![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/mymail.mamun যারা আমাকে ঘৃণা করে তাদের কে নিয়ে ভাবার সময় আমার নাই, কারন যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কে নিয়ে আমি অনেক ব্যস্ত
সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। পুলিশকে সরাসরি মামলা করা ও পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া, কয়েকটি ধারা অজামিনযোগ্য করা এবং আমলযোগ্য নয় এমন অপরাধকে আমলযোগ্য হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে, যেকোন ধরণের 'উস্কানিমূলক বক্তব্য' 'মানহানি এবং কুৎসা রটনা' ইত্যাদি করা হলে যেকোন ব্লগ বা ফেসবুক ব্যবহারকারীকে পুলিশ ধরে নিয়ে রিমান্ড চাইতে পারবে, এবং তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য মামলা দিতে পারবে। বিচারে তাদের সাত থেকে চৌদ্দ বছরের কারাদণ্ডেরও বিধান করা হয়েছে।
তাছাড়া এই আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’’
ইন্টারনেটকে পুঁজি করে ইতিবাচক কর্মকান্ড পরিচালনা করা মানুষদের সংখ্যা যেমন অজস্র, ঠিক তেমনি নেতিবাচক কর্মকান্ড পরিচালনা করা দুবৃত্তের সংখ্যাও কম নয়। অনলাইনকে ব্যাবহার করে, বর্তমানে যেভাতে মিথ্যাচার, অশ্লিলতা, প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। তা রুখে দেয়ার জন্য আমরা যখন ২০০৬ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম, ঠিক তখনি রাষ্ট্রযন্ত্র এই আইন সংশোধন করেছেন। কিন্তু দুংখজনকে হলেও সংশোধিত এই আইনের কারনে খুশি হতে পারছি না বরং হতাশ হচ্ছি, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এই অস্পষ্ট সংশোধন দেখে অজানা আতঙ্কে ভুগছি।
দেশের অন্য সকল আইনে অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকলেও, এই আইন সম্পুর্ণ অস্পষ্ট, ঠিক কি করলে অপরাধ হবে অথবা কোন কাজকে অপরাধ হিসেবে গন্য করা হবে তাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এই আইনে মিথ্যা, মানহানি, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, উসকানি ইত্যাদি শব্দদ্বয় ব্যাবহার করলেও, এসব শব্দের সংজ্ঞা কি অথবা ঠিক কোন ধরনের লিখাকে আইন মোতাবেক উপরোক্ত বিশেষনে বিশেষায়িত করা যাবে / হবে, সে বিষয়েও সবাইকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
এই আইন এতই অস্পষ্ট এবং অসংগতী পূর্ণ যে, এটাকে ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক উদ্দেশ্যে বেশি ব্যাবহার করা হবে, এই আইন বাস্তবায়িত হলে, বাক স্বাধীনতা চর্চা মুষড়ে পড়বে, যে কোন মহল চাইলেই নীরিহ নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসাতে পারবে, এমনকি সত্য কথা বলার কারনেও যে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে, হয়রানির মুখে ফেলা যাবে।
এই আইনে এতই ফাক-ফোকর বিদ্যমান যে, এটি পাশ হলে কবিতা অথবা গল্প লিখার কারনেও, কোন এক ব্যাক্তিকে সবোর্চ্চ সাস্তির মুখোমুখী করা যাবে। কয়েকটা উদাহারন দেই -
সংবিধানের ২৮(২) ধারায় বলা হয়েছে, "Women shall have equal rights with men in all spheres of the State and public life "
কিন্তু বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন বহুদিন ধরেই এ কথার বিরোধীতা করে আসছেন, এই কথাকে ধর্ম বিরোধী উল্লেখ করে হেফাজত সহ একাধিক ধর্ম ভিত্তিক সংগঠন বহুবার এই আইন সংশোধনের দাবী জানিয়েছেন, দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে একাধিকবার আন্দোলন করেছেন । কখনও কখনও আন্দোলন সহিংসতায় রুপ নিয়েছে।
অন্যদিকে প্রগতিশীর সমাজের কিছু মানুষ এই আইন বলবৎ রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার বাস্তবায়নের দাবীতে আন্দোলন করছেন।
ধরুন, কোন এক ব্যাক্তি নারী পুরুষের সমান অধিকার বজায় রাখার পক্ষে ব্লগ অথবা ফেইসবুকে একটি কবিতা লিখেছেন, অথবা কেউ একজন তার গল্পের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে সবাইকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন, অথবা তার কবিতার মাধ্যমে, যারা নারীদের সমান অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন।
এখন, যেহেতু হেফাজত সহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক সংগটন এই আইনকে ধর্ম বিরোধী আখ্যায়িত করে এর বিরোধীতা করছে, সেহেতু উপরোক্ত গল্প-কবিতা নিশ্চই তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করবে , তারা এই আইনকে ব্যাবহার করে ওই কবি/গল্পকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে মামলা করবে।
আর আইন সম্মত এবং সংবিধানের পক্ষে কথা বলার পরও দুর্ণিতীগ্রস্থ পুলিশ সদস্যদের ব্যাবহার করে (পুলিশের মধ্যে বহু দুর্ণিতীগ্রস্থ সদস্য আছেন, একথা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে) সেই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করিয়ে রিমান্ডে নেয়াবে, সংবিধান অনুযায়ী সম্পুর্ণ নিরপরাধ হওয়ার পরও শুধুমাত্র এই অস্পষ্ট, অসংগতীপূর্ণ আইনের ফাকফোকর ব্যাবহার করে সেই ব্যাক্তিকে বিনা জামিনে দীর্ঘদিন আটক রাখা হবে !!
ধরুন, ব্লগ অথবা ফেইসবুক ব্যাবহার করে, কোন এক হিন্দু ধর্মালম্বি তার লিখায় হিন্দু ধর্মকে একমাত্র সত্য এবং শ্রেষ্ট ধর্ম প্রমাণ করার চেষ্টা করে, সবাইকে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার আহব্বান জানিয়েছেন। তখন নিশ্চই তার লিখার কারনে মুসলিম অথবা অন্যান্য ধর্মালম্বিদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগবে, তখন যদি অন্যান্যরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ তুলে সেই লেখকের বিরুদ্ধে মামলা করে, তাহলে কি তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন আটকে রাখা হবে ?
এই আইনের সাজার মেয়াদেও রয়েছে ভয়াবহ অসংগতি, মরনাস্ত্র নিয়ে দাঙ্গায় জড়িত হওয়া ব্যাক্তি অথবা ফোন-চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকী দেয়া ব্যাক্তির সাজার পরিমাণ ২-৩ বছর হলেও, অনলাইনে লিখার কারনে সর্বনিম্ন ৭ বছর থেকে ১৪ বছর কারদন্ডের বিধান করা হয়েছে। একজন অনলাইন এ্যাকটিভিস্টের অপরাধ যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, তাকে মরনাস্ত্র বহনকারী ব্যাক্তির চাইতেও বেশি সাজা ভোগ করতে হবে।
বাক-স্বাধীনতা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, আর সমালোচনা বাকস্বাধীনতার অপরিহার্য অংশ, একটি গনতান্ত্রিক দেশের নাগরিকদের সমালোচনা করার অধিকার আছে।
ধরুন, কেউ একজন অন্য কারও ইতিবাচক সমালোচনা করছেন, কিন্তু যে ব্যাক্তির সামলোচনা করা হয়েছে, তিনি যদি মানহানি মামলা করে বসেন, তাহলে কি সেই সমালোচককে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হবে অথবা তার সমালোচনার কারনে সেই ব্যাক্তির মানহানী হয়েছে বিচারে যদি তা প্রমাণিত হয়, তাহলে কি শুধুমাত্র সমালোচনা করার কারনে লেখককে সাত-থেকে চৌদ্দ বছরের সাজা দেয়া হবে ?
তাছাড়া এই আইনকে অজামিনযোগ্য করার কারনে বহু নিরপরাধ মানুষকে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন (সেটা কয়েক বছরও হতে পারে) কারাগারে আটক থাকতে হবে।
কেউ যদি উস্কানী, মিথ্যাচার অথবা ধর্মানুভুতিতে আঘাত না দেয়ার উদ্দেশ্যে লিখে থাকে, অথবা তার লিখায় যদি কারও ধর্মানুভুতিতে নাও লেগে থাকে, তখনও পুলিশ চাইলে লেখককে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে, রিমান্ডে নিতে পারবে এবং নিদোর্ষ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিনা কারনে আটকে রাখতে পারবে।
বাংলাদেশে ব্লগারদের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়, শুধুমাত্র বাক স্বাধীনতা চর্চার কারনে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে মৌলবাদীরা পর্যন্ত ব্লগারদের মুখ চেপে ধরার চেষ্টা করছে। মৌলবাদীরা এই পর্যন্ত একাধিক ব্লগারকে কুপিয়ে আহত করেছে, একজনকে গলা কেটে হত্যা করছে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক দলের নেতারা ব্লগারদের তুরুপের তাস বানিয়ে গদি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন, আর সেই সুত্র ধরে একটি পত্রিকা দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ এবং ব্লগারদের নিয়ে ঢালাও ভাবে মিথ্যাচার চালিয়েছে, গুটিকয়েক বিপথগামী মানুষের কুকর্মের প্রমাণ টেনে সকল ব্লগারকে ধর্মবিদ্ধেষী প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতিতে সফল হওয়ার জন্য ব্লগারদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তাদের উস্কানির কারনে হেফাজত অথবা বাংলাটিমের মতো মৌলবাদী সংগঠনের জন্ম হয়েছে, বাংলাটিমের সদস্যরা আজও ব্লগারদের হত্যা করার জন্য মরনাস্ত্র নিয়ে ঘুরছে।
এত কিছুর পরও ব্লগাররা দমে যায়নি, তারা আইনের শাষনের উপরে ভরষা করে বাক স্বাধীনতা চর্চা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুংখজনক হলেও আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র যে আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন, সে আইন যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে যাওয়ার কোন যায়গা থাকবে না, একদিকে ব্লগারদের কুপানো হবে অন্যদিক আইন লঙ্গনের দায়ে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। এই আইন বাস্তবায়িত হলে বাক স্বাধীনতা মুষড়ে পড়বে। অপরাধের অস্পষ্ট সংজ্ঞায়ন, অভিযোগের জামিন অযোগ্যতা ও সর্বনিম্ন শাস্তির অস্বাভাবিক মাত্রার ভয়ে নতুন লেখকরা মত প্রকাশে নিরুৎসাহিত হবে, ক্রমাগত হয়রানি অথবা ভীতির কারনে বাক স্বাধীনতা চর্চা বন্ধ করতে বাধ্য হবে।
দুষ্কৃতকারীদের রুখতে আইন করার প্রয়োজনীয়তা আছে, তবে সে আইন অসংগতীবিহীন, নিখুত এবং স্পষ্ট হতে হবে । আইনের কারনে নিরপরাধ ব্যাক্তিরা যাতে হয়রানির মুখে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে, এই আইনকে রাজনৈতিক স্বার্থে ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করা হবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে। আইনটিকে অবশ্যই জামিন যোগ্য এবং অ আমলযোগ্য করতে হবে। আইন কারা প্রয়োগ করবেন, অনলাইন সম্পর্কে তাদের ধারনা কতটুকু অথবা তাদের যোগ্যতা কীভাবে নিধারন হবে এসব ব্যাপারে আইনের মধ্যেই স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে।
আর তা যদি কোন কারনে করা সম্ভব না হয়, তাহলে বাক স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: এই আইন বাস্তবায়িত হলে, আমাদের সবাইকে হ্যাপায় পড়তে হবে।
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: তাইলে এমন আইনের কারণে ভবিষ্যতে লেখালেখির মানও খারাপ হবে। আগামী প্রজন্ম স্কুলের বাইরে কিছু পড়তে উৎসাহী হবে না। ফলে প্রতিবাদী কারো জন্ম হবে না। পুতু পুতু প্রেমের গল্প-কবিতার বন্যা বয়ে যাবে।
আপচুচ! বাংলাদেশ!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আপচুচ! বাংলাদেশ! :-< :-<
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার মনে হয় কিছুদিন ধৈর্য্য ধরে সাধারন মানের লেখালেখি করাই উত্তম । ধর্ম নিয়ে না লিখলে কি বড় কোন ক্ষতি হবে ব্লগারদের ?সামনের দিনগুলোয় রাজনৈতিক সংঘাত আসন্ন । সিপিবির সেলিম মহাজোটের হয়েও আজ উত্তম ধোলাই খেয়েছে । আমি খুশী যে এইসব হয়রানীমূলক আইন পাশের সময় তারা নিশ্চুপ থাকে ।
শুভ ব্লগিং
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ধর্ম নিয়ে না লিখলেও এমনকি কোন প্রকার আইন লঙ্গন না করলেও, এই আইনের ফাক-ফোকর ব্যাবহার করে যে কাউকে হ্যাপায় ফেলা যাবে।
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
তিক্তভাষী বলেছেন: যারা এই নিবর্তনমূলক কালো আইনটির প্রণেতা তাদের উপরই সর্বাগ্রে এটির অপপ্রয়োগ হোক এই অভিশাপ দিচ্ছি!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আমিন !!
৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
থাক কিছুই কমুনা কইলেই বিপদ
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: কি কি কইতে চান, তা মেসেজ করে পাঠিয়ে দিলেই হয়!
৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: কালো আইন । খুব বাজে ।
পোস্টে প্লাস ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আফসোস।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন:
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১
সাদেক বলেছেন: খুব খ্রাপ
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন:
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১
সাদেক বলেছেন: খুব খ্রাপ
১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মানুষএখন লেখালেখি বন্ধ করে দিলেও দিতে পারে। খুব খারাপ। মানুষ জন সত্য প্রকাশে ভয় পাবেএটা কেমন আ ইন হল।আইন দূষ্টের দমন করবে আর শিষ্টের পালন করবে। অথচ হচ্ছেটা কি?প্যাথেটিক।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আসলেই দুংখজনক,
এই আইনে এতই অসংগতি রয়েছে যে, এটি পাশ হলে অপরাধীদের চেয়ে নিরীহ মানুষদের বেশি হয়রানি করা হবে। দীর্ঘ সাজা আর হয়রানির ভয়ে নতুনরা লিখতে চাইবে না।
১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ভয়ে ভয়ে মন্তব্য করছি, "ভালো তো ভালো না?"
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: রিস্ক নিয়ে মন্তব্য করার চাইতে, এসএমএস অথবা ডাকযোগে মন্তব্য পাঠিয়ে দিলেই হয় !!
১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: মলয় রায় চৌধুরীকে এই আইনে ভালোভাবে ফাসানো যাবে
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: অনুভুতিতে হালকা পাতলা আঘাত পাচ্ছি।
১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
মাগুর বলেছেন: মামুন,
আইনটা কালো না সাদা সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই। ধরো এই আইন বাতিল করে দাওয়া হলো, কিন্তু পরবর্তীতে অন্য কোন সরকার এসে আরও কঠোর আইন করলো, তখন কি হবে? আবার প্রতিবাদ? আবার সমালোচনা?
আবার ধরো এই আইন থাকলো, তাহলেই বা কি এমন হবে? তোমরা কি করবা জানি না, আমি আমার মতো লিখেই যাবো। আমি আজকেও একটা গল্পে চরিত্রের প্রয়োজনে শারীরিক মিলনের কিছুটা বর্ণনা দিয়েছি। এখন এটা যদি আইন বিরোধী হয় তাহলে আমার কিছু করার নাই। কারন সাহিত্য কখনো আইন দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। এত কিছু বললাম তোমার পোস্টের শিরোনাম পড়ে।
কবিতা বা গল্প এখার জন্য এই ২০১৩ সালে কাউকে গ্রেফতার করার মত সাহস কারো হবে না বলে আমার মনে হয়। তবে এর চেয়ে শক্ত আইন আশা করবো সেই সব নরদমার কিটদের জন্য যারা প্রতি মুহূর্ত অনলাইনে মিত্থাচার, হিংসা, ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে যাচ্ছে।
সত্যের পথে থাকলে হয়তো একটু হয়রানির শিকার হতে পারো কিন্তু তাই বলে সত্যকে ত্যাগ করো না, দেখবা কেউ কিছু বলতে পারবে না
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: দুষ্কৃতকারীদের রুখতে আইন করার প্রয়োজনীয়তা আছে, তবে সে আইন অসংগতীবিহীন, নিখুত এবং স্পষ্ট হতে হবে । আইনের কারনে নিরপরাধ ব্যাক্তিরা যাতে হয়রানির মুখে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে, এই আইনকে রাজনৈতিক স্বার্থে ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করা হবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে। আইনটিকে অবশ্যই জামিন যোগ্য এবং অ আমলযোগ্য করতে হবে। আইন কারা প্রয়োগ করবেন, অনলাইন সম্পর্কে তাদের ধারনা কতটুকু অথবা তাদের যোগ্যতা কীভাবে নিধারন হবে এসব ব্যাপারে আইনের মধ্যেই স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে।
আর তা যদি কোন কারনে করা সম্ভব না হয়, তাহলে বাক স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে।
১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: তাইলে এমন আইনের কারণে ভবিষ্যতে লেখালেখির মানও খারাপ হবে। আগামী প্রজন্ম স্কুলের বাইরে কিছু পড়তে উৎসাহী হবে না। ফলে প্রতিবাদী কারো জন্ম হবে না। পুতু পুতু প্রেমের গল্প-কবিতার বন্যা বয়ে যাবে।
আপচুচ! বাংলাদেশ!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আপচুচ! বাংলাদেশ!
১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৭
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: এমনিতই এখনার আগের মত প্রেমের গপ, কবিতা পড়তে ভাল লাগেনা। তার উপরে এমন আইন আসলে ব্লগে আসাই বন্ধ করে দিতে হবে। প্রেমের লেখতে যেয়েও মনে হয় রাজনীতিবিদদের ধোলাই দেই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আইন লঙ্গন করেছেন, মাইনাচ।
১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৭
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: ধুর্বাল! লেখবোই না
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন:
১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
কি বলবো!! বললেইতো আইন অবমাননার মামলা খাবো।
[ইহাও একটি আইন অবমাননাকারী কমেন্ট কিনা কে জানে ]
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: সাবধানে থাইকেন। কখন/ কোথায়/ কিভাবে আইন অবমাননা হবে, সেটা কেউ জানেনা !
১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
কালোর কালিমা ষোল কলা টইটম্বুর।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আইন লঙ্গন করেছেন, মাইনাচ। )
১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
খাটাস বলেছেন: বাক স্বাধীনতা মাঝে মাঝে দেশের জন্যই হুমকির কারন হয়ে যায়। আর অন লাইন এ বাক স্বাধীনতা মাঝে মাঝে জ্ঞান পাপিদের দখলে চলে যায়, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। একজন জ্ঞান পাপি একজন মরনাস্ত্র বাহির চেয়ে বেশি ক্ষতিকর, কারন জ্ঞানপাপী নিজেই অমন হাজার মরনাস্ত্র বাহি তৈরি করতে পারে। তাই ৭- ১৪ বছরের জেল ও তাদের জন্য কম হয়ে যায়। অন লাইন নিয়ে শক্ত আইন অনেক আগেই হউয়া উচিত ছিল। এখন হচ্ছে তাতে ও আমার আপত্তি নেই।
কিন্তু আপনি যে সমস্যা গুলোর কথা তুলে ধরেছেন, তাতে সম্পূর্ণ ভাবে একমত। যেখানে জ্ঞান পাপির কোন সংজ্ঞাই নেই, সেখানে ঐ আইন দিয়ে রহিম, করিম, জদু, মদু, মাইকেল - যাকে খুশি শাস্তি দেয়া সম্ভব।
আমার ধারনা মৌল বাদ নিয়ে লেখা এত টা নোংরা পর্যায়ে চলে গেছে যে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ধরমানুভুতিতে আঘাত দেয়া হচ্ছে , আর মৌল বাদি দের প্রোপাগান্ডা এত বিকৃত পর্যায়ে চলে গেছে, যদি ও মৌল বাদিদের দ্বারা সরকারের কিছু গোপন দিক ও ফুটে উঠছে - তাই সরকার এক আইন দিয়ে সাধারণ ধর্ম প্রান মানুষ দের পক্ষপাতিত্তের প্রমান দিতে চাইছে আর নিজেদের স্বার্থ ও রক্ষা করছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২২
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: দারুন মন্তব্য, সহমত পোষন করছি।
দুষ্কৃতকারীদের রুখতে আইন করার প্রয়োজনীয়তা আছে, তবে সে আইন অসংগতীবিহীন, নিখুত এবং স্পষ্ট হতে হবে ।
২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১
শাহ আলম বাদশাহ বলেছেন: আপনার এই পোস্ট সরকারবিরোধী এবং অনেকের গাত্রদাহের কারণ হওয়ায় আপনার বিরুদ্ধেও কি মমলা হতে পারেনা? অথবা পুলিশ আপনাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনা??
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আপনার প্রশ্নের কারনে কি আমার মানহানি অথবা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারেনা ? মানহানি অথবা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে আপনার বিরুদ্ধেও কি মামলা হতে পারেনা? অথবা পুলিশ আপনাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনা??
আপনার কথাও যেমন বাস্তবে রুপ নিতে পারে ঠিক তেমনি আমার কথাও বাস্তবে রুপ নিতে পারে।
এই আইনে সবি সম্ভব, কারন কখন/ কোথায়/ কিভাবে আইন অবমাননা হবে, সেটা আইন নিজেই জানেনা !
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: শুধুমাত্র উদাহারন দেয়ার জন্য উপরোক্ত মন্তব্য করেছি, আশা করি এই মন্তব্যের কারনে আপনার মানহানি হবেনা অথবা ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগবে না ।
ধন্যবাদ।
২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
আরজু পনি বলেছেন:
আরজুপনি নিক থেকে একটা মাত্র কবিতা পোস্ট দিলাম...তার সুত্র ধরে যদি বলে মেয়ে মানুষ বৃষ্টি ভিজে বাইরে গেছে কেন, তাইতো রন 'র কামপুরুষ জেগে উঠেছে ? ! :-&
আমার গল্পগুলাতে !
এখন থেকে তবে শুধুই প্রকৃতির উপর ফটোগ্রাফি করবো !
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: Click This Link
লিখার সময় আপনার এই পোস্ট আর পোস্টের কয়েকটি মন্তব্যের কথা মনে আসছিলো বার বার।
ইতিবাচক উদ্দেশ্যে ভাল কথা লিখার পরও অনেকের অনুভূতিতে আঘাত লাগে !!
তয় ফটোগ্রাফি করতে সাবধান, যে কোন সময় হ্যাপায় পড়তে পারেন।
বেল গাছের ছবি পোস্ট করলে, ন্যাড়ার অনুভূতিতে যদি আঘাত লেগে বসে !
২২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৫
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: বেল গাছের ছবি পোস্ট করলে, ন্যাড়ার অনুভূতিতে যদি আঘাত লেগে বসে !
খাটাস ভাই ভালো বোলেছেন। সহমত। পোস্টের কারণে বিষয়টা জানতে পারলাম ধন্যবাদ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: এই আইন অনেক জটিলতার সৃষ্টি করবে বলে মনে করি ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৩
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হুমম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
যেড ফ্রম এ বলেছেন: বাের কেল্লার মত ফেসবুক পেজ, সোনা ব্লগের মত প্রপাগান্ডা মেশিন আর অপপ্রচার সেই সাথে আসিফের মত কিছু কুলাংগারের জন্য আজকে এই দশা!