নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগে ।

মামুন রশিদ

আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভালো লাগ...

মামুন রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানালার ওপাশে..

২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩১





জানো, রোজ খুব সকালে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় !



সকাল বেলা জানালা দিয়ে ঝিরঝির করে হিম বাতাস আসে । আর আসে ঝিকমিক করা মিষ্টি রোদ, ঠিক আমার মায়ের মত । আমার মা ও খুব মিষ্টি । চারতলা ফ্ল্যাটে আমাদের জানালার পাশে দুটো সুপারি গাছ । একটার মাথা জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ধরা যায় । আরেকটা গাছ একটু বড় । জোড়ে বাতাস বইলে ছোট গাছটা এমনভাবে দোলে যেন এখনি ভেঙ্গে পড়বে । গাছের লম্বা চিকন পাতা এসে জানালার উপর আছড়ে পড়ে । আমি হাত বাড়িয়ে সবুজ পাতাকে ছুঁয়ে দিই ।



একটা বুলবুলি পাখি সকালে এসে গাছের ডগায় বসে । ধুসর কালচে রঙের শরীর, পেছনে লাল পুচ্ছ । পাখিটা খুব সুন্দর দেখতে । আমার সাথে ওর খুব ভাব । বুলবুলি পাখিটা মাঝে মাঝে কোথায় যেন চলে যায় । তারপর হঠাৎ একদিন আবার ফিরে আসে । আমাদের জানালার কার্নিশে চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছে । তিনটা চড়ুই সব সময় উড়ে বেড়ায় ব্যস্ত ভঙ্গিতে । আমার সাথে ভাব করার সময় তাদের নেই । রোদ বাড়ার সাথে সাথে কয়েকটা পাতিকাক এসে গাছে বসে । আগে ওদের দেখলে বিরক্তি লাগতো । এখন ওদের সাথে অনেক দুষ্টুমি করি । ওরা কা-কা করে ডেকে উঠলে আমিও তাদের মত করে কা-কা করি । ভেংচানো দেখে ওরা প্রথমে হতবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে । পরে সমস্বরে কা-কা করতে করতে দুরে কোথাও উড়ে যায় ।



জানো, আমাদের বাসার সবাই এখন জ্বরে আক্রান্ত । না না, এটা শরীরের কোন অসুখ না । এটা হলো ফুটবল জ্বর । বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা সবাই উত্তেজিত । আমার মা ব্রাজিলের কড়া সাপোর্টার, সাথে ছোট ভাইও । বাবা আর আমার ছোট বোন আর্জেন্টিনার । আমার ভাই-বোন মিলে পুরো বাসার দেয়ালে প্রিয় খেলোয়ারদের স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছে । তারা ছাদে পতাকা উড়াতে চেয়েছিল, কিন্তু বাবা রাজি হয় নি । বাবা-মা'র মাঝে খেলা নিয়ে প্রায়ই তর্ক লেগে যায়, রাগারাগি ঝগড়াও হয় । আমি জানি এটা সত্যিকারের ঝগড়া নয়, মিছেমিছি । গতবারের বিশ্বকাপ থেকে আমি এই দুই দলের কাউকে সাপোর্ট দিই না । আমি স্পেনের খেলা পছন্দ করি । আবার নেইমার-মেসি'র খেলা দেখতেও খুব ভাল লাগে ।



জানো, স্পেন প্রথম খেলায় হেরে যাবার পর আমার খুব কান্না পাচ্ছিল । বাবা আমার পিঠে হাত দিয়ে বলেছে, "মন খারাপ করিস কেন? আরো তো অনেক ভালো দল আছে, ওদের সাপোর্ট দে!" আমার না, স্পেন যে দলের সাথে হারলো সেই নেদারল্যান্ডকে এখন বেশি ভালো লাগে । ছোট ভাই-বোন এটা নিয়ে খেপাবে, তাই এটা এখনো কাউকে বলিনি । অবশ্য আমি জাপানকেও পছন্দ করি । ওরা আমাদের এশিয়ার দেশতো, তাই !



তবে টিভিতে খেলা দেখার চেয়ে মাঠে খেলা দেখতে আমার বেশি ভালো লাগে । বাসার পাশে আমার জানালা বরাবর একটা খালি বড় প্লট আছে । আশেপাশের ছিন্নমুল গরীব বাচ্চারা এখানে খেলাধুলা করে । যখন যে খেলার হিড়িক পড়ে, বাচ্চাগুলো সেই খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে । এখন যেমন দুইবেলা ফুটবল খেলে, আবার ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলা থাকলে ওরা ক্রিকেট খেলা শুরু করে দেয় । ছোট ছোট বাঁশের কঞ্চি মাটিতে পূঁতে কখনো কাঠের টুকরো, আবার কখনো পানির খালি বোতলকে ব্যাট বানিয়ে ওরা ক্রিকেট খেলে । কখনো মার্বেল খেলা নিয়ে নিজেদের মাঝে মারামারি করে । আবার কখনো ঘুড়ি উড়ানোর সময় নিজেদের মাঝে কাটাকাটি খেলে ।



ওরা সংখ্যায় সাত আটজন । বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে ওরা রোজ সকালে মাঠে এসে হাজির হয় । তাদের বয়স আট থেকে বারো বছর । আমার থেকে বয়সে ছোট, আমার বয়স এখন পনেরো । ওদের মাঝে কয়েকজনের নামও আমি জানি । সালেহ, মুসা, ফুরুক, তাজুল, হাবিব আরো কি যেন । তাদের ফুটবল কাপড়ের পোটলা দিয়ে বানানো । দুপাশে ইটের টুকরো দিয়ে ছোট ছোট গোলপোস্ট বানায় । খেলায় কোন গোলকিপার থাকে না । দুই দলে ভাগ হয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতা করে ফুটবল খেলে । বৃষ্টি হলে মাঠে পানি জমে যায় । সেই জমাট পানির উপর বল নিয়ে তারা হুটোপুটি করে ।



মাঝে মাঝে রনি নামের একটা ছেলে তাদের সাথে খেলতে আসে । রনি একটু অবস্থাপন্ন, সে খেলায় তার নিজের ফুটবল নিয়ে আসে । খেলার তুমুল উত্তেজনাকর মূহুর্তে সে রাগ করে বসে । কোন ফ্রি কিক তার বদলে অন্য কেউ নিলে খেলা গুটিয়ে বল নিয়ে সে চলে যায় । অন্যরা তখন বুঝিয়ে শুনিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনে । যেদিন রনির মান ভাঙ্গানো যায়না, সেদিন সেই পুটলা বল দিয়েই আবার খেলা শুরু হয় । খেলার মাঝে প্রায়ই তারা মেসি-মেসি, ব্রাজিল-ব্রাজিল বলে চিৎকার করে । মজার ব্যাপার হলো যে ছেলেটা মেসির ভক্ত, সেই কিছুক্ষণ পর ব্রাজিল হয়ে যায় । তাদের বাসায় টিভি নাই তো, মানুষের মুখে শুনে শুনেই তারা এই সব ফুটবল তারকাদের বিশাল ভক্ত হয়ে গেছে ।



বিকেলে রোদ পড়ে এলে পাড়ার স্কুল পড়ুয়া ছেলেরা এখানে খেলতে আসে । তাদের পায়ে থাকে ক্যাডস-বুট-মোজা, শরীরে নানান দলের রঙ বেরঙের জার্সি । একেকজন সাক্ষাৎ মেসি-নেইমার-রোনালদো যেন ! ছিন্নমুল গরীব ছেলেগুলো দর্শক হয়ে তাদের খেলা দেখে । কখনো বল দেয়ালের বাইরে চলে গেলে তারা পরম উৎসাহে সেই বল কুড়িয়ে আনে । তিনরঙা চকচকে বলটাকে একবার ছুঁয়ে দেখার জন্য তাদের আকুতি আমি আমার জানালা থেকে বুঝতে পারি ।



এই ছেলেগুলোর খেলা দেখতে আমার ভালো লাগে না । তাদের খেলায় কোন উত্তেজনা নেই । ম্যাচ না খেলে তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিক প্র‌্যাকটিস করতেই বেশি পছন্দ করে । উত্তেজনাময় জীবন্ত ফুটবল দেখার জন্য তাই আমি পরবর্তী সকালের অপেক্ষায় থাকি । জল কাদায় মাখামাখি করা ছেলেদের সাথে মিশে গিয়ে আমিও যেন খেলায় নেমে পড়ি । কোন পক্ষে গোল হলে তাদের সাথে সাথে আমিও গোওওল বলে চিৎকার করে উঠি । কেউ ভালো পজিশনে থাকলে তাকে পাস দেয়ার জন্য আমি আর্তনাদ করতে থাকি । ওরা যখন পানি কাদায় বলের দখল নিতে লুটোপুটি খায়, আমার কপাল ভিজে যায় ঘামে ।



জানো, ওদের খেলা দেখে দেখে আমি যেন কোথায় হারিয়ে যাই । মনে হয় যেন স্কুল মাঠে আমার দলের সাথে প্র‌্যাকটিস করছি । আমি স্কুল দলে ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখি । আমার বাড়িয়ে দেয়া পাসে গোল করে আমার দল জিতে যাওয়ায় আমি পুলকিত বোধ করি । নিচের মাঠে গোওওল চিৎকার শুনে আমি স্বপ্নের রাজ্য থেকে আবার মাটিতে নেমে আসি ।



প্রতিবার স্কুল দলে ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখার পর আমার চোখ ভিজে আসে । কারণ আমি জানি, আমি কখনোই ফুটবল খেলতে পারবো না । ছোটবেলা পোলিও আক্রান্ত হয়ে এখন আমি শারিরীক ভাবে অক্ষম । সারাদিন হুইল চেয়ারে বসে জানালার ওপাশে তাকিয়ে আমি জীবন দেখি ।





________________________________________________________________________



কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার মাহমুদ ০০৭ । উনার চাপাচাপিতে গল্পটা লেখা হয়েছে ।

মন্তব্য ১৪১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

মাহবু১৫৪ বলেছেন: ১ম ভাল লাগা

+++++

কেমন আছেন মামুন ভাই?

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো আছি মাহবুব । ব্লগে ফিরে আসার শুভেচ্ছা ।

২| ২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

আমি স্বর্নলতা বলেছেন: প্রতিবার স্কুল দলে ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখার পর আমার চোখ ভিজে আসে । কারণ আমি জানি, আমি কখনোই ফুটবল খেলতে পারবো না । ছোটবেলা পোলিও আক্রান্ত হয়ে এখন আমি শারিরীক ভাবে অক্ষম । সারাদিন হুইল চেয়ারে বসে জানালার ওপাশে তাকিয়ে আমি জীবন দেখি


মন খারাপের গল্প। শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেল। গল্পে ভালোলাগা জানবেন।

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বর্ণলতা । ভালো থাকবেন । শুভ দুপুর ।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুর্দান্ত পাস, ড্রিবলিং, হেড, লং শটে গল্পটা দারুন পড়ে যাচ্ছি...

গোলবারে এসে একেবার হোচট খেয়ে পড়ে গেলুম....

দারুন টুইষ্ট একেবারে শেষবেলায়। :)

+++++++++++++

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার ফুটবলীয় মন্তব্য পেয়ে মুগ্ধ :)


ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।

৪| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মন ছুয়ে যাওয়া গল্পে একরাশ ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম :) :) :)

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি । ভালো থাকবেন ।

৫| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

রোদেলা বলেছেন: গল্পের শেষ টায় এসে চোখ ভিজে এলো।

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রোদেলা । শুভ দুপুর ।

৬| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথমেই খেয়াল রাখছিলাম গল্পটা ফুটবলকেন্দ্রিক কিনা :P

হাহাহ ! দেখে অনেক খুশি হইলাম মামুন ভাই ।
আমরা এখন সবাই ফুটবল জ্বরে ভুগছি । আমি চাইছিলাম এই সময়ে সঙ্কলনে কিছু ফুটবলকেন্দ্রিক গল্প থাকুক । বিশেষ করে
আপনার কাছে একটু ভিন্নরকম প্রত্যাশা ত ছিলই ।
গল্পটার জন্য তাই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ।
( কৃতজ্ঞতায় নিজের নাম দেখে শরম :!> লাগছে । )

গল্পটায় আপনার ছাঁচ পাওয়া গেছে । আমি জানতাম আপনি লিখলে
একটু অন্যরকম কিছু আসবে । অনেক ভাল লাগছে ।

গল্প্বের শেষটায় বিষণ্ণতা ঘিরে ধরল । কেউ কেউ জানালার ওপাশে.
জীবন দেখতে বাধ্য হয় । এটাই নিয়তি । গল্পটা এখানেই ব্যঞ্জনা পেল ।
সব মিলিয়ে ভাল লাগা


ভাল থাকুন প্রিয় মামুন ভাই ।
শুভকামনা একরাশ ।

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: এই ভাবে চাপাচাপি করলে না লিখে উপায় আছে :P


আর্জেন্টিনা-ইরানের খেলা দেখতে দেখতে এটা লিখেছি । রাতে জ্বর আসায় অফিস কামাই দিয়ে সকালে টাইপ করেছি । আজকে না দিলে এই মাসে আর কোন সুযোগ ছিলনা ।

ভালো থাকবেন মাহমুদ । শুভ কামনা নিরন্তর । :)

৭| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: মাহমুদ ভাইয়ের নাম ভাঙিয়ে কিন্তু মনে মনে ফুটবল ঠিকই খেলে নিলেন।

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবন ।

৮| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল।

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ।

৯| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: স্পেনের খেলায় দুঃখ পাইছি

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: :(

১০| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

অনিক্স বলেছেন: কি যে অসাধারণ লিখেছেন মামুন ভাই! :)
ঘুম থেকে উঠেই মন খারাপ হওয়া অদ্ভুত ভালো লাগায় ছেয়ে গেলাম।

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু । ভালো থাকা হোক । শুভকামনা নিরন্তর :)

১১| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: চমৎকার লাগল।+++

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় :)

১২| ২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

আমি দিহান বলেছেন: জানালার ওপাশ থেকে আমার বন্ধুরা আমাকে ডাকে। এই, এই আসবি না তুই? তখন আমি চরম নিসঙ্গতায় ভুগি।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার এই কথাগুলোও গল্পের জন্য দারুণ পাঞ্চ লাইন ।


ভালো থাকবেন দিহান । শুভ কামনা ।

১৩| ২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

ডি মুন বলেছেন: চারপাশটাকে বেশ সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন সমকালীন ফুটবল উন্মাদনাকে উপজীব্য করে।

বেশ ভালো লাগলো মামুন ভাই।

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, ফুটবলটা শুধুই উপজীব্য । এর জায়গায় যেকোন খেলা আসতে পারত । জানালার ওপাশে যারা যেতে পারেনা, তাদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ক্ষীণ চেষ্টা মাত্র ।


ভালো থাকবেন ডি মুন । শুভ কামনা ।

১৪| ২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ফুটবলের সিজনে ফুটবলের গল্পই ভালো। আমেজটা থাকে আরকি|!!! :) :) :)

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: হুম, চালিয়ে দিলাম আর কি!


ভালো থেকো শুঁটকি :)

১৫| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

সুমন কর বলেছেন: শুরুর বর্ণনাটা দারুণ হয়েছে। পুরো গল্পটা গুছিয়ে লেখা। সময়ের দাবি বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে গল্প লেখাটা মানিয়েছে। কারণ এখন চারিপাশে ফুটবলেই উত্তেজনা। শেষটা অনুমান করা যাচ্ছিল।

২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য আর গল্প বিশ্লেষণে ভালো লাগা ।


ভালো থাকবেন সুমন । শুভকামনা নিরন্তর ।

১৬| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

মনছুয়ে যাওয়া দারুন লেখা।

২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একজন ঘূণপোকা । ভালো থাকবেন ।

১৭| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভাল লাগা দিয়ে গেলাম। ++

২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । শুভ রাত্রি :)

১৮| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প মামুন ভাই। গল্পের শেষটা মন খারাপ করা। ফুটবলিয় কমেন্ট করতে হলে বলতে হয়-
৯০ এর বিশ্বকাপ ফাইনালের মত গল্পটা এগিয়েছে। সারাটা পথ ভালো খেলে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টিতে জার্মানির কাছে আর্জেন্টিনার পরাজয়। তেমনি পোলিওর থাবায় স্বপ্নগুলো পরাজিত হয়ে হুইল চেয়ারে আশ্রয়।

২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: মনে আছে, মনে আছে ! তখন আমি হল্যান্ডের পাঁড় সমর্থক । সেই যে ৮৮'র ইউরোপ জয়ী খুলিত-রাইকার্ড-বাস্তেন আমার মন কেড়ে নিয়েছিল ।

ভালো থাকবেন ভাইজান । শুভ কামনা ।

১৯| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্প খুবই ভালো লেগেছে। আপনার গল্পের বর্ননা এবং ঘটনা প্রবাহ দুইটাই দারুন লেগেছে মামুন ভাই।

২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু, থ্যান্কু কা_ভা :)

২০| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: পুরা মাঠ পাসিং আর ড্রিবলিং করে শেষে এসে পুরাই বাইসাইকেল কিক ! কি কোমল শব্দের একটা গল্প ! :)

২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: ফুটবলের গল্প ফুটবলের মতোই আনএক্সপেক্টেড হওয়া উচিত :D


ভালো থাকবেন আদনান । শুভ কামনা ।

২১| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৩

দুঃখ বিলাস বলেছেন: চমৎকার গল্প ।

২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দুঃখ বিলাস । শুভ সকাল ।

২২| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেয়াই একবারে সেইরাম গল্প
ভাললাগা +++++++++++++++++

২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু, থ্যান্কু বেয়াই :D

২৩| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৪১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: বাহ !

২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২৪| ২৩ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৩৯

যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার! ভারী চমৎকার গল্প।
শেষ লাইনটা পড়ে মনটা খ্রাপ হয়ে গেল।

২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:২৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ যুবায়ের ভাই । শুভ সকাল ।

২৫| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: গতকাল রাতে ঘুমিয়ে জেতে জেতে পড়লাম, সুন্দর পরিচ্ছন্ন গল্প ++++++++ কিন্তু গল্পটার পরিনতি প্রেডিক্টেবল ছিল, কয়েক লাইন পড়েই বুঝতে পারলাম কি হবে শেষে , কিন্তু আপনার লেখার ক্ষমতা অসাধারন , আমি হলে গল্পটা ১০ লাইনে শেষ হয়ে যেত, আর নয়ত হত চরম বোরিং !!!

দারুণ +++++++++++

২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।


শুভ দুপুর ।

২৬| ২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মামুন ভাই লম্বা কমেন্ট করেছিলাম।অজানা ঝামেলায় সেটি ভ্যানিশ হয়ে গেল।

এখন শুধু এটুকু কমেন্ট করবো ভাল লাগলো।

২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: দুর্ভাগ্য !

ভালো লাগায় ধন্যবাদ সেলিম । ভালো থাকবেন ।

২৭| ২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ছোট ছোট পাস দিয়ে গল্প আগালেন , শেষে এসে দুর্দান্ত একটা বাইসাইকেল কিক!

২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় অভি । ফুটবলের গল্পে ফুটবলীয় কমেন্ট !!

২৮| ২৩ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

লিরিকস বলেছেন: +

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।

২৯| ২৩ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। এই বিপুল উৎসব আয়োজনের মধ্যেও লতিয়ে ওঠা বিষাদকে আমরা যেন একটু অবলম্বন দেই। শুভকামনা।

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা ।


ভালো থাকবেন । শুভকামনা সতত ।

৩০| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩১

এহসান সাবির বলেছেন: আহা হা!! কি হলো এটা শেষে এসে!!!!

আমি তো এই রকম আশা করিনি শেষটা।

মন খারাপ হয়ে গেল।

সুন্দর গল্প।

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির । ভালো থাকবেন ।


শুভ সকাল ।

৩১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

তাহসিন মামা বলেছেন: সুন্দর, পোস্ট এ +++++ । আপনি ব্রাজিল নাকি আর্জেন্টিনা সেটা কিন্তু বোঝা গেল না ( আমাদের ধারণা এই দুটো দল ছাড়া ওয়ার্ল্ড কাপে আর কোন দল নেই) :)

২৪ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিন মামা ।


হাহাহা, আমি আর্জেন্টিনা-হল্যান্ড :)

৩২| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শেষে তো সব মাটি করে দিলেন :(
কিন্তু সুন্দর মেসেজ দিয়েছেন গল্পে।


কয়েকটি জায়গায় এসে বেশ মজা পেলাম :

//স্পেন যে দলের সাথে হারলো সেই নেদারল্যান্ডকে এখন বেশি ভালো লাগে । ছোট ভাই-বোন এটা নিয়ে খেপাবে, তাই এটা এখনো কাউকে বলিনি । অবশ্য আমি জাপানকেও পছন্দ করি ।// আমার মতো। তবে জাপানের পরিবর্তে ‌'দ. কোরিয়া' যুক্ত করতে হবে শুধু ;)

//রনি একটু অবস্থাপন্ন, সে খেলায় তার নিজের ফুটবল নিয়ে আসে । খেলার তুমুল উত্তেজনাকর মূহুর্তে সে রাগ করে বসে। কোন ফ্রি কিক তার বদলে অন্য কেউ নিলে খেলা গুটিয়ে বল নিয়ে সে চলে যায়।// =p~ =p~


শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন দু'ভাগে বিভক্ত: গল্পকার মামুন রশিদ এবং মাহমুদ০০৭ :)

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, আমাদের তালুই বাড়ি, মানে আপনার শ্বশুর বাড়ী সাউথ কোরিয়ার কথা না বলায় গল্পে মাইনাচ ;) B-)

সুন্দর কমেন্টে মজা পেয়েছি । ভালো থাকবেন প্রিয় মইনুল ভাই ।

শুভ কামনা ।

৩৩| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিষণ্ণতা এনে দিলেন শেষ দিকে। জানালার পাশে বসা ছেলেটার চোখ দিয়ে সব দেখে আসলাম। এবার বাচ্চাদের ফুটবল নিয়ে আনন্দের একটা গল্প লিখেন। আমার ছেলে বলে - " তোমরা বড়রা কিসব লিখো, তোমাদের লেখা বুঝি না । ভালো গল্প লিখতে পারো না , ছোটদের জন্য লিখতে পারো না ? "

ভালো গল্প লিখেন, ছোটদের জন্য লিখেন, বুঝলেন ? B-)

ভালো থাকবেন মামুন ভাই ।

২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: বুঝলাম, বুঝলাম :)

আমিও ভাবি ছোটদের জন্য লেখার কথা । তেমন কিছু এখনো গুছিয়ে আনতে পারিনি । চেষ্টা করব লিখতে । আপনি শুরু করে দেন ।

ভালো থাকবেন অপর্ণা । শুভ সকাল ।

৩৪| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:

সময়ের গল্প ৷ যদিও শেষটা বেশ ইঙ্গিতময় ছিল তবে কিশোরের চোখ দিয়ে দেখা দৃর্শ্য বর্ণনায় আপনার স্বকীয়তা বেশ ফুঁটে উঠেছে দক্ষতায় ৷

পিছনের আদায়কারী ও লেখকের জন্য শুভকামনা রইল ৷

২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন ।


ভালো থাকা হোক । শুভ সকাল ।

৩৫| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

পার্থ তালুকদার বলেছেন: খুব ভালো লাগলো মামুন ভাই। প্রথমে ছোট বেলার একটু স্বাদ পেয়েছি পরে আবার বিষাদ ।
আমার মনে হয় আমাদের এই রোগটার প্রতি একটু সচেতন ও আক্রান্ত রোগীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো উচিত।
ভালো থাকবেন।

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ পার্থ ।


ভালো থাকবেন । শুভ দুপুর ।

৩৬| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সহজ, সরল এবং ভালো।

শুভেচ্ছা।

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার ।

৩৭| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: যার চাপাচাপিতেই লিখেন ভাল হয়েছে ।
আবার পড়লাম :)

২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ ।

৩৮| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ছোট ছোট পাস শেষে দুর্দান্ত কিক! মেসির কথা মনে পড়ে গেল :P

গল্প ভালো লেগেছে মামুন ভাই :)
বাবা মা সচেতন হোক
আমাদের দেশ পোলিও মুক্ত হোক
সব বাচ্চারা মনের জানালায় নয়
মাঠে গিয়ে খেলুক।

২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । বছর পাঁচেক আগেই বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয়েছে । এটা সম্ভব হয়ে সরকার-সাধারণ মানুষ সবার সচেতনতার জন্য । পোলিও আক্রান্ত যারা বেঁচে আছে, তারা ফিজিক্যালি আনএ্যাবল । আর যে কোন শিশু এটাতে আক্রান্ত না হয় ।

ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।

৩৯| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,



সুন্দর করে লেখা প্রথমটুকু পড়ে তৃতীয় প‌্যারাতে গিয়ে দেখি কবরস্থান রচনায় গরুর রচনা ঢুকিয়ে দিয়েছেন । পড়তে পড়তে নীচে নামছি, রাগ বাড়ছে । বাড়ুক ... দেখি আপনি কোথায় নিয়ে যেতে চান । মনে মনে কড়া একখানা মন্তব্য ঠিক করেও ফেলেছিলুম ।

হোলনা ।
জানালার বাইরের পাশ থেকে ভেতরের কথক ছেলেটিকে দেখে চুপ মেরে যেতে হোল । স্তব্ধতা নেমে এলো রাগ রাগ মনের জানালা গলে মনের ভেতর ঘরে ।
কতো জানালার পাশে বসে এভাবে কতো যে পলিও শিশুরা মনের জানালা খুঁজে ফেরে , ক'জন তার হিসেব রাখে !!!

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই@


সত্যি জানিনা এই কমপ্লিমেন্ট পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে কিনা । তবে আনন্দ পাওয়ার পুরো অধিকার আমার আছে । আমি আনন্দিত, আমি তৃপ্ত- একই সাথে অনুপ্রানিত । জানালার বাইরে থেকে আমরা বুঝতেও পারিনা ভেতরে শারীরিক অক্ষম মানুষদের মনে বোধ আর অনুভবের রঙ কত উজ্বল হতে পারে । এই লেখা, এই গল্প কিছুই নয়, আমি তাদের নির্মোহ চোখের ভাষা কিছুই আঁকতে পারিনি । তাদের স্বপ্ন তাদের কল্পনার রঙ আমার লেখার চেয়ে নিঃসন্দেহে অনেক গভীর ।

কৃতজ্ঞতা অনিঃশেষ । শুভকামনা নিরন্তর ।

৪০| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

জাফরিন বলেছেন: প্রতিটি দৃশ্যের এত ডিটেইল বর্ণনা দেখে ভাবছিলাম হয়ত কোনো গৃহবন্দী মানুষের গল্প হবে। আসলে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষগুলোর এত সময় থাকেনা সব কিছু সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করার। কোনো কারণে বা দূর্ঘটনায় সুস্থতা হারানো মানুষগুলোই চারপাশটা বুভুক্ষের মত দেখে আর মনে রাখে।
মন খারাপ করা চমৎকার লেখাটা পড়ে ভাল লাগল ভাইয়া।

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: কোনো কারণে বা দূর্ঘটনায় সুস্থতা হারানো মানুষগুলোই চারপাশটা বুভুক্ষের মত দেখে আর মনে রাখে।

লাইফ টাচিং পয়েন্ট আপু । জীবন ঘনিষ্টতা না থাকলে এরকম পর্যবেক্ষণ সম্ভব নয় । সত্যি সেই শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষগুলোর বোধ আর অনুভবের গভীরতা অনেক বেশি ।

মন্তব্যে মুগ্ধতা । শুভকামনা নিরন্তর ।

৪১| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

জুন বলেছেন: আমার জীবনেও দু একজন পোলিও আক্রান্ত শিশু দেখেছিলাম। কি যে অসহ্য অসহনীয় জীবন তাদের সেই সাথে তাদের বাবা মা এর ও মামুন।
জানালাটুকুই তাদের একমাত্র সম্বল ।
অসাধারন মন ছুয়ে যাওয়া গল্প।
+

২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: আমিও দেখেছি আপু, ওদের বেঁচে থাকার তিব্র ইচ্ছাটা দেখেছি । মনে গেঁথে ছিল অনেকদিন, তাই গল্পে নিয়ে এসেছি ।


সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু । শুভ কামনা ।

৪২| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সারাদিন হুইল চেয়ারে বসে জানালার ওপাশে তাকিয়ে আমি জীবন দেখি।
এখানে এসে মন বিষাদে ভরে গেলো।

বর্ণনায় সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে বাল্যকালে পাড়ার ছেলেদের ফুটবল খেলা নিয়ে মেতে থাকার বিষয়টি। জাম্বুরা, কাপড় বা খড়ের পুটলি, ইত্যাদি দিয়ে বানানো ফুটবল যেমন থাকে, তেমনি অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলেদের নিজস্ব ফুটবলও থাকে, যাদেরকে সবসময় তোষামুদি দ্বারা হাত করে রাখতে হয়।

আরও একটা স্ট্রাইকিং ব্যাপার আছে এ গল্পে। বিকেলের ছেলেগুলো, যারা রংবেরঙের জার্সি, বুট পরে এসে খেলায় প্র্যাকটিস করে। তখন বৃষ্টিতে ভেজা, দরিদ্র ছেলেগুলো বল কুড়ানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। একটা করুণ কন্ট্রাস্ট।

গল্পটা খুব ছোটো, কিন্তু এতে ফুটবল নিয়ে সাপোর্ট করার যাবতীয় খুনসুটিও ভালোভাবে উঠে এসেছে।

ভালো থাকুন মামুন ভাই।

২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার সুন্দর বিশ্লেষণ পড়ে খুব ভালো লাগলো । আসলে লেখকরাতো চরিত্রের ভেতর দিয়ে নিজের দেখা, অভিজ্ঞতা আর চিন্তা ঢুকিয়ে দেয় । আমিও এর ব্যতিক্রম নই । আমি চেষ্টা করি লেখার মধ্যে নিজের দেখা আর জানার ভিতরে থাকতে ।

ভালো থাকবেন প্রিয় সোনাবীজ ভাই । শুভ কামনা ।

৪৩| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: দুঃখিত প্রিয় গল্পকার, পোস্টটা ব্যস্ততায় ব্লগে ছিলামনা বলে চোখে পড়লো এতো দেরীতে...! :(
চমৎকার বর্ণনায় এবং সুন্দর উপস্থাপনায় মুগ্ধপাঠ্য ...
আবারো ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম মন থেকেই...
শুভকামনা নিরন্তর ...

২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নাসিফ । সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা ।


ভালো থাকবেন । শুভ কামনা :)

৪৪| ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২২

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আপনার ব্লগে বেড়াতে আসলে ইচ্ছা করে সবগুলো পোস্টই সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে রাখি আমার ব্লগ লাইব্রেরীর শোকেসে ...
যতবারই আসি আপনার ব্লগে সেম ফিলিংস টা হয় ...
একটা সহজ উপায় বের করেছি যদি আপনার আপত্তি না থাকে...
আপনার ব্লগ লিংক টা আমার ব্লগে যোগ করে দিতে চাই..
কি বলেন??

২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

মামুন রশিদ বলেছেন: আপত্তি করবো কেন, অশেষ কৃতজ্ঞতা ।

৪৫| ২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

ডট কম ০০৯ বলেছেন: ঘটন বড়ই করুণ।

আসলেই যার যা অপ্রাপ্তি অন্যেরা তার কষ্ট অনুধাবন করতে পারে না।

২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব মুল্যবান কথা বলেছেন আরমান ভাই ।


গল্প পাঠে কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন ।

৪৬| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

ফা হিম বলেছেন: শুধু জাপান বাদে বাকি সবটা আমার ক্ষেত্রে মিলে গেছে চমৎকার!!

ছিন্নমূল এই শিশুদের যদি ভালো করে ট্রেনিং দেয়া যেত, তাহলে মনে হয় আমরা চমৎকার একটা ফুটবল দল পেতাম, ওদের জন্যও একটা সুন্দর ভবিষ্যতের সুযোগ হত। রোনালদোর মত বড় বড় স্টাররা অনেকেই এইখান থেকে উঠে এসেছে।

গল্পের শেষটা বড় নাড়া দিল।

২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফাহিম । ভালো থাকবেন ।


শুভকামনা ।

৪৭| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

রাগিব নিযাম বলেছেন: এ তো জার্মান ফুটবলের মতো নিখাদ সাহিত্য। ভালো লেগেছে ভাই। ++

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

প্রিয় একজন ব্লগার জানালেন, আপনি খুব চমৎকার একটা গল্প সিরিজ লিখছেন । আসি আসি করে এখনো পড়া হয়নি, আসব শীঘ্রই ।

ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।

৪৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগলো...

০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দীপা :)

৪৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অসাধারণ একটা গল্প প্রিয় মামুন। শেষটায় এসে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম পুরোপুরি।

দ্বাদশ প্লাস।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যে মুগ্ধতা । অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় প্রোফেসর ।


শুভকামনা নিরন্তর :)

৫০| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: সকাল বেলা জানালা দিয়ে ঝিরঝির করে হিম বাতাস আসে । আর আসে ঝিকমিক করা মিষ্টি রোদ, ঠিক আমার মায়ের মত । আমার মা ও খুব মিষ্টি । চারতলা ফ্ল্যাটে আমাদের জানালার পাশে দুটো সুপারি গাছ । ++++++++্

চমত্কার লাগল লেখাটি। হুইল চেয়ার এ কে থাকে ? কিছু মনে করবেন না যেন প্রশ্নটির জন্য। ভাল থাকবেন আপনি। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ আরজু মুন জারিন । পুরো গল্পটি যার বর্ণনায় আমরা শুনি, পোলিও আক্রান্ত শারীরিক অক্ষম পনেরো বছরের সেই ছেলেটি হুইল চেয়ারে বসে জানালা দিয়ে তার পৃথিবী দেখে ।

৫১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই আপনার জানালার পাশে চলে আসলাম।

জানালার গল্পটা আগে পড়ে নিই।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু থ্যান্কু প্রিয় রাতুল । ভালো থাকবেন ।

৫২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ভালো লাগলো ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ পার্সিয়াস রিবর্ণ । আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম :)

৫৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: নিজে নিজে একটা নতুন ডিজাইন তৈরি করা আর অন্যের চাহিদা পূরণে অনেক প্রভেদ। এই গল্প তার প্রমাণ। যেখানে মামুন রশিদ গরহাজির।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৪

মামুন রশিদ বলেছেন: আমি জানতাম, আপনার চোখ এড়াবে না । তবু লিখেছি, হরেক রকম অভিজ্ঞতা নেয়া আর কি!


গল্প পাঠে এবং নির্মোহ আলোচনায় কৃতজ্ঞতা প্রিয় জুলিয়ান ভাই । ভালো থাকা হোক নিরন্তর ।

৫৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক দেরিতে পড়লাম।হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই ছোটবেলায়,যখন বৃষ্টি হলেই সব বন্ধুরা মিলে নেমে পড়তাম পিছ্ছিল ঘাসে। কখনো বা গোড়ালী সমান পানি। খেলার চেয়ে পানিতে হুটোপুটিই হতো বেশী। কিন্তু শেষদিকে এসে মনটা বিষাদে ভরে গেল। সমাপ্তিটা কি আরেকটু সুন্দর করা যেত না। কী-বোর্ড যখন আপনার বাধ্য।।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার নস্টালজিয়ায় মুগ্ধ হলাম । লেখক কলমের খোঁচায় সব কিছু আনন্দময় করে দিতে পারেন, কিন্তু তাতে কি জীবনের নির্মমতা কমে যাবে!

সুন্দর আবেগি মন্তব্যে ভালোলাগা ।

৫৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

আরজু মুন জারিন বলেছেন: গল্পটি মনে দাগ কেটে দিল। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ আরজু মুন জারিন ।


শুভকামনা ।

৫৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

আমার আমিত্ব বলেছেন: আপনার ভক্ত আমি বরাবরই।

আপনার লেখাগুলো আমাকে ছুঁয়ে যায়।
সবসময়।

শুভেচ্ছা।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: সম্মানিত বোধ করছি । শুভকামনা নিরন্তর ।

৫৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এই কিশোরটি বানানো চরিত্র হলেও আমাদের আশেপাশে এরকম অনেকেই আছেন। বাস্তব গল্পে ভালো লাগা অনেক অনেক।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা । ভালো থাকবেন ।

৫৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো গল্প, মামুন ভাই।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় দূর্জয় :)

৫৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:১৬

পিয়ালী দও বলেছেন: ভাল লাগল

১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬০| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন; কিশোর চরিত্রটি অনেক ভালো লেগেছে ++

১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন :)

৬১| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় লেখক, কি আর বলব! গল্পটা এমন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি বাচ্চাগুলোর ফুটবল খেলা, এতোই জীবন্ত বর্ণনা! তবে আমার বারবার মনে হচ্ছিল শেষে এসে দেখব গল্পের বর্ননাকারী কোন কারনে খেলতে অক্ষম! কি জানি, টুইস্ট দেখতে দেখতে আর পড়তে পড়তে অমঙ্গল চিন্তা প্রথমে চলে আসে। শেষে এসে চাচ্ছিলাম একটা সুখসমাপ্তি! কিন্তু সেই সৌভাগ্য আমাদের মত নাদান পাঠকের কোথায়? বিষাদের মনটা ছেয়ে গেল, মামুন ভাই!

শুভকামনা রইল আপনার জন্য অনেক অনেক।

১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয় শান্তির দেবদূত ভাই, কেমন আছেন?


অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে সত্যিই খুব ভাল লাগছে । আপনার লেখালেখি মিস করি । আশাকরি সকল ব্যস্ততা কাটিয়ে শীঘ্রই ব্লগে গল্প লিখবেন ।

নিরন্তর শুভকামনা ।

৬২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: একটা বুলবুলি পাখি সকালে এসে গাছের ডগায় বসে । ধুসর কালচে রঙের শরীর, পেছনে লাল পুচ্ছ । পাখিটা খুব সুন্দর দেখতে । আমার সাথে ওর খুব ভাব । বুলবুলি পাখিটা মাঝে মাঝে কোথায় যেন চলে যায় । তারপর হঠাৎ একদিন আবার ফিরে আসে । আমাদের জানালার কার্নিশে চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছে । তিনটা চড়ুই সব সময় উড়ে বেড়ায় ব্যস্ত ভঙ্গিতে । আমার সাথে ভাব করার সময় তাদের নেই । রোদ বাড়ার সাথে সাথে কয়েকটা পাতিকাক এসে গাছে বসে । আগে ওদের দেখলে বিরক্তি লাগতো । এখন ওদের সাথে অনেক দুষ্টুমি করি । ওরা কা-কা করে ডেকে উঠলে আমিও তাদের মত করে কা-কা করি । ভেংচানো দেখে ওরা প্রথমে হতবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে । পরে সমস্বরে কা-কা করতে করতে দুরে কোথাও উড়ে যায় ++++++++++++ চমত্কার একটি লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ শুভেচ্ছা রইল একসাথে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরজু মুন জারিন । ভালো থাকবেন ।

৬৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২২

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সামহোয়্যারইন মাসসেরা সংকলনে যাচ্ছে ...
অভিনন্দন অগ্রীম প্রিয় মামুন ভাই ...

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নাফিস :)

৬৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রিয় মামুন ভাই, একমাসেরও বেশী আগে গল্পটি পোস্ট করেছিলেন। ফেসবুকে শেয়ারও করেছিলেন। নানা ঝুটঝামেলায় ব্লগে আসতে পারিনি,কিন্তু মাথায় বারবারই ঘুরছিল, ব্লগে এসেই আপনার গল্পটা আগে পড়ব। তারপরেও কিছুটা দেরি হয়ে গেল।

আপনার লেখার যে দিকটা আমার সব সময়ই ভালো লাগে, তা হল অসম্ভব মমতায় আপনি তৈরি করেন একেকটি চরিত্র। বিগত বিশ্বকাপের দুর্দান্ত উত্তেজনাকর মুহূর্তেও আপনি এতটা মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে পুরো ঘটনাটা ব্যাখ্যা করবেন , তা অনেকেই ধরতে পারেন নি। পারি নি আমিও। তাই বলতে হয় , মাষ্টার স্ট্রোক টা শেষ প্যারাতেই ছিল , যেখানে দেখা গেল যে দর্শক একজন পোলিও আক্রান্ত।

মানব জীবন এতটা মমত্তের সাথে পর্যবেক্ষণের গুণ সঞ্চারিত হোক সবার মাঝে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আবির । আপনাকে মিস করেছি এই এক মাস ।

আপনার মন্তব্য, আপনার বিশ্লেষণ, আপনার গল্প ভাবনা- সব সময় আনন্দদায়ক । কোন লেখার মুলে এবং গভীরে প্রবেশ করতে আপনার দক্ষতা সহজাত ।

ভালো থাকবেন, আনন্দে থাকবেন । শুভ কামনা ।

৬৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। তার চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বর্ণনাগুলো।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মহামহোপাধ্যায় :)

৬৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

নীল কথন বলেছেন: আপনার প্রথম গল্প পড়া।
শেষেই বিষাদ ভর করছে।
-নস্টালজিয়া-
স্কুল জীবনে প্রতি শুক্রবারে আমাদের পাড়ার সাথে অন্য পাড়ার সাথে খেলা (ক্রিকেট) থাকত। এক পাড়ার একটা ছেলে ছিল এক পায়ে কাঠের ক্র্যাচের উপর ভর করে খেলত। তার ডান পায়ের শক্তি পোলিও রোগ গিলে খেয়েছে। কিন্তু তার চমৎকার ব্যাটিং আজও চোখের আয়নায় ভাসে।
--
ছোট্ট টাইপো, শারিরীক>শারীরিক

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । আমার ব্লগে স্বাগতম । আপনার স্কুল জীবনের ঘটনাটা মর্মস্পর্শী । আমার লেখা গল্পটাও বাস্তব থেকেই নেয়া ।


টাইপো ধরিয়ে দেয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ ।

৬৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

আমি বন্য বলেছেন: মামুন ভাই অনেক দিন পর ব্লগে এসে আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

আমার ফিরে যেতে ইচ্ছা করে ২০১১,২০১২ সালের দিকে যখন সামুর অবস্থা অনেক রমরমা ছিল। প্রচুর ভাল লেখা আসতো প্রতিনিয়ত। কিন্তু এখন আপনার মত কয়েকজন ভালো লেখক ছাড়া আর তেমন কাউরে খুজে পাই না। সবাই চলে গেছে অন্য কোন ব্লগে কিংবা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।

তবে সব সময় মনে আসে সামু যদি আগের মত হত। সারাদিন পরে থাকতাম এখানে। ভালো থাকবেন ভাই ।।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । সামু নিয়ে আপনার অনুভূতির সাথে সহমত পোষণ করি । সামুর জমজমাট সময়টা আমিও মিস করি । সময়ের সাথে পরিবর্তিত পরিস্থিতি মেনে নেয়া ছাড়া আর কি করার আছে । এখন আমরা যারা আছি, আমাদেরই চেষ্টা করতে হবে ব্লগ যতোটা সম্ভব জমিয়ে রাখা যায় ।

ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।

৬৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: চমৎকার গল্প!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ ।

৬৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯

দুরন্ত পলাশ বলেছেন: মামুন ভাই গল্পটা পড়ে খুব ভাল লাগল ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ পলাশ ।

৭০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

সোজা কথা বলেছেন: চমৎকার হয়েছে মামুন ভাই। প্রথমদিকে একেবারেই ধরতে পারিনি যে গল্পটা এমন হবে!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সোজা কথা ।

৭১| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৮

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: জনাব মামুন ভাই কবে ফিরবে আমাদের মাঝে?
উত্তর দিন প্লিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.