত হয়ে আস্তে আস্তে সে হারিয়ে যায় ঘুমের রাজ্যে ।



দিনটা যথারীতি ব্যস্ততার মাঝেই কাটে জাহিদের । দুপুরে টিচার লাউঞ্জে লাঞ্চ সেরে নিজের রুমে এসে থিতু হয়ে বসে । তারপর একটা মোটা ভারি বইয়ের পৃষ্ঠায় ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে । মোবাইলের রিংটোনের আওয়াজে বাস্তবে ফিরে আসে সে । স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে দেখে শশীর ফোন,



-হ্যালো শশী, বল..

-তুমি এখন কোথায় ?

-ডিপার্টমেন্টে

-লাঞ্চ করেছ ?

-হ্যাঁ হ্যাঁ, টিচার লাউঞ্জে ।

-রুমী-প্রমী খেয়েছে, নাকি না খেয়ে আছে খোঁজ নিয়েছ ?

-হ্যা হ্যা, ওরা খেয়েছে ? আমি মিটিংয়ে ছিলাম, ওখান থেকে সবার সাথে লাঞ্চে সেড়ে আসছি । তুমি খেয়েছ ?

-আমার খবর তোমার নেয়া লাগবে না । তুমি জান না, খেতে বসে রুমি কি সব কাহিনী করে ! ফোন করে একবার ছেলেমেয়ে দুইটার খবর নেয়ার সময় থাকে না, নিজে ঠিকই লাঞ্চ সেড়ে আসছ..

-এই শোন শোন, আমি..

-থাক, আর কারণ দর্শাতে হবে না, রাখি ।



জাহিদ আবার কলব্যাক করে, ওপাশ থেকে শশী রিসিভ করে না । সারাটা বিকাল ডিপার্টমেন্টে কাটিয়ে শেষ বিকালে জাহিদ সরাসরি শিশু একাডেমিতে গিয়ে হাজির হয় । রুমী-প্রমি বিকালে গান শেখে এখানে । একাডেমির বারান্দায় শশী কয়েকজন মহিলার সাথে আড্ডা দিচ্ছে । গানের ক্লাস শেষ হবার পর জাহিদ সবাইকে নিয়ে শহরের এক নামকরা ইয়াম্মি রেস্টুরেন্টে খেতে যায় । এখানকার চিকেন মিটবল রুমী-প্রমী খুব পছন্দ করে । সবাই মিলে ডিনার খেয়ে তারা বাসায় চলে আসে ।



বাসায় ফিরে বাচ্চাদুটো আবার খেলাধুলা শুরু করে । শশী টেনেহেচড়ে দুটোকে পড়তে বসায় । মায়ের পিটুনির ভয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে পড়তে গিয়ে দুজনেই ঝিমুতে থাকে । শশী অনেক্ষন চেঁচামেচি করেও তাদের ঘুম সরাতে পারে না । পরে বিরক্ত হয়ে দুজনকেই বিছানায় শুইয়ে দেয় ।



জাহিদ এই সময়টার জন্যই তক্কে তক্কে ছিল । বাচ্চারা ঘুমিয়ে যেতেই কোন সিগনাল ছাড়াই পেছন থেকে এসে শশীকে জড়িয়ে ধরে । আদরে চুমুতে শশীকে ভাসিয়ে দিতে থাকে । কিন্তু শশী জোড় করে জাহিদের হাতের বাঁধন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয় । কন্ঠ থেকে তার একরাশ অভিমান ঝরে পড়ে, "যাও! কিছু করা লাগবে না" !!



জাহিদ এবার সামনে এসে শশীর দুহাত টেনে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে বলে- "সরি শশী, আই এ্যাম রিয়েলি সরি" !!



শশীর অভিমান এবার ঝাঁঝ ছড়ায়, "যাও! স্টুডেন্টের সাথে গিয়ে ইটিশপিটিশ কর । ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হও,আর বাসায় এসে নাক ডেকে ঘুমাও । আমার জন্য কারো মায়া দেখাতে হবে না" !!



জাহিদের তীব্র আদরের কাছে শশীর কপট রাগ আর অভিমান ভেসে যেতে থাকে । দীর্ঘদিনের অবদমিত যৌবন তাদের রক্তের শিরায়-উপশিরায় অকাল বান ডেকে আনে । পুলকে শিহরণে উন্মত্ত নারী-পুরুষ দুজনকেই দুজনের কাছে অপরিচিত মনে হয় । আদিম শৃঙ্গারের মদিরা-মাধুরীতে মাতাল দুজনের মাঝে শেষ সূতোটাও আর বাঁধা হয়ে থাকে না । পনেরো বছরের দাম্পত্য জীবনের রুটিন কর্মটুকু আজ তাদের মাঝে বিস্ময় হয়ে ধরা দেয় । ক্রমশ তারা ভুলে যেতে থাকে পুরানো সম্পর্ক-পরিচয় আর অস্থিত্বের রসায়ন । নারী-মাংসের প্রথম স্বাদ পাওয়া হায়েনা যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে নব রজঃস্বলা যুবতির উপর । দুজনেই প্রাণপনে সুঁড়ঙ্গ খুঁড়ে, যেন আর একটু খুঁড়লেই দেখা মিলবে মুক্তির সূর্যের । তিমির আঁধার পেরিয়ে যেন জেগে উঠবে কমনীয় রাঙা ভোর ।



আচমকা চুলের পেছনে হ্যাচকা টানে সম্বিত ফিরে জাহিদের,



-আহ, কি করছ জাহিদ! তুমি দেখি এক্সপ্রেস ট্রেন চালাতে শুরু করেছ!

-কেন কি হয়েছে শশী! এনি থিং রং !!

-তুমি বোঝ না ! এখন আর এত উন্মাদনা সইবে কেন !! বৈঠা দিয়ে নৌকা চালাও জাহিদ । সন্তর্পনে, যেন মাছেরাও টের না পায় । ধীরে ধীরে বেয়ে পার হও শান্ত নদী । যেন অনন্তকাল ধরে তুমি বেয়ে চলেছ আমার তরী..



জাহিদ ধীর হয়ে আসে, ছন্দিত ত্বরণ ক্রমে স্পন্দিত মন্দনে থিতু হয়ে আসে । যেন অনন্তকাল ধরে সে বেয়ে চলেছে এই তরী, শান্ত নিরবধি । গলা-পিঠে সুখ বুলিয়ে যায় শশীর হাতের ধারালো কোমল পরশ..



ইতিমধ্যে মস্তিষ্ক নিঃসৃত ডোপামিন জাগিয়ে দিয়েছে জাহিদের লাখো কোটি শুক্র সৈনিক । যুদ্ধসাজে ব্যারাক ছেড়ে বেরিয়ে আসে অনল প্রবল স্যুইসাইড স্কোয়াড । বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত উপচে পড়ে ভাসিয়ে দেয় শুকনো জমি, শস্যের আঁধার । মিলিত শিৎকার ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে সিক্সথ সিম্ফনির সুর মূর্ছনায় স্থিমিত হয়ে আসে চরাচর ।



যথারীতি সকাল ছ'টায় ঘুম ভাঙ্গে জাহিদের । অবাক বিস্ময়ে সে নিজেকে আবিষ্কার করে শশীর স্ফিত কামিনি শয্যায় ।



শশীর রিনিরিনি হাসির নিক্কনে হতভম্ব জাহিদের প্রাণপাখি যেন ফিরে আসে শৃঙ্খলিত খাঁচায়, দুজনেই ফিরে যায় পনেরো বছর আগের সেই চিমটি কাটা সময়ে,,

-"ঠিক রাত এগারোটায় তোমার ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আর গেলনা জাহিদ" !!









**************************************



ছবিঃ অন্তর্জাল ।

মন্তব্য ১৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

একজন আরমান বলেছেন:
শেষ হইয়াও হইলো না শেষ !!!
প্লট থেকে বাস্তবতার গন্ধ পেলাম।

দুর্দান্ত লেগেছে বর্ণনা !
পড়ছি আর শিখছি !!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: পড়ে শেখার দিন কি আর আছে আরমান ! এখন সময় সৃজনশীলতার ;)

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর ।

কথাগুলো বেশ গুছানো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল ভাই ।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

আম্মানসুরা বলেছেন: জাহিদের প্রতীকী স্বপ্ন, নিত্যদিনের কর্ম ব্যস্ততা, অভিমান ভাঙ্গানো সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: ছোট্ট মন্তব্যে পুরো গল্পের জিস্ট খুব চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন ।


সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

নিমচাঁদ বলেছেন: অতি নরম মোলায়েম গল্প , সুন্দর হেপি এন্ডিং ঠিক যেমন প্রত্যাশায় মধ্য বয়সের একজোড়া সুখী দম্পতি দিনযাপন করে ।'বৈঠা দিয়ে নৌকা চালাও ' শব্দটা রূপকার্থে ব্যবহৃত হলেও ,এটা ভীষণ রোমান্টিক বলে মনে হয়েছে ।

প্লাসায়িত

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: মধ্য বয়সটা নিয়ে কেউ ভাবে না নিমচাঁদ ভাই । অথচ রোমান্সের সেরা সময় হল ৩৫-৪৫ । একদল চল্লিশের পরই বুড়িয়ে যায়, আরেক দল চল্লিশের পর নব যৌবনপ্রাপ্ত হয় ।

চল্লিশের পর মানুষ সুস্থির, প্রাজ্ঞ আর বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পূর্ণতা পায় । এই সময়ের রোমান্সও তাই ধীর-স্থির, শিল্পিত আর নিরবধি হওয়াই স্বাভাবিক । বৈঠা বাইতে হবে সন্তর্পনে, মাছেরাও যেন টের না পায় ;)

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

নিমচাঁদ বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, সামু প্লাস নেয় না , লগিন করতে পারছি , এই বেশী।
আলহামদুল্লিলাহ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার দারুণ মন্তব্যে অনেক আনন্দ পয়েছি । আমার প্লাস পাওয়া হয়ে গেছে :)

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: রাইতে পড়ুম! :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: আইচ্ছা :)

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার হৈসে।
নাইস !

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কস ব্রো.. :)

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ম ভাললাগাটা আমার।সুন্দর গল্প। বিয়ে করেনি তাই ওভাবে ওরকম গল্প লিখতেই পারবো না। খুব ভাল লিখেছেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

মামুন রশিদ বলেছেন: পারবেন পারবেন । এইগুলো শুধুই গল্প, বাস্তবের সাথে কোন যোগাযোগ নেই । যাস্ট ভিজুয়ালাইজ করে নিতে হবে, মানে কল্পনায় গল্পের ঘটনাগুলো আঁকতে হবে ।

আপনি এখনো বিয়ে করেন নি, জানতাম না । শকিং :-*

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনেক গুছানো এবং সাবলীল - ভালা লাগছে!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম আহমেদ ভাই । :)

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: শরীরে লেগে আছে কী অপূর্ব ভালোবাসা, কত রোমান্চ পাশাপাশি
চন্দ্রিমা জোছনা রাত যেমন বড় মিষ্টি, ঠিক তেমনি এ মুগ্ধ পাঠ-
বড় ভালোবাসি, বড় ভালোবাসি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: কাব্যিক মন্তব্যে ভাললাগা । অনেক অনেক ভাল লাগল ভাইজান । কৃতজ্ঞতা সীমাহীন :)

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: যাস শালা, বিয়া করলে তো শালা ডাক খুব এদিক ওদিক তাকিয়ে, পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে দিতে হবে! :||

মধুরণ সমাপয়েৎ! গল্পের তুমুল উত্তেজনার সময়ে আমি ভাবছিলাম, এইটাও কী স্বপ্ন! :P

দুজনেই প্রাণপনে সুঁড়ঙ্গ খুঁড়ে, যেন আর একটু খুঁড়লেই দেখা মিলবে মুক্তির সূর্যের


আপনার বর্ননা দারুণ হয়েছে!

শুভকামনা!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

মামুন রশিদ বলেছেন: মধুরেণ সমাপয়েৎ! গল্পের তুমুল উত্তেজনার সময়ে আমি ভাবছিলাম, এইটাও কী স্বপ্ন!


দারুণ বলেছেন কবি । এরকম প্রশংসা পেলে কার না লিখতে লোভ হবে !

সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা :)

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

অ্যানোনিমাস বলেছেন: নাইসলি রিটেন, কিন্তু মাঝ থেকে শেষের দিকে যাবার সময় স্বাদ কমে গেছে। কিংবা আমার রুচি অথবা জিবের প্যাপিলায় সমস্যা থাকতে পারে। ওভারুল সমরেশ টাইপের গন্ধহীন গল্প মনে হল। আপনার লেখার হাত বেশ ভালো। ইঊ শুড বেটার কিপ ইঊর হ্যান্ড পলিশড। ডুন্ট গিভ আপ। শুভকামনা রইলো :)

সহব্লগার হিসেবে তো এটুকু বলতে পারি, তাইনা?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেকদিন পর চয়ন ভাইকে পেয়ে ভাল লাগছে । আমার ব্লগ জীবনের প্রথমদিকে যাদের কাছ থেকে উৎসাহ পেতাম, সবাইকে মিস করি ।

টাইপ বলেন আর যাই বলেন, মহান সমরেশ (মজুমদার বা বসু যিনিই হোন) বাবুর সাথে তুলনায় গাঁ ছমছম করা উত্তেজনার আনন্দে ভাসলাম । বিশ-বাইশ বছর আগে উনাদের লেখা বুঁদ হয়ে পড়তাম ।

আপনার সাজেশন মাথা পেতে নিলাম । চেষ্টা করব ভাই ।

কৃতজ্ঞতা :) :)

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভালো লাগল ভাইয়া!!!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু :)

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শেষের দিকে গল্প বেশ জমে উঠেছে ! সব আভিমান ছাপিয়ে সম্পর্কের পুর্ণতা!
সুন্দর সুন্দর !

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: সব আভিমান ছাপিয়ে সম্পর্কের পুর্ণতা!


ছোট্ট একটা লাইনে কি চমৎকার ভাবে পুরো গল্পটা বলে দিলেন!

শেষের দিকে এসে যখন মিলন পর্ব শুরু হল, আমি অবাক হয়ে দেখি আমার কলম দিয়ে ঝরঝর করে কবিতার মত লেখা আসছে । কোন পূর্ব ভাবনা ছাড়াই বিস্ময়করভাবে সঙ্গমের পূর্ণ কাব্যিক বর্ণনা লিখে ফেললাম :|

এর আগে চেষ্টা করেও দুই লাইন মুক্তগদ্য লিখতে পারিনি ।

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আহ, কি করছ জাহিদ! তুমি দেখি এক্সপ্রেস ট্রেন চালাতে শুরু করেছ!
-কেন কি হয়েছে শশী! এনি থিং রং !!
-তুমি বোঝ না ! এখন আর এত উন্মাদনা সইবে কেন !! বৈঠা দিয়ে নৌকা চালাও জাহিদ । সন্তর্পনে, যেন মাছেরাও টের না পায় । ধীরে ধীরে বেয়ে পার হও শান্ত নদী । যেন অনন্তকাল ধরে তুমি বেয়ে চলেছ আমার তরী..

জাহিদ ধীর হয়ে আসে, ছন্দিত ত্বরণ ক্রমে স্পন্দিত মন্দনে থিতু হয়ে আসে । যেন অনন্তকাল ধরে সে বেয়ে চলেছে এই তরী, শান্ত নিরবধি । গলা-পিঠে সুখ বুলিয়ে যায় শশীর হাতের ধারালো কোমল পরশ..

ইতিমধ্যে মস্তিষ্ক নিঃসৃত ডোপামিন জাগিয়ে দিয়েছে জাহিদের লাখো কোটি শুক্র সৈনিক । যুদ্ধসাজে ব্যারাক ছেড়ে বেরিয়ে আসে অনল প্রবল স্যুইসাইড স্কোয়াড । বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত উপচে পড়ে ভাসিয়ে দেয় শুকনো জমি, শস্যের আঁধার । মিলিত শিৎকার ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে সিক্সথ সিম্ফনির সুর মূর্ছনায় স্থিমিত হয়ে আসে চরাচর ।

পুরো গল্পের সবচেয়ে শক্তিশালী ও শিল্পিত উপরের লাইন ক'টি। এই আবহে যদি পুরো গল্পটা লেখা যেত তাহলে নিঃসন্দেহে এটা মাস্টারপিস হয়ে উঠত। এই লাইন ক'টি বাদে পুরো গল্পটার ভাষায় এক ধরণের জড়তা ছিল।

অনেকগুলি বানান ভুল আছে। সেরে নেবেন আশা করি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: স্বীকার করে নিচ্ছি । আসলে ঐ জড়তাপূর্ণ ভাষাটাই আমার নিজস্ব । আর উপরের যে কটা লাইন উল্লেখ করেছেন, ওগুলো আমি লিখিনি । আমাকে দিয়ে কে যেন লেখিয়ে নিয়েছে :P

আমি মুক্তগদ্য পছন্দ করি । মুক্তগদ্যের ছন্দে সিম্বল মেটাফোর দিয়ে ম্যাজিক রিয়েলিজম স্টাইলে গল্প লেখা আমার এইম, আমার স্বপ্ন । কিন্তু শত চেষ্টা করেও দু'লাইন সিম্বলিক গদ্য আমি লিখতে পারি না, রুপকল্প গড়া তো পরের কথা । সীমাবদ্ধতার ভিতরে থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ভাষার জড়তাটুকু কাটিয়ে উঠতে । আপনাদের পাশে পাওয়ায় এখনো ভরসা পাই ।

ধন্যবাদ :)

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হবার চিন্তাভাবনা শেষে রোমান্টিক ভালবাসায় মিলিয়ে গেল। সুন্দর!

ভালো লেগেছে প্রিয় ব্লগার।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: আসলে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হওয়ার সাথে রোমান্টিক ভালবাসার কোন দ্বন্ধ নেই । সমস্যাটা তখনই হয় যখন চেয়ারম্যানশিপের পেছনে ছুটতে গিয়ে রোমান্টিক ভালবাসাকে ইগনোর করা হয় ;)


ভাল থাকবেন প্রিয় প্রোফেসর সাহেব :)

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সেক্স কখনো কখনো শুধুমাত্র শারীরিক মিলনই নয় , দাম্পত্য রসায়ন
ঝালিয়ে নেবার কাজ ও করে ।
একটা পরিপূর্ণ ভালবাসাময় মিলন মনের গহীনে জমে থাকা অনেক গোপন প্রশ্নের জবাব নিরবে দিয়ে দেয় ।

বয়স বাড়া মানে মনের ও বুড়িয়ে যাওয়া নয় , মন কে তরতাজা রেখে অনেক কিছু উপভোগ করা সম্ভব - এমন একটা ম্যাসেজ ও পাঠক চাইলে এ গল্প হতে নিতে পারে ।

বেশ কিছু লাইন চরম শিল্পিত , ভাষার যথার্থ ব্যবহার নজর কাড়ল । এভাবে না লিখলে গল্পটা হাল্কা হয়ে যেত ।
ভাল থাকবেন মামুন ভাই :)
শুভকামনা রইল ।



১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ।


কিছু ব্যাপার আছে যা সরাসরি বলা উচিত নয় । এজন্যই রুপক আর কাব্যের আশ্রয় নিতে হয়েছে । আবার শারিরীক ভালবাসাকে আমরা উপেক্ষাও করতে পারব না, কারণ এটা আমাদের জীবনেরই অংশ ।

১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পটা বেশ মনযোগ সহকারে পড়লাম। ভাল লেগেছে শুধু একটা জিনিস বাদে, গল্পের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠেছে শারিরিক প্রেম।

বাদ বাকি সব চমৎকার। গল্পের বর্ননাশৈলী, ভাষার ব্যবহার, বাক্যের বুনট, সর্বপরি পৌড় বয়সের চটুল প্রেম, রাগ-অভিমান।

শুভেচ্ছা রইল।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত ভাই ।


গল্পের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নিলাম । অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে হচ্ছিল নিবিঢ় শারিরীক প্রেমের কিছু রুপকল্প আঁকতে । হঠাৎ করে প্লট টা মাথায় আসল, আর সাত পাঁচ না ভেবে অতি উৎসাহি হয়ে ইচ্ছেপূরণ করে নিলাম ।

ভাল থাকবেন । শুভকামনা সতত ।

১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ!! এটা তো দেখি অনুপ্রেরনার গল্প। ;) বুকমার্কড করে রাখলাম। সিনিয়র কাউকে পড়তে দিব। ;) হাহাহা!

যাই হোক, গল্প বেশ উপভোগ করেছি। ভালো লিখেছেন মামুন ভাই। গল্পে বেশ কিছু রুপক লাইন ব্যবহার করেছেন, সেগুলো খুব ভালো লাগছে। সম্প্রতি ব্লগে এই প্যাটার্নের বেশ কিছু লেখা পড়েছি। সবগুলো না হলেও আপনার এবং অন্য বেশ কয়েকটি লেখা পড়ে ভালো লেগেছে। বেশী ভালো লেগেছে ঝরঝরে সাবলীল বর্ননা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কা_ভা :)


এই গল্প যদি কাউকে অনুপ্রেরণা যোগায়.. আই মিন, কাউকে সুন্দর সুখি দাম্পত্য জীবনের দিকে পা বাড়াতে উৎসাহ যোগায়- তাহলে তো এক দিক দিয়ে গল্পটি স্বার্থক :P

লেখার সময় শন্কিত ছিলাম পাঠকের প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে এটা ভেবে । যখন বুঝতে পারি লেখা সবার একটু হলেও ভাল লেগেছে, অশ্লীলতার দায়ে জেলে যেতে হবে না- নিজেও একটু ভরসা পাই । আর পাশে থেকে সব সময় উৎসাহ যুগিয়ে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতার ঋন দিন দিন বাড়িয়েই চলেছি ।

২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্প পইড়া শরম পাইছি! :P
এত বিস্তারিত বর্ণনার কি দরকার ছিল :P

গল্পের বর্ণনা শৈলী দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। এই গল্পের বিন্যাসটুকু আপনার অন্য সব গল্প থেকে আলাদা মনে হয়েছে :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: সলাজ সরস মন্তব্যে গল্পকারও শরমিন্দা বোধ করছে :P


বেশ কয়েকটা প্লট মাথায় ঘুরছিল, লিখতে বসলেই একটার সাথে অন্যটার ক্রস হয়ে যায় । হঠাৎ করেই এই প্লট মাথায় আসার পর ভাবাভাবি বাদ দিয়ে এক সিটিংয়ে লিখে নিয়েছি । বাহ্যিক ঘটনাবলী আমার এক অধ্যাপক বন্ধুর জীবন থেকে কিছুটা ধার করলেও ইন্টারন্যাল ঘটনাবলী পুরোটাই ভিজুয়ালাইজিং- মানে অনুর্বর মস্তিষ্ক প্রসূত :P

২১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৮

ভিয়েনাস বলেছেন: সহজ সুন্দর রোম্যান্টিক গল্প :) ...

ভালো লাগলো।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি ভিয়েনাস :)

২২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ধীরে ধীরে ধীরে বও ওগো উতল হাওয়া :)

নামকরণ বেশ দারুণ হয়েছে।

গল্পটাও চমৎকার!!

++++++

ভাই গল্পটাকি জীবন থেকে নেওয়া ? :P

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন :)


র'মেটেরিয়াল তো জীবন থেকেই নিতে হয়, নিজের জীবন বা অন্যের জীবন থেকে । বাট প্রসেসিংয়ের পর এটা কারো নিজস্ব জীবন কাহিনী থাকেনা, হয়ে উঠে সার্বজনীন ।

২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

অদৃশ্য বলেছেন:





মামুন ভাই

চমৎকার হয়েছে লিখাটি... গল্পের প্রথম স্বপ্নটা ছিলো মজার... আর দ্বিতীয় স্বপ্নটা ছিলো মহামজার...

ভাবছিলাম এটা অভিজ্ঞতা ছাড়া লিখা কঠিন... সেই জন্য আরো বেশি ভালো লেগেছে...

শুভকামনা...

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)


গল্পের প্রথম স্বপ্নটি ছিল মজার- শুধু মজারই না । স্বপ্নে ছিল চেয়ারম্যানশিপ নিয়ে চলা উৎকন্ঠা, যা ক্রমে জাহিদকে প্রেম-রোমান্স থেকে দুরে সরে নিয়ে যাচ্ছিল ।

না ভাই, দ্বিতীয়টা বাস্তবেই ঘটে । ইজাকুলেশনের পর সম্ভবত জাহিদ শশীর উপরই ঘুমিয়ে পড়েছিল :P

২৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জাহিদের প্রেম রোমান্সের সিগন্যাল --পইড়া হাসলাম মনে মনে। বাচ্চা কাচ্চা হবার পর একটু বড় হলে তারা এই সিগন্যাল কাজে লাগাতে হয় বোধ হয় :P

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: এই লাভ সিগনাল আসলে এক ধরণের ইন্টারনাল কমিউনিকেশন, শুধু মাত্র সেন্ডার আর রিসিভার এর মাজেজা বুঝতে পারে । সিগনালের আবার বিভিন্ন মাত্রাও আছে । কাপলের মাঝে যত বেশি সিগনাল থাকবে, তত বেশি অটুট বন্ধন ।

গল্পের সবচেয়ে মজার কন্টেন্টে ঠিকই চোখ চলে গেল :P

২৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

একজন আরমান বলেছেন:
হেহে।
তা তো বটেই ! সবারই কিছু সৃজনশীল প্রতিভা থাকে !
তবে বেসিক জিনিসটা তো আমাদের শিখতেই হয় !! ;)

কি বলেন?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: হুম :)

২৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

সায়েম মুন বলেছেন: অভিমান ভাঙ্গানোর খেলাটা জমেছিল বেশ! সমরেশ মজুমদারের উত্তরাধিকার কি কালবেলাতে একটা জমজমাট রোমাঞ্চ ছিল। আপনার গল্পের শেষের দিকে এসে সেটার কথা মনে পড়লো। একদম প্লেইন গল্প। ওভারঅল ভাল লেগেছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সায়েম ভাই । এই সব মহারথীদের গল্পের সাথে এই নবীশের নাম এক জায়গায় আনলে গুরুচন্ডালী হয়ে যায় না !!


ভাল থাকবেন :)

২৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: প্রথমে আমি কি ভাবলাম আর শেষে হলো কি! রুপকগুলো ভালো লাগছে । ভবিষ্যতে ধার করবো কিনা ভাবছি । গল্পখানা মনে রাখবো , বিয়ের পর তো কাজেও দিতে পারে ! শুভকামনা এবং শুভেচ্ছা । :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, অনেক ধন্যবাদ আদনান :)

২৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আজকাল জটিল করে ভাবতে ভাবতে সহজ কিছু মাথাতেই আসে না। শুরু করে ভাবছিলাম কোনদিকে যায় কে জানে! আরে না এটাতো প্রতিদিনের দাম্পত্য মান-অভিমান, আর অভিমান ভাঙানোর খেলা।

অলওয়েজ ড্রিমের কোট করা লাইনগুলো অসাধারণ হয়েছে। আদিমতাকে এত সুন্দর কাব্যিকভাবে প্রকাশ করেছেন যে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। পুরো গল্পটাই যদি এই ভাষাতে হতো তাহলে আরো অনেক বেশি অসাধারণ কিছু হয়ে উঠতো এটা স্বীকার করতেই হয়।

তারপরও সব মিলে খুব সুন্দর হয়েছে গল্প।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সমুদ্র আপু । খুব সুন্দর করে বলেছেন, এটাতো প্রতিদিনের দাম্পত্য মান-অভিমান, আর অভিমান ভাঙানোর খেলা।

আমি চেষ্টা করব আপু পরের গল্পগুলোয় কাব্যিক প্রকাশ ধরে রাখতে । কবিতা লিখতে না পারা একজনের কাছে যদিও বিষয়টি সত্যিই কঠিন ।

সুন্দর বিশ্লেষণ আর উৎসাহ দেয়ায় মন্তব্যে প্লাস :) :)

২৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: উপমা প্রয়োগে আপনার দক্ষতা দেখে জাস্ট মুগ্ধ। শারীরিক মিলনের এমন বর্ণনা ক্লাসিক। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন ক্লিশে হয়ে যায়, ক্যারিয়ার আর বাচ্চা কাচ্চার তদারকিতে হারিয়ে যায় পুরোনো উন্মত্ততা। কিন্তু আসলেই কি যায়? অভিযাত্রীরা ঠিকই জানে সুড়ঙ্গ, পাহাড় আর স্তম্ভের গহীনে গিয়ে যাবতীয় জাগতিকতা ভুলে এ্যাডভেঞ্চার করতে। বড়ই জরুরী এই অভিযান!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যের প্রতি উত্তরে কি লিখব !! আমি তো বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম হামা ভাই !!

গল্পটা লিখেছি খুব ভয়ে ভয়ে, পাঠ প্রতিক্রিয়া নিয়েও শংকিত ছিলাম । গল্পে রুপক, উপমা আর মুক্তগদ্যের প্রয়োগ নিয়ে অনেকদিন থেকেই ভাবছি, কিন্তু সাহসে কুলায় না যে ।

যদি সম্ভব হত, মন্তব্যের এই অংশটা গল্পের উপরে বোল্ড করে দিতাম..

অভিযাত্রীরা ঠিকই জানে সুড়ঙ্গ, পাহাড় আর স্তম্ভের গহীনে গিয়ে যাবতীয় জাগতিকতা ভুলে এ্যাডভেঞ্চার করতে। বড়ই জরুরী এই অভিযান!

৩০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনার গল্প পড়লাম। লেখনী কিছু জায়গায় অসাধারণ। কিছু জায়গায় ফ্ল্যাট।

শুরুতে যে স্বপ্নের বর্ণনা দিয়েছেন তাতে জাহিদকে অল্পবয়স্ক যুবক ভেবেছিলাম। পরে আবার দেখলাম গল্পটাকে রোম্যান্স কিংবা সেক্সের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই অংশের কাজ ভাল হয়েছে। বর্ণনাও বেশ হয়েছে। তবে শেষটা একটু দুম করেই হয়ে গেল মনে হচ্ছে।

আরেকটু টানলে পারতেন

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তানিম ভাই ।


হাহাহা, শেষটা আর একটু টানলে ব্লগে লুল খেতাব পেয়ে যেতাম যে :P

সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা । শুভকামনা সতত ।

৩১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

ইখতামিন বলেছেন:
গল্পটা খুব ভালো লাগল
মনটা ভালো নাতো... তাই

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: কেন ভাইয়া, মন ভাল নেই কেন ?


মন ভাল হয়ে যাক শরতের শুভ্রতায় :)

৩২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চমৎকার , ভালো লাগছে

প্লাস

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৩৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ, চমকপ্রদ! শক্তিশালী লেখনী।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু :)

৩৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কি আশা করে এলাম আর কি পেলাম । এমন প্রতারনা মানি না মানবনা। ;)


মামুন ভাই ভিন্ন ধারার লিখেছেন। ভালো লাগল বেশ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: কি আশা করেছিলেন কান্ডারী ভাই ??

নিঃসঙ্কোচে বলেন ;)


হাহাহা,



৩৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: লুল খেতাবের ভয়েই কি থেমে যাবে মধ্যরাতের অশ্বারোহী ?

:P :P :P

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা,


ভাই, ধীরে ধীরে.. ;) :-B

৩৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

শ্যামল জাহির বলেছেন: আলকাতরা হতে কামিনী শয্যা!
মান ভাঙিয়ে কোমল পরশ।
অতঃপর- পুলকে শিহরণে ভিজে যাওয়া শস্য-জমি।

ধীর বৈঠার নিপুণ ধাক্কায় নিখুঁত ভাবে তীরে পৌঁছাক তরী! :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: ওয়াও !! :| :#>


কিচ্ছু বলার নেই শ্যামল জাহির, জাস্ট অসাধারন !!!


কৃতজ্ঞতা জানবেন :) :)

৩৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

শায়মা বলেছেন: গল্পটা পড়েছি কিন্তু শিরোনামটা যেহেতু আমার রবিঠাকুরের গানের লাইন তাই যতবার প্রথম পাতায় সাম্প্রতিক মন্তবের ঘরে দেখছি ততবার গুন গুন করছি। আমার আবার যেকোনো গল্পেই শিরোনাম দিতে গেলেই রবিঠাকুরের গানের লাইনের চাইতে কোনো কিছুই এপ্রোপ্রিয়েট মনে হয়না। তাই নিয়ে কত মানুষ কত কিছু বলে কিন্তু আমি হেল্পলেস।


ভাইয়া গানটা মনে করিয়ে দেবার জন্য ও লেখাটার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: আমাদের বাঙ্গালী মন আর মননের সকল ভাব ও ভাষা এঁকে রেখে গেছেন তিনি, তার গান এবং কবিতায় । রবীন্দ্রনাথ ছাড়া প্রকৃত বাঙ্গালী অচল ।

আপনার মত আমারও অসম্ভব প্রিয় তিনি :)

৩৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার শিরোনামটা তো আমার আরও আরও হাওয়ার গান মনে পড়াচ্ছে।:(


আমার গাওয়া একটা ফাগুন হাওয়ার গান শোনো।:)

Click This Link

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

মামুন রশিদ বলেছেন: :) :)

৩৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া স্যরি :(


ভুল হয়ে গেছে। উপরের গান টা ফাগুন হাওয়ার না।:(

Click This Link



এটা ফাগুন হাওয়ার গান।:)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: আবার শ্রাবণ যদি পিছু দেয় ডাক,
ফিরিয়ে নেব মুখ
শ্রাবণে আমার সুখ
আমার শ্রাবণ আমারই থাক..


হাহাহা, রবীন্দ্রনাথের প্রতিটা গানই আমার প্রিয় । লিংক দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় শায়মা ।

:) :)

৪০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভিন্ন ধারায় ভালো লাগা।
সামুতে কতদিন পর গল্প পড়তে পারছি। কি যে হচ্ছে এই সাইটের।।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা দূর্জয় ভাই । :)


সামুর অসুখ বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে গেছে । সব কিছু ঠিক হয়ে যাক, এই কামনা করি ।

৪১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০১

আরজু পনি বলেছেন:

লেখার শুরুতে শিরোনামের সাথে মিল পাচ্ছিলাম না বা বলা যায় বুঝতেই পারি নি ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে আর তখন আমারও অল্প বয়সের একজন বলেই মনে হচ্ছিল জাহিদকে ।

তবে শিরোনামকে সার্থক করতে... বর্ণনায় যেয়ে অসাধারণ উপমা সহযোগে তা প্রকাশ করেছেন ... দারুণ !


দায়িত্বের যাতাকলে রোমান্টিক সম্পর্কগুলো কখন যে ফিকে হয়ে যায় সে খেয়াল কয়জনই রাখে ?

খুব ভালো লাগা রইল মামুন ।।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপু । আলটিমেটলি ইউ গট দিজ ।


অনুপ্রেরণা, সে তো শুরু থেকেই পেয়ে আসছি ।


কৃতজ্ঞতা :) :)

৪২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আমি বাচ্চা ছেলে, এইসব পড়িনা 8-|

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: সামু ক্যান যে বাচ্চা ছেলেপুলেকে ঢুকতে দেয়.. :P


আপনে বস, কবিতার রাজ্যে :)

৪৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আপনার লেখা অনেকটা কলকাতার গাড়ির মতো। নিশ্চয়ই জিজ্ঞাস করবেন, এইটা কি বললেন ভাই? আসলে অনেক আগে শুনেছিলাম এমন একটা কথা। কলকাতার গাড়ি নাকি স্টার্ট নেয়ার সাথে সাথেই দৌড়ায় না। কিছুক্ষন দম নেয়। এরপর ছুটতে শুরু করে। একটা হালকা মেজাজে শুরু হয়ে এরপর ছুটতে থাকে আপনার অনন্য গল্পগুলো। আর এর গতি তখন হয় (ঠিক কিসের সাথে তুলনা করি বলুন তো!)

ভালো লাগলো। আর ভালো থাকবেন। সব সময়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

মামুন রশিদ বলেছেন: উড়ছি কেন, কেউ জানিনা..


এত চমৎকার কমপ্লিমেন্ট পেলে কে না উড়তে চাইবে !!


অশেষ কৃতজ্ঞতা ।


:) :) :#>

৪৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দাম্পত্য জীবনের মধুর সম্পর্ক টা ফিকে হয়ে যায় অনেক সময় কাজের চাপে। এদিকে অনেকেই খেয়াল রাখেন না, বিশেষ করে মধ্য বয়সে। বৈঠা দিয়ে নৌকা চালাও জাহিদ । সন্তর্পনে, যেন মাছেরাও টের না পায় । ধীরে ধীরে বেয়ে পার হও শান্ত নদী । যেন অনন্তকাল ধরে তুমি বেয়ে চলেছ আমার তরী..
আপনার গল্পটা বেশ ভাল লেগেছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সপ্নাতুর আহসান ।


ভাল থাকবেন :)

৪৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

না মানে কি ! আমি ভেবেছিলাম খুব হার্ড টাইপ কিছু একটা হবে কিন্তু কেমন যেন সফট সফট লাগল। :P

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: হার্ড ই তো !! খোর দের কথা ভেবে সফট জিলেটিনে মুড়ে দিয়েছি ;) :P

৪৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: ঝরঝরে গদ্য! ভালো লাগলো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মারুফ মুকতাদীর :)

৪৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: সুন্দর.........
খুব ভাল লাগলো। অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম।অনেক সুন্দর অনেক গুছানো লেখা আপনার।
লেখায় +++++++++

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ।


প্রশংসায় ভাসলাম । শুভকামনা জানবেন ।


:) :)

৪৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

না পারভীন বলেছেন: দাম্পত্য সম্পর্কগুলোর শৈল্পিক রূপকারের অভাব ছিল । আজ তা পূরণ হল । শুভ কামনা মামুন ভাই ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: এত চমৎকার মন্তব্যে আপ্লুত হলাম আপু । অনেক অনেক ভাল লাগল ।


ভাল থাকা হোক সব সময় । শুভকামনা নিরন্তর ।


:) :)

৪৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

সোমহেপি বলেছেন: কয়দিন বাড়ির বাইরে আছেন ভাই?


ছুটিছাটা যে খুব দরকার। ;)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: সপ্তাহ খানেক ধরে চিটাগাঙে আছি । আজ রাতে সিলেট ফিরব । কবে আসছেন...??


আসার আগে অবশ্যই এইখানে একটু গুত্তা দিবেন । যাযাবর মানুষ তো, কোন দিক না কোন দিকে আবার বেরিয়ে পড়ি ।

দেখা হলে খুব ভাল লাগবে । ভাল থাকবেন :) :)

৫০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনার শক্তিশালী লেখনী শক্তির কারণে সাধারণ একটি পরিবারের নিত্যদিনের ঘটনাপঞ্জি অসাধারণ মূর্ত হয়ে ফুটে উঠেছে। গল্পে রূপক কিছু বাক্য ব্যবহার করার ফলে গল্পটির সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমে একটি স্বপ্ন দিয়ে গল্পটির সূচনা করলেও পুরো গল্পটিতেই দেখলাম স্বপ্নটির প্রভাব রয়ে গেছে। তাইতো এর জের ধরে জাহিদ আর শশীর মধ্যে মান-অভিমান, প্রেম আর ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে মধুর সমাপ্তি। জাহিদ আর শশীর বয়স বিবেচনায় গল্পটির নামকরণও সার্থক বলা যায়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষনি মন্তব্য পড়ে মুগ্ধ!


গল্পটি লেখার পর খুব শন্কা হচ্ছিল, পাঠক এটাকে কিভাবে নেবে । আপনাদের সুন্দর পজিটিভ মন্তব্যের কারনে এই ক্ষুদ্র লেখক নতুন করে ভাবার অনুপ্রেরণা পায় ।

দারুণ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা :)

৫১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

গোর্কি বলেছেন:
-কাহিনীর চিত্রপট এবং শব্দের ঝংকার খেলা করতে থাকবে ইন্দ্রিয়গুলোর সাথে। এখানেই তো ছোট গল্পের সার্থকতা।
-পঠনে খুব তৃপ্তি পেলাম।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর আর গঠনমুলক মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগল । অনুপ্রেরনা পেলাম ।


কৃতজ্ঞতা জানবেন :)

৫২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

বোকামন বলেছেন:
ধীরে ধীরে ধীরে বও ওগো উতল হাওয়া ...
কিন্তু গল্পটা আপনি অনেক দ্রুত বলে গিয়েছেন
গতির সাথে মনযোগ ঠিক ধরে রাখতে পারছিলাম না !
যদিও আরেক দৃষ্টিতে একে স্মার্ট লেখনীও বলা যেতে পারে।

গল্প কেউ বর্ননা করে থাকেন কেউ গল্পটা শোনাতে চান। আপনি হয়তো বর্ণনাতেই অধিক মনযোগী ছিলেন।

উপমার ব্যবহার অত্যন্ত আকর্ষনীয় ছিলো।
যেন খুব সুন্দর একটি দৃশ্যকে চিত্রিত করার জন্য বহূ রঙের ব্যবহার
খুব ভালো ....

হূম! পরিচিত মানুষগুলো কখনো ভীষণ অপরিচিত ....

লেখকের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো :-) :-)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: এত সুন্দর বিশ্লেষনী মন্তব্যে লেখকের মুগ্ধ হওয়া ছাড়া কিইবা করার আছে ।

পাঠকের ভাললাগা ভালবাসা সবটুকুন মাথা মেতে নেয়া ছাড়া..

খুব যে ভেবে চিন্তে লিখতে পারি তাও নয়, সীমাবব্ধতাটুকুও পাঠক যখন মেনে নেয়, কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে আসে ।

আর এই ভাললাগা ভালবাসাই ক্ষু্দ্র লেখকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থেকে যায় ।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় বোকামন :) :)

৫৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

তাসজিদ বলেছেন: শেষের দিকে এসে যখন মিলন পর্ব শুরু হল, আমি অবাক হয়ে দেখি আমার কলম দিয়ে ঝরঝর করে কবিতার মত লেখা আসছে । কোন পূর্ব ভাবনা ছাড়াই বিস্ময়করভাবে সঙ্গমের পূর্ণ কাব্যিক বর্ণনা লিখে ফেললাম :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#>

আমার ধারণা ভাবি আপনার ব্লগ পড়ে না। আর যদি পড়ে আমি ডেম sure, বারি একটাও মাটিতে পরবে না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ভাবী জানে যে এটা অন্য এক ভাবীর গল্প ;) :P

৫৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২২

তাসজিদ বলেছেন: আসলে বাস্তবতা হচ্ছে.....................its a part of our life.


একদিন এ ব্যাচেলর লাইফ শেষ হয়ে যাবে, ভাবতেই আমার বুক ধরফর করে। সংসার নামক জেলে বন্দী হতে চাই না।



আকাশে উড়তে চাই পাখির মত....................................


ভাবনাহীন

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: সংসার হলো দিল্লিকা লাড্ডু । খেলেও পস্তাবেন না খেলেও পস্তাবেন ।

বিজ্ঞজনেরা বলে খেয়েই নাকি পস্তানো ভাল :P

৫৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

নেক্সাস বলেছেন: মামুন ভাই অসাধারণ একটা গল্প। আমি প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

গল্পের কাহিনী খুব সাদামাটা বলা চলে অতি সাধারণ বৈচিত্রহীন। আমি নিজেও যে কয়টা গল্প লিখেছি সব কয়টি আমি সাদামাটা, যাপত জীবনের অনুভূতির সরল চিত্রণ। কিন্তু অনেক পাঠক আমার গল্প পড়ে মজা পাননা। তারা কাহিনীর প্রতি নির্দেশ করে বলেন কাহিনী অনুমেয়, সাদামাটা ইত্যাদি।

কিন্তু লেখক বলুন আর পাঠক বলুন আমার কাছে এই ব্যাপারে ভিন্নমত। আমি মনে করিনা গল্পের বৈচিত্র বা নানামুখি প্যাটার্ন গল্পের স্বার্থকতার একমাত্র কিংবা অন্যতম মানদন্ড। আমার কাছে সব গল্পের কাহিনীই জীবনের প্রতিচ্ছবি। কাজেই কাহিনী অনুমেয় বা সাদামাটা হতেই পারে। বরং গল্পের কাহিনী জীবন কে ছুঁয়ে যাওয়া বা যাপিত জীবনকে প্রতিফলিত করা, গল্পের একটা চমৎকার স্বার্থকতা। তাই বলে আমি বলছিনা যে গল্পের কাহিনী বিবেচ্য নয়। তবে গল্পের অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচ্য।

আমার কাছে গল্পের স্বার্থকতার অন্যতম মানদন্ড হিসেবে বিবেচ্য হয় গল্পের শিল্পমান। যে মানটি পরিষ্ফুট হয়ে উঠে কাহিনীর বর্নণা শৈলি, উপমার চমৎকার ব্যবহার, শব্দের গাঁথুনি এবং সর্বোপরি শুরু এবং শেষের মুন্সিয়ানা।

এই সব বিচারে আপনার গল্পটি আমার মনে দাগ কেটেছে ভোরের দোয়েলের শীষ ঝংকারের মত। যেন মগ্ন চৈতন্যে দোলা দিয়ে যাওয়া একখন্ড মৃদু বাতাস।

ধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত উপচে পড়ে ভাসিয়ে দেয় শুকনো জমি, শস্যের আঁধার । মিলিত শিৎকার ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে সিক্সথ সিম্ফনির সুর মূর্ছনায় স্থিমিত হয়ে আসে চরাচর । উপমার এমন শক্তশালী ব্যাবহার গল্পের ত্রিমাত্রিক সৌন্দর্য্য।


অনেক চমৎকার লেখার জন্য অভিনন্দন মামুন ভাই।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: আমি মনে করিনা গল্পের বৈচিত্র বা নানামুখি প্যাটার্ন গল্পের স্বার্থকতার একমাত্র কিংবা অন্যতম মানদন্ড। আমার কাছে সব গল্পের কাহিনীই জীবনের প্রতিচ্ছবি। কাজেই কাহিনী অনুমেয় বা সাদামাটা হতেই পারে। বরং গল্পের কাহিনী জীবন কে ছুঁয়ে যাওয়া বা যাপিত জীবনকে প্রতিফলিত করা, গল্পের একটা চমৎকার স্বার্থকতা। তাই বলে আমি বলছিনা যে গল্পের কাহিনী বিবেচ্য নয়। তবে গল্পের অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচ্য।

আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ রুপে একমত । কিছু গল্পের ক্ষেত্রে যেমন সাইফাই বা ভৌতিক, কাহিনী একটা বড় ব্যাপার । কিন্তু যে গল্পগুলো আমাদের জীবনের বিভিন্ন অংশকে প্রতিফলিত করে, সেখানে কাহিনী গল্পের একটা অনুসঙ্গ মাত্র । সেখানে কাহিনীর চেয়ে বড় হয়ে উঠে ডিটেইলিং, সিম্বল-সুররিয়েলিজম-মেটাফোর মিলে একটা রুপকল্প গড়ে উঠে । এই রুপকল্প পাঠককে ছুঁয়ে দেয় । সিম্বলের সাথে যদি মুক্তগদ্যের মেলবন্ধন ঘটানো যায়, তাহলে গল্পের আবেদন পাঠকের কাছে আরো বেড়ে যায় ।

এক সময় গদ্যে কাব্যিক কোমল শব্দগুলো পরিহার করা হত, গদ্য যেন হয়ে উঠে পুরুষালী । কিন্তু আজকে গল্পে রুপক-উপমা-এবস্ট্রাক্টিজম এর ব্যবহার এত নিপুন ভাবে করা হয় যে, মুক্তগদ্য সেখানে আসবেই ।

আপনার চমৎকার মুগ্ধকরা বিশ্লেষনী মন্তব্যে দারুণ লাগল নেক্সাস ভাই ।

কৃতজ্ঞতা জানবেন । সাথে শুভকামনা ।

:) :)

৫৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

হ্যাপি এন্ডিং গল্প ব্যক্তিগতভাবে পড়ে আরাম পাই না। তবে এটা পড়ে আরাম লেগেছে শব্দখেলার কারণে, সাবলীল।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । পড়ে আরাম পাওয়ায় আমারও ভাল লাগছে :)

৫৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

তাসজিদ বলেছেন: A married man

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, আপনিতো আগেই নিজেকে বন্দী করে ফেলছেন :P

৫৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৬

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: অত্যন্ত চমতকার এবং সুখপাঠ্য ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।


কেমন আছেন ?

৫৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন:
ইতিমধ্যে মস্তিষ্ক নিঃসৃত ডোপামিন জাগিয়ে দিয়েছে জাহিদের লাখো কোটি শুক্র সৈনিক । যুদ্ধসাজে ব্যারাক ছেড়ে বেরিয়ে আসে অনল প্রবল স্যুইসাইড স্কোয়াড । বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত উপচে পড়ে ভাসিয়ে দেয় শুকনো জমি, শস্যের আঁধার । মিলিত শিৎকার ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে সিক্সথ সিম্ফনির সুর মূর্ছনায় স্থিমিত হয়ে আসে চরাচর ।



সুখ সময় ভালো লাগলো লেখক..............

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর ।

৬০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ভাল আছি । আপনিও ভাল আছেন এই প্রত্যাশায় ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৬১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৭

নিয়েল হিমু বলেছেন: ভাল লাগায় ছেয়ে গেল :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিয়েল :)

৬২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

নিক নূরুল বলেছেন: একটানা পড়ে শেষ করেছিলাম। করেছিলাম বললাম এই কারণে, আজ নিয়ে তিনবার পরলাম। এইবারের বিশেষ ভালোলাগাটা মন্তব্য করতে পারার জন্য।

আমার কাছে গল্প এটাই। যা পড়ার সময় টিভি অথবা ঘড়ির দিকে চোখ যাবেনা, বাথরুম চাপবেনা অথবা ঘুম পাবেনা। বেঁচে থাকার জন্য শুধু নিশ্বাস চলবে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৬৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধীরে ধীরে ধীরে বও
ওগো উতল হাওয়া
সময় যে যায় বইয়া।
আমার হাতে রাইখা হাত
শুনো, কথা কি কয় জ্যোৎস্না রাত
তোমার চোখে আমার চোখে
নিদ্রাবিহীন ক্লান্ত পথে
জিরায়ে নিয়ো আমার লাগি
সুখের খোঁজ পাইয়া

=== রিমক্স করলাম। গল্প ভালো লাগলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, রিমিক্স ভালো হইছে :)

৬৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

শাহরিয়ার নীল বলেছেন: সুখ সময় ভালো লাগলো

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৪

মামুন রশিদ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার নীল ।

৬৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: ভালো লাগল।
আপনার গল্পের স্টাইলটা এখন কিছুটা ধরতে পারি। অনেকেই যখন খুব আনকমন থিম নিয়ে স্টান্ট গল্প লিখতে পছন্দ করে, বা গল্পের ভেতর খুব কমপ্লেক্স শব্দ ব্যবহার করে মেক আপ দিয়ে কনে সাজায়; আপনি তখন আপনার চারপাশের পরিমণ্ডলকে স্বাভাবিক ভাবে পরিমিত ভাষায় তুলে ধরেন আপনার গল্পে।

হ্যাঁ, আপনার চারপাশের মানুষদের অধিকার আছে গল্পে স্থান পাবার। চমৎকার লাগলো গল্পটি।

বাই দ্যা ওয়ে, চালশে বুড়োদের তারুন্য দেখে ইমপ্রেসড হলাম, যেইভাবে ভালোবাসা দৃশ্যের বর্ণনা দিলেন! ;) :P

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

মামুন রশিদ বলেছেন: চালশে বুড়োদের তারুন্য দেখে ইমপ্রেসড হলাম, যেইভাবে ভালোবাসা দৃশ্যের বর্ণনা দিলেন! ;) :P


হাহাহা । শুনেন ভ্রাতা, তারুন্য শুরুই হয় চল্লিশের পরে ;)

আপনার মন্তব্য পড়ে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাই ।

৬৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

গেন্দু মিয়া বলেছেন: দারুন বুনট গল্পের।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: কবি নিজে এসে প্রশংসা করে গিয়েছেন, আর কি চাই! ;) B-)

৬৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৮

উদাস কিশোর বলেছেন: শুরু থেকে সাদা মাটা ভাবে শুরু হওয়া একটা গল্পের পেছনে যে এত রস আছে বুঝতেই পারিনি !
আপনার লেখা গুলো যতই পড়ছি ,ততই নতুন কিছু শিখছি ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ কিশোর ।

৬৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৮

উদাস কিশোর বলেছেন: শুরু থেকে সাদা মাটা ভাবে শুরু হওয়া একটা গল্পের পেছনে যে এত রস আছে বুঝতেই পারিনি !
আপনার লেখা গুলো যতই পড়ছি ,ততই নতুন কিছু শিখছি ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: :)

৬৯| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০২

লিরিকস বলেছেন: +

২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.