![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গালে প্রচন্ড জোড়ে একটা চড়!
ছেঁড়া সুতোর উপর দাঁড়িয়ে থাকা সাজিদ-নায়লার সম্পর্কটা সেদিনই চুড়ান্ত পরিণতি নিয়েছিল ।
চড় খেয়ে হতভম্ব অপমানিত সাজিদ তাৎক্ষনিক কোন শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বটে! কিন্তু চোয়ালবদ্ধ দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পরেরদিনই তালাকনামার উকিল নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছিল । সেই সাথে তাদের দুই বছরের প্রেম আর চার বছরের সংসার জীবনের চুড়ান্ত সমাপ্তি ঘটে ।
পড়ন্ত বিকেলের কোন একাকী অবসরে নায়লা যখন পেছনের কথা ভাবে, চোখ দুটি অজান্তেই ভরে উঠে জলে । সাজিদের সাথে প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতি আজও তাকে খুঁচিয়ে বেড়ায় । আত্মবিশ্বাসী প্রাণরসে ভরপুর সাজিদ প্রথম দেখাতেই তার মন কেড়েছিল । সাজিদের দিকে নায়লাই প্রথম হাত বাড়িয়েছিল । কি ছিলনা তাদের প্রেমে! ভালোবাসা ছিল, বিশ্বাস ছিল, ছিল অকারণে মুগ্ধতায় ডুবে যাওয়া ।
বিয়ের পর সাজানো গোছানো সংসার নিয়ে সময়টা কাটছিল বেশ । নায়লার প্রতি সাজিদের কেয়ারিং মাঝে মাঝেই পাগলামোর মাত্রায় পৌছে যেত । কি গার্হস্থ্য কর্ম, কি ঘুরে বেড়ানো, কি নায়লাকে অবাক করে দেয়ার ছেলেমানুষী চেষ্টা! সবকিছুতেই সাজিদের ছিল অদম্য প্রাণ শক্তি ।
হঠাৎ করেই নায়লা বুঝতে পারে, কোথায় যেন সুর কেটে যাচ্ছে । কি যেন ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের সম্পর্ক থেকে । সাজিদের বদলে যাওয়া নিয়ে ভেবে ভেবে নায়লা খুঁজে পেল এক আত্মবিনাশী যোগসূত্র! সাজিদের সন্দেহবাতিকতা..
হ্যাঁ, সাজিদ দিন দিন সন্দেহপ্রবন হয়ে উঠছিল । প্রথম দিকে ব্যাপারটা নায়লার চোখ এড়িয়ে গেলেও এক পর্যায়ে সাজিদের অসামঞ্জস্য আচরণে তা ক্রমে প্রকাশিত হতে থাকে । নায়লা মাথা ঠান্ডা রেখে সন্দেরপ্রবনতার উৎস খুঁজতে চেষ্টা করে । সাজিদের সাথে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলাপ করার চেষ্টা করে । কিন্তু সাজিদ পুরো ব্যাপারটাই অস্বীকার করে বসে ।
দিন যায়, সাজিদ এখন আর কোন কিছুই গোপন করে না । প্রকাশ্যেই নায়লাকে বিভিন্ন বিব্রতকর প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে । কিন্তু নায়লার কাছে পুরো ব্যাপারটাই ছিল হাস্যকর যন্ত্রণাদায়ক । সে বুঝতে পারে সাজিদের এই প্রবনতা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে । নিজেকে নায়লা বেশিক্ষন স্থির রাখতে পারেনা, প্রকাশ্যেই দুজন কলহে জড়িয়ে পড়ে ।
কাছের স্বজনেরা এসে পরামর্শ দেয়, বাচ্চাকাচ্চা নিলে নাকি সব ঠিক হয়ে যাবে! কিন্তু সে তো চেষ্টা কম করছে না, আর সবকিছুতে তার হাতও নেই । নায়লা যেদিন শুনতে পায় সাজিদ তার এক জুনিয়র কলিগের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে, সেদিনই সব কিছু শেষ হয়ে যায় । নায়লা ভেবে নেয় সাজিদ তার গোপন বাসনা চরিতার্থ করতেই এমন সন্দেহের ভান করছে । একরাশ ঘৃণা এসে ভর করে নায়লার মনে । পারষ্পরিক ঘৃণার অমোঘ পরিণতিতে দুজনেই বেছে নেয় আলাদা জীবন ।
সাজিদের সাথে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর নায়লা একটা স্কুলে চাকুরি নেয় । একাকী জীবনে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার সুযোগও এসেছিল । কিন্তু সে আর কাউকে পুরোটা বিশ্বাস করতে পারে নি । তাই নিরুদ্রপ একাকী জীবনে স্কুলই হয়ে উঠে তার সব কিছু ।
এখন নায়লা যে স্কুলে আছে সেটা একটা চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান । আশ্রয়হীন শিশুদের কথা ভেবে প্রতিষ্টিত হলেও এটা এখন বাবা মা থেকে দুরে থাকা মধ্যবিত্ত শিশুদের রেসিডেনশিয়াল হোম । এখানকার শিক্ষার পরিবেশ আর মানদন্ডের উৎকর্ষতার জন্য অনেক চাকুরিজীবি পরিবারের শিশুরা এখানে পড়তে আসে ।
সার্বক্ষনিক শিক্ষিকা হিসাবে নায়লা শিশুদের সাথে হোমেই থাকে । বাচ্চাগুলোর সাথে তার হৃদ্যতা কাছের মানুষদের মতোই । নায়লাও তাদের নিজের সন্তানের মত আপন করে নিয়েছে । সেদিন ক্লাসে নায়লা একটা প্যারাগ্রাফ লিখতে দেয়, মা নিয়ে । সেঁজুতি নামের একটা মেয়ের লেখা পড়ে সে কিছুতেই চোখের পানি আটকে রাখতে পারছিল না । সেঁজুতি লিখেছে,
"শুনেছি মা মারা গেলে আকাশের তারা হয় । মা বেঁচে থাকলে কি হয় জানি না । আমার মা বেঁচে আছে, তবু আমি আকাশে তারা খুঁজি । তারা'দের ঝরে পড়া দেখতে আমার খুব ভালো লাগে ।"
সেঁজুতি মেয়েটা এমনিতে খুব বুদ্ধিমতি আর নিয়ামনুবর্তী । কিন্তু মা সম্পর্কে তার নেতিবাচক ধারণা নায়লাকে ভাবিয়ে তুলে । প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সাথে ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করতেই তিনি ফাইল ঘেটে জানান, সেঁজুতির বাবা-মা আলাদা থাকেন । সে তার বাবার কাছেই বড় হয়েছে । সেঁজুতির বাবা এখন দুরের একটা শহরে চাকুরি করেন ।
এটা জানার পর নায়লার মনটা হাহাকার করে উঠে । পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে নায়লা সেঁজুতির সাথে একটা আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ।
রিসিপশন থেকে খবর আসে সেঁজুতির বাবা এসেছেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে । সেঁজুতিকে একা পাঠালেই চলত, তবু নায়লা ইচ্ছে করেই তার সাথে যায় । অতিথিঘরে চুপচাপ বসে থাকা সেঁজুতির বাবাকে দেখে নায়লার মাথা ঘুরে যায় । সাজিদের সাথে এভাবে কখনো দেখা হয়ে যাবে তা সে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি ।
দুজনেই কিছু সময়ের জন্য হতবাক হয়ে যায় । সেঁজুতি দৌড়ে গিয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে । নায়লা ঘোরলাগা চোখে বাবা মেয়ের আনন্দমিলন প্রত্যক্ষ্য করে । বেশ কিছু সময় পর সেঁজুতি যখন বাবার আনা বারবিডল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন নায়লা আর সাজিদ পরষ্পরের মুখোমুখি হয় ।
সাজিদই প্রথম মৌনতা ভেঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করে । নায়লার ঘোরলাগা বিস্ময় তখনো কাটেনি, সাজিদের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে মুখে শুধু হুহা জবাব দেয় । সাজিদ তাকে সেঁজুতির মায়ের কথা বলে । সেঁজুতির মায়ের সাজিদকে ফেলে চলে যাওয়ার গল্প নায়লার কাছে পরিচিত গল্পের পুনরাবৃত্তি মনে হয় । তবু সাজিদ কথা বলতে থাকে, তার বোধ উপলব্ধির কথা । অতীতে নায়লার প্রতি তার অবিচারের আত্মগ্লানি আর আত্মদহনের কথা । সাজিদ বলে, "বারবার ভালোবাসা যায় না । মানুষের জীবনে ভালোবাসা একজনকেই ঘিরে আবর্তিত হয় । কিন্তু অনেক সময়ই মানুষ তা বুঝতে ব্যর্থ হয় । ব্যর্থ মানুষদের অনুশোচনা আর গ্লানির আগুনে বাকিটা জীবন পুড়তে হয় ।"
নায়লার ঘোরলাগা তখনো কাটেনি । অবাক হয়ে সে সাজিদের দিকে তাকিয়ে রয় । কি অবলীলায় সাজিদ নায়লার মনের কথাগুলো বলে যাচ্ছে! নায়লার মাথায় কেবল একটি চিন্তাই ঘুরপাক খেয়ে যায়, মানুষের জীবনে ভালোবাসা শুধু একজনকেই ঘিরে আবর্তিত হয়!
(এটা সেই ফরমায়েসি ভালুবাসার গল্প, সম্পাদক সাহেবের বিনীত অনুরোধে ৮০০ শব্দের মধ্যে বানাতে হয়েছিল । লুতুপুতু বলিয়া লজ্জা দিবেন না )
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, এভাবে বললে কেস খেয়ে যাব তো!
প্রথম মন্তব্যে ধন্যবাদ
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: গল্পটা ঠিক দানা বেঁধে উঠলো না মামুন ভাই । সম্ভবনা ছিলো কিন্তু মনে হলো সমাপ্তিটা আগেভাগে ঠিক করে তারাহুড়ো করে লিখে ফেলা । গেলো হলো করলোতেই শেষ । । অথচ সাজিদের সাথে নায়লার সম্পর্কটা আরও ব্যখার সুযোগ আছে , নায়লার একাকী জীবনের বর্ণনাও আসতে পারে । আবার সাজিদ দেখা হওয়ার খানিক পরেই নিজের ভুলের কথা বলতে লাগলো এটাও কেমন অস্বাভাবিক লাগে, অস্বাভাবিক লাগে নায়লার মনের কথাগুলোও যেহেতু কেনও এমন সে ভাবছে তার কোনও ব্যাখা নেই । যেনও হার্ড রক একটা , দ্রুত গতিতে শেষ হয়ে যাওয়া, ক্লাসিকের মতো রস আস্বাদনের ব্যাপার নেই, খঠখঠে ! মনে রাখার মতো লাইনও নেই । এইসবই আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত ।
যাই হোক, ভাইয়া, অনেক কথা বলে বললাম, আশা করি মনে করবেন না কিছু । শুভেচ্ছা আর ভালো থাকবেন ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, এভাবে নিজের ইচ্ছে বা স্টাইলের বিপরীতে গিয়ে কিছু লেখা ঠিক নয় । আবার আন্তরিক ভাবে নিলে এটাকেও যে সুন্দর একটা গল্পে রুপ দেয়া যেত তা আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারছি । দেখি, ভবিষ্যতে যদি কখনো ইচ্ছে হয় তাহলে হয়তো গল্পটা আবার লিখব ।
গঠনমুলক মন্তব্যে ধন্যবাদ আদনান
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ভালো লাগল।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
চিরতার রস বলেছেন: সম্পাদক সাহেবের বিনীত অনুরোধে ৮০০ শব্দের মধ্যে বানাতে হয়েছিল
গল্পের আকার অনুযায়ি ঘটনা বেশি হয়ে গিয়েছে মনে হয়। ঘটনাগুলা দ্রুত ঘটে গেছে। আরে অনেক বড় করা যাইতো। সম্পাদককে খুশি করার জন্য সুন্দর গল্পটারে ছাটাই করাটা ঠিক হলো কি মামুন ভাই ?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: উনার জন্যই এই গল্পটা লেখা হইছে । আমি নিজে থেকে এত আনপ্রিপেয়ার্ড গল্প লিখিনা । তবে যা লিখেছি তা আমিই লিখেছি, ব্লগে দিয়ে রাখলাম যেন হারায়ে না যায় । ভবিষ্যতে সুযোগ পাইলে এটাতে পরিবর্তন পরিবর্ধন করে নেব ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ও আচ্ছা আপনার শব্দের সীমাবদ্ধতা ছিল !!! এটা প্রথম কমেন্ট করার সময় খেয়াল করিনি । এখন তো লজ্জা লাগছে এমন নির্মম সব কথা বলার জন্য !
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: কিছু কিছু নির্মমতা নতুন সৃষ্টির অনুপ্রেরণা হয়ে আসে । মন্তব্য অত্যন্ত গঠনমুলক ছিল, আর সাহসের সাথে এই চর্চাটা চালিয়ে যাওয়া লেখক এবং পাঠকের জন্য খুবই জরুরী ।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
জেরিফ বলেছেন: ভালো লাগলো ।
কিন্তু সীমাবদ্ধতা কেন ?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ জেরিফ । গল্পটি ব্লগের জন্য লেখা নয় । তবু পোস্ট দিলাম যেন এটি হারিয়ে না যায় ।
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শব্দের প্রাচীর থাকা সত্ত্বেও লেখাটি চমৎকার হয়েছে মামুন ভাই। সাজিদ সহেবের সন্দেহ থাকলেও প্রেম একজনকে ঘিরে্ই । পড়ে আরাম পাওয়া গেল ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম । ভালো থাকবেন ।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
সুমন কর বলেছেন: এটা সেই ফরমায়েসি ভালুবাসার গল্প, সম্পাদক সাহেবের বিনীত অনুরোধে ৮০০ শব্দের মধ্যে বানাতে হয়েছিল ।
তাইতো বলি, এত কমন কেন?? খুব সহজেই গল্পের পরিসমাপ্তি বুঝা গেছে। প্লটটি অতি পরিচিতি। আসলে গল্পগুলো এমনই। সমাপ্তিটা পাঠকের হাতে ছেড়ে দিতে হয়। যাই হোক, অতি তাড়াতাড়ি লেখা আর শেষ হওয়া গল্প মোটামুটি লাগল।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন । আসলে গল্পলেখক হিসাবে আমি এখনো নতুন, চাইলেই বসে গল্প লিখে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না । চলতি পথে ভাবতে ভাবতে হঠাৎ হয়তো একটা প্লট মাথায় আসে, মাস খানেক মাথার ভিতরে সেই গল্প ঘুরে বেড়ায় । তারপর হয়ত একদিন বসে লিখে ফেলি । এই যে নিজের ইচ্ছায় নিজের চিন্তায় একটা গল্প আসে, সেটার সাহিত্যিক মুল্য যাই হোক না কেন নিজের কাছে একটা তৃপ্তি থাকে । কিন্তু ফরমায়েসি লেখায় কোন তৃপ্তি নাই ।
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবার পর নায়লা একটা স্কুলে চাকরি করছে। এতদিন মেয়ে কেমন ছিল, কী করছে, এটা তার অজানা থাকাটাই গল্পটার দুর্বল দিক। নিজ স্কুলে নিজের মেয়ে পড়ছে, নায়লা তা জানে না- এটাও নাটকীয়।
যাক, কিছু ভালো দিকও আছে। বর্ণনা সাবলীল। এবং একটা মেসেজঃ মানুষের জীবনে ভালোবাসা শুধু একজনকেই ঘিরে আবর্তিত হয়!
শুভ কামনা প্রিয় মামুন ভাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: সাজিদই প্রথম মৌনতা ভেঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করে । নায়লার ঘোরলাগা বিস্ময় তখনো কাটেনি, সাজিদের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে মুখে শুধু হুহা জবাব দেয় । সাজিদ তাকে সেঁজুতির মায়ের কথা বলে । সেঁজুতির মায়ের সাজিদকে ফেলে চলে যাওয়ার গল্প নায়লার কাছে পরিচিত গল্পের পুনরাবৃত্তি মনে হয় ।
গল্পের প্লট এবং ঘটনা বিন্যাস কিছুটা অবিন্যস্ত, বর্ণনায়ও অনেক ঘাটতি আছে । তবে সেঁজুতি যে নায়লার মেয়ে নয় তা হয়ত আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে । সেঁজুতি আসলে সাজিদের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান ।
অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই । গল্প পাঠে কৃতজ্ঞতা ।
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চড় খেয়ে হতভম্ব অপমানিত সাজিদ তাৎক্ষনিক কোন শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বটে! কিন্তু চোয়ালবদ্ধ দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পরেরদিনই তালাকনামার উকিল নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছিল । সেই সাথে তাদের দুই বছরের প্রেম আর চার বছরের সংসার জীবনের চুড়ান্ত সমাপ্তি ঘটে ।
এখানে শেষ বাক্যটি হওয়া উচিত ছিল পুরাঘটিত বর্তমান কালে। কিন্তু লেখক লিখেছেন সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমানে। এই অনুচ্ছেদটি শুরু হয়েছিল ক্রিয়ার পুরাঘটিত বর্তমান কাল দিয়ে। তার সাথে মিলিয়ে বাক্যটি যদি এভাবে শেষ হত, চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটে গিয়েছিল, তাহলে বেশ হত। তার মানে আমি বলছি না যে কোনো অনুচ্ছেদ ক্রিয়ার যেই কাল অনুসরণ করে শুরু হবে পুরো অনুচ্ছেদে সেই কালেরই অনুসরণ করতে হবে। আমি বলছি, পড়তে গিয়ে যেন সাবলীল গতিটা রুদ্ধ না হয়। কান যেন বলে, ঠিকাছে! ঠিকাছে!
পড়ন্ত বিকেলের কোন একাকী অবসরে নায়লা যখন পেছনের কথা ভাবে, চোখ দুটি অজান্তেই ভরে উঠে জলে । সাজিদের সাথে প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতি আজও তাকে খুঁচিয়ে বেড়ায় । আত্মবিশ্বাসী প্রাণরসে ভরপুর সাজিদ প্রথম দেখাতেই তার মন কেড়েছিল । সাজিদের দিকে নায়লাই প্রথম হাত বাড়িয়েছিল । কি ছিলনা তাদের প্রেমে! ভালোবাসা ছিল, বিশ্বাস ছিল, ছিল অকারণে মুগ্ধতায় ডুবে যাওয়া ।
এই অনুচ্ছেদটি কিন্তু শুরু হয়েছিল নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল দিয়ে। এবং শেষ দিকে ক্রিয়ার পুরাঘটিত বর্তমান কাল ব্যবহার করা সত্ত্বেও কান কিন্তু সায় দিচ্ছেঃ ঠিকাছে! ঠিকাছে!
বিয়ের পর সাজানো গোছানো সংসার নিয়ে সময়টা কাটছিল বেশ । নায়লার প্রতি সাজিদের কেয়ারিং মাঝে মাঝেই পাগলামোর মাত্রায় পৌছে যেত । কি গার্হস্থ্য কর্ম, কি ঘুরে বেড়ানো, কি নায়লাকে অবাক করে দেয়ার ছেলেমানুষী চেষ্টা! সবকিছুতেই সাজিদের ছিল অদম্য প্রাণ শক্তি ।
হঠাৎ করেই নায়লা বুঝতে পারে, কোথায় যেন সুর কেটে যাচ্ছে । কি যেন ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের সম্পর্ক থেকে । সাজিদের বদলে যাওয়া নিয়ে ভেবে ভেবে নায়লা খুঁজে পেল এক আত্মবিনাশী যোগসূত্র! সাজিদের সন্দেহবাতিকতা..
এখানে এসে আবারও কান বলছে, ঠিক নাই! ঠিক নাই! হঠাৎ করেই নায়লা বুঝতে পারে না লিখে বুঝতে পেরেছিল লেখা উত্তম ছিল।
বাংলা গদ্যের বর্ণনায় ক্রিয়ার একাধিক কালের ব্যবহার আমাদের বাংলা সাহিত্যের জন্য এক অপরিসীম সম্পদ। কিন্তু লেখকের অসচেতন ব্যবহার কখনো কখনো এই সম্পদের কেবল অপচয়ই ঘটিয়ে চলে। এই গল্পে এরকম আরও উদাহরণ রয়েছে।
উপরের মন্তব্যটুকু একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। এর সাথে সবাই যে একমত হবেন এমন কোনো কথা নাই।
পরিশেষে মামুন ভাই, আপনি বইমেলায় এসেছিলেন কিন্তু আপনার ফোন নাম্বার জানা নেই বলে দেখা হল না। আফসোস!
শুভেচ্ছা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মনযোগী পাঠ এবং নিঁখুত পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি । আবার আনন্দও পেয়েছি অনেক । এই যে পরষ্পরের বিচ্যুতি গুলি ধরিয়ে দেয়া, এটা ব্লগিংয়ের একটা দৃষ্টান্তমুলক ভালো দিক । ব্লগিংয়ে শুধু পাঠকের প্রতিক্রিয়াই নয়, লেখকের শুধরানোর জায়গাগুলোও এখানে চিন্হিত হয় ।
অনেক ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম । মেলায় আপনার সঙ্গে দেখা হলে খুব খুশি হতাম । যাই হোক, দেখা হয়ে যাবে যেকোন দিন । ভালো থাকবেন ।
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
উদাস কিশোর বলেছেন: খুব মন খারাপ নিয়ে ব্লগে লগইন করলাম মনা টা ভাল হবে বলে ।
প্রথমেই আপনার গল্পটা চোখে পরলো । মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল
আজ আমার মন খারাপ দিবস
, "বারবার ভালোবাসা যায় না । মানুষের জীবনে ভালোবাসা একজনকেই ঘিরে আবর্তিত হয় । কিন্তু অনেক সময়ই মানুষ তা বুঝতে ব্যর্থ হয় । ব্যর্থ মানুষদের অনুশোচনা আর গ্লানির আগুনে বাকিটা জীবন পুড়তে হয় ।"
এই কথা টুকুই সবচেয়ে ভাল লাগলো
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: না না, মন খারাপের কারণ নেই । গল্প শেষে দুজনের উপলব্ধিকে আপনি একটা বিন্দুতে মিলিয়ে নেন, মানে কল্পনায় তাদের আবার মিলিয়ে দেন- দেখবেন মন ভাল হয়ে গেছে
১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অলওয়েজ ড্রিম যাহা বলিয়াছেন তাহার উপর আর কিছু বলিবার নাই।
আমি মনে করি শব্দের মধ্যে আটকে রাখা সম্পাদক মহাশয় গুলোর ঠিক না তাহাতে সাহিত্য ছোট হইয়া যায়।
আবার পড়িব
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম, সম্পাদক মহাশয়েরা ইতিমধ্যে দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতাকে কিভাবে এত হাস্যকর মাত্রায় নামিয়ে এনেছেন, বুঝতে পারলাম ।
ধন্যবাদ কবি ।
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বিটিভি'র টেলিছবি !
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হুহ্
আছে নাকি কারো সাথে যোগাযোগ
১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
মুদ্দাকির বলেছেন: ভালো লাগল
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ক্রমশঃ বিষয় যেন ব্যতিক্রম হয়।
আরো লিখুন।
ভালো লেগেছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: চেষ্টা করব । ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন ।
১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বরাবরের মতোই আরেকটি চমৎকার গল্প পড়ার সৌভাগ্য হলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
হুমায়ূন আহমেদের একটা গল্পের সাথে কিছুটা মেলে। তবে ভাল লেগেছে পড়তে। লুতুপুতু ব্যাপারটা বর্ণনা ভঙ্গির জোরে যথেষ্ট পাস কাটাতে পেরেছেন মামুন ভাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু নাজিম
১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৯
বোকামন বলেছেন:
গল্প ভালো লাগলো বলতে পারলে আমারও ভালো লাগতো।
তবে দুঃখিত গল্পের প্লট-বর্ণনা-লেখনী হতাশ করেছে। কারণ আপনি আরও অনেক ভালো লিখে থাকেন বলেই বিশ্বাস করি।
ফরমায়েসি ভালুবাসার গল্প ! ওহ ! তাহলে ঠিক্ আছে :-)
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: শুভ কামনা প্রিয় বোকামন ।
১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: একটা সম্পর্কে নানা কারণে দূরত্ব আসতে পারে , ছোটখাট ব্যাপার গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ !
গল্প ভালো লেগেছে মামুন ভাই !
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অভি
২০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১০
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপনাদের চমৎকার পোষ্টগুলো মিস করছি খুব।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: মাঝে মাঝে ঢুঁ মাইরা যাইয়েন
২১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২১
ইখতামিন বলেছেন:
সকলের মন্তব্যের পরে আমি আর কী বলবো.. চমৎকার গল্প..
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যন্কু ইখতামিন
২২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছে, ফরমায়েশি গল্প হিসাব করলে বেশ ভালো হয়েছে।
কয়েকজন পাঠক মনে হয় মনে করেছেন সেঁজুতি হলো নায়লা ও সাজিদের মেয়ে; তবে আমার মনে হয়েছে সেঁজুতি সাজিদ ও তার কলিগের মেয়ে। নায়লা ও সাজিদের সেপারেশনের পর সাজিদ কলিগকে বিয়ে করে আর তাদে ঘরে সেজুতির জন্ম; কিন্তু পূর্বের মতই সাজিদের সন্দেহবাতিকের কারনে তার পরবর্তি বউ তাকে ছেড়ে যায়। আমি কি সঠিক ধরতে পেরেছি ? ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী।
লিখতে থাকুন এমন সব গল্প, সাথে আছি। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । আপনি ফিরে আসায় খুব ভাল লাগছে
হ্যাঁ, আপনি গল্পের আন্তঃসম্পর্ক গুলো সঠিকভাবেই ধরতে পেরেছেন । মনযোগী পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
২৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফরমায়েশী গল্পগুলোর যা পরিণতি হবার কথা...আপনার অন্যান্য গল্প থেকে সবকিছুতেই এটি অনেক পিছিয়ে মামুন ভাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: একেতো মাথা দুই মাস ধরে গল্পশুন্য তার উপর ভালোবাসার গল্প! সম্প্রতি প্রচুর গল্প পড়েছি হাসান আজিজুল হকের, আর গল্প নিয়ে আড্ডা দিয়েছি কয়েকজন নামকরা গল্পকার আর কবির সাথে । এর আফটার ইফেক্ট ভর করেছে মাথায়, আমার গল্প লেখা উচিত কিনা এইসব আর কি!
নতুন কয়েকটা প্লট এসেছে মাথায়, নামানোর আগে শান্তি পাচ্ছি না ।
২৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
এহসান সাবির বলেছেন: ৮০০ শব্দের মধ্যে...........
হুম........
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম ।
২৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৫
রাসেলহাসান বলেছেন: সুন্দর গল্প!! ভালো লাগলো।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০২
গোর্কি বলেছেন:
বড় প্রেম শুধু দূরেই ঠেলে দেয় না....... । ভালবাসা ভিত্তিক ছোট গল্প ভাল লেগেছে। শুভকামনা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: বড় প্রেম নাকি গাছেও তুলে..
ভালো থাকবেন গোর্কি ।
২৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:১৫
অন্তরন্তর বলেছেন:
ঠিক আছে লুতুপুতু বলিয়া লজ্জা দিলাম না।
গল্প ভাল লেগেছে মামুন ভাই।
প্রথম লাইনটা একটু দুষ্টামি করে লিখলাম।
শুভ কামনা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন:
২৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: প্রেম > বিয়ে > সন্দেহ > পরকীয়া > ভাঙন > তারপর সেজুতি > আবার দেখা
সব কিছু মিলিয়ে এক পর্বের নাটকের জন্য গপটা মন্দ হবে না !
গপ ভালা লাগছে ভাইজান
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: হেহে, এইভাবে উৎসাহ দিলে নাইমাও যাইতে পারি
২৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার এই গল্পটা অন্যরকম লাগল। অন্য গল্পগুলো থেকে আলাদা।
ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু মহামহোপাধ্যায়
৩০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমার ডিসক্লেইমারটা বেশি ভালো লাগলো।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, ধন্যবাদ শরৎ ভাই ।
৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //বারবার ভালোবাসা যায় না । মানুষের জীবনে ভালোবাসা একজনকেই ঘিরে আবর্তিত হয়।//
-গল্পের মোরাল দেশে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঠেকাতে সাহায্য করবে
-আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় গল্পকার...
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: -গল্পের মোরাল দেশে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঠেকাতে সাহায্য করবে
হাহাহা, আপনার কমেন্ট পড়ে দুই মিনিট একা একা হাসছি মইনুল ভাই ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
৩২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
অদৃশ্য বলেছেন:
গল্পটা পড়বার সময় একবার মনে এসেই গেলো কুছ কুছ হ্যোতা হ্যায় ছবিটির কথা... যা হোক খুব খারাপ লাগেনি কিন্তু... মানে হলো, ভালোই লেগেছে...
শ্রদ্ধেয় মামুন ভাইয়ের জন্য
শুভকামনা...
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার কমপ্লিমেন্ট নিতে ভালোই লাগছে :#>
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
৩৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যিনি ফরমায়েস দিসেন তারে আপনার গল্পের প্রথম লাইন।
এই গল্পটা আপনি আপনার মত করে আবার লিখেন প্লীজ!!! তাইলেই ছক্কা!!!!!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা...
না না, এটা করা যাবে না কা_ভা । উনারা নমস্য, বাংলা সাহিত্যকে উনারা দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতার মাধ্যমে টিকাইয়া রাখিয়াছেন
হ্যাঁ গল্পটা আবার লিখব । যেন হারিয়ে না যায় এইজন্য ব্লগে দিয়ে রাখছি ।
ভালো থাকবেন
৩৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬
এরিস বলেছেন: গল্প লেখার আগে শব্দের সংখ্যা বেঁধে দিলে লেখার সময় অস্থিরতা বেড়ে যায়, এক লাইন লিখেই রিকাউন্ট। এজন্যেই এরকম তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে সব কিছু।
লিমিটেশন নিয়ে না লিখলে নায়লার একাকীত্ব, সেঁজুতির সাথে কথোপকথন, সাজিদের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়ন, সাজিদের ফিরে আসা এসব ডিটেইলিংয়ে গল্পটা আরও মুগ্ধ করতে পারতো।
গল্পের প্লট পরিচিত, নাটকের মতো, কমন প্লট এইসবের সাথে আমি একমত নই। প্রতিটি প্রেম কাহিনীতেই প্রথম দেখা, ভাল লাগা, ভালবাসা, সন্দেহ, গণ্ডগোল, দূরে যাওয়া, আবার কাছে আসা, ব্রেক আপ, কারো বিয়ে, কারো ডিভোর্স এগুলোর কিছু না কিছু থাকবেই। এই ব্যাপারগুলোর বাইরে প্রেম নিয়ে লেখার মতো আমি আর কিছু দেখিনা।
একবার কষ্ট করে ৮০০ শব্দের লাগেজে গল্প ভরেছেন, বের করে নিন, আবার সাজান, সাত হাজার তারার সমান শব্দ নিয়ে আবর্তনকে আবার ফিরে চাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ এরিস । গল্পটাকে শুধু হারিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে ব্লগে দিয়েছিলাম, এখন মনে হচ্ছে দিয়ে ভালো করেছি । পাঠকের কাছ থেকে যে ইনপুট পাচ্ছি, আশা করি ভবিষ্যতে এটা একটা দারুণ গল্প হয়ে উঠবে ।
এই খানেই ব্লগিংয়ের মজা । আর কোন মিডিয়ায় এমনভাবে পাঠক প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব নয় । আর এটাকে সতর্কভাবে কাজে লাগাতে পারলে একজন লেখকের সত্যিকারের লেখক হয়ে উঠার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।
চমৎকার মন্তব্যে প্রীত । ভালো থাকবেন প্রিয় এরিস ।
শুভ কামনা
৩৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
আমি ইহতিব বলেছেন: মানুষের কৃত কর্মের ফল ঘুরে ফিরে তার কাছেই আসে আবার।
গল্পটায় খুব তাড়াহুড়ার আভাস পাচ্ছিলাম, শেষে এসে ব্যাপারটা বুঝলাম।
মানুষের জীবনে ভালোবাসা শুধু একজনকেই ঘিরে আবর্তিত হয়! - কথাটা কি সব সময় সত্যি হয়? আমি এমন অনেক উদাহরণ দেখেছি যাদের জীবনে বারবার ভালোবাসা আসে।
বইমেলায় আপনার দেখা পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন সবসময়।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: আমারতো মনে হয় তাই! প্রথম ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে অন্য কাউকে ভালোবেসে গ্রহন করার পরেও প্রথম ভালোবাসার মানুষটির জন্য হৃদয় কি পুড়ে না!
আপনার সাথে দেখা হওয়াটা ছিল আনএক্সপেক্টেড, তাই দেখা হয়ে ভালোও লেগেছে বেশি ।
ভালো থাকবেন আপু ।
৩৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: আজকে অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকেই প্রথমে আপনার গল্প পড়লাম, আপনার লেখনী নিয়ে নতুন কিছুই বলার নাই ভাইয়া, অসাধারণ
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, শুভ প্রত্যাবর্তন ।
না, গল্পটা মোটেই ভালো হয় নি ।
৩৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
জুন বলেছেন: গল্প মোটামুটি লাগলো, মনে হলো সত্যি সত্যি ফরমায়েশী। তোমার লেখনী কিন্ত এর চেয়ে অনেক অনেক শক্তিশালী তাই বললাম আর কি মামুন ।
+
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: বাহ কি মোলায়েম বাঁশ দিলেন আপু! সূক্ষ্ণ, অতি সূক্ষ্ণ
আইচ্ছা, দিন আমগো ফিরব একদিন
৩৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেয়াই গল্পটা হ্যাব্বি জুস
শুভকামনা
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: বেয়াই!!!
আউক্কা বেয়াই, জাম্ফো দিয়া বুকো আউক্কা
৩৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: গল্পের চেয়ে শেষের দুই লাইন বেশি জোস হইছে
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: হে হে
৪০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সীমাবদ্ধ শব্দের বাধ্যবাধকতায় গল্পে তাড়াহুড়ো ছিলো।
তারপরো ভালো লাগছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় দূর্জয় । ভালো থাকবেন ।
৪১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৭
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেয়াই গল্পটা হ্যাব্বি জুস
শুভকামনা
মামুন ভাই ঘটনা কি ?
গপ ভালা পাইছি
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: বন্ধুর বেয়াই হতে পেরে উচ্ছসিত, কিন্তু কি সূত্রে বেয়াই হলাম তা এখনো উদ্ধার করতে পারিনি ।
৪২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মামুন ভাই , ৮০০-১০০০ শব্দের ভিত্রে ফরমায়েশি গল্প লেখার কাজটা অনেক ঝামেলার, ভুক্তভোগী মাত্রই জানে
গল্প কিন্তু আমার বেশ ভাল্লাগছে ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আবির । মেলায় দেখা হলে খুব ভালো লাগত । আপনার বইয়ের প্রকাশনীর নাম ভুলে গিয়েছিলাম, রিকল করার অনেক চেষ্টা করেছি । আপনার বই কেনার ইচ্ছে ছিল ।
৪৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকের অনেক লেখা পড়াটা পেন্ডিং রয়ে গেছে, এর মাঝে আপনারও আছে কয়েক টা।
লুতুপুতু গল্প আমরা বলি কখন ? বা কাদের লেখাকে ? সেটা কি বয়স ভিত্তিকই হয় ? যাই হোক একটা বয়সে এসে সংসারের কাহিনী এমন দিকে টার্ন নেয় সেটা আর লুতুপুতু বলা যায় না ।
তবে
ফরমায়েশি বা শব্দসীমা বেঁধে দেবার কারণে গল্প ফুটিয়ে তুলতে পারেন নি বা ঘটনার ঘনঘটা দ্রুত ঘটে গেছে , তাহলে সেটা অজুহাত হবে । লেখালেখি যেহেতু ভালোবাসেন তাই সীমাবদ্ধতাকেও অতিক্রম করতে হবে। গল্পে সেঁজুতির প্যারাগ্রাফের অংশটা ভালো লেগেছে বেশি।
সুযোগ পেয়ে বক্তৃতা দিয়ে গেলাম।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: গত দুই মাস লেখালেখি না করায় আমি আসলে গল্প থেকেই সরে এসেছি । এটা আসলে কোন বিচারেই গল্প হয়ে উঠেনি, যাস্ট স্টোরি টেলিং । বুঝতে পারছি, আবার পরিশ্রম শুরু করতে হবে ।
ভাল থাকবেন অপর্ণা, অটোগ্রাফ পাওনা আছে কিন্তু
৪৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নাহ ভাল লাগে নাই। এক টানে বর্ণনা দিয়ে যাওয়া, কোন আপ-ডাউন নাই। ভালবাসার গল্পের আবেগটাই অনুপস্থিত। স্বল্প শব্দে যেহেতু লিখতে হতো, পরিসরটা আরেকটু ছোট রাখলেই মনে হয় ভাল হতো। আপনাকে এত কথা বললাম কারণ দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে আপনার আরেকটা গল্প পড়ে সেইরকম মুগ্ধ হয়েছিলাম। এই গল্পটা ঠিক ততটাই হতাশ করল
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪০
মামুন রশিদ বলেছেন: খারাপই লাগছে আপু । আমার কোন এক্সকিউজ নেই । এটা পোস্ট করাই হয়ত ঠিক হয় নাই । আসলে লেখালেখিতে ব্যাডপ্যাচ যাচ্ছে, চেষ্টা করছি কাটিয়ে উঠতে । তবে পঁচা গল্প লেখার ভালো দিকটা উপভোগ করছি । মানে নিজেকে বুঝতে, নিজের দুর্বলতাগুলো বুঝার একটা সুযোগ পেয়েছি । কষ্ট করে পড়েছেন, মুল্যবান মতামত দিয়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞ আপু ।
শুভকামনা রইলো
৪৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: চমৎকার লেখনী ভাইয়া, সবসময়ের মত।
তবে কেন যেন মনে হল, আর একটু টুইস্ট থাকলে গল্পটা অসাধারণ হত। আমি অত জানি না, তবুও মনে হল তাই বললাম। কিছু মনে করবেন না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন রিয়াদ ।
৪৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৫
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: শব্দ বেঁধে দেয়া এমন শাস্তি যা লেখার স্বত্বি কেড়ে নেয়। শুভকামনা। ভাল থাকুন।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন সাদিয়া ।
ভালো থাকবেন ।
৪৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
আপনার ফরমায়েসি আর লুতুপুতু টাইপ লেখাটা ভালো লেগেছে। একটানে পড়ে ফেললাম।
ভাল থাকুন
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩
জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
ভারী শব্দ বা প্লটে ধোঁয়াশা না রাখলে ভালো গল্প হয় না ! (মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলো) সহজ কথাটি সহজভাবে গল্পে প্রকাশের চেষ্টা ছিলো লেখকের। সঙ্গত কারণেই তাঁর পাঠক ফ্লোরে সাধারণ পাঠকদের টার্গেট করেছিলেন। গল্পটি ভালোই হয়েছে !
আপনি ভুল করেছেন, গল্প শেষে ফরমায়েশি বা লুতুপুত ট্যাগায়িত করে !
আপনি সৌখিন লেখক সে হিসেবে যত্নের ছাপ কিছুটা কম ছিলো অবশ্য। তবে গল্প ভালো। প্রকাশযোগ্য লিখা। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে । এটা গল্প হয়েছে, স্টোরি টেলিং । তবে ছোটগল্প হয়নি । মুহুর্তের খন্ডাংশগুলোকে ফোকাস করার যে ব্যাপারটা রয়েছে, তা এ গল্পে নেই । দৃশ্যগুলো ফুটে উঠেনি, অনুভুতিকে রাঙানো হয়নি, কারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ঠিকমত হয়নি ।
হ্যাঁ, আমরা সৌখিন লেখক । ব্লগে লিখে লিখেই আমরা শিখছি । আর ব্লগিংয়ের সবচেয়ে মজাই হলো এটা, সরাসরি পাঠকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া । তাই ব্লগের সমালোচনা আর ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়াটাকে আমি পজিটিভ ভাবেই নিই ।
ভালো থাকবেন জোবায়েদ-অর-রশিদ । শুভ কামনা
৪৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
ডট কম ০০৯ বলেছেন: দারুন গল্প পড়ে খুব ভাল লাগলো।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান ভাই
৫০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: মামুন ভাই সম্পাদক সাহেবরা বুঝি এভাবেই চমতকার সব গল্পের প্লট আমাদের শর্টকাটে খাওয়ানোর চেষ্টা করে???
আফসোস!!!
গল্পটা ভাল তবে ৮০০ শব্দের বেড়াজাল থেকে বের হতে পারলে একদম পারফেক্ট হতো!
ভাই এটার সিক্যুয়াল লেখা যায় না?'আবর্তন পার্ট টু' ?????????
আচ্ছা মামুন ভাই আপনি কি জানেন সেঁজুতি নামটির অর্থ কি???
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: প্লট ঠিক রেখে গল্পটা আবার লিখব । সিক্যুয়াল লিখার আপাতত কোন ইচ্ছে নেই ।
সেঁজুতি মানে 'সন্ধ্যা প্রদীপ'
৫১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
হু বলেছেন: ভাল লাগল
শেষ কমেন্টস্ প্রসঙ্গে..... সেজুতি মানে সন্ধ্যাপ্রদীপ.....। নিজের নামটা জানিয়ে দেয়া আরকি....
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ হু
৫২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
নাছির84 বলেছেন: ইহা কোন লুতুপুতু গল্প নয়। নিটোল ভালবাসায় কয়েকফোটা রক্তপাতের গোছাল গল্প........+++++++++++++++। ।ভাল থাকবেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, ধন্যবাদ নাছির
৫৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
সায়েম মুন বলেছেন: গফটা কোথায় দিয়েছিলেন? খুব দ্রত গতিতে লিখেছেন আমিও সেই গতিতে পড়লাম। টুইস্টটা ভাল লেগেছে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, স্থানীয় পত্রিকায় । প্রকাশের পূর্বে সম্পাদক মহোদয় আরো একবার ছুড়ি চালিয়ে শ'দেড়েক শব্দ বাদ দিয়েছেন ।
ধন্যবাদ প্রিয় সায়েম মুন
৫৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
দূরে থাকা মেঘ বলেছেন: এক গল্প যদি অনেকবার লিখতে হয়,তবে তা থেকে অনেক কিছুই হয়তো হারিয়ে যায়,ভাগ্যিস কাটাছেঁড়ার কথাটা আগে লিখেননি,নাহলে খুঁতখুঁত করতো মনটা।
এখন করছেনা।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দূরে থাকা মেঘ
৫৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,
অবিচার করে ফেলেছেন কাহিনীর প্রতি । ফরমায়েশী বলেই হয়তো ।
শুরুটা যেমোন গালে চড় মারার মতো ঠাস করে উঠেছিলো শেষের দিকে সেই্ আওয়াজটা মিইয়ে গেছে ।
এরকম মন্তব্য একজন শক্তিশালী, মরমী গল্পকারকে লজ্জা নয় , আরো শক্তিমান সুন্দর হতে সাহায্য করবে মনে হয় ।
সান্ধ্য শুভেচ্ছা ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেও আহমেদ জী এস ভাই ।
এরকম মন্তব্য একজন শক্তিশালী, মরমী গল্পকারকে লজ্জা নয় , আরো শক্তিমান সুন্দর হতে সাহায্য করবে মনে হয় ।
অবশ্যই ভাই । আপনাকে একটু জানিয়ে রাখি, মামুন রশিদ যে আজ দুচারটা ছাইপাশ এলেবেলে গল্প লিখতে পারে, তা এই ব্লগের ই অবদান । জীবনে অনেক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলেও গল্প পড়া কেন জানি তেমন একটা হয়ে উঠেনি । তারপর এই ব্লগে এসে ব্লগের গল্পকারদের লেখা পড়ে মনে হলো আমিও লিখি । সেই থেকে লিখে যাচ্ছি, আর প্রিয় ব্লগারদের সেই গল্পগুলো নিয়ে আলোচনা, পরামর্শ এবং আমার প্রতি তাদের প্রত্যাশা- আমাকে গল্প বুঝতে, লিখতে এবং ভাবতে সাহায্য করেছে ।
আমার পথ চলায় জড়িয়ে আছে আপনার মত অসংখ্য প্রিয় ব্লগারের ছোঁয়া । কৃতজ্ঞতা অনিমেষ..
৫৬| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফিনিশিং-এ এসে হতাশ হলাম। ঠিক জমল না।
১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম । আপনাকে হতাশ করার জন্য দুঃখিত ।
৫৭| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: প্রথমে সাধারণ গল্প ভেবে ভুল করেছিলাম
পুরটা পড়ে বুঝতে পারলাম আসলেই ভালো ছিল
অসাধারণ হঠাত করে ট্রেক পরিবর্তনটা ভালো লাগছে খুব
০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কাগজের নৌকা
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
খাটাস বলেছেন: সুন্দর গল্প। এক টানে শেষ পর্যন্ত একটা পরিচিত হলে ও মাদকতা আছে। ভাল লেগেছে।
তবে এক খান কথা, আপনি লিখছেন, সেই সাথে তাদের দুই বছরের প্রেম আর চার বছরের সংসার জীবনের চুড়ান্ত সমাপ্তি ঘটে ।
মানে বিয়ের পর প্রেম থাকে না। সহজ সরল স্বীকারোক্তি