![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । বাস্তবের চরিত্রগুলো আমার জগতে সদর্পে চারণ করে । আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিই । অপছন্দের আঁক গুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাই কল্পনার রঙ । প্রতিটা চরিত্র আমার জগতে বিশিষ্ট হয়ে উঠে । প্রতিটা অনুভূতিকে মহান করে তুলে আমি ঈশ্বরের সৃষ্টিশীলতায় স্পর্ধার আঙুল তুলি । নিকৃষ্ট পংকিল চিত্রনাট্য যিনি ইচ্ছেমত মঞ্চায়ন করে চলেছেন, আমি তাকে অস্বীকার করি । আমার সৃষ্টির কোমলতা পেলবতায় আমি তাকে ক্রমাগত ছাড়িয়ে যেতে চাই ।
আমার বৈকালিক ভ্রমনের পথটুকু শহর ছাড়িয়ে গ্রাম পেরিয়ে মিশেছে উঁচুনিচু পাহাড়ের সারিতে । শরীরচর্চা আমার উদ্দেশ্য নয় । ঐ পথ আমি পাড়ি দেই রঙ-তুলি-পেন্সিল নিয়ে । আমার কল্পিত পৃথিবী গড়ার যাবতীয় উপকরণ তুলে আনি ঐ অদূর পথ থেকে । নোংরা আবর্জনাময় বস্তির চারপাশে বুনে দেই লাল-নীল-হলুদ পুষ্পবৃক্ষ । ফুল থেকে ফুলে উড়ে বেড়ায় হলুদ–নীল প্রজাপতি, সবুজ ঘাস ফড়িং । তাদের পিছু পিছু ঘুরে বেড়ায় বস্তির নাঙ্গা শিশুর দল । উপরের ফ্যাকাশে আকাশটাকে রাঙিয়ে দিই গাঢ় নীল-আকাশী রঙের ছোপে । নীলাভ আলোয় ঝলমল করে এখানকার মানুষের মুখ ।
ঐ যে জামকালো কুচকুচে মেয়েটা, সাজি তার নাম । গরীব বাপটা খুব আহলাদি ছিল মেয়ের প্রতি, বড় সাধ করে নাম রেখেছিল সাজিয়া বেগম । আধপেট খেয়ে পয়সা বাঁচিয়ে মেয়েটার জন্য কিনে আনত প্লাস্টিকের চুড়ি, চুলের ক্লিপ । লাল জামা পড়িয়ে কখনো পিঠে কখনো কাঁধে নিয়ে পাড়া বেড়াত । গরীবের এত আহলাদ ঈশ্বরের সইবে কেন! হঠাৎ রঙমঞ্চ থেকে তিনি নামিয়ে দিলেন বাপটাকে । কালো পরীর ছোট্ট মেয়েটা এখন মায়ের পিছু পিছু নুড়ি পাথর নিয়ে খেলা করে । বিশাল পাথরের চাঁইগুলোকে হাতুড়ি পিটিয়ে নুড়ি বানানো এখন মায়ের কাজ ।
অকালে বাপ হারানো সাজিয়া কে তুলে নিয়ে আসি আমার পৃথিবীতে । দৃষ্টির প্রখরতা আর সীমাহীন চতুরতায় মা সাজি'কে সোনালী ডানায় আঁকড়ে রাখে । লোলুভ শিশুগামীদের চোখ এড়িয়ে সাজি বেড়ে উঠে মায়ের পরম নির্ভরতার ছায়ায় । আমার রাঙিয়ে দেয়া সবুজে ছুটে বেড়ায় সে প্রজাপতির পিছু পিছু । ডোবা থেকে কলমিলতা তুলে আনে, কানে গুজে দেয় বাহারি ফুল । চোখে মুখে ঝড়ে পড়ে অপার লাবন্য, যেন কোজাগরী চাঁদ ঢেলে দেয় সে মুখে অপার জ্যোৎস্না প্রভা ।
আকাশের দিকে মুখ তুলে আমি স্মিত হাসি । মেঘহীন আকাশে বিদ্যুৎ চমকে ক্রুর হেসে ঈর্ষাতুর ঈশ্বর আমার হাসির জবাব দেন । অসময়ের ঝড়োবৃষ্টি আর হাওয়ার ধমক আমাকে কাঁপিয়ে দিয়ে যায় ।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে । ব্যাকুল মায়ের প্রাণ সাজি'কে খুঁজে বেড়ায় ইতিউতি । শেষ বিকেলের হঠাৎ বৃষ্টির পর সাজি বেরিয়েছিল ঝরে পড়া গাছের ডাল কুড়াতে । সাংবাৎসরিক উনুনের জ্বালানী যোগায় ঝরে ভেঙ্গে পড়া শুকনো ডাল । সন্ধ্যা নেমে এলে মা আর স্থির থাকতে পারে না, অজানা আশঙ্কায় বুকে তার অলুক্ষণে কাঁপন লাগে । ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ে পথে, সাজির খোঁজে । নির্জন একাকী রাস্তায় কিছুদুর এগুতেই বুড়ো শিমুল গাছের নিচ থেকে ভেসে আসে মুমূর্ষু গোঁঙানী । দিকবিদিক শুন্য হয়ে প্রাণপণ দৌড়ে ছুটে আসে অস্ফুট শব্দের উৎস মুখে । ভয়াবহ নিষ্ঠুরতায় কালসন্ধ্যা নির্বাণ হয়ে ফিরে আসে মায়ের বুকে । ইতস্তত বিধ্বস্ত সাজি'কে জড়িয়ে ধরে মা । সর্বনাশের কিছুই বুঝতে বাকি থাকে না তার । আঁচল দিয়ে রক্তস্রোত চেপে ধরে সর্বস্ব হারানো কিশোরী মেয়েকে কোলে নিয়ে ঘরে ফিরে মা ।
ক্ষুব্ধ ক্রোদ্ধ আমি আকাশের দিকে নিষ্ফল মুষ্ঠি ছুড়ি । ঈর্ষান্বিত ঈশ্বরের কূটচালে আমার সৃষ্টি আজ ভূলুন্টিত হয়ে আছে । তবু আমি থেমে থাকি না, বিধ্বস্ত সৃষ্টিতে নতুন রঙ চড়াতে থাকি । সাজি'র মাকে ফিরিয়ে দেই মনোবল আর দৃঢ়তা । নতুন করে বেঁচে থাকার আশায় মা-মেয়ে পাড়ি জমায় শহরে । বস্তির একখানা কুড়ে ঘরে আশ্রয় নেয় তারা । জীবিকা হিসাবে মা খুজে নেয় বাসা-বাড়ির কাজ । শারীরিক-মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত সাজি মায়ের কোমল স্পর্শে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে থাকে ।
মা এবাড়ি ওবাড়ি কাজ করে শেষে থিতু হয় আফজাল সাহেবের বাসায় । বাড়ির কর্ত্রী রাজিয়া বেগমকে রাঙিয়ে তুলি অপ্রথাগত নরম কোমল নারী হিসাবে । রাজিয়া বেগমের আশ্রয়ে সাজি'র মা খুঁজে পায় পরম আত্মীয়ের ছায়া । সাজিয়াদের জীবনে রাজিয়া বেগম আভির্ভুত হন মঙ্গল শুভাকাঙ্খী হয়ে । এদিকে সাজি ও ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে । পনের বছরের কিশোরীর শরীরে নেমে আসে যৌবনের অকাল বান । যৈবতি কন্যার সদ্য ফোটা পুষ্প সুভাসে ছুটে আসে বস্তির পুষ্প-রেণু শিকারীর দল । কিন্তু সাজিয়ার নিস্পৃহতা আর মায়ের কড়া চোখের আগুনে পুড়ে যায় তাদের নির্লজ্জ সাধ ।
সব শুনে রাজিয়া বেগম প্রস্তাব দেন সাজি'কে তাদের বাসায় থেকে যাবার । বাঘের থাবায় আহত মা তাতে সায় দেয় না । ঘরে যে রাজিয়া বেগমের যুবক পুত্রের সদর্প বিচরণ! এদিকে সাজিয়ার জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় বস্তির ল্যাংড়া মুদি দোকানী রমজান । সাজির মা লম্পট রমজানের প্রস্তাব মুখের উপর প্রত্যাখান করে । এর আগেও দুইবার বিয়ে করেছিল রমজান । প্রথম বউ নাকি মারা গেছে কোন অসুখে, আর দ্বিতীয় বউ পালিয়ে গেছে অন্য পুরুষের হাত ধরে ।
সাজি'র দ্বিতীয় জীবন সুখময় করতে আমি দৃঢ় বদ্ধপরিকর । তাই স্কলারশিপ পেয়ে রাজিয়া বেগমের যুবক পুত্র একদিন চলে যায় বিদেশে । আর যৌবনবতি সাজিয়ার নিরাপদ আশ্রয় মিলে রাজিয়া বেগমের কোমল ছায়ায় । নিজের মেয়ের মতোই দেখেশুনে বিয়ের দেবার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আশ্বস্ত হয় সাজি'র মা । আমিও প্রশান্তির আমেজে গা ভাসাই, আমার সৃষ্টির আপাত নিরাপত্তায় । নির্ভাবনায় ডুব দিই অসমাপ্ত গল্পের নতুন পাণ্ডুলিপি লেখায় ।
সেদিন বজ্র সহ ঝড়ো বৃষ্টি নেমেছিল কিনা জানা নাই । তবে খালি বাসায় মাথায় তেল মেখে দেয়ার ছলে ডেকে এনে আফজাল সাহেব যখন কন্যাসম উর্বশী যুবতি সাজি'র উপর উপগত হন, হাত-পা ধরে ছেড়ে দেবার জন্য অনেক অনুনয় করেছিল সে । বাবার মত মানুষটা সকল অনুনয় বিনয় পায়ে ঠেলে হায়েনার আক্রোশে ঝাপিয়ে পড়েছিল সাজি'র উপর । বিধ্বস্ত পাণ্ডুবর্ণ শরীরটা টেনেটেনে বস্তির নিজের ঘরে ফিরে যাবার পর মায়ের আর চুড়ান্ত সর্বনাশের কিছু বুঝতে বাকি থাকেনি ।
হা ঈশ্বর, এ কেমন প্রতিশোধ! অন্ধ আক্রোশে প্রতিদ্বন্ধীর সৃষ্টি এভাবে ধ্বংস করে দাও! আবার সাজি'র মা কেও তুমি রঙ্গমঞ্চ থেকে উঠিয়ে নিলে! ভেবেছ সাজি'কে এতিম করে দিয়ে আমার সৃষ্টির চুড়ান্ত বিনাশ করবে! উঁহু, এত সহজে ছাড়ছি না । আমি আবার গড়বো সাজি'র পৃথিবী, আবার লিখব সাজি'র জিতে যাওয়ার গল্প!
হ্যাঁ, রাজিয়া বেগম! তিনিই পারেন এই গল্পটা এগিয়ে নিতে । তার প্রচেষ্টায় খুব নিরবে সাজিয়ার বিয়ে হয় রমজানের সাথে । কিছু অর্থকড়িও তুলে দেন তিনি লোভী রমজানের হাতে । দেবতাতুল্য স্বামী আফজাল সাহেবের বিকৃত লোভের কাটাকাটিও বলতে পারেন একে । সাজিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে এসে মনোযোগী হয় নতুন জীবনে, নতুন সংসারে । আর যেদিন সাজি বুঝতে পারে তার নতুন প্রাণের স্পন্দন, আনন্দে আত্মহারা হয় ।
গল্পের এই পর্যায়ে ঈশ্বর খেলেন নতুন চাল । যৌবনে পেটের দায়ে ভেসেকটমি করা রমজান জানে এই শিশুর পিতা সে নয় । তবু অনাগত শিশুর প্রতীক্ষায় আগ্রহভরে অপেক্ষা করে সে । জন্ম নেয়া শিশুটিকে পিতৃস্নেহেই আগলে রাখতে চায় রমজান । কিন্তু ঈশ্বর তার মনে ঢুকিয়ে দেন অবিশ্বাসের দোলাচল । নিজের সাথে ক্রমাগত যুদ্ধ করে এক সময় সে হেরে যায় । স্ত্রী-পুত্র-সংসার সব ফেলে সে বেছে নেয় নিরুদ্দেশ যাত্রা । ঈশ্বর ভজনেই লম্পট রমজান খুঁজে নেয় নিজের মুক্তি ।
ঈশ্বরের উপর্যুপরি কোপানলে আমিও বিধ্বস্ত হই । একরাশ বিবমিষায় ভরাক্রান্ত হয় হৃদয় । রঙ-তুলি-পেন্সিল ছেড়ে পালাবার পথ খুঁজি একজন পরাজিত আমি । খুব ইচ্ছে হয় সাজিয়াকে নিয়ে নতুন গল্প লিখি । খুব ইচ্ছে হয় রুপকল্পে আবার সাজাই সাজিয়ার নতুন সংগ্রাম । নিজে বাঁচার পাশাপাশি শিশু পুত্রটিকেও বাঁচিয়ে রাখবে সে । তার কাছে কেউ কখনো ভালোবাসা চায় নি । ফেলে দেয়া জিনিস হিসাবেই সবাই তাকে লুটেপুটে খেয়েছে । আমি লিখতে চাই সাজিয়ার ভালোবাসার গল্প, নিজের ইচ্ছেমত জীবনটাকে উপভোগ করার গল্প ।
আমার ইচ্ছেগুলো হেরে যায় আসল ঈশ্বরের দুর্দমনীয় নিষ্ঠুর ইচ্ছেগুলোর কাছে । রঙ–তুলি-পেন্সিলের পরাজিত ঈশ্বর হয়ে বেঁচে থাকাই লেখকের অমোঘ নিয়তি ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ যুবায়ের ভাই ।
"ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী" নামে বাংলাসাহিত্যের একটি অনবদ্য গল্প লিখেছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক শওকত ওসমান । এছাড়াও আরো অনেক সাহিত্যিক একই শিরোনামে অনেক গল্প লিখেছেন । কারো লেখাই ধর্মানুভুতিকে আঘাত করে লেখা নয় ।
আর আমার এই গল্পের উপজীব্য 'জীবনবোধ', কোন ধর্ম বা ধর্মানুভুতি নিয়ে এখানে কোন কিছু লেখা হয়নি ।
তবুও আপনি আপত্তি করায় গল্পের শিরোনাম কিছুটা পরিবর্তন করে দিলাম ।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: গল্পকার সাজিয়ার জীবন সাজাতে পারলেও সাজিয়াদের আসল জীবন আপনার গল্পের সাজিয়ার মতোই রয়ে যায়।
গল্পে একগুচ্ছ প্লাস।চমৎকার গল্প।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় খেয়াঘাট । প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা ।
নিরন্তর শুভকামনা প্রিয় গল্পকারের জন্য ।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: গল্পের জীবন
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, গল্পের জীবন । যে জীবন সৃষ্টি করে লেখক ।
পাঠে ধন্যবাদ নাজমুল হাসান মজুমদার ।
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৫
টুম্পা মনি বলেছেন: গল্পের সব কথা যেন এখানেই ,''আমার ইচ্ছেগুলো হেরে যায় আসল ঈশ্বরের দুর্দমনীয় নিষ্ঠুর ইচ্ছেগুলোর কাছে । রঙ–তুলি-পেন্সিলের পরাজিত ঈশ্বর হয়ে বেঁচে থাকাই লেখকের অমোঘ নিয়তি । '' দুঃখ পেলুম! সত্যিই যে তাই!
খুব সুন্দর লিখেছেন। অনেক ভালো লাগল।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: দুঃখ পাই, কষ্ট পাই আর রাগ করি, এটাই কিন্তু সত্যি ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ টুম্পা মনি ।
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কলমের ঈশ্বর একজন অসম্পূর্ন ঈশ্বর! তিনি আসল ঈশ্বরের একটি বেয়াড়া চরিত্র যে কিনা অনেক কিছুই বদলে দিতে চায়- কিন্তু কিছুই পারে না। ফলাফল শাস্তি! দারুন মানসিক যন্ত্রনা! অসীম কষ্টের মাঝেও সুখী হবার নিয়মিত অভিনয়! এবারো আরো বেশি শাস্তি- অফুরন্ত সৃজনশীলতা।
যাই হোক, লেখার থিমটা বেশ ভালো লেগেছে। আপনার লেখা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে আমার মনে হয়েছে মামুন ভাই, লেখাটার মধ্যে কিছু একটা মিসিং আছে। সেটা কি, আমি ঠিক ধরতে পারছি না। তাই আপাতত ইগনোর করুন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: দারুন করে বলেছেন কা_ভা । আপনার মন্তব্যে সত্যি অনুপ্রাণিত বোধ করছি ।
আপনি কি মিসিং করেছেন সেটা আমি বুঝতে পারি । একজন গভীর মনযোগী পাঠকই কেবল তা ধরতে পারবে । গল্প যেখানটাতে শেষ হয়েছে অর্থাৎ সাজিয়া আর শিশুপু্ত্রকে ফেলে চলে যাওয়ার ঘটনা নিত্য ঘটে । তাই গল্প হিসাবে এটার তেমন কোন বিশেষত্ব নেই । আমার ইচ্ছে ছিল শিশুপু্ত্রকে সাথে নিয়ে সাজিয়ার চুড়ান্ত সংগ্রাম দেখাবো, যেখানে সে ঈশ্বরের ইচ্ছের কাছে চুড়ান্ত বলি হয় । কিন্তু এক্সামের মাসে আর সময় দেয়ার উপায় নাই ।
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ও হ্যাঁ, আর একটি বিষয়, এই গল্পের নাম দেখে যদি কারো ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগে, তাহলে....... থাক কমুনা- বুইঝা নেন- এরা ঐ এসি বাসের যাত্রী, যারা বাসে উঠাই কয়, ঐ ব্যাটা এসি বন্ধ কর!!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, ফেবুতে আপনার ঐ স্ট্যাটাস পড়ে প্রচুর হেসেছিলাম ।
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩২
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ভাল লাগল ভ্রাতা।
অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলা কিন্তু কেন জানি লিখতে পারছিনা। লাইনের পর লাইন লিখলাম আবার কেটে দিলাম। হয়তো কোন সীমাবদ্ধতা।
শুভ কামনা রইলো ভ্রাতা।
ভাল থাকুন নিরন্তর!!!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় স্নিগ্ধ শোভন । পরে যদি কখনো মনে আসে, লিখে দিয়ে যাবেন । কারণ কবি বলেছেন, "প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি"
শুভ কামনা । ভালো থাকা হোক নিরন্তর ।
৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫২
অনিক্স বলেছেন: osadharon!!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৪
এহসান সাবির বলেছেন: মামুন ভাই গল্প লেখার ধরনটাই অন্যরকম হইছে..... গল্প তো দারুন-ই...
আচ্ছা সাজিয়া'দের জীবণ কি এখানে থেমে যায়?
++++++
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই । আপনার প্রশংসায় মুগ্ধ হই ।
না, সাজিয়াদের জীবন এখানেই থেমে যায় না । তারাও লড়ে যায় আমৃত্যু, ঈশ্বরের শত অকৃপা সত্ত্বেও ।
১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৬
বেঈমান আমি. বলেছেন: নাইস পোস্ট।কারো নুনুভুতিতে লাগলে কি আর করা।বাংগালির অনুভুতিট খুব প্রখর
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ব্রো..
থাক, ইগনোর করেন ।
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১০
খেয়া ঘাট বলেছেন: কারো নুনুভুতি সরি অনুভূতিতে লাগলেও লেখকের বিশুদ্ধ মানসের স্বাধীনতাও যেন ক্ষুণ্ন না হয়।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভাইজান । লেখকের বিশুদ্ধ মানসের স্বাধীনতা ।
আবারো বিনম্র ধন্যবাদ ।
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০০
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম পরে পড়ব
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৫
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । পড়া হলে জানাবেন কিন্তু ।
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: অসাধারন, মামুন ভাই।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: বিনম্র ধন্যবাদ অগ্নি সারথি । শুভকামনা রইলো ।
১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
অদৃশ্য বলেছেন:
ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী হবার ভাবনায় যারা বিভোর থাকে তারা আসলে শুধুমাত্র ভাবনার বাহিরেই থাকে... যার ক্ষমতা মানুষের ভাবনা চিন্তারও বাহিরে তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করাটা স্রেফ বোকামো ছাড়া আর কিছুই নয়...তা সে যতোই সৃষ্টিশীল হোকনা কেন... কল্পনাপ্রবন হক না কেন...
একদিন না একদিন তাকে পালাবার পথ খুঁজতে হয়... নিজের থেকেই
লিখাটি ভালো লেগেছে তবে খুব ভালো লাগলোনা প্রিয় মামুন ভাই... একজন সৃষ্টিশীল মানুষের যে ঘোরলাগা সময় আপনি লিখাটিতে তৈরী করতে চেয়েছেন তা আমি বুঝতে পারলেও ফিল করতে পারছিনা...
প্রিয় মামুন ভাইয়ের জন্য
শুভকামনা...
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: যার ক্ষমতা মানুষের ভাবনা চিন্তারও বাহিরে তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করাটা স্রেফ বোকামো ছাড়া আর কিছুই নয়...তা সে যতোই সৃষ্টিশীল হোকনা কেন... কল্পনাপ্রবন হক না কেন... একদিন না একদিন তাকে পালাবার পথ খুঁজতে হয়... নিজের থেকেই ।
তারপরেও সৃষ্টিশীল মানুষ থেমে থাকেনা, থেমে যাওয়া উচিত নয় । ঈশ্বরের অনাচারের বিরুদ্ধে কলম ধরবে তার সেরা সৃষ্টি, এখানেই মানুষের সৃষ্টিশীলতা । নিশ্চিত পরাজয় জেনেও এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা অব্যাহত থাকুক ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি ।
১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
গোর্কি বলেছেন:
চরম নিষ্ঠুর বাস্তবসন্মত গল্প। ছুঁয়ে যাওয়া অনুভূতির অসাধারণ প্রকাশ।
ভাল থাকবেন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: সত্যি নিষ্ঠুর আর নিদারুণ বাস্তব ।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গোর্কি । শুভকামনা নিরন্তর ।
১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: একটা সাধারণ গল্পও কি চমৎকার ভাবেই না বলা যায় । গল্পের প্লট খুব চেনা কিন্তু আপনার ভাষাগত উৎকর্ষতা দারুন সুখপাঠ্য করেছে । ভালোলাগা জানবেন, মামুন ভাই ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শাহরিয়ার । অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যে উৎসাহ পাই ।
আপনার গল্প পাচ্ছিনা বেশ কিছু দিন । আশাকরি শীঘ্রই দারুণ সব গল্প পাব ।
শুভকামনা নিরন্তর!
১৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
স্রাবনের রাত বলেছেন: ঈশ্বর মনে হয় সবচেয়ে বড় পরিচালক -এই টাই আপনি গল্পের সব জায়গায় বলার চেষ্টা করেছেন । যেটা মানুষ কখন, অতিক্রম করতে পারেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, আমি ঈশ্বরের সর্বশক্তির কথাই বলেছি । তবুও সৃষ্টিশীল মানুষ তার অনাচারের বিরুদ্ধে কলম ধরে, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও দ্বৈরথে নামে । আর এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন ।
আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম । শুভকামনা সতত ।
১৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
সোমহেপি বলেছেন: গল্প বলার স্টাইলটা ভিন্নমাত্রা এনে দিয়েছে। যেনো গল্প নয় কবিতা, যেনো কবিতাও নয় গল্প বলার কাব্যিক ভাষা......
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: কবিতা লিখতে না পারার কিছুটা অতৃপ্তি আমি এই গল্পটা লিখে ঘুচাতে ছেয়েছি ।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সোমহেপি, আপনার মন্তব্য আমার কাছে সর্বদাই আনন্দদায়ী ।
১৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
লালপরী বলেছেন: কিন্তু ঈশ্বর তার মনে ঢুকিয়ে দেন অবিশ্বাসের দোলাচল । নিজের সাথে ক্রমাগত যুদ্ধ করে এক সময় সে হেরে যায় । স্ত্রী-পুত্র-সংসার সব ফেলে সে বেছে নেয় নিরুদ্দেশ যাত্রা । ঈশ্বর ভজনেই লম্পট রমজান খুঁজে নেয় নিজের মুক্তি ।
আপনার গল্প বর্ননার বিষয়টা খুব সুন্দর এবং সাবলীল। শেষ পর্যন্ত রমজান বাস্তব আচরনই করলো পালিয়ে গিয়ে। অনেক অনেক ভালোলাগা মামুন রশিদ ভাই +++++্
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: আমার খুব পছন্দের অংশটা তুলে নিয়ে এসেছেন । হ্যাঁ, চেষ্টা করেছি বাস্তব আচরণ তুলে ধরতে ।
আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে স্বাগতম । খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি ।
গল্প ভালো লাগায় আর একগুচ্ছ প্লাসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
শুভকামনা নিরন্তর!
২০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: '' হাইবারনেশন " গল্পটা দিয়ে আপনার গল্প পড়া শুরু আমার ।
আপনার গল্পের একটা বিষয় আমি খেয়াল করেছি -
বিষয় ও পরিবেশ অনুযায়ী আপনার গল্পের গদ্যের গতি , চাল , শব্দ সব পালটে যায় । যেখানে যেমন দরকার আপনি ঠিক সেখানেই সেটা দেন ।
বিষয়টা আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে ।
আপনার গল্প পড়তে এলে দুটা লাভ - ১ ) গল্প ও পড়া হল ২ ) শেখাও হল ।
আপনার গল্প হতে শেখার বিষয়টা আমি খুবই উপভোগ করি ।
যারা গল্প লিখা শিখতে চান কিংবা যারা নতুন গল্পকার
তাদের আপনার গল্প হতে শিখার সুযোগ আছে । তাদের প্রতি আমার
অনুরোধ থাকবে তারা যাতে আপনার গল্প গুলা বেশ মনোযোগের সাথে পড়ে ।
এ গল্পের টাইটেলের ব্যাপারে আসি ।
কিংবা পরাজিত লেখক টা আমার ভাল লাগছে না । কারণ এটা গল্পের অন্তর্নিহিত অনুভুতি । গল্প পড়ে আমি এটা ভাবব , বের করব । এভাবে বলায় পাঠক হিসেবে আমার ভাবনার জায়গাটা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে ।
ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী
নামে শওকত ওসমান ও আলাউদ্দিন আল আযাদের দুটা গল্প আমি পড়েছি । সামুতেও প্রোফেসর শঙ্কু একই শিরোনামে গল্প লিখেছেন ।
আপনার যদি এই শিরোনামে আর কেউ গল্প লিখে থাকেন এবং আপনার
তা জানা থাকে তাহলে তা বলার জন্য অনুরোধ রাখছি ।
জানার আগ্রহ আছে আমার ।
যে কোন সৃষ্টিশীল মানুষই এক প্রকার ঈশ্বর । লিখার বিষয়টা এমন
তা অনেক সময় লিখক কন্ট্রোল করেন না , অবচেতন মনে তিনি জানেনি ই
না তিনি কি লিখে ফেলছেন । অনেকে ত তাই বলেন - আমি লিখিনা , ঈশ্বর আমার মাধ্যমে লিখেন !
গল্প খুব ভাল লেগেছে ।
আগের গল্পের কথায় আসি । শুরুর কথাগুলো অই গল্পের কমেন্টে
করব বলে ভেবেছিলাম । যাক এখানেই বলছি ।
আপনার গল্পটায় আমি খুব মুগ্ধ হয়েছি , এতটাই যে আমি তৎক্ষণাৎ ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম কি বলব ! আমি গল্প হিসেবে পরেছিলাম , মনে মনে ভেবে রেখেছি আবেগী হব না , তা আর পারলাম কই ! গল্পের শেষ লাইন টা দারুণ , আমার মুখস্ত হয়ে গেছে লাইন গুলা , এর চেয়ে ভাল সমাপ্তিবিন্দু আর কি হতে পারে ! অসাধারন ভাই অসাধারন ! মা কে নিয়ে লিখা ব্লগের সেরা একটা গল্প এটা ।
আমার মনে হয় লাইন তা আপনি ব্যক্তিগত অনুভুতি হতে বলছেন ।
সামান্য একটু ত্রুটি আছে , যা সোনাবিজ ভাই বলেছেন । আপনার বিবেচনা
মত কিছু লাইন কমালে গল্পটা খুব খুব ভাল দেখাবে ।
ভাল থাকুন প্রিয় গল্পকার ও ব্লগার মামুন রশিদ ভাই
অনেক অনেক এবং অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
সৃষ্টিশীলতায় মাতিয়ে রাখুন আমাদের ।
আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ, আপনি শুধু একজন দারুণ গল্পকারই নন, নিঃসন্দেহে একজন মনযোগী পাঠক এবং চমৎকার বিশ্লেষক । আগেও ব্লগে বিভিন্ন গল্প নিয়ে আপনার চমৎকার সব বিশ্লেষণ পড়েছি এবং বিস্মিত হয়েছি ।
হ্যাঁ, আমিও শিখি মাহমুদ । আমার প্রিয় সহ ব্লগারদের লেখা থেকে এবং লেখার বিশ্লেষণ থেকে । আর এটাই কমিউনিটি ব্লগিংয়ের মজা, সবাই সবার কাছ থেকে শিখছি ।
গল্পের শিরোনামে 'পরাজিত লেখক' কথাটা আমারও ভালো লাগে নি । গল্পের মুল শিরোনাম ছিল "ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা পরাজিত ঈশ্বর" । একজন লেখক আসল ঈশ্বরের শক্তিমত্তার কাছে হেরে গেলেও তিনিও একজন ঈশ্বর । ঈশ্বরের সাথে লেখকের সৃষ্টিশীলতার প্রতিদ্বন্দ্বীতা যতই একপেশে হোক, গুরুত্ব কম নয় ।
দেখি, আপনাদের মন্তব্য বিশ্লেষণ করে মুল শিরোনাম ফিরিয়েও আনতে পারি ।
আগের গল্প 'অন্তর্যাত্রা' নিয়ে আপনার এবং শ্রদ্ধেও সোনাবীজ ভাইয়ের ক্রিটিক আমি পজিটিভলি নিয়েছি এবং সে অনুযায়ী গল্পের এন্ডিং পরিবর্তন করেছি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাইয়া । ভালো থাকবেন সব সময় ।
২১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার প্রেজেন্টেশন চমৎকার। কলমের বাস্তবতা বারেবার ধাক্কা খেলেও গোঁ ধরে থাকবে। ঈশ্বরের খামখেয়ালী আচরণের প্রতিবাদের পন্থা সৃজনশীল মানুষকে জানতেই হবে।
গল্পের শিরোনাম প্রথমে কি ছিলো?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ট্রুলি, এটাই গল্পের মুল ম্যাসেজ হামা ভাই ।
সৃষ্টিশীল মানুষ ঈশ্বরের অনাচারের বিরুদ্ধে কলম ধরে । নিশ্চিত পরাজয় জেনেও দ্বৈরথে নামে । আর এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা মানুষের সৃষ্টিশীলতার জন্য খুবই প্রয়োজন ।
গভীর রাতে 'ধর্মানুভূতির' সিঁদুরে মেঘে কিছুটা ভড়কে গিয়ে শিরোনাম পরিবর্তন করেছিলাম । এখন পূনরায় মুল শিরোনামে ফিরিয়ে এনেছি । 'ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা পরাজিত ঈশ্বর' ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার । শুভকামনা নিরন্তর ।
২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
একেবারে নিজের মত করে বর্ণনা করে গেছেন মনে হয়নি কোন গল্প পড়ছি।
লেখকের বর্ণনা থেকে বুঝে নিতে হবে কি বোঝাতে চেয়েছেন। এই দিকটা একেবারেই মন্দ না। যদিও একজন লেখক তার গল্পের চরিত্রগুলো নিয়ে ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী কখনওই হতে পারবেনা তাকে পরাজিত হতেই হবে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: যদিও একজন লেখক তার গল্পের চরিত্রগুলো নিয়ে ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী কখনওই হতে পারবেনা তাকে পরাজিত হতেই হবে।
রাইট । কিন্তু যখন একজন লেখক এই প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামে তখনই তার মাঝে সৃষ্টিশীলতা তৈরি হয় । নিশ্চিত পরাজয় জেনেও এই দ্বৈরথে নামার ঘোরলাগাটুকুই একজনকে সৃষ্টিশীল লেখকে পরিনত করে ।
ধন্যবাদ প্রিয় কান্ডারি । জন্মদিনটা নিঃসন্দেহে খুব আনন্দে কেটেছে?
২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নোংরা, সারি, ঝরে, হঠাৎ --- এরকম কিছু বানান আছে । ঠিক করতে হবে।
আমার কল্পিত পৃথিবী গড়ার যাবতীয় উপকরণ তুলে আনি ঐ অদূর পথ থেকে > দূর বললেই দূরত্ব বোঝা যাচ্ছে। অ টা বাড়তি। কিংবা বহু দূরের পথ থেকে।
এই লাইনে অদূর টা ঠিক মানান সই লাগছে না আমার কাছে।
এছারা গল্পটা ভালোই লেগেছে। দারিদ্র্যতা এমন এক ব্যাপারা যার পাক থেকে বের হওয়া মুশকিল। লেখক চাইলে সাজিকে প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়তে দেখাতে পারতেন! যা খুব নগন্যই আলোর মুখ দেখে।
শুভকামনা মামুন ভাই
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা! যেগুলো খুঁজে পেয়েছি, ঠিক করে দিয়েছি ।
সময়ের অপ্রতুলতার জন্য গল্পের কিছু অংশ এডিট করতে গিয়ে ছেঁটে দেয়া হয়েছে । গল্প যেখানটাতে শেষ হয়েছে অর্থাৎ রমজানের সাজিয়া আর শিশুপু্ত্রকে ফেলে চলে যাওয়ার ঘটনা নিত্য ঘটে । তাই গল্প হিসাবে এটার তেমন কোন বিশেষত্ব নেই । আমার ইচ্ছে ছিল শিশুপু্ত্রকে সাথে নিয়ে সাজিয়ার চুড়ান্ত সংগ্রাম দেখাবো, যেখানে সে ঈশ্বরের ইচ্ছের কাছে চুড়ান্ত বলি হয় ।
কিন্তু এক্সামের মাসে এর চেয়ে বেশি সময় দেয়ার উপায় নাই ।
শুভকামনা রইলো!
২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার কল্পিত পৃথিবী গড়ার যাবতীয় উপকরণ তুলে আনি ঐ অদূর পথ থেকে > সুদূর থেকে। এভাবেও দেয়া যায়
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অদূর বলতে আমি অল্প দুরত্ব বুঝিয়েছি অপর্ণা ।
'আমার বৈকালিক ভ্রমনের পথটুকু শহর ছাড়িয়ে গ্রাম পেরিয়ে মিশেছে উঁচুনিচু পাহাড়ের সারিতে ।'
অল্প দূরত্ব বুঝাতে আর কোন সুন্দর শব্দ জানা থাকলে প্লিজ জানান ।
(আজকে সন্ধ্যার পর এক দেয়ালে দেখি অনেকগুলো ডাক্তারের সাইনবোর্ড । আমি তাদের নাম পড়ছি আর ণত্ব-বিধান ষত্ব-বিধান মিলিয়ে দেখছি । মাথার ভেতর এইসব পোকা ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী আপনি আর জুলায়ান ভাই )
২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
প্যাপিলন বলেছেন: গল্পটার প্লটটা খুব সাধারণ, চেনা। কিন্তু লেখনির গুণে সাধারণ প্লটটিই অসাধারণ হয়ে উঠেছে। ভালো লাগলো
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্যাপিলন । আপনার প্রশংসায় প্রীত হলাম ।
২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
অদৃশ্য বলেছেন:
প্রিয় মামুন ভাই
আমি এরকমভাবে ভেবেছি যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বিষয়টা তখন আসে যখন সেখানে ছাড়িয়ে যাবার ব্যপারটা থাকে... ঠিক একারনেই লিখাটিতে আমার কোন ফিলিংস তৈরী হয়নি সম্ভবত...
আমরা আমাদের সীমার ভেতরে সর্বোচ্চ ব্যাবহারটা করতে পারি কিন্তু আমরা কখনোই আমাদের সীমার ওপারে গিয়ে কিছু করতে পারিনি আজ অবধী... এমন কোন প্রমান নেই... ( এখানে সীমা হলো জীবনের শুরু থেকে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত )... তাই সৃষ্টিকর্তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতার কোন প্রোশ্নই আসতে পারেনা... আর স্রষ্ঠা নিজেতো অনাচার করছেন না... করছে আমি বা আপনি... তিনি আমাদের বিবেক নামের একটি মহামূল্যবান উপহার দিয়েছেন, আমরা যদি তার মর্যাদা করতে না জানি তো দোষটা আমাদের স্রষ্ঠার নয়...
সৃষ্টিশীলতা বলতে ঠিক এভাবে আমি ভাবিনা যে আমিও স্রষ্ঠার মতো হতে চাই... বরং আমি এভাবে ভাবি যে স্রষ্ঠা তার সৃষ্টিতে যা কিছু রেখেছেন দৃশ্যমান বা অদৃশ্য আমার চেষ্টা থাকবে সেগুলোকে নিয়েই গভীরভাবে ভাবনা করা ও তারই ভেতরের আরো আরো সুন্দরের প্রকাশ করা, আমার ক্ষমতার শেষটুকু পর্যন্ত দিয়ে ...
মামুন ভাই একটানে লিখলাম, কথার ভুল থাকতে পারে, আপনি শ্রদ্ধেয়, ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এখানে শুধুমাত্র নিজের ভাবনার প্রকাশই করতে চেয়েছি... আগের মন্তব্যটাতেও ঠিক সেটাই করেছি... আশাকরি কোন ভুল কথায় আমাকে ভুল ভাববেননা...
শুভকামনা...
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয় অদৃশ্য, আপনার বিশ্লেষণে ভাববার মত অনেক ব্যাপার আছে, যার সাথে আমার চিন্তাভাবনাও যায় । এখানে ভাবনার গ্যাপটা কোথায় হচ্ছে ধরতে পারছি না ।
মহান সৃষ্টিকর্তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা, তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া বা অস্বীকার করা কথাগুলো আমি মুলত বলেছি রুপক অর্থে । বাস্তবিক মানুষের পক্ষে স্রষ্টাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চিন্তা শুধু উদ্ভট নয়, পাগলামোও । এখানে স্রস্টাকে একটা এলাইনমেন্টে আনা হয়েছে, অনেকটা 'জীবন নাটকের নাট্যকার কি বিধাতা পুরুষ' জাতিয় । লেখকের বোধগত সৃষ্টিশীলতাকে জাগিয়ে তোলা, নতুন নতুন চরিত্রের মাঝে তার ঘোরগ্রস্ততাকে বোঝানোর জন্য স্রষ্টার প্রসঙ্গ আনা হয়েছে । আর এই স্রষ্টাও কেবল জীবন নাট্য বা জীবনের গল্প লিখেন ।
কিংবা অন্যভাবে বললে, এখানে স্রষ্টাকে পৃথিবী নামক রঙ্গমঞ্চের পরিচালক হিসাবে দেখা হয়েছে । যেখানে মানুষ তার সৃষ্টিশীলতা দিয়ে তার মত করে গল্প সাজাতে চায়, বিধাতার ইচ্ছেয় নয় ।
আর 'অনাচার' বলতে এখানে খারাপ কোন কাজ বোঝানো হয়নি, কারণ আমরা যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করি আমরা জানি তিনি কখনো অনাচার করেন না । কিন্তু বোধগত অর্থে এখানে অনাচার মানে দুর্ভাগ্য, যা একজন আশা করেনি ।
স্রষ্টা নিয়ে আমার ভাবনাও আপনার তদ্রুপ, 'স্রষ্ঠা তার সৃষ্টিতে যা কিছু রেখেছেন দৃশ্যমান বা অদৃশ্য আমার চেষ্টা থাকবে সেগুলোকে নিয়েই গভীরভাবে ভাবনা করা ও তারই ভেতরের আরো আরো সুন্দরের প্রকাশ করা, আমার ক্ষমতার শেষটুকু পর্যন্ত দিয়ে'
আমি জানিনা আপনাকে বুঝাতে পারলাম কি না? তবে আপনার ভাবনা আর আমার ভাবনায় খুব একটা পার্থক্য চোখে পড়েনি, হয়ত কিছু শব্দের ব্যবহার বা প্রকাশ ঠিকমত করতে পারিনি । এটাকে আমার সীমাবদ্ধতা হিসাবে ধরে নিলে খুশি হব ।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি ।
২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: আমি কাল্পনিক ভালোবাসার করা মন্তব্যটার সাথে একমত। আসলে কলমের ঈশ্বর একজন অসূম্পর্ণ চরিত্র।
যাইহোক,ভালো লেগেছে গল্পটা,ধন্যবাদ
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন
২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
আমি ইহতিব বলেছেন: অন্য ধরণের একটা অন্যরকম গল্প পড়লাম। প্লট যদিও পরিচিত আপনি যেভাবে তা উপস্থাপণ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
শুভ কামনা মামুন ভাই।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বিথি আপু । শুভ কামনা রইলো ।
২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
বোকামন বলেছেন:
জনাব,
শিরোনামেই গল্পটা শেষ হয়ে গেলো । এর পরে আমি আমি আর গল্পটি উপভোগ করতে পারিনি । গল্পের মূল থিম আমাকে খুব একটা ভাবাতেও পারেনি । হাতে সময় থাকলে আরো বিস্তারিত বলার ইচ্ছে ছিলো; কিন্তু হলোনা ।।
তবে আপনার শব্দ-বাক্য বুনট/ ব্যাকরণ সে বরাবরের মতই আকর্ষণীয় ।
গুড রাইটিং !
শুভেচ্ছা ।।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি, শিরোনাম পুরা স্পয়লার হৈছে!
অনেক ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্য আজ আমার একটা চোখ খুলে দিলো ।
ভালো থাকবেন প্রিয় বোকামন । শুভ কামনা ।
৩০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ঈশ্বর, আল্লাহ যাই বলুন না কেন, উনি আসলে গল্পকার ই!
ঈশ! সত্যি সত্যি যদি ম্যাজিক মুভিগুলোর মত করে লেখকরা বদলে দিতে পারতো বিষাদের চিত্রনাট্য!!
এতে আবার বিপদের সম্ভাবনা ও আছে, এই জন্যেই হয়তো ঈশ্বর জানান দেয় তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী গল্পকার!!
চমৎকার লাগলো মামুন ভাই।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ঈশ! সত্যি সত্যি যদি ম্যাজিক মুভিগুলোর মত করে লেখকরা বদলে দিতে পারতো বিষাদের চিত্রনাট্য!!
এতে আবার বিপদের সম্ভাবনা ও আছে, এই জন্যেই হয়তো ঈশ্বর জানান দেয় তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী গল্পকার!
চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা জানবেন প্রিয় স্বপ্নবাজ অভি ।
৩১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাবনায় রশি কে কবে দিতে পেরেছে !
আবার অদৃশ্যের কথার দৃশ্যমানতাও গভিরের ভাবনা যোগায়!
আমার আমিকে খুঁজে পেলে স্রষ্টাকেই পাওয়া হয়-তত্ত্বে খূঁজে না পেয়ে খেলতে গেলে যা হয়, তাই হয় আমাদের গড়পরতায়। পরাজয়ের ইতিবৃত্ত বাড়তেই থাকে।
আর পেয়ে যে খেলে- সেখানে দ্বন্ধ থাকে না, থাকে পূর্ণতার পথচলা।।
দুজনেই লিন হয়ে চলে এক সুন্দর স্বপ্নের কারিগরীতে
++
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: আমার আমিকে খুঁজে পেলে স্রষ্টাকেই পাওয়া হয়-তত্ত্বে খূঁজে না পেয়ে খেলতে গেলে যা হয়, তাই হয় আমাদের গড়পরতায়। পরাজয়ের ইতিবৃত্ত বাড়তেই থাকে।
আর পেয়ে যে খেলে- সেখানে দ্বন্ধ থাকে না, থাকে পূর্ণতার পথচলা।।
দুজনেই লিন হয়ে চলে এক সুন্দর স্বপ্নের কারিগরীতে..
চমৎকার বলেছেন বিদ্রোহী ভৃগু । গল্প পাঠ এবং প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৩২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সুমন কর বলেছেন: অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করা সমাজের বাস্তব নিষ্ঠুর চিত্র! আর আপনার লেখার ধার এত বেশী যে, পড়ছিলাম আর বাক্যগুলোর উপস্থাপন নিয়ে চিন্তা করছিলাম, খুব ভাল হয়েছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন কর । আপনার উৎসাহদায়ি সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
৩৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: মামুন ভাই,গল্পটা পড়ে অদ্ভুত লাগল। বাড়িয়ে বলা মনে হতে পারে, কিন্তু এটা তো সত্যি যে অনেক সময় যারা গল্প লেখেন তারা যে কাহিনী দিতে চান,যে চিত্র কল্প ফোটাতে চান সেসবের বদলে তাদের ভিতরে থাকা অন্য কেউ গল্পকে অন্য কোথাও নিয়ে যায়। অনেক সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধেও চরিত্রগুলোকে সুখী কিংবা দুঃখী করে দিতে হয়। গল্প গুলো পড়তে গিয়ে পাঠক চরিত্রগুলোকে ভালবেসে ফেলে,চরিত্রগুলোর কষ্ট দেখে লেখককে অভিযুক্ত করে বলে কেন ঐ চরিত্রটাকে এত কষ্ট দিতে হল,কেন তাকে আরো একটু সুখী করা গেল না?
লেখকের কি দোষ বলুন ভাই?লেখকের ভেতরে বসে থাকা অন্য কেউই তো সব এলোমেলো করে দিল!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: যারা লেখালেখি করেন তাদের এই ঘটনা প্রায়ই ঘটে । নিজের অজান্তেই চরিত্রের গতিবিধি পরিণতি পাল্টে যায় । হয়ত একটা প্লট ডিজাইন করে লেখাটা এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হটাৎ গল্পের গতিপথ ভিন্ন পথে হাটা শুরু করে । তখন এরকম বোধ হওয়াই স্বাভাবিক যে ঈশ্বর তার হাত দিয়ে এটা লিখিয়ে নিয়েছেন । কিংবা কেউ হয়ত বলবে, লেখকের অবচেতন মনের ভাবনাগুলোই তার লেখায় চলে এসেছে ।
গল্প পড়ে অদ্ভুত অনুভুতি জাগাতে পেরে ভালো লাগছে!
৩৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
মশিকুর বলেছেন:
গল্পের ভিতরের গল্পে, দুইজন ঈশ্বর পেলাম। মনেহলো ঈশ্বর পৃথিবীতে নষ্ট ঈশ্বরকে একপ্রকার ছাড়ই দিয়েছেন। তাইতো সারা পৃথিবীই এখন নষ্টদের রাজত্ব। তবে নষ্টদের আগ্রাসন ঐচ্ছিক। গল্পে কয়েকটা বাক্যগঠন ও শব্দ ব্যবহার খুবই ভাল লেগেছে এবং গল্পের গভীরতাও বাড়িয়েছে কয়েক গুন।
তবে গল্পের বাহিরের গল্পে পরাজিত ঈশ্বরই বোধহয় হাইলাইট করতে চেয়েছেন (শিরনামে ধারনা করলাম)। গল্পের বাহিরের গল্পটা কাল্পনিক_ভালোবাসার গল্পঃ চরিত্রকথন এর মত, পরাজিত ঈশ্বরের/লেখকের প্রতিকূলতা ফুটে উঠেছে। তবে ভবিষ্যতে সাজিয়াকে এগিয়ে নিতে, সাজিয়ার উপর আবারও ঈশ্বরের কোপানল প্রার্থনা করবেন সেই প্রত্যাশায় রইলাম।
শুভকামনা।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প নিয়ে পাঠকের নিজস্ব ভাবনা লেখকের জন্য আনন্দের । যদি পাঠকের ভাবনার সাথে লেখকের চিন্তা না মিলে, তাতেও ক্ষতি নেই ।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মশিকুর । শুভ কামনা রইলো ।
৩৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
কাল্পনিক মন বলেছেন: গল্পের বিষয়বস্তু খুবই বাস্তবিক এবং নৈমত্তিক ঘটনা।তাই অনেক ভালো লেগেছে।রমজানরা যেন রমজান না হয়ে বিবেকবান মানুষ হয়।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক মন ।
আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম ।
৩৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
কয়েস সামী বলেছেন: গল্প বলার স্টাইলটা চমৎকার হয়েছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার । ভালো থাকবেন ।
৩৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গল্পের প্রেজেন্টেশন দারুন। ভালো লাগছে।
গপের শেষের দিকটা খুব ভালো লাগছে
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান । ভালো লাগাতে পেরে আমারও ভাল লাগছে ।
৩৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৪
শ্যামল জাহির বলেছেন: ভদ্র সমাজের নিরব পশু হতেও নিরাপদ না সাজি'রা!
দুর্ভাগ্যের দুর্ভোগ- অদৃষ্টে অঙ্কন করে কী মজা পান প্রকৃতি!
বাস্তব দৃশ্য অবলম্বনে গল্পটি চমৎকার হয়েছে।।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: ভদ্র সমাজের নিরব পশু হতেও নিরাপদ না সাজি'রা!
দুর্ভাগ্যের দুর্ভোগ- অদৃষ্টে অঙ্কন করে কী মজা পান প্রকৃতি!
দারুণ মন্তব্যে ভালোলাগা জানবেন প্রিয় শ্যামল জাহির ।
শুভ কামনা নিরন্তর ।
৩৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: চমৎকার লেখা আর চতুর্থ প্লাসটা কিন্তু আগেই দিছিলাম
মাঝে মাঝে আসেপাশের বাস্তবতা দেখলে মনে হয় যেন
'' মরার উপর খাঁড়ার ঘা ফেলাটা ঈশ্বরের একটা নিষ্ঠুর পছন্দনীয় খেলা ''
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: মাঝে মাঝে আসেপাশের বাস্তবতা দেখলে মনে হয় যেন
'' মরার উপর খাঁড়ার ঘা ফেলাটা ঈশ্বরের একটা নিষ্ঠুর পছন্দনীয় খেলা ''
নিদারুণ নিষ্ঠুর বাস্তবতার সাথেই আমাদের বসবাস । মহান সর্বশক্তিমান গল্পকারের ইচ্ছেমতই আমাদের অভিনয় জীবন ।
প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মিসিরআলি ।
হ্যাঁ, হিমু'র চেয়ে মিসিরআলি আমার প্রিয় । আবেগঘন বাঙালী জাতির বেশি বেশি যুক্তিবাদি মিসিরআলি প্রয়োজন ।
৪০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
বৃতি বলেছেন: চমৎকার লাগলো গল্পটা মামুন ভাই ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু । ভালো থাকবেন ।
৪১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: রঙ–তুলি-পেন্সিলের পরাজিত ঈশ্বর হয়ে বেঁচে থাকাই লেখকের অমোঘ নিয়তি - চমৎকার লিখেছেন মামুন ভাই! লেখনী দারুন লাগলো!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আনন্দ পেলাম ইফতি ভাই ।
শুভ কামনা সব সময় ।
৪২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
ইখতামিন বলেছেন:
ঈশ্বর.. কী সুন্দর গল্প
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন ভাই ।
৪৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭
কাব্যহীন রেওয়াজ বলেছেন: সুন্দর একটা লেখা...। আমাদের লেখার উপর অনেক সময় নিজেদেরই নিয়ন্ত্রণ থাকে না এই বিষয়টি চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। যদিও একজন গরিব গৃহপরিচারিকার জীবনের বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে লেখা, তারপরও ঈশ্বরকে নিয়ে এসে অলৌকিকতাকেও স্থান দিয়েছেন।
এককথায় অদ্ভুত সুন্দর।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে অভিভূত!
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম । আর শুভকামনা নিরন্তর ।
৪৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০
একজন আরমান বলেছেন:
খুব খারাপ লাগছে এই ভেবে যে আমি অনেক আগেই মন্তব্য করেছিলাম। কিন্তু যখন প্রকাশ করুন চেপেছিলাম তখন সামুর সার্ভারে সমস্যা করেছিল। এখন আবার এলাম। কোনে কিছু লিখেছিলাম এখন আর তা মাথায় আসছে না।
গল্পটা সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কথাই বলতে হয়। কি দিয়ে শুরু করি বুঝতে পারছি না। গল্পের প্লটটা সাধারন হলেও লেখনিটা মানে লেখার স্টাইলটা এক কথায় দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। গাঁথুনি ছিল চমৎকার। আরও কি কি যেন বলেছিলাম এখন ঘুম পাচ্ছে। কিচ্ছু মনে আসছে না।
ও গল্পাকার যেন মানুষের দোষগুলি সব ঈশ্বরের কাঁধেই চাপিয়ে দিলেন !
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: সরি আরমান, সামুর এই প্রবলেমগুলো সত্যিই বিরক্তিকর । তবু আপনি কষ্ট করে আবারো এসে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন ।
গল্প ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা । ঈশ্বরের তুলনায় মানুষ অতি দুর্বল, আর দুর্বলেরা তাদের সব দুর্ভাগ্যের জন্য সবলকেই দায়ী করতে চায় ।
ভালো থাকবেন ভাইডি । শুভ কামনা ।
৪৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আপনার প্রতিটা লেখাই অসাধারন
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বন্ধু । আপনিও অসাধারণ!
৪৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
সায়েম মুন বলেছেন: গল্পকার চাইলে কত মাধূর্য দিয়ে সাজাতে পারেন সাজির জীবন। কিন্তু বাস্তবের ঈশ্বর ঠিক এভাবেই সাজান। ঘটনার ঘনঘটায় সাজিদের জীবন দূর্বিষহ উঠে।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন মুন ভাই ।
গল্প পাঠে এবং সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
৪৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
একজন আরমান বলেছেন:
ঈশ্বরের তুলনায় মানুষ অতি দুর্বল, আর দুর্বলেরা তাদের সব দুর্ভাগ্যের জন্য সবলকেই দায়ী করতে চায় ।
সুন্দর একটা কথা বলেছেন তো।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: মাঝে মাঝে বাবা 'একজন আরমানন্দ'র মত চিরন্তনি বাণী দিতে মুঞ্চায়
৪৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
আমিজমিদার বলেছেন: লেখার ভাষা কঠিন। (অ্যাজ ইন - কোঠঠিনন!)
আর ঈশ্বরের সাথে গুঁতাগুঁতি করা উচিত মাঝে মাঝে। বিলাই যদি মিউ না করে, মালিক কেম্নে জানব বিলাই মিউ করতে পারে?
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, আপনার মন্তব্য যেমন মজার তেমনি বাস্তব ।
চমৎকার মন্তব্যে একরাশ ভালোলাগা । সাথে সুস্বাগতম, আমার ব্লগ বাড়িতে ।
শুভকামনা নিরন্তর ।
৪৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: পরে পড়ব ভাই তাই প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম
ভালো থাকুন
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । গল্প কেমন লাগলো, আশাকরি জানিয়ে যাবেন ।
৫০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,
প্রতিটি মানুষের ভেতরেই একটি ঈশ্বর বাস করে । মাঝেমাঝে সে ঈশ্বরটি জীবন্ত হয়ে উঠতে চায় সবল স্পর্ধায় । আর তখোনই কষ্টের শীরঃদাড়া ভেঙে খানখান হয় । রঙ-তুলি- পেন্সিল দিয়ে সে ধংশস্তুপ থেকে বের করে
জীবনের পথটাকে রঙিন করে এঁকে নেয়া যায় তখোনই।
সাজিদের সাজানো যায় নতুন করে......
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই । পুরো গল্পের থীম আপনার এই সুন্দর মন্তব্যে চমৎকার ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে ।
শুভ কামনা আপনার জন্য ।
৫১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৫
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো
শব্দ ও বাক্যর মিল দেখলাম খালি ভাই
অসাধারন
পনের বছরের কিশোরীর শরীরে নেমে আসে যৌবনের অকাল বান । যৈবতি কন্যার সদ্য ফোটা পুষ্প সুভাসে ছুটে আসে বস্তির পুষ্প-রেণু শিকারীর দল । কিন্তু সাজিয়ার নিস্পৃহতা আর মায়ের কড়া চোখের আগুনে পুড়ে যায় তাদের নির্লজ্জ সাধ
++++++++++
আসলে গল্পকার শুধু কল্পনা করতে পারে বাস্তবে রুপ দিতে পারে না
বাস্তবে রুপ দেয়া তার কাজ না ইহা স্বয়ং ঈশ্বর করে থাকেন
এখানেই পার্থক্য
আমার ইচ্ছেগুলো হেরে যায় আসল ঈশ্বরের দুর্দমনীয় নিষ্ঠুর ইচ্ছেগুলোর কাছে । রঙ–তুলি-পেন্সিলের পরাজিত ঈশ্বর হয়ে বেঁচে থাকাই লেখকের অমোঘ নিয়তি ।
+++++++
শুভ সকাল
শুভেচ্ছা রইল মামুন ভাইকে
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আসলে গল্পকার শুধু কল্পনা করতে পারে বাস্তবে রুপ দিতে পারে না । বাস্তবে রুপ দেয়া তার কাজ না ইহা স্বয়ং ঈশ্বর করে থাকেন ।
এখানেই পার্থক্য..
একদম সত্যি বলেছেন ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন সব সময় । শুভ কামনা ।
৫২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: মামুন সবাই সব কিছু বলে গেছে, আমার বলার আর তেমন কিছু নেই। শুধু এটুকুই বলি, অত্যন্ত বাস্তব এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র।
দরিদ্র + লোভী রমজানকে এই সমাজে দেখা যায় আকছার আর আফজাল সাহেবতো যুগ যুগ ধরে প্রায় ঘরে ঘরেই আছে । সে না থাকলেও তার ছেলে আছেই।
ইদানিং তোমার ছোট ছোট গল্পগুলো অনেক আবেদন নিয়ে আসছে মামুন।
শুভেচ্ছা জেনো ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: জুনাপু, আপনার চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা বোধ করছি । গল্প নিয়ে বলার তেমন কিছু নেই বলেও যা যা বললেন, তাতে আপনার পর্যবেক্ষন গুনের প্রশংসা করতেই হয় ।
খুব চমৎকার মন্তব্যে ভালো লাগা রইলো ।
শুভ কামনা নিরন্তর ।
৫৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বাহ !!
খুব চমৎকার লাগলো ||
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন ভাই । মাঝ খানে কিছু দিন দেখলাম না আপনাকে ।
ভালো থাকবেন সব সময় । শুভ কামনা ।
৫৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: বর্ণনা শব্দচয়ন লেখার স্টাইল.... সব মিলিয়ে চমৎকার লাগল।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ।
ভালো থাকা হোক । শুভ কামনা ।
৫৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার ইচ্ছেগুলো হেরে যায় আসল ঈশ্বরের দুর্দমনীয় নিষ্ঠুর ইচ্ছেগুলোর কাছে । রঙ–তুলি-পেন্সিলের পরাজিত ঈশ্বর হয়ে বেঁচে থাকাই লেখকের অমোঘ নিয়তি ।
সত্যি অসাধারণ। ভাল লেগেছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার । ভালো থাকবেন ।
৫৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
জাগরী বলেছেন: "লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । বাস্তবের চরিত্রগুলো আমার জগতে সদর্পে চারণ করে । আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিই । অপছন্দের আঁক গুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাই কল্পনার রঙ । প্রতিটা চরিত্র আমার জগতে বিশিষ্ট হয়ে উঠে । প্রতিটা অনুভূতিকে মহান করে তুলে আমি ঈশ্বরের সৃষ্টিশীলতায় স্পর্ধার আঙুল তুলি । নিকৃষ্ট পংকিল চিত্রনাট্য যিনি ইচ্ছেমত মঞ্চায়ন করে চলেছেন, আমি তাকে অস্বীকার করি । আমার সৃষ্টির কোমলতা পেলবতায় আমি তাকে ক্রমাগত ছাড়িয়ে যেতে চাই।"
লেখার প্রথম ঐ অংশ থেকে সাজিয়ার স্বামীর হীন স্বার্থকে ঈশ্বরের দফতরে পূন্যবান, মহৎ করার প্রচেষ্টাকে ফুটিয়ে তোলায় যে শব্দশৈলিতা তা থেকে হয়ত অনেক কিছু শিখেছি। তবে আমরা অবিশ্বাসীরা যে কল্পনার রঙে অবিশ্বাস কে রঙ্গিন করি তা হয়ত একই ক্যানভাসে। আঁধারে এই পথচলায় কল্পনার রং-গুলো অবিশ্বাসীদের মৈত্রীকে হিন্দোলিত করে। মানুষ যাকে 'পংকিল' বলে তার ব্যাখাতো ঈশ্বরেরই। আমদের পংকিলতার 'পংকিল' ব্যাখা কি তাদের ভাল লাগবে?
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য আর চমৎকার বিশ্লেষণে মুগ্ধ!
ভালো থাকা হোক সব সময় । শুভ কামনা নিরন্তর ।
৫৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ভাই, বিশেষ করে আপনার লেখনী।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
৫৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: প্লাস বাটনে ক্লিক করলাম। দেখি লোডীং লোগোটা ঘুরতেই আছে ঘুরতেই আছে :-&
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: প্লাস বুঝে পাইছি ব্রো.. অনেক শুভ কামনা ।
৫৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
এ.এ.এম বিপ্লব বলেছেন: ভালো লাগলো খুব।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ এ.এ.এম বিপ্লব । ভালো থাকবেন ।
৬০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার লাগল আপনার গল্পটি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানবেন ।
৬১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১
আলোর পরী বলেছেন: আমি রাঙিয়ে দেই কত রঙে , সাদা কালো ফুলগুলোর কত রঙিন পাপড়ি, আমি ভাসিয়ে দেই জলে বাতাসে কত আবেগ ,
কলমটা আমার কালিকে রুপান্তর করে কত স্বপ্নে , আমি লিখে যাই আশা , বুনে যাই ভালবাসা ।
কি আর বলব , এক অসাধারণ গল্পকারকে ?
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: এত সুন্দর কমেন্ট পেলে কার না ভালো লাগে । অনেক ধন্যবাদ আলোর পরী । ভালো থাকবেন ।
৬২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: লেখকের ইচ্ছার সাথে ঈশ্বরের ইচ্ছার দ্বন্দ্ব, বাস্তব ঈশ্বর আর গল্পের ঈশ্বরের মাঝে সাদৃশ্য- বৈসাদৃশ্য, ঈশ্বরের প্রতিটি সিদ্ধান্তের সাথে গল্পের পাত্র পাত্রীদের জীবন আমুল বদলে যাওয়া- পুরোটাই উপভোগ করেছি। তবে গল্প শেষে কেন যেন মনে হল গল্পটা তেমন ভাবে কোথাও গেলনা! আমার মাথায় অন্যরকম একটা এন্ডিং ঘুরছিল।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নাজিম । গল্পের এন্ডিং আইডিয়া শেয়ার করতে পারেন, আমরাতো সবাই সবার কাছে শিখছি ।
শেষের দিকে একটা অংশ কেটে দিয়ে গল্পটা আমি ব্লগে দিয়েছি । হাতে সময় ছিল খুবই কম, এডিট করার সময় পাইনি । শেষটায় সাজিয়া নতুন করে জীবন সংগ্রামে নামে । তার একটু প্রেম ভালোবাসা পাবার স্বাদ হয় । সেটা পেতে গিয়ে লোভী পুরুষের ফাঁদে পড়ে । অতঃপর এবার্সন এবং রক্তক্ষরণে মৃত্যু ।
সুন্দর কমেন্টে ভালোলাগা । এ মাসে আপনার গল্প পাইনি, শীঘ্রই পাব বলে আশা রাখছি ।
শুভ কামনা ।
৬৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: আমার পড়া ভালো গল্পগুলোড় একটি এটা। অনেক ভালো লাগল একেবারে মনের মত। লেখক প্রায়ই ঈশ্বর নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়ে অভিমানী হয়ে পড়ে । সেই সুক্ষ দন্ধটা এখানে বেশ ভালো ফুটেছে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাবেয়া রব্বানী । আপনার পাঠ এবং পাঠ পরবর্তি ভাবনা খুব আনন্দ দিলো ।
ভালো থাকা হোক । শুভ কামনা ।
৬৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগলো।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু । ভালো থাকবেন ।
শুভ কামনা ।
৬৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
সুনীল চাঁদ বলেছেন:
অনেক সুন্দর গল্প। আগে একবার পড়েছিলাম। আজ আবার পড়লাম
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুনীল চাঁদ ।
আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম । ব্লগিং হোক আনন্দময় ।
৬৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
নিষ্কর্মা বলেছেন: ইয়ু আর মোর দ্যান আ পোয়েট, হু ইউজেস দি পোয়েট্রি ইন দি প্রোজেস অর ফিকশান। সেলুট টু ইয়ু।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: বস, মাথাটা নুয়ে এলো !!
আমি সচেতন ভাবেই জানি, আমি এই কমপ্লিমেন্টের উপযুক্ত হয়ে উঠিনি এখনো । তবু শুভাশিস হিসেবে মাথায় পেতে নিলাম ।
বিনম্র ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা ।
৬৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
ধূর্ত উঁই বলেছেন: সুন্দর
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
৬৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
গল্প আগের মত পড়া হয়না। তবে এই লেখাটা দুই বার পড়লাম। আগে একবার পড়েছি মন্তব্য করতে পারিনি কিজেন সমস্যা ছিল।
অসাধারন লিখেছেন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । গল্প পড়া আর প্রশংসা করার জন্য কৃতজ্ঞতা ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা নিরন্তর ।
৬৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
শায়মা বলেছেন: ঈশ্বরও পরাজিত!!!
আগে পড়েছিলাম ভাইয়া। অফলাইনে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শায়মা'পু ।
হ্যাঁ লেখক ঈশ্বর পরাজিত, পরমেশ্বরের কাছে ।
এই মাসে তোমার কোন পোস্ট পাইনি আপু । আশাকরি সকল ব্যস্ততা ঠেলে খুব শীঘ্রই ফিরবে নতুন পোস্ট নিয়ে ।
শুভ কামনা ।
৭০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৮
সুপণ শাহরিয়ার বলেছেন: লেখাটা আমার পিসিতে সেভ করে নিলাম। পড়ার পর মন্তব্য করবো কাল। ধন্যবাদ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সুপ্রিয় সুপণ শাহরিয়ার ।
৭১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
আপনার লেখা সেরা গল্প এটি। হ্যাটস অফ।
লেখকের কল্পনায় দেখা ফানুস আর ঈশ্বরের দুনিয়াতে দেখা বাস্তবতার নিদারুন অসঙ্গতি আমি কিছুটা জানি। পাঞ্জা লড়ায় লেখকের হার বড় নির্মম। কত চেষ্টা, বারবার, তবু শেষ পর্যন্ত বাস্তবতা বাস্তবতাই থেকে যায়। জয় থেকে যায় শুধু কল্পনায়। সাজির মা থেকে সাজি, সাজি থেকে সাজির সন্তান.... এভাবে নির্মমতা চলতেই থাকে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: লেখকের কল্পনায় দেখা ফানুস আর ঈশ্বরের দুনিয়াতে দেখা বাস্তবতার নিদারুন অসঙ্গতি আমি কিছুটা জানি। পাঞ্জা লড়ায় লেখকের হার বড় নির্মম। কত চেষ্টা, বারবার, তবু শেষ পর্যন্ত বাস্তবতা বাস্তবতাই থেকে যায়। জয় থেকে যায় শুধু কল্পনায়। সাজির মা থেকে সাজি, সাজি থেকে সাজির সন্তান.... এভাবে নির্মমতা চলতেই থাকে।
খুব চমৎকার বলেছেন । আপনার বিশ্লেষণ খুব ভালো লাগলো ।
৭২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:
রঙ–তুলি-পেন্সিলের পরাজিত ঈশ্বর হয়ে বেঁচে থাকাই লেখকের অমোঘ নিয়তি ।
শেষের এই বাক্যটা ভালো লেগেছে। বাস্তবতার কাছে বার বার পরাস্ত হওয়াই বুঝি আমাদের নিয়তি। ইশ্বরের লীলা বোঝা দায়....
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, ঈশ্বরের খেলা বোঝা তার সৃষ্টির পক্ষে সম্ভব নয় ।
ধন্যবাদ বোধহীন স্বপ্ন । ভালো থাকবেন ।
৭৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
মেঘ মেয়ে বলেছেন: অসাধারণ!!
দাবার ঘুঁটির মতো অসহায় মানুষ, ঈশ্বরের তুষ্টির জন্য অবিরাম নিয়তির সাথে যুদ্ধ করে যেতে হয়... যেখানে হার অনিবার্য। তাই পরমেশ্বরের বিনোদনের জন্য রঙ-তুলি-পেন্সিলের ঈশ্বরকে চিরকাল পরাজিত হতে হয়।
খুব ভালো লাগলো লেখা।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: দাবার ঘুঁটির মতো অসহায় মানুষ, ঈশ্বরের তুষ্টির জন্য অবিরাম নিয়তির সাথে যুদ্ধ করে যেতে হয়... যেখানে হার অনিবার্য। তাই পরমেশ্বরের বিনোদনের জন্য রঙ-তুলি-পেন্সিলের ঈশ্বরকে চিরকাল পরাজিত হতে হয়।
গল্পের মুল থিম খুব চমৎকার ভাবে প্রকাশ করেছেন ।
অনেক ধন্যবাদ । আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম
৭৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: এত সুন্দর ভাবে বাস্তবতাকে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পড়া আর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ।
৭৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঈশ্বরকে কোনো এক গল্পের চরিত্রে এনে তার প্রভাবটাকে বাস্তবতার মিশেলে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়াটা একটা অসাধারন মাত্রা দিয়েছে গল্পটাকে। মুগ্ধ হচ্ছি বার বার যতবার আপনার এক একটা গল্প পড়ি
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার জন্য বিশাল পাওয়া । নতুন লেখকের জন্য অনুপ্রেরণা দরকার । আমি আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি ।
শুভকামনা সতত ।
৭৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
উদাস কিশোর বলেছেন: অসাধারন , অসাধারন !
খুবই ভাল লেগেছে মামুন ভাই
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কিশোর ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
যুবায়ের বলেছেন: টাইটেলটা বেশি রগরগে হয়ে গেছে....
ধর্মাণুভূতিতে আঘাত লাগার মত!!..
এডিট করে দিলে ভালো হয়।