![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য সবসময় খুব নিষ্ঠুর হয়, সত্যচারী কখনো নিষ্ঠুর হয় না। তাই সত্যকে ঘৃণা কর, সত্যচারীকে নয়
অবশেষে গ্রেপ্তার হল সেই কালপ্রিট, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি কারী, সাম্প্রদায়ীক উষ্কানী দাতা আমার দেশ পত্রিকার মাহমুদুর রহমান।
আলহামদুলিল্লাহ।
এই গ্রেপ্তার দরকার ছিলো আরে মাস দুয়েক আগে। তাহলে হয়ত দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা সহনশীল থাকত। সম্পূর্ন পশ্চিমা ধাচে জীবনযাপনকারী মাহমুদুরের জন্য অনেক জামাত শিবিরের ভাইকে ইসলামের কান্ডারী গেল গেল বলে চিৎকার করতে দেখা যাচ্ছে। ব্যাপার না। তারা তাদের অন্যতম মূখপাত্র হারিয়েছে। হয়ত এই ইস্যুতে দেশে দুচারদিন হরতাল ও হবে, চার-পাচ বা ততোধিক পুলিশ জাশি কর্মী সাধারন পাব্লিক নিহত হবে, দশ পনেরোটা গাড়ী পোড়ানো হবে। বিদ্যুত ভবন রেল লাইন মিলিয়ে কয়েয় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হবে। তবে সব মিলিয়ে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান মাহমুদুর রহমান আর তার আমারদেশ বিক্রি করে এর দশভাগের একভাগও উশুল হবে না।
কেন মাহমুদুর রহমান একজন অপরাধী?
আজ দেশের আলেম সমাজ, মাদ্রাসা মক্তবের শিক্ষার্থীরা, সর্বোপরী ধর্মপ্রান মুসলমানদের কাছে ব্লগ, ব্লগিং, ব্লগাররা মূর্তিমান বিভিষিকার নাম। এর জন্য পুরোপুরিই দায়ী ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কীট মাহমুদুর রহমান। কারন ব্লগ বা ব্লগিং কি, তা অনেক আলেম বা মাদ্রাসার ছাত্ররা জানেনা, বা তাদের জানার কথাও না। কারন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত অনেকেই জানেনা। ব্লগিংটা মোটামুটি দুইভাবে হতে পারে। ব্যাক্তিগত ব্লগিং, গ্রুপ ব্লগিং। তবে দুইটার যেটাই হোক, মূল কাজটা হচ্ছে ডাইরী লেখার মত। নিজের মতামত, ইচ্ছা অনিচ্ছা, ব্যাক্তিগত স্মৃতিকথা ইত্যাদি লিখে রাখার মত। আর গ্রুপ ব্লগিংএ রাজনৈতিক বা সমসাময়িক কোন ইস্যু নিয়ে গ্রুপের সদস্যরা আলোচনা করে। পার্সোনাল ব্লগিং হলেতো নিজস্ব মতামত নিজের মত করে লিখে, কিন্তু ওপেন প্লাটফর্ম হলে সেখানে ব্লগ কতৃপক্ষের কিছু নিতীমালা থাকে। সেটা লঙ্ঘন করলে শাস্তির ব্যাবস্থাও থাকে।
বাংলায় ব্লগিংএর যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ এর দিকে। তখন থেকেই বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ব্লগিং হচ্ছে। ভ্রমন নিয়ে, প্রযুক্তি নিয়ে, ফ্যাশন নিয়ে, সাহিত্য নিয়ে, ধর্ম নিয়ে।
এই ধর্ম নিয়ে ব্লগিং হচ্ছে আবার দুই ধরনের। এক পক্ষ কোরান হাদীস নিয়ে আলোচনা করছে। সূরার তাৎপর্য বিশ্লেষন করছে। আরেক পক্ষ ধর্মের অসারতা প্রমানের উদ্দেশ্যে লিখছে।
যে পক্ষ ধর্মের অসারতা প্রমানের জন্য লিখছে তাদের মধ্যে আবার দুই ভাগ আছে। একভাগ সহনশীল লেখালেখি করে। অন্য ভাগ সমালোচনার পাশাপাশি গালাগালি করে।
এই ধরনের গালাগালি বা কটূক্তিকারী ব্লগারের সঙখ্যা ২০-৫০ জন যেখানে বাংলা ভাষায় ব্লগিং করছে লক্ষ লক্ষ ব্লগার।
আমারদেশ পত্রিকার অনেক রিপোর্টার বা সাংবাদিক আছেন যারা নিজ নামে বা ছদ্মনামে ব্লগিং করে থাকেন। তারাও হয়ত কোন না কোন সময় ঐসব ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের সাথে তর্কে জড়ি্যেছেন। কিন্তু তারা কখনো সেটা পত্রিকায় প্রকাশের মত বোকামী করতে যাননি। ২০০৫ থেকে ২০১৩। আট বছর সময় তারা এভাবে ব্লগীয় ভাষায় তর্ক করে গেছেন। তাদের সাথে হয়ত যোগ দিয়েছিলেন আরো শত শত ব্লগার।
তবে ৮ বছর পর সেটা কেন আমারদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হল?
এর পেছনে রয়েছে মা.রহমানের চক্রান্তকারী পরিক্ল্পনা, ধর্মীয় দাঙা সৃষ্টির নীল নকশা।
তার চক্রান্টের প্রায় দ্বার গোড়ায় সে এসে পৌছে গেছে। যেকোনদিন শুধু হেফাজতের কর্মী আর জানরনমণ্ছের কর্মীদের সংঘর্ষই তার নীল নকশা বাস্তবায়ন ঘটাতে পারে।
প্রথম আলোয় মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তারের সংবাদে একটা কমেন্ট ভাল লেগেছিলো।
the sinner should have been arrasted long before
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
সত্যচারী বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
সবুজ সাথী বলেছেন: মিথ্যাচারীদের পাছায় আঙ্গুল দেওয়ার জন্য সারা জীবন তারা মাহমুদুর রহমানের নাম মুখে জপতে থাকবে। আজ সকাল থেকে যেমন অনেক গুলা সমানে ম্যা ম্যা করছে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
সত্যচারী বলেছেন: সামুতে ইদানিং তাদেরই জয়জয়কার
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
কোবির বলেছেন: এর পেছনে রয়েছে মা.রহমানের চক্রান্তকারী পরিক্ল্পনা, ধর্মীয় দাঙা সৃষ্টির নীল নকশা।//
এটা বুঝতে রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না, খুব সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলেই বোঝা যায় না। এই দেশের ৯০% লোকই মুসলমান সুতরাং এই দেশে ইসলাম হেফাজতে'র ধোয়া তোলা চরম হাস্যকর। ভারতে বাংলাদেশের চেয়েও বেশী মুসলমান আছে তারা ইসলাম গেলো গেলো নিয়ে চেচামেচি করছে না। আর ইউরোপ ও আমেরিকায় এখন মুসলমানদের সংখ্যা কোটিখানে, কৈ সেখানে তো হেফাজত ইসলাম নেই কিংবা ইসলাম নিয়ে শংকিত নয় বরং সেখানে বাস করতে পেরে অনেক মুসলাম নিজেকে গর্বিত মনে করে। আর ইসলাম হেফাজতের নামে এরা যা করছে এটার উদ্দেশ্য সবার কাছে খুবই পরিষ্কার- যু্দ্ধাপরাধীদের বাচানো।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
সত্যচারী বলেছেন: হেফাজত যে দাবার গুটি হিসেবে চলছে, হেফাজত নিজেই মনে হয় জানেনা, আর নয়তো টাকার কাছে সব বিক্রি হয়ে গেছে,
৪| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৮
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আনোয়ার ইব্রাহীম কি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ স্টাইল চালু করতে চাচ্ছেন ?
৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আল্লাহ চানতো আগামী ৩০ জুন ২ সপ্তাহের জন্য মালয়েশিয়া যাবার সম্ভাবনা আছে। হেটেল করোনা ইনে ওঠার কথা। আপনার মোবাইল নং কি আগেরটা আছে ? (০১৬....২৩ কিংবা ০১১...১০? প্রথমটা ১০ অংকের পরেরটা ১১ অংকের)
মামনির খবর কি?
৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমি কেএল-এ আছি। সম্ভব হলে আপনার সেল নং দেবেন। এখানে আমার নং ০১১ ১৫৫৭৫৩১৩।
৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
েবনিটগ বলেছেন: জঘন্য থেকেও নগণ্য
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার প্রোফিইল পিক দেখে আপনার ব্লগে ঢুকলাম। অনেকদিন কিছু লিখছেন না।
ভাবী আর মামনি কেমন আছেন ? এবার ব্যাটে বলে হলো না। তাই মামনিটাকে দেখার ভাগ্য হলো না।
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১২
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আবার ব্লগ দিবস এসে গেলো। আরজুপনি আপুর পোস্টে জানা আপুর মেইল আ্ইডিসহ অনুরোধ আছে সেটার জন্য লিংক দিলাম।
Click This Link
কেমন আছেন সবাই ?
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
নায়করাজ বলেছেন: কারো ব্যক্তিগত ব্লগ পত্রিকায় প্রকাশ করাটা কপি রাইট আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অপরাধ। এই লোকটা রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের দোসর। তার পত্রিকার মালিকানায় আছে জামায়াতের প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলম। এই কারণেই এ ব্যাটা গণজাগরণ মঞ্চের পেছনে লেগেছে।
গণজাগরণ মঞ্চ থেকে কখনই ধর্ম বিরোধী কিছুই বলা হয় নি। গণজাগরণ মঞ্চের ৬ দফাতেও ধর্ম বিরোধী কিছু নাই।
গণজাগরণ মঞ্চের ৬টি দাবী :
১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।
৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।
৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মূলত সর্বশেষ দাবীটার কারণেই মাহমুদুর রহমানের লেজে আগুন লেগে গেছে।
এই লোকটা সব সময়ই কুচক্রী। ভয়ংকর ষড়যন্ত্রকারী।
Click This Link
Click This Link
Click This Link