![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেবার প্রথম রাঙামাটি যাই, দীর্ঘ পাহাড়ী পথের উঁচুনিচু বাঁকে দুলছিল আমার সুখস্বপ্ন! বিয়ের পর প্রথমবারের মত আমার স্বামীর কর্মস্থলে যাচ্ছি, স্বপ্ননীড় বাঁধব বলে! একটা ছোট্ট সংসার সাজাবো আমি আর আমার প্রাণের মানুষটি মিলে । দীর্ঘযাত্রার অবসাদ কেটে গেলো পূব আকাশে সদ্যফোটা সোনালী কিরণে । হিম বাতাসের মিষ্টি সুবাস আর ভোরের অরুণ আভা মেখে রাহাতের হাতে হাত রেখে হলো শুভ গৃহপ্রবেশ!
ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স কোয়ার্টারে আঁচলভরা সুখ নিয়ে কাটছিল আমার নতুন জীবন । ভালোবাসার মধুময় খুনসুটি আর চড়ুইভাতি সংসার! একসময় টের পাই, আমাদের ভালোবাসা অজান্তে বেড়ে উঠছে আমার জঠরে । দুহাতের মুঠোয় রাহাতের চুল টেনে কাছে এনে বলি, কিছু বুঝতে পারছো! সলাজ মিষ্টি হেসে মিইয়ে যায় রাহাত, কানপেতে অস্থিত্ব খুঁজে বেড়ায় আপন ভালোবাসার।
রাঙামাটিতে আনন্দেই ছিলাম । কিন্তু আমাদের অনাগত ভালোবাসার জন্মসময় এগিয়ে আসায় রাহাত কোন ঝুঁকি নিতে চাইলো না । আমি চলে এলাম ঢাকায় । রাহাত আর আমার জীবনে দীপ জ্বালাতে কোলজুড়ে এলো এক ছোট্ট মিষ্টি ভালোবাসা ।
ছোট্ট বাবুটা আসার পরে আমি ঢাকায় ছিলাম । রাহাত ছুটি পেলেই ছুটে আসত আমাদের কাছে । আর্মির চাকরিতে চাইলেই তো আর ছুটি মেলেনা! রাঙামাটি থেকে সময় পেলেই ফোন করত, মামনি কে দেখার জন্য পাগল হয়ে যেত । ঢাকায় থেকে থেকে আমিও অস্থির হয়ে উঠেছিলাম । আমার ছ'মাসের মেয়েটা খেলার সময় আপনমনে বু বু করে ঠোঁঠ নাড়ায় । রাহাতকে বলি, শুধু আমি না তোমার মেয়েও বাবা'র জন্য অস্থির! আমাদের নিয়ে যাও তোমার কাছে।
রাহাত রাঙামাটি থেকে কাপ্তাই বদলি হয়ে গেছে । মামনিকে নিয়ে আমরা সেখানে কোয়ার্টারে উঠলাম । জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভেতরে সংরক্ষিত এলাকায় আমাদের কোয়ার্টার । সুবিশাল লেক আর সুউচ্চ পাহাড়সারি মিলিয়ে এক অদ্ভূত সুন্দর জায়গা । লেকের পূর্বপাশে এক বিশাল পাহাড়ের মাঝখানে অফিসার্স কোয়ার্টার । নিচে পাহাড়ের ঢাল খাদ বেয়ে কাপ্তাইয়ের জল ছুঁয়েছে । উপরে বুনোজঙ্গলে ঘেরা আকাশছুঁয়া পাহাড়চূড়া, একটার পর একটা পরতে পরতে সাজানো যেন!
এখানকার বাসাগুলো বেশ পুরনো । পাহাড়ের ভাঁজ কেটে অদ্ভূত নকশায় বানানো ছোট ছোট একতলা বাড়ি । অনেকটা কিউববক্স আকৃতির । অনেকে বক্স কোয়ার্টারও বলে । মোটা লোহার গরাদের মত প্রবেশ পথ । পুরো বাড়িতে কোন দরোজা জানালার অস্থিত্ব নেই । উইন্ডোটাইপ পুরানো এসিগুলো অক্সিজেনের যোগান দেয় । প্রতিটা রুমের দেয়ালের উপরিভাগে এক ফুট বাই দুই ফুট গ্লাস ঘেরা স্কাইলাইট । সূর্যের আলো পাওয়ার এটাই একমাত্র উৎস । মশা, কীটপতঙ্গ, সাপ আর উচ্ছেদ হওয়া পাহাড়ীদের ভয়ে এরকম দুর্গসম ডিজাইন । বাসার সামনে সৃজিত সুন্দর বাগান । এই বাসাগুলো যখন তৈরি হয়, বুনো জঙ্গল আর কিছু আদিবাসী ছাড়া হয়ত এখানে আর কিছুই ছিল না ।
পাহাড়গুলো মুলত মুরং বসতি । নির্জন পাহাড়ে তাদের জুমভিত্তিক নিরিবিলি জীবন । রাহাত বলে, পরের পাহাড়গুলো আরো দুর্গম, যাওয়ার মত কোন রাস্তা নেই । হেলিকপ্টার দিয়ে ওরা প্রায়ই এই দুর্গম পাহাড়ের উপর দিয়ে উড়ে যায় । মাইলের পর মাইল বুনো প্রকৃতি, কপ্টার নামানোর মত ফাঁকা জায়গাও নেই । বিরাণ এই উপত্যকার চূড়ায় মাঝে মধ্যে দুয়েকটা বসতি চোখে পরে । আদিম এই মানুষগুলো পাহাড়চূড়া থেকে কখনোই নিচে নামেনা । জীবন যাপনের সব আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে তারা নিজেদের ইচ্ছকৃতভাবে দুরে রেখেছে । এমনকি তারা স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে নিজেদের শরীরটুকু আবৃত রাখার প্রয়োজনও বোধ করেনা । রাহাতরা কখনো কপ্টার থেকে জামাকাপড় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে আসে, কিন্তু ওরা এগুলো ছুঁয়েও দেখে না ।
সপ্তাহে দুই-তিন দিন রাহাতকে সার্চ অপারেশনে যেতে হয় । সম্প্রতি সরকারের সাথে শান্তিবাহিনীর শান্তিচুক্তি হওয়ায় পাহাড়ে শান্তির একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে । কিন্তু একটি পক্ষ এখনো এই চুক্তিতে আসতে রাজী হয়নি । দুর্মম পাহাড়ের গভীরে তারা ঘাটি গড়েছে । পাহাড়ের গভীর অরণ্যে এই সন্দেহজনক ক্যাম্প খুঁজতে আর্মির একেকটা দলকে অপারেশনে যেতে হয় । রাহাতের ডিউটি থাকলে মামনি আর কাজের দুজন মহিলাকে নিয়ে আমার বাসায় থাকতে হয় । এমনিতে নিরাপত্তা নিয়ে কোন সমস্যা নেই । কোয়ার্টারের চারপাশ কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা । কিছুক্ষণ পর পর সেন্ট্রিপোস্ট । কোনকিছুর প্রয়োজন হলে ইন্টারকমে মেইনপোস্টে জানিয়ে দিলে হয় । ওরা বাসায় এনে পৌছে দিয়ে যায় । দিনের বেলা আমরা মহিলারা মিলে গল্প আড্ডা দিয়ে কাটাই । সন্ধ্যার পর যে যার নিরাপদ দুর্গে ঢুকে পরি ।
সেই রাতে রাহাত ছিল অপারেশনে । আমার মেয়েটা ঘুমুতে দেরি করছিল । ওর বাবা না থাকলে ওকে ঘুম পাড়াতে কষ্ট হয় । অনেক রাত জেগে দুজন ঘুমিয়েছি । হঠাৎ কিসের শব্দ পেয়ে ঘুমটা ভেঙ্গে এলো! চোখ খুলে দেখি আবছা অন্ধকারে এক জোড়া চোখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে । পলকহীন উৎসুক দৃষ্টি! ভয়ের একটা শিহরণ সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ছে যেন! আমি চিৎকার করার চেষ্টা করেও পারছি না । আমি হাত পা নড়াতে পারছিনা, এমনকি কিছু ভাবতেও পারছি না..
সকালে কাজের মহিলা জানালো আমি ঘুমের মাঝে জ্ঞান হারিয়েছিলাম । রাতের সেই চোখজোড়া তখনো চোখে ভাসছিল । কাজের মহিলাদের সেটা জানাই নি । ওরা ভয় পেলে আর এখানে থাকতে চাইবে না । বাসায় কিছু সমস্যা হয়েছে জানিয়ে ইন্টারকমে মেইনপোস্টে জানালে তারা সাথে সাথে ওয়্যারলেসে রাহাতকে খবর দেয় ।
রাহাত আসার পর কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি । কিন্তু সে তো হেসেই খুন! বলে, এই নিরাপত্তা বেস্টনি এড়িয়ে কারো পক্ষে এখানে আসা নাকি সম্ভব নয়! এটা নাকি আমার মনের ভুল! অথবা আমি নাকি বেড়ালের চোখ দেখেছি! অন্ধকারে বেড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করে, সেটা দেখেই নাকি আমি ভয় পেয়েছি ।
আমি আর কিছু বলতে পারছিলাম না । শুধু মনে মনে মেলানোর চেষ্টা করছিলাম, ঐ চোখজোড়া জ্বলজ্বল করছিল কিনা! আমার মনে হচ্ছে চোখজোড়া ছিল নিষ্প্রভ, নিবিড় দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়েছিল । সে কথা আর রাহাতকে বললাম না । তবে রাহাত বেশকিছু সতর্কতামুলক পদক্ষেপ নিয়েছে । বাসার ছাদে সার্চ লাইট বসিয়েছে, যেন সেন্ট্রিপোস্ট থেকে আমাদের ছাদ পরিষ্কার দেখা যায় । এর পরে আর কোন সমস্যা হয়নি । রাহাত পাশে থাকলে এমনিতে আমার মাঝে কোন ভয়ডর কাজ করে না ।তবু রাতের বেলা রাহাতের আড়ালে চোখ ঘুরিয়ে দেখেছি, না সেই চোখজোড়া দেখতে পাইনি । কয়েকদিন যেতেই বিষয়টি প্রায় ভুলে গেলাম ।
পরের সপ্তাহে আবার রাহাতের সার্চ অপরেশন ডিউটি । রাতের খাবার খেয়ে রাহাত মামনিকে কাঁধে চড়িয়ে অনেকক্ষণ হাটলো । আমার মেয়ে তার বাবার কাঁধে চড়া খুব পছন্দ করে । বাবার আহ্লাদ পেয়ে তার দুষ্টুমির মাত্রাও বেড়ে যায় । বাসার সামনে জিপ এসে হর্ণ বাজাচ্ছে । "নায়লা লক্ষ্নীটি, ভয়টয় পেয়োনা, সেন্ট্রিপোস্টে বলে দিয়েছি সারারাত যেন নজরদারি করে । কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে মেইনপোস্টে জানিয়ে দিও!"
রাতে মামনির সাথে খেলতে খেলতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি টের পাইনি । ঘূণাক্ষরেও বুঝিনি সেই বিভীষিকাময় রাত আবার ফিরে আসবে । কাঁপুনি দিয়ে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় । শরীরজুড়ে সেই ভয়ার্ত শিহরণ, সেই অদৃশ্য কারো নড়াচড়া! একজোড়া স্থির কৌতুহলী চোখ তাকিয়ে আছে আমার দিকে । চোখের ভাষাটা যেন কিছুটা পড়তে পারছি । ক্রোধ নয়, কেমন যেন কামুক চাহনী । চিৎকার দেব না বলে মনস্থির করলাম । পাশে ঘুমিয়ে থাকা ছোট্ট মামনিটা ভয় পেতে পারে । ইন্টারকমের ফোনটা হাতের নাগালেই ছিল । কাঁপা কাঁপা হাতে কোনরকম ফোনটা উঠিয়ে হ্যালো হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে উত্তেজিত ভঙ্গিতে একজন বললো, "ভয় পাবেন না ম্যাডাম, আমরা দেখছি!" সেন্ট্রির গলা শুনে প্রাণ ফিরে পেলাম যেন! আবার তাকিয়ে দেখি, পূর্ণবয়স্ক মানুষের একটা অবয়ব! ধুপধাপ একটা শব্দ, তারপর কেউ যেন সন্তর্পনে চলে গেলো! স্কাইলাইটের গ্লাসে সার্চ লাইটের আলো পড়ছে । বিছানা ছেড়ে ঘরের আলো জ্বেলে দিলাম ।
"চোখজোড়া কোন জায়গা থেকে তোমাকে দেখে বলতে পারো? স্কাইলাইট থেকে??
রাহাতের প্রশ্নে সম্বিত ফিরে পেলাম । উপরে স্কাইলাইটের দিকে তাকালাম, সারা ঘরের দেয়ালজুড়ে খুঁজলাম । ঠিক কোথায় যেন চোখজোড়া দেখি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না । রাহাত আমার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলে, "ঘুমানোর সময় তোমার পরণে কি ছিল?" প্রশ্ন শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে আমি বলি, মানেটা কি?
"না মানে, কোন ড্রেস পড়ে ঘুমিয়েছিলে?"
-এইতো নাইট গাউন পড়ে!
"গাউনটা ঠিকঠাক শরীরে ছিল? মানে.."
-কি সব পাগলের মত কথা বলছো! গাউন ঠিক থাকবে না কেন?
আমি অবাক হয়ে রাহাতের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি । রাহাত চোখমুখ শক্ত করে আছে । বিড়বিড় করে বলছে, 'সার্চ লাইট দিয়েও সেন্ট্রিরা কিছু দেখতে পায় নি..!!'
তারপর কেটে গেলো আরো কয়েকটা দিন । রাহাত এবার ব্যাপারটা খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে । হাতে একটা টর্চ নিয়ে সারারাত ঘুমানোর ভান করে বিছানায় চাদরমুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকে । সারাক্ষণ তার গোয়েন্দা দৃষ্টি স্কাইলাইটের উপর ঘুরে বেড়ায় । এই কয়দিনে চোখজোড়ার ছায়াও দেখা মিলেনি । এদিকে রাহাত ঐ রহস্যমানবকে ধরার একটার পর একটা পরিকল্পনা করে যাচ্ছে । কিন্তু তার কোন পরিকল্পনাই কাজে আসছে না, কারণ রহস্য মানব লাপাত্তাশয়ে গেছে।
অন্ধকারে সেই পরিচিত খচখচ শব্দটা কানে আসতেই সতর্ক হয়ে গেলাম । রাহাতের পিঠে হাত রেখে বুঝলাম সে ঘুমোচ্ছে । তার আর দোষ কি! রহস্য মানবকে ধরার জন্য টানা কয়েকরাত জেগে সেও দুর্বল হয়ে গেছে । স্কাইলাইটের দিকে ভালো করে তাকালাম । সেই এক জোড়া চোখ! আজকে মুখের অবয়বটা আরও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । তবে রহস্য মানবকে আজ কিছুটা অস্থির দেখাচ্ছে । একবার স্কাইলাইট দিয়ে ভেতরটা দেখছে, আবার ডানে বায়ে মাথা ঘুরিয়ে আশপাশটা দেখে নিচ্ছে । রাহাতের পিঠ মৃদু খামচি দিয়ে ফিসফিস করে বললাম, ঐ যে আসছে!
রাহাত আমার হাতে চাপ দিয়ে বলে, চুপ আস্তে! তারপর টর্চের তীব্র আলো গিয়ে পড়ে স্কাইলাইটের উপর । মুখের উপর আলো পড়তেই রহস্য মানবটা মনে হলো প্রচন্ড ভড়কে গেছে! কিছু মুহূর্তের জন্য তার চোখজোড়া কেঁপে উঠে । তারপর ধুপ করে হাওয়ায় মিলিয়ে যায় । রাহাত সাথে সাথে মেইনপোস্টে ফোন করে । সার্চলাইটের আলোতে পুরো কোয়ার্টার এলাকা উজ্জ্বল হয়ে উঠে । আধ ঘন্টা ধরে পুরো এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সেন্ট্রিরা সন্দেহজনক কিছুই পায় নি ।
রাহাত বিষয়টা নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়ে গেছে । তার চোখে মুখে চিন্তার বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে । সে একটার পর একটা ছক কষে যাচ্ছে, কিন্তু কোনটাই কাজে আসছে না । আমি হঠাৎ করে বললাম, আচ্ছা সে তো রহস্য মানব না হয়ে অন্য কিছুও হতে পারে? প্রশ্ন শুনে রাহাত আমার দিকে বোকার মত চেয়ে বলে, কি বলতে চাও তুমি? আমি বলি, এই পাহাড়ে জঙ্গলে অশরীরী বা অতিপ্রাকৃত অনেক ঘটনাই ঘটে । কত গল্প উপন্যাস লেখা হয়েছে এগুলি নিয়ে!
রাহাত আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে, নায়লা কল্পনায় ফ্যান্টাসির ঘোড়ায় চড়ে সাগর নদী পাড় হওয়া খুবই সহজ! কিন্তু আমি এই দুর্গম পাহাড়ের গভীর অরণ্যে রাতের পর রাত ডিউটি করেছি । অশরীরী বা অতিপ্রাকৃত কিছু থেকে থাকলে অনেক আগেই তাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হতো । তুমি এটা নিয়ে ভেবোনা, এই রহস্য মানবকে ধরার সব সায়েন্টেফিক উপায় আমি খুঁজে দেখছি ।
রাহাত রিডিং রুমে কম্পিউটার খুলে বসে আছে । মামনি হাটিহাটি পা পা করে একবার ওর বাবাকে ছুঁয়ে আসছে, আরেকবার আমাকে এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে । বাবা বাসায় থাকলে ওর আনন্দের শেষ নেই! রাহাত সারাদিন ইন্টারনেটে ব্রাউজ করে বিকেলে বেরিয়ে গেল । সন্ধ্যায় টেকনেশিয়ান এনে ছাদে কি সব করলো! রাহাত আমার দিকে মিচকা হেসে বললো, সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছি!!
-কেন?
"লুকিয়ে দেখতে আসা আমার বউয়ের প্রেমিক বাবাজিটা কে, সেটা দেখতে হবে না!
আমি হাসতে হাসতে ওর পিঠ জড়িয়ে বলি, 'তুমি থাকলে কেউ আসবে না! রাহাত কপাল কুঁচকে বললো, "ও তাই নাকি! আচ্ছা, এত দুর..!' আমি পেছন থেকে চুলের মুঠি ধরে টান দিয়ে বললাম, ফাজলামো হচ্ছে খুব!
রাহাত এবার আরো সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললো, "আমি তোমার পাশে আছি কি না, এটা জানতেও তিনি একবার আসতে পারেন!'
হাহাহা, তারপরে দুজনেই হেসে হেসে লুটোপুটি খেলাম ।
রাতে রাহাত বললো, 'তুমি শুয়ে পড়ো, ক্যামেরায় সেই রহস্যময় আগুন্তক ধরা পরেন কিনা, আমি চেক করি!' আমি বাবুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম । রাহাত পাশে থাকলে দস্যু দানোর ভয় আমি করি না! সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখি রাহাত বিছানায় নেই! রিডিং রুমে কম্পিউটারের সামনে মাথা রেখে বসে বসে ঘুমোচ্ছে । 'আশ্চর্য্য, বিছানায় এসে ঘুমোবে না! এখন উঠো, ফ্রেস হও, আমি চা আনছি!' রাহাত চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে গোপন ক্যামেরায় আসা গত রাতের ভিডিও ফাইল টেনে টেনে দেখতে থাকে । চা নিয়ে এসে দেখি সে চোখদুটো বড় বড় করে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে ।
-কি হলো? 'না- কিছু না' বলে ভিডিওটা বন্ধ করে আমার হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে চুমুক দেয় । একি, বাসি মুখে..
'হ্যাঁ, তুমি আমার পাশে এসে লক্ষ্ণীটির মতো করে বসো! তোমাকে মুরংদের একটা মজার গল্প শুনাই..।'
আমি রাহাতের পাশে এসে বসলাম । চা'য়ে চুমুক দিতে দিতে রাহাত গল্প বলে যাচ্ছে । দুরের পাহাড়ের চূড়ায় এক ধরণের হনুমান বাস করে । এরা কখনো চূড়া ছেড়ে নিচে নামে না । আগে সংখ্যায় অনেক ছিল, এখন কমতে কমতে অতিবিলুপ্ত শ্রেনীতে নাম লিখিয়েছে । এই হনুমানেরা ছিল অসম্ভব প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন । অনেকটা মানুষের মত । মানুষের মতোই ছিল তাদের অঙ্গভঙ্গি, ভাব প্রকাশের কায়দা । তো, এই হনুমানদের একটা মজার প্রবৃত্তি মুরংদের বেশ ঝামেলায় ফেলে দিত । পাহাড়ী ঝিরিতে স্নান করার সময় তারা মুরং মেয়েদের জামাকাপড় ছিনতাই করতো!
'হাহাহা, এতো দেখি হনুমানের কৃষ্ণলীলা!' রাহাতের গল্প শুনে আমি হেসে ওর উপর লুটিয়ে পড়ি!
-হ্যাঁ, হনুমানের কৃষ্ণলীলা! ওরা মুরং পুরুষের কাপড়চোপড় কখনো ছিনতাই করতো না । শুধু মুরং মহিলাদের..
"ওমা, তাই!"
-"হ্যাঁ, পার্ভাটেড মানুষের প্রবৃত্তি যেন! কাপড় ছিনিয়ে নিয়ে ওরা মেয়েদের নগ্ন দেহ দেখে মজা পেত । বুড়ো মুরংদের কাছে অতীতে ওদের মহিলাদের উপর এই হনুমানের আক্রমনের অনেক গল্প শুনা যায় । ঘটনাগুলো হয়ত বিশ-পঞ্চাশ বছর আগের । তখন এই পাহাড়ে ছিল মানুষে হনুমানে যৌথ রাজত্ব! ইন্টারনেট ঘেটে জানলাম, বিরুথ গেল্ডিকাস নামের একজন জার্মান মহিলা এই প্রজাতির হনুমানের বোর্ণিওয়ান আত্মীয় ওরাংওটাং নিয়ে গবেষণা করতেন । অনেক বছর ধরে বোর্ণিওর গহীণ জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন । একবার কয়েকটা দামড়া পুরুষ ওরাংওটাং তাকে আক্রমন করে বসে । আক্ষরিক অর্থে আক্রমন নয়, সেক্সোয়াল এসাল্ট!
"কি বলো! এও কি সম্ভব?"
-'হ্যাঁ সম্ভব! মানুষের সাথে এদের প্রায় নব্বোই শতাংশ জিনগত সাদৃশ্য রয়েছে । আমি ঐ ভদ্রমহিলার ছবি দেখেছি, তিনি নিঃসন্দেহে অসম্ভব রুপবতী ছিলেন!
আমি অবিশ্বাসী সুরে বলি, 'এই সকালবেলা এসব গালগল্প না শুনালে হয় না!'
রাহাত তার হাত দিয়ে আমার কাঁধ শক্ত করে ধরে বলে, "না নায়লা, গালগল্প নয়! চরম বাস্তব একটা সত্য তোমাকে শুনাতে যাচ্ছি..
আমি জানতাম, এই পাহাড়চূড়ায় এখনো দু'চারটা হনুমান থাকা বিচিত্র নয় । অতীত অভিজ্ঞতায় তারা জানে আমাদের এই কোয়ার্টারগুলোতে মহিলারা থাকেন । সেন্ট্রিদের নিরাপত্তাবেস্টনী এড়িয়ে এদের এখানে চলে আসা অসম্ভব কিছু নয়! অন্তত আমার গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়া ভিডিও ফুটেজ এটাই বলে, গতরাতেও এই দামড়া হনুমান অনেকক্ষণ ধরে তোমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়েছিল! তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছিলে বলে টের পাওনি । হয়ত কোনদিন বেখেয়ালে তোমার গাউন ঠিক ছিলনা, হতেই তো পারে এরকম! তোমার উন্মুক্ত শরীর আর রুপসৌন্দর্য্য তাকে আকৃষ্ট করেছে! তারপর থেকে রোজ রাতে, বিশেষকরে যে রাতে তুমি একা থাকো- স্কাইলাইটের গ্লাসের ওপার থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে তোমাকে দেখে..
আমি কিছুই ভাবতে পারছিনা! মাথাটা ভনভন করে যেন ঘুরছে । রাহাত ইতিমধ্যে গত রাতে তোলা ভিডিও টেপ ছেড়ে দিয়েছে । একটা বুড়ো আদিম বনমানুষ হেলে দুলে ধীর পায়ে হেটে যাচ্ছে । কিছু সময়ের জন্য ক্যামেরার দিকে তাকিয়েছে, তার মুখটা ভেসে এলো স্ক্রীনজুড়ে । সেই একজোড়া উৎসুক চোখ আমার সামনে! হ্যাঁ হ্যাঁ, সেই চোখ জোড়া..
*******************************************
গল্পটি সত্যকাহিনী নিয়ে লেখা । গল্পের মুল থিম এবং তথ্য সংগ্রহ করেছেন ব্লগার নিমচাঁদ ভাই । শিরোনামটাও তার দেয়া ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: এমন চমৎকার একটা গল্পের থিম শেয়ার করা, রিলেটিভ তথ্যগুলো নেট ঘেটে বের করা এবং সর্বোপরি সম্প্রতি অলস হয়ে পড়া আমাকে দিয়ে এক সন্ধ্যায় গল্পটা লেখানোর কৃতিত্ব পুরোটাই আপনার । পরিচয়ের শুরু থেকেই নিরবে নিভৃতে এই অকৃতি আপনার অনুপ্রেরণা পেয়ে চলেছে নিরন্তর।
গল্পের শিরোনামটাও খুব ভালো হয়েছে
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: রহস্য রোমাঞ্চ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আজমান আন্দালিব ।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বাংলা সিনেমার বিখ্যাত যুগ্ন পরিচালক শিবলি ও সাদিক এর নাম শুনেছি; হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত যুগ্ন পরিচালক আব্বাস-মাস্তা এর নাম শুনেছি; হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত যুগ্ন সঙ্গিত পরিচালক নাদিম শ্রাবন এর নাম শুনেছি; হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত যুগ্ন কম্পোজার যতিন-লিলত এর নাম শুনেছি আজকে পরিচয় পেলাম যুগ্ন গল্প লেখক নিম চাঁদ ও মামুম রশিদ ভ্রাতৃত্বদ্বয় এর।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, এই আবিষ্কারের কৃতিত্ব পলাশ ভাইয়ের
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অদ্ভুত ব্যাপার.....
তবে গল্প-কথনটা বেশ ভাল লাগল
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আফসানা যাহিন চৌধুরী
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
নিমচাঁদ বলেছেন: মস্তফা সরোয়ার পলাশ একটা পচা এবং দুষ্টু ছেলে
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: হেহে
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি ভয়ংকর ব্যাপার ...।
এক দমে পড়ে ফেললাম , আপনি চমৎকার সাজিয়েছেন ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৩
মনে নাই বলেছেন: অদ্ভূত রকম।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
আবু শাকিল বলেছেন: গল্প চমৎকার।
সুন্দর করে সাজিয়ে লিখেছেন।
বরাবরের মত ভাল লেখা
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: গল্পটি পড়তে পড়তে আমাকে ঘরের জানালা লাগিয়ে দিতে হয়েছে। মাঝ পথে গায়ে কাটা দিচ্ছিল। লেখকের বর্ননা ও গল্পের কাহিনীটা অত্যন্ত চ্যঞ্চল্যকর মনে হচ্ছিল আমার কাছে।
পরে যখন জানলাম ঘটনার উৎস বাস্তব কিছু থেকে নেয়া তখন আরো চমৎকৃত হলাম। লোক মুখে শোনা কোন মিথ কে এভাবে গল্পে সাজানো কম বাহাদুরী নয়। টোটাল টোটাল কাহিনীটা এমন ভাবে সাজিয়েছেন মামুন ভাই আমার মনে হচ্ছিল এটি আসলেই বাস্তব। এবং আমি নিজেই ভয় পাচ্ছিলাম।
নিম চাঁদ দা কে ধন্যবাদ উনার স্বভাবজাত কৌতূহল দিয়ে এমন একটা কাহিনী বের করে আনার জন্য।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, সুন্দর পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ধন্যবাদ মৃদুল
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যৌথ প্রযোজনার অতিপ্রাকৃত অথবা প্রাগৈতিহাসিক গল্প ভালো লাগলো। অনেক গতিশীল গল্প।
+++++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কুনো
১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি! এটা কি সত্য কাহিনী নাকি?? এমনটাও কি হয়!!!
খুবই ভালো পাইলাম ব্যাপারটা!!!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, ধন্যবাদ কাল্পনিক
১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: বাপরে !!! কি ভীষণ ব্যাপার !!! নিম ভাইয়াকে থ্যাংকস এমন একটা গল্প মামুন ভাইকে বলার জন্য ! মামুন ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ এতো চমৎকার করে লেখার জন্য ! খুব বেশি সুন্দর লেখেন আপনি !
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ তিতির আপু
১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: হে হে হে হে !!
শেষে আইসা এই কি টুইস্ট !!
নিমচাঁদ ভাইয়ের গল্প না, শেষ টুইস্ট না থাইকা কি পারে !
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অপু
১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২০
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: রহস্য কারে বলে !!!!! পুরাই মুভির মত একটা সাসপেন্স
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য
১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৩০
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল্ ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বরাবরের মত সুন্দর লেখনভঙ্গি।শুভেচ্ছা।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা
১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পের বাস্তবতা ও গল্প উপস্থাপনের দক্ষতা দুটোই মুগ্ধ করল ভাই মামুন রশীদ।শুধু কামুকতায় নয় মানব সন্তানেদর ব্যাপারেও কোন কোন বন্যপ্রাণীর রয়েছে বিশেষ ধরণের দূর্বলতা।বনমানুষ,ভাল্লুক...ইত্যাদি প্রাণীর মানব শিশুদের চুরি করে জঙ্গলে নিয়ে লালন-পালন করার বাস্তব উদাহরণ রয়েছে।এ ধরণের শিশুদের ফেরাল মানব বা ওয়াইল্ড চাইল্ড বলে।কেন তারা মানুষের প্রতি এভাবে আকৃষ্ট হয় সেটা বেশ একটা ইনটারেস্টিং গবেষণার বিষয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই । আপনার মন্তব্যের তথ্যগুলো এই গল্পের জটিল প্যারাসাইকোলজি বুঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ।
সত্যিই ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং ।
১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৫
জুন বলেছেন: রোমাঞ্চকর + রোমান্টিক গল্পের সংমিশ্রনে এক দারুন গল্প মামুন। যৌথ প্রযোজনা ভালোলাগলো অনেক ।
+
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: রো রো গল্প ভালোলাগায় ধন্যবাদ জুনাপ্পী
১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯
তুষার কাব্য বলেছেন: অদ্ভুত শিহরণ জাগানিয়া গল্প..টান টান উত্তেজনা নিয়ে শেষ করলাম...গল্পের পিছনের গল্পটা জানতে মন চায়...শুভেচ্ছা দু'জনকেই
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য । পেছনের সত্য ঘটনাকেই গল্পে রুপান্তরের চেষ্টা করেছি ।
২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
বৃতি বলেছেন: রোমাঞ্চকর রহস্যগল্প। ভালো লাগলো ভাইয়া।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি
২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং একটা গল্প ভ্রাতা +++++++
আধিভৌতিক , রহস্য , বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য সবই আছে দেখছি ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছা অনেক
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: থ্যান্কু ভ্রাতা থ্যান্কু
২২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: অসাধারণ মামুন ভাই এবং নিমচাঁদ ভাই। গল্প নিয়ে ত কিছু বলার দরকার নাই। পরিবেশনা এত নিখুঁত! সেরা সময়ের সাউথ আফিকান ক্রিকেট টিমের ফিল্ডিং এর মত।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: কমপ্লিমেন্ট পেয়ে ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ
২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
ডট কম ০০৯ বলেছেন: সত্য কাহিনী পইড়া কেমুন জানি ডর ডর লাগতাছে।
বৌ তুমি কুম্মে?
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: সিসি ক্যাম্রা ছাড়া কুনু উপায় নাই
২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা অার সাবলীল লেখার টানে গল্প পড়ে বেশ মজা পেলাম। অনেক দিন পর অাপনার গল্প পড়লাম। শেষে দেখলাম, নিমচাঁদ ভাইয়ের পল্ট নিয়ে অাপনি লিখেছেন। তাই দু'জনেরই ধন্যবাদ প্রাপ্য।
রহস্যে ভরা রোমাঞ্চকর গল্পে ৬ষ্ঠ ভাল লাগা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন । ভালো থাকবেন
২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১
ফা হিম বলেছেন: অনেকটা যেন ইমন জুবায়ের ভাইয়ের গল্পের স্বাদ পেলাম। সত্যি বড় অবাক করা ব্যাপার, এমনও হয়? আমার মনে হয় কি, বিবর্তনের পথে আটকে যাওয়া কোন প্রজাতি হয়তো এগুলো। পুরোপুরি মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি, কিন্তু মানুষের প্রতি আগ্রহও আছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: আমার মনে হয় কি, বিবর্তনের পথে আটকে যাওয়া কোন প্রজাতি হয়তো এগুলো। পুরোপুরি মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি, কিন্তু মানুষের প্রতি আগ্রহও আছে।
চমৎকার বলেছেন ফাহিম । গল্প পাঠে ধন্যবাদ
২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
তাহলে তো নাম উপযুক্ত হয়েছে.... প্রাগৈতিহাসিক প্রবৃত্তি!
ভাই, হনুমানের কাহিনিতেই যে সাসপেন্স সৃষ্টি করেছেন... শেষ পর্যন্ত না পড়ে কিছুই বুঝতে পারলাম না... (আমি আবার ‘স্পিড রিডার’ কিনা!)
সত্য গল্পের চেয়েও অদ্ভুত... সহব্লগার নিমচাঁদ যথার্থ বলেছেন।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: যাক আপনাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও সাসপেন্সের মাঝে রাখা গেলো
হাহাহ, ধন্যবাদ প্রিয় মইনুল ভাই
২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪০
কলমের কালি শেষ বলেছেন:
অন্যরকম একটা গল্প তাও আবার সত্যি ঘটনা অবলম্বনে !!
বেশ মজা পেয়েছি ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেছেন: খুব ভালোলাগছে মামুন ভাই (y)
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ইঞ্জিনিয়ার
২৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: বহুদিন পর গল্প পড়লাম,অনেক ভালো লাগা ভাই।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকেও অনেকদিন পর দেখলাম । ভালো থাকবেন
৩০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
পার্থ তালুকদার বলেছেন: বুঝেছি, এবারের বান্দরবন ভ্রমনের গল্প এটা ।মামুন ভাই, আমাকেও বান্দরবন নিয়ে যান, আমিও এই দুশ্চরিত্র বান্দরদের নিয়ে গল্প লিখব !! যদিও গল্পের কথন আপনার ধারে কাছে যাবে না । তবুও বান্দরবন যামু
অনেক দিন পর লিখলেন মামুন ভাই। প্লিজ, আরো লিখুন।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, তা না হয় যাবেন, কিন্তু আপনিতো এখনো চা খেতেই এলেন না !!
ধন্যবাদ পার্থ
৩১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৬
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার একটি গল্প মামুন ভাই। প্রকাশভঙ্গির কারণে গল্পটা পড়তে খুব ভালো লেগেছে।
প্রাপ্ত কমেন্ট এর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। গতকালই গল্পটা পড়েছিলাম। ইচ্ছা করে কমেন্ট দেই নি। ১০০০০ নং কমেন্ট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হল না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হায় হায়! এই বিষয়ে আমি কিছুই অবগত ছিলাম না
সে যাই হোক, বিষয়টা আপনি পর্যবেক্ষন করেছেন এবং আমার ব্লগে ১০০০০ তম মন্তব্য দিতে মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করেছেন, এটা আমার জন্য আনন্দময় প্রাপ্তি ।
ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়! আর যেহেতু আমি জানিনা ঐ মাইলস্টোন মন্তব্যটা কার হাত দিয়ে এসেছে, আপনাকেই আমার ব্লগে ১০০০০ তম মন্তব্যকারী হিসেবে ঘোষণা করলাম ।
শুভকামনা ভাইজান
৩২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
আরুশা বলেছেন: ভয়ংকর তো :-& । ডিসেম্বরে পরিকল্পনা ছিল বাবা মা ভাইবোন নিয়ে বান্দারবন যাবার মামুন রশিদ ভাই পোস্টে +++++++
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, যান ঘুরে আসুন । ভয়ের কিছু নেই
৩৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এমনো সম্ভব ?
আপনার লেখনীতে গল্পটাতে একটা অদ্ভূত মায়াময় আবহ চলে এসেছে !
গল্পের মূল চরিত্রকে খুব করে অনুভব করছিলাম !
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অভি
৩৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২১
লেখোয়াড় বলেছেন:
গল্প হলেও সত্যি, সত্যি হলেও গল্প।
গল্পকার মামুন সার্থক।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ লেখোয়াড় ভাই
৩৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বিবর্তনীয় নৃ-বিজ্ঞানে ওরাংওটান মোস্ট ইন্টারেস্টিং আর এদের সূক্ষ্মবুদ্ধিও কিন্তু তাজ্জব করে দেওয়ার মতোই। সুমাত্রা বা বোর্ণিওতে স্থানীয় মানুষদের সাথে সহস্র বছর ধরে তাদের বসবাস, দাসত্ব আর সেক্সুয়াল প্র্যাকটিসের আদান-প্রদান ঘটেছে কোথাও হয়তো। যদিও একে হাইপোথিসিসই বলবো আমি।
জিনগত সাদৃশ্যের বাইরে এসে দুটো কথা বললুম মাত্র। গল্প ভালো লেগেছে যে...., মামুন রশিদ। এহেন প্রহেলিকায় আমরা আকৃষ্ট হয়ে আসছি এবং হতে থাকবো। গল্পের নামকরণ প্রাগৈতিহাসিক প্রবৃত্তি-র ব্যাপারে আমার একটাই কথা “নেচার ডাজ ইটসেল্ফ”
আপনি কিন্তু বাংলা সাহিত্যের পুরনো পথেই হাঁটলেন। নতুন কিছু চাই হাহ হাহ হা ....
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, উল্লেখযোগ্য সংযোজন ।
শিরোনামের ব্যাপারে আমরা কো-রইটারেরা কেউই সন্তষ্ট নই । নিমচাঁদ ভাই চেয়েছিলেন কাব্যিক নাম, আমি সাসপেন্স জাগানিয়া কিছু । দুই তিন মিনিটের বেশি সময় ছিল না, তাই পরনো পথেই হাটা..
ব্লগ তো খেরোখাতা, আপডেটের সুযোগ এখানে অবারিত
৩৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: সুপার গল্প!!!!!!!!! সেইরকম একটা থিম!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেকদিন পরে এলে । নিয়মিত থেকো, গল্প লিখো
৩৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
ডি মুন বলেছেন: দুহাতের মুঠোয় রাহাতের চুল টেনে কাছে এনে বলি, কিছু বুঝতে পারছো! সলাজ মিষ্টি হেসে মিইয়ে যায় রাহাত, কানপেতে অস্থিত্ব খুঁজে বেড়ায় আপন ভালোবাসার। ---------- বাহ, দারুণ।
পুরো গল্পটাই চমৎকার। ছোট ছোট মিষ্টি বাক্যবুনন আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে বাস্তবতার আলোকে লেখা বলেই হয়ত খুব দ্রুত রহস্যের সমাধান হয়ে গেল। না হলে রহস্য আরো ঘনীভূত হবার সম্ভাবনা ছিলো গল্পটিতে।
সুখপাঠ্য লেখায় +++++++
এমন দারুণ একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে এবং নিমচাঁদ দা কেও ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা সতত।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন । পাঠককে খুব বেশি রহস্যের ঘেরাটুপে আটকে দেয়ার ইচ্ছাও ছিল না তেমন । কারণ, বাস্তবের ধারে কাছেই থাকতে চেয়েছি ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
৩৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গল্প অসাধারন লাগল , চলমান জীবনের ইতিকথা তায় বিবৃত ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু ।
৩৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
আরজু মুন জারিন বলেছেন: অদ্ভুত অভিনব গল্প পড়ছি।আপনি সবসময় বিচিত্র ধরনের প্লট নিয়ে লিখেন যা আমার কাছে আকর্ষনীয় মনে হয়।আপনার লেখা বর্ননার গুনে প্রতিটি লেখাই প্রানবন্ত হয়ে উঠে।
চমৎকার গল্পটি লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।শুভেচ্ছা রইল অনেক অনেক।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আরজু মুন জারিন ।
বার্থডে গার্ল কে আবারো শুভেচ্ছা
৪০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি বলতে কী, হতাশ হলাম। যদিও ঘটনাটা বেশ অদ্ভুত, তবে আরো জমজমাট হবে কাহিনীটা ভেবেছিলাম। এত সহজেই রহস্যটা শেষ হয়ে গেলো!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই ।
৪১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শক্তিশালী হাতের রহস্য রোমাঞ্চ লেখা , খুবই ভালো লাগলো । বেশ কিছু জায়গায় আপনার বাক্যবুনন খুবই ভালো লেগেছে - যেমন -
আমাদের অনাগত ভালোবাসার জন্মসময় এগিয়ে আসায় রাহাত কোন ঝুঁকি নিতে চাইলো না ।
। আপনি বিচিত্র ভঙ্গিতে অ প্লটে লিখে দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের মুগ্ধ করে যাচ্ছেন । নিমচাদ ভাই কি আমাদের কোন প্লট দিবেন না !!
নিমচাদ ভাইকেও অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম ।
ভাল থাকবেন প্রিয় মামুন ভাই ।
শুভকামনা রইল ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মাহমুদ
৪২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: গল্প পড়তে পড়তেই বুঝতে পেরেছি রাঙামাটি ভ্রমনের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ এই গল্প। সুন্দর। চমৎকার গল্প। একটানে পড়েছি। কি হচ্ছে তা জানার জন্য পড়ের লাইন পড়ার আগ্রহটা বেশ ছিলো। দুম করেই শেষ হয়ে গেল। এও ভালো, প্যাচাপ্যাচি নেই। কি জানি বলে টুইস্ট, দোসরা এই সবের ঘনঘটা নেই। তবে দুটি কথা বলি-
১) প্রথম কয়েক প্যারা বেশি ছোট ছোট হয়ে গেছে। এটা পাঠক হিসেবে খুব একটা স্বচ্ছন্দবোধ করিনি।
২) রাতে ডিনার সেড়ে, হ্যাঁ কথ্য ভাষায় এখন রাতের খাবারকে অনেকেই ডিনার বলি। তবু আমি রাতের খাবারকে, রাতের খাবার বলতেই বেশি পছন্দ করি। ডিনার শব্দটি চেয়ার, টেবিলের মতো এখনো বাংলা হয়ে উঠতে পারেনি। না, এই শব্দ ব্যবহারে আমার কোনো আপত্তি নেই। পড়ার সময় যে সাবলীল লাগছিলো না তা নয়। সাহিত্যের ভাষায় আজ যা ব্যবহার হবে তাই কালকের বাংলা শব্দ হবে। বাংলা ভাষার এ এক বড় গুন। কিন্তু ডিনার, সাপার, লাঞ্চ এগুলোকে আমি বাংলা সাহিত্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে চাই। যেমনঃ যদি এখানে কেউ কথা বলছেন এমন হতো- এসো ডিনার সেরে নিই তবে তেমন কিছু বলার নেই প্রয়োজন সাপেক্ষে, একান্তই যারা খুব ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে। কিন্তু এমন বাক্য যা সাধারন অর্থে আসছে এখানে রাতের খাবার বলার পক্ষে। (এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। একটা দৃষ্টিভঙ্গি। আমার দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে পড়ুক সেই ইচ্ছা থেকে আলোচনা করা।)
ভালো থাকবেন মামুন ভাই। সব সময়। আর এমন জমপেস গল্প দিবেন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সজীব । আপনার মন্তব্য এবং আরো কয়েকজন গুনী ব্লগারের পাঠ প্রতিক্রিয়ায় গল্পের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা উঠে এসেছে । আর এটাই হলো ব্লগে লেখালেখির আসল মজা । লেখক পাঠকের এই মিথষ্ক্রিয়া একটা লেখার জন্য খুবই জরুরি । আমি চেষ্টা করব গল্পে কিছু সম্পাদনা নিয়ে আসতে ।
ভালো থাকবেন
৪৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: শুরুর দিকের লেখায় চমৎকার সাবলীলতা আর প্রকৃতির বর্ণনা পড়ে কেন জানি সুনীলের উপন্যাসের কথা হুট করে মাথায় এলো । এরপর মাঝামাঝি আসতেই কিছুটা ভয় আর কৌতুহল দানা বেঁধে উঠলো ।
তারপর এক নিঃশ্বাসে পুরোটা পড়ে ফেললাম ।
একেবারেই আনকোড়া আর নতুন এক আশ্চর্য্য তথ্য জানলাম । ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছে এমন একটি মজার তথ্য জেনে । আপনার লেখনীর জোড়ে লেখাটা আরো বাস্তব রুপ নিয়ে ফুটে উঠেছে ।
নিমচাঁদ দা এবং আপনি দুজনকেই অকৃত্রিম ভালোলাগা জানালাম ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পপাঠ এবং সুন্দর পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোয় ধন্যবাদ
৪৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: শেষ পর্যন্ত হনুমান প্রেমিক ... টুইস্টিং ফিনিশিং ভাল্লাগছে।
বারতম ভাল লাগা রইল
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো।।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়
৪৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩০
আরজু মুন জারিন বলেছেন: মামুন ভাই আপনি অনেক জনপ্রিয় দেখছি।আপনার সব পোষ্টে কমেন্টসের ছড়াছড়ি।আমি আপনার নুতুন লেখা খুজছিলাম।
আবার পড়লাম লেখাটি।অনেক ভাল লাগা আপনার লেখায়।
ভাল থাকবেন কেমন।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৪৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩
এহসান সাবির বলেছেন: ভাইয়া হরর্ এর গন্ধ পাচ্ছিলাম.....
বেজড্ অন ট্রু স্টোরি ভালো লেগেছে।
একটু হলেও আপনার নিয়মিত লেখা পাচ্ছি, এটা অনেক সুখের
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । বোনের খবর জানার প্রতীক্ষায় ছিলাম । এখন কেমন আছেন?
৪৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৭
খাটাস বলেছেন: প্রথম প্যাঁরা পার হতেই অদ্ভুত রহস্য গল্পে মোড় নিল। শেষ পর্যন্ত রক্ত প্রবাহ হ্রাস বৃদ্ধি করতে করতে গল্পের শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেল। সেখানেও হতবাক করে থামিয়ে দিল।
যেমন ই অনন্য গল্পের উপকরণ, তেমনি অনন্য গল্পের বুনন।
থিম দাতা নিম চাঁদ দা এবং প্রিয় মামুন ভাই- দুজনের প্রতি ই অজস্র কৃতজ্ঞতা।
এমন যৌথ প্রযোজনা চলুক; যদি নিম চাঁদ দার কাছে আরও এমন সত্যি কিছু স্টক থাকে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । নিমচাঁদ ভাই ইতিমধ্যে আরো অনেক গল্পের থিম দিয়েছেন । কিন্তু আলসেমি কাটিয়ে উঠতে পারিনা যে ।
৪৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪১
আরজু মুন জারিন বলেছেন: নুতুন লেখা কোথায়? আমি ও আর লিখব না ।কেও কমেন্টস করছেনা ।তাহলে লিখে কি লাভ?
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: আমিতো আপু মাসে একটা দুইটার বেশি লিখতে পারিনা
কে পড়লো কে পড়লোনা এটা নিয়ে একজন লেখককে খুব বেশি ভাবার দরকার নাই । লেখালেখি নিজের আনন্দের জন্যই হওয়া উচিত ।
আর ব্লগে কমেন্টস পাওয়ার সূত্রটা একজন পুরাতন ব্লগার হিসাবে(অন্য ব্লগকেও হিসেবে রেখে) আপনার জানার কথা । ভালো পোস্টের পাশাপাশি চমৎকার ব্লগিং ইন্টারেকশন কমিউনিটি ব্লগে কমেন্টস পেতে হেল্প করে । যাইহোক, ভালো থাকবেন, শুভকামনা
৫০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৮
এহসান সাবির বলেছেন: আপনাদের দোয়া সব খবর ভালো ভাইয়া।
১৪ নং লাইকটা কিন্তু আমি দিয়েছি
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: উখে উখে
৫১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,
গল্পের ঘটনাটি একেবারেই অদ্ভুত বা অবাস্তব নয় । বিবর্তনের সূত্র বলে - শিম্পাঞ্জী, গরিলা, মানুষ আর ওরাঙওটাঙ প্রজাতিকে একই হোমিনিডি ( গ্রেট এপস ) পরিবার ভুক্ত । প্রায় ১৫ মিলিয়ন বছর আগে এদের উৎপত্তি ।
ঠিকই বলেছেন নিমচাঁদ । ডিএনএ'র জীন এর মাধ্যমে এদের বংশগতির ধারা ( অভ্যেস, আচার, আচরন) প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত হয় ।
ওদের চরিত্রই পেয়েছি আমরা মানুষেরা, তবে পরিশোধিত হয়ে ভিন্ন ভাবে। সেরা বুদ্ধিমান প্রানী বলে কথা !
গল্পের নামকরন "প্রাগৈতিহাসিক প্রবৃত্তি!" নিয়ে যে দ্বদ্ধে ভুগছেন তা দুর হতে পারতো আপনার গল্পের শেষ শব্দ কয়টি দিয়ে ....... "সেই চোখ "।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: সুপ্রিয় আহমেদ জী এস ভাই,
আপনার বিস্তৃত মন্তব্যে আনন্দ পেলাম । আপনার প্রস্তাবনায় নামকরণের ব্যাপারে দ্বিধা অনেকটাই কেটে গেল! ভবিষ্যতে "সেই চোখ" হিসাবেই গল্পটিকে পরিচিত করতে চেষ্টা করব ।
ধন্যবাদ এবং নিরন্তর শুভকামনা ।
৫২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
মহান অতন্দ্র বলেছেন: বেশ লেগেছে , বেশ ++++
চমৎকার লেখনী ।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
৫৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
আরজু পনি বলেছেন:
উফফফ!
ভাগ্যিস ক্যামেরা সেট করেছিলো, নইলে বিশাল রহস্যের ঘেরাটোপে পড়ে যেতাম।
শেষের দিকে খুব বেশি ভালো লেগেছে পড়তে ।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, ধন্যবাদ পনি আপু
৫৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
অদৃশ্য বলেছেন:
দারুন গল্প মামুন ভাই... যতোই পড়ছিলাম ততোই মুগ্ধ হচ্ছিলাম... একটি সত্য ঘটনাকে কি দারুনভাবেই না আপনি গল্পরুপে উপস্থাপন করলেন... খুবই মজা পেয়েছি গল্পটা পড়ে/সত্য ঘটনাটা জেনে... আপনি কিন্তু দারুন লেখেন মামুন ভাই, আপনার প্রতিটি লিখাতে তার প্রমাণ স্পষ্ট...
এখন বলি... লিখাটির শেষের দিকে এসে আমার মনে পড়ে যাচ্ছিলো অনেক বছর আগে পড়া একটি উপন্যাসের কথা... নামটা ছিলো নাগোরিলা বা কঙ্গোরিলা... প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন গোরিলাদের নিয়ে অসাধারণ একটি গল্প/উপন্যাস...
আর মনে পড়লো দারুন আরেকটি ঘটনার কথা... আপনাকে বলেছিলাম যে আমি বেশকিছুদিন চাবাগানে ও পাহাড়ে কাজের জন্য ছিলাম... সেখানকার একটি ঘটনা আজকে শেয়ার করি...
আমার প্রযেক্টের বেশকিছু লোক জঙ্গল ও পাহাড়ের বেশ ভিতরে কাজের জন্য ছিলো... প্রাথমিক অবস্থাতে ওরা একটি টিলা কেটে সমতল একটি জায়গা করে সেখানে একটি টেম্পুরারি থাকার জায়গা ( বড়সর টিনশেড ) তৈরি করেছিলো... যেদিন শেডটা তৈরি হলো কিছু লোক সেখানে থেকে গেলো রাতের জন্যও... এর আগে তারা কাজ করে সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসতো শহরে...
আমি পরেরদিন যখন সেখানে গেলাম তখন আমার লোকজনের প্রায় সবাই আমাকে ঘিরে ধরে বলতে লাগলো যে এই জায়গাটার সমস্যা আছে... তারা নাকি রাতেরবেলা কেউ ঘর থেকে বেরোতে পারেনি ভয়ে... আর সারা রাত ঘুমাতেও পারেনি... অদ্ভুত কিছু একটি বা অনেক সারারাত তাদের শেডের আশপাশ দিয়ে শেডের উপর দিয়ে ঘোরাফেরা করেছে... তারা নাকি অদ্ভুত সব শব্দ করে কথা বলেছে... দরজা ধরে, বাঁশ ধরে বা টিনের অনেক অংশ ধরে টানাটানি করেছে ভেতরে ঢুকবার জন্য, ভোর পর্যন্ত... এমনিতেই ওরা ভয়ে ছিলো গহীন অঞ্চল বনপাহাড়ে ঘেরা, ঘটঘুটে অন্ধকারের জন্য তার উপর এই ঘটনা ওদের মনোবল কমিয়ে দিয়েছিলো ওরা আরও ভীত হয়ে পড়েছিলো... কেউ আর থাকতে চাইছিলোনা সেখানে...
আমি ওদের বেশকিছু মশাল বানিয়ে শেডের চারপাশে জ্বালিয়ে রাখবার পরামর্শ দিয়ে সাথে আরও কিছু লোক বাড়িয়ে চলে এসেছিলাম... পরেরদিন যখন গেলাম তখন জানলাম যে গতরাতে আর সেই ঘটনা ঘটেনি কিন্তু ভয়টাও কাটেনি... তখন খোঁজখবর করে আশপাশে বসবাসকরে এমন লোকের সন্ধান করলাম... মোটামোটি কাছে একটি বসতিও পেয়ে গেলাম এবং তাদের কাছ থেকে জানলাম এক দারুন ঘটনা...
ওরা জানালো যে বিষয়টা ভৌতিক কিছু নয়... আরও গভীর জঙ্গল ও পাহাড়ে অনেক বানরের বসবাস যারা এদিকটাতেও থাকে বা আসে মাঝে মাঝে খাবারের সন্ধানে এটা ওদেরই কাজ হবে... দু একদিন পর যখন ওরা বেশি লোক দেখবে তখন আর এদিকে আসবেনা... তাদের কথাগুলো বিশ্বাস করে নিলাম আর আমার লোকজনদের ভয়টাও অনেকটা কমে গেলো... এরপর থেকে ওরা আর বানরের (?) উপদ্রবে পড়েনি...
সেদিন রাতে আসলে কি ছিলো তা ঠিক মতো কেউই বলতে পারেনি... কেননা তারা কেউ চোখে তা দেখেনি... তবে পরে আশপাশে বানরের দেখা পাওয়া গিয়েছিলো যারা আরও গভীরে থাকতেই পছন্দ করে... আমাদের ভয়টা আস্তে আস্তে একেবারেই নাই হয়ে গিয়েছিলো...
কথাচ্ছলে অনেক কথা হয়ে গেলো মামুন ভাই... কিছু মনে নেবেননা যেন... হয়তো এই ঘটনাটাও আপনার কোন গল্পকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে...
শুভকামনা...
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি । চা বাগানের ঘটনাটা গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তি । এটা হয়ত অতিপ্রাকৃত কোন ঘটনা নয়, কিন্তু এতে যথেষ্ট পরিমান থ্রিল, রহস্য আছে । আসলে পৃথিবীতে প্রায়ই এরকম রহস্যময় ঘটনা ঘটে, চিন্তা বা গবেষণা করে হয়ত এইসব রহস্য উন্মোচন করা যায় ।
চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা ।
৫৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: বান্দর প্রেমিক! হা হা হা! কাহিনীটা জোশ লাগল
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ নাভিদ ভাইয়া
৫৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
অপ্রতীয়মান বলেছেন: দুর্দান্ত রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম গল্পটা পড়ার সময়। অনেক ধন্যবাদ এমন গল্প উপহার দেবার জন্যে
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পাঠে ধন্যবাদ অপ্রতীয়মান
৫৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০১
লিরিকস বলেছেন: কাল রাতে ছবি আপলোড হচ্ছিল না।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: আমারও হচ্ছেনা
৫৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অসাধারণ একটা গল্প। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলেন। কাহিনীটাও খুব ভাল লেগেছে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৫৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
খেলাঘর বলেছেন:
গল্প কই?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প গ্যাছে পংবাড়ি, সেখানে থাকে চাঁদের বুড়ি
৬০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক দেরিতে পড়লাম ,
সুন্দর ! সুন্দর !!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই
৬১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭
একজন সৈকত বলেছেন:
বিস্ময়কর!
বাস্তব কাহিনীর অসাধারণ গল্পরূপ মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। ভালো থাকুন।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই একজন সৈকত
৬২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ব্যস্ততার জন্য ব্লগে অনুপস্থিত ছিলাম। তাই অসাধারণ গল্পটা মিস করেছিলাম।
ধন্যবাদ মামুন সুন্দর একটা গল্পের জন্য।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়
৬৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আজব! আজব! নিচে যদি না বলতেন যে গল্পটা আসলে সত্য কাহিনী অবলম্বনে, তাহলে হয়তো বলতাম আজগুবি গল্প! বাস্তবতার থেকে যে আমাদের কল্পনার দৌড় সীমিত- আরেকবার মনে করিয়ে দিল!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: সত্যি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবতার চেয়ে আমাদের কল্পনার দৌড় সীমিত । খুব ভালো বলেছে কবি ।
গল্প পাঠে ধন্যবাদ
৬৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: দারুন গল্প মামুন ভাই।বানর জাতীয় প্রানীদের মাঝে এমন প্রবৃত্তি মনেহয় থাকে।শুধু পাহাড়ে নয় লোকালয়েও মেয়েদের এট্যাক করার কাহিনি শুনেছি তবে আপনার কাহিনীটা খুবই রোমাঞ্চকর।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: আমি আজকে সকালেই দেখেছি, পালের গোদা বিশাল সাইজের একটা পুরুষ বানরকে একটা সুন্দরী মহিলার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে । মহিলা হাত নেড়ে ভয় দেখাচ্ছিল, কিন্তু বানরটা তাতে ভ্রুক্ষেপ করেনি । একবারে কাছে চলে যাওয়ায় মহিলাটি ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে । সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন এগিয়ে আসায় সে সেখান থেকে সরে পড়ে ।
আমাদের চারতলা বাসার বারান্দা থেকে এই দৃশ্য দেখেছি । নিচে খোলা মাঠের পাশে ঐ মহিলা রান্না করছিল । আমাদের পাড়ায় একটা মাজারে বিশাল একটা বানরের পাল থাকে । সারাদিন মাঠে গাছে ঘুরে বেড়ায়, বারান্দায় এসে খেলা করে । কিন্তু কখনো কোন মানুষকে আক্রমন করতে শুনিনি । কিন্তু আজকে ঐ মহিলাকে একা পেয়ে ঐ ধাড়ি বানরটার মনে কি কুমতলব এসেছিল কে জানে?
৬৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
টুইস্টটা ভাল লাগল।
গল্পে প্লাস মামুন ভাই +++
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব ।
৬৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নতুন গল্প চাই প্রিয় মামুন ভাই! অনেকদিন ভালো গল্প পড়ি না।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ কা_ভা । চেষ্টা থাকবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
নিমচাঁদ বলেছেন: ট্রথ ইজ ষ্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন ।
কিছু ঘটনা আমাদের বোধ বুদ্ধিকে স্থির করে দেয় কিন্ত কিছু প্রবৃত্তি যে মানুষের পূর্ব পুরুষেরা বহন করবে , সেটা ডারউইন অনেক আগেই বলে গিয়েছিলেন ।
কিছু জিনিশ রক্তে খেলা করে , জীন বাহিত হয়ে , কিছু পরিবর্তিত রূপ হয় কিন্ত বিবর্তন শুধু পরিবর্তন যে করে তা কিন্ত নয় , কিছু রেখে যায় , যা বংশ পরষ্পরায় আমাদের ইনহেরিট করতে হয় ।
এই সত্য গল্পটি শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম কিন্ত গাণিতিক ভাবে পরে বুঝতে পারলাম , সত্য আসলেই মাঝে মাঝে খুব ভয়ংকর।
মামুন ভাই বিষয়টিকে অসাধারণভাবে তুলে এনেছেন , মনে হয়
উনি একটি বিমূর্ত মূর্তিকে প্রাণ দিয়েছেন সাড়ম্বরে ।
গ্রেট!