![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একঃ
ক্যাম্পাসে প্রথম দিন, একদল নতুন বন্ধুর মাঝে গুটিসুটি মেরে বসে রয়েছি । অপরিচয়ের পর্দাগুলো ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে । অনেকেই ছোট ছোট বৃত্ত বানিয়ে আড্ডা শুরু করে দিয়েছে । অন্যরাও নিজের পরিচয় দিয়ে সেইসব আড্ডার মাঝে সেঁটে যাচ্ছে । আমার মত অল্প কিছু মুখচোরা নিজেদের আড়ালে রেখে নতুন পরিচয়ের মুগ্ধতা অনুভব করছে । কেউ কেউ স্বতঃস্ফুর্ত, যেন রোজকার আড্ডার চিরচেনা প্রাঙ্গনে দিচ্ছে রুটিন হাজিরা । কেউ কেউ গম্ভীর, কাঁধ-মাথা ঝাঁকিয়ে জানান দিচ্ছে নিজের উপস্থিতি । কয়েকজন আবার হ্যাংলো, মেয়েদের সামনে তাদের স্মার্টনেস জাহির করার সেকি হাস্যকর প্রাণান্ত চেষ্টা! ছোট ছোট মানববৃত্ত আর অবিন্যস্ত জটলা থেকে ক্রমে জমাট শোরগোল ছড়িয়ে পড়ছে । হঠাৎ ভীর ঠেলে একজন উঠে এসে দুহাত দিয়ে আমার কাঁধ চেপে ধরে,
-আরে সৈকত না! দোস্ত তুইও এখানে? ভালোই হলো..
চেনার ভান করে আমিও তার দুহাতের কবজি চেপে ধরি । ব্যাকব্রাশ করা কোকড়ানো চুল আর সাদা ফ্রেমের চশমা পড়া ছেলেটার দিকে তাকিয়ে কৃত্রিম মুগ্ধতা ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করি । ও বুঝতে সময় নেয় নি, "আরে আমি রবি, কলেজে এ সেকশনে ছিলাম"! এবার রবিকে চিনতে পেরেছি । আমি বি সেকশনে ছিলাম । রবিকে কলেজে দেখেছি, কিন্তু কখনো কথা বলা হয় নি ।
রবি অন্যরকম, রবি নিভৃতচারি । হলের কোণায় একটা রুমে উঠেছে রবি । কমনরুমের সব শেষের লাইনে চুপচাপ বসে টিভি দেখে । ডাইনিংয়ের এক কোণায় মাথা নিচু করে ভাত খায় । ক্লাসে বসে প্রথম সারিতে, মনযোগী ভাল ছাত্র সে । ক্লাস শেষ করে রবি ছুটে টিউশন বাড়িতে । ছাত্র পড়ানো শেষ করে একা একা ঘুরে বেড়ায় বেইলি রোডের নাটক পাড়া কিংবা ছবির হাটের আশেপাশে । রুমে বসে কেমেস্ট্রির মোটা মোটা বই পড়ে, কখনো পড়ে কবিতা । এমন সুনিপুণভাবে নিজেকে আড়াল করে নিয়েছে রবি, ক্যাম্পাসে তার অস্থিত্ব নিমিষেই অস্বীকার করা যায় । কিন্তু আমি তার অস্তিত্ব টের পাই, কিংবা আমাকে রবি তার অস্থিত্ব টের পাইয়ে দেয় ।
আড্ডাবাজিতে গা ভাসানো আমার পড়াশোনা কবেই শিঁকেয় উঠেছে । পরীক্ষার আগে যখন চোখে সর্ষে ফুলের নাচন দেখি, রবিই তখন এগিয়ে আসে কিছু শর্টনোট নিয়ে । এটা পড়েই কোনরকম পরীক্ষার ঘাট পার হই । এরই মধ্যে আমি জড়িয়ে পড়ি ছাত্র রাজনীতিতে । ক্যান্টিন আর ক্যাম্পাসের দোকানে বাকির পরিমান বাড়তে থাকে, নেতা হিসাবে আমার উত্থানের মতই । আমার এই হার্ডলাইফে রবির মত ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার কথা না । তবু সম্পর্কটা থেকে যায়, টাকার অভাব পড়লেই রবির কাছে ছুটে যাই । রবির কাছে টাকা চাইতে হয় না, নিজে থেকেই জিজ্ঞেস করে কিছু লাগবে কিনা । তারপর বইয়ের ভাঁজ থেকে টিউশনির টাকাটা তুলে দেয় আমার হাতে, ফিরিয়ে দেব কিনা এটা নিয়ে রবি কখনো ভাবে না ।
কিছুদিনের ভেতরে আমাদের গ্রুপ রাজনীতিতে একটা পজিশনে চলে আসে । খুচরো টাকার জন্য এখন আর রবির কাছে যেতে হয় না । তবে রবিই মাঝে মাঝে আমার রুমে আসে, আমার খোঁজখবর নেয় । আমার রাজনৈতিক বন্ধুরা রবিকে দেখলেই টিটকারি দেয়, যাক সকালবেলা ভালো একটা ছেলেকে দেখে ঘুম ভাঙ্গলো! কেউ কেউ তার দিকে গাঁজার স্টিক এগিয়ে দেয়, রবি টানলেই রাজা হয়ে যাবি! দে না একটা টান, হেভ্ভী ফিলিংস.. রবি মুখ টিপে জবাব দেয়, আমার ফিলিংস লাগবে না!
অনেকদিন রবিকে দেখিনা । আমি দিনমান ব্যস্ত পলিটিক্স নিয়ে, রবিও হয়ত অন্য কিছু নিয়ে । একদিন ক্যাফেতে জরুরী মিটিং করছি, দেখি রবি এসে পেছনে দাঁড়িয়ে আছে । বুঝতে পারছিলাম আমার কাছে এসেছে, কিন্তু উঠতে পারছিলাম না । তবু দু'মিনিটের জন্য ওর কাছে গেলাম । আমাকে দেখে বললো, ফাইনালের ফর্ম ফিলআপ করেছিস? আমি বললাম, কিসের ফাইনাল? ওসব পরীক্ষা দেবার সময় আমার নেই! রবি মনে হয় প্রস্তুত হয়েই এসেছিল । বললো, তবু ফর্ম ফিলআপ করে রাখ! এটেন্ড করলেই হয়ত সেকেন্ড ক্লাস পেয়ে যাবি । গ্রেজুয়েশনটা কমপ্লিট করে রাখ, তারপর ইচ্ছেমত পলিটিক্স করিস! আমি বললাম, চাইলেই এটেন্ড করা যায়না! গত দুই বছর ক্লাস-বইয়ের ধারে কাছে যাইনি, কোন টিউশন ফি ও জমা দেইনি! রবি আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে, তুই শুধু এটা পূরণ করে দে! রেজিস্ট্রার অফিস থেকে খোঁজ নিয়েছি, তোর সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগবে । আমি ওটা দিয়ে দিচ্ছি!
রবির একগুয়েমিতে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল । যাইহোক, শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাস নেতৃত্বের প্রথম সারিতেও চলে এসেছি । রাজনীতির কণ্টকাকীর্ণ গালিচা পেরিয়ে আশ্চর্য্য মধুপানের নেশায় বুঁদ হয়ে সময় কাটাচ্ছি । ব্যাচমেটরা ইতিমধ্যে মাস্টার্স শেষ করে ক্যাম্পাস ছেড়ে দিয়েছে । এর মধ্যে একদিন রবি দেখা করতে আসে । এমএস করার জন্য সে ইংল্যান্ড চলে যাচ্ছে । খবরটা শুনে খুশিতে রবিকে জড়িয়ে ধরি । রবি আমার হাত দুটো চেপে ধরে গলা নামিয়ে বলে, তোরে নিয়ে খুব চিন্তা হয় দোস্ত, তুই ভাল থাকিস! আমি হাসি দিয়ে তার সকল চিন্তা উড়িয়ে দিতে চাই । একটা কাগজে তার মেইল এড্রেস লিখে আমার ব্যাকপকেট থেকে ওয়ালেট বের করে নিজ হাতে গুছিয়ে রাখে রবি ।
এদিকে রাজনীতিতে দ্রুত 'মধুরেণ সমপায়েৎ' ঘটে যায় । জুনিয়র ছাত্রনেতারা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে । ক্যাম্পাস নিজেদের দখলে নিতে তারা মরিয়া হয়ে উঠে । আমরা সিনিয়ররা হঠাৎ করেই 'নো বডি' হয়ে যাই । আধিপত্যের লড়াই চরম মারমুখী হয়ে উঠে । ততদিনে অছাত্র হয়ে পড়া আমাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয় । যে রাজনীতির জন্য বিগত সাত বছর এত কিছু ত্যাগ করলাম, সেই রাজনীতি যেন একটা নির্মম প্রতিশোধ নিল আমার উপর । মাস্টার্স শেষ না করেই শূন্যহাতে ক্যাম্পাস ছেড়ে একটা মেস বাড়িতে উঠি । হতাশার করাল গ্রাসে ডুবে যেতে যেতে একদিন কপর্দকশূন্য ওয়ালেট নেড়েচেড়ে রবির মেইল এড্রেসটা পাই । গভীর তমসায় নিমজ্জমান আমার জীবনে আবার আলোর রেখা হয়ে ফুটে উঠে রবি ।
দুইঃ
ম্যানচেস্টার এয়ারপোর্টে আমাকে রিসিভ করার জন্য রবি নিজেই ড্রাইভ করে এসেছে । সেই রবি, আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু রবি । চরম বিপদে যে সব সময় দেবদূতের মত পাশে এসে দাঁড়িয়েছে । আমার মেইল পেয়ে, আমার যন্ত্রণাদগ্ধ জীবনের কথা শুনে রবি এগিয়ে এসেছে । ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এমএস এ এডমিশন পাইয়ে দিয়েছে । রবি আমাকে নিয়ে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার থেকে ষাট কিলো দুরে লিডসে, ওর বাড়িতে । গাড়ি ছুটে চলেছে উত্তর ইংল্যন্ডের বিস্তৃর্ণ তৃণভূমির মাঝদিয়ে মহাসড়ক ধরে । বসন্ত এসে গেছে, কিন্তু চারপাশের প্রকৃতির উপর শীতের আগ্রাসন এখনো দৃশ্যমান । পত্রহীন বৃক্ষ আর হলদেটে ঘাসের মাঝে কচি নতুন পাতার জেগে উঠা বসন্তের আগমনকেই নিশ্চিত করে । সূর্যের তেজ পেয়ে বোগেনভেলিয়া তার হলুদ পাপড়ি মেলে দিয়েছে । এর ভেতর দিয়ে যেতে যেতে রবি গল্প জুড়ে দিয়েছে । রবির প্রিয়তমা বউয়ের গল্প, সুসান ম্যাগনাল্ডের গল্প । ড্রাইভিং সিটের পাশে বসে রবির গল্প শুনছি আর কল্পনায় সেই নারীর ছবি আঁকার চেষ্টা করছি । কথায় কথায় রবি সুজান, সুজান বলে গলা শুকিয়ে ফেলছে । আর প্রতিবার এক অপার্থিব আলোয় তার মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে । রবির এই অকৃত্রিম আনন্দদোলা আমাকেও ছুঁয়ে যাচ্ছে ।
প্রায় মিনিট চল্লিশের পর আমরা রবির বাড়িতে পৌছলাম । দরোজা খুলে দিল সেই প্রিয়দর্শিনী শ্বেতাঙ্গিনী- সুসান ম্যাগনাল্ড । হ্যালো করতেই পরম উষ্ণতায় আমার হাত দুটো চেপে ধরলো । আমি তাকে রবির কথা বললাম, ড্রাইভ করার সময় সুজান সুজান বলে ডেকে উঠার কথা বললাম । সুসান তো হেসেই খুন । নিজেই আমার ব্যাগেজ টেনে লিভিং রুমে পৌছে দিল । দীর্ঘ ভ্রমনের ক্লান্তি আর এয়ার স্ট্রেস কাটাতে একটা লম্বা ঘুম দিলাম ।
বিকেলে রবি আর সুসান আমাকে একটি সুপারমলে নিয়ে গেল । টুকটাক যা কিছু দরকার সব কিনে ব্যাগ ভরে ফেলল । তারপর সন্ধ্যায় একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে ডিনার সেরে বাসার পথে চললাম । এবার ড্রাইভিং সিটে সুসান, তার পাশে রবি । আমি পেছন থেকে ওদের ভালোবাসা, ওদের সম্পর্কের রসায়ন বুঝার চেষ্টা করছি । হঠাৎ আমি যেন সুসানকে হিংসে করা শুরু করেছি । বারবার মনে হচ্ছে, কি এমন আছে এই ইয়ান্কি মহিলার মাঝে, যার জন্য আমার বন্ধু রবি এমন পাগল হয়ে গেল!
দুদিন রবির বাসায় থেকে এবার আমার ইয়র্ক যাবার পালা । ওখানে স্টুডেন্ট কোয়ার্টারে একটা রুম আগেই বুকিং দিয়ে রেখেছিল রবি । সে নিজেই ড্রাইভ করে প্রায় পঞ্চাশ কিলো দুর ইয়র্কে আমাকে পৌছে দিল । রুমের সব সুযোগ সুবিধা কনফার্ম হয়ে ঘরটা অর্ধেক গুছিয়ে দিয়ে তবেই রবি বিদায় নিল ।
আস্তে ধীরে আমি ইয়র্কের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে থাকি । আগে বাইরে পার্ট টাইম জব করলেও এখন ইউনিতেই এসিসট্যান্টশিপ পেয়ে গেছি । এদিকে দেশ থেকে আমার বাবা-মা ক্রমাগত বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে । নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে বিয়ে করে ফেললাম, বাবা-মা'র পছন্দের মেয়েকে । বিয়েটা টেলিফোনে হলেও মাস খানেকের ভেতরেই রিয়া কে নিয়ে আসলাম ইয়র্কে । রবি-সুসান পার্টি দিয়ে আমাদের সেলিব্রেট করে । রিয়া আসার পর আমার ব্যস্ততা বেড়ে যায় অনেকটুকু । রবির সাথেও ইদানিং যোগাযোগ কম হয় । কয়েকমাস পর পর কেউ হয়ত হ্যালো করি, নিজেদের খোঁজ খবর নেই । তবুও বুঝতে পারি এখানকার ব্যস্ত জীবন আমাদের ক্রমেই দুরে সরিয়ে দিচ্ছে । রবির সাথে এই যোগাযোগহীনতা প্রায়ই পোড়ায় আমাকে ।
সেদিন ল্যাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল, বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যায় । এসেই শুনি সুসান ফোন দিয়েছিল, রবি হসপিটালে এডমিটেড । খবরটা শুনার পর আমি পাগলপ্রায় হয়ে উঠি । নিদারুণ আত্মগ্লানীতে ভুগতে ভুগতে আমি ছুটে যাই লিডসের দিকে । রবি একটা সেনেটোরিয়ামে সপ্তাহখানেক ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে । অজানা আশন্কা আর উদ্বেগ নিয়ে রবিকে জড়িয়ে ধরি । আমার স্পর্শ পেয়ে রবি আহ্লাদিত হয়ে উঠে । এই কয়দিনে শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে সে । তারপর সব শুনে আমি বিষম খাই । রবি সুসানের সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না । সুসান কিছুদিন ধরে আলাদা থাকছে । রবি এমনিতেই ড্রিন্ক করত, সম্পর্ক খারাপের পর তার ড্রিন্কের মাত্রা বেড়ে যায় । একাকীত্বের যন্ত্রণা ঘোচাতে সে কোকেনেও আসক্ত হয়ে পড়ে । এরই প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে তাকে সেনেটোরিয়ামে আসতে হয়েছে ।
সুসান এসে মাঝে মাঝে রবিকে দেখে গেলেও আমি বুঝতে পারি তারা পরষ্পর থেকে অনেকটা দুরে চলে গেছে । অফিসিয়ালি হয়ত সম্পর্কটা এখনো আছে, কিন্তু এটা বেশি দিন টিকবে বলে মনে হয়না । রবি এখন মোটামুটি সুস্থ । কিন্তু ওর শুশ্রূষা দরকার । তাই সেনেটোরিয়াম থেকে অনেকটা জোরাজুরি করে রবিকে নিয়ে এসেছি আমার বাসায় । রিয়াও তাকে আন্তরিকভাবে গ্রহন করে । আমরা দুজন মিলে ওর দেখাশোনা করছি, ওর মন ভাল রাখার চেষ্টা করছি । সপ্তাহ ধরে রবি আছে আমার বাসায় । এর ভেতরে আমি জবেও যাচ্ছি । তাই দিনের বেশিরভাগ সময় রিয়াই ওকে দেখাশোনা করছে । জানি রিয়ার কষ্ট হচ্ছে, তবু রবির সাথে আমার সম্পর্কটা বিবেচনা করে আশা রাখি রিয়া বিরক্ত হবে না ।
আমার বন্ধু রবি আমাকে বেশিদিন অস্বস্তির মাঝে রাখেনি, একটু সুস্থ হয়েই সে লিডসে ফিরে যেতে উদ্যত হয় । আমি না না করে উঠি, রিয়াও আমাকে সায় দেয় । তবু রবি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে । আমাকে আর রিয়াকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে সে চলে যায় তার শহরে, তার একাকী জীবনে ।
রবি আবার কোকেনে জড়িয়ে যেতে পারে, আশন্কাটা ডাক্তাররাই জানিয়ে রেখেছিল । তবু ভেবেছিলাম রবি হয়ত ফিরে আসবে এ পথ থেকে । চেয়েছিলাম, সুসান আবার ফিরে আসুক তার জীবনে । কিন্তু এবার সুসানের ফোন পাওয়ার পর উদ্বেগটা বহুগুনে বেড়ে যায় । ছুটে গেলাম লিডস হসপিটালের আইসিইউ'তে । রবি সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ভেন্টিলেশনের সাপোর্টে । সুসান উদভ্রান্তের মত চারদিকে ছুটোছুটি করছে । তার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে ফোন দিলাম দেশে, রবির বাবাকে । ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন চেপে গিয়ে শুধু জানালাম রবি অসুস্থ । ভারী হয়ে আসা কন্ঠে রবি'র বাবা জানালেন, বাবা যে করেই পার রবিকে দেশে পাঠিয়ে দাও!
কন্ঠ আমারও রোধ হয়ে এসেছে । রবি'র সাথে সুসানের আলাদা হওয়াটা রবির বাবা জানেন । আর আত্মজ বলেই হয়ত তিনি ক্রিটিকেল সিচুয়েশনটা ঠিকই বুঝে নিয়েছিলেন । রবি'র বাবাকে দেয়া কথাটা আমি রেখেছিলাম । রবিকে দেশে পাঠিয়েছিলাম, কফিনে পুরে । সুসান, যাকে রবি তার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছিল, রবি'র মৃতদেহ দেখে তাকে একটুও কাঁদতে দেখিনি । শুধু হাটু গেড়ে বসে এক গুচ্ছ শাদা ফুল রবি'র মাথার কাছে রেখে নিরবে তাকিয়েছিল ।
তিনঃ
প্রায় এক যুগ পর দেশে ফিরেছি । নিজের তিক্ত অতীতের জন্যই এই কটা বছর দেশমুখী হতে মন চায়নি । তারপর রিয়া এলো, ঘর আলো করে দুটি সন্তান এলো । তারা দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল । স্ত্রী-সন্তানের চাপেই অনেকটা বাধ্য হয়ে দেশে এসেছি । ঢাকায় পা দেবার পর তাদের আনন্দ দেখার মত । সেই আনন্দ আমার মনেও ছুঁয়ে গেছে । কিন্তু আমার আনন্দ দুদিনের ভেতরেই মিলিয়ে যায় । দেশে আসার পর থেকেই আমার বুকের ভেতর অনবরত খুঁচিয়ে চলেছে আমার বন্ধু রবি'র স্মৃতি । খুব পোড়াচ্ছে মনটা, একবার রবি'র বাবাকে দেখে আসা উচিত ।
অশান্ত হয়ে উঠা মনের অবস্থা বুঝতে পেরে রিয়াও বললো, যাও দেখে আসো একবার । ডায়েরি ঘেটে রবি'র বাবার নাম্বার পেয়ে গেলাম । ফোন পেয়ে রবি'র বাবা খুব খুশি হলেন, সিদ্ধান্ত হল আগামিকালই যাব । বৃহত্তর সিলেটের একটা থানা সদরে রবি'দের বাড়ি । সায়েদাবাদে গিয়ে বাসে চড়ে বসলাম । দুপুরের দিকে জেলা শহরে পৌছে একটা ছোট গাড়িতে করে বিকেল নাগাদ ওখানে গিয়ে পৌছলাম । রবি'র বাবা সেখানে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন । সফেদ শশ্রুমন্ডিত বয়স্ক মানুষ, আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন । অনেকটা সময় আমাকে উনার বুকের মাঝে ধরে রাখলেন । আমার দুচোখ বেয়ে জল পড়ছিল, কোনরকম মুছে নিজেকে শান্ত করলাম । তারপর একটা রিকশা নিয়ে দুজনে রবি'দের বাড়ির দিকে যেতে থাকলাম ।
একটা বড় দিঘীর পাড়ে এসে রিকশা থামল । শেষ বিকেলের রুপালী আলোয় দিঘীর জল টলমল করছে । বাড়ির সামনে প্রচুর গাছপালা, মাঝখান দিয়ে সবুজ ঘাসে মোড়া প্রাকৃতিক চলার পথ । কিছুটা চলার পর একটা সুন্দর বাগান, খুব যত্ন নিয়ে সেখানে বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগানো । বাগানের পরেই একটা ছোট্ট চৌচালা টিনের ঘর, নকশি কাঠের বেড়া দেয়া । এটা রবি'দের বাংলো ঘর, মেহমানদের থাকার জায়গা । বাংলো ঘরের পরেই বিশাল উঠোন, তারপর মুল ঘর । উঠোনের দুই পাশে সারি সারি ফুলের গাছ । বাংলোঘরে আমার থাকার ব্যবস্থা হলো । চাচা নিজ হাতে লেবুর ঠান্ডা শরবৎ আর সেমাই নিয়ে এলেন । শরবৎ পান করে মনটা জুরিয়ে গেল । চাচা বললেন, ক্লান্ত হয়ে এসেছো গোছল করে নাও । দিঘীর পানিতে গোছলের কথা শুনে আমি উৎফুল্ল হয়ে উঠি । অনেকক্ষণ ধরে দিঘীর স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার কাটলাম । চাচা রবি'র কবরে নিয়ে গেলেন, উঠোনের পাশে যত্ন করে বাঁশের বেড়া দেয়া জায়গা । ভেতরে সুন্দর করে লাগানো ফুলের বাগান । স্থানু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম রবি'র কবরের পাশে ।
খেতে বসেছি, চাচা নিজের হাতে মাছ সবজী তুলে দিচ্ছেন । এই বাড়িটা যে এত সুন্দর করে গুছিয়ে রাখে তার নাম সুজি । চাচা বললেন, 'সুজিই আমাদের দুজনের দেখাশোনা করে । একটা স্কুল করেছে গ্রামের গরীব বাচ্চাদের জন্য, সেখানে আমিও পড়াই' । চাচার কথা শুনতে শুনতে আমার খাওয়া হয়ে গেল, একটু রেস্ট নেয়ার জন্য বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম ।
চোখ বুঝে শুয়ে শুয়ে রবি'র কথা ভাবছি । আমার বন্ধু রবি, প্রাণপ্রিয় বন্ধু রবি, এত মায়া এত ভালোবাসা রেখে কোথাকার কোন বিদেশিনীর প্রেমে পড়ে জীবনটা বিলিয়ে দিলি! ঠিক তখনই উঠোনে ব্যাপক হইচই, এক উদভ্রান্ত মহিলা উঠোন জুরে ছুটাছুটি করছে আর কাকে যেন শাপশাপান্ত করে যাচ্ছে । চাচা তাকে ধরে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন । মহিলাটিকে কোনরকম সামলিয়ে এসে তিনি আমার পাশে বসলেন । মাথা নিচু করে বললেন, কিছু মনে করোনা বাবা, এই হলো রবি'র মা । রবি মারা যাওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ । সুজি ছাড়া ওকে কেউ সামলাতে পারেনা ।
মনটা বিষাদে ভরে গেল । আত্মজের অকাল প্রয়ান একজন মায়ের মনে কতোটা আঘাত হয়ে আসে যে তিনি পাগল হয়ে যান । আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে চাচা বললেন, চলো বাইরে হাটাহাটি করলে ভাল লাগবে । দিঘীর পাড় ধরে আমরা হাটছি, চাচা একমনে রবি'র গল্প বলে যাচ্ছেন । ছোট বেলায় রবি অসম্ভব চঞ্চল ছিল, কিন্তু তার মায়ের জন্য তাকে কেউ কিছু বলতে পারতো না । সেই রবি যখন মা কে ছেড়ে কলেজে পড়তে যায়, তখন থেকেই ভীষণ চুপচাপ হয়ে যায় ।
হাটতে হাটতে আমরা অনেকটা পথ চলে এসেছি । সূর্য গোধূলির লালিমা না ছড়িয়ে হঠাৎ করেই যেন ডুবে গেল । হয়ত প্রচুর গাছপালার জন্য এমন মনে হচ্ছে । দিঘী থেকে শিরশিরে একটা ঠান্ডা বাতাস উঠে আসছে । শীতল বাতাস আমার শরীরে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে । মনে হলো, হঠাৎ করে দিঘীর পানিতে নামা ঠিক হয়নি, হয়ত ঠান্ডা লেগে গিয়েছে । আমরা ফিরে যাচ্ছি রবি'দের বাড়ির দিকে । অন্ধকার অনেকটাই ঘনিয়ে এসেছে, সন্ধ্যা বাতিগুলো ধীরে ধীরে জ্বলে উঠছে । শরীরের কাঁপুনিটাও সেই সাথে বেড়ে যাচ্ছে । হঠাৎ মনে হলো আমার মাথার উপর পৃথিবীটা ঘুরছে । চাচা ঝপাট করে আমাকে জড়িয়ে ধরেন । একি, তোমার শরীর দেখি জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে! আমি বুঝতে পারছি, কয়েকজন মিলে আমাকে তুলে এনে বিছানায় শুইয়ে দিচ্ছে । একথাল ঘন কালো অন্ধকার আমাকে ঘিরে রেখেছে, আর আমি শুধু তলিয়ে যাচ্ছি এই অন্ধকারের গহ্বরে ।
ভোরের আলো ফুটতেই আমি জেগে উঠি । পাশে চাচা এবং আরো একজনকে দেখতে পেয়ে বুঝতে পারি তারা আমার পাশে রাত্রি জেগেছেন । তাদের অযথা কষ্ট দেয়ার জন্য আমি গ্লানি বোধ করতে থাকি । চাচা কপালে হাত দিয়ে বললেন এখন আর জ্বর নেই । আরো বললেন, সারারাত জ্বরের ঘোরে আমার প্রলাপ বকার কথা, ডাক্তার-ইনজেকশন আর সুজির সারারাত ধরে আমার কপালে জলপট্টি দেয়ার কথা । আমি উঠে বসলাম, বললাম বাইরে হাটাহাটি করলে আমার ভাল লাগবে । চাচা আমাকে উঠতে সাহায্য করলেন । তারপর বাংলোর সামনে বাগানে গিয়ে দাঁড়ালাম । নিচের সবুজ ঘাসগুলো শিশিরে ভিজে আছে । ইচ্ছে হচ্ছে পা দিয়ে শিশির মাড়াই । বাগানে থরে থরে ফুল ফুটে আছে, বেশিরভাগই শাদা ফুল । ভোরের নরম আলোয় ফুলগুলোর শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে । একটা অপার্থিব আনন্দে ভরে উঠছে মন ।
চাচা বললেন, 'জ্বর নিয়ে ঠান্ডায় বেশি সময় বাইরে থাকার দরকার নেই । ঘরে চলো, তোমার চাচীকে দেখবে, সুজিকে দেখবে'! চাচার সাথে ধীর পায়ে আমি চলেছি রবি'দের মুল ঘরের দিকে । রবি'র কবরের ফুল গাছগুলোও যেন জেগে উঠেছে । উঠোনের দুপাশের শাদা ফুলগুলো আমাকে সাদর অভ্যর্থনা জানাচ্ছে । ঘরের বারান্দায় একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন । শাদা শাড়িতে চিকন বেগুনী পাঁড় যেন ভোরের শুভ্রতাকে রাঙিয়ে দিচ্ছে । রোদমাখা ফর্সা মুখটায় মিটিমিটি হাসি ।
একি! এ যে সুসান ম্যাগনাল্ড!!
সুসানকে দেখে আমি বিস্ময়ে হতবাক! রবি'র বাবার আদরের সুজি! রবি'র উদভ্রান্ত মায়ের সেবিকা সুজি! আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু রবি'র প্রিয়তমা সুজান আজ পুত্রহারা পরিবারে সুধা বিলিয়ে যাচ্ছে অকাতরে !
ম্যাগনোলিয়া, ছড়াও সুধা মনমধুপে...!
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের সাথে একাত্ম হওয়া পাঠককে শুভেচ্ছা!
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৭
সুমন কর বলেছেন: পুরো গল্পে রবির প্লট বা ভূমিকা অসাধারণ হয়েছে। সৈকতকে ভর করে লেখকের গল্প বলে যাওয়াটাও উপভোগ করলাম। সৈকতের পারিবারিক কাহিনী আরো একটু বললে, ষোল আনা পূর্ণ হতো। যদিও গল্প রবিকে নিয়ে।
গল্পের বর্ণনা বেশ। শেষের টুইস্টটা বুঝা যাচ্ছিল।
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: মনযোগী পাঠ আর বিশ্লেষণী মন্তব্যে ধন্যবাদ সুমন ।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২১
এহসান সাবির বলেছেন: শেষে সুসান দেখে ভালো লাগলেও রবির জন্য খারাপ লাগছে........
গল্পে ভালোলাগা।
অঃ টঃ- অন্য একটা গল্প দেবার কথা ছিল.......
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ।
অঃটঃ এখানেও নায়ক গাঁজা খেতে চায়না, শেষে কোকেন আসক্তিতে প্রাণ হারায়
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
কয়েস সামী বলেছেন: মনে হচ্ছিল সুসানের দেখা আবার পাওয়া যাবে। যাক। ঝরঝরে গল্পটা ভাল লাগল বেশ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কয়েস সামী ।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নাইস মামুন ভাইয়া !
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কস মুন ।।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পে খুব প্রাণবন্ত ভাবে ছাত্র রাজনীতির বাস্তবতার একটা দিক তুলে ধরেছেন!
রবির এমন পরিণতি আশা করিনি , বেশ লেগেছে মামুন ভাই !
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ।।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক সুন্দর একটা গল্প লিখেছেন মামুন ভাই। +++
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি । প্লাসে কৃতজ্ঞতা ।।
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৮
বেলা শেষে বলেছেন: Very good writing, beautiful description....
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কস ফর ইয়্যুর কমেন্ট!
৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৪
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।।
১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
নিমচাঁদ বলেছেন: বরাবরের মতোন গল্প সুন্দর হয়েছে তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে ।
একজন বিদেশিনীর কাছ থেকে এই সাক্রিফাইসটা কি ভালবাসা হিসাবে দেখাতে চাইছেন মামুন ভাই ?
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা নিমচাঁদ ভাই ।
আমি তো এটাকে ভালোবাসা বলেই জানি । অবশ্য ইয়াংকি চরিত্র সম্পর্কে আমি এত ভালো জানিনা ।
১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
টুম্পা মনি বলেছেন: বর্ণনা শৈলি অসাধারণ!!!!! অনেক চমৎকার লিখেছেন।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা মনি ।।
১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খুবভাল লাগলো। অসাধারণ লিখেছেন মামুন ভাই ।বিদেশিনি এটলিস্ট রবির বাবা মার সেবায় সত্যিকারে ম্যাগনোলিয়া হয়ে গল্পের নামের স্বার্থকতা ষোল আনা সফল করেছে।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আন্তরিক পাঠে ধন্যবাদ সেলিম ।
১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৭
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: মামুন ভাই, সাবলীল লেখা। সুন্দর।
ক্যাম্পাস রাজনীতির অই অংশটা খুব চেনা। এমন কি আমারো ছিলো রবির মত এক ফ্রেন্ড। যে নিজে থেকে ক্লাস টেস্টের প্রেপ স্ক্রিপ্ট রেডি করে রাখত আমার জন্যে।
সেই ছেলেটার মা মারা গেছেন গত মাসে। আমি শুনেছি সপ্তাখানেক পর।
জীবন এমনি।
সুসানের সুজি হয়ে যাওয়াটা চমকে দিয়েছে। এটাই প্রেম বোধ হয়।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, গল্পের উপাদান আমাদের চেনাজানা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই নেয়া । প্রিয় একজন লেখককে চমকে দিতে পারার মজাই আলাদা ।
শুভেচ্ছা পাপতাড়ুয়া!
১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪১
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতি কিছু দিনের জন্য বন্ধ হওয়া দরকার। এ সময় সব দলই নিজেদের সংস্কার করে নিতে পাড়ে।
ধন্যবাদ লেখক কে সুন্দর লেখাটির জন্য।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তৌফিক মাসুদ ।।
১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:১৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: রবি মারা যাওয়ার অংশটা পড়ার পর থেকে বেশ হাসফাল লাগছিল। কিন্তু শেষ অংশে সুসানকে দেখে এত ভালো লাগছিল!!!!!!
নতুন করে বলার কিছু না ভাই। বরাবরের মতই দারুন!!!!!!!!!
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: পাঠকের ভালোলাগা লেখকের জন্য পরম পাওয়া ।
তোমাকে ইদানিং কম দেখা যায়, তোমার গল্প পড়িনা অনেকদিন ।
১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:২২
রহমান সংশয় বলেছেন: অসাধারণ লাগলো মামুন রশিদ ভাই ।
শেষের টুইস্ট বোঝা যাচ্ছিলো । রবি চরিত্র চমতকার লেগেছে । লেখনি প্রাঞ্জল ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন রহমান সংশয় ।
১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:২২
রহমান সংশয় বলেছেন: অসাধারণ লাগলো মামুন রশিদ ভাই ।
শেষের টুইস্ট বোঝা যাচ্ছিলো । রবি চরিত্র চমতকার লেগেছে । লেখনি প্রাঞ্জল ।
১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:০৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
দারুন লিখেছেন, একেবারেই ক্ল্যাসিক বর্ননাভঙ্গি। অনেক রাত হয়ে গেছে আমার এখানে, বিছানায় শুয়ে আপনার এই গল্পে ঢুকে ভেবেছিলাম ভেবারিটে এড করে রাখবো আর কাল সময় নিয়ে পড়ব; কিন্তু একটু চোখ বুলাতে গিয়ে পুরাই আটকা পড়ে গেলাম, শেষ করে উঠতে হলো, এমন সম্মোহিনী লেখনী আপনার!
শেষের চমকটা ভালো ছিল, আমি ভেবেছিলাম সুজি রবির দেশে ফেলে যাওয়া কোন প্রাক্তন প্রেমিকা বা কাজিন টাইপের কেউ হবে, ক্ষুণাক্ষরেও টেই পাইনি এই বিষয়টা।
আর রবিরা এমনি হয়, নাম রবি কিন্তু আলো ছড়ায় নিরবে নিভৃতে; আর তার আলোয় আলোকিত করে তোলে সুসান/সুজিদের, মায়ার বেঁধে রাখে সৈকতের মত বেয়াড়াদের। সবারই আরাদ্ধো এমন মানুষ। রবি চরিত্রটা এত চমৎকার, বাস্তবসম্মত, জীবন্ত করে ফুটিয়ে তুলেছেন; আমি মুগ্ধ; এক কথায় মুগ্ধ।
শুভেচ্ছা রইল প্রিয় লেখক।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকে চমকে দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে শান্তির দেবদূত ভাই ।
কিছুদিন ধরেই রবি'র জন্য প্রাণটা হাঁসফাঁস করছিল । পরম মমতা মাখা একটা বন্ধু, নিভৃতে ভালোবেসে যাওয়া একটা বন্ধু, নিজের কষ্টের কথা মুখ ফুটে না বলা একটা বন্ধুর চরিত্র আঁকার জন্য মাথাটা ভারী হয়ে এসেছিল । এবার তাই নামিয়েই দিলাম ।
১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৯
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই!
এত প্লট কই পান??
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ক্লান্ত তীর্থ ।।
২০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
গোর্কি বলেছেন:
হৃদয়স্পর্শী ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। অনেক ভাললাগা পাঠে। শুভেচ্ছা রইল।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: শুভেচ্ছা গোর্কি!
২১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১১
অদৃশ্য বলেছেন:
অপুর্ব... অপুর্ব এক গল্প পাঠ করা হলো মামুন ভাই... পুরো ঘটনাটা চোখের সামনে এসে গিয়েছিলো...
অনুভব করলাম যেন... রবির কষ্ট... রবির বন্ধুর কষ্ট... রবির বাবামায়ের কষ্ট... আর ম্যাগনাল্ডের কষ্ট...
শুধু কষ্টই নয়... আরও একটি অদ্ভুত জিনিসও ফিল করলাম... তা হলো, ভালোবাসা...
খুব স্পর্শ করেছে লিখাটি মামুন ভাই...
শুভকামনা...
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়ে অভিভূত হলাম । জানি অতটা ভাল হয়নি, যতটা সুন্দর করে আপনি বলেছেন । তবু আপনার প্রশংসা আর গল্প বিশ্লেষণের আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চাই না ।
শুভেচ্ছা অদৃশ্য!
২২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
নিশাত তাসনিম বলেছেন: চমৎকার গল্পটি বেশ হয়েছে পড়ে ভালো লাগলো। +++
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ নিশাত তাসনিম ।।
২৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সত্যিই অসাধারণ হয়েছে মামুন ভাই ।
ধন্যবাদ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী ।।
২৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
জুন বলেছেন: মামুন লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই পড়েছিলাম। কিন্ত বলা হয়ে ঊঠে নি। মন ভার হয়ে ছিল রবির জন্য। ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে কত ছেলের জীবন ধ্বংস হতে দেখলাম। তোমার নায়ক তো তবু ঘুরে দাড়িয়েছিল।
ভালো লাগলো কিন্ত শেষটা বড্ড ট্র্যাজিক ।
+
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপ্পী । ভালো থাকবেন ।
২৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অত্যন্ত নাটকীয় গল্প। উত্থান পতনে ভরা। একটা টেলিফিল্ম হতে পারে এটা দিয়ে।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: ফিল্মের গল্প লিখতাম চাই
২৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
মিমা বলেছেন: গল্পে একটা নয়, অনেকগুলো প্রশংসনীয় কোণ ভেসে উঠেছে আপনার অসাধারণ গল্প বানানোর ক্ষমতা আর জাদুকরী লেখনী শক্তির বলে!
মুখচোরা এক ছাত্রের শিক্ষা পরিবেশের অনুপযোগিতায় ক্রমেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া ও বিপথগামী হওয়া, ছাত্র রাজনীতির কুফল ও বেহিসেবী উত্থান-পতন যেমন উঠে এসেছে, তেমনি উঠে এসেছে এর মাঝেও ফোকাসড থাকা রবি'র গল্প।
জীবনের নানান ধাপ, ধাপের মাধুর্য-তিক্ততা বর্ণনার গুণে গল্প নয় এই কাহিনী যেন ছবির মতো চোখে এসে ভেসেছে।
আর এসব কিছু ছাপিয়ে উঠে এসেছে সম্পর্কের উষ্ণতা, আবেগ-অনুভূতির প্রাধান্য, মায়া-মমতার বন্ধনে আবদ্ধ চিরন্তন বাঙালি বন্ধুত্ব, বাঙালি পরিবার।
পজিটিভিটি গল্পের মূল আকর্ষণ ছিল। আর গল্প বলার ঢঙ এতই সুন্দর ছিল যে, এতো নানান কোণ ভাষার পরও গল্প একটি পারফেক্ট সার্কেলের মতো ছায়া ফেলেছে মনে।
আর একটি কথা....আপনার ভাষা এতো সুন্দর ক্যান মামুন ভাই? বোগেনভেলিয়ার হলুদ পাতাতেই এখনো আটকে আছে কল্পনা!
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো লেখক।
মুগ্ধতা!
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্য সব সময় আনন্দদায়ী । আপনার দেখার চোখ, পড়ার মন আর প্রকাশের ভাষা সত্যিই মুগ্ধকর । আপনার আনন্দ পাঠ, বিশ্লেষণ যে কোন লেখকের মনে আত্মবিশ্বাসের পারদটাকে উর্ধ্বমুখী করে দেয় ।
বোগেনভেলিয়ার হলুদ পাতাতেই আটকে থাকতে চাই বাকিটা সময় ।
শুভ কামনা মিমা ।
২৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: দারুণ হয়েছে মামুন ভাই।
নেক্সট গল্পের অপেক্ষাই রইলাম
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাইয়া ।।
২৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পের বর্ননাশৈলী অসাধারন এবং অনবদ্য। বেশ ভালো লেগেছে মামুন ভাই। তবে আমার মনে হয়েছে গল্পে সৈকত এবং রবির যে গাঢ় বন্ধুত্ব প্রকাশ পেয়েছে তার আরো একটু প্রেক্ষাপট থাকলে ভালো লাগত।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক । হ্যাঁ, এদের সম্পর্কের আরো একটু গভীরে যেতে পারলে ভালো হত । কিন্তু গল্পটা এমনিতে একটু বড় হয়ে গিয়েছে, ব্লগের প্রেক্ষাপটে ।
২৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আর একটা লাস্টের টুইস্টটা আমার জন্য আক্ষরিক অর্থেই টুইস্ট হয়েছে। আমি ভাবছিলাম গল্পটা কোথায় শেষ হয়! সুসান ম্যাগনাল্ডকে দিয়েই যে গল্পটা শেষ হবে তা বুঝি নি।
যাইহোক, আবারও শুভ কামনা!!
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: পাঠককে চমকে দেবার মাঝে আনন্দ আছে । সাথে যদি যোগ হয় কাল্পনিকের আরো একটা কমেন্ট, আনন্দটা ডাবল হয়ে যায় বৈকি!!
৩০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বিদেশযাত্রা, ক্যাম্পাস, পলিটিক্স - অনেক জমাট করেছেন!
অনেক শুভেচ্ছা রাখলাম।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার ।
৩১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: একটা চমৎকার গল্প পড়ে ফেললাম মামুন ভাই। খুব ভাল লাগল। শেষের দিকে মনে মনে খুব করে চাচ্ছিলাম এই সুজি যেন সুসান হয়, তারপর দেখি তাই হয়ে গেল!!
ভাল থাকুন। শুভকামনা রইল।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়ে মুগ্ধ ।
শুভেচ্ছা মহামহোপাধ্যায় ।
৩২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গল্পটি অসাধারন
১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু ।।
৩৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৫
উদাস কিশোর বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারন ।
শেষ টা আরো বেশীই সুন্দর
১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কিশোর ।।
৩৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৭
আমি অপদার্থ বলেছেন: গল্প ভালো বুঝিনা , কি বুঝাইলেন ? একটু বুঝাইয়া দেন। পারলে কবিতার আকারে দেন।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনি কবিতা বুঝেন, বাহ! আমি বুঝিনা, মাথার উপ্রে দিয়া যায়..
৩৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প, ভাল লাগল।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ।।
৩৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।
৩৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: সুসান কে সুজান বলার পর, যখন সুজিকে পেলাম, তখন হালকা ভেবেই নিয়েছিলাম, সুসান সুজি হতে পারে।
অসাধারণ লাগছে।
সুসান আর রবির মাঝে দূরত্বের কারণটা বুঝতে পারলাম না।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: সুসান-সুজান-সুজি, আগেই বুঝতে পারার এই তাহলে রহস্য! হুম, গল্পকারকে আরো চালাক হতে হবে!
কাপলদের মাঝে মানসিক দূরত্ব হওয়ার অনেক কারণই থাকতে পারে । গল্প বড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেশি ডিপে যাইনি, নিজের মত একটা কিছু ভেবে নেন ।
শুভেচ্ছা রাতুল ।।
৩৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
ইমিনা বলেছেন: পেস্টের লেখায় মন দিব কিভাবে? পেস্টের পিক এর দিকে ই চেয়ে আছি অপলক দৃষ্টিতে । ইস্, কেউ যদি আমায় এই রকম এক গুচ্ছ ফুল দিত
১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ঠিক আছে, পোস্টের পিক আপনাকে দিলাম আপু । নিশ্চয়ই খুশি..
এবার তাহলে গল্পটা পড়া হোক
৩৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: বড় গল্প তভয় করে। তবে পড়া শুরু করলে আর ভয় লাগে না।
ভাইয়া এই গল্পেও তো অনেক চালাকী করেছেন। যাহোক অপেক্ষায় রইলাম আমাদের গল্পকার সামনে আর কি কি গল্প উহার দেয়।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: আসলে বানিয়ে গল্প লেখা তো কঠিন, সবচেয়ে ভালো আমাদের চেনা জানা পরিবেশ নিয়ে গল্প লেখা । দেখি, সামনে গ্রামীন পটভূমিতে কিছু গল্প লিখব ।
ধন্যবাদ রাতুল ভাইয়া
৪০| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
রাতুল_শাহ বলেছেন: চেনা কোন বিষয়কে নিয়ে গল্পটা মাথায় কাজ করে খুব ভাল। অচেনা কোন বিষয়বস্তুতে শব্দরা আসে না।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: একদম ঠিক ।
৪১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভাল লাগা ছুঁয়ে গেল গল্পে।
এক নাগাড়ে পড়ে ফেললাম।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রিয়াদ ।।
৪২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভাল লাগা ছুঁয়ে গেল গল্পে।
এক নাগাড়ে পড়ে ফেললাম।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রিয়াদ ।
৪৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
রবি'র বাবাকে দেয়া কথাটা আমি রেখেছিলাম। রবিকে দেশে পাঠিয়েছিলাম, কফিনে পুরে। সুসান, যাকে রবি তার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছিল, রবি'র মৃতদেহ দেখে তাকে একটুও কাঁদতে দেখিনি। শুধু হাটু গেড়ে বসে এক গুচ্ছ শাদা ফুল রবি'র মাথার কাছে রেখে নিরবে তাকিয়েছিল। ---- এ অংশ পড়ার পর মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে।
গল্পের মুন্সিয়ানায় আমি মুগ্ধ। রবিদের বাড়ি যাওয়ার পর রাতে যে-মহিলা শাপশাপান্ত করছিলাম, ভেবেছিলাম এটা সুসান হবে। কিন্তু দেখলাম, তিনি রবির মা। গল্পের শেষ অংশে এসে সুসানের উপস্থিতি দারুণ চমকে দিল। শুভ্র সাদা শাড়িতে তার মিটিমিটি হাসি পাঠকের মন আর্দ্র করে দেয়। চোখ ভিজে যায়।
১ ও ২ পড়ে মনে হচ্ছিল- এটা শুধুই গল্প। শেষে এসে তা গল্পকে ছাপিয়ে গেলো।
শুভেচ্ছা মামুন ভাই।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ সব সময়ই উপভোগ্য । এক আর দুইকে এই গল্পের পটভূমি বা ভিত বলা যেতে পারে, কিন্তু তিন ই হলো আসল গল্প ।
আপনার পাঠ এবং প্রতিক্রিয়া লেখকের আত্মবিশ্বাস আর আনন্দ দুটোই বাড়িয়ে তুলে ।
চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা আর কৃতজ্ঞতা জানবেন সোনাবীজ ভাই ।
৪৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
নাছির84 বলেছেন: সবাই তো যা বলার বলে দিয়েছে। শুধু এতটুকুই বলি...ক্যাম্পাস জীবনের অনেক কিছুই মিলে গেছে। পুর্ণ মনোযোগ দিয়েই পড়েছি..আর ভেবেছি পাশপাশি দুটি চরিত্র কিন্তু একটি আরেকটির উল্টো ! হয়তো সেকারণেই গল্পটা শুরু থেকে শেষ অবধি চুম্বকের মতো টানলো। আপনার লেখার হাত নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই।
ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা গল্পের জন্য। শেষের মোচড়টা মনে থাকবে। ভাল থাকবেন মামুন ভাই।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: মনযোগী পাঠ আর আন্তরিক মন্তব্য-বিশ্লেষণে ভালোলাগা ।
শুভ কামনা নাছির ।।
৪৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: বহুদিন পর সেই মামুন ভাই ! এত্তগুলা প্লাস । খুবই চমৎকার লেগেছে!
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আদনান । শুভ কামনা ।।
৪৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪৫
রাসেলহাসান বলেছেন: হাতে সময় না থাকায় আপনার পোষ্ট টা পড়া হয়েছিলো না।
এখন পড়লাম। খুব আগ্রহের সাথে পড়লাম। কি বলবো?
আমি একটু আবেগি মানুষ! অল্পতেই চোখে জ্বল এসে যায়।
রবির জন্য খুব মায়া হচ্ছে খুব!
পোষ্ট টা পড়ে আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেলো।
যে আজ রবির মতোই না ফেরার দেশে চলে গেছে!
১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাসেলহাসান ।।
৪৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৫০
অন্তরন্তর বলেছেন:
সুন্দর গল্পে ভাল লাগা। ইয়াঙ্কি তো এমেরিকানদের বলা হয়(স্লেং)।
শেষটা বেশ ভাল লাগল। শুভ কামনা মামুন ভাই।
১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অন্তরন্তর ।
ইয়ান্কি ব্রিটিশ আমেরিকান আর খাটি ব্রিটিশদের বলা হয় ।
৪৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:২৬
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: প্রকৃত বন্ধুত্বের নিদর্শন, ছাত্র রাজনীতির কুফল ও নোংরামি, মাদকের মৃত্যু ছোবল এবং সীমানা পেরুনো ভালোবাসা সবই গল্পে উঠে এসেছে সাবলীল বর্ণনায়। ছোট গল্প হলেও এই বার্তাগুলো গল্পটার গ্রহণযোগ্যতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে আমার মনে হয় গল্পটাকে আপনি টেনে কিছুটা দীর্ঘ করে ফেলেছেন। এতো বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে পুরো গল্পটার সব কিছু উন্মোচন করে দিয়েছেন। ছোট গল্পে পাঠকের জন্য কিছু ভাবনার খোরাক রাখতে পারলে আরও ভালো হত।
রবি ছিল সৈকতের সব চেয়ে প্রিয় বন্ধু। সেই হিসাবে রবি এবং সৈকতের পরিবারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক এবং ছিলও আর আপনি তা-ই গল্পে দেখিয়েছেন। কিন্তু সুসান যে দেশে এলো সেটা কেন সৈকত জানলো না? কিংবা রবির বাবার সাথে যখন ফোনে কথা বললো তখনো কেন রবির বাবা সৈকতকে জানায় নাই কিংবা রবিদের বাড়িতে কিছুটা সময় পার হয়ে যাবার পরও কেন রবির বাবা ব্যাপারটা সৈকতকে বলে নাই? রবি মারা যাওয়ার পর সৈকতের উচিৎ ছিল রবির বাবা মায়ের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখা। সেটা কেন সে করে নাই? সৈকত কী তবে কিছুটা বেইমানী করেছিল কিংবা রবির শোকে সব ভুলে গিয়েছিল?
গল্পের শেষে এসে বুঝাই যাচ্ছিল সুজিটা কে হতে যাচ্ছে। তাই শেষে এসে আপনি সুজির চমকটা পাঠককে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলা যায়। সুজির শেষের কাহিনীটুকু কেন জানি হিন্দি 'বীর-জারা' ছবিটার কথা মনে করিয়ে দিল।
কাহিনী বিন্যাসে এতো উন্মুক্ত না হয়ে আপনি বাক্য গঠনে আরও সাশ্রয়ী হয়ে এবং শব্দের গাঁথুনিতে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে গল্পটাকে চাইলে আরও অনেক সুন্দর করতে পাড়তেন। তখন এটা ছোট গল্প হিসাবে অনবদ্য হয়ে উঠত। তবে গল্পের বার্তাগুলো যথার্থই দিয়েছেন, যা প্রতিটা পাঠকের অনুধাবন করা উচিৎ। ধন্যবাদ মামুন।
১৩ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালী । আপনার চমৎকার মন্তব্যে প্রীত হলাম । এটাই হলো ব্লগে লেখালেখির বেনেফিট । আমার যারা এই প্লাটফর্মে লেখালেখি করি, কেউই প্রতিষ্টিত লেখক নই । সুতরাং এখানে যে আলোচনা সমালোচনা হয়, তা থেকে প্রতিটা লেখক উপকৃত হয় । আর ব্লগতো খেরো খাতা, সংযোজন বিয়োজনের সুযোগটা এখানে সব সময়ই থাকে ।
যদিও প্রতিটা পয়েন্টে আপনার সাথে একমত নই, তবু আপনার মন্তব্যটি আপনার গুড এটেম্প আর গুড ইনটেনশন হিসাবেই নিচ্ছি । আর এটাই ব্লগিংয়ের সৌন্দর্য । আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন ।
সামহোয়্যারইনে আপনার ব্লগিং আনন্দময় হোক ।
শুভ কামনা সতত ।
৪৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম মামুন ভাই। রবির মতো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার !
১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ নাহিদ রুদ্রনীল ।।
৫০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ব্লগে গঠনমূলক এবং বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য থেকে আমরা নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নিতে পারি। তার জন্য ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুধরণের মন্তব্যই গ্রহণ করার মতো মন মানসিকতা থাকা দরকার। আপনার মধ্যে সেটা দেখতে পেলাম বলে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন । ভালো থাকবেন সব সময় ।
৫১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০২
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: বর্ণনা শৈলি অসাধারণ!
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অস্পিসাস প্রেইস ।।
৫২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
নিশাত তাসনিম বলেছেন: প্রথমদিন অর্ধেক পড়েছিলাম আজ পুরা গল্প পড়ে শেষ করলাম । সত্যি ভালো হয়েছে । +
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ তাসনিম
৫৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
রিভানুলো বলেছেন: গল্প ভালোলাগলো ++++
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রিভানুলো
৫৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০০
চটপট ক বলেছেন: বেশ বড় গল্প, তবে পড়ে মজা পেয়েছি ভাই। ভালো লেগেছে।
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ চটপট ক
৫৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মামুন ভাই, আপনার গল্পের সবচেয়ে মাধুর্যময় দিকটা হচ্ছে আপনি যেভাবে গল্পের ব্যাকগ্রাউনড লে করেন।
ম্যানচেস্টার থেকে লিডস-এ যাবার যে বর্ণনা দিয়েছেন অথবা সিলেটে রবির বাড়ির যে বর্ণনা দিয়েছেন, আমি মুগ্ধ! দুই জায়গাতেই যাবার পন করে ফেল্লুম এই মাত্র মনে মনে !
রবি আর সুজানের সরি, সুসানের মায়াময় সম্পর্কের গল্পটা ভালো লাগলো।
১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ম্যানচেস্টার-লিডস-ইয়র্কে আমারও যাওয়ার সুপ্ত ইচ্ছে আছে । আর সিলেট আসতে চাইলে যেকোন সময়, জাস্ট একটা মেসেজ দিবেন
গল্প ভালো লাগায় ধন্যবাদ
৫৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
বৃষ্টিধারা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ।
১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বৃষ্টিধারা
৫৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৯
ডট কম ০০৯ বলেছেন: টুইস্ট টা ভাল লাগছে।
আরেকটা বিষয় এত সহজে কি রাজনীতি ছেড়ে দেয়া যায় বা কেউ ছেড়ে দেয়।
১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: তা যায় না । তবে রবি'র সাথে কমপ্যাক্ট থাকার জন্য গল্পের এই অংশটা শর্টকাটে লিখে দিয়েছি ।
ধন্যবাদ আরমান ভাই ।
৫৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এটা আগেই পড়েছিলাম, আজকে আরেকবার পড়ে দেখলাম। চমৎকার লাগল প্রিয় মামুন।
১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ।।
৫৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ম্যাগনোলিয়া, ছড়াও সুধা মনমধুপে...! ভালো হয়েছে যদিও শেষটা ট্রাজিক হওয়ায় পড়ার পরে বেশ কষ্ট হলো রবির জন্যে।
২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা
৬০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রাণবন্ত - জীবন্ত লেখায় মন ছুয়ে গেল , খুবই ।
মনে হচ্ছিল - বাস্তব কোন ঘটনা দেখছি , বর্ণনা পড়ছি , দৃশ্যায়নে আপনি সাঙ্ঘাতিক
সফল । সফট হ্যান্ডে আপনি কেমন তার একটা প্রমাণ রাখলেন ।
অনেক ভাল লাগা থাকল ।
ভাল থাকুন প্রিয় মামুন ভাই । শুভকামনা রইল ।
২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ।
ব্লগে আপনাকে মিস করি খুব । শীঘ্রই নতুন লেখা নিয়ে ফিরে আসেন ।
শুভ কামনা সতত ।
৬১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৩
মুদ্দাকির বলেছেন: সুন্দর
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১২
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ভাই রবিরা এভাবেই ঝরে যায়। অসাধারণ লিখছেন মামুন ভাই। আপনার লেখা দেখে আমার মাঝে মধ্যে হিংসা হয়। ভাল থাকবেন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রথি । আপনিও খুব ভালো লিখেন ।
শুভ কামনা
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০০
উজবুক ইশতি বলেছেন: খুব সুন্দর
রবি আর সুসান চরিত্র টা ভালো লাগলো
রবির জন্য মন খারাপ হয়ে গেল