![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহরের বনেদি পাড়ায় ছিমছাম সুন্দর এই বাড়ির রিডিং রুম সূর্যাস্তের পরই মুখরিত হয়ে উঠে আড্ডায় । সন্ধ্যা প্রার্থনার পর থেকে রাতের প্রার্থনার পূর্ব পর্যন্ত শহরের সব গল্প যেন এই ঘরে এসে ভীর করে । প্রাত্যহিক সকল কর্ম, চাহিদা, দায়িত্ব, ব্যস্ততা, অভাব, অনুযোগ, ব্যর্থতা সবকিছু ঢাকা পড়ে যায় পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই চারজন মানুষের প্রাণখোলা উচ্ছাসে । তাস ফেটা, বিলি-বন্টন আর সোৎসাহে ট্রিক-টার্ম এর সাথে চলতে থাকে অদ্ভুত সব গল্প খেলা ।
প্রতিপক্ষের একজন তাসের টেক্কা চার্জ করতেই গৃহকর্তা নিজাম চৌধুরীর ফুকা সাহেব বেরিয়ে আসে । তার ক্ষেত্রে ইদানিং ব্যাপারটা ঘন ঘন ঘটছে । সাহেবের ট্রিক কিংবা ফুকা সাহেবকে টেক্কা এসে ঘাড় মটকে দিচ্ছে । 'এটা খুবই ট্র্যাজিক, মর্মান্তিক এবং অমানবিক'- শওকত আজিজ ফোড়ন কাটেন । আরিফ বক্ত এক কাঠি এগিয়ে ঘোষনা দেন, 'নিজাম চৌধুরীর জীবনে সবচেয়ে করুণ ট্র্যাজেডি হলো তাসের সাহেব বাঁচাতে না পারা' । নিজাম চৌধুরী ম্লান হেসে বলেন, 'আমার জীবনটা যে এখন পুরো ট্র্যাজেডির উপর দাঁড়িয়ে, সেই খবর রাখেন!' প্রায় আৎকে উঠার স্বরে শামীম আহমদ প্রতিবাদ করেন, রাবেয়া ভাবীর মত গিন্নী যার ঘরে তার মুখে ট্র্যাজেডির গল্প! এটা কি একটা কমেডি হয়ে গেল না!'
'হ্যাঁ, গিন্নীই আমার ট্র্যাজেডির কারণ । একটু কষ্ট করে শুনুন, তাহলে বুঝবেন কতোটা যন্ত্রণার মাঝে আছি' ।
সবাই নড়েচড়ে বসলেন । শামীম আহমদ তাস শাফল করে বেটে দিচ্ছেন । নাজিম চৌধুরী চেয়ারে কিছুটা হেলান দিয়ে শুরু করেন তার ট্র্যাজেডির গল্প ।
'আমার জীবনটা কেটেছে কাজের মাঝে, শুধু কাজ আর কাজ । কলেজের শিক্ষকতার পাশাপাশি বইয়ের দোকান দিয়েছি । অবসরে পত্রিকা ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখেছি । স্ত্রী-সন্তান অর্থের জন্য কষ্ট পাক, এটা কখনো চাইনি । ছেলে মেয়ে দুটো যখন বড় হতে থাকে, তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কাজের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছি । মেয়েটার ভালো একটা জব হলো, বিয়ে হলো । ছেলেটা স্কলারশিপ নিয়ে প্রবাসে গেল । এবার ঘোষনা দিলাম, অনেক করেছি আর কিছু করতে পারবো না । কলেজে এক দুইটা ক্লাস নিয়ে বাকি সময়টা ঘরে শুয়ে বসে আরাম করছিলাম । অখন্ড অবসরে ডুবে গিয়ে অতীতের সকল ক্লান্তি মুছে দিচ্ছিলাম । কিন্তু কিসের কি! কয়েকদিন যেতে না যেতেই রাবেয়া লেগে গেল আমার পেছনে । সারাদিন শুয়ে বসে থাকলে নাকি শরীর খারাপ করবে! যাও একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসো, বাজার থেকে তাজা মাছ আর সবজী নিয়ে আসো । এই বিল, ঐ পেমেন্ট! আমার অবসর ক্রমেই অশান্তিতে রুপ নিয়েছে । এই দেখেন, আজকে দুপুরে ফরমান এলো মাস কালাইয়ের ডাল আনার । তো, ভরদুপুরের রোদ মাথায় নিয়ে এ বাজার ও বাজার ঘুরে কোথাও কালাই পাইনা । আরে পাবো কিভাবে, সিলেটের মানুষ মাসকালাই চেনেও না, খায়ও না- এটা আমার বিক্রমপুরী গিন্নী বুঝবে কিভাবে! অনেক খুঁজে অনেক ঘুরে শেষে চালিবন্দর গিয়ে নিয়ে আসলাম । কালাই দেখে বউ বলে আমি নাকি বেছে বেছে পোকায় খাওয়া ডাল এনেছি । এখন বলেন, এর চেয়ে ট্র্যাজিক আর কি হতে পারে!'
শওকত আজিজ উত্তেজিত ভঙ্গিতে টেবিলে তাস ছুঁড়ে বললেন, ' এটাই আপনার ট্র্যাজিক স্টোরি?' শামীম আহমদ গলাটা একটু চড়িয়ে বললেন, 'আগেই বলেছিলাম কিনা একটা কমেডি শুনতে যাচ্ছি!' আরিফ বক্ত হাসিমুখে তাস শাফল করতে করতে বললেন, 'আপনি পোকায় খাওয়া মাসকালাই কিনে আনবেন, আর ভাবী সেটা বললে আপনার জন্য তা ট্র্যাজেডি হয়ে যাবে! তাসের সাহেব ধরা খাওয়া যে আপনার জীবনের সেরা ট্র্যাজেডি, এটা মেনে নেন ।'
গলা খাকারি দিয়ে শওকত আজিজ ভারী কন্ঠে বললেন, 'দেখুন, ট্র্যাজেডি ব্যাপারটাকে এত খেলো হিসেবে দেখা ঠিক না । ট্র্যাজেডি হলো জীবনের পরাজয়, আদর্শের পরাজয় । আপনার দৃঢ় বিশ্বাসটা একদিন ভেঙ্গেচুরে গুরো হয়ে গেল, সেটাই ট্র্যাজেডি! তাহলে আমার জীবনের ট্র্যাজেডি শুনুন..
শওকত আজিজের ট্র্যাজিক গল্প-
'আশির দশকের মাঝামাঝি ঠিকাদারি ব্যবসায় নামি । তখন এরশাদ পিরিয়ড, ঘুষ-দূর্নীতি প্রাতিষ্টানিকতা পাওয়া শুরু করেছে । যে কাজ প্রাক্বলিত মুল্যের দশ ভাগ নিচে নেমে করলে লস হওয়ার কথা, সেই কাজ লোকজন তিরিশ চল্লিশ ভাগ আন্ডাররেটে নিয়ে যেত । তারপর অর্ধেক ডায়ার রড আর সিমেন্টের জায়গায় বালি দিয়ে কাজটা করে দিত । কাজের মান যত খারাপ, ইঞ্জিনিয়ার সাহেবদের তত পোয়াবারো । যত বেশি দূর্নীতি, তত বেশি পার্সেন্টেজ! একবার চীফ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব আমার একটা প্রজেক্ট পরিদর্শনে এসে সবকিছু খুটিয়ে দেখে বললেন, ঠিকাদারি করে বউপোলাপানদের খাওয়াব কিভাবে? আমি বললাম, বউপোলাপান না খেয়ে মরে গেলে দুঃখ নেই, কিন্তু স্পেসিফিকেশনের বাইরে গিয়ে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না । স্বাভাবিক ভাবেই আমি কোন কাজ পাইনা । মসজিদ, স্টাফ কোয়ার্টার বা মন্ত্রীর বাড়ির সামনে খালের উপর ব্রিজ- মানে যেসব কাজে মানুষ দূর্নীতি করতে চায়না বা পারেনা, শুধু সেই কাজগুলোই আমার হাতে এসে পড়ত ।
তারপর এলো নব্বোই, দূর্নীতিগ্রস্ত অবৈধ সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশ ফুঁসে উঠেছে । নতুন দিনের স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আমিও যোগ দিলাম সেই আন্দোলনে । সামরিক সরকারের পতন হলো, গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু হলো । কিন্তু মানুষের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো । গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনীতিকেরা সব টেন্ডার ভাগজোক করে নিয়ে নেয় । নেতাদের কেন্দ্র করে ঠিকাদারেরা পেশিবহুল বৃত্ত গড়ে তুলে । ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সকল নেতাই ঠিকাদার কিন্তু সকল ঠিকাদার নেতা নন । চরম হতাশ হয়ে ঠিকাদারি ছেড়ে দিয়ে রড সিমেন্টের দোকান দিলাম ।
আজ আমার ছেলে এক রাজনৈতিক দলের ছাত্রনেতা । কত করে বোঝালাম, ফেরাতে পারিনি । দুদিন পরে সে ও অন্যদের মত টেন্ডারবাজি করবে । আর লোকে বলবে, দেখো শওকত ঠিকাদারের ছেলে টেন্ডারবাজ! এখন আপনারাই বলেন, জীবনে এর চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর কি হতে পারে!'
তাস খেলার আসরে একটা সাময়িক নিরবতা নেমে আসে । শামীম আহমদ মৌনতা ভেঙ্গে বললেন, 'আপনার ছেলে রাজনীতি করে, কিন্তু কখনো খারাপ কাজ করেছে বলে শুনিনি ।'
'করতে কতক্ষণ, সে না করলেও তার গ্রুপ করবে, তার দল করবে- কথাতো একটাই নাকি!' শওকত আজিজের গলায় ঝাঁঝ ঝরে পড়ে ।
নাজিম চৌধুরী টেবিলে ছড়ানো তাসগুলোকে হাতে নিয়ে বলেন, ' আমি ব্যাপারটাকে অন্যভাবে দেখছি, এটা বরং খানিকটা আশাবাদিতার গল্প!'
আরিফ বক্ত মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বলেন, ' রাজনীতিবিদরা সবাই খারাপ না । আর দেশ শাসনের মত কাজ অযোগ্য লোকদের হাতে ছেড়ে দেয়াও ভালো কাজ নয় । ভালো মানুষদের বেশি বেশি রাজনীতিতে আসা উচিত । আপনার ছেলের মত ভালো ছেলেরাই একদিন রাজনীতিতে সুস্ততা ফিরিয়ে আনবে । আর আমার কাছে ট্র্যাজেডির মানে হলো প্রত্যাশিত কিছু পেতে পেতে হারিয়ে ফেলা । আজকে যেহেতু ট্র্যাজেডির গল্প উঠেছে, তাহলে আমার গল্পটা শুনুন । একটা আদর্শ ট্র্যাজিক গল্প!
আরিফ বক্তের ট্র্যাজিক গল্পঃ
পাশ করে মাল্টিন্যাশনালে ঢুকেছি । প্রিমিয়াম স্যালারি, ওভারটাইম, বোনাস, ইনসেনটিভ সব মিলিয়ে রমরমা অবস্থা । বসদের এক কথা, ইনকাম করো আর ভোগ করো । শহরের অভিজাত বাড়ি, দামি গাড়ি, পশ রেস্তোরা, নামী ব্র্যান্ড- সব তোমার জন্য । ভোগের নেশাটা তারা ভালোভাবেই ধরিয়ে দিলো । ছোট্ট একটা ট্রেনিং নিতে ইংল্যান্ড গেলাম । থরে থরে সাজানো ভোগবিলাস দেখে চক্ষু চড়কগাছ । তখন তরুন বয়স, বুক ভরা সাহস আর চোখ ভরা ফুর্তি । একদিন সুযোগ বুঝে ট্রেনিং থেকে কেটে পড়লাম । রাত জেগে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে কাজ করি । রবিবার ছুটির দিনটাও কাজে লাগিয়ে দিলাম । হাইড পার্কে সারাদিন ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করি । চরুয়া ইংরেজ আর যাই হোক, রবিবারে বউ-ডারলিং নিয়ে ঘুরতে বেরোয় আর হাত ভরে ফুল কিনে । ফুল বিক্রি করতে গিয়েই মাশার সাথে পরিচয় । তুলতুলে বিশাল শরীর আর শিশুর মত সরল মুখের মাশাকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যায় । ওর সাথে স্ন্যাক্স খেতে যাই । মাশা কিছুই খাবেনা, অনেক বলার পর একটা আস্ত হটডগ আর দুটো আইসক্রিম খেলো ।
সেই থেকে শুরু । মাশার সাথে রোজ ঘুরতে যাই আর ফুডশপে ওর পৈচাশিক খাদ্যভক্ষণ দেখি । মাশা খেতে খুব ভালোবাসে, আমি ভালোবাসি মাশাকে । তাছাড়া আরপি পাওয়ার জন্য ওকে বিয়ে করা খুব দরকার । একদিন আমরা গেলাম গোল্ডস্মিথের ডায়মন্ড শপে । হীরে চুন্নী পান্নার জৌলুস দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায় । মাশা একটা রুবীর রিংয়ের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে । যা দাম, আমার এক বছরের জমানো টাকা শেষ হয়ে যাবে । পটেনশিয়াল ইনভেস্টমেন্ট, তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম । আগামিকাল দুজনে লং ড্রাইভে যাব । তারপর হাটু গেড়ে ঐ রুবীর রিং দিয়ে মাশাকে প্রপোজ করবো ।
অপার্থিব পুলকে নিদ্রাহীন রাত । এদিকে বাড়িওয়ালীর দুই মেয়ের মাঝে তুমুল ঝগড়া লেগেছে । বাংলাদেশ থেকে আসা তাদের জামাইরা এমনিতে খুব নিরিহ আর ভদ্র । কিন্তু বউরা তাদের তাতিয়ে দেয় । ইউ কাওয়ার্ড, আমাকে এত বড় কথা বললো আর তুমি কিছু বলবে না! দুই পুরুষপুঙ্গব তখন মহাপ্রতাপে একে অন্যের দিকে তেড়ে যায় । চেঁচামেচির সাথে ধুপধাপ শব্দ । মেজাজটা খিচরে গেল । সোজা গিয়ে দরোজায় নক করে দিলাম রামঝাড়ি । ঝাড়ি খেয়ে দুই বোন সাপের মত ফুঁসে উঠলো । সেই সাথে তাদের জামাইরাও গলা চড়ালো । চোস্ত ইংরেজিতে একটা লম্বা লেকচার দিচ্ছি, দেখি নিচে পুলিশের গাড়ি । বুঝলাম ওদের কেউ ইমার্জেন্সিতে কল দিয়েছে । অফিসার এসে আইডি দেখতে চাইলো । আইডি পাবো কোথায়? মাশার সাথে বিয়েটা হয়ে গেলে না হয়..
এক সপ্তাহের গরাদবাস । মাশাকে খবর দেয়ার পরেও আসেনি । অযাচিত পুলিশী ঝামেলায় কেই বা জড়াতে চায় । শেষে ইমিগ্রেশন পুলিশ পশ্চাদ্দেশে ছাপ্পা দিয়ে সোজা উঠিয়ে দিলো দেশের প্লেনে । দেশে ফিরেও স্বপ্ন দেখেছি, মাশা হয়ত একদিন ঠিক উড়ে আসবে আমার কাছে । অপেক্ষার অবসান হয় আমার এক বন্ধুর ফোন পেয়ে । মাশা তার নতুন বয়ফ্রেন্ডের সাথে নিয়মিত ফুডশপে গিয়ে যাবতীয় চর্ব্য-লেহ্য-চুষ্য-পেয় গলধঃকরণ করে যাচ্ছে, পোলার বিয়ারের মত শরীরে ফ্যাট-কার্বোহাইড্রেডের ডিপো বানাবে বলে!
আজ এতো বছর পরে এসেও আমার বউ সুযোগ পেলেই খোঁচা দেয় । ওর মত মেয়ে বলেই নাকি আমার ঘর করতে পেরেছে । আমাকে সোজা করার জন্য নাকি মাশার মত সর্বভূকের দরকার ছিল! এবার বুঝেন, এটা ট্র্যাজেডির উপর ট্র্যাজেডি কিনা?
'প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলে হে! এটা তো নতুন জীবন পাবার মত আনন্দময় গল্প!' শওকত আজিজ খোঁচা দিলেন । সাথে সাথে সবাই হো হো করে হেসে উঠে ।
মিসেস চৌধুরী অর্থাৎ রাবেয়া বেগম প্রবেশ করতেই সবার দৃষ্টি তার হাতে থাকা নাশতার প্লেটের দিকে চলে যায় । ভদ্রতা করে বিনয় দেখানোর চেষ্টা করলেও রাবেয়া বেগম প্লেট এগিয়ে দিতে সবাই খাওয়া শুরু করে দেয় । শুধু শওকত আজিজ সাহেব একটু ইতস্তত করছিলেন । তার দিকে তাকিয়ে রাবেয়া বেগম বললেন, ' কম তেলে ভেজেছি ভাই, খান কিচ্ছু হবে না । আর সমস্যা হলে ওমেপ্রাজল এনে দিচ্ছি!'
'বুঝলে, ঘরে ঘরে ডাক্তার!' নাজিম চৌধুরী ফোড়ন কাটেন । "এখানে ডাক্তারির কি হলো! এটা কে না জানে!' স্বামীর দিকে তাকিয়ে তীক্ষ্ণস্বরে কথাগুলো বলে রাবেয়া বেগম প্রস্থান করেন ।
'ডাক্তার, হ্যাঁ ডাক্তার! ডাক্তার আর তার বউয়ের বড় বোন সুর মিলিয়ে কাঁদছে- এর চেয়ে ট্র্যাজিক ঘটনা দুনিয়াতে আগে ঘটেনি'- রহস্যময় ভঙ্গীতে শামীম আহমদ কথাটি বলেন । আরিফ বক্ত কিছুটা ঝুঁকে এসে জিজ্ঞেস করেন, 'কোন ডাক্তার! মনসুর ডাক্তার নাকি?' শামীম আহমদ ইশারায় সায় দিতেই নাজিম চৌধুরী গলা খাকারি দিলেন । তারপর নিচুস্বরে বললেন, 'থাক, এসব নোংরা গল্প বাসায় না বলাই ভালো ।'
শামীম আহমেদ নড়েচড়ে বসলেন, 'এখানে নোংরামোর কি দেখলেন ভাই? মনসুর ডাক্তারের বউ তার গাড়ির ড্রাইভারের সাথে পালিয়েছে তো! আরে, এটা হলো বাইরের আবরন । ভেতরের কেসটা অনেক জটিল এবং ট্র্যাজিক!'
গরম পাকুড়া খেতে খেতে জটিল গল্পটা শোনার জন্য সবাই আগ্রহ নিয়ে বসলো ।
শামীম আহমদের গল্পঃ
'মনসুর সাহেব আর দিলারা নিশাত দুজনেই ডাক্তার । রোগী হাসপাতাল চেম্বার নিয়ে দুজনেই ব্যস্ত । তাদের বাচ্চাটাকে দেখাশোনার জন্য বাসায় পার্মানেন্ট কাজের মেয়ে রাখতে হয় । কিন্তু সমস্যা হলো, তাদের বাসায় কোন কাজের মেয়েই বেশিদিন টেকে না । যদিওবা কেউ থেকে যায়, মাস ছয়েকের ভেতরেই তাকে অবৈধ ম্যাটার্নিটি ক্লিনিকে যেতে হয় । দিলারা নিশাত তার স্বামীর অপকর্ম রুখতে হাসপাতালের চাকরিটা ছেড়ে দেন । বিকেলে নিজের বাসায় চেম্বার করে রোগী দেখতে থাকেন । বাসায় তেমন একটা রোগী আসেনা । দিলারার ইনকাম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মনসুর সাহেবের উপর আর্থিক চাপ বাড়ে । ইনকামের ব্যাপারটা দিলারার জন্য অস্বস্তিকর হলেও চোখের সামনে তার স্বামীর দুশ্চরিত্রতা দেখতে হচ্ছেনা ভেবে মানসিক শান্তি পান । এভাবে মোটের উপর তারা সুখেই দিন পার করছিলেন ।
বেশ কয়েজক বছর পর দিলারার বড় বোনের স্বামী অকাল প্রয়াত হলে তিনি তার ছেলেসহ ছোট বোনের বাসায় আশ্রয় নেন । দিলারা এতে খুশিই হোন, বোন আসায় তিনি অনেকটা রিলাক্স বোধ করেন । বোনও খুশি মনে দিলারার সংসারের সকল দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন । একটু রিলিফ পেয়ে দিলারা আবার একটা হসপিটালে চাকরি নেন এবং নতুন চেম্বার নিয়ে রোগী দেখতে শুরু করেন । কিছুদিন পর দিলারা কিছু একটা অস্বাভাবিকতা টের পান । মনসুর আর তার বড় বোনের মাঝে হৃদ্যতা ছিল চোখে পড়ার মত । মনসুরের চরিত্র সম্পর্কে দিলারা সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকায় ব্যাপারটা নিয়ে তিনি চিন্তায় পরে যান । কিন্তু বিষয়টা এতোই স্পর্শকাতর যে, হাতেনাতে প্রমান না পেয়ে কিছু বলাও যাচ্ছে না । এটা নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন মানসিক অশান্তিতে ভোগেন । বোনের সাথে মনসুরের অন্তরঙ্গতা দিন দিন বাড়ছিলো । দিলারা মোটামুটি এদের অবৈধ সম্পর্কের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যান । হতাশায় ভুগে তিনি এক সময় আত্মহত্যার কথাও ভাবেন । শেষে তার মাঝে প্রতিশোধ স্পৃহা জেগে উঠে । মনসুরকে চরম শিক্ষা দিতে দিলারা বাসার গাড়ির ড্রাইভারকে পটিয়ে তার সাথে পালিয়ে যান ।
দিন তিনেক যেতেই দিলারা তার ভুল বুঝতে পারেন । সন্তানের খোঁজ নি্তে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফোন করেন । দিলারার ফোন পেয়ে মনসুর সাহেবের বাসায় কান্নার রোল পড়ে যায় । মনসুর সাহেব আর দিলারা নিশাতের বড় বোন দুজনেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন ।
ঠিক এই জায়গায় এসে গল্পের ট্র্যাজিক পরিণতির কথা চিন্তা করেন । তিনজনই হাউমাউ করে কাঁদছে, এর চেয়ে ট্র্যাজিক আর কি হতে পারে!
'মনসুর একটা সাক্ষাৎ লোফার, চরিত্রহীন- এর কান্নায় কি আসে যায়! শওকত আজিজ উস্মা প্রকাশ করেন ।
আরিফ বক্ত বলেন, 'গল্পটাকে বড়জোড় একটা সাইকো রিভেঞ্জ স্টোরি বলা যেতে পারে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের হাতে ধর্ষিতা ফরাসি মেয়েরা প্রসবের পর বাচ্চাটাকে গলা টিপে মেরে ফেলত, শত্রুর প্রতি প্রতিশোধ হিসেবে । এখানে কোন ট্র্যাজেডি নেই, পুরাই সাইকো!'
'আজকে ভালোই গল্প জমেছে দেখি!' চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে রাবেয়া বেগম যোগ দেন ।
শামীম আহমদ জিভে কামড় দিয়ে বলেন, 'আপনি শুনেছেন নাকি!'
'হ্যাঁ, সবগুলোই শুনলাম, মনযোগ দিয়ে ।' সবার হাতে চায়ের পেয়ালা পৌছে দিয়ে রাবেয়া বেগম একটা চেয়ার টেনে বসেন । তারপর মিটিমিটি হেসে বলেন, ' ট্র্যাজেডি অনেক গভীর ব্যাপার, উপলব্ধীর ব্যাপার । ট্র্যাজেডির গল্প আসলে কাউকে বলা যায় না । এটা মানুষের বুকের গভীরে আমৃত্যু ঘা হয়ে বসে থাকে । নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সাথে অতি সন্তর্পনে চলাচল করে । ট্র্যাজিক ব্যাক্তির খুব কাছের মানুষই কেবল সেই নিঃশ্বাসের উত্তাপ বুঝতে পারে ।'
বিয়োগান্তিকঃ
আড্ডা ভাঙ্গার পর রুটিন ভদ্রতা হিসেবে নাজিম চৌধুরী তিনজনকে বাসার গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন । ফিরে এসে দরোজা বন্ধ করতেই হঠাৎ যেন তার বুকটা ভারী হয়ে আসে । শরীর খারাপ হয়েছে ভেবে স্ত্রী কে ডাকতে গিয়ে মনে হলো এটা তাকে বলার নয় । এটা তার অনেক পুরনো অসুখ , প্রায় এক যুগ পর আবার ফিরে এসেছে । ধীর পায়ে হেটে গিয়ে অন্ধকার ব্যালকনিতে রেলিং ধরে দাঁড়ালেন । বুকে আটকে থাকা ভারী বাতাস নিঃশ্বাসের সাথে বের হয়ে আসছে । পুরনো কিছু স্মৃতি তার চোখের সামনে ভাসতে থাকে । প্রথম জীবনে প্রেম করে বিয়ে করা ফারজানা মাত্র কয়েক মাসের মাথায় তাকে ডিভোর্স দেয় । আর্থিক দৈন্যতা একটা ব্যাপার ছিল, সেটা কাটিয়ে উঠার প্রাণপন চেষ্টাও ছিল । ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়ে হতভম্ব নাজিম অনেক চেষ্টা করেছিলেন ফারজানার সাথে একটিবার কথা বলার । কিন্তু ফারজানা তাকে সে সুযোগ দেয়নি, সুইস প্রবাসী তার এক কাজিনকে বিয়ে করে সে পরবাসী হয় । আজও কিছু কথা, কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরেন নাজিম সাহেব, একাকী আনমনে ।
স্ত্রী সন্তান বন্ধু আড্ডা ব্যস্ততা- কোন কিছুই পারেনা এই পুরনো ক্ষত পুরোপুরি উপশম করতে ।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবণ । ভালো থাকা হোক ।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু কিছু স্মৃতি গলায় আটকে থাকা কাঁটার মত সারাজীবন খোঁচায়, কিছু কিছু কাঁটা অস্থায়ীভাবে থেকে নেমে যায়। এইসব চিরস্থায়ী কাঁটাই হলো ট্রাজেডি, যে একবার মুখোমুখি হয়েছে সে সারাজীবনের জন্যে অভিশপ্ত।
গল্পের পরিণতিতে নাটকীয় কিছু আশা করেছিলাম, কিন্তু তা গতানুগতিকতার বাইরে যেতে পারে নি।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: পুরো গল্পে যা বলতে চেয়েছি, মাত্র তিন লাইনে তা বলে দিলেন । অসাধারণ গল্পবোধে মুগ্ধ ।
শেষটায় নাটকীয় কিছু হলোনা । নিজেকে বাড়তি চাপও দিলাম না ।
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এক সঙ্গে তিনগল্প!ট্রাজেডিতো ট্রাজেডি।বুঝা গেল প্রেম ভালবাসা বুঝা যায়না যুক্তিতে।ভালবাসা ছেড়ে পালিয়ে নেই কোন মুক্তিযে ।
গল্প ভাল হয়েছে ।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম, যে একবার পুড়েছে তার রক্ষা নাই ।
ধন্যবাদ সেলিম ।
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
ডট কম ০০৯ বলেছেন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের হাতে ধর্ষিতা ফরাসি মেয়েরা প্রসবের পর বাচ্চাটাকে গলা টিপে মেরে ফেলত, শত্রুর প্রতি প্রতিশোধ হিসেবে ।
ঘটনাটা কি সত্য!!
গল্প গুলো পড়ে গল্পের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলাম।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প উপন্যাসে পড়েছি, সত্যাসত্য জানিনা ভাই । মনযোগী পাঠে আনন্দ পেলাম । ভালো থাকবেন ।
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
মুদ্দাকির বলেছেন:
সুন্দর !! অল পার্ট অফ লাইফ !!
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ভালো থাকা হোক ।
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: একটু বড় মনে হলো, তবুও সুন্দর গল্প।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ ঢাকাবাসী । ব্লগে পাঁচ ছয় হাজার শব্দের গল্পও আসে । এটা মাত্র দুই হাজার একশো ।
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
নিজাম চৌধুরির বিয়োগান্তক ঘটনায় একযুগ সময় মনে হচ্ছে ঠিক হলো না। সময়টা বাড়িয়ে দিন!
গল্পে ভালো লাগা
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: আচ্ছা, দিমুনে । ভালো থাইকেন । ধন্যবাদ প্রিয় কবি ।
৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আসলেই সেটাই ব্যাক্তিগত ট্র্যাজিডি যেটা গলায় আটকে থাকে , ঢোক গিলেও গিলা যায়না , বমি করেও উগড়ে দেয়া যায়না !
তা ছাড়া বাকী সবই রম্য !
ট্র্যাজেডির বোধ দেয়ার এই গল্প লিখার কারণ কি মামুন ভাইয়ের এমন কোন ট্র্যাজেডি !
হতাশ জাতী জানতে চায়
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: এই গল্পটি লেখার কারণ সুপার মুন । ঐদিন মাইজদি ছিলাম । রাতটা নিদ্রাহীন কাটার পর মনে হলো সময়টা কাজে লাগাই । ব্যাস ভাবতে ভাবতে এই গল্পের প্লট মাথায় চলে এলো ।
বিরহ বড় ভালো লাগে ! তবে এটা চয়েজ করে নেয়ার উপায় নেই, উপরে পড়ে যায় । হাহাহা
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
না পারভীন বলেছেন: গল্প বেশ গভীর! জানা হল ট্রাজেডির সংগা
ধন্যবাদ মামুন ভাই। গল্পে একরাশ ভাললাগা।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ নার্গিস আপু । নিরন্তর উৎসাহ পাই । ভালো থাকবেন ।
১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
রোদেলা বলেছেন: এতো ট্রাজেডি একসাথে -আমার মাথায় ট্রাফিক জ্যাম লাগায় দিসে,উফফফফফফ .।.।।।
বাপ্রে আপনে লিখতেও পারেন।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রোদেলা । ভালো থাকবেন ।
১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সকল নেতাই ঠিকাদার কিন্তু সকল ঠিকাদার নেতা নন।// -গল্পের মোরাল অথবা ট্রাজিক নোট
//মাশা কিছুই খাবেনা, অনেক বলার পর একটা আস্ত হটডগ আর দুটো আইসক্রিম খেলো। ... সেই থেকে শুরু। মাশার সাথে রোজ ঘুরতে যাই আর ফুডশপে ওর পৈচাশিক খাদ্যভক্ষণ দেখি। মাশা খেতে খুব ভালোবাসে, আমি ভালোবাসি মাশাকে।// -গল্পের কমিক রিলিফ
শেষটুকু তো আপনিই শেষে বললেন
সবমিলিয়ে ট্রাজিক বিনোদন....
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: এমন রসিক পাঠক পেয়ে কে না আহ্লাদিত হয়!
গল্পটা এগিয়ে গেছে আড্ডার ছলে । আড্ডা মানেই প্রানোচ্ছাস, সেখানে ট্র্যাজিক ব্যাপারও কমিক রিলিফ হয়ে দাঁড়ায় ।
ট্রাজিক বিনোদন- এরকম তকমা পেয়ে লেখকও বিনোদিত
১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আড্ডাচ্ছলে ৪ বন্ধুর ট্র্যাজেডির গল্প পড়লাম। ৪টা গল্পই উপভোগ্য, রসময়। কিন্তু রাবেয়া বেগমের মুখেই প্রকৃত ট্র্যাজেডির ডেফিনিশন জানা গেলো। এরপর নিজাম চৌধুরীর জীবনের করুণতম ট্র্যাজেডির কথাটা জানতে পারি গল্পকারের মন্তব্যে।
গল্প নির্মাণের কৌশলে আমি মুগ্ধ হলাম। একটানে পড়ে যাওয়ার মতো আকর্ষণ ছিল গল্পে। আমার অনেক ভালো লেগেছে।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সোনাবীজ ভাই । আপনি গল্প উপভোগ করায় লেখক হিসাবে রিলাক্স বোধ করছি । অনেক দিন থেকেই এই ধারায় গল্প লিখতে চাইছিলাম, কিন্তু উপযুক্ত প্লটের অভাবে বিষয়টা সহজ ছিলনা । সেই কবে পড়েছিলাম প্রমথ চৌধুরীর 'চার ইয়ারি কথা', মনের ভিতর আজও গেঁথে আছে ।
১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ইমিনা বলেছেন: ট্র্যাজেডি, মানুষের বুকের গভীরে আমৃত্যু ঘা হয়ে বসে থাকে। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সাথে অতি সন্তর্পনে চলাফেরা করে ...
অসাধারন বলেছেন ভাইয়া।
এই অসাধারন সত্যর সাথে যে কি নির্মমতা জড়িত তা বুঝতে পারি ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ইমিনা । ভালো থাকবেন ।
১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,
দিনদিন হাতের জোর আর মাথার প্যাঁচ খুলছে আপনার । এক গল্পের ছলে একগোছা গল্প বেশ মুন্সীয়ানার সাথে শুনিয়ে দিলেন ।
সব কটাই বাস্তব এবং আড্ডার ধরনটাও । একটু রাজনীতিও দেখা গেলো শওকত আজিজের গল্পে । একটা ইঙ্গিতময় বক্তব্য ।
তবে বুকের গভীরে যা মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয় যা দেখানো যায়না, শোনানো যায় না তেমোন গল্পতেই ট্রাজিকতা থাকে বেশী । সেটা হয় ট্রাজিকের ট্রাজিকতা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: তবে বুকের গভীরে যা মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয় যা দেখানো যায়না, শোনানো যায় না তেমোন গল্পতেই ট্রাজিকতা থাকে বেশী । সেটা হয় ট্রাজিকের ট্রাজিকতা ।
চমৎকার এই মন্তব্য আর বিশ্লেষণে আপ্লুত হয়েছি । গল্প নিয়ে যখনই কোন পরীক্ষণের দুঃসাহস মনে আসে, কিছু মুখ নিরন্তর উৎসাহ জাগায় । মেন্টরের ছায়াদেয়া সেই সব মুখের প্রতি হৃদয়ে নিরব শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা পোষণ করি ।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা জানাই সতত, সুপ্রিয় আহমেদ জী এস ভাই ।
১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ সুন্দর গল্প ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু ।
১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
অনেক দিন পর ব্লগে এসে দারুন একটা ট্রাজেডি পড়লাম
চতুর্থ ভালোলাগা মামুন ভাই
শুভ কামনা
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার । অনেক দিন আপনার কোন লেখা পড়িনা । অপেক্ষায় আছি..
শুভ কামনা সতত
১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লেগেছে।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হানিফ রাশেদীন ভাই ।
১৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ অনেকদিন পরে প্রিয় গল্পকারের গল্প পেলাম হাতে ... আলাদা ট্যাবে খুলে রেখে দিলাম, পুরোটা পড়ে এসে মন্তব্য দেবো ...
তবে, আগে নিজের ব্লগে জমে যাওয়া একগাদা মন্তব্যগুলি দেখে আসি ...
প্রিয় গল্পকারের পোস্টে ৭ম ভালোলাগাটা (+) আমার পক্ষ থেকে রইলো অগ্রীম ...
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ নাসিফ । আপনার লেখাটা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি । ব্লগিংয়ে দায়িত্বশীলতার একটা উদাহরন হয়ে থাকবে লেখাটি ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫১
খাটাস বলেছেন: চমৎকার ম্যাচিউরড গল্প। ঘটনা বর্ণনার সাথে সমাজ আর ব্যক্তি জীবনের টুকরো মিশিয়ে মুগ্ধ একটা টেস্ট দিলেন মামুন ভাই। ৯ম ভাল লাগা।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যে মুগ্ধ । ভালো থাকবেন ভাইয়া ।
২০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: পড়া শুরু করেছিলাম, কিন্তু শুরুতেই "সাহেবে" তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি! তাই বুকমারক করে রাখলাম, সময় নিয়ে পড়মু
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, আইচ্ছা সময় পাইলে পইড়েন
২১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আজও কিছু কথা, কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরেন নাজিম সাহেব, একাকী আনমনে’’---------------- এত সুন্দর করে লিখেছেন !! এত সুন্দর !!! অসম্ভব ভাল লেগেছে ----- আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ---
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
২২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যথা, বেদনা আনন্দের মিশেলে ভাল লাগা রইল গল্পে। টুকরো টুকরো কাহিনী গুলোকে একটি সরলরেখায় উপস্থাপন করাটা চমৎকার ছিল।
+++++
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি । আপনার উৎসাহে উজ্জীবিত হই ।
ভালো থাকা হোক ।
২৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দারুণ লিখেছেন মামুন ভাই! জীবনের যা সত্যিকার গভীরতম দুঃখ, তা আড্ডায় বলা যায় না গল্পের ছলে, পাঁজর খামচে ধরা বোধ এর সামনে সকাল বিকাল দাঁড়ানো যায় না, আবার পায়ে ফুটে থাকা পেরেকের মত ভুলেও থাকা যায় না, এই মহত্তম ব্যাথার কোনো সান্ত্বনা নাই বুঝি! গল্পের প্লটিং খুব ভালো লাগলো- শুধু শেষটাতে একটু অতৃপ্তি, গতানুগতিক ট্রাজেডির বাইরে যদি কিছু হত, দুই লাইনে হতভম্ব হয়ে যাওয়ার মত কিছু, এইটা একটা অসাধারণ গল্প হয়ে যেত! যেটা দিয়েছেন সেইটাও মন্দ নয়!
শেষমেশ অনেক ভালো লাগা নিয়েই ফিরে যাচ্ছি!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: জীবনের যা সত্যিকার গভীরতম দুঃখ, তা আড্ডায় বলা যায় না গল্পের ছলে, পাঁজর খামচে ধরা বোধ এর সামনে সকাল বিকাল দাঁড়ানো যায় না, আবার পায়ে ফুটে থাকা পেরেকের মত ভুলেও থাকা যায় না, এই মহত্তম ব্যাথার কোনো সান্ত্বনা নাই বুঝি!
অসাধারণ আপনার বিশ্লেষণ ।
শেষ লাইনে গতানুগতিকতার বাইরে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু নিজের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে পারিনি ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ইফতি । ভালো থাকবেন ।
২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২১
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গল্প বলার ভঙ্গিটা বেশ লাগলো প্রিয় মামুন ভাই। অতিরিক্ত কিছু আরোপ করার কোন প্রয়াস নেই, নির্মোহ, মেদবিহীন, যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু বর্ণনা। সাথে সাথে আছে শব্দ চয়নে নূতনত্বও। আপনার গল্প পড়ে বেশ নূতন কিছু শব্দ শেখা যায়।
আরিফ বক্তের সাথে মাশার ট্র্যাজিক প্রেম কাহিনীটাই আমার ব্যক্তিগতভাবে বেশী মনে ধরল।
শুভেচ্ছা রইল বরাবরের মতই।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, এই গল্পের বর্ণনা ভঙ্গী অনেকটাই প্রমথ চৌধুরীর 'চার ইয়ারি কথা'র মত । উনার আড্ডার ছলে গল্প বলে যাওয়া ব্যাপারটা খুব পছন্দ হয়েছিল । অবশ্য 'চার ইয়ারি কথা' আমি এক যুগ আগে পড়েছি, তাই হুবুহু মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম ।
ভালো থাকবেন আবির । শুভ কামনা ।
২৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
ডি মুন বলেছেন: 'আজকে ভালোই গল্প জমেছে দেখি!'
শেষে এসে মন খারাপ হয়ে গেল। সত্যিই বিয়োগান্তক । আর কিছু প্রশ্নের উত্তর কখনো হয়তো পাওয়া যায় না।
আজও কিছু কথা, কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরেন নাজিম সাহেব, একাকী আনমনে ।
শুভকামনা রইলো মামুন রশিদ ভাই
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ডি মুন ।
ভালো থাকা হোক । শুভ কামনা নিরন্তর ।
২৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন:
গল্পটা পড়লাম, পড়তে পড়তে শেষ পর্যন্ত চোখ রেখেছিলাম এবং মনোযোগ দিয়ে খুঁজছিলাম- আসল ট্র্যাজেডিটা কোথায় ঘটবে। সে হিসেবে বলতে হচ্ছে- এইটা নিছক একটা আড্ডা ছিল, পাঠকের চোখ দিয়ে দেখেও আমি কোনো ট্রাজিক ঘটনা পাইনি। চার জনের গল্পের মাঝে শওকত আজিজের ঘটনাটা তুলনামূলক সিরিয়াস। আর বিয়োগান্তিক হিসেবে ট্রাজিক ঘটনার লিঙ্ক আপ এ নিজাম সাহেবের ব্যাপারটা পুরোটাই এক কেন্দ্রিক। আর তার স্ত্রীর সাথে তার একটা সিন যখন খাবার নিয়ে ঢোকেন, ডাক্তারী বিদ্যা নিয়ে নিজাম সাহেব খোঁচা দেন, স্ত্রীর তির্যক দৃষ্টিতে কিছুটা সিরিয়াসনেস পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে পাঞ্চ লাইন বা ঘটনা পাই নাই! মোটামুটি লাগলো।
এতক্ষন গল্পের মূল্যায়ন করলাম, কিন্তু ব্যক্তিগত মতামত- কিছু কিছু ট্রাজেডি এমন থাকে যে জীবনে সাফল্য এনে দিলেও সেই ট্রাজেডি আর শোক ভোলা যায় না!
শুভকামনা রইলো মামুন ভাই!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: কিছু কিছু ট্রাজেডি এমন থাকে যে জীবনে সাফল্য এনে দিলেও সেই ট্রাজেডি আর শোক ভোলা যায় না! -গল্পের মুল থিম ।
পাঞ্চ লাইন আমিও খুঁজেছি, পাইনি । এটাকে লেখকের সীমাবদ্ধতা হিসেবে নিতে পারেন ।
অনেক দিন পর আপনার বিশ্লেষনী মন্তব্য পেলাম । এই ধরনের মন্তব্য লেখকের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে, যাতে লেখক পরবর্তিতে এগুলো কাটিয়ে উঠার ব্রত নিতে পারেন ।
অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা । ভালো থাকা হোক । শুভ কামনা নিরন্তর ।
২৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
লিরিকস বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছেন?
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো আছি আপু । মাঝখানে কয়েকদিন মিস করেছি । আশা করি আপনিও ভালো আছেন ।
২৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আসলে দিনশেষে সবাই একা ৷
কোথায় যেন আপনার নিজস্ব বর্ণনাশৈলীর ঘাটতি ছিল ৷
শুভকামনা......
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, লেখার সময় আমিও কিছুটা বুঝতে পারছিলাম । বলতে পারেন লেখকও আড্ডায় গা ভাসিয়ে ছিলো ।
আসলে দিনশেষে সবাই একা- এটা আমারও উপলব্ধি ।
গল্প পাঠে ধন্যবাদ । শুভ কামনা সতত ।
২৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার ঝরঝরে বর্ননার গল্প। গল্প হিসেবে আমার ভালোই লেগেছে তবে কেন যেন মনে হচ্ছে, আরো কিছু বাকি আছে, বা কিছু একটা মিস করছি। সেই জিনিসটা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছি না, হতে পারে ছোট গল্পের এটাই মজা!!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন, গল্পের শেষটা অতোটা ভালো হয়নি । তাই এরকম মনে হয়েছে । আরেকটু ট্যুইস্ট দরকার ছিল ।
চেষ্টা থাকবে পরের বার ।
ভালো থাকবেন কা_ভা । শুভ কামনা ।
৩০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সত্যিকারের ট্র্যাজেডি হৃদয়ের গভীরে ক্ষতর সৃষ্টি করে যা কখনোই ভরাট হয় না। যার কথা হয়ত কখনো কাউকে বলা হয় না কিংবা বলা যায় না। হয়ত কোন এক অলস মুহূর্তে শুধু দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেড়িয়ে আসে।
ট্র্যাজেডির গল্প ভালো লেগেছে।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: সত্যিকারের ট্র্যাজেডি হৃদয়ের গভীরে ক্ষতর সৃষ্টি করে যা কখনোই ভরাট হয় না। যার কথা হয়ত কখনো কাউকে বলা হয় না কিংবা বলা যায় না। হয়ত কোন এক অলস মুহূর্তে শুধু দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেড়িয়ে আসে।
চমৎকার করে বললেন প্রিয় ব্লগার । আমার গল্পের মুল থিম এটাই ।
ভালো থাকা হোক । গল্প পাঠে ধন্যবাদ ।
৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
এহসান সাবির বলেছেন: বিয়োগান্তিক !
একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প দিয়েন তো ভাই।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: প্যাকেজ নাটক বানাবেন নাকি!!
ঠিকাচে, আপনার জন্য একটা মরমী পেমের গল্প লিখব,,,
৩২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪০
আরজু পনি বলেছেন:
পড়ার শুরুতে মনে পড়ে যাচ্ছিল তাস নিয়ে আরেকটা গল্পের কথা... যেখানে সম্ভবত খুনের ঘটনাও ছিল।
এসবভাবতে ভাবতেই পড়া এগুচ্ছিল...শেষে এসে বিষন্নতায় চেপে ধরলো
আপনার গল্পগুলি খুবই ভালো হয় ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের নাম ছিলো 'ডার্কস্টোরিঃ কন্ট্রাক্ট ব্রীজ' । এতোদিন পরেও মনে রেখেছেন দেখে অবাক হয়েছি ।
আপনার মুল্যায়ন আমার লেখালেখিতে সব সময়ই উৎসাহ জুগিয়েছে । ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভ কামনা পনি আপু
৩৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫২
সুমন কর বলেছেন: ট্র্যাজেডি অনেক গভীর ব্যাপার, উপলব্ধীর ব্যাপার । ট্র্যাজেডির গল্প আসলে কাউকে বলা যায় না । এটা মানুষের বুকের গভীরে আমৃত্যু ঘা হয়ে বসে থাকে । নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সাথে অতি সন্তর্পনে চলাচল করে । ট্র্যাজিক ব্যাক্তির খুব কাছের মানুষই কেবল সেই নিঃশ্বাসের উত্তাপ বুঝতে পারে ।
আপনার গল্প, তাই সময় করে পড়ার জন্য আগে আসতে পারিনি। যদিও ঘুরে দেখে গেছি।
ট্র্যাজেডি নিয়ে দারুণ বিশ্লেষণ করেছেন। প্রতিটি হৃদয়ছুঁয়ে গেল। যদিও প্রথমে চরিত্রগুলো নিয়ে একটু জট পাকাচ্ছিল। পরে ঠিক হয়ে গেল।
৯ম লাইক।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার সুন্দর বিশ্লেষণী মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হয়েছি ।
নতুন কোন লেখা পাচ্ছিনা কেন?
ভালো থাকবেন সুমন । শুভ কামনা ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু আপু । অনেক ভালো লাগলো
৩৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:২৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: কি খবর মামুন ভাই, কেমন আছেন?
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো আছি ব্রো । আপনি কেমন আছেন ? এতদিনে জবে নিশ্চয়ই সেটল হয়ে গেছেন । এবার ব্লগিংটা নিয়মিত শুরু করেন ।
ধন্যবাদ । শুভকামনা রইলো
৩৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
বৃতি বলেছেন: গল্পে অনেক ভালো লাগা ভাইয়া।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বৃতি । ভালো থাকবেন
৩৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১২
বৃশ্চিক রাজ বলেছেন: +++++++
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু থ্যান্কু, প্লাসায়িত করার জন্য ।
৩৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আহারে সবার জীবনেই তো ট্রাজেডি থাকে দেখছি।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম
হাহাহ, থ্যান্কু শুঁটকি ।
৩৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩১
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: চরিত্র গঠন চমৎকার। ভাই উপন্যাস ( নভেলা, নভেল নয়) করে ফেলেন আর বই মেলায় প্রকাশ হোক এই কামনা করি।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
৪০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪১
দুঃখ বিলাস বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন।
ধন্যবাদ।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ দুঃখ বিলাস ।
৪১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্পের বয়ান, মুন্সিয়ানা যথেষ্ট। ভালো লাগলো।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ প্রিয় দূর্জয় । ভালো থাকবেন ।
৪২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পুরুষ মিয়াদের ট্র্যাজেডি তেমন ভয়াবহ না হইলেও পায়ের তলায় ক্ষত নিয়া খোড়াইয়া হাঁটার মতন দুষ্ক জগতের আরো বড় বড় দুষ্কের চাইতেও খ্রাপ। কারণ প্রত্যেক ভিখারী মনে করে অন্য ভিখারীর কারণে তার ঝুলিতে কম পড়লো। তেমনি দুঃখীরা ভাবে যে, তার মতন দুঃখী (দুঃখীয়েস্ট) জগতে আর নাইক্যা।
গল্পের ফ্রেম বলেন আর উপস্থাপনার ধরন যাই বলেন, সোনাভাইয়ের কণা গল্পের ধরন মনে হইল।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: পায়ের তলায় ক্ষত নিয়া খোড়াইয়া হাঁটার মতন দুষ্ক জগতের আরো বড় বড় দুষ্কের চাইতেও খ্রাপ ।
হাচা কথা কইছেন মিয়া ভাই
সাম্প্রতিক পড়াশোনার একটা প্রভাব লেখালেখিতে অবশ্যই থাকে । তবে এই গল্পের ফ্রেম অনেক বছর আগে থেকেই মনে গেঁথেছিল । প্রমথ চৌধুরীর 'চার ইয়ারি কথা' হলো আমার এই গল্পের অনুপ্রেরণা ।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুলিয়ান ভাই । ভালো থাকা হোক সর্বদা ।
৪৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: কিছু কিছু স্মৃতি যন্ত্রণা হয়ে বার বার ফিরে আসে
++++++++
ভালো থাকবেন সবসময় ভ্রাতা
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
৪৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৩
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সময় নিয়ে সুন্দর করে গড়েছেন।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
৪৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গুচ্ছ ট্টাজেডির মালাগাঁথা ই বলতে হবে। শেষটা একটু বিশেষ বেশী ভালো লাগলো।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা । ভালো থাকবেন ।
৪৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
ফা হিম বলেছেন: একদিন আমরাও বুড়ো হব, কোন কিছু করার থাকবে না, তখন এভাবে জীবনের সুখ-দুঃখের গল্প করে কাটাতে হবে। আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বেশি বিয়োগাত্মক!!
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: যদিও এটাই নিয়তি, তবু আমরা চাই না ।
সুন্দর বলেছেন । ধন্যবাদ ফাহিম ।
৪৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
জুন বলেছেন: প্রথম প্রকাশের সাথে সাথেই পড়েছিলাম মামুন । মনে করেছি আমি বুঝি কিছু বলেছি এই মাঝবয়সী কিছু ব্যক্তির আড্ডাবাজী গল্প নিয়ে। এখন দেখি কিছুই বলা হয়নি আমার । সুন্দর গল্পে নেক ভালোলাগা
+
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: কিছু বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ জুনাপ্পী
কেমন আছেন? কোথায়? দেশে নাকি বিদেশে?
ভালো থাকা হোক । শুভ কামনা সতত
৪৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
লিরিকস বলেছেন: ভাইয়া আমার এই পোস্ট একটু দেখুন। কোন তথ্য থাকলে দিন প্লিজ।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, গিয়েছি ।
৪৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৫
পার্থ তালুকদার বলেছেন: আপনাকে অনুসরনে রেখেছি তবুও গল্পটা মিস হয়ে গেল !!!
যাক , গল্পটা ভাল লেগেছে ।
ভাল থাকবেন ভাই।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন প্রিয় পার্থ ।
৫০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বেশ সাবলীল লেখা। ভাল লাগলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রিয়াদ । শুভেচ্ছা ।
৫১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৪৬
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: ট্র্যাজেডি ব্যাপারটা আসলে আপেক্ষিক। একজনের জন্য যেটা অনেক বড় ট্র্যাজেডি দেখা যাবে হয়তো সেটা অন্য কারো জন্য বিশাল কমেডি (যেমন আমার কাছে এই গল্পের আরিফ বক্তের ট্র্যাজেডিটা)।
গল্পের সবগুলো ঘটনাই যার যার নিজ নিজ ক্ষেত্রে ট্র্যাজিক। কিন্তু শেষে এসে বুঝতে পারলাম আসল ট্র্যাজেডিটা গৃহকর্তার না বলা কষ্টগুলোর মধ্যেই।
গল্পে ভাললাগা এবং প্লাস।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো আপু । গল্প পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।
৫২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
লিরিকস বলেছেন: এইটা একটু দেখবেন প্লিজ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: ওকে
৫৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: + দিলাম।
অত্যান্ত সুন্দর একটা গল্প লিখেছেন মামুন ভাই। আসলে আমরা সাহিত্যের মাধ্যমে জীবনের কতটুকু গভীরে যেতে পারি সেটা আমি বুঝতে পারি না। সাহিত্য তো একটা সব সময়ই কোন না কোন একটা কন্টেক্সটে বন্দী।, এটা কি জীবনের সীমানা ছাড়াতে পারে? বড় বড় লেখকেরা হয়তো পারেন কিন্তু আমরা? জানি না।
ভালো লাগলো লেখাটা।
গল্প কোন সময় ছোট করবেন না। তাতে গল্পে প্রান প্রতিষ্ঠা হয় না।
পৃথিবীতে চটুল কৌতুকের পাঠক সবচেয়ে বেশী। সেখানে তামাসা আছে, সাহিত্য আছে কিন্তু গভীরতা নেই।
অনেক কথা বললাম।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো কথাগুলো । মন্তব্য পড়ে বোঝা যাচ্ছে গল্প মনযোগ দিয়ে পড়েছেন ।
ভালো থাকবেন নাভিদ । দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন । শুভ কামনা ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু আপু
৫৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রচনার গাম্ভীর্যতা ও মানবজীবনের হুবহু অনুকরণ গল্পটিকে অনবদ্য করেছে। গদ্যের পণ্ডিতি রীতি এড়িয়েও সাবলীল গদ্যটা আপনি ভালোই সামাল দিতে পারছেন। সাধুবাদ আপনাকে। ভালো থাকা হোক।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মুল্যায়নে অনুপ্রেরনা পেলাম । সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা ।
৫৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
লিরিকস বলেছেন: কতদিন দেখিনি তোমায়, আমি জানতাম ও ইন্টারনেটেও আছে গানটি নজরুল গীতি, তবে আমার জানা ভুল ছিল। নতুন তথ্য আপডেট করে দেওয়া হয়েছে। তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন গানচিল ভাইয়া। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন:
৫৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০
লিরিকস বলেছেন: ভাইয়া আগামি সপ্তাহে আপনাদের ওদিকে পারিবার সহ যাবার কথা, যদি যাই তাহলে আপনি আমাকে ১ ঘন্টার জন্য হলেও সময় দেবেন।
আমি আপনাকে কল করব ২/১ দিনের ভেতরে। নাম্বার আছে
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অবশ্যই । দেখা হলে খুব খুশি হব
৫৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
লিরিকস বলেছেন: ফোনে জানিয়ে দেব ভাইয়া।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন:
৫৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
লিরিকস বলেছেন: ঐ অপশনটা তো বেশ
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন:
৬০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগল গল্পের আঙ্গিক । এই গল্পে এই আঙ্গিক দরকার
ছিল ।
শিরসেন্দু ( বানান ঠিকভাবে আসতাছে না ) ত বললেন ই
ট্র্যাজিক হল এমন এক হাহাকার যার কোন ক্ষতিপূরণ হয় না ।
আমিও এটা মনে করি ।
আপনার গল্পের শেষটাও একই কথা বলে ।
ভাল থাকবেন প্রিয় মামুন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: শীর্ষেন্দুর ট্র্যাজেডির সংজ্ঞাটা খুব মনে ধরেছিল সেদিন । আর এত বড় একজন লেখকের সাথে ভাবনার মিল পেয়ে আমিও পুলকিত হয়েছিলাম ।
আপনার সাথে রেগুলার আড্ডা দিতে পারলে ভালো হত ।
৬১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭
বাংলার পাই বলেছেন: । ট্র্যাজেডি হলো জীবনের পরাজয়, আদর্শের পরাজয় । আপনার দৃঢ় বিশ্বাসটা একদিন ভেঙ্গেচুরে গুরো হয়ে গেল, সেটাই ট্র্যাজেডি!
ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সকল নেতাই ঠিকাদার কিন্তু সকল ঠিকাদার নেতা নন । --------------বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্ভেজাল সত্য কথা।
রাজনীতিবিদরা সবাই খারাপ না । ---------এটা এখন বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
আর দেশ শাসনের মত কাজ অযোগ্য লোকদের হাতে ছেড়ে দেয়াও ভালো কাজ নয় । ভালো মানুষদের বেশি বেশি রাজনীতিতে আসা উচিত । আপনার ছেলের মত ভালো ছেলেরাই একদিন রাজনীতিতে সুস্ততা ফিরিয়ে আনবে । ---------------কথাটা বিশ্বাস করি। আমাদের সমাজের চিত্র উল্টো। ভালো মানুষরা রাজনীতি পছন্দ করে না। আর তারা রাজনীতি করেও বেশি দূর আগাতে পারে না অথবা তারা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারে না। আর মুখ বুজে টিকে থাকলেও তাদের সংখ্যা এতো কম যে তারা তেমন কিছুই করতে পারে না।
আর আমার কাছে ট্র্যাজেডির মানে হলো প্রত্যাশিত কিছু পেতে পেতে হারিয়ে ফেলা ।
আড্ডা ভাঙ্গার পর রুটিন ভদ্রতা হিসেবে নাজিম চৌধুরী তিনজনকে বাসার গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন । ফিরে এসে দরোজা বন্ধ করতেই হঠাৎ যেন তার বুকটা ভারী হয়ে আসে । শরীর খারাপ হয়েছে ভেবে স্ত্রী কে ডাকতে গিয়ে মনে হলো এটা তাকে বলার নয় । এটা তার অনেক পুরনো অসুখ , প্রায় এক যুগ পর আবার ফিরে এসেছে । ধীর পায়ে হেটে গিয়ে অন্ধকার ব্যালকনিতে রেলিং ধরে দাঁড়ালেন । বুকে আটকে থাকা ভারী বাতাস নিঃশ্বাসের সাথে বের হয়ে আসছে । পুরনো কিছু স্মৃতি তার চোখের সামনে ভাসতে থাকে । প্রথম জীবনে প্রেম করে বিয়ে করা ফারজানা মাত্র কয়েক মাসের মাথায় তাকে ডিভোর্স দেয় । আর্থিক দৈন্যতা একটা ব্যাপার ছিল, সেটা কাটিয়ে উঠার প্রাণপন চেষ্টাও ছিল । ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়ে হতভম্ব নাজিম অনেক চেষ্টা করেছিলেন ফারজানার সাথে একটিবার কথা বলার । কিন্তু ফারজানা তাকে সে সুযোগ দেয়নি, সুইস প্রবাসী তার এক কাজিনকে বিয়ে করে সে পরবাসী হয় । আজও কিছু কথা, কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরেন নাজিম সাহেব, একাকী আনমনে ।
--------------------এটা আসলে ভালোবাসা বা প্রেম না। এটা একধরনের স্বার্থপরতা। প্রেমের ব্যবসা।
আপনার গল্প লেখার হাত চমৎকার। চালিয়ে যান। আমাদের আরো কিছু সুন্দর গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বাংলার পাই । শুভ কামনা ।
৬২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
আমি ইহতিব বলেছেন: ডি মুনের আগস্ট এর সেরা পাঁচের লিংক ধরে এলাম আড্ডাবাজ মানুষগুলোর স্মৃতিচারণ পড়তে। গল্পের স্টাইলটা নতুন ও ভালো লাগলো।
একটি সত্য ঘটনা নিয়ে একটা লেখা লিখবো লিখবো করেও লেখা হচ্ছেনা। যদি লিখতে পারি শেষ পর্যন্ত তবে দেখবেন ভাইয়া মানুষের জীবনে ট্র্যাজেডি কত রকমের হতে পারে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা আপনার জন্য।
৬৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
আমি ইহতিব বলেছেন: ডি মুনের আগস্ট এর সেরা পাঁচের লিংক ধরে এলাম আড্ডাবাজ মানুষগুলোর স্মৃতিচারণ পড়তে। গল্পের স্টাইলটা নতুন ও ভালো লাগলো।
একটি সত্য ঘটনা নিয়ে একটা লেখা লিখবো লিখবো করেও লেখা হচ্ছেনা। যদি লিখতে পারি শেষ পর্যন্ত তবে দেখবেন ভাইয়া মানুষের জীবনে ট্র্যাজেডি কত রকমের হতে পারে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা আপনার জন্য।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: লিখে ফেলেন আপু । জীবনের চেয়ে বড় সত্য আসলে কিছু নেই । আপনার লেখাটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভ কামনা ।
৬৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
একজন সৈকত বলেছেন:
অনেক অনেক ভালো লাগলো।
+
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একজন সৈকত । শুভেচ্ছা ।
৬৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: বিয়োগান্তিতে নিঃসঙ্গতার অনন্য উপস্থাপনা। গল্পের গভীরতায় মুগ্ধ। মাঝে মাঝে গল্প শুধু গল্প হয় কিন্তু গল্পের ভেতরেও যে ফুটিয়ে তোলা যায় জীবনের অনেক না বলা কথা সেটা একমাত্র ভাল সাহিত্যকের পক্ষেই সম্ভব। মনে হল আপনার ভেতর সেই গুণ ভাল ভাবেই বিদ্যমান। প্রবাসী পাঠকের ব্লগ ধরে এসে ভুল করিনি মোটেও। সাথে আছি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: বিনম্র ধন্যবাদ । সুন্দর মন্তব্যে মন ছুঁয়ে গেল ।
সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা । শুভ কামনা রইলো ।
৬৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পে আলাদা ধাঁচ, অন্যরকম একটু স্বাদ- ট্রাজেডি নিয়ে, হাহাকার নিয়ে কাহিনী নিজেদের মাঝে বেটে নেওয়া, আর দুঃখের প্রকৃত চেহারা খোঁজা- এই কয়েকটা বিষয় আকৃষ্ট করল।
শেষটায় বোধহয় ওই হাহাকারই সঙ্গী হয় মানুষের।
শুভেচ্ছা রইল প্রিয় মামুন।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মুল্যায়ন না পেলে গল্প লিখে তৃপ্তি পাইনা । আর আপনার লেখা গল্প না পড়লে তৃষ্ণা মেটেনা ।
ভালো থাকবেন প্রিয় প্রোফেসর । শুভ কামনা নিরন্তর ।
৬৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: চমৎকার গল্প। অনেক ভাল লেগেছে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
৬৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: প্রতিটি কাহিনি পড়লাম। মনে রাখার মত লিখেছেন। যাকে বলে পাকা-হাত।
সত্যিয় কি সিলেটের মানুষ মাস- কলাই এর ডাল চিনে না ???
শুভ কামনা রইলো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু ।
ও হ্যাঁ, আমি সিলেটের মানুষ
শুভকামনা নিরন্তর ।
৬৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো ভাইয়া। ভয়ানক ট্র্যাজেডি
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হুম, সত্যি ভয়ানক!
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মহামহোপাধ্যায় ।
৭০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩২
সমানুপাতিক বলেছেন: বিয়োগান্তিক গল্প ! অনেক ভালো লাগলো ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সমানুপাতিক । শুভেচ্ছা ।
৭১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: গল্প বিন্যাসের নতুনত্বে মুগ্ধতা। শুভকামনা রইল।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন আপু ।
৭২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ গল্প। প্লট নির্বাচন , সাবলীল প্রকাশ সব মিলিয়ে অসাধারণ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা মনি । ভালো থাকা হোক ।
৭৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: মনোজগত নিয়ে আমার আগ্রহটা বেশী থাকায় গল্পটা পড়তে বেশ ভালো লাগল।গল্পের কোন কোন চরিত্রের মনোজাগতিক ভাবনা ও সে অনুযায়ী করা কাজগুলো খুব নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি।ধন্যবাদ সুন্দর ও অভিনবভাবে উপস্থাপিত গল্পটির জন্য।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা জানবেন । মনযোগী পাঠক পাওয়া একজন লেখকের জন্য পরম সৌভাগ্যের । ভালো থাকা হোক, শুভকামনা ।
৭৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:
আলেফ লায়লা।
সুন্দর।
শুরটা ৮০ দশকের কলকাতার লেখার সাথে মিল আছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা,
ধন্যবাদ ।
৭৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
গোর্কি বলেছেন:
শোকাবহ ঘটনাগুলো সবসময়ই বেদনাদায়ক। তারপরেও মেনে নিতে হয় যেহেতু জীবন বহমান এবং জীবনের বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে। ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা রইলো।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা । অনেকদিন পর ব্লগে এলেন প্রিয় ব্লগার ।
ভালো থাকুন সদা । শুভ কামনা ।
৭৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
দীপান্বিতা বলেছেন: ভালো লাগ......
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দীপা ।
৭৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
ইমরান নিলয় বলেছেন: সুন্দর গল্পটা।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৭৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫
আরজু মুন জারিন বলেছেন: শহরের বনেদি পাড়ায় ছিমছাম সুন্দর এই বাড়ির রিডিং রুম সূর্যাস্তের পরই মুখরিত হয়ে উঠে আড্ডায় । সন্ধ্যা প্রার্থনার পর থেকে রাতের প্রার্থনার পূর্ব পর্যন্ত শহরের সব গল্প যেন এই ঘরে এসে ভীর করে । প্রাত্যহিক সকল কর্ম, চাহিদা, দায়িত্ব, ব্যস্ততা, অভাব, অনুযোগ, ব্যর্থতা সবকিছু ঢাকা পড়ে যায় পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই চারজন মানুষের প্রাণখোলা উচ্ছাসে । তাস ফেটা, বিলি-বন্টন আর সোৎসাহে ট্রিক-টার্ম এর সাথে চলতে থাকে অদ্ভুত সব গল্প খেলা । আবাপরে আআসব
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আরজু মুন জারিন, কষ্ট করে পড়ার জন্য । ব্লগের টেকনিক্যাল কোন সমস্যার জন্য হয়ত পুরো কমেন্ট আসছেনা ।
ভালো থাকবেন । শুভকামনা ।
৭৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬
আরজু মুন জারিন বলেছেন: দূখিত কমেন্টস
৮০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
আরজু মুন জারিন বলেছেন: ইস কমেন্টস পুরো যাচ্ছেনা কেন
৮১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
জসীম অসীম বলেছেন: আপনার লেখা পড়েছি । ভালো লাগলো । লেখার ভিতরের বিষয়ে অন্য সময় মতামত প্রকাশ করবো। আমি এখন ব্লগে লিখলে লেখা লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ হয়না। এ বিষয়ে আপনি কি আমাকে কোনো সহযোগিতা করতে পারেন ? ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি। উপযুপরি অনিয়ম আমি কিভাবে করেছি, আমি জানি না। আমার লেখা কতদিন প্রথম পাতায় প্রকাশ হবে না। মডারেটর উপস্থিত উপস্থিত থাকলে তার তার বিবেচনা সাপেক্ষে আমার লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ করা হতে পারে। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব ? ব্লগ সাইটের নিয়ম শৃঙ্খলা কোথায় জানতে পারবো ? আমাকে এ বিষয়ে সমাধান দিতে পারবেন কি? আমার উপর নজর রাখা বন্ধ হওয়ার জন্য আমি কি করতে পারি ? প্লিজ, সম্ভব হলে আমাকে সহযোগিতা করুন। আমি ব্লগিংয়ের সকল নিয়ম মেনেই লিখতে চাই। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। অনেক ভালো থাকবেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জসীম অসীম । আপনার লেখালেখি যেটুকুন আমি পড়েছি, ভালো লেগেছে । যেহেতু আপনার সব লেখা আমি পড়িনি, কোথায় কি মন্তব্য করেছেন তাও জানিনা- তাই ঠিক কিভাবে আপনি নিয়ম ভেঙ্গেছেন তা একমাত্র মডারেশনই বলতে পারবেন । তবে একজন সাধারণ ব্লগার হিসাবে আপনাকে দুটো পরামর্শ দিতে পারি,
(১) [email protected] এই এড্রেসে মেইল করে আপনার সমস্যার কথা বিস্তারিত জানান, আশাকরি মডারেশন বিবেচনায় নিবেন ।
(২) ব্লগ পেজের উপরে থাকা '?" আইকনে ক্লিক করে 'ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলী' পড়ে নিতে থাকেন ।
আপনার দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা আর লেখালেখি দিয়ে ব্লগ ঋদ্ধ হোক । সেই সাথে ব্লগের বিভিন্ন পোস্টে দায়িত্বশীল মন্তব্য এবং আলোচনার মাধ্যমে কমিউনিটি ব্লগিংয়ে আপনার অংশগ্রহন নতুন ব্লগারদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক ।
শুভকামনা নিরন্তর ।
৮২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ভালো লাগলো মামুন ভাই। অনেক দিন পর ব্লগে এসেই, আপনার লেখা পরলাম। শুভকামনা জানবেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ নাহিদ রুদ্রনীল । আপনার জন্যেও শুভকামনা । ভালো থাকবেন ।
৮৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: একটি পূর্নাঙ্গ অসাধারণ গল্প।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৮৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: নতুন লেখা চাই ---------
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, ধন্যবাদ । ব্লগে যাস্ট উঁকি দিয়ে পড়ে যাই । ব্যস্ততা কাটাতে পারছিনা, একটু দেরি হবে আপু ।
৮৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
জসীম অসীম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই পরামর্শের জন্য। আপনার সকল পরামর্শ আমার জন্য পাথেয় হয়ে রইলো। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক অনেক ভালো।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন:
৮৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মামুন,
ভাবলুম গল্প দিলেন হয়তো, তাই আপনার ব্লগ বাড়িতে আসা। তা নতুন গল্প দিচ্ছেন না কেনও ! পাঠক বিনামূল্যে পড়ে যাই বলে
হাহ হাহ হা।। শুভেচ্ছা ...
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । পাঠকের প্রত্যাশা লেখকের জন্য আনন্দের । মাস খানেক ধরে পেশাগত দিক দিয়ে অস্থির সময় পার করছি । শুধু সাময়িক চাপমুক্ত হওয়ার জন্য পাঠক হিসেবে উকিঁ দিয়ে যাই । তাই পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে লেখক এই মুহূর্তে অক্ষম বটে । বেঁচে থাকলে লেখালেখি চলবে বৈকি!
আনন্দ পেলাম সুপ্রিয় অন্ধবিন্দু । ভালো থাকা হোক । শুভকামনা ।
৮৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ বড় লেখা- কিন্তু পড়তে একটুও কষ্ট হলনা মামুন ভাই।
দারুন মোহাবিষ্ট হয়ে পড়লাম।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তপন ভাইয়া
৮৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শুভ জন্মদিন প্রিয় মামুন ভাইয়া।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজান
৮৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
শুভ জন্মদিন ৷
মঙ্গল হোক ৷
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৯০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮
আরজু মুন জারিন বলেছেন: জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা মামুন ভাই। ভাল থাকবেন কেমন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু
৯১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা মামুন ভাই । অনেক ভাল থাকবেন এই শুভকামনা থাকলো । আপনার পরিবারের সবার জন্য দোয়া থাকলো ।সবাইকে নিয়ে অনেক সুখে থাকুন ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম
৯২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক আগের লেখাটা পড়লাম দেরী করে। ইস্কাপনর টেক্কা বরাবরই সাহেবের উপরেই শুধু না সব কুর উপরেই ট্রাম্প করে। করবেও।।
বিভিন্ন লেখায় জানলাম গতকাল আপনর জন্মদিন। শুভেচ্ছা নিতে কিন্তু ভুলবেন না।।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৯৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
অদৃশ্য বলেছেন: অর্ধেকটা পড়তে পারলাম মনে হচ্ছে, বা তারথেকে কিছুটা কম... পরেরটুকুর জন্য সময় দরকার...
মামুন ভাইয়ের জন্য
শুভকামনা...
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য । আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে ।
৯৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই জীবনের প্রকৃত ট্র্যাজেডিগুলো কাওকে বলা হয়ে ওঠেনা।
গল্পে ভাললাগা রইল।আগে অনানষ্ঠানিক ভাবে অনুসরন করতাম এবার আনুষ্ঠানিক অনুসরনে নিলাম।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
৯৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২০
অদৃশ্য বলেছেন: দারুন গল্প পাঠ করা হলো মামুন ভাই... একেবারে শেষে এসেই ট্রাজিক ফিল করলাম, অনেক হাসার পরে সম্ভবত প্রায়শই এমন ফিলিংস হয়ে থাকে...
শুভকামনা...
২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়ে আনন্দ পেলাম ।
ভালো থাকবেন কবি ।
৯৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভিন্নরকম!
ভালো লাগলো। অনেক।
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ। সবসময়।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: প্রথম ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম। বিরতি নিয়ে নিয়ে চমৎকার সব গল্প উপহার দিচ্ছেন মামুন ভাই।