নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা

মামুন অর রশীদ মামুন

বিভাগীয় প্রধান, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং বিভাগ, চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

মামুন অর রশীদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন অফিসারের অবশ্যপালনীয় ম্যানারস ও এটিকেটস

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪২

#যেকোনো অনুষ্ঠানে ক্যাডার অফিসারের স্পাউস(স্বামী/স্ত্রী) প্রথম অগ্রাধিকার পাবে। তাকে রিসিভ করা, সম্ভব হলে প্রথম সারিতে বসানো এবং উপযুক্ত সম্মান দেখাতে হবে।
# হ্যান্ডশেক করার সময় সিনিয়র আগে হাত বাড়ানোর পর জুনিয়র অফিসার হাত বাড়াবে। হ্যান্ডশেক হবে দুজনে দাঁড়িয়ে, চোখের দিকে তাকিয়ে, হাতে হাল্কা চাপ দিয়ে ও হাত পুরোপুরি উলম্বভাবে রেখে। সিনিয়র যতক্ষণ হাত নাড়াবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত হ্যান্ডশেকের স্থায়িত্ব হবে। লেডি অফিসারদের কখনো আগ বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করা যাবে না, সেটা যে দেশেরই হোক।
# একজন অফিসার কখনোই আরেকজন অফিসারকে দাঁড় করিয়ে রাখবেন না। তাকে সবসময় বসতে দিবে। কোন সিনিয়র অফিসার যদি এই ম্যানারস না জানেন, তাহলে জুনিয়র অফিসারের দায়িত্ব হবে তাকে বলা, স্যার বসতে পারি? এই বলে নিজেই বসে পড়া।
# একজন ক্যাডার অফিসার কখনোই অফিসিয়াল গাড়ির একদম পেছনে বসবে না। সবসময় মাঝের সিটগুলোতে বসবে। গাড়ির জায়গা না হলে সে পরে যাবে কিংবা অন্যভাবে যাবে কিন্তু পেছনে বসবে না..ঊর্ধ্বতন বস বা অন্য কারো অফিসিয়াল গাড়িতে উঠার সময়েও না। পেছনের সিট অধঃস্থন কর্মচারীদের জন্য। একজন অফিসার কখনোই গাড়ির সামনে ড্রাইভারের পাশের সিটেও বসবে না।
# একজন ক্যাডার অফিসার সবসময় ওয়েল ড্রেসড হবে...দাড়ি থাকলে পুরোপুরি থাকবে, না থাকলে ক্লিন শেভড হতে হবে। চুলগুলো এলোমেলো থাকা যাবে না, পকেটে চিরুনি থাকবে। ডাক্তারগণ রোগী দেখার সময়েও চেষ্টা করতে হবে ফরমাল ড্রেসে থাকার যাতে কে ডাক্তার, কে ওয়ার্ডবয় লোকেরা সহজেই বুঝতে পারে।
# কাটা চামচ দিয়ে খেতে পারলে শব্দ ছাড়াই কাটা চামচ দিয়ে খাবেন। না পারলে হাত ধুয়ে এসে হাত দিয়েই ভদ্রভাবে খাবেন। কিন্তু অর্ধেক কাটা চামচ, অর্ধেক হাত কিংবা কাটা চামচের টুংটাং শব্দ করে খাওয়া যাবে না।
# খাওয়ার আগে মেনু চেক করতে হবে। বুফে সিস্টেম হলে কখনোই নিজের টেবিলে প্লেট নিয়ে খাবার আনতে যাওয়া যাবে না। বুফেতে খাবার সময় যে প্লেট থাকে সেটা নিতে হবে। খাবার পরিমিত নিতে হবে আর একবার খাবার নিয়ে টেবিলে আসার পর ক্যাডার অফিসার দ্বিতীয়বার খাবার নিতে বুফেতে যাবে না। ইশারায় ওয়েটারকে ডেকে খাবার দিতে বলবে।
# গরম খাবার ফু দিয়ে ঠান্ডা করা যাবে না। ন্যাপকিন হাত মুছার জন্য না, উরুর উপর কাপড়কে রক্ষা করার জন্য। তাই এটি থাকবে উরুর উপর। খাবারের দিকে মুখ যাবে না, মখের দিকে খাবার আসবে। খাবার টেবিলে অফিসিয়াল, পলিটিক্স, ধর্ম ও বিরক্তিকর কোন কথা বলা যাবে না।
# ফরমাল লাঞ্চ কিংবা ডিনারে চিফ গেষ্ট খাওয়া শুরু করলেই কেবল অন্যেরা শুরু করবেন। আবার তিনি শেষ করার সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করতে হবে, অন্যদের শেষ না হলেও। কারো আয়োজনে ফর্মাল ডিনারে গেলে হোস্টকে কিংবা বাসায় গেলে খাওয়ার পর ভাবীকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে।
# কাউকে ফোন করলে আগেই নিজের পরিচয় দিতে হবে।
# কোন কথা বা বক্তব্য দেওয়ার সময় সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। অস্পষ্ট বা অমার্জিত কোন কথা একজন ক্যাডার অফিসার বলবে না।
# স্টেজে কনফিডেন্স এর সাথে দাঁড়াতে হবে। ডায়াসে সোজা ও রিল্যাক্সড হয়ে দাঁড়াতে হবে। হ্যান্ড মুভমেন্ট, আই কন্টাক্ট, ভয়েস মডুলেশন করতে হবে।
# একজন কলিগ আরেকজন কলিগ বা অফিস স্টাফকে জনসম্মুখে ভুল ধরা, বকা-ঝকা করা কিংবা তার সাখে তর্কে লিপ্ত হবে না বরং পরে ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে আলোচনা করে নিতে হবে।
# বস ফ্রেন্ডলি আচরণ করলেও বসের সাথে জুনিয়র ক্যাডার অফিসার ফ্রেন্ডলি আচরণ করবে না। সবসময় অফিসিয়াল ভাব ধরে রাখবে।
# কোন সিনিয়রের রুমে বসে থাকার সময় অন্যকোন সিনিয়র কর্মকর্তার আগমন ঘটলে চেয়ার ছেড়ে উঠে (যদি জায়গা না থাকে) তাকে বসতে বলতে হবে।
# কোন সিনিয়র ফোন করলে তার কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লাইন কেটে দেওয়া যাবে না।
# সরকারি চাকরী ক্ষমতা নয় এটি একটি দায়িত্ব...জনগণের জন্য, মানুষের জন্য... সবসময় এটি মাথায় রাখা।
বিঃদ্রঃ- সিনিয়ররা কে কী রকমভাবে কথা বলছেন, চলছেন, আচরণ করছেন তা নিয়ে ভাববেন না। আপনি শুরু করুন, দেখবেন আপনার জুনিয়রাও পরে এসে একসময় এটাই অনুসরণ করবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

কাইকর বলেছেন: বাহ....সুন্দর পোস্ট

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৫

মামুন অর রশীদ মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৩

নতুন বলেছেন: * বুফেতে খাবার সবাই নিজেই নিয়ে আসে.... টেবিলে সাভ` করেনা। তাই ক্যাডারা ২য়বার ওয়েটারকে ডেকে খাবার আনবে এমন শেখানোর কারন কি?

জনগনের সাথে কেমন আচরন করতে হবে সেটার গাইডলাইটা জানতে ইচ্ছে করছে।
কি সেখানো হয় ক্যাডারদের?

৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: অফিস আদালতে এসব ব্রিটিশ আমলের ফর্মালিটিজ চলছে বলেই দেশ এগোচ্ছে না।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪২

মামুন অর রশীদ মামুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন । আমরাও এর পরিবর্তন চাই।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

বনসাই বলেছেন: পাবলিক সার্ভেন্টরা তাদের বস মানে আমজনতার সাথে কেমন ব্যবহার করবে সেটাই শেখানো হয় না। তাই যত ম্যানারস আর এটিকিউট শেখানো হোক ফল জিরো।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সর্বনাশ ! খাবার সুন্নতই মনে থাকেনা , আর এত্তগুলান এটিকেট মনে রাখিতে হইলে তো ইহার উপর কোর্স থাকাই ভালো ছিল ! এগুলো শিখিলে ও মানিলে কি সভ্য (!) হওয়া যাইবে ? না শিখিলে কি জাতে উঠা যাইবে না ?

৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন:

এই কথাটা খুব ভালো লেগেছে।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

মোগল সম্রাট বলেছেন: সহনীয় মাত্রায় ঘুষ খাইবে- সেটা বাদ পড়ছে

৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: গাড়ীর একেবারে পেছনের সীটে না হলেও, জায়গা না হলে সামনের সীটে বসা এটিকেটবিরুদ্ধ নয়। বস যদি কখনো ড্রাইভিং করেন, তবে আপনাকে অবশ্যই সামনের সীটে বসতে হবে তাঁর পাশে, অন্য কোন সিনিয়র না থাকলে। আবার আপনি (একজন ক্যাডার অফিসার) যখন ড্রাইভিং করবেন, তখন বসের এটিকেট হবে সামনে আপনার পাশের সীটে বসা। বিদেশে বহু দেশে আমি দেখেছি, এমনকি মন্ত্রীরাও অন্য কোন সহযাত্রী না থাকলে ড্রাইভারের পাশের সীটে বসে, এতে তাদের কোন মানহানি হয় না। আমাদের দেশে অবশ্য অন্য কথা। ভাবে 'অফিসার' হতে না পারলে পাত্তা পাওয়া যায় না।
বুফেতে সাধারণতঃ টেবিলে খাবার সার্ভ করা হয়না। তবে ওয়েটারগণ খাবার শেষ হলে টেবিল থেকে ত্বরিত ব্যবহৃত প্লেটগুলো উঠিয়ে নিয়ে যায়। কাজেই এ ক্ষেত্রে সেকন্ড সার্ভিং নিতে হলে ওয়েটারকে 'ইশারায়' না ডেকে আপনাকে (একজন 'অফিসার' অতিথিকে) ব্যবহৃত প্লেট টেবিলে রেখেই উঠে গিয়ে নতুন প্লেট নিয়ে সেকন্ড সার্ভিস নিতে হবে, এতে লজ্জার কিছু নেই। ওয়েটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে টেবিলে ফিরে এসে দেখবেন টেবিল পরিষ্কার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.