নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এইট পাশ ব্লগার

জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই, বেঁচে থাকার চেয়ে উপভোগ্য আর কিছুই হতে পারেনা। মানুষের উপকার করার মত আনন্দদায়ক কাজ পৃথিবীতে আর একটিও নেই।

কাজী মামুনহোসেন

https://www.facebook.com/mymail.mamun যারা আমাকে ঘৃণা করে তাদের কে নিয়ে ভাবার সময় আমার নাই, কারন যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কে নিয়ে আমি অনেক ব্যস্ত

কাজী মামুনহোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পতিতারা কোথায় যাবে, কে তাদের সহায়তা করবে ?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫২



(ছবির সুত্র : The Daily Star )



বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই আড়ালে অথবা প্রকাশ্যে পতিতাবৃত্তি চলে আসছে। এদেশে পতিতাবৃত্তিকে অনুমোদনের জন্যে তেমন আইন না থাকলেও ১৮ বছরের উপরের যুবতীদের এফিডেভিটের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তি গ্রহনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সংবিধানে পতিতাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করা হলেও এই পেশাকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত এই পেশাকে সামাজিক স্বীকৃতি দেয়নি বাংলাদেশে । এদের কোন ভোটাধিকার নেই (এদের পেশাকে জাতীয় পরিচয় পত্রে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি )।



সাম্প্রতিক সময়ে, মাদারীপুর সদরের পুরানবাজারের একটি যৌনপল্লিতে ইছলাহে কওমি পরিষদ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় পুরো যৌনপল্লি লন্ডভন্ড করে দেয় হামলাকারীরা। যৌনপল্লির ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানান, হামলার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার পর পুলিশের উপস্থিতিতেই সমাবেশ করে যৌনপল্লিতে আবার হামলার হুমকি দিয়েছে ইছলাহে কওমি পরিষদ।



যৌন পল্লী অথবা যৌনকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা এদেশে নতুন নয়, ধর্মভিত্তিক জনগোষ্ঠি থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী এবং পেশার মানুষরা এর আগেও বহুবার এদের ওপর হামলা হয়েছে, বহুবার এদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেছে।



সংবিধানে পতিতাবৃত্তিকে নিষিদ্ধ না করা হলেও এবং কোন আইনে পতিতাদের পুর্ণবাসন ছাড়া জোর করে উচ্ছেদ করার আদেশ না থাকলেও, খোদ রাষ্ট্রের অধিনস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্যরাও তাদেরকে উচ্ছেদ করার মতো বহু ঘটনা ঘটিয়েছে। এরকম একটি ঘটনা ঘটে ১৯৯৯ সালের ২৩ জুলাই মধ্যরাতে , সেদিন ৩৫০ জন পুলিশের একটি গ্রুপ টানবাজার পতিতাপল্লীতে বর্বরভাবে হামলা চালিয়ে অমানবিকভাবে তাদেরকে উচ্ছেদ করেছিল। সেসময় সেখানকার প্রায় পাঁচ হাজার পতিতার নেতৃত্ব দিচ্ছিল সাথী নামক একজন পতিতা। দুদিন অনাহারী অবস্থায় সাথী তার কোলের শিশুকে দেখিয়ে বলেছিল ওকে যারা জন্ম দিয়েছে সেই লোকেরাই তাদের উচ্ছেদ করছে।



কোন মেয়েই বড় হয়ে যৌনকর্মীতে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখে না, কোন মেয়েই নিজ ইচ্ছা থেকে যৌনকর্মীতে পরিণত হয়না। স্বল্প বেতনে চাকুরি করা কোন এক মেয়ে মৃতপ্রায় মাকে চিকিৎসা করানোর টাকা যোগাড় করতে এই পেশায় জড়িত হতে বাধ্য হয়। অসুস্থ বাবার চিকিৎসা করাতে, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে এবং পরিবারের সদস্যদের আহার যোগাড় করে তাদের নিয়ে সচ্চল ভাবে জীবন যাপন করতে, পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম মেয়েটি পতিতা হতে বাধ্য হয়। স্বামী যখন একাধিক বাচ্চা রেখে অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করে, তার সংসারের ভরণপোষন করেনা, তখন কোন এক গৃহবধু সন্তানদের মুখে আহার তুলে দিতে পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়।



দারিদ্রের তাড়না, ক্ষুধার জ্বালা অথবা প্রয়োজনের তাগিদে নারীরা যখন পতিতা নামক ভয়াবহ এই পেশার দিকে পা বাড়ায় তখন রাষ্ট্র অথবা সমাজের মানুষরা তাদের প্রয়োজন পুরন করে এই পেশা থেকে ফেরত যেতে সহায়তা করে না, বরং যৌন চাহিদা পুরণের জন্য এই সমাজের শত শত পুরুষ তাদের ওপর হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির পুরুষরা খদ্দেরে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে তাদের এই পেশায় থাকতে উৎসাহিত করে। এভাবে কিছুদিন চলার পর একসময় মেয়েটি সমাজের কাছে বেশ্যা, মাগী নামে পরিচিত হয়, যারা এতদিন তার সাথে সহবাস করেছে, তার কাছে এসে যৌন চাহিদা পুরন করেছে, তারাই তাকে ঘৃণা করা শুরু করে, বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত করে।



তারপর শুরু হয় হয়রানী, যে সমাজের মানুষরা তাদের পতিতা হতে উৎসাহিত এবং বাধ্য করেছে, সে সমাজের কিছু মানুষ আবার তাদেরকে পতিতা বৃত্তি ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়, তাদের ওপর নির্যাতন করে অথবা যৌনপল্লি লন্ডভন্ড করে দিয়ে সেই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করে, তখন সেই মেয়েগুলা মানুষদের ঘৃনা সত্ত্বেও এক প্রকার বাধ্য হয়ে পরিবার পরিজন তথা সমাজের সাথে বসবাস করার চেষ্টা করে।



কিন্তু তখন তাদের আরও বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, কারন তারা এখন ঘৃণিত থেকে দুষিততে পরিণত হয়েছে, যে সমাজের মানুষরা এতদিন তাদের সাথে সহবাস করেছে সে সমাজের মানুষরাই দুষন থেকে বাঁচতে তাদের স্পর্শ করে না, তাদেরকে সমাজের সাথে মিশতে দেয় না, পদে পদে অপমান অপদস্থ করে , একঘরে করে রাখে। আর যে সমাজের মানুষরা তাদেরকে যৌনপল্লি থেকে ঘরে আসতে বাধ্য করেছিলো, সেই সমাজের মানুষরাই আবার তাদের গ্রহণ করেনা, মূল স্রোতে ফিরে আসতে সহায্য - সহযোগীতা করাতো দুরের কথা তাদেরকে পদে পদে লাঞ্চিত করে, হয়রানি করে। প্রতিটি স্তরে এবং প্রতি মূহুর্তে ঘৃণা, অবজ্ঞা এবং বিদ্রূপের শিকারে পরিণত করার মাধ্যমে তাদের জীবনকে আরও বেশি দুর্বিষহ এবং ভয়ংকর করে তুলে।



আর এই দুর্বিষহ জীবন থেকে বাঁচার জন্য, তারা আবারও বাধ্য হয়ে যৌনপল্লীর উদ্দেশ্যে গমন করে, কোন এক যৌনপল্লীতে গিয়ে বসবাস করা শুরু করে, নিজের এবং পরিবারের আহার যোগাড় করার জন্য আবারও দেহ বিক্রি করা শুরু করে। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষরা তাদের কাছে এসে যৌন চাহিদা পুরন করা শুরু করে, এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর আবারও এই পেশা ছাড়ার নির্দেশ আসে, একমাত্র আশ্রয়স্থলকে লন্ডভন্ড করে দেয়া হয়, যে আয়ের মাধ্যমে তারা তাদের মৃতপ্রায় মায়ের চিকিৎসা করাচ্ছিলো, ছোট ভাই অথবা সন্তানের পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছিলো, নিজের এবং পরিবারের আহার জোগাড় করছিলো সেই আয়ের রাস্থা বন্ধ করে তাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।



কিন্তু তাদের ওপর বার বার হামলা করা মোটা বুদ্ধির এসব বিবেকহীন মানুষরা পতিতালয় ত্যাগ করে পতিতারা কোথায় যাবে তা বলে দেননা, তাদের পুর্ণবাসনের ব্যাবস্থা করেন না, তাদের মায়ের চিকিৎসা এবং পরিবারের আহার, অথবা ভাইয়ের পড়াশোনা চালানোর মতো টাকা পাওয়ার ব্যাবস্থা করে দেন না। কোন ঠিকানায় গেলে কেউ তাকে একঘরে করে রাখবে না, কেউ তার দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকাবে না, পদে পদে লাঞ্চিত অথবা হয়রানি করবে না। ঘৃণা, অবজ্ঞা এবং বিদ্রূপের শিকারে পরিণত করে তার জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে না, কোথায় গেলে তাকে আবারও পতিতাবৃত্তি নামক ভয়াবহ জীবনে ফিরে আসতে হবেনা। সেই ঠিকানা কেউ নিশ্চিত করেন না।



মোটা বুদ্ধির এসব বিবেকহীন মানুষরা যখন অন্যায়ভাবে পতিতাদের ওপর হামলা করে , তাদের আশ্রয়স্থল ধ্বংস করে, জীবিকা উপার্জনের একমাত্র্র রাস্থা বন্ধ করে তাদের তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে, তখন রাষ্ট্রযন্ত্র গা সারা ভুমিকা পালন করে, তাৎক্ষনিক ভাবে তাদেরকে হামলা থেকে রক্ষা করলেও, তাদের পুর্ণবাসন নিশ্চিত করে পতিতাবৃত্তি ত্যাগ করতে সহায়তা করেনা, যারা তাদের উপর অন্যায় ভাবে হামলা করেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করেনা, লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া পতিতালয় ঠিক করে উপার্যনক্ষম পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়না, ভবিষ্যতে এসব বিবেকহীন জীবদের দ্বারা আক্রান্ত না হওয়ার নিশ্চয়তা দেয়না।



আর যারা নিজেদের মানবাধিকার কর্মী দাবী করেন, মানবাধিকার মানবাধিকার জপনার মাধ্যমে চোখের পানি আর নাকের পানি এক করেন, মনবাধিকার গেলো রবে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেন, তারাও পতিতাদের বেলায় নীরব ভুমিকা পালন করেন। অন্যায়ভাবে হামলা করে তাদের যখন উচ্ছেদ করা হয় তখন মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিবাদ করেন না, হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী তুলেন না। একদিকে পতিতাবৃত্তিকে নিষিদ্ধ না করা আবার অন্যদিকে পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি না দেয়ার মতো রাষ্ট্রযন্ত্রের দুমুখো আচরনের প্রতিবাদ করেন না। হয় পতিতাদের স্বীকৃতি দিন, আক্রান্ত না হওয়ার নিশ্চয়তা দিন নাহয় এদের পুর্ণবাসন করুন এমন যৌক্তিক দাবীতে একটি কথাও বলেন না।



বাংলাদেশে পতিতাদের মতো বহু নিগৃহিত, নির্যাতিত, মানবাধিকার বঞ্চিত জনগোষ্টি আছে। পতিতা ছাড়া অন্য সব জনগোষ্টির মানুষরা এক পক্ষের ধারা নির্যাতিত হলে অন্যরা এগিয়ে আসে। রাষ্ট্র, সমাজ অথবা মানবাধিকার এই তিন পক্ষের কেউ না কেউ তাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়ায়, কিন্তু পতিতাদের বেলায় সবাই নির্বকার, এক পক্ষ নির্যাতন করে আর বাকিরা নিরব ভুমিকা পালন করে। কেউ তাদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসেনা, কেউ তাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়ায় না। এখানে সবাই নির্যাতনকারী, সবাই দর্শক।



পতিতারা জানেনা তারা কোথায় যাবে, কে তাদের সহায়তা করবে ?



পুনশ্চ : পতিতাবৃত্তিকে নিষিদ্ধ না করা আবার পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি না দেয়ার মতো রাষ্ট্রযন্ত্রের দুমুখো আচরনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কোন প্রকার পুর্ণবাসনের ব্যাবস্থা না করেই পতিতাদের উচ্ছেদ করার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। পতিতাদের সাথে অমানবিক আচরনের পরও মানবাধীকার কর্মীদের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।



টাকার বিনিময়ে শরীর দেওয়া মানেই দাসত্ব। যৌনদাসত্ব থেকে পতিতাদের মুক্ত করে আবারও সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে রাষ্ট্রযন্ত্র এগিয়ে আসবে, তাদেরকে আবারও মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে সমাজ এবং মানবাধিকার গুরুত্তপূর্ণ এবং দ্বায়ীত্বশীল ভুমিকা পালন করবে, এমন আশা রইলো।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১১

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: এসব কথা বলে লাভ নাই..... সুশীল সমাজ এগুলো এড়িয়ে চলতে চায়.. অথচ বাংলাদেশই একমাত্র মুসলিম দেশ যে দেশে প্রষ্টিটিউশন আইনগত বাতে প্রতিষ্ঠিত X(

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৩

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হুমম। :( :(

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: *আইনগত ভাবে

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৪১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: ওকে যারা জন্ম দিয়েছে সেই লোকেরাই তাদের উচ্ছেদ করছে

মুখে বলে হরি হরি
অন্তরে মত্ত জুয়া চুরি


মনে মনে কিছুটা তথাকথিত সুশীল সমাজকে ধিক্কার দেয়া ছাড়া আমরাই বা কতটুকু কি করতে পারি,কারণ আমরাওতো একই সুশীল সমাজের বাসিন্দা :( X((

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হুমম :( :(

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৮

evilseye বলেছেন: পোস্টের জন্য thank you. বিশাল বড় পোষ্ট পুরাটা পরি নাই। আসেন চেষ্টা করি সুশীল সমাজের দিকে না তাকিয়ে নিজেরা কিছু করতে পারি কিনা (যদিও সেইটা আমাদের মত আমজনতার দ্বারা সম্ভব না)। সুশীল সমাজ শুধু talk show তেই সীমাবদ্ধ।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

evilseye বলেছেন: পোস্টের জন্য thank you. বিশাল বড় পোষ্ট পুরাটা পড়ি নাই। আসেন চেষ্টা করি সুশীল সমাজের দিকে না তাকিয়ে নিজেরা কিছু করতে পারি কিনা (যদিও সেইটা আমাদের মত আমজনতার দ্বারা সম্ভব না)। সুশীল সমাজ শুধু talk show তেই সীমাবদ্ধ। :|| :|| :|| :||

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হুমম আমাদের মত আমজনতার দ্বারা কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা ব্যাতিত আর কিছুই সম্ভব না। :-< :-<

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: লাখ লাখ মেয়েরা তো গারমেন্টসে কাজ করছে, অনেকে কাথা সেলাই, মাদুর বুনা বা টুপি সিলাই করেও তো ভাল আয় করছে । সেক্ষেত্রে এরকম একটা ঝুকি পূর্ণ পেশায় যাবার দরকারটা কি ?

আবার অনেকেই ৩০/৩৫ বছর হলে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে পেশা ছেড়ে দেয় । অন্য পেশায় যোগ দেয় । তার মানে এ পেশায় নিয়োজিত মেয়েরাও ধীরে ধীরে অন্য কাজে যোগ দেয় ।

৪০/৫০ বছর বয়সেও পেশা চালি্যে যাচ্ছেন এমটা তো হয় না । কিছু মেয়েরা নিজেরাই আবার ব্যবসা গুছিয়ে নেয়, বাচ্চা মেয়েদের কিনে নিয়ে জোড় করে নির্যাতন আর বলৎকার করে। তারাও নারী ! তারাও আমাদেরই মেয়ে, আমাদেরই বোন ।

কিন্তু আমাদের বোনরা যখন অন্যায় করে, নারী শিশু অফরণ আর নির্যাতন করে, একে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেয়, তাদের এই কাজের নিন্দা জানাতে নারীবাদী, সুশীল, প্রগতিবাদীরা কিছু বলে না!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: লাখ লাখ মেয়েরা তো গারমেন্টসে কাজ করছে, অনেকে কাথা সেলাই, মাদুর বুনা বা টুপি সিলাই করেও তো ভাল আয় করছে । সেক্ষেত্রে এরকম একটা ঝুকি পূর্ণ পেশায় যাবার দরকারটা কি ?

সবার হিসেব তো আর এক না, পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম মেয়ের পক্ষে কি গার্মেন্টসে কাজ করে পাওয়া চার-পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষন করা সম্ভব, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা চালানো সম্ভব ?

মায়ের চিকিৎসা চালানো সম্ভব ? স্বামীর দাবীকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা যৌতুক যোগাড় করা সম্ভব ?


আবার অনেকেই ৩০/৩৫ বছর হলে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে পেশা ছেড়ে দেয় । অন্য পেশায় যোগ দেয় । তার মানে এ পেশায় নিয়োজিত মেয়েরাও ধীরে ধীরে অন্য কাজে যোগ দেয় ।


যখন মেয়েটি অন্য কাজে জড়িত হতে চায়, ভাল হতে চায়, তখন কি আপনার সমাজ তাদের গ্রহণ করে ? নাকি তাদেরকে ঘৃণা করে ?

আপনারা যদি সত্যি সত্যিই চাইতেন যে, একটা পতিতা ভালো হয়ে যাক, তাহলে ঘৃণা না করে বরং পতিতাবৃত্তি ত্যাগ করার কারনে তাকে সম্মান করতেন, অন্যদেরকেও তার মতো সম্মানিত হতে উৎসাহিত করতেন।

আপনারা বলেন, আপনারা চাচ্ছেন একটি মেয়ে পতিতা বৃত্তি ত্যাগ করুক আবার ফিরে আসলে তাকে ঘৃণা করেন, একঘরে করে রাখেন, আপনাদের ব্যাবহৃত কবরে তাকে সমাহিত করতে চান না,

আপনারা আসলে কি চান ?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৩

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ৪০/৫০ বছর বয়সেও পেশা চালি্যে যাচ্ছেন এমটা তো হয় না । কিছু মেয়েরা নিজেরাই আবার ব্যবসা গুছিয়ে নেয়, বাচ্চা মেয়েদের কিনে নিয়ে জোড় করে নির্যাতন আর বলৎকার করে। তারাও নারী ! তারাও আমাদেরই মেয়ে, আমাদেরই বোন ।

কিন্তু আমাদের বোনরা যখন অন্যায় করে, নারী শিশু অফরণ আর নির্যাতন করে, একে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেয়, তাদের এই কাজের নিন্দা জানাতে নারীবাদী, সুশীল, প্রগতিবাদীরা কিছু বলে না!


হা হা হা, পুরুষরা সেখানে না গেলেই পারে, ওরা ওখানে যায় কেন ? পুরুষরা ওখানে যাওয়ার মাধ্যমে কি একটা মেয়েকে এসব অপকর্ম করতে উৎসাহিত করছে না ?

পতিতা তৈরী হওয়া এবং বেঁচে থাকার একমাত্র কারন হলো এসব পুরুষ, এরা যদি না যেতো, এদের যদি প্রয়োজন না হতো তাহলে পতিতালয়ের সৃষ্টি হতো না।

এরাই পতিতার সৃষ্টি করে, এরাই পতিতাবৃত্তিকে বাঁচিয়ে রাখে।

পতিতাদের নিয়ে কথা না বলে, পতিতাদের নির্যাতন না করে, যেসব পুরুষ ওখানে যায়, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলুন, ওখানে যাওয়ার কারনে তাদেরকে ঘৃণা করুন, তাদেরকে ওখানে যেতে নিরুৎসাহিত করুন।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: কততগুলো হারামজাদা নপুংসক সরকারী চামুচ বসে বসে দেখবে, জায়গা দখল করার জন্য সরকারের দলের কিছু চামুচ এদের উৎখাত করবে আর শুশীল সমাজ টিভিতে প‌্যাচাল পারবে আর পয়সা নিবে। অসভ্য একটা দেশ!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২২

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: দারুন বলেছেন।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

একজন আরমান বলেছেন:
ধর্মকে ব্যাবহার করা হয়েছে এখানে। হামলার মূল কারণ পতিতা পল্লীর জমি !!! সরকারের এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিৎ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০৭

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: সহমত।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: এরা ধর্মীয় ভাবে শিকার হয়নি,রাজনৈতিক ভাবে হয়েছে।আর দেখা যাবে যারা ভাঙ্গতে গেছে তাদের বেশিভাগই এই পতিতাদের খদ্দের।


পতিতা পতিরক্ষা কিংবা নিধন কোনটা দরকার এবং তা কেন কিভাবে এই নিয়ে একটু কথা বলুন। এই নিয়ে একটু আলোচনা দরকার,বিষয়টা নিয়ে একটু দন্ধ আছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১১

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছেন, এ বিষয়ে আলোচনা দরকার আছে। হয়ত সামনে লিখার চেষ্টা করবো।


ধন্যবাদ।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিন্তু তাদের ওপর বার বার হামলা করা মোটা বুদ্ধির এসব বিবেকহীন মানুষরা পতিতালয় ত্যাগ করে পতিতারা কোথায় যাবে তা বলে দেননা, তাদের পুর্ণবাসনের ব্যাবস্থা করেন না, তাদের মায়ের চিকিৎসা এবং পরিবারের আহার, অথবা ভাইয়ের পড়াশোনা চালানোর মতো টাকা পাওয়ার ব্যাবস্থা করে দেন না। কোন ঠিকানায় গেলে কেউ তাকে একঘরে করে রাখবে না, কেউ তার দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকাবে না, পদে পদে লাঞ্চিত অথবা হয়রানি করবে না। ঘৃণা, অবজ্ঞা এবং বিদ্রূপের শিকারে পরিণত করে তার জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে না, কোথায় গেলে তাকে আবারও পতিতাবৃত্তি নামক ভয়াবহ জীবনে ফিরে আসতে হবেনা। সেই ঠিকানা কেউ নিশ্চিত করেন না।
সহমত

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১২

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। :)

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কিন্তু তাদের ওপর বার বার হামলা করা মোটা বুদ্ধির এসব বিবেকহীন মানুষরা পতিতালয় ত্যাগ করে পতিতারা কোথায় যাবে তা বলে দেননা, তাদের পুর্ণবাসনের ব্যাবস্থা করেন না, তাদের মায়ের চিকিৎসা এবং পরিবারের আহার, অথবা ভাইয়ের পড়াশোনা চালানোর মতো টাকা পাওয়ার ব্যাবস্থা করে দেন না। কোন ঠিকানায় গেলে কেউ তাকে একঘরে করে রাখবে না, কেউ তার দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকাবে না, পদে পদে লাঞ্চিত অথবা হয়রানি করবে না। ঘৃণা, অবজ্ঞা এবং বিদ্রূপের শিকারে পরিণত করে তার জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে না, কোথায় গেলে তাকে আবারও পতিতাবৃত্তি নামক ভয়াবহ জীবনে ফিরে আসতে হবেনা। সেই ঠিকানা কেউ নিশ্চিত করেন না। ....

++

দায়হীন স্বার্থপর ধর্ম,রাজনীতির কুফল!!!

মানবতাবাদী, কল্যান মূখী রাজনীতি, ধর্মই পারে সুন্দর সু্ষ্ঠ সমাধানের মাধ্যমে জাতিকে প্রকৃত উন্নতি দিতে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হুমম, ধর্মই পারে সুন্দর সু্ষ্ঠ সমাধানের মাধ্যমে জাতিকে প্রকৃত উন্নতি দিতে।


ধন্যবাদ।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পতিতা পল্লী উচ্ছেদের ঘটনা তখনই ঘটে স্থানীয় রাঘব বোয়লদের কেউ কেউ যখন মুখ লুকানোর সুযোগ পায় না। নিজের চেহারা আড়াল করতেও সুশীল নেতা সাজে পিঠ বা সমাজে নিজের মান বজায় রাখতে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: সহমত।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩

কৃষিবিদ আহমদ মুকুল বলেছেন: সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: লাখ লাখ মেয়েরা তো গারমেন্টসে কাজ করছে, অনেকে কাথা সেলাই, মাদুর বুনা বা টুপি সিলাই করেও তো ভাল আয় করছে । সেক্ষেত্রে এরকম একটা ঝুকি পূর্ণ পেশায় যাবার দরকারটা কি ?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৫

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: সবার হিসেব তো আর এক না, পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম মেয়ের পক্ষে কি গার্মেন্টসে কাজ করে পাওয়া চার-পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষন করা সম্ভব, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা চালানো সম্ভব ?

মায়ের চিকিৎসা চালানো সম্ভব ? স্বামীর দাবীকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা যৌতুক যোগাড় করা সম্ভব ?


কোন মেয়েই বড় হয়ে যৌনকর্মীতে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখে না, কোন মেয়েই নিজ ইচ্ছা থেকে যৌনকর্মীতে পরিণত হয়না।

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: বিষয়টি আমাদের মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখা উচিত ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হুমম।

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

আরজু পনি বলেছেন:

পতিতা কী কারণে হচ্ছে, এই প্রশ্ন যখন বেরিয়ে যায়, তখন কিন্তু এর জবাবটা ঠিকমতো দেবার চেষ্টা করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ।

পতিতাবৃত্তিকে উৎসাহিত না করে, কিভাবে এর সামাধানে কাজ করা যায় সেদিকে আমাদেরই নজর দেয়া উচিত ।


তবে বর্তমান সময়ে অনেকেই বিপদে পরে নয়, বরং মানসিক প্রশান্তি পেতে, প্রমোশন পেতে, অতিরিক্ত অফিশিয়াল ছুটি, বিদেশী ট্যুর বাগাতে, বাড়তি কিছু টাকা পেয়ে ফুটানি করতেও সমাজের উচুতলার পুরুষদের কাছে নিজেদেরকে তুলে দিচ্ছে........এরাই বর্তমান সময়ে সামাজিক অবক্ষয়ের নিরব ঘাতক হিসেবে কাজ করছে ।

আপনি অনেকগুলো দরকারী কথা বলেছেন ।
ভালো লাগা সহ
প্রিয়তে রাখলাম পোস্টটা ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: দারুন বলেছেন, সহমত। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.