নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

We are ANONYMOUS, we are legion, we do not forgive, we do not forget, expect us!

ভালো লাগে ভ্রমন করতে, ভালোবাসি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে, অবসর সময় ফেইসবুকে চ্যাটিং করি, সময় পেলে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করি।

মামুন নজরুল ইসলাম

মামুন নজরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেরা ১০ জাতের আম চেনার উপায়

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৮


আমকে ফলের রাজা বলা হয়। মধু মাসের এ সময়টাতে আম খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি পাওয়া দুস্কর। বাজারে বিভিন্ন ধরনের আম রয়েছে। কিন্তু কোনটা যে কি আম, তা চিনতে ও কিনতে বিড়ম্বনার শেষ নেই। অধিকাংশ ক্রেতাই আম চিনতে ভুল করেন। আম কেনার পর অনেকেই বুঝতে পারেন না তিনি কোন আমটি কিনছেন। সেরা ১০ জাতের আম চেনার সহজ উপায় চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. গোপালভোগ: গোপালভোগের গায়ে সাধারণত হলুদ ছোপ ছোপ দাগ থাকে। এটির নিচের দিকে একটু সরু এবং পাকার পর হলুদ হয়ে যায়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যায় পাওয়া যায় গোপালভোগ।

২. রূপালী আম বা আম্রপালি: রূপালী আম বা আম্রপালি নিচের দিকে খানিকটা সুঁচালো এবং উপরে একটু গোলাকৃতির হয়। এই আম মিষ্টি বেশি ও স্বাদে অতুলনীয়।

৩. ল্যাংড়া: ল্যাংড়া আম দেখতে কিছুটা গোলাকার ও মসৃণ। এর নাক নিচের দিকে থাকে। এর খোসা খুবই পাতলা।

৪. রাণী পছন্দ: রাণী পছন্দ দেখতে অনেকটা গোপালভোগের মতোই। এর গায়েও হলুদ দাগ আছে কিন্তু আকারে ছোট। ফলে গোপালভোগের সঙ্গে রাণী পছন্দ মেশালে আলাদা করা কষ্টকর।

৫. বারি আম-২ বা লক্ষণভোগ: বারি আম-২ বা লক্ষণভোগ চেনার সহজ উপায় হলো নাক আছে মাঝামাঝি স্থানে। মিষ্টি কম ও পাকলে হলুদ রং হয়। সাধারণত জুন মাসের শুরুর দিকে এই আম পাওয়া যায়।

৬. ক্ষীরসাপাতি আম: খুবই মিষ্টি ক্ষীরসাপাতি আম অনেকে হিমসাগর বলে বিক্রি করেন। এই আম আকারে একটু বড় হয়। আমে হালকা দাগ থাকে। ক্ষীরসাপাতি আম বাজারে পাওয়া যায় মে মাসের শেষে অথবা জুনের প্রথম দিকে।

৭. আশ্বিনা ও ফজলী: আশ্বিনা আর ফজলী আম দেখতে একই রকম। তবে আশ্বিনা আম একটু বেশি সবুজ ও ফজলী আম খানিকটা হলুদ হয়। আশ্বিনার পেট মোটা হয় ও ফজলী দেখতে লম্বা ধরনের হয়।

৮. হিমসাগর: উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত জাতের আমের মধ্যে হিমসাগরের অবস্থান প্রায় শীর্ষে। হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়। এ আমের ঠোঁট নেই, গড়ন বুকের দিকটা গোলাকার এবং অবতল থেকে সামান্য লম্বাটে আকার নিয়ে শীর্ষদেশ গোলাকৃতির হয়ে থাকে। পরিপক্ক হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ। পাকার পরেও সবুজ থেকে যায়। ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা।

৯. হাড়িভাঙ্গা: রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বিখ্যাত ও সুস্বাদু আম হাড়িভাঙ্গা। এ আমের উপরিভাগ তুলনামূলক বেশি মোটা ও চওড়া এবং নিচের অংশ অপেক্ষকৃত চিকন। আকারে বড় হওয়ার কারেণ ৩টি আমে ১কেজি হয়ে যায়। এ আম মাংসালো, শ্বাস গোলাকার ও একটু লম্বা। চামড়া কুঁচকে যায় কিন্তু পঁচে না।

১০. সুবর্ণরেখা: এ আমটির আকার মাঝারি ও ডিম্বাকৃতির। সাধারণত আগাম জাতের আম এটি। সুবর্ণরেখা আমের বোটার পাশে লাল রং থাকে। সুস্বাদু ও রসালো এ আমটির নাম এদেশে সুবর্ণরেখা বা সুন্দরী হলেও দক্ষিণ ভারতে একে চিন্না আম বলে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশ্বিনা আম তো মনে হয় একটু টক হয়। এটা কি সেরা জাতের বলা যায়?

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

মনসুররবি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। তবে সাথে ছবি দিতে পারলে মনে হয় আরও স্পষ্ট হত। ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: হিমসাগর ছাড়া আমি অন্য কোনো আম খাই না।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাই ফজলি আম কিনতে গিয়ে ২০ কেজি আশ্বেনী আম ধরিয়ে দিছে বাসায় নিয়ে বেজ্জতি হইছি। তবে ল্যাংড়া আমার প্রীয় আম !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.