নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা

মামুন অর রশীদ মামুন

বিভাগীয় প্রধান, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং বিভাগ, চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

মামুন অর রশীদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষকের মর্যাদা প্রদানে ইসলামের নির্দেশ

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪


শিক্ষকরা হলেন জাতির সুনাগরিক তৈরির মহান কারিগর। ইসলামও দিয়েছে শিক্ষকদের অসামান্য সম্মান ও মর্যাদা। শিক্ষকদের মর্যাদা সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে ছিল ব্যাপক সমাদৃত।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করনে, 'তোমরা জ্ঞান অর্জন কর এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য আদব শিষ্টাচার শিখ। তাকে সম্মান কর; যার থেকে তোমরা জ্ঞান অর্জন কর।’

সুতরাং যার থেকে জ্ঞান অর্জন করা হয় তিনিই আমাদের শিক্ষক। শিক্ষকের মর্যাদায় ইসলামের বক্তব্য ও সংক্ষিপ্ত একটি নমুনা তুলে ধরা হলো-

‘একবার হজরত জায়েদ ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু তার সওয়ারিতে ওঠার জন্য রেকাবে পা রাখলেন। তখন ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু রেকাবটি শক্ত করে ধরেন।

হজরত জায়েদ ইবনে সাবিত বললেন, ‘ হে আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাচাতো ভাই! আপনি (রেকাব থেকে) হাত সরান।

উত্তরে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘ না’, আলেম ও বড়দের সঙ্গে এমন সম্মানসূচক আচরণই করতে হয়।’

জ্ঞানই মানুষের যথার্থ শক্তি ও মুক্তির পথনির্দেশ দিতে পারে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই বলেছেন-
‘আমাকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে বা আমি শিক্ষকরূপে প্রেরিত হয়েছি।’

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিক্ষা, শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষক ও শিক্ষার ব্যাপকীকরণে সদা সচেষ্ট ছিলেন। তাইতো প্রিয়নবি বদরের যুদ্ধবন্দিদেরকে মুক্তির জন্য মদিনার শিশুদের শিক্ষা দেয়ার চুক্তি করেছিলেন। যার মাধ্যমে তিনি বন্দিদের মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদিন জনৈক বয়স্ক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দরবারে হাজির হলে উপস্থিত সাহাবায়েকেরাম নিজ স্থান থেকে সরে তাকে জায়গা করে দেন।
তখন তিনি ইরশাদ করেন, 'যারা ছোটদের স্নেহ ও বড়দের সম্মান করে না, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।' (তিরমিজি)

ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষকতা অতি সম্মানিত ও মহান পেশা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সামাজিক দায়িত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে শিক্ষকতার পেশা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে আমাদের সমাজে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখা হয়।

অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও শারীরিকভাবে নিগৃহীত হতে দেখা যায়। যা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও অমানবিক কাজ।

আবার অনেক শিক্ষককে দেখা যায়, ‘শিক্ষকতার এ মহান পেশাকে কলংকিত করে নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত কাজে জড়িয়ে পড়ে; এটাও অত্যন্ত ঘৃণিত ও বর্জণীয় কাজ।

অথচ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন-
‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছাড়া কেউই আমার আপন নয়।’

পরিশেষে...
আমাদের অঙ্গীকার হোক; শিক্ষকের প্রতি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদান। আসুন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের অনুসরণ করি। শিক্ষকদের কে যথাযথ মর্যাদা দিই। শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করে দুনিয়া ও পরকালে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করি। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

স্বচ্ছ দর্পন বলেছেন: শিক্ষকেরা অবশ্যই সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়াার যোগ্য অধিকারী।

আমার ব্লগ ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো ।
অথচ আমি,,, - স্বচ্ছ দর্পন

২| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলা স্কুলে পড়েছিলাম।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.