নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা

মামুন অর রশীদ মামুন

বিভাগীয় প্রধান, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং বিভাগ, চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

মামুন অর রশীদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতি অভিমানী মেয়েটির আত্মহ্ত্যা এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার .........................।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৪

অভিযোগ : শিক্ষক কর্তৃক অভিভাবকের অপমান মেনে নিতে না পেরে ভিকারুন্নেসার এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আরো শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাকি শিক্ষার্থীদের কোন অপরাধের কারনে টি সি দিযে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন।
প্রশ্ন হলো কতটা অপমানিত করা হয়েছে ঐ সম্মানিত অভিভাবককে ? অভিযোগ করা হয়েছে যে, অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন কিন্তু সি সি টিভির ফুটেজে তেমন কিছু দেখলাম না।
যেখানে পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে আসাই নিষেধ সেখানে ঐ পরীক্ষার্থী মোবাইল দিয়ে নকল করছিল। সুতরাং শিক্ষক ঐ কারনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতেই পারেন। টি সি দিয়ে বের করে দেয়া হবে যদি এমন কথাও বলে থাকেন তাহলেও আমি এতে অন্যায় কিছু দেখি না। শাসন করা জন্য বাবা-মা রাও এধরনের অনেক কথা বলে থাকেন যা বাস্তবে করেন না। শিক্ষকরাও শাসন করার জন্য অনেক সময় এধরনের কথা বলে থাকেন তবে প্রকৃত পক্ষে সেটা করেন না।
আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমাদের শিক্ষকরা আমাদের বেত দিয়ে মারতেন বা অনেক বকাবকিও করতেন আমরা সেটাকে শিক্ষকের আর্শীবাদ হিসাবে দেখতাম। কিন্তু বর্তমানের ছাত্র-ছাত্রীদের অপমানবোধ এতোই বেশী যে আত্মহত্যা করতেও দ্বিধা করেনা।

ভিকারুন্নেসার শিক্ষার্থী আত্মহত্যার কারন কী শুধু শিক্ষরাই নাকি আরো কোন কারন থাকতে পারে সেটা খোজার দুঃসাহস ও কেউ করবে না, কারন সবাই এখন আবেগে দিশেহারা। সকল মিডিয়া, পত্র পত্রিকা, সুশীল সমাজ আজ শিক্ষদের দায়ী করছেন। সরকার প্রধান শিক্ষক সহ ৩ জন শিক্ষক কে বহিস্কার করেছে, তদন্ত কমিটি হয়েছে, শুনলাম মামলাও নাকি হয়েছে।
এধরনের ঘটনার পরও কি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কোন অপরাধের কারনে শাসন করার দঃসাহস পাবে কিনা বুঝতে পারছিনা।

তবে একটা প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছি না সামান্য একটা বিষয়ে অভিমান করে মেয়েটির আত্মহত্যা করেছে এজন্য তার পরিবার কী কোনভাবেই দায়ী না ????

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি তো বিকৃত মানসিকতার শিক্ষকদের নির্লজ্জভাবে সমর্থন করছেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের উপর শিক্ষক-শিক্ষিকা নামধারী জানোয়ারদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার অতীতেও ছিলো তাই এখনো থাকবে ,এটা কি ধরণের যুক্তি?
৮০-র দশকে লিটল জুয়েলস ও লিটল ফ্লাওয়ার-এর মতো দেশ সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সময়ও নিজে এইসব জনোয়ারদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি ও অন্যদেরও হতে দেখেছি।তখন এসবের বিরুদ্ধে কোন অাইন ছিলো না।তাই অত্যাচারও ছিলো সীমাহীন।
মানুষ কি দিনে দিনে সভ্য হবে না অসভ্য?
উন্নত দেশে এসব বর্বরতা বহু আগেই উঠে গেছে।অঅ তারাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।কোন ইংরেজী মাধ্যমের বিদ্যালয়ে এরকম অসভ্যতা নাই। এধরণের আচরণের মাধ্যমে অভিভাবকদের বিজাতীয় প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়ানোর ব্যাপারেই আগ্রহ সৃষ্টি হলো।
অার ভিখানরুনসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কি সাধু? তারা যে নিজেদের শ্রেনীকক্ষে না পড়িয়ে ঘরে শিক্ষা বিক্রির দোকান খুলে বসেছে,অার তাদের কাছে পড়তে বাধ্য করছে,সে ব্যাপারে নীরব কেন?
অরিত্রির অভিভাবকরা ১৮ বছর বয়সের আগে তাকে স্মার্টফোন কিনে দিয়ে অবশ্যই অন্যায় করেছে।কিন্ত এসব ক্ষতিকর ব্যাপার সব অভিভাবকদের একসাথে ডেকে বুঝিয়ে বলাই সভ্য সমাজের রীতি।
সন্তানদের সামনে তাদের অপমাণ করা না।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

মামুন অর রশীদ মামুন বলেছেন: আমি বিকৃত মানসিকতার শিক্ষকদের কখনোই সমর্থন করি না। এটাও সত্য যে, সব শিক্ষক সাধু না। যেসব শিক্ষক বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। কিন্তু যে ঘটনাটি ভিকারুন্নেসা তে ঘটে গেল এবং ঘটছেে এবং মিডিয়া এটাকে যেভাবে প্রচার করছে বা অভিভাবকরা যেসব কথা বলছে তাতে মনে হচ্ছে ভালো কোন শিক্ষক বাংলাদেশে নাই।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাই মামুন এই আত্মহত্যার পেছনে আর অন্য কি কারন থাকতে পারে একটু খুঁজে দেখবেন।

এই ঘটনা টি ঘটার পড়ে আজ দুই দিন ধরে ফেইসবুকের একটা পেইজ থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে অরত্রি জন্য কেন আমাদের এত হাহাকার চট্রগ্রামের কোন এক স্কুলে একটি মেয়ে কে বোরখা পরার জন্য অপমান করা হয়েছে এর জন্য কেন প্রতিবাদ হচ্ছে না, ব্যাস যা হওয়ার তাই হোল, লোক জন ঝাপিয়ে পড়লো। কেউ আহা উহু করলো কেউ গালা গাল দিল, কেউ শিক্ষামন্ত্রীর ধর্ম নিয়ে চিন্তিত্ হয়ে গেল, কেউ অরত্রির ধর্মিয় পরিচয় নিয়ে হাসাহাসি করলো, পরিশেষে আর একটা কমেন্ট আসলো তা হোল হিন্দু বলে অরত্রির জন্য এমন হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের জন্য কিছুই হচ্ছে না। এই বার আমার পালা আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে জিজ্ঞাসা করলাম ভাই চট্রগ্রামের কোন স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে একটু জানাবেন, সেই সাথে কোন শিক্ষক ঘটিয়েছে তাও যদি বলতেন আমাদের খুঁজে বের করতে সুবিধা হত, প্রতিউত্তর হোল আপনি কে, আপনি কি করবেন জেনে, আমি উত্তর দিলাম আমি প্রতিবাদ করব কিন্তু তথ্য না জানলে কি ভাবে প্রতিবাদ করব, উত্তর এল সবাই জানে, আমি আবার উত্তর দিলাম ভাই সবাই জানে কিন্তু আমি জানি না আমাকে একটু জানান চট্রগ্রামের কোন স্কুল, কোন এলাকার স্কুল, কোন ক্লাশ, কোন টিচার ঘটিয়েছে এই বর্বর ঘটনা, প্রতি উত্তর এল পেইজের ভিডিও সেক্সানে ভিডিও আছে দেখে নিন, আমি সাথে সাথে তাদের ভিডিও গুল চেক করলাম পেলাম না, ফিরে এসে কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি পুর পোষ্টটাই গায়েব। বুঝুন ব্যাপারটা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

মামুন অর রশীদ মামুন বলেছেন: Click This Link

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজ নোংরা। মানূষ গুলো আরও বেশি নোংরা।
যারা সমাজ বদলের রাজনীতি করেন তাদের সবার আগে বদলাতে হবে।
অন্যথায় এমনটা ঘটতেই থাকবে।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: যাইহোক এখন থেকে ছাত্রছাত্রী শিক্ষককে হুমকি দেবে। নকল করবে, ক্লাশে মোবাইল নেবে,দরকার হয় ক্লাশটাইমে ক্লাসরমে ডিজে পার্টি করবে।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: আপনি তো একপাক্ষিকভাবে বিষয়টা দেখলেন। শাসন করর যদি মানুষ গড়া যেতো তাহলে তো আমাদের এই দিন দেখতে হয় না।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক ঘটনে ব্যর্থ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

মামুন অর রশীদ মামুন বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.