নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগে ।

মামুন রশিদ

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগ...

মামুন রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ জীবনের সপ্তসুর ।

০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৮





রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল আম গাছটা অনেক আগেই তার যৌবন হারিয়েছে । এক আকাশ বিস্তৃত ডালপালা আর ঘন কালচে সবুজ পাতার অরণ্যে মাত্র দু'চারটা আম লিকলিক করে ঝুলছে । পাড়ার দস্যু ছেলেদের ছোঁড়া মাটির ঢেলার নিখুঁত ঢিল ঝপাৎ করে শব্দ তুলে ব্যর্থ মনোরথে ভূ-পৃষ্ঠে ফিরে আসে, গাছের আম দেখার ভাগ্য তাদের কদাচিৎ হয় । বিশাল বেড়ের এই গাছ বেয়ে উঠাও কম ঝক্কি নয় । ভেজা মরা বাকলে শ্যাঁওলা জমে একেতো পিচ্ছিল, তার উপর গোছাগোছা পরগাছা আর মরা ফার্নের আড়ালে চোরাই কোটরে গিরগিটি আর সাপের বাসা । পক্ষীকুলের ঠোকর খাওয়া কোন আম যখন বাতাসে ঝরে পড়ে, ছেলেপুলেদের মাঝে শুরু হয় কাড়াকাড়ি ।



গাছের গোড়ায় বড় শিকড়ে বসে আছে মাঝহাটির মন্নার । যে দুয়েকটা দুঃসাহসী ছেলে এই প্রাচীন আমগাছে তিড়তিড় করে বেয়ে উঠে, মন্নার তাদের একজন । তার গলায় লম্বা লম্বা কালো সুতায় ঝোলানো পেতলের তাবিজ । তাবিজের সাথে ঝুলছে কনে আঙুলের সমান একটা টিনের চাকু । গাছের মগডালে আরামসে বসে এই চাকু দিয়ে আম কেটে খায় সে । আজকেও গাছে চড়েছিল, তবে আম পাড়ার জন্য নয় । তার চেয়ে ছোট একটা ছেলে ঘুড়ি হাতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল । মন্নার ছেলেটার হাত থেকে ঘুড়ি কেড়ে নিয়ে গাছের ডালে বেঁধে রেখে এসেছে । ঘুড়িওয়ালা ছেলেটা ছলছল চোখে গাছে ঝোলানো ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে আছে । তাকে ঘিরে আরো দুচারটা ছেলে হাসাহাসি টিকাটিপ্পনি কাটছে ।



পাশের নিচু জমি থেকে খুটে খুটে গিমাই শাঁক ঝুড়িতে ভরে রাস্তায় উঠে আসে আলোই নামের ধিঙ্গি মেয়েটা । হাফপ্যান্টের নিচ থেকে কানিবকের মত চিকন লম্বা পা জোড়া বেরিয়ে এসেছে । হাটুর গিট্টু ফোলা ফোলা, কয়েক পরত চামড়া উঠে কালচে হয়ে গেছে । বেরিয়ে আসা বুকের হাড় জীর্ণ ময়লা জামাকে যেন উপহাস করছে । জটলার কাছে আসতেই ঘুড়িওয়ালা ছেলেটা কাঁদো কাঁদো হয়ে তার কাছে নালিশ জানায় । শাঁকের ঝুড়িটা এক পাশে রেখে মেয়েটা মন্নারের দিকে খিস্তি ছুড়ে, 'ঐ হারামজাদা বিতলা পুলা, হের ঘুড্ডি নিছস ক্যান?' গালি শুনেও মন্নার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেনা, গলায় ঝুলানো চাকু দিয়ে একমনে পুরনো আমের আঁটি ঘষতে থাকে । আলোই সময় নষ্ট না করে দুহাতে থুথু ছিটিয়ে পাঞ্জা ঘষে লাফ দিয়ে গাছে চড়ে । মন্নার দ্রুত এসে পা ধরে টেনে তাকে নামিয়ে আনে । এবার দুজনে শুরু হয় ধস্তাধস্তি । আলোইর জীর্ণ জামা ছেঁড়ার শব্দ হয় । জামা ছেঁড়ার ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে সে মন্নারের চোখে মুখে খামচি দেয় । মন্নার এবার তার দুর্বল জায়গায় আঘাত করে, জটা ধরা লম্বা চুল ধরে আলোইকে হ্যাচকাতে থাকে । আলোই কোনরকম নিজেকে সামলে নিয়ে মন্নারকে নিচে ফেলে দেয় । তারপর দুই হাটুর গিট্টু দিয়ে ইচ্ছেমত ঢুঁসতে থাকে । ঢুঁসি খেয়ে কাতরানো ছাড়া মন্নারের আর কিছু করার থাকে না । গাছে থেকে ঘুড়িটা নামিয়ে ঘুড়িওয়ালার হাতে বুঝিয়ে দিয়ে গিমাই শাঁকের ঝুড়ি মাথায় নিয়ে আলোই তার বাড়ির পথ ধরে ।



আলোই আমাদের পিচ্চিকুলের অবিসংবাদিত নেতা । আমচুরি-ফলচুরি, দাড়িয়াবন্দা খেলা আর মিছেমিছে বনভোজন, সবই হয় তার নেতৃত্বে । মুখের অশ্রাব্য বচন কিংবা শক্তিশালি হাটু, কোনটাই তার সেরা অস্ত্র নয় । তীরের বেগে সে ঢিল ছুঁড়তে পারে । মগডালে ঝুলে থাকা ঠাসাঠাসা আম কিংবা প্রতিপক্ষের শরীর, কোনটাই তার হাতের নিশানা থেকে রেহাই পায় না । এত জোড়ে আর এত সঠিক নিশানায় আমরা কেউই ঢিল ছুঁড়তে পারি না ।



বর্ষায় গ্রামের শীর্ণ খাল নতুন পানিতে ভরে উঠে । ভরদুপুরে সেখানে আমরা দাপিয়ে বেড়াই । পায়ের কাছে গর্ত করে হাত দিয়ে পানি টেনে সেই গর্ত থেকে চ্যাং আর মিনি মাছ ধরি । খালের পানি শুকিয়ে এলে কাদা থেকে শিং মাছ ধরার উৎসব লেগে যায় । শিং মাছের কাঁটা ফুটলে খুব ব্যথা হয় । কিন্তু এই কাঁটায় আলোইর কিছুই হয়না, পাতিল ভর্তি শিং মাছ ধরে নাচতে নাচতে সে ঘরে ফিরে ।



ঘরে তার ল্যাংড়া বাপ জইল্যা । সারাদিন দস্যিপনা করে বেড়ানো মেয়েকে ধরে বাপ পুকুর ঘাটে নিয়ে যায় । বাংলা সাবান দিয়ে শরীর ঘষে ঘষে ময়লা তুলে । উঠোনে বসিয়ে চুলে নারিকেল তেল মাখিয়ে দেয় । সাথে চলে শাপশাপান্ত- 'আর যদি কারো গাছের ফল চুরি করস, আর যদি গায়ে ধুলোময়লা মাখস, তাইলে ঠ্যাঙ ভাইঙা ঘরে বয়াইয়া রাখমু' । কিন্তু কে শোনে কার কথা! দুপুর গলিয়ে বিকেল হতে না হতেই সঙ্গি সাথি জুটিয়ে আবার সে নিজের কাজে লেগে পড়ে । পাড়ার সবাই তাকে এক নামে ডাকে 'ডাক্কুফুড়ি' । তাকে দেখলেই পাড়ার মহিলারা হৈহৈ করে উঠে, 'সাবধান ডাক্কুফুড়ি, একটা শষায় হাত দিবি না!' শুধু তার দস্যিপনার জন্যই এই উপাধি পেয়েছে তা নয়, আক্ষরিক ভাবেই তার বাপ জইল্যা ছিল ডাকাত ।



হাওড় পাড়ের মানুষের কাছে জইল্যা ডাকাত ছিল মূর্তিমান আতন্ক । পুরো বর্ষাকাল তার বাহিনী নিয়ে ডাকাতি করে বেড়াত । কাকাইলসেঁও-ইটনা-আজমিরিগঞ্জ-মার্কুলি, হাওড়ের এই অংশের গৃহস্থবাড়ি আর মহাজনের নৌকা ছিল তার শিকার । বানিয়াচং থানার পুলিশ তাকে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার করে নখের ভেতরে সুই দিয়েছে । কোন লাভ হয়নি । কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বছরে সে ভীষণ সংকটে পড়ে যায় । বর্ষায় পুরো হাওড় চলে যায় মুক্তিদের দখলে । কচুরিপানা মাথায় নিয়ে হাওড়ের পানিতে ভেসে ভেসে মুক্তিদের অপারেশনের কথা মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে । তাদের ভয়ে পাক আর্মি হাওড়ে টহল দেয়া বন্ধ করে বানিয়াচং থানার ভেতরে ক্যাম্প করেছে । বর্ষায় ডাকাতির ভরা মৌসুমে জইল্যা একরকম বেকার হয়ে পড়ে । অনেকে তাকে রেজাকার বাহিনীতে যোগ দিতে বলেছিল । কিন্তু তার কাছে পাক আর্মি আর পুলিশ সমার্থ । পায়ের আঙুলের মরা নখ আর সুই ফোঁটানোর কালচে দাগ খাকি পোষাকের প্রতি তার ঘৃণা উসকে দেয় ।



হাওড়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাকআর্মি আর স্থানীয় শান্তি কমিটি নতুন ছক আঁটে । বিশাল হাওড়ের মধ্যে ছোট দ্বীপের মত ভেসে থাকা হিন্দু অধ্যুষিত সমৃদ্ধ গ্রাম মাকালকান্দি । মুলত কৈবর্ত জেলে-গৃহস্ত আর কিছু চৌধুরীর বাস । ব্রিটিশ আমল থেকেই গ্রামটি ধানে-মাছে ধনী । ছোট্ট গ্রামে অনেকগুলো পাকা ঘর, প্রতিটা বাড়িতেই আলাদা গোলাঘর । একদিন কালভোরে হানাদার বাহিনী নৌকা দিয়ে গ্রামটি ঘিরে ফেলে । প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে । তারপর ঘরের ভেতর খুঁজে খুঁজে বাকিদের হত্যা করে । সেদিন তিনশো'র উপরে মানুষ মেরে পাকআর্মি গ্রাম ছাড়ে ।



আর্মি গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার পর রেজাকারেরা বাড়িঘর লুট করা শুরু করে । আশে পাশের গ্রাম থেকে লোভী মানুষের দল নৌকা নিয়ে তাদের সাথে যোগ দেয় । পুরো গ্রাম কাদা-পানি আর মানুষের রক্তে একাকার । লাশগুলো ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে থাকে পুরো গ্রামজুড়ে । বেঁচে থাকা আর আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে আকাশ বাতাস । মানবিক বিপর্যয়ের এই চরমক্ষণেও রেজাকারেরা চালিয়ে যায় লুটতরাজ । গোলাঘর থেকে ধান এনে লাশ আর রক্ত-কাদার উপর ফেলে চলার পথ তৈরি করে । প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে ভরিয়ে ফেলে তাদের নৌকা ।



জইল্যা ডাকাত লুটের খবর পেয়ে একটা ছোট নৌকা নিয়ে মাকালকান্দি পৌছায় । কিন্তু তার পৌছতে দেরি হয়ে যায় । ততক্ষণে লুটেরা বাহিনী ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে । চারপাশে পড়ে থাকা আহত মানুষের গোঁঙানি আর বেঁচে থাকাদের আর্তনাদে জইল্যা ডাকাতের মন আর্দ্র হয়ে উঠে । হাতে থাকা বৈঠা দিয়ে বাকি লুটেরাদের সে পেটাতে শুরু করে । একটা ঘর থেকে ছোট বাচ্চার আর্তনাদ ভেসে আসছিল । সেখানে মেঝেতে রাখা হারমোনিয়ামের উপর মুখ থুবরে পড়ে আছে এক মহিলার লাশ । দুইতিন বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে তার মৃত মা'কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করছে । মেয়েটাকে দেখে জইল্যার খুব মায়া হয় । বাচ্চাটাকে কোলে নেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু সে তার মৃত মা'কে কিছুতেই ছাড়বে না । এই সময় দুর থেকে গুলির শব্দ ভেসে আসে । কিছু লুটেরা চিৎকার করে উঠে, 'মুক্তি আইতাছে, তাড়াতাড়ি ভাগো.." । জইল্যা কোনরকম বাচ্চাটাকে কোলে করে নিয়ে আসে । নৌকার কাছে গিয়ে আবার কি মনে করে যেন ঘরে ফিরে আসে । মৃতদেহটা সরিয়ে এক হাতে হারমোনিয়াম আর এক হাতে বাচ্চাকে নিয়ে নৌকায় উঠে ।



মাকালকান্দি গ্রামে পাকআর্মির গণহত্যা আর রেজাকারের লুটের খবর মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে পৌছতেই তারা নৌকা নিয়ে সেদিকে যাত্রা করে । গ্রামের কাছে পৌছে তারা এলোপাথারি গুলি করতে থাকে । গুলির শব্দ পেয়ে লুটেরারা দ্রুত পালিয়ে যায় । সেদিন মুক্তিবাহিনীর গুলিতে কয়েকজন লুটেরা আহত ও নিহত হয় । জইল্যা ডাকাতের পায়ে গুলি লাগে । গুলি খেয়েও জইল্যা প্রাণপনে নৌকা চালিয়ে নিজের গ্রামে ফিরে আসে । সেই থেকে আলোই জইল্যাকে বাপ বলে জানে । গুলি খাওয়া পা'টা অচল হয়ে পড়ায় জইল্যা আর ডাকাতির পেশায় যেতে পারেনি । বিয়েথাও করেনি, কুড়িয়ে পাওয়া আলোই কে নিয়েই তার বাকি জীবন কেটে যায় ।



যুদ্ধ শেষ হওয়ার বছর দুই পরে আলোই'র বেঁচে থাকা স্বজনেরা তার খোঁজ পেয়ে তাকে নিতে এসেছিল । কিন্তু আলোই তার পালক বাপকে ছেড়ে যায়নি । মাকালকান্দি থেকে তার আত্মীয়েরা মাঝে মাঝে তাকে দেখতে আসে, ধান-চাল জামা-কাপড় দিয়ে যায় ।



জইল্যা সারাদিন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়ির কাজকর্ম করে । আর রাত হলেই তার কিছু স্যাঙ্গাত নিয়ে গানের আসর বসায় । গাঁজার কলকিতে ধোঁয়া উঠে, সাথে চলে বাদ্য বাজনা । সে নিজেই সেই কুড়িয়ে আনা হারমোনিয়াম বাজায়, বাজাতে বাজাতে মোটামুটি সুরও তুলতে পারে । আরেকজন তাকে হাতে বানানো ডুগ্গি বাজিয়ে তাল দেয় । মধ্যরাত পর্যন্ত চলে তাদের মরমী গানের আসর ।



কিশোরী আলোই এক সময় দস্যিপনা কমিয়ে ঘরের কাজে থিতু হয় । ঘরের প্রতিটা কাজ সে নিজেই করে, তাই বাপের উপরেও তার সমান দাপট । জইল্যাও তাকে খেপাতে সাহস পায়না । ঘরের কাজকর্ম শেষ হয়ে এলে বিকেলে আলোই পাড়া বেড়ায় । পাড়ার এ ঘর ও ঘর ঘুরে, মহিলাদের সাথে আড্ডা জমায় । মিষ্টিমিষ্টি কথা বলে অনেক মহিলাই তাকে দিয়ে নানান গার্হস্থ্য কাজ করিয়ে নেয় । আর একটু পান-সুপারী খাইয়ে দিলে কথাই নেই, নিজে থেকেই বলবে, 'চাচি দ্যাও, মশলাটা আমি বাইট্যা দেই!'



এই বয়সে মেয়েদের শরীরে যৌবনের বান আসে । এই বয়সে তারা বিনাকারনে হাসতে হাসতে ঢলে পড়ে, আবার পরক্ষণেই বিষণ্নতায় চুপসে যায় । এই বয়সের মেয়েদের দিকে কোন না কোন পুরুষের লোভী চোখ খেলা করে বেড়ায় । এই বয়সের মেয়েদের জীবনে গোপন ভালোলাগা-ভালোবাসা আসে, অন্যরকম আহবানে তাদের শরীর-মন পর্যদুস্ত হয় । কিন্তু এই বয়সে এসেও আলোই যেন দশ বছরের নিষ্পাপ কিশোরী । চিকন লম্বা পা'গুলো দৈর্ঘে আরো বেড়েছে, বুকের উপরের দিকে বেরিয়ে আসা কন্ঠার হাড় আরো বেশি প্রকাশ্যমান । শুধু পার্থক্য এই, শরীরে জীর্ণ জামার বদলে জীর্ণ মলিন শাড়ি পেচায় । অসাবধানতায় শাড়ির আঁচল সরে গিয়ে বুকের শুকনো হাড়গুলোই কেবল হা করে তাকিয়ে থাকে ।



ইদানিং আলোই'র আত্মীয় স্বজন ঘন ঘন আসছে । তারা আলোই কে মাকালকান্দি নিয়ে যেতে চায় । মেয়ে মুসলমান বাড়িতে বড় হয়েছে, তার নিজ সমাজের আচার আচরণ কিছুই জানেনা । একদিন না একদিন তাকে বিয়ে দিতে হবে । তাই আচার-ধর্ম শেখানোর জন্য তাকে তার নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে । জইল্যা ইতস্তত করে, হাঁ বা না কিছুই বলে না । কিন্তু আলোই মুখের উপর বলে দিয়েছে, এ বাড়ি ছেড়ে সে কোথাও যাবে না ।



আমরা যারা আলোই'র ছোটবেলার খেলার সাথী ছিলাম, সবাই এখন স্কুলের বড় ক্লাসের ছাত্র । আরো অনেক বছর আগে আমরা আলোই কে ত্যাগ করেছি । আমরা স্কুলগামীরা এক সাথে পড়ি, এক সাথে খেলি, এক সাথে আড্ডা দেই । আলোই আমাদের চোখের সামনে হেটে বেড়ালেও আমাদের কারো নজরে পড়েনা । গার্লস স্কুলের মেয়েদের দেখলে আমরা চোখ গোল করে তাকাই, তাদের কেউ সুন্দরী হলে আমাদের চোখ ছানাবড়া হয় । আলোই কে তার স্বজনেরা গ্রামে ফিরিয়ে নিয়েছে কি না, সেই খবরে আমরা কেউ উৎসাহ বোধ করি না । কিংবা ঠিক কতদিন বা কত বছর ধরে আলোই তার গ্রামে গেছে, তারও কোন খবর রাখি না ।



একদিন হঠাৎ করেই আলোই'র বিয়ের খবর পেলাম । আমার মা পাশের বাড়ির মহিলাদের সাথে এই প্রসঙ্গে আলাপ করছিলেন । আলাপ যতোটা না আলোই'র বিয়ে নিয়ে, তার চেয়ে তার পালক বাপ জইল্যা চাচা বিয়েতে কি কি দিবে তা নিয়েই উনাদের যত আগ্রহ । জইল্যা চাচা নাকি আলোই'কে নাকের নথ বানিয়ে দিবে, সোনা দিয়ে । পাত্র কে সোনার আংটি আর একটা সিকো-ফাইভ ঘড়ি দিবে । টাকা যোগার করার জন্য সে তার জমি বিক্রি করে দিয়েছে । আলোই'র বিয়ের খবরে এমন কোন উপাদান ছিলো না যা নিয়ে বন্ধুদের সাথে ভাগ করা যায় । সবাই হয়ত জেনেছে, কিন্তু আমরা কেউই এটা নিয়ে কোন কথা বলার প্রয়োজন বোধ করিনি ।



আলোই ফিরে এলো একদিন, আলো রানী দাশ হয়ে । আমাদের সবার মাথা প্রায় খারাপ করে দিয়ে । বিয়ের কয়েক মাস পর তার স্বামীকে নিয়ে পালক বাবাকে দেখতে এসেছে । বিকেলে আমাদের বাড়িতে এসেছিল । লাল সিল্কের শাড়ি পড়া আলো কে দেখে প্রথমে আমি চিনতে পারি নি । সেই আলো, যার ঢেংঢেঙা চিকন শরীর আর বের হয়ে আসা শুকনো বুকের হাড় চোখে কেবল বিরক্তিই ধরিয়েছে । এখন তার চোখের ঝলক আর কামিনী হাসি বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে । তার পুরুষ্ট গাল বেয়ে, পিনোন্নত বুক বেয়ে, শাড়ির আঁচল বেয়ে, গায়ের সাথে লেপ্টে থাকা ব্লাউজ বেয়ে সদ্য ফোটা যৌবন যেন গলে গলে পড়ছে ।



বন্ধু মহলে আলো'র কামিনী রুপের কথা চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি । আমরা কেউ কেউ তাকে দেখে পাগল হয়েছি, কেউবা শুধুই শুনে । দলবেঁধে আমরা চলে যাই জইল্যা চাচার বাড়িতে, আলো'র স্বামীকে দেখার ভান করে । উঠোনে পেতে রাখা কাঠের টুলে বসে আমরা আলো'র স্বামীর সাথে গল্প করি, আড়চোখে আলো কে খুঁজে বেড়াই । আলো'র স্বামী আগে একটা দোকানে চাকরি করতো, বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু টাকা পেয়ে নিজেই মার্কুলি বাজারে একটা টং দোকান দিয়েছে । আলো কিছুক্ষণ পর পর এটা ওটা খাবার নিয়ে আসছে, আর আমরা দুচোখ ভরে তার উতল যৌবন ভক্ষণ করছি ।



আলোর স্বামীর সাথে আমাদের মিছে আড্ডা চলতে থাকে । উনাকে কিছু খাতির করতেই হচ্ছে, যৌবনবতী আলো'র বৈধ অধিকারী বলে কথা! আর দিনে দুইবার আড্ডার সুযোগে আমরাও আলো'র আগ্রাসী রুপের আগুনে পুড়ে সেদ্ধ হতে পারছি ।



সুখের দিন দ্রুতই শেষ হয়ে আসে । আলো তার স্বামীকে নিয়ে চলে যাবে । বিদায়ের দিন আমরাও এসেছি । আলো'র স্বামী বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, আমরা যেন শীঘ্রই মার্কুলি বেড়াতে যাই । আমরা তাকে খুশ দিলে আস্বস্ত করি । বিদায়ের করুণ সুর বেজে যাচ্ছে, আমরাও এতে ক্রমে আক্রান্ত হয়ে চলেছি । জইল্যা চাচার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না । হঠাৎ করে সে যেন বুড়ো হয়ে গিয়েছে । আমরা অনুধাবন করতে চেষ্টা করি, কতোটা ভালোবেসে সে আলো কে বড় করেছে । আলো তার জীবনে কতোটা জড়িয়ে আছে, আমরা তার রেশ মাত্র অনুমান করতে পারি ।



বিদায়ের অন্তিম মুহূর্তে দেখতে পাই জইল্যা চাচা ঘরে খাটের উপর শুয়ে আছে, ভাঙা হারমোনিয়ামের উপর মাথা রেখে । আলো তার গ্রামে ফিরে যাওয়ার পর তিনি আর এটা বাজান নি । আলো তার পাশে গিয়ে বসে, আলতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় । ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করার জন্য তাগাদা দেয় । কিছুদিন পরে আবার এসে দেখা করে যাবে বলে কথা দেয় । তারপর এক সময় বাপের দুই হাত ধরে অনুনয় করে, 'বাজান কিছু মনে কইরো না, আমার মায়ের একমাত্র স্মৃতি হইল এই ভাঙা হারমোনিয়াম । এইটা তুমি আমারে দিয়া দ্যাও!"



জইল্যা চাচা নিষ্প্রাণ চোখে আলো'র দিকে তাকিয়ে থাকে । কিছু বলতে গিয়েও যেন বলতে পারছে না, অসহায় দৃষ্টিতে আলো'র দিকে চেয়ে থাকে । এই দৃষ্টি আলো কে ঠিকই বিদ্ধ করে । বাপের হাত দুটি শক্ত করে চেপে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে সে । বাপ তার উঠে বসে, মেয়ের মাথায় মুখে হাত বুলিয়ে বলে, "এইটা খালি তোর মায়ের স্মৃতি না, এইটা আমার মায়েরও একমাত্র স্মৃতি" ।



বাপ-মেয়ের যুগল কান্নার ঢেউ আমাদেরও ভিজিয়ে দিয়েছিল সেদিন ।

মন্তব্য ১৩৮ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর গল্প ,ভাললাগা ++++++++

০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে ধন্যবাদ বন্ধু :)

২| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারণ!!!!!!!!!!!!!!


দারুন!!!!!!

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ :)

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

আমার আমিত্ব বলেছেন: কি অদ্ভুত সুন্দর গল্পটা।

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৮

সকাল রয় বলেছেন:
অনেকদিন পর ডাকু কাহানি পড়লাম। ধন্যবাদ

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৯

ডি মুন বলেছেন: প্রথমদিককার ছবিগুলো খুব চমৎকার এঁকেছেন। আর পুরো গল্পটা পড়েও ভালো লাগলো।

শুভকামনা

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ডি মুন । ভালো থাকবেন ।

:)

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার গল্প। আঁটো সাটো বর্ণনার গাঁথুনি।

ধন্যবাদ, প্রিয় মামুন রশিদ ভাই।

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় আবুহেনা ভাই ।


শুভ কামনা :)

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই গল্পটা আসলেই ভালো হইছে।

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শুঁটকি :)

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

নাসীমুল বারী বলেছেন: জীবনবোধের চমৎকার চিত্রকল্পে আঁকা 'জীবনের সপ্তসুর' সত্যিই অনুভূতিতে ছোঁয়া লাগানো গল্প। পেশায় ডাকাত হলেও মানবিক অনুভূতিতে একজন মানুষ, যে মানুষের মন ধর্ম-সমাজেরও ঊর্ধে। এমন প্রতিবিম্বের পটে আাঁকা সুন্দর সাহিত্য উপস্থাপনা এ গল্পটি। মানবিক ভাললাগা, ভালবাসায় পরিচ্ছন্ন গল্প।

ধন্যবাদ এমন একটি গল্পের জন্য। শুভ কামনায়-

০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: মনযোগী পাঠকের গল্প পাঠে মুগ্ধতা । এরকম পাঠ আনন্দ দেয়, আরো লিখতে উৎসাহিত করে ।


ভালো থাকবেন নিরন্তর । শুভ কামনা ।

:) :)

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫০

স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: সত্যিই চমৎকার|

০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

দুঃখ বিলাস বলেছেন: সুন্দর গল্পে ভালোলাগা রইল।

শুভেচ্ছা।

০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দুঃখ বিলাস :)

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার একটি গল্প।
পোষ্টে ভালোলাগা++

০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ যুবায়ের ভাই :)

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৫

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: খানিকটা বিরতিতে আপনার গল্প পেলাম আবার প্রিয় গল্পকার...
সময় করে পড়বো ...
ভালোলাগায় মার্ক করে প্লাস দিয়ে গেলাম...
আপনার ব্লগ লিংকটা এড করে নিয়েছি আমার ব্লগে যাতে যখন খুশি উঁকি দেয়া যায় ...

০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ নাফিস :)


গল্পের পাঠ প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় রইলাম ।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রাণবন্ত গল্প মামুন ভাই !
এই গল্পে সময় করে হাত দিলে উপন্যাস ও সম্ভব !

০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, আগে ছোটগল্প লিখে লিখে হাত মকশ করি..


ধন্যবাদ অভি । ভালো থাকবেন :)

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২১

মিনুল বলেছেন: গল্পের সবকিছুই যেন বাস্তবভাবে ফুটে উঠেছে। অনেক ভালো লেগেছে।শুভকামনা রইলো।

০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিনুল ।



আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম :)

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

ভাঙ্গা ডানার পাখি বলেছেন: আপনার লেখার ধরনটা সত্যিই অনেক সুন্দর। সহজ, সাবলীল। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। ভালো একটা লেখা পড়ে যে ভালো লাগাটা কাজ করছে, তার জন্য একটা ধন্যবাদ অবশ্যই আপনার প্রাপ্য!

০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠ এবং ভালোলাগায় কৃতজ্ঞতা । আপনার মন্তব্য পড়ে আমিও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম ।


ভালো থাকবেন সব সময় । শুভকামনা ।

:) :)

১৬| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৫

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ওরে বস্ কি লিখেছেন এটা? অদ্ভুত সুন্দর! খুব খুব ভালো লাগলো।

০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু, থ্যান্কু সজীব । আপনার ভালোলাগার প্রকাশে আমি মুগ্ধ । ভালো থাকবেন :)

১৭| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দুর্দান্ত গল্প সুপ্রিয় মামুন ভাই :) :)

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু কান্ডারি :)

১৮| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বরাবরের মতোই আরেকটি চমৎকার গল্প পড়ার সৌভাগ্য হলো। গল্পে একরাশ ভালোলাগা ও অাপনার জন্য শুভকামনা।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার । ব্লগে আপনার নিয়মিত উপস্থিতি কামনা করি ।


ভালো থাকবেন । শুভ কামনা :)

১৯| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সময় করে পুরোটা পড়ে কমেন্ট করবো।১ম প্যারা ভাল লেগেছে।বলতে গেলে দারুন সূচনা ।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম । আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় থাকলাম ।

২০| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:৩৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অসাধারণ !

গল্পে +++

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় প্রবাসী পাঠক :)

২১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: পূর্ণ দৈর্ঘ্য বাংলা ছোট গল্প।

ভূমিকা, গল্পের বিষয়, গল্পের পটভূমি, গল্পের শেষ... সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ এবং সুলিখিত একটি গল্প।


জইল্যা ডাকাত, আলোই, হারমোনিয়াম... (আলোই/ আলো?)
একসূত্রে গেঁথেছেন ভালো।


মামুন রশিদ ভাইয়ের লেখনি থেকে এতটুকু পাওয়া বেশি কিছু না।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, রসবোধে মুগ্ধ হলাম প্রিয় মইনুল ভাই । এই ব্লগিং করতে এসেই দুকলম লিখতে শিখেছি, ব্লগাররাই আমার লেখালেখির সকল অনুপ্রেরণার উৎস ।


মন্তব্যে পাঠে মধুর একটা অনুভূতি হলো ।


ভালো থাকবেন । শুভকামনা নিরন্তর :)

২২| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এইটা খালি তোর মায়ের স্মৃতি না, এইটা আমার মায়েরও একমাত্র স্মৃতি" ।
- এই লাইনটাই এই গল্পের সবকিছু । সপ্তসুরের খনি । একে
ফোটানোর জন্যই বাকি সবকিছুর আয়োজন ।

মাইনুদ্দিন ভাইয়ের সাথে একমত ।

গল্পের মাঝপথে '' আমরা '' য় চলে এসে বর্ণনা - ভাল লেগেছে । গল্পের
বর্ণনা ই এমন সবকিছু যেন চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম ।

সব মিলিয়ে গল্পে ভাল লাগা ।
ভাল থাকুন প্রিয় মামুন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, এই লাইনটাই গল্পের পাঞ্চলাইন । পুরো গল্পটা এই লাইনের দিকেই ধাবমান ।

বর্ণনা নিয়ে অস্বস্তির কথা সকালে আপনাকে শেয়ার করেছিলাম । জুলিয়ান ভাই এসে সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দিয়ে গেছেন । খুব শীঘ্রই গল্প আপডেট হবে ।

ভালো থাকবেন মাহমুদ :)

২৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

আমি স্বর্নলতা বলেছেন:


আমচুরি-ফলচুরি করে কখনো খাইনি তবে দাড়িয়াবন্দা খেলা আর মিছেমিছে বনভোজন খেলেছি অনেক। ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ছে। কত সুন্দর ছিল আমাদের শৈশব।

গল্পে অনেক ভালোলাগা রইল।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: হুম, শৈশব মানেই আনন্দের স্মৃতি ।



ভালো থাকবেন স্বর্ণলতা :)

২৪| ০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুরুতে আলোই আর মন্নার দস্যিপনা, ঢিসুম ঢাসুমটা মজা লেগেছে। সুন্দর জীবনবোধের গল্প।

শুভকামনা রইলো

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: একটা রোমান্টিক ঢিসুম ঢাসুম গল্প লিখতে মুঞ্চায় 8-| :D



ধন্যবাদ অপর্ণা । ভালো থাকবেন ।

২৫| ০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ... রাস্তার পাশে উল্টো দিকে নিচু জমিতে সবুজ দূর্বাঘাস আর ... আলোই তার বাড়ির পথ ধরে ।

২। হাওড় পাড়ের মানুষের কাছে জইল্যা ডাকাত ছিল ... সুই ফোঁটানোর কালচে দাগ তার ঘৃণাকে আরও বাড়িয়ে দেয় ।

৩। আলোই ঠিকই দারুণ খবর হয়ে ফিরে এলো ...নাকি কারো কারো বিয়ের পরই যৌবনের ঢল নামে!

-আমার মনে হয়েছে এই তিনটি প্যারায় বর্ণনা বাহুল্য গল্পের গতিকে মন্থর করে দিয়েছে। পুরো গল্পের টানটান ভাবটা ব্যহত হয়েছে ডিটেইলিং-এর জন্যে। আরো খানিকটা কাটছাঁট করা যেতে পারতো। আর আমার এ কথার মানে এই নয় যে, গল্প পচা হইছে।

আপনার অন্যান্য গল্পের গতি, সৌকর্য, লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তুলনা করলে এ গল্প অনেকটাই ত্রুটিপূর্ণ মনে হওয়া উচিত।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় জুলিয়ান ভাই ।

আজকে সকালে মাহমুদের সাথে এটা নিয়ে কথা বলছিলাম । আমার মনে হচ্ছিল গল্পটা কিছু বাহুল্য বর্ণনায় ভারী হয়ে গিয়েছে । আপনি সুনির্দিষ্ট ভাবে সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেয়ায় খুবই ভালো হলো । গল্পটা এডিট করার আগ পর্যন্ত অস্বস্তিতে থাকব ।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নাই । দিকনির্দেশনাগুলো সব সময় আশা করি । ভালো থাকবেন জুলিয়ান ভাই ।

শুভকামনা সতত ।

২৬| ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মামুন ভাই হারমোনিয়ামটা কি কোন কিছুর সিম্বল???

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: হারমোনিয়াম কে জীবনের সুর বা বাবা-মেয়ের ভালোবাসার মেটাফোর হিসাবে দেখা যায় । কিন্তু আসল কথা হলো, গল্পের বেশির ভাগ ঘটনা সত্য । বিশেষ করে মাকালকান্দি গ্রামে বর্বর গণহত্যা এবং পরে লুটতরাজ । আর আমার গ্রামের একজন মানুষ সেখান থেকে লুট করে একটা হারমোনিয়াম এনেছিল, যা সে রাতের বেলা গাঁজার আসর বসিয়ে বাজাত ।

ধন্যবাদ মুদ্‌দাকির :)

২৭| ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আলোর চরিত্র চিত্রন, তার বাবার সাথে সম্পর্কের রসায়ন সবকিছু চমৎকারভাবে করার পর শক্তিশালী পাঞ্চ শেষে। বাবা-মেয়ের ভালোবাসা জাত পাত কর্ম কিছু মানে না। টাচি একটা গল্প।

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের মুল সুর খুব চমৎকার ভাবে অনুদিত হয়েছে আপনার মন্তব্যে । গল্পের সবচেয়ে মজার অংশ অর্থাৎ পাঞ্চ আপনাকে টাচ করায় লেখার সার্থকতা খুজে পেলাম ।


ভালো থাকা হোক হামা ভাই । শুভ সকাল ।

:) :)

২৮| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

সুমন কর বলেছেন: অসাধারণ লাগল। গল্প যত সামনে যাচ্ছিল, তত ভাল লাগছিল। বাবা-মেয়ের ভালবাসা দারুণভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন।
শেষটা হৃদয়কে নাড়া দিল।
ভাল থাকবেন।

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন । শেষটাই গল্পের প্রাণ । গল্প ভালো লাগায় আমিও উৎসাহিত বোধ করছি ।


শুভ কামনা :)

২৯| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

বৃতি বলেছেন: গল্পের প্রথম দিকে চমৎকার ডিটেইলিং, একটি নিখাদ গ্রামীণ প্রেক্ষাপট। গল্পের শেষটুকু তুলনামূলকভাবে কাহিনীনির্ভর। সব মিলিয়ে সুন্দর গল্প। অনেক ভালো লাগা জানবেন :)

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি । সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা ।


:)

৩০| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগে,

সুন্দর............ অনেক পরে খেয়াল করলাম।

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: হাল ছেড়োনা বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোড়ে.. হুম, স্বপ্ন দেখে যেতে চাই আজীবন ।


ধন্যবাদ রাতুল :)

৩১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: সবার কাছে এটাকে কাল্পনিক গল্প মনে হলেও আমার কাছে এ যেন চিরচেনা 'মাকালকান্দি'। এই গ্রামের পাশ দিয়ে কত গিয়েছি পট-পট শব্দকরা ট্রলারের বুকে ছেপে।এই মাকালকান্দির করুন গল্প কত শুনেছি মা-কাকীর মুখে মুখে !! হায়রে ৭১ !!
আবার সেই হাওড়, আবার সেই আপনি ; আবার আমার অকৃত্রিম ভাললাগা !!

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: আমি আপনার অপেক্ষাতেই ছিলাম । আমি জানতাম, মাকালকান্দির গণহত্যার খবর আপনি জানেন । আমার পরিবারের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সেই নির্মম হত্যালীলার চাক্ষুষ বর্ণনা শুনেছি । নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমি একবার মাকালকান্দি গিয়েছিলাম ।


অনেক ধন্যবাদ পার্থ । ভালো থাকবেন ।

৩২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০৩

উদাস কিশোর বলেছেন: প্রিয় মামুন ভাই !
অসাধারণ . . . .

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কিশোর । কেমন আছেন?

৩৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০৪

উদাস কিশোর বলেছেন: প্লাস

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: :) :)

৩৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৭

পংবাড়ী বলেছেন: সময় মনে হয় ভালো নয়, সামান্য ফল্প পড়েও চোখে পানি এলো

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: রণাঙ্গনে লড়ে যাওয়া আপনার মত একজন মুক্তিযোদ্ধার চোখে যখন জল আসে, তখন মনে হয় গল্পে কিছুটা বাস্তবতা আনতে পেরেছি । আমার জন্ম মুক্তিযুদ্ধের পরের বছর । আর্মির গণহত্যার পর যেসব মুক্তিযোদ্ধা মাকালকান্দি গ্রামে উদ্ধার তৎপরতায় গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে আমার পরিবারের সদস্যও ছিলেন । ছোটবেলা তাদের কাছে এই গণহত্যার চাক্ষুষ বর্ণনা শুনে আমিও কেঁদেছি ।

অনেক ধন্যবাদ ।

৩৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারণ একটি গল্প পড়লাম।



গল্পে প্লাস। ++

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় দেশ প্রেমিক বাঙালী :)

৩৬| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২০

ফা হিম বলেছেন:
অফলাইনে পড়েছিলাম। লগ ইন করতে পারি নাই বলে দেরীতে এসে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

গল্পের মাঝখানে কিছু অংশ বেশ খোলা-মেলা লিখেছেন। এতটুকু লিখতে হলে সৎ সাহস লাগে।

০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: খোলামেলা অংশগুলো রাখব কিনা ভাবতেছি ।


ধন্যবাদ ফাহিম । ভালো থাকবেন :)

৩৭| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১০

ফা হিম বলেছেন: রেখে দিন ভাই, ওভাবেই ভালো লাগছে। :)

০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: :) :)

৩৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: খুব ডিটেইলস লিখছেন এবং লেখাটা টাচ করছে!

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান । আপনাকে টাচ করাতে পেরে ভালো লাগছে ।


ভালো থাকবেন :)

৩৯| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৪০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এই মাঝরাতে ব্লগে এসে ঝিমুতে ঝিমুতে পোস্ট পড়ার কষ্টটা স্বার্থক হলো ভাইয়া। খুব স্পর্শ করেছে গল্পটা।

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: আমার লেখা গল্প আপনাকে স্পর্শ করতে পেরেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো । ভালো থাকবেন প্রিয় মহামহোপাধ্যায় ।

:) :)

৪০| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০০

জুন বলেছেন: অপুর্ব । সত্যি অনেক ভালোলাগলো মন ছুয়ে যাওয়া গল্পটি মামুন রশিদ ।
+

১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জুনাপ্পী । ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় খুব একটা যোগাযোগ রাখতে পারছিনা । শীঘ্রই ফ্রি হতে পারব আশা রাখছি । গল্প ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা ।


:) :)

৪১| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
দারুন আর প্রানবন্ত গল্প।



দারুন একটা সময়কে ধরার চেষ্ট্রা করেহেন এবং সফলও হয়েছেন।


প্লাস :)

১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ একজন ঘূণপোকা ।


ভালো থাকবেন । শুভকামনা ।

:) :)

৪২| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি মামুন ভাই, দেরীতে গল্প পাঠের জন্যে। সময় সুযোগ মিলছিল না, আজ বেশ আয়েস করে বসে আপনার নতুন গল্পটি পড়লাম।

প্রথমেই ভাল লেগেছে মুক্তিযুদ্ধের থিমের ওপর গল্প দাঁড়া করানো ব্যাপারটি। আমার জেনারেশানের কেউ ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স থেকে গল্প লিখতে পারবে না এই বিষয়ে। গল্পে কি আপনার নিজস্ব স্মৃতিচারণের কিছু অংশ ছিল?

গল্পটি নিঃসন্দেহে বহুমাত্রিক, পড়ার শেষে মনে হল যে এর ওপর খাটাখাটনি করলে উপন্যাস দাঁড়িয়ে যেত একখানা।

“জইল্যা ডাকাত লুটের খবর পেয়ে একটা ছোট নৌকা নিয়ে মাকালকান্দি পৌছায় । কিন্তু তার পৌছতে দেরি হয়ে যায় । ততক্ষণে লুটেরা বাহিনী ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে । চারপাশে পড়ে থাকা আহত মানুষের গোঁঙানি আর বেঁচে থাকাদের আর্তনাদে জইল্যা ডাকাতের মন আর্দ্র হয়ে উঠে । হাতে থাকা বৈঠা দিয়ে বাকি লুটেরাদের সে পেটাতে শুরু করে । একটা ঘর থেকে ছোট বাচ্চার আর্তনাদ ভেসে আসছিল । সেখানে মেঝেতে রাখা হারমোনিয়ামের উপর মুখ থুবরে পড়ে আছে এক মহিলার লাশ । দুইতিন বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে তার মৃত মা'কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করছে । মেয়েটাকে দেখে জইল্যার খুব মায়া হয় । বাচ্চাটাকে কোলে নেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু সে তার মৃত মা'কে কিছুতেই ছাড়বে না । এই সময় দুর থেকে গুলির শব্দ ভেসে আসে । কিছু লুটেরা চিৎকার করে উঠে, 'মুক্তি আইতাছে, তাড়াতাড়ি ভাগো.." । জইল্যা কোনরকম বাচ্চাটাকে কোলে করে নিয়ে আসে । নৌকার কাছে গিয়ে আবার কি মনে করে যেন ঘরে ফিরে আসে । মৃতদেহটা সরিয়ে এক হাতে হারমোনিয়াম আর এক হাতে বাচ্চাকে নিয়ে নৌকায় উঠে”

- এই প্যারাটি গল্পের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্যরা। এটা আরও ২-৩টি প্যারায় ভাগ করে লিখলে ভাল হত। গল্পের খাতিরেই এখানটা আর একটু বিশ্লেষণ দাবী করে। জলিল ডাকাতের ইমোশনের ব্যাপারটা আরও খুঁটিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন তবে।

“এই বয়সে মেয়েদের শরীরে যৌবনের বান আসে । এই বয়সে তারা বিনাকারনে হাসতে হাসতে ঢলে পড়ে, আবার পরক্ষণেই বিষণ্নতায় চুপসে যায় । এই বয়সের মেয়েদের দিকে কোন না কোন পুরুষের লোভী চোখ খেলা করে বেড়ায় । এই বয়সের মেয়েদের জীবনে গোপন ভালোলাগা-ভালোবাসা আসে, অন্যরকম আহবানে তাদের শরীর-মন পর্যদুস্ত হয় । কিন্তু এই বয়সে এসেও আলোই যেন দশ বছরের নিষ্পাপ কিশোরী” – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে বুদ্ধদেব বসু পরামর্শ দিয়েছিলেন কবিতায় একই ক্রিয়াপদ দিয়ে পরপর দুটি বাক্য শেষ না করতে। কথাটি আমার মনে ধরেছিল। এই প্যারায় “এই” শব্দটির পুনরাবৃত্তি কাব্যিকতাকে কিছুটা ক্ষুণ্ণ করেছে বলেছে মনে হল মামুন ভাই। এ অবশ্য একান্তই আমার মতামত। আপনাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেই বললাম। একমত না হলে অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন। :)

আর হ্যাঁ, বিষয়বস্তুর মধ্যে মাটির ছোঁয়া পেয়ে বিশেষ ভাবে ভাল লাগলো।
মাটি থেকে দূরে যারা থাকে, মাটি তাদেরি সবচেয়ে বেশী করে টানে, এই কারনেই হয়ত বা।

ভাল থাকবেন।

১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ধৈর্য নিয়ে গল্পটি পড়েছেন এবং নির্মোহ বিশ্লেষণে খুটিনাটি অনেক কিছু তুলে এনেছেন, এর জন্য শুকনো ধন্যবাদ নিতান্তই অল্প হয়ে যায় । আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় আবির ।

যদিও আমার জন্ম মুক্তিযুদ্ধের পরের বছর, মাকালকান্দি গ্রামে গণহত্যা পরবর্তী উদ্ধারকার্যে আমার পরিবারের দুজন মুক্তিযোদ্ধা সদস্য সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছিলেন । সেই ভয়ানক স্মৃতি তারা দীর্ঘদিন বয়ে বেরিয়েছেন, সেই গল্পগুলো ছোটবেলা মনে খুব দাগ কেটেছিল । আমাদের পাড়ায় একজনের বাড়িতে সেই গণহত্যার সময়ে লুট করে আনা একটা হারমোনিয়াম ছিল, সেই লোক রাতে গাঁজার আসর বসিয়ে গানবাজনা করত । তাই ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স না থাকলেও আমার চার/পাঁচ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ ছিল মানুষের কাছে সদ্য স্মৃতি । মুক্তিযুদ্ধের প্র‌্যাকটিকেল গল্প ছোটবেলায় আমাদের উদ্দীপ্ত করতো । নায়ক, খলনায়ক আর ভিক্টিমরাও ছিল চোখের সামনে সতেজ ।

ভাল ব্যাপার ইন্ডিকেট করেছেন, জইল্যা ডাকাতের ইমোশনের অংশটা আরেকটু ডিটেইল করার সুযোগ আছে । সেই সাথে গল্পে আরো কিছু পরিবর্তন আনবো । উত্তমপুরুষে বর্ণনার স্টাইল থেকে বেরিয়ে আসবো, আমি এবং আমরা যথারীতি বাদ দেব । কিছু মুক্ত শারীরিক বর্ণনা এসেছে, সেটাও পরিবর্তনের কথা চিন্তা করছি ।

শুধু ক্রিয়াপদ না, যে কোন শব্দের পুনরাবৃত্তি নিজের কাছেই বিরক্তি ধরায় । আর এই বিষয়ে বুদ্ধদেব বসুর পরামর্শ মন:পুত হয়েছে । হাজার হোক, আমার প্রিয় বই 'তপস্বী ও তরঙ্গিনী'র লেখক তিনি ।

এসএসসি পর্যন্ত 'না গ্রাম না শহর' এ থেকেছি । পাশেই ছিল হাওর আর হাওরের মাঝে ছোট ছোট গ্রাম । আমাদের বেড়ানো মানেই নৌকা দিয়ে সেই সব গ্রামে বেড়াতে যাওয়া । সেই বয়সে যে দৃশ্য-অভিজ্ঞতা মনের উপরে ছাপ ফেলেছে, সেগুলো কি করে যেন লেখায় চলে আসে ।

অনেক অনেক ভাল থাকবেন প্রিয় আবির । শুভকামনা নিরন্তর ।

:) :)

৪৩| ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

জেরিফ বলেছেন: গল্পের মাঝে ডুব সাতার খেললাম ।

অনেক দিন পর একটা অন্য রকম একটা গল্প পড়লাম ।একটু বেশী ভালো লেগেছে কেন জানিনা ।

১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ জেরিফ । ভালো থাকবেন ।


:) :)

৪৪| ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

দারুণ গল্প মামুন ভাই । একটানে পড়ে ফেললাম।

১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শোভন :)

৪৫| ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর গল্প, মন ছুঁয়ে যায়।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী :)

৪৬| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

আরজু পনি বলেছেন:

অসাধারণ !
মনে হচ্ছিল সাদাকালো সিনেমার মুগ্ধ দর্শক আমি ।

একেবারে অন্যরকম উপস্থাপনা ।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠ আর সুন্দর প্রতিক্রিয়ায় ধন্যবাদ পনি আপু ।


ভালো থাকা হোক । শুভকামনা :)

৪৭| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩১

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
জীবনের গল্পকথন পড়ে ভাল লাগল ৷




শুভেচ্ছা....

১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে আর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ।


ভালো থাকা হোক । শুভ সকাল ।

:) :)

৪৮| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: আবেগময় চমৎকার গল্প বুনেছেন।

শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।

১৩ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার :)

৪৯| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪২

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প মামুন ভাই। মুগ্ধ হলাম।

১৩ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ নাভিদ । ভালো থাকবেন :)

৫০| ১৩ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: গল্পটা পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল আলোইকে আমি শাকের ঝুড়ি নিয়ে গ্রাম্য পথে হেঁটে যেতে দেখতে পাচ্ছি---

ভাললাগল। :)

১৩ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সন্ধ্যা প্রদীপ ।

৫১| ১৩ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

খাটাস বলেছেন: সুক্ষ বর্ণনার বুননে অসাধারণ ভাবে মুগ্ধ পাঠক হলাম। :) ভাল লাগার চেয়ে বেশি জানবেন মামুন ভাই। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জড়িয়ে গিয়ে পড়লাম।

১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা । ভালো থাকা হোক ।


৫২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

দীপান্বিতা বলেছেন: সুন্দর ...

১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দীপান্বিতা :)

৫৩| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সন্দর সাবলীল বর্ণনা। পড়তে পড়তে কখন যে শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারি নাই ----- এক কথায় অসাধারণ

১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু । ভালো থাকবেন ।

৫৪| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

এহসান সাবির বলেছেন: ভাই কি খবর? কেমন আছেন?

১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: বিশ্বকাপ ফুটবলের খবর ছাড়া জীবনের আর সব খবর পানসে ।


আপনি কেমন আছেন এহসান সাবির? ভালো থাকুন সব সময় ।

৫৫| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

এহসান সাবির বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

এই তো যাচ্ছে ভাই।

আষাঢ়ের শুভেচ্ছা।

১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: গুড! আপনাকেও শুভেচ্ছা সাবির :)




৫৬| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমৎকার হইছে মামুন ভাই। গল্পের বর্ননা মনমুগ্ধ কর!
এই ধরনের লেখায় নতুন কিছু বলার নেই। ভালো লাগা জানবেন।

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু কা_ভা । ভালো থাকবেন :)

৫৭| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো মামুন ভাই।

১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি ।

৫৮| ২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৪২

পিয়ালী দও বলেছেন: খুব ভাল লাগল

২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ পিয়ালী । ভালো থাকবেন ।

৫৯| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

রোদেলা বলেছেন: বাপ-মেয়ের যুগল কান্নার ঢেউ আমাদেরও ভিজিয়ে দিয়েছিল সেদিন । বড্ড নস্টালজিক করে দিলো।

২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রোদেলা । শুভ বিকাল ।

৬০| ২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৬

ইমিনা বলেছেন: এই রকম গল্প ই তো চাই :) :) :)

২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ইমিনা । শুভ সকাল :)

৬১| ২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার মামুন ভাই। +++।

২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শরৎ । বৃষ্টি ভেজা সকালের স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা ।


:) :)

৬২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পটা পড়ে কিছুক্ষণ থ মেরেছিলাম, এমন জীবন ঘনিষ্ট গল্প, এত জীবন্ত গল্প এত আবেগের গল্প অনেক দিন পড়িনা।

পড়া শুরু করেছিলাম এর মধ্যে ফাইলান খেলা শুরু হয়ে গেছে, কিন্তু উঠতে পারছি না এতোই চুম্বক ন্যায় আকর্ষণ ছিল এই গল্পে। গ্রেট লেখকের গ্রেট একটা লেখা। কমেন্ট করাও শেষ এখন খেলা দেখতে যাচ্ছি।

ভালো থাকুন প্রিয় লেখক আমাদের এমন গল্প আরও উপহার দিতে থাকুন। শুভেচ্ছা।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

মামুন রশিদ বলেছেন: নিরন্তর অনুপ্রেরণা পাই আপনার গভীর পাঠ আর চমৎকার মন্তব্যে । ভালো থাকবেন প্রিয় শান্তির দেবদূত ভাই ।

৬৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: মামুন ভাই আপনি দেখি বিগ ফ্যামাস এখানে। প্রতি লেখায় ১০০ এর উপরে মন্তব্য। লিখেন ও বেশ চমৎকার। তবে শেষ লিখেছেন দেখি সাত জুলাই। লিখায় কমেন্টস করতে এসে দেখলাম। তাই আপনার পিছনের লেখায় গেলাম। অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম এই পোস্ট এ। সবসময় এইভাবে লিখুন এবং ভাল থাকুন কেমন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আরজু মুন জারিন ।


মন্তব্য সংখ্যা কিংবা ফেমাস, শব্দগুলো অর্থহীন, প্রবঞ্চক । সারা মাসে ভুলভাল দুই একটা লেখা দিতেই জেরবার । তবু পাঠক আসেন, এ যে সীমাহীন আনন্দ! কৃতজ্ঞতা অনিঃশেষ! প্রতীক্ষায় থাকি পাঠকের । যদি তারা কিছু ধরিয়ে দেন, কিছু শোধরিয়ে দেন- তাহলেই কিছু শিখতে পারি । আমি মূর্খ, এই প্লাটফর্মে এসেই দু'চার কলম লিখতে শিখেছি, এবং শিখছি অবিরাম, নিরন্তর ।

৬৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,




স্নেহ , মায়া , মমতা কোনও জাত - পাত মানেনা । সে সর্বত্রগামী ।

আম গাছটির ভেজা মরা বাকলে শ্যাঁওলা জমার মতো পুরো গল্পের গায়ে আপত্য স্নেহ -ভালোবাসার যে মরমী শ্যাঁওলা জমিয়েছেন, তা অনবদ্য ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই, মন্তব্য পড়ে যথারীতি মুগ্ধ । নিরন্তর অনুপ্রেরণা পাই, আরো লিখতে ইচ্ছে করে ।


শুভকামনা সতত ।

৬৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার লাগলো। আগেই কিছু অংশ পড়েছিলাম এখন বাকীটুকু পড়লাম । চমকপ্রদ সব শব্দের ব্যবহার ঘটনাগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠেছে। ++++

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম । শুভকামনা নিরন্তর ।

৬৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২২

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো ভাই। বেশ অন্যধারার গল্প। :)
শুভকামনা :)

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ।


ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।

৬৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: দারুন লাগলো পড়তে!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৬৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন গল্পটা ++++

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা । ভালো থাকবেন ।

৬৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৪

নীল লোহীত বলেছেন: গল্পের শেষে এসে রীতিমত মাথাত বাড়ি! বড়ই আফসোস, এত দিন কেন এই গল্প চোখে পড়ে নাই।

মামুন ভাই, শুরু থেকে মাঝখান অব্ধি মনে হচ্ছিল না গল্প পড়ছিলাম, রুপালী পর্দায় বসে সিনেমা দেখছিলাম। সব কিছু এতটাই স্পষ্ট ছিল যে আধুনিক থ্রি ডির মত জীবন্ত লেগেছে।

শেষে এসে আমার মত মনে হয় সব পাঠকদের একটা দীর্ঘশ্বাস তুলিয়ে বিদায় করেছেন।

অসাধারণ আপনার লেখার হাত।

শুভকামনা রেখে গেলাম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য ও মনযোগী পাঠে ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.