নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগে ।

মামুন রশিদ

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগ...

মামুন রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অন্তর্যাত্রা ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৫





সূতপা'র আহ্লাদিপনা হঠাৎ কোন দিন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় । এরকম যে প্রতিদিন ঘটে তা নয় । অনেকদিন পর দেখা গেল কোন এক ঝলসানো দুপুরে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে গায়ের উপর । আচমকা চুমু খাবে কিংবা পেছন থেকে চুল ধরে দিবে হ্যাচকা টান । দুষ্টু মিষ্টি কথা বলে চারপাশের পরিবেশ মাতিয়ে রাখবে সেদিন । কালো মোটা চশমার রাশভারি চরিত্রের আড়ালে জেগে উঠবে অন্য নারী ।



সূতপা'র আহবান উপেক্ষা করার মত নয় । ও যে দিন আগ্রহী হয়ে উঠে, ঠিক ঠিক ষোলআনা আদায় করে নেয় । কোন পুরুষের এই খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার সুযোগ নেই । আমি সূতপাকে গভীর আবেগে কাছে টেনে নিই । সূতপাও নিজেকে মেলে ধরে, ভালোবাসার সুখ স্পর্শে নিজেকে বিলিয়ে দেয় আমার যেমন খুশি ইচ্ছের কাছে ।



সূতপা আমার স্ত্রী, ভেরি স্মার্ট এন্ড কিউট লেডি । সূতপা জীবনে আসার পর থেকেই আমার ক্যারিয়ার গ্রাফ দ্রুত উপরে উঠতে থাকে । হতাশায় নিমজ্জিত আমি সূতপার হাত ধরেই জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি । এক্সিকিউটিভ হিসাবে জব শুরু করে এখন আমি মার্কেটিং ম্যানেজার । সূতপাও একটা মুঠোফোন কোম্পানীতে মিড লেভেল জব করে । দুজনেই ক্যারিয়ারিস্ট, তাই একটা আপোষের ভিতর দিয়েই আমাদের জীবনটা এগিয়ে চলেছে । কেউই কাঊকে নিয়ে ঘাটাই না, ঘাটাঘাটি করে পাঁকে পড়ে থাকতে হয় । আমাদের এইম ইন লাইফ, প্রতিষ্টানে সমাজে উঁচু পদে থাকা । তাই সূতপা যখন আমার পিএস সিমি কে নিয়ে খোঁচা দেয়, সিমির উত্থিত যৌবন নিয়ে রসালো ইংগিত করে- দুজনের সম্পর্কের বাঁধনটাকে তা কখনোই অতিক্রম করে যায় না ।



সিমি বছর দুয়েক ধরে আমার পিএস হিসাবে আছে । নিজেকে উত্থিত যৌবনা হিসাবে প্রকাশ করার জন্য যা করা সম্ভব সবই করে । ড্রেস আপে সে কখনই স্থুল নয়, বরং সুক্ষ ভাবে নিজের ফিগার আর শরীরের সংবেদনশীল বাঁক গুলো প্রকাশ করাকে সিমি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে । প্রথমে চুপচাপ রিজার্ভ একটা ইমেজে নিজেকে প্রতিষ্টা করার চেষ্টা করলেও এখন সে আমার সাথে যথেষ্ট খোলামেলা । দৃষ্টি দিয়ে ভোগ করার পুরো অধিকারই সিমি আমায় দিয়েছে । নিঃশ্বাসের উঠানামার সাথে তার বুকের প্রতিবার দুলে উঠা যখন আমি ভোগ করি, রহস্যময় এক হাসিতে ছুঁয়ে যায় সিমির মুখ । সে হাসিতে প্রণয়ের আহবান স্পষ্ট হলেও এর বেশি আমি এগুইনা । ভীতু কোন কালেই ছিলাম না, তবে আমি পাঁড় ক্যারিয়ারিস্ট । আমার ক্যারিয়ার গুরুজনেরা আগেই বলে দিয়েছেন, প্রাইভেট সেক্রেটারি আর গাড়ির ড্রাইভার হলো মালিক পক্ষের ফাঁদ । এদের কখনই বিশ্বাস করবে না । আমার স্মুথ ক্যারিয়ারে আমি কোন স্পট রাখতে চাইনা । সিমির উত্থিত বুকের অশান্ত উর্মিমালা তাই আমার কাছে ক্যালেন্ডারে ঝুলে থাকা মুক্তবক্ষ যৌবনবতি নারীমূর্তি ছাড়া কিছুই নয় ।



মার্কেটিং ম্যানেজার হিসাবে আমার কাজ কোম্পানীর মান্থলি আর ইয়ারলি সেলস টার্গেট এচিভ করা, যা আমি ভালভাবেই করি । এটা এচিভ করার জন্য ম্যানেজারদের মূল অস্ত্র ‘পিক এন্ড ফায়ার’ পলিসি । যে তোমাকে টার্গেট করে দিচ্ছে তাকে তুমি খুশি কর আর যে পারেনা তাকে ছুড়ে ফেলে দাও । কিন্তু আমার ট্রেনিং গুরু রবার্ট ব্রাউনি শিখিয়েছেন অন্য জিনিস । সেলস ম্যানদের কাছে টেনে নাও, তাদের কাঁধে তোমার স্পর্শ দাও । ওরা যখন তোমাকে বিশ্বাস করবে, তোমার উপর আস্থা রাখবে- তুমি যাই টার্গেট দাও তা এচিভ করে দিবে । টাকা-প্রমোশনের চেয়েও স্যালস ম্যানের কাছে বড় মোটিভেশন বসের পারসোনাল টাচ, যা একই সাথে কাজের পরিবেশকেও নির্মল রুপ দেয় । সেলস টীমকে মোটিভেশনের ক্যাপস্যুল খাইয়ে আমি দিব্যি টার্গেট এচিভ করে চলেছি । ইনসেন্টিভ-বোনাস কম দিলেও আমি ওদের রোজ মোটিভেশন দিই । রিজিওনাল এবং ডিস্ট্রিক ম্যানেজারদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপ করি, ওদের পারিবারের খোঁজ খবর নেই । আর এতে সেলসের পাশাপাশি কোম্পানীর প্রফিটেবিলিটি বেড়ে গিয়ে আমার ক্যারিয়ার পাথওয়ে আরো স্মুথ হয়ে যায় । সেলস কলিগ ছাড়াও কোম্পানীর ইন্টারনাল এবং কর্পোরেট স্টেকহোল্ডারদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্ল্যানিং-অরগানাইজিং নিয়ে কথা বলার ব্যস্ততার মাঝে দিন পার হয়ে যায় ।



সেলস কলিগদের সাথে মোটিভেশনাল কমিউনিকেশন সেশন অফিস থেকে বাসা অবধি চলতে থাকে । বাসায় এসেও ওদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হয়, ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে ডিশিসান দিতে হয় । বাচ্চা দুটো এসে মাঝে মাঝে বায়না ধরে, বাপী এটা দিতে হবে! ওখানে যেতে হবে! বাচ্চাদের প্রয়োজনের দিকে আমাদের দুজনেরই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি । কারণ যা কিছু করছি সবই ওদের ভবিষ্যতের জন্য । সূতপা’র করিতকর্মা মা অবশ্য আমাদের কাজ আরো সহজ করে দিয়েছেন, ঊনার পরিচিত একজন মিস্ট্রেসকে বাচ্চাদের দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে । ভদ্রমহিলা আমাদের সঙ্গেই থাকেন এবং বাচ্চাদের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে চলেছেন । সূতপা’র শিফটের জব, সপ্তাহে তিনদিন ডে, বাকি তিনদিন ইভেনিং শিফট । সূতপা’র যখন ইভেনিং ডিউটি থাকে আমি তখন বাসায় পুরোদমেই অফিস চালাতে পারি । ডে-ডিউটির দিনেও তেমন একটা সমস্যা হয় না । বাসায় থাকলে সন্ধ্যার পর থেকেই সূতপা ল্যাপ্পীতে সামাজিক যোগাযোগ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । কাদের সাথে তার এই আত্মমগ্ন নিবিড় যোগাযোগ, তা নিয়ে না ভাবাই আমাদের সুখি সংসারের গোপন মন্ত্র । তাছাড়া সূতপা ফেসবুকে ব্যস্ত থাকে বলেই আমিও নির্বিঘ্নে আমার অফিসের কাজ বাসায় বসে করতে পারি ।



হাল আমলের এইসব সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোকে দু’চোখে দেখতে পারি না । মানুষের কাজের স্পৃহাকে নষ্ট করে দিয়ে অলস বানিয়ে দেয় এই সব সাইট । যখন একজনের ক্যারিয়ার ডেভলাপমেন্টের দিকে কেয়ারিং হওয়া উচিত, তখন সে এসব আজে বাজে সাইটে ঘুরে বেড়ায় । আমি আগে মাঝে মাঝে ঢুকতাম । বিরক্তিকর লাইক-পোকিং, সাথে স্কুলমেটদের পূনর্মিলনি, কলেজ-ভার্সিটির এলামনাই- কি হবে এসব করে! সেই স্কুল লাইফে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় পড়তে এসেছি, আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাইনি । কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কাটিয়েছি, কোন শিকড় না গেড়েই । শিকড় গাড়লে এক জায়গায় পড়ে থাকতে হয় । এজন্য হয়ত কোথাও বন্ধুবান্ধব তেমন জোটেনি, কিন্তু এটা নিয়ে কোন খেদও নেই । জীবনে সামনে এগিয়ে যেতে হয় । আমার কাছে ক্যারিয়ার করাই বড় কথা । আমার অর্গানাইজেশনে আমি একদিন কান্ট্রি ম্যানেজার হব, ক্রমে এশিয়া-প্যাসিফিকের সিইও হওয়া আমার চুড়ান্ত স্বপ্ন ।



আমার নিজের তেমন ঘনিষ্ট বন্ধুবান্ধব না থাকলেও আমাদের পারিবারিক বন্ধু আছে । সূতপা’র সবচেয়ে প্রিয় দুই বান্ধবী রাশা আর সোহেলী, ওরা আবার সূতপা’র কলিগও । এই তিন বান্ধবীর সৌজন্যে আমরা তিন বন্ধু পরিবার । সম্পর্কের ঘনিষ্টতা এতই যে মনে হয় একই পরিবার । প্রতি মাসেই কারো না কারো সৌজন্যে পার্টি হয় । মাঝে মাঝে আমরা দলবেঁধে ক্লাবে নাইট পার্টিতে এটেন্ড করি, নিজেদের বৌদের কোমড় জড়িয়ে নাচি । পৃথিবী শুদ্ধ লোকেদের দেখাতে চাই, দেখ আমরা কত সুখি! নেচে গেয়ে ক্লান্ত হয়ে হার্ডড্রিন্কস পান করি, পরষ্পরের সুস্বাস্থ্য কামনা করে । রাশা আর সোহেলীর হাজবেন্ড প্রায়ই হ্যাং আউট হয়, ওদের স্ত্রীরা তখন ধরে টরে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে । তারপর কৃত্রিম রাগ দেখিয়ে বলবে, আগেই বলেছি ওসব ছাইপাশ খেয়োনা! আমি আর সূতপা হালকা বিয়ার খাই । সূতপা হ্যাং আউটের ভয়ে হুইস্কিতে চুমুক দেয় না কিনা আমি জানি না । তবে আমি খাইনা আমার ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে । একজন মার্কেটিং ম্যানেজারকে চব্বিশ ঘণ্টা তার জব নিয়ে ভাবতে হয় । হ্যাং আঊট হওয়া স্মুথ ক্যারিয়ারের জন্য মোটেই ভাল কাজ নয় ।



সূতপা তার বান্ধবীদের সাথে এতটাই ঘনিষ্ট যে, আমার পিএস সিমি কে নিয়ে খোঁচাখুঁচি ওর বান্ধবীরাই আগে শুরু করে । সূতপা প্রথমে খুব ভাব ধরে, করুক না! যা খুশি করুক! আমি তো ওকে পুরো স্বাধীনতা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি! তারপর আস্তে আস্তে তার গলায় ঝাঁঝ বাড়বে । জানি তো, অফিসে তার কি কাজ খুব ভালই জানি! সিমির বুবসের ভিতর মুখ ঢুকিয়ে রাখাই হল তার কাজ! সূতপার কথা শুনে তার বান্ধবীরা হিহি করে হেসে উঠে । আর আমি মাথা নিচু করে সত্যি সত্যি সিমির বুকের সুতীক্ষ্ণ ধার মাপার চেষ্টা করি । আমাদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাঝে কোনকিছুই গোপন থাকে না । সবচেয়ে ভয়ংকর যে তথ্যটি সূতপা এদের কাছে ফাঁস করেছে, সেটা সে সবার কাছে বেশ রসিয়েই বলে । সূতপা বলে, ‘আগে জানতাম দুনিয়ার বড় বড় আবিষ্কারের ধারণা মানুষ পায় বাথরুমে বসে, আর সৈকত তার মার্কেটিংয়ের ইনোভেটিভ আইডিয়া আর টিপস আবিষ্কার করে সহবাসের সময়!'



আমরা শুধু ঢাকায় আড্ডা দেইনা, তিন পরিবার মিলে ঢাকার বাইরেও বেড়াতে যাই । বিশেষ করে রোজার ঈদে ঢাকার বাইরে কোন রিসোর্টে কয়েকদিন থেকে আসি । আড্ডা দেই, মজা করি আর স্পেশাল বারবিকিউ নাইট উদযাপন করি । তিন পরিবারের বাচ্চাদের মাঝেও প্রগাঢ় বন্ধুত্ব । কোরবানীর ঈদে সাধারনত দেশের বাইরে যাওয়া হয় । অফিস থেকে ইয়ারলি ফরেন ট্যুর পাই । এই সুযোগে পরিবার নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসি । আসছে কোরবানীর ঈদে ভুটান যাচ্ছি । সূতপা আর আমাদের ছেলেমেয়ে জিহান-রাহী ভুটান ট্যুরের উত্তেজনার আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে আছে ।



ভুটান যাওয়ার আগে মা'কে একটা ফোন করা দরকার, কোরবানীর টাকা-পয়সা বাড়িতে পাঠাতে হবে । মা'কে ফোন দেয়া একটা যন্ত্রনা, শুধু বলবে কবে বাড়ি আসবি? আরে বাবা, বাড়িতে আমার কি কাজ? টাকা-পয়সা যখন যা লাগে সেতো পাঠাচ্ছিই । কত করে বলি, মা শুধু শুধু গ্রামে থেকে কষ্ট করছ কেন, আমার কাছে চলে আস । মা কিছুতেই আসবে না, গ্রামে থেকে একা একা কষ্ট করবে তবু আসবে না । যদিবা গাড়ি পাঠিয়ে কখনো ঢাকায় আনি, দুদিন পরেই যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাবেন । মা আমাদের বাসায় আসলে সূতপাও খুশি হয়, যদিও এই খুশি কতটুকু শ্বাশুরির প্রতি ভালোবাসায় আর কতটুকু বাচ্চাদের জন্য এক্সট্রা একজন কেয়ারটেকার পাওয়ায়- আমি নিশ্চিত নই ।



মা'কে ফোন করতেই সেই একই কথা, এবারও আসবি না? কত বছর হলো তুই বাড়ি আসিস না, তোর কি একবারের জন্য বাপ-দাদার ভিটেমাটি দেখতে মন চায় না! ভুটানে বেড়াতে যাওয়ার কথা মা'কে বলি । আরো বলি পরেরবার অবশ্যই যাব । মা পরিষ্কার কন্ঠে জানিয়ে দেন, তোরা বাড়ি না আসলে কোন টাকা-পয়সা পাঠানোর দরকার নাই । এটা শোনে আমি বিব্রত বোধ করি, কথা না বাড়িয়ে সূতপার দিকে ফোনটা বাড়িয়ে দিই । সূতপা কিছু সময় আলাপ করে ফোন রেখে দেয় । আমার দিকে তাকিয়ে বলে, আমরা বাড়ি যাব না শুনে মা কাঁদছেন ।



অফিসে ঈদের বন্ধের আগে কাজের খুব চাপ যাচ্ছে । মাসের সেলস টার্গেটের আশি ভাগ বারো তারিখের ভিতরে করতে হবে । এটা করার জন্য স্পেশাল সেলস প্রমোশন অফার করা হয়েছে । ম্যানেজারদের সাথে নিয়ে ডিরেক্টরস আর সিইও স্যারের সাথে জরুরী মিটিং চলছে । সিইও স্যারের একটাই কথা, মনিটরিং বাড়াও! টার্গেট এচিভ না করে কোন কলিগ যেন বাড়ি না যায় । মিটিংয়ের মাঝে আমার নিজের বাড়ির কথা মনে পড়ে, কানে বাজছে 'মা কাঁদছেন'!



অফিসের এডমিন সেকশন থেকে জানানো হয়, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে ঈদের আগের দিন ভুটানের টিকেট কনফার্ম করা হয়েছে । আমাদের ট্যুর অপারেশন গাইডের পক্ষ থেকে একটা ব্রুসিয়ার এসেছে, ট্যুরে সাথে কি কি নিতে হবে সেটার বিস্তারিত গাইডলাইন । গাইডলাইনের পয়েন্টগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ছি, হঠাৎ লেখাগুলো অস্পষ্ট হয়ে আসে । কানে বাজছে, 'মা কাঁদছেন'!



কড়া মনিটরিং আর ঈদ বোনাস আটকে দেয়ার হুমকি কাজে লেগেছে । সেলস টীম ঈদের আগেই বেঁধে দেয়া টার্গেট এচিভ করেছে । ছুটির আগে অফিসের শেষদিন তাই অনেকটা ফুড়ফুড়ে মেজাজেই কাটলো । সবাই ঈদের আগাম শুভেচ্ছা আর ভুটান ট্যুরের শুভকামনা জানিয়েছে । আগে আগেই বাসায় ফিরেছি, রাতের ভিতরে লাগেজ গোছাতে হবে । কাল দুপুরে ভুটানের ফ্লাইট । বাসার আসার পরই সূতপা জিজ্ঞেস করে, তোমাকে এমন বিমর্ষ লাগছে কেন? আমি 'কিছু না' বলে এড়িয়ে যাই । সূতপা আরো চেপে ধরে, মায়ের সাথে কথা বলছ না কেন? মা'কে কষ্ট দিয়ে বাইরে যাওয়া কি ঠিক হবে?



সূতপা'র কোন কথাই যেন আমি শুনতে পাচ্ছি না । আমার কানে কেবলই বাজছে, 'মা কাঁদছেন'! জিহান-রাহী আমার কাছে এসে দাঁড়ায়, বাপী এনিথিং রং? তোমার মন খারাপ কেন? জিহানের কথার কোন উত্তর দিই না, ওদের দুজনকে জড়িয়ে ধরি । সূতপা কাছে এসে আমার কাঁধে হাত রাখে, 'গত পাঁচ বছর বাড়ি যাওয়া হয় না, আগে মা কোনদিন এত মন খারাপ করেনি, কাঁদেনি । আমার নিজেরই খুব খারাপ লাগছে'!



ঈদ উপলক্ষে ড্রাইভার আগেই ছুটি নিয়েছে, তাই নিজেই ড্রাইভ করছি । আমার পাশে জিহান, পেছনে সূতপা আর রাহী । গাড়ী নতুন ফ্লাইওভার দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলেছে । না আমরা এয়ারপোর্টে যাচ্ছি না, যাচ্ছি গ্রামের বাড়িতে । গাড়িতে একটা চাপা নীরবতা, সবাই চুপচাপ । ভুটান ট্যুর মিস হওয়ার ডিপ্রেশন এখনো আমাদের কাটেনি । তবে সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মিলেই নিয়েছি, জিহান-রাহীও খুশি মনে রাজী হয়েছে দাদু বাড়ি যেতে । চার ঘন্টা বিরামহীন চলার পর অবশেষে আমরা আমাদের জেলা শহর ছাড়িয়ে গ্রামে যাবার রাস্তায় চলে এসেছি ।



আমাদের এলাকাটা নিচু, রাস্তার দুই পাশের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ এখনো শেষ বর্ষার পানিতে থৈ থৈ করছে । আমন ধানের গাছগুলো বাতাসে দুলছে । একটা মিষ্টি গন্ধ এসে লাগছে নাকে, গন্ধটা আমাকে নস্টালজিক করে দিচ্ছে । অনেক বছর পর যেন ফিরে চলেছি আমার শৈশবের পথে । দুপাশের বিস্তৃত সবুজ দেখে জিহান অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, বাপী পানিতে সবুজ এগুলো কি? আমি উত্তর দেই এগুলো ধান গাছ, আমন ধান । জিহান বোকার মত বলে উঠে, আমি তো ভেবেছিলাম ধান গাছ অনেক বড় হয় । জিহানের বোকা বোকা কথা শুনে সূতপা আর রাহী হেসে উঠে । সূতপা বলে, কেন বাবা! তুমি প্যাডি চিনো না! তুমি তো প্যাডি ফিল্ডের ছবি আঁকো? জিহান বলে, এটা প্যাডি ফিল্ড! প্যাডি ফিল্ড না গোল্ডেন হয়! আমরা আবার হাসি । তারপর ওকে বুঝিয়ে বলি, ধান যখন পেকে যাবে তখন পুরো মাঠ সোনালী রঙে ভরে যাবে ।



আমাদের বাড়ির ভিতরে গিয়ে গাড়ি থেকে নামি । গাড়ির শব্দ পেয়েই মা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, সৈকত আসছিস! হ্যাঁ মা, বলেই আমি গাড়ির ব্যাককভার খুলে জিনিসপত্র বের করতে লেগে পড়ি । সূতপা এগিয়ে গিয়ে মা'কে সালাম করে । জিহান-রাহী কিছুক্ষন অবাক হয়ে মায়ের দিকে থাকিয়ে থাকে । মা কাছে ডাকতেই দুজন গিয়ে মা'কে জড়িয়ে ধরে । আমি আড়চোখে মায়ের সাথে আমার পূত্র-কণ্যার জড়াজড়ি দেখি । নাকে একটা সোঁদা গন্ধের ঝাঁঝ আমাকে পাগল করে তুলে । এ গন্ধ আমার খুব পরিচিত, এ গন্ধ আমার মায়ের শরীরের । কর্পোরেট ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার লিফ্টিং আর মডার্ণ লাইফস্টাইল সব কিছু পেছনে ফেলে আমি আমার মায়ের শরীরের ঘ্রান শুঁকি । আমার পূত্র-কণ্যা নয়, যেন আমিই জড়িয়ে ধরেছি আমার মা'কে, পরম মমতায় ।











********************সমাপ্ত******************



প্রিয় 'স্বপ্নবাজ অভি'র মা'কে নিয়ে কিছু লেখার আহবানে আমিও শামিল হলাম ।

মন্তব্য ১৪৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
কিছুটা অংশ মনে হয় আপনার ফেবুতে পড়েছিলাম।
কৌতুহল নিয়ে বাকিটা পড়তে বসছি!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথম কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ কবি ।


কৌতুহল আনন্দদায়ক হোক । শুভকামনা ।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ অসাধারন লাগল
শুভকামনা +

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু ।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কর্পোরেট যান্ত্রিক পতিত জীবন থেকে মায়ের কাছে ফিরে আসার অনুভূতির চমৎকার প্রকাশ ঘটেছে গল্পে। মায়েরাই তো পারেন এমন অনুভূতির পরশ দিতে!

দারুণ গল্প, প্রিয় মামুন রশিদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রায় দু'হাজার শব্দে যা ঠিকমত লিখতে পেরেছি কি না সন্দেহ হয়, মাত্র একটা লাইনে কি অদ্ভুত সুন্দর ভাবে তা আপনি প্রকাশ করে ফেলেছেন!

আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইন দিয়ে আমি এই গল্পটির ফেবু শেয়ার দিয়েছি :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব ।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আনএক্সপেক্টেড ছিল !
খুব ভাল্লাগলো ॥

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: কোনটা আনএক্সপেক্টেড ছিল?


ভাল লাগায় খুব আনন্দ পাচ্ছি ।

ভাল থাকবেন মুন । শুভকামনা ।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ,

একজন মা'য়ের জন্যে একজন সন্তানের নাড়ীর টানটি অনতিক্রম্য ।
গল্পে নয় , আমাদের সবার দিনযাপনের মাঝে ও যেন এমোন টানের দেখা মেলে ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: একজন মা'য়ের জন্যে একজন সন্তানের নাড়ীর টানটি অনতিক্রম্য ।

সহমত । কর্পোরেট ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার, আধুনিক জীবন-যাপন কিছুই সন্তানকে মা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না ।

বাস্তবে এই টান আরো বেশি ঘটে, বাস্তবের মা-সন্তান সম্পর্কের মাধুরি গল্প-উপন্যাস লিখে শেষ হবে না ।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, চমৎকার মতামত প্রদানের জন্য ।

শুভ কামনা ।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
এটা গল্প না, যেন আমার আশেপাশের চেনাশোনা কারো একটুকরো জীবনের গল্প।

"মা পরিষ্কার কন্ঠে জানিয়ে দেন.................."

মামুন ভাই, অনেক মায়েরাই বৃদ্ধ বয়সে বা সন্তান বড় হলে কেন জানি স্ট্রেট কাট পারসোনালিটি দেখান না। মায়ের স্পষ্ট কোথায় সাড়া না দিয়ে থাকতে পারবে এমন সন্তান এখনো অনেক বিরল। যেমন এই গল্পের নায়ক সৈকত।

গল্পটা আপনার লেখা, সুন্দর তো হবেই!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: এটা গল্প না, যেন আমার আশেপাশের চেনাশোনা কারো একটুকরো জীবনের গল্প।

হ্যাঁ, আমাদের জীবনে আমাদের চারপাশে এই গল্পগুলো বাস্তবে ঘটছে ।

চমৎকার বিশ্লেষণে মুগ্ধ হয়েছি ।

অনেক ধন্যবাদ অস্পিসাস প্রেইস ।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ফেসবুকে কিছুটা পড়েছিলাম। অপেক্ষায় ছিলাম বাকিটা পড়ার।শহুরে অস্তিত্বকে পেছনে ফেলে মাটির টানে ছুটে চলার কি অসম্ভব সুন্দর গল্প!! সুতপার সাথে সৈকতের সম্পর্কটা চমৎকার লেগেছে।স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা বোধহয় এমনই হওয়া দরকার!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের রসায়নটা এখানে অন্যরকম, মানে দুজনেই সমান সমান..

সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা জেনো আপু ।

শুভ কামনা ।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সু্ন্দর একটা গপ! গপের মাঝে টিল এন্ড মনোযোগ ধরে রাখার উপাদান আছে ।

অট - আমি লাস্ট ৩ সপ্তাহ ধরে ভাবছি মা'কে নিয়া একটা গপ লেখমু বাট একদম ই পারছিনা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

মামুন রশিদ বলেছেন: লিখে ফেলেন ভাইজান । মা'কে নিয়ে কিছু লেখা গৌরবের, আনন্দের ।

ঈদের দিন সবাই যখন গরু কাটায় ব্যস্ত, আমি তখন ল্যাপ্পীর কি-বোর্ডে আঙুল চালাচ্ছিলাম । মা পাশেই ছিলেন, তাই মায়ের সতেজ গন্ধ নিয়েই অনুভবের গল্পটা লিখেছি ।

ভালো থাকবেন, শুভকামনা ।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

সুমন কর বলেছেন: নাগরিক ব্যস্ততা নিয়ে দারুণ গল্প। শেষটা একটু আন্দাজ করতে পারছিলাম। কিন্তু আপনার লেখনি শক্তির জন্য একটানে পড়ে গেলাম।
খুব ভাল হয়েছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন কর । মন্তব্যে ভালোলাগা ।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

আমিনুর রহমান বলেছেন:



আপনি ভালোই জানেন আমি গল্প খুব কম পড়ি। কিন্তু এই গল্পের কোথাও পড়তে একটুও অন্যমনা হইনি। এক নিমিষে পড়েছি।

এবং


নাকে একটা সোঁদা গন্ধের ঝাঁঝ আমাকে পাগল করে তুলে । এ গন্ধ আমার খুব পরিচিত, এ গন্ধ আমার মায়ের শরীরের ।


এই লাইনের পর চোখের জল থামাতে পারিনি মাকে মনে পড়ছে। ২ বছর প্রায় হয়ে গেলো দেখা হয়নি মায়ের সাথে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: মায়ের নাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসা আমরা অকৃতজ্ঞ সন্তান । তবু মা মমতাময়ী, ক্ষমা করে দেন আমাদের সকল সীমাবদ্ধতা । আর সন্তানও তাই আজীবন বয়ে বেড়ায় মায়ের নাড়ি কাটা আঁতুর ঘরের সোঁদা গন্ধ ।

আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা । ছুটি নিয়ে কয়েকদিন থেকে আসেন মায়ের সাথে ।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

গোর্কি বলেছেন:
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়ির তীরে — এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় — হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠাঁলছায়ায়;
হয়তো বা হাঁস হব — কিশোরীর — ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারা দিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে-ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়।


মা, মাটি, মায়া ও মমতার টান!

সুখময় সমাপ্তি। পাঠে ভাললাগা জানাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

মামুন রশিদ বলেছেন: আমি মা'কে নিয়ে মায়ের শরীরের সোঁদা গন্ধ নিয়ে গল্প লিখলাম, আর আপনি প্রিয় কবি জীবনানন্দের জন্মদিনে তার মা-মাটির কাছে ফিরে আসার বিখ্যাত কবিতা দিয়ে মন্তব্য দিলেন । ব্যাপারটা সত্যিই চমৎকার!

মা,মাটি, মায়া ও মমতার টান!

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গোর্কি ।

শুভকামনা নিরন্তর ।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

বোকামন বলেছেন:
গল্পটা খুব আপন মনে হলো অনেকটাই চেনা ....।
বরাবরের মতই চমৎকার লেখনী ...

আসলে মা কে নিয়ে লেখায় বাড়তি কিছু বলার বা লেখার ভাষা থাকে না। আর্দ্র হৃদয়ে তাই ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ।

আপনার সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনায়
শুভেচ্ছান্তে ...

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয় বোকামন,

মা তো মা ই, চিরন্তন মায়া । সব মায়ের গল্পই তাই চিরচেনা নিজের মায়ের । সব মায়ের গল্পই তাই আপন ।

আপনার প্রশংসায় সর্বদাই প্রীত হই, হই আপ্লুত ।

ভালো থাকা হোক সব সময় ।

শুভকামনা সতত ।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গ্রামে ফেরা, সোঁদা গন্ধে মন উচাটন হওয়া সেসব মায়ের বা নাড়ির টানেই আসে। মায়ের প্রতি যে অনুভব সে কোনও অনুভবের সাথেই তুলনীয় নয়।

ভালো লেগেছে পড়তে। কর্পোরেট সত্ত্বার নিচের মানুষটি যে এখনো বেঁচে আছে বা বেঁচে থাকে সেটাই যেন উঠে এলো লেখায়।

শুভকামনা রইলো মামুন ভাই

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: কর্পোরেট সত্ত্বার নিচের মানুষটি যে এখনো বেঁচে আছে বা বেঁচে থাকে সেটাই যেন উঠে এলো লেখায়।

চমৎকার করে গল্পের জিস্ট বলে দিয়েছেন অপর্ণা ।

সত্যিই, মায়ের প্রতি যে অনুভব সে কোনও অনুভবের সাথেই তুলনীয় নয় ।

একগাদা বানান ভুল ছিল, ঠিক করে দিয়েছি ।

ভালো থাকবেন । শুভকামনা ।

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন।

মা কে নিয়ে লিখার এ প্রয়াস চলুক।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় দূর্জয় ।


আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে আমাদের মা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেন সকল পন্কিলতা এড়িয়ে ।

শুভকামনা ।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্পের শুরুতে একবারও মনে হয়নি শেষটা আপনি এভাবে করবেন। সুতপা, সিমি, কর্পোরেট জীবন, পার্টি আরও নানা কাজের মাঝে ব্যাস্ত থাকা একজন মানুষের মনটা হঠাৎ মায়ের জন্য আকুল হয়ে উঠবে এটা ভাবিনী।

ভাবছি মা কে নিয়ে কিছু একটা লিখে আমিও এই মিছিলে শামিল হব।

অনেক ভাল লেগেছে গল্প মামুন ভাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, যাক আপনাকে চমকে দেয়া গেলো :)

প্রত্যেক মানুষের কাছেই তার মায়ের জন্য বিশেষ একটা জায়গা থাকে ।

লিখে ফেলুন মা'কে নিয়ে চমৎকার একটা গল্প । মা'কে নিয়ে কিছু লিখতে পারায় আনন্দ আর গৌরব দুটোই আছে ।

চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা জানবেন নাজিম ।

শুভকামনা নিরন্তর ।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৪

এহসান সাবির বলেছেন: ওহ!!! দারুন লিখেছেন ভাই.....

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই ।

গল্প ভালো লেগেছে জেনে প্রীত বোধ করছি ।

শুভ কামনা ।

১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম .....বেশ ভালো লাগলো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বর্ষণ ।

গল্প প্রিয়তে নেয়ায় সম্মানিত বোধ করছি ।

ভাল থাকবেন । শুভকামনা ।

১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:













মা ........ :( :( :(

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: মায়েরা সন্তানের কাছেই থাকেন সব সময় । অদৃশ্য আঁচলে আগলে রাখেন তার প্রিয় পুত্র কণ্যাদের ।

১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সুন্দর গল্প। শব্দের গাঁথুনি আর দৃশ্যকল্প নির্মাণে সচেতনতার আভাস পাওয়া যায় যে কারণে আড়াল থাকে না লেখকের দক্ষতাটুকুও।
তবে সমাপনীটা মাকে জড়িয়ে ধরবার পর এগিয়ে যাওয়াটা খুব একটা যুৎসই লাগে নি।

মূলত আমার পাঠক মন

আমার পূত্র-কণ্যা নয়, যেন আমিই জড়িয়ে ধরেছি আমার মা'কে, পরম মমতায় ।
-এ অংশটুকুর পর এগোতে চায় নি।

ভালো থাকুন আর লিখুন এমনই সব দারুণ বাখানি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: জুলিয়ান ভাই, কেন যে আপনাকে এত ফিল করি তা সব সময় বুঝাতে পারি না । ব্লগে লেখালেখির মানেই তো এটা যে লেখালেখি নিয়ে ভাল-মন্দ কিছু আলাপ হবে । ভাল বললে সবারই ভাল লাগে । কিন্তু ক্রিটিক একজন লেখককে পরিশোধিত হতে অনেক সহায়তা করে ।

আমরা যারা ব্লগে টুকটাক লিখেই লেখক হয়েছি, আমাদের জন্য এই ক্রিটিক খুবই দরকার । যেমন আপনার এই কমেন্টে একটা চমৎকার জিনিস শিখলাম, একটা গল্প কোথায় সমাপ্ত হবে তারও একটা নিয়ম আছে ।

আপনার আলোচনা খুবই ভাল লেগেছে । কমেন্ট পড়ার পর আমি এটা নিয়ে ভেবেছি, চেষ্টা করেছি বিষয়টা বুঝার । আর শেষে আপনার সাথে একমত পোষণ করে গল্পের শেষটা পরিবর্তন করে দিয়েছি ।

আমি জীবনে দু'কলম লিখিনি, এই ব্লগে এসে ব্লগারদের লেখা পড়ে লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছি । যা কিছু শিখেছি, যা কিছু লিখি সবই এই ব্লগ থেকে অর্জন করেছি ।

ভাল থাকবেন জুলিয়ান ভাই ।

শুভকামনা সতত ।

২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

কয়েস সামী বলেছেন: ঝরঝরে মেদহীন শব্দবুননে গল্পটি বেশ ভাল লাগল। শুভেচ্ছা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কয়েস সামী ।

আপনার প্রশংসায় মন ভরে গিয়েছে ।

ভাল থাকবেন । শুভকামনা ।

২১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: যখন শুরু করেছিলেন তখন মনে হয় নি শেষ টা এমন হবে !
চমৎকার একটি গল্প !
"মা" কে নিয়ে অনলাইনের নোংরামী দূর করার দায়িত্ব টা সবার , ফেসবুকে আরো বেশী ছড়াতে হবে ! আমিনুর ভাই একটা পথ দেখিয়ে দিয়েছেন কি করে এগুলোকে রিপোর্ট করা যায় , কালকেই একটা ইভেন্ট খুলে ফেসবুকের মাধ্যমে সবাইকে দাওয়াত দিবো ! একটা টাইম ফ্রেম ঠিক করে আমরা রিপোর্ট করবো , তবে প্রচুর রিপোর্ট লাগবে , আর আমাদের লিখাগুলোর প্রচুর শেয়ার , ভিজিট !
চমৎকার গল্পের পোষ্টে শুভেচ্ছা মামুন ভাই !

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয় অভি, শেষটা এখনো শুরু হয় নি । আমাদের যেতে হবে আরো অনেকটা পথ । মা'কে, মায়ের ভাষাকে পন্কিলতামুক্ত করতে আরো করতে হবে অনেক কিছু ।

ফেবুতে ইভেন্ট তাড়াতাড়ি খুলেন । টাইম ফ্রেম করে এক সাথে রিপোর্ট করার আইডিয়া চমৎকার ।

ভাল থাকবেন অভি । শুভকামনা ।

২২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা গল্প। শব্দ চয়ন, বর্ননা, দৃশ্যায়ন বেশ ভালো লাগল। তবে আমিও জুলিয়ানদার সাথে একমত।
আমার পূত্র-কণ্যা নয়, যেন আমিই জড়িয়ে ধরেছি আমার মা'কে, পরম মমতায় ।
-এখানে থামার পর আবেগটা বেশি অনুভব করেছি।

অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কা_ভা । আপনার প্রশংসায় উদ্দীপনা পাচ্ছি ।

হ্যাঁ, জুলিয়ান ভাইয়ের সাথে আমিও একমত পোষণ করেছি এবং গল্পের শেষে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি ।

আমার ব্লগে সমালোচনা স্বাগত, কারণ ক্রিটিক একজন লেখককে পরিশোধিত করে ।

আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা ।

২৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৭

ইলুসন বলেছেন: সুন্দর। মন ভাল করে দেয়ার মত একটা গল্প।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইলুসন ।


আপনার ব্লগ ঘুরে এলাম । খুব চমৎকার লিখেন আপনি, কিন্তু এত কম লিখেন কেন?

ভাল থাকবেন । শুভ কামনা ।

২৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪১

নিয়েল হিমু বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: বিশাল প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ নিয়েল ।


ভাল থাকবেন ভাইয়া । শুভকামনা ।

২৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৭

ভিয়েনাস বলেছেন: কর্পোরেট জীবন এখনো গ্রাম্য জীবন কে গ্রাস করতে পারবেনা যতক্ষন না আমরা নিজে থেকে গ্রাস হচ্ছি। ঈদ বা বিভিন্ন উৎসবে পারিবারিকভাবে সবাই এক সাথে মিলিত হওয়ার মতো আনন্দ আর কোথাও পাওয়া যাবেনা।

মায়ের কাছে থাকলে ইচ্ছে করেই খাওয়া শেষে মায়ের শাড়ির আঁচলে হাত মুখ মুছি কারন মায়ের আঁচলের গন্ধটা আমাকে ভীষণভাবে টানে ভীষণ মিষ্টি মায়াবী একটা গন্ধ। মাকে মনে পড়ে গেল।

গল্প পড়তে পড়তে নসটালজিক হয়ে পড়লাম ভাইজান।বিশেষ করে শেষেরটুকু পড়ে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: কর্পোরেট জীবন এখনো গ্রাম্য জীবন কে গ্রাস করতে পারবেনা যতক্ষন না আমরা নিজে থেকে গ্রাস হচ্ছি। ঈদ বা বিভিন্ন উৎসবে পারিবারিকভাবে সবাই এক সাথে মিলিত হওয়ার মতো আনন্দ আর কোথাও পাওয়া যাবেনা।

খুব সুন্দর বলেছেন কবি ।

তবে ইদানিং আমাদের সমাজে একটা শ্রেনীর ঈদ বা অন্য কোন ভ্যাকেশনে দেশের বাইরে বা দেশের ভিতরেই কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্রবনতা বেড়েছে । শন্কা জাগে যদি এই প্রবনতা মাস পিপলকে গ্রাস করে । তাহলে মানুষ আস্তে আস্তে বাড়ি বিমূখ হবে, এক পর্যায়ে বৃদ্ধ মা-বাবাকে হোমসে রাখার প্রবনতা আসবে ।

এই সিচুয়েশন আমরা কিছুতেই চাই না । মায়ের আঁচলের ভীষণ মিষ্টি আর মায়াবী গন্ধটা আমরা হারাতে চাই না ।

হ্যাঁ, গল্পের শেষের অংশটুকু সত্যিই আবেগী । বিশেষ করে আপনারা যারা প্রবাসে থাকেন, আপনাদের জন্য খুব নস্টালজিক ।

যখনই সুযোগ পান, ফিরে আসুন বারেবারে মায়ের কাছে, মায়ের আঁচল তলে ।

শুভকামনা সতত । ভাল থাকুন সব সময় ।

২৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৪

শ্যামল জাহির বলেছেন: মা'কে নিয়ে লিখা দারুণ লাগলো।
শুভ কামনা মামুন ভাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শ্যামল জাহির ।

শুভ কামনা আপনার জন্যেও ।

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৮

তাসজিদ বলেছেন: আমাদের কারই শিকড় ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়।

কারণ শিকড় না থাকলে কি গাছ বেচে থাকে?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন তাসজিদ । আমাদের কারোই শিকড় ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়। কারণ শিকড় না থাকলে গাছ কখনো বেঁচে থাকে না ।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অসাধারণ লেখনী, একটা পোষ্ট পড়েই আমি আপনার স্থায়ী ভক্ত হয়ে গেলাম।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, কি বলব! ধন্যবাদ দিলেতো কম দেয়া হবে!


তবে আমি আপনার ভক্ত হয়েছিলাম অনেক আগেই । আপনি আমার বাড়ির সামনে থেকে ঘুরে এসেছেন, কমলা রানীর দিঘী'র (সাগর দিঘী) কি চমৎকার সব ছবি তুলে এনে পোস্ট দিয়েছেন । আপনার ঐ পোস্ট আমি কত বার যে শেয়ার দিয়েছি, হিসাব রাখিনি ।

আপনার ভ্রমন পোস্ট আমি নিয়মিত পড়ি ।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য :)

২৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: এই যান্ত্রিক জীবনে কর্পোরেট জীবনের মায়া ছেড়ে বের হওয়া খুব কঠিন । আর মায়ের ভালবাসা না চাইতেই পাওয়া যায় দেখে হয়ত আমরা ঠিক টানটা অনুভব করিনা ।

গল্প ভাল লাগা রইল ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: এই যান্ত্রিক জীবনে কর্পোরেট জীবনের মায়া ছেড়ে বের হওয়া খুব কঠিন । আর মায়ের ভালবাসা না চাইতেই পাওয়া যায় দেখে হয়ত আমরা ঠিক টানটা অনুভব করিনা ।


খুব সুন্দর বলেছেন । তবে শেষ অবধি মায়ের ভালোবাসার কাছে তুচ্ছ হয়ে যায় কর্পোরেট মায়া ।

ধন্যবাদ আপনাকে । শুভকামনা নিরন্তর ।

৩০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

সোমহেপি বলেছেন: গল্প ভাল লাগা রইল ।


ami banglai comment korte partechina

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সোমহেপি ।


ভাল থাকবেন সব সময় ।

৩১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: একজন শেকড়হীন আপাত আবেগ বর্জিত কর্পোরেট দাসের নীড়ে ফেরার গল্প; মায়ের আঁচলে ফেরার গল্প বেশ ভাল লেগেছে। গতিশীল বর্ণনা ও বাক্য গঠনে চমৎকার মুন্সিয়ানা আপাত দৃষ্টির সাধারন একটি গল্পকে অসাধারন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
উঁচু মানের লেখা, পরিপূর্ণ লেখা মনে হয় এরেই বলে।

ভাল থাকুন, প্রিয় লেখক; আর এমনি করে সাহিত্যের ভান্ডার পূর্ণকরতে থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: একজন শেকড়হীন আপাত আবেগ বর্জিত কর্পোরেট দাসের নীড়ে ফেরার গল্প; মায়ের আঁচলে ফেরার গল্প।


মাত্র একটা বাক্যে পুরো গল্পটাকে তুলে এনেছেন ভাইয়া ।

আপনার কাছ থেকে সর্বদাই একটু বেশি ভালোবাসার প্রশ্রয় পাই ।

আপনার অনুপ্রেরণা আর উদ্দীপনামুলক প্রশংসায় উৎসাহ অনেক বেড়ে যায় ।

ভাল থাকবেন ভাইয়া । শুভকামনা নিরন্তর ।

৩২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

নিমচাঁদ বলেছেন: একে আমি বলবো , ঘরের মানুষ ঘরে ফেরার গল্প , শেকড়ে ফেরার রক্তজাত আবহমান ইচ্ছে পূর্ণ করার গল্প।
লিখতে থাকুন মামুন ভাই ,
হাত মকশো হচ্ছে ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, এটাই তো চাই! দিনে দিনে হাত মকশো হোক, সময় যে বেশি নাই..


দারুন বল্লেন! ঈদের দিন সবাই যখন গরু কাটায় ব্যস্ত, আমি ল্যাপ্পীর কি-বোর্ডে খুজে ফিরেছি ঘরে ফেরার শব্দ । শেকড়ে ফেরার রক্তজাত আবহমান ইচ্ছে সেদিন পূর্ণতা পায় মায়ের আঁচলের সোঁদা গন্ধ মাখা কিছু শব্দে ।

আর আমি খুজে পাই একটা গল্প ।

অনেক ধন্যবাদ নিমচাঁদ ভাই ।

শুভকামনা আপনাকে, ভাবীকে আর অসম্ভব কিউট তিনটি বাচ্চাকে :)

৩৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২১

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প... থিমটা এক কথায় চমৎকার... অনেক ভালো লাগল :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ।


শুভকামনা আপনার জন্য ।

৩৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

একজন আরমান বলেছেন:
কি বলবো বুঝে উঠতে পারছি না। কি বলে শুরু করি?

কেউই কাঊকে নিয়ে ঘাটাই না, ঘাটাঘাটি করে পাঁকে পড়ে থাকতে হয় । আমাদের এইম ইন লাইফ, প্রতিষ্টানে সমাজে উঁচু পদে থাকা ।

লাইন দুটি মাথায় গেঁথে গেছে।

মার্কেটিং নিয়ে পড়লেও আমার এতো বড় হবার কোন আশা নেই। কারণ আমার স্বপ্নরা মধ্যবিত্ত। আমার বাবা আমার জন্মের আগে থেকে মার্কেটিং লাইনে আছেন, এখন অবধি ! ছোট বেলা থেকেই তার ক্যারিয়ারের উথাল পাতাল দেখেছি। ২০১০ সালে কার এক্সিডেন্টে বাবা'র পা ভেঙ্গে গিয়েছিল। প্রাইভেট ইউনিতে পড়ছিলাম তখন। টাকার কষ্টটা তখন বুঝতে পেরেছিলাম। বাবা আমাকে বলেছিলেন, "টার্গেট এচিভ না করলে আমি যতো বড়ই হই না কেন আমার কোন দাম নেই। আম গাছে আম ধরছে না? কেটে বাড়ির দরজা বানাও আর না হলে লাকড়ি বানাও ! আমি যদি কাজ না করতে পারি কেউ আমাকে খাওয়াবে না আবার তেমনি আমি যদি কাজ করি তবে আমাকে না খেয়ে মরতে হবে না।" তখন বলেছিলাম, "বাবা অনেক টাকা আমি আয় করবো। কতো টাকায় সুখ পাওয়া যায়?" বাবা হেসে বলেছিল, "বাবা সুখ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। কেউ ৫০০০ টাকা আয় করেও সুখে আছে আবার কেউ ৫ কোটি টাকা আয় করেও সুখে নেই !" বাবার সেই কথা আমার আজীবন মনে থাকবে। আর তাই আমার চিন্তা ধারায়ও এরপর থেকে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

গল্পের শেষটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে এই কমেন্ট যখন টাইপ করছি তখন আমার চোখের কোণে জল ! স্মৃতিরা বড় খারাপ।

গল্প কেমন লেগেছে সে কথা নাই বা বললাম। অনেক সময় কিছু কথা না বললেও চলে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: "বাবা সুখ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। কেউ ৫০০০ টাকা আয় করেও সুখে আছে আবার কেউ ৫ কোটি টাকা আয় করেও সুখে নেই !"

আপনার বাবার কথাটা শতভাগ সত্যি । উনার জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাই ।

কর্পোরেট লাইফে ভোগবাদিতাকে উস্কে দেয়া হয় । এখানে অত্যন্ত সুকৌশলে একজনের মনের ভিতরে ধারণা গেঁথে দেয়া হয় যে, গাড়ি-বাড়ি-স্ট্যাটাস এর চাকচিক্যময় জীবনই হলো প্রকৃত আনন্দের । আপনি বেশি ইনকাম করবেন, পৃথিবীতে আপনিই বেশি ভোগ করবেন ।

গল্প পড়ে আপনার আবেগাক্রান্ত হওয়া দেখে আমার মনটাও বিষাদে ছেয়ে গেছে । আবার ভালও লেগেছে এই ভেবে যে, আমার গল্প কাউকে নাড়াতে পারেছে ।

অনেক অনেক শুভকামনা আরমান । জীবনের চলার পথ হোক কন্টকবিহীন, আনন্দময় ।

৩৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: কর্পোরেট কালচারের নিখুঁত বর্ণনার সাথে নীড়ে ফেরার আকুতি, এই দুইয়ের সম্মিলন খুব ভালো হয়েছে। চমৎকার লাগলো গল্পটা।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: কর্পোরেট কালচারের বর্ণনা বেশির ভাগই কল্পিত, তবু আপনার প্রশংসা আমাকে আশ্বস্ত করেছে । মায়ের কাছে না ফেরার দুটো সম্ভাব্য লজিক, কর্পোরেট লাইফের ভোগবাদিতা বা প্রবাস জীবন- দুটোর মধ্যে আমি প্রথমটাকেই বেছে নিয়েছি । কারণ এই জীবন সম্পর্কে আমি মোটামুটি জানি ।

ব্যাপারটা আমার জন্য একটু কঠিনই ছিল । কর্পোরেট লাইফের ব্যস্ততা ঠিকমত আঁকতে না পারলে নীড়ে ফেরার আকুতি মেকি হয়ে যেত ।

গল্পটা খুব বেশি ভেবে লিখিনি হামা ভাই । আমি এবার গ্রামের বাড়ি গিয়েছি বেশ কয়েক বছর পর । স্বাভাবিক ভাবেই খুব আপ্লুত ছিলাম । ঈদের নামাযের পর অখন্ড অবসর আমাকে প্রলোভিত করে নীড়ে ফেরা নিয়ে কিছু একটা লিখতে ।

কিছু একটা লিখে আপনার মন্তব্য দেখার জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করি । আপনার প্রশংসা সব সময়ই অনুপ্রেরণায় নতুন জ্বালানী যোগায় ।

শুভকামনা নিরন্তর ।

৩৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

আশিক মাসুম বলেছেন: আমার পূত্র-কণ্যা নয়, যেন আমিই জড়িয়ে ধরেছি আমার মা'কে, পরম মমতায় ।


অসাধারণ সমাপ্তি। ভাল লাগা জানিয় গেলাম।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আশিক মাসুম । বিবাহোত্তর শুভেচ্ছা :)


গল্পের সমাপ্তির পেছনে জুলিয়ান ভাই আর কাল্পনিক_ভালোবাসা'র সাজেশন কাজে লাগিয়েছি ।

ভালো থাকবেন ।

৩৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

নেক্সাস বলেছেন: কর্পোরেট কালচারের অভিঘাত, বাস্তবতা আর নীড়ে ফেরার আকুতি।

সুন্দর গল্প মামুন ভাই

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: 'কর্পোরেট কালচারের অভিঘাত'- শব্দটা খুব মনে ধরেছে ভাই । কর্পোরেট কালচারের এত এত বর্ণনা দিয়ে আমি যা বুঝাতে পারিনি, তা আপনি এক শব্দেই বুঝিয়ে দিলেন । একেই বলে 'শব্দ শিকারি'!

লম্বা একটা ঈদ ছুটি কাটিয়ে এলেন । নিশ্চয়ই সময়টা প্রিয়জনদের সাথে আনন্দে কেটেছে ।

শুভ কামনা ।

৩৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

অদৃশ্য বলেছেন:





শুরু করেছি... কালকে আশাকরি শেষ হবে


মামুন ভাইয়ের জন্য
শুভকামনা...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি ।


গল্প পাঠ আনন্দময় হোক ।

ভালো থাকবেন সব সময় । শুভকামনা ।

৩৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাইসুল সাগর বলেছেন: বেশ ভালোলাগলো মামুন ভাই। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রাইসুল সাগর । ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হয়েছি ।


আপনার জন্যেও শুভকামনা ।

৪০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৫

জুন বলেছেন: তাসজিদ বলেছেন: আমাদের কারই শিকড় ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়।

কারণ শিকড় না থাকলে কি গাছ বেচে থাকে?

একমত মামুন । ফেবুতে পড়েছিলাম কিছু অংশ ।
খুবই উচ্চমানের একটি লেখা

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, তাসজিদ খুব সুন্দর বলেছেন ।


অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুনাপু । আপনার ভালোলাগা, আপনার প্রশংসা পাওয়া আমার জন্য বিশেষ কিছু ।

আপনার স্নেহাশিস সব সময় পেয়ে আসছি । কৃতজ্ঞতার ভাষা জানা নেই ।

ভালো থাকবেন আপু ।

অনেক অনেক শুভকামনা ।

৪১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

সাধারণমানুষ বলেছেন: সুন্দর গল্প ভাই

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ । ঘুরে এলাম আপনার ব্লগ ।

৪২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

তওসীফ সাদাত বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে !!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তওসীফ সাদাত । কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

৪৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

মাহবু১৫৪ বলেছেন: খুব ভাল লাগলো লেখাটা

++++++

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ মাহবুব ভাই ।


ভাল থাকবেন । শুভকামনা ।

৪৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আমার ভবিষ্যতটা আমি কখোনই চাইবো না এইরকম কর্পোরেট হয়ে যাক ।

সেক্ষেত্রে পরীক্ষার যন্ত্রণা সহ্য করে হলেও আমি ছাত্রজীবনেই থাকতে চাই ।

গল্পে অনেক অনেক ভালোলাগা !

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: আমার ভবিষ্যতটা আমি কখোনই চাইবো না এইরকম কর্পোরেট হয়ে যাক ।

এটা হওয়া উচিতও নয় ।

ভালো থাকবেন মন্ত্রী মহোদয় ।

শুভকামনা নিরন্তর ।

৪৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৫

বৃতি বলেছেন: সুন্দর গল্প, বিশেষ করে শেষের অংশটুকু চমৎকার লেগেছে! ভাল লাগা জানবেন ভাইয়া :) :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বৃতি ।


গল্প ভালো লাগায় আমারও ভালো লাগছে
:):)

৪৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: পরিচিত সিনারিও, দারুন গল্প।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, আপনিতো কর্পোরেট জগতের ভিতরের মানুষ তন্ময় ভাই ।


হ্যাঁ, দৃশ্যগুলো আমাদের পরিচিত । আমি গল্পে শুধু লিংক করে দিয়েছি ।

অনেক ধন্যবাদ । শুভকামনা ।

৪৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: অনেকটা অটোবায়োগ্রাফি ধারায় কাহিনী , বর্ণনা সব ই পারফেক্ট। শেষে কোন নাটকীয়তা নয় সাবলীল সত্য জীবনের চিত্র। মানুষ দেখাইছেন সিম্পলি মানুষ যার লোভ আছে, নফস আছে আছে সেই ব্যাপারে যথাযথ বোধ এবং কিছু শুদ্ধ অনুভুতিও। বেশ ভালো লাগল। শুভ কা্মনা

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: মানুষ দেখাইছেন সিম্পলি মানুষ যার লোভ আছে, নফস আছে আছে সেই ব্যাপারে যথাযথ বোধ এবং কিছু শুদ্ধ অনুভুতিও।

খুব চমৎকার বলেছেন রাবেয়া । হ্যাঁ, সব কিছু মিলিয়েই তো মানুষ ।

উত্তম পুরুষে গল্পের বর্ণনা অনেকটা অটোবায়োগ্রাফি ধাঁচের হয়ে যায় । একটায় নিজের কথা বলে, অন্যটায় নিজের গল্পের চরিত্রের কথা বলে ।

অনেক ধন্যবাদ । মন্তব্যে ভালোলাগা ।

৪৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

অদৃশ্য বলেছেন:






______ অসাম ______


আপনার লিখাগুলোর মাঝের আরেকটি অনন্য সাধারণ লিখা প্রিয় মামুন ভাই... চরমভাবে অনুভব করলাম মুহুর্তগুলো



শুভকামনা...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার কমপ্লিমেন্ট পেয়ে অনেক আনন্দ পেলাম ।


লেখালেখির উৎসাহটা এই ভাবেই বোধ হয় আসে ।


ভাল থাকবেন প্রিয় অদৃশ্য । শুভকামনা ।

৪৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

আমি ইহতিব বলেছেন: সবাই একে একে মিছিলে সামিল হল, আমিই পারছিনা :(

শুরু দেখে ভাবতেও পারিনি শেষটা এতো সুন্দর হবে। ভালো লাগলো।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: লিখে ফেলুন আপু, কোন এক অবসরে ।

মা'কে নিয়ে লেখা গৌরবের, আনন্দের ।

গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

সম্পর্কের যুগপূর্তি, ভালোবাসাবাসির যুগপূর্তি আনন্দময় হোক । আনন্দময় হোক দুজনার সারাটি জীবন ।

শুভকামনা ।

৫০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: শেষ ২ প্যারা এতো বেশি দারুন লেগেছে ভাইয়া!! ভাষা নাই প্রশংসা করার !! আরো লিখতে থাকুন মা-কে নিয়ে এমনিভাবে!
আমরা যারা পারিনা, তারা উতসাহ দিয়ে যাব!! :( চেষ্টাও করবো!!

অনেক অনেক ভালোলাগা!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ।


লিখতে পারেন মা'কে নিয়ে, আনন্দ পাবেন ।


ভাল থাকবেন । শুভকামনা ।

৫১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

তাসজিদ বলেছেন: তবে বাস্তবত কিন্তু নিষ্ঠুর, অমানবিক। বাস্তবে most of the people choose the foreign tour.

কারণ আমরা কম বেশি লোভি

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ফরেন ট্যুর ভাল ব্যাপার । কিন্তু মা'কে দুরে একা ফেলে, এমনকি বছরে একবারের জন্যেও মা'কে দেখতে না গিয়ে ভ্যাকেশনে ফরেন ট্যুর নিশ্চয়ই ভাল কথা নয় ।

আমাদের এই লোভ ভোগবাদের ফল । ভোগবাদিতার পথে হাটতে গিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের পারিবারিক আর সামাজিক বন্ধন আজ কোন পর্যায়ে, সেটাও ভেবে দেখার বিষয় ।

৫২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

আম্মানসুরা বলেছেন: আমদের আধুনিক জীবনের চাকচিক্য সব কিছু চোখ ছুয়ে যায় কিন্তু মা ও মাট সে যে মনের অংশ!!!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অবশ্যই, মা ও মাটি সে যে মনের অংশ ।

মধু পূর্নিমা দীর্ঘায়িত হোক । সারাটা জীবন কাটুক জ্যোস্নায় ভিজে ।

শুভকামনা :)

৫৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

toysarwar বলেছেন: সদ্য ট্রান্সফার অর্ডার হাতে পেয়েছি। বাসা থেকে চলে যেতে হবে দূরে। ইদানীং কেবলই মায়ের কথা মনে আসে। মায়ের হাতের খাবার পাব না, বাসায় আসলে মা বকা দেবে না এমন ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করেই খালি ভাবি আচ্ছা আমি কার কাছে সব কথা খুলে বলব ওখানে? মা চলে গেলে কার কাছে বলব? এগুলো ভাবতে ভাবতে চোখে পানি আসে।

কেবল মা কাঁদে না। কাঁদে সন্তানরাও।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৪

মামুন রশিদ বলেছেন: কেবল মা কাঁদে না। কাঁদে সন্তানরাও ।


এই কান্না আনন্দের, গৌরবের ।


শুভকামনা । নতুন কর্মক্ষেত্র আনন্দময় হোক ।

৫৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় মামুন ভাই,

গল্পের শুরুতে আপনার গল্প বলার কৌশল, শব্দের গাঁথুনি, পরিস্থিতির বর্ণনা ও নির্মাণ দেখে আমি অভিভূত হচ্ছিলাম। একটা জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন, এবং কোন্‌ মুন্সিয়ানায় তা সমাপ্ত করবেন তা দেখবার জন্য উদ্‌গ্রীব হচ্ছিলাম। কিন্তু গল্পটা মাঝপথে এসে অন্যদিকে টার্ন নিল। অর্থাৎ, গল্পটা এক আবহ থেকে অন্য আবহে চলে গেলো। প্রসঙ্গ পালটে গেলো। যেভাবে শেষ করেছেন সেটার জন্য শুরুতে সিমির শরীরের বর্ণনা ও তার প্রতি নায়কের আকর্ষণ, ইত্যাদি বর্ণনাগুলো আমার কাছে একান্ত অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে।

গল্পটার এরূপ পরিসমাপ্তির জন্য প্রথম দিকের অংশে কিছু সংযোজন-পরিমার্জনের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমার মনে হয়।

‘মা কাঁদছেন’- এ কথাটার পুনারবৃত্তিতে যেন বার বার মায়ের ডাকই শোনা গেলো, এবং অবশেষে সেই মায়ের কাছেই ফিরে যাওয়া হলো।

আলাদা উপাখ্যান হিসাবে যদি দেখি- দুটোই খুব সৃজনশীল ছিল। কিন্তু গল্প যেহেতু একটা- প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের অবকাশ রয়েছে প্রচুর।

ভালো থাকুন মামুন ভাই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ ভাই, আমরা যারা ব্লগ পড়তে পড়তে লিখতে শিখেছি, আমাদের লেখনী পরিশোধনের জন্য ক্রিটিক খুব দরকার । কিন্তু ব্লগে এই ধারা নেই বললেই চলে । আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি আপনি গল্পের কিছু ব্যাপারে সুপরামর্শ দিয়েছেন বলে । জুলিয়ান ভাইও একটা ব্যাপার ধরিয়ে দিয়েছেন, যা ইতিমধ্যে সংশোধন করে দিয়েছি ।

ব্লগের লেখা কোনভাবেই চুড়ান্ত কিছু নয়, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে লেখা পূনর্বিন্যাস এবং সমন্বের সুযোগ আছে বলেই ব্লগ মাধ্যম অনন্য ।

গল্পের প্রথম অংশ নিয়ে আমারও কিছু খুতখুত ছিল । আসলে কর্পোরেট কালচারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাওয়া একজন আপাত শেকড়হীন মানুষের পতিত স্রোতে গা ভাসানো দেখানোই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য ।

নীড়ে ফেরা, মায়ের কাছে ফেরার আকুতি আমাদের সব সময় । আমার কাছে মনে হয়েছিল, কর্পোরেট লাইফের অতি ব্যস্ত আলো-আধারী ঠিকমত তুলে ধরতে পারলে নীড়ে ফেরার মায়ের কাছে ফেরার আকুতিটা জাস্টিফাই হবে । আর পতিত অন্ধকার থেকে মায়ের আঁচলের সুভাস, এই টার্নটাই হলো গল্পের উপজীব্য ।

আপনার মার্ক করা ব্যাপারটা বিষয়টি নিয়ে ভাবতে আমাকে উৎসাহিত করছে ।

শুভকামনা সোনাবীজ ভাই । ভাল থাকবেন সব সময় ।

৫৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১১

ডানাহীন বলেছেন: ভোগবাদিতার চেয়েও বেশি দায়ী উচ্চাকাঙ্খা আর আত্মকেন্দ্রিকতা .. যাই হোক পড়ে ভালো লাগলো ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডানাহীন । ভালো থাকবেন ।

৫৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভালই লাগল :)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ।


ভাল থাকবেন । শুভকামনা ।

৫৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

"আমি আড়চোখে মায়ের সাথে আমার পূত্র-কণ্যার জড়াজড়ি দেখি । নাকে একটা সোঁদা গন্ধের ঝাঁঝ আমাকে পাগল করে তুলে । এ গন্ধ আমার খুব পরিচিত, এ গন্ধ আমার মায়ের শরীরের । কর্পোরেট ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার লিফ্টিং আর মডার্ণ লাইফস্টাইল সব কিছু পেছনে ফেলে আমি আমার মায়ের শরীরের ঘ্রান শুঁকি । আমার পূত্র-কণ্যা নয়, যেন আমিই জড়িয়ে ধরেছি আমার মা'কে, পরম মমতায় "
একেবারে আবেগআপ্লুত হলাম।বুকের ভিতর যেন হাহাকার করে ওঠলো।
++++++++++++++++++++++++++++++++

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভাল লাগছে আপনাকে পেয়ে প্রিয় খেয়া ঘাট ।


অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা ।

৫৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: খুব ভাল লাগল ভাইয়া। চমৎকার লিখেছেন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ।


শুভকামনা রইলো । ভাল থাকবেন ।

৫৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

শায়মা বলেছেন: সেই যে আমার মা
বিশ্ব ভুবন মাঝে তাহার হয়না তুলনা.....

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার!


ভাল থাকবেন শায়মা । শুভকামনা ।

৬০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: গল্প বলার স্টাইল, শব্দের গাঁথুনি, স্টারটিং, ফিনিশিং এর মুন্সিয়ানা দেখে অভিভূত। শেষটা বেশ চমৎকার।

ব্লগার ''সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই'' সহমত না জানিয়ে স্যালুট জানাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সপ্নাতুর আহসান ।


শুভকামনা নিরন্তর ।

৬১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: শুভকামনা রইল।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৬২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: প্রথমে আমি কি ভাবলাম আর শেষে এসে কি হলো !!! অভিভুত হলাম অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়ে । কিছু বাক্য তো চোখে লেগে থাকলো ! শুভেচ্ছা জানবেন!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, ধন্যবাদ প্রিয় শাহরিয়ার ।

আপনার লেখা অস্থির কিছু গল্প পড়ার অপেক্ষায় আছি । গত মাসে খুব মিস করেছি আপনার গল্প ।

ভালো থাকবেন । শুভকামনা ।

৬৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: দূর্দান্ত! মোহিত হলাম। শুভকামনা রইল।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।

৬৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: "মা'কে ফোন করতেই সেই একই কথা, এবারও আসবি না? কত বছর হলো তুই বাড়ি আসিস না, তোর কি একবারের জন্য বাপ-দাদার ভিটেমাটি দেখতে মন চায় না! ভুটানে বেড়াতে যাওয়ার কথা মা'কে বলি । আরো বলি পরেরবার অবশ্যই যাব । মা পরিষ্কার কন্ঠে জানিয়ে দেন, তোরা বাড়ি না আসলে কোন টাকা-পয়সা পাঠানোর দরকার নাই । এটা শোনে আমি বিব্রত বোধ করি, কথা না বাড়িয়ে সূতপার দিকে ফোনটা বাড়িয়ে দিই । সূতপা কিছু সময় আলাপ করে ফোন রেখে দেয় । আমার দিকে তাকিয়ে বলে, আমরা বাড়ি যাব না শুনে মা কাঁদছেন ।"


"মিটিংয়ের মাঝে আমার নিজের বাড়ির কথা মনে পড়ে, কানে বাজছে 'মা কাঁদছেন'!"

মামুন ভাই, অসাধারণ হয়েছে। খুব ভালো লাগলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রায়ান । ভালো থাকবেন ।

৬৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২

নাছির84 বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে। কিন্তু আপনার লেখার গাঁথুনী এর চেয়েও ভাল এবং শানিত। বিশেষ করে কাহীনির শুরু এবং পরিসমাপ্তির ধাঁচটা একরকম নয়। একটু তাড়া ছিল কি ?
সে যাই হোক,....আমি আড়চোখে মায়ের সাথে আমার পূত্র-কণ্যার জড়াজড়ি দেখি । নাকে একটা সোঁদা গন্ধের ঝাঁঝ আমাকে পাগল করে তুলে । এ গন্ধ আমার খুব পরিচিত, এ গন্ধ আমার মায়ের শরীরের । কর্পোরেট ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার লিফ্টিং আর মডার্ণ লাইফস্টাইল সব কিছু পেছনে ফেলে আমি আমার মায়ের শরীরের ঘ্রান শুঁকি । আমার পূত্র-কণ্যা নয়, যেন আমিই জড়িয়ে ধরেছি আমার মা'কে, পরম মমতায় "
....এই লাইনগুলো অনবদ্য। ভাল থাকবেন মামুন ভাই।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প লেখায় তাড়া ছিল না, তবে কোরবানীর ঈদের দিন হঠাৎ করে প্লট মাথায় এসেছিল । এক সিটিংয়েই গল্পটা লিখে শেষ করেছিলাম ।

অনেক ধন্যবাদ নাছির । ভালো থাকবেন ।

৬৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

শাহরিয়ার নীল বলেছেন: দারুন....!!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার নীল ।

৬৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সুন্দর গল্প +++++

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ।

৬৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৪

সুপণ শাহরিয়ার বলেছেন: সেইভ করে নিলাম। পড়ে মন্তব্য করবো কাল। ধন্যবাদ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সুপণ শাহরিয়ার । গল্পের ভালো-মন্দ জানিয়ে গেলে খুশি হব ।

৬৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

একলা ফড়িং বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভোগবাদিতার পথে হাটতে গিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের পারিবারিক আর সামাজিক বন্ধন আজ কোন পর্যায়ে, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।


গল্প অনেক ভালো লেগেছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় ধন্যবাদ জানবেন একলা ফড়িং । :)

৭০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০১

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
লিখা’টিকে আরো কিছুটা ঘষামাজা করতে হবে। (হয়তো)
যদিও আমি মনে করে থাকি- ‘দেয়ার ইজ নো ফাইনাল প্রিন্ট ফর রাইটিং’

চমৎকার গল্পটি মন ছুঁয়েছে ...
এটাইতো লেখকের প্রাপ্তি !


নস্টালজিক হলাম, কিছু দৃশ্যের অবতাড়নায় সচকিত হলাম
ধন্যবাদ রইলো। ভালো থাকবেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, এডিটিং এর ব্যাপারে আপনার সাথে একমত । আমি ঠিক করেছি প্রতিটা লেখা বছর খানেক পর আবার এডিট করবো, কিছু কিছু গল্প পুনরায় লেখার প্রয়োজন পড়তে পারে ।

সুন্দর এবং গঠনমুলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৭১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০১

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
[প্লাস]

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: :) :)

৭২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

উদাস কিশোর বলেছেন: অনেক ভাল লাগা জানবেন মামুনভ রশিদেস্কু

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কিশোর ।

৭৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

নষ্ট অতীত বলেছেন: এত চমতকার গল্প আমি কখনো পড়িনি, খুব টাচি!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৭৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

আলোরিকা বলেছেন: বর্তমান জীবনের বাস্তবতা , টানাপোড়ন, ইঁদুর দৌড় খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ! আমারতো গল্পের শেষের দিকে বেশ অস্থির লাগছিল ছেলেটা কি শেষ পর্যন্ত মায়ের অশ্রুকে উপেক্ষা করতে পারবে - না , আমাদের হৃদয় এখনও এতটা পাথর হয়ে যায়নি । :) আমদের পরবর্তী প্রজন্মকেও এই বার্তাটি পোঁছে দিতে হবে , নাহলে শেষ পর্যন্ত আমরা রোবটই হব !

পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য অনেক ভালবাসা ! :)

লেখকের জন্য অনেক শুভ কামনা । ভাল থাকুন সব সময় :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যটা পড়ে খুব ভাল লাগছে । নতুন করে লেখালেখিতে ফিরে আসতে ইচ্ছে হচ্ছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।


পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য অনেক ভালবাসা !

৭৫| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: গল্পটি খুব ভালো লেগেছে, মামুন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.