![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মো. মামুনুর রশীদ
গাজা ফিলিস্তিনের একটি উপকূলীয় শহর। শহরটি কেীশলগতভাবে ভূমধ্যসাগরের উপকুলীয় অঞ্চলে অবস্থিত যা প্রাচিনকাল থেকে সিরিয়া মিশরের ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতি এবং দরিদ্রতম এলাকার একটি হচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। এ উপত্যকা হচ্ছে ইসরাইল ও মিশরের তীরবর্তী এলাকা। শহরটির দৈর্ঘ্য ৪০ কিঃমিঃ এবং প্রস্থ ১০ কিঃমিঃ।
টিম গার্কের মতে, দেশটির মোট জনসংখ্যা ৭.১ মিলিয়ন । তার মধ্যে ৫.৪ মিলিয়ন ইহুদী এবং ১.৬ মুসলমান কিন্তু গাজা ও পশ্চিম তীরের আরবদের নিয়ে মোট মুসলমান জনসংখ্যা ৫.৫ মিলিয়ন। এখনি ইহুদীদের চেয়ে মুসলমানদের সংখ্যা ১ লাখের বেশী। ২০২০ সালে ইহুদী জনসংখ্যা হবে ৬.৪ মিলিয়ন। এবং আরব জনসংখ্যা হবে ৮.৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ২১ লাখের মত হবে আরবী। কাজেই কয়েক বছরের মধ্যেই ঐ অঞ্চলের দৃশ্যপট যে আমূল পরিবর্তন হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
১৯৪৮ সালের দায়ের ইয়ামিন থেকে শুরু করে আজকের গাজা পর্যন্ত ইসরাইলের অপরাধের খতিয়ান দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। গাজায় হামলার ব্যাপারে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান খালিদ মিশেল বলেন , ‘কোন কিছুই অক্ষত রাখেনি সরকারি ভবন থেকে মসজিদ স্কুল থেকে বাজার রেহাই পায়নি’। হাজার হাজার নিরিহ মানুষ মারা গেছে, চিরতরে পঙ্গুত্ব বরন করেছে। তবে নিহতদের তিনভাগের দুইভাগ শিশু ও নারী। ইসরাইলী হামলার বিষয়ে গাজার মানুষের মন্তব্য হচ্ছে, ইসরাইলী একেকটি বোমাবর্ষনের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনের এককটি বছর পার হয়ে যাচ্ছে।
মধ্যপ্র্চ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ খালিদ হার্বেও মতে , রিঃয ভবৎড়পরঃু : ওঃং ঁংব ড়ভ সবংংধমব সরষরঃধৎু ভড়ৎপব যধং রহ (ধঃ ঃরসব ড়ভ ৎিরঃযরহম) ঃবিহঃু ফধুং ড়ভ ধিৎ শরষষবফ ড়াবৎ, ২০০০০ চধষবংঃরহরধহং’, ধৎড়ঁহফ ১২০০০ ড়ভ ঃযবস ড়িসবহ ধহফ পযরষফৎবহ. ঞযব ফধরষু ঘবংি ধমব, ১৫ ঔধহ-২০১২
ফিলিস্তিনের একদিকে মিশর ও জর্ডান এবং অপরদিকে আছে ইরান , সিরিয়া , , হিজবুল্লাহ ও হামাসশক্তি। পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে হামাস ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। ইসরাইলীদের কাছে হামাস হলো সন্ত্রাস। অথচ তারাই ২০০৬ সালে নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক জনসমার্থনে নির্বাচনে জয়লাভ করে। ইসরাইলী নিরাপত্তা , স্থায়িত্ব , ও শান্তির জন্য একটি নিষ্পত্তি অপরিহার্য এ লক্ষ্যে তারা পৃষ্ঠপোষক পাশ্চ্যত্ব শক্তি বর্গ গাজা উপত্যকায় হামাসকে উৎখাতের প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হোসাইন ওবামার প্রতিশ্রুতি ছিল আরব ও মুসলিম দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উজ্জল করা এবং সেসব দেশের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিবিড় করে তোলা। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতির প্রধান কারন হলো, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলী আগ্রাসী নীতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায়নিষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার অভাব।
ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার লক্ষে দেশটির প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল হামাস ও আল ফাতাহ প্রতিনিয়ত লড়াই করলেও তাদের উভয়ের মধ্য রয়েছে বৈপরিত্য। গাজায় গণহত্যার ব্যাপারে আল ফাতাহ অধ্যুষ্যিত পশ্চিমতীরে উল্লেখযোগ্য ক্ষোভ বা বিক্ষোভ আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। গাজায় ইসরাইলী অভিযানের মাধ্যমে গণহত্যায় আরব দেশগুলোতে বিভিন্ন ভাবে বিভক্তি এসেছে। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সেীদি আরব কোন প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেনি। ইসরাইলের সাথে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দেশ মিশর ও জর্ডানের মধ্যে গাজা সংকটে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন না করে শুধু বেসামরিক মানুষ হত্যায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে দায়িত্ব শেষ করেছে। অবশ্য আরব দেশগুলোতে গাজায় ইসরাইলী আগ্রাসন বন্ধে কাতাওে এক বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়। এই সম্মেলন থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করা হয় । এক্ষেত্রে তুরস্কের ভুমিকা লক্ষ্য করা যায়, তারা ইসরাইলের জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। গাজা যুদ্ধে ইসরাইলী হামলা য় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তবে এতা আক্রমনের পরও হামাসের শক্তি যে শেষ হয়নি সেটা বিশ্ব শক্তিগুলোর নিকট স্পষ্ট।
গাজায় ইসরাইল প্রবর্তিত যুদ্ধ আপাতত থেমে গেলেও এর প্রতিক্রিয়া এ জনপদের উপর প্রভাব ফেলবে। পরিবর্তনের এ গতি কোন দিকে মোড় নেয় তা উপলব্দির জন্য আরো কিছুকাল আমাদেরকে অপেক্ষ্া করতে হবে। বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা জাতিসংঘ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য সংস্থা এ ব্যাপারে প্রকৃত সম্যাটি চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবে যা গাজাসহ ফিলিস্তিনের সংকটের একটি সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করতে সক্ষম হবে । তবে ইসরাইলসহ পশ্চিমা বিশ্ব যতদিন মূল সংকটের সমাধান না করে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনীদেরুুু উপর নির্মুল অভিযান চালিয়ে যাবে ততদিন এ জনপদে শান্তি ফিরে আসবে বলে মনে হয়না।
সধসঁহযরংঃ৩৯@মসধরষ.পড়স
লেখক পরিচিতি
চতুর্থ বর্ষ, ইতিহাস বিভাগ
জাহাঙগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মোবা. ০১৯৪০৩৫৬৭১১
©somewhere in net ltd.