নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপেক্ষা.......

.............সুন্দর দিনের আগামী।

মো: আজিজ মোর্শেদ

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন........

মো: আজিজ মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেসটিনির সভাপতির আবেদন

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৬

অন্যায়ের শাস্তির সঙ্গে ব্যবসা চালাতে দিন





ডেসটিনি গ্রুপের সব ব্যবসায়িক ও আর্থিক লেনদেন সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে দাবি করে অন্তত ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (ডিএমসিএসএল) সব ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়ার আবেদন করেছেন গ্রুপটির সভাপতি (চলতি দায়িত্ব) মো. আশরাফুল আমীন। একই সঙ্গে মো. রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসেনের জামিনে মুক্তি চেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডে সরকারের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবিড় তদারকিও চেয়েছেন তিনি। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা স্বাভাবিক গতিতে চলুক- এমনটিও বলেছেন আশরাফুল আমীন।

গত ২৭ মার্চ বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদের কাছে আবেদনটি পাঠিয়ে আশরাফুল আমীন বলেন, 'ডেসটিনির ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এমএলএম বা পিরামিড পদ্ধতির ব্যবসা নয়। এটি সমবায়ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন মেনেই এটি পরিচালিত হয়েছে।

তবে কিছু অবৈধ, লোভী, আত্মসাৎকারী অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে প্রতিষ্ঠানটি ভুলভ্রান্তির শিকার। ডেসটিনি গ্রুপের কেউ অন্যায় বা রাষ্ট্রের নীতিমালার বাইরে দুর্নীতি করে থাকলে তাদের শাস্তি দিন। তবে গুটিকয়েক ব্যক্তি ও অল্প কিছু পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে পুরো প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ৪৫ লাখ পরিবেশক ও দুই কোটি জনগণের স্বার্থ বিনষ্ট না করার অনুরোধ জানাই।'

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্যসংখ্যা সাড়ে আট লাখের বেশি উল্লেখ করে আবেদনে আশরাফুল আমীন বলেছেন, কম্পানিতে তাদের বিনিয়োগ দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। গড় হিসাবে তাদের মাথাপিছু বিনিয়োগ ২৫ হাজার টাকার কম। এতে স্পষ্ট যে, নিম্ন আয়ের মানুষই কম্পানিটির বিনিয়োগকারী। সমিতি ও ডেসটিনি-২০০০ সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হলেই কেবল এসব বিনিয়োগকারী তাদের বিনিয়োগ এবং প্রতিশ্রুতি ও কাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশ পেতে পারে।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে বেশকিছু অনিয়ম হয়েছে স্বীকার করে নিয়ে আশরাফুল আমীন তাঁর

আবেদনে বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে কোনোরূপ মানি লন্ডারিং অপরাধ সংঘটিত না হলেও ডিএমসিএসএলে বেশকিছু অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। মো. রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসেনকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলে এক বছরের মধ্যেই সমবায় অধিদপ্তরের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সংঘটিত সব অনিয়ম দূর করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নিয়মিত করবেন এমন শর্তারোপ করা হোক। ডেসটিনি-২০০০ ও ডিএমসিএসএলের মূল পরিচালনাকারী মো. রফিকুল আমীন উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়েছে, তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের মূল বিনিয়োগ ফিরিয়ে দেওয়া যাবে। তা না করে অন্য যেকোনো পন্থা অবলম্বন করলে বিনিয়োগগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।'

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, সমবায় অধিদপ্তর এবং যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর নিয়মিতভাবে ডিএমসিএসএল ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের নির্দিষ্ট সময় পরপর আর্থিক প্রতিবেদন সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা ও উপদেশ দেওয়ার মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে। এই প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবসা পরিচালনায় কোনো ধরনের আইনি প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা দূর করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আশরাফুল আমীন বলেছেন, পাশাপাশি দুদকের দায়ের করা মামলা দুটি সংশ্লিষ্ট আদালতে আইনের স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেওয়া হোক।

ডেসটিনি গ্রুপের সংগ্রহ করা অর্থ ও তার ব্যয় বিবরণী তুলে ধরে আবেদনে বলা হয়েছে, 'ডেসটিনি গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০-এর পণ্য বিক্রয়, ডিএমসিএসএলের সদস্যদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ ও সদস্যদের কাছে শেয়ার বিক্রি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন অগ্রিম বৃক্ষ বিক্রি করে ২০০০ সাল থেকে ২০১২ সালের মে পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ১২১ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এর বিপরীতে সরকারি কোষাগারে আয়কর ও ভ্যাট খাতে ৪১০ কোটি টাকা পরিশোধ ও সম্পদ ক্রয়সহ মোট পাঁচ হাজার ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।'

বাণিজ্যসচিবের কাছে পাঠানো আবেদনের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (নিবন্ধন), যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।





সুত্র

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

অণুষ বলেছেন: ডেস্টিনিতে আমার কোন একাউন্ট নাই। কখনো ভাল চোখেও দেখিনি। তারপরও বলি হলমার্ক সুযোগ পেলে ডেস্টিনি কি দোষ করছে?

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৪

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: হলমার্ক আর ডেসটিনি এক জিনিস নয়। হলমার্ক ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা লুটপাট করছে আর ডেসটিনির কোন ব্যাংক ঋণ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনির ব্যাপারে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে তারা অর্থপাচারের কোন সুস্পষ্ট প্রমান পায়নি- সুত্রঃ কালের কন্ঠ ১০-০৩-২০১৩।

ডেসটিনি তাদের কোন সুবিধা দিতে বলছে না, শুধু বলছে তাদের যে হাত পা বাধা অবস্থায় রাখা হয়েছে তা যেন খুলে দেওয়া হয়। লক্ষ লোকের জীবিকার পথটি যেন বন্ধ করা না হয়। ডেসটিনির বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে তা স্বাভাবিক গতিতে চলুক এবং তাতে যদি কেও দোষী প্রমাণ হয় তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু এতগুলো লোককে দূর্দশায় ফেলান কি ঠিক হবে???

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: বাংলা পরীক্ষার মাইদ্য ইংলিসের গেরান পাইতাসি। হ্যসেলা কইলাম পরীক্ষাই দিমনা

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১২

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না ভাই।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৩

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: এখনো বাংলা পরীক্ষা দিচ্ছি মানে যুদ্ধোপরাধীদের ফাসি-শাহবাগ এর মধ্যে অন্যকিছু করা মানে যুদ্ধোপরাধীদের বিচার বানচালের পায়তারা

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৭

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: আসলেই তাই........

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩

জাহাঁপনা। বলেছেন: সহজ হিসাবঃ
একজন লোকের কাছ থাইকা ভুলাইয়া ভালাইয়া টাকা নিয়া সেই টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা কইরা নিজেদের মধ্যে আত্মসাৎ করে ওই লোক কে প্রতারিত করা এবং সেই লোক কে আরও অন্য কয়েকজনকে প্রতারিত করতে উতসাহিত করার নাম ই এল.এম.এল ব্যাবসা।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

দয়া করে এই লিংকে যেয়ে একটু নজর বুলালে খুশি হব।
লিংকঃ Click This Link

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৮

জাহাঁপনা। বলেছেন: মিয়া যে নামেই ডাকো , গোলাপ গোলাপ ই আর ডাস্টবিন ডাস্টবিন ই

"একজন লোকের কাছ থাইকা ভুলাইয়া ভালাইয়া টাকা নিয়া সেই টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা কইরা নিজেদের মধ্যে আত্মসাৎ করে ওই লোক কে প্রতারিত করা এবং সেই লোক কে আরও অন্য কয়েকজনকে প্রতারিত করতে উতসাহিত করার নাম ই এল.এম.এল ব্যাবসা।" ...............এটাই এল এম এল এর মুলনিতি ...

এটা সুধু একশ্রেণীর লোকের পকেট ভরে আর আপামর জনসাধারণ কে পথে বসায় ...

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ভাই আপনার মাথে তর্ক করা চলে না। বোঝা যাচ্ছে আপনি ঘোর ডেসটিনি বিদ্বেশী। আপনি থাকুন আপনার চিন্তাধারা নিয়ে আর আমি থাকি আমারটা নিয়ে।

তবে আমার মতে, অন্যায় করলে তার শাস্তি দেওয়া উচিত কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানের সাথে এতগুলো মানুষ জড়িত তাদের হাত পা বেধে রাখা (ব্যংক একাউন্ট বন্ধ, পরিচালকদের জামিন প্রদানে বাধা পদান) করা কি ঠিক হচ্ছে। প্রয়োজনে কঠিন নজরদারির মাধ্যমে ডেসটিনির ব্যবসা পরিচালনা করা হোক।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬

জাহাঁপনা। বলেছেন: এল এম এল কে সমর্থন কারী যে কাউকে জুতা সহকারে মাইনাস

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: আপনার জন্য থাকলো ফুলেল শুভেচ্ছা।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আমি ও একটা শেয়ার নিয়েছিলাম আশা করি মার যাবেনা ।হল মার্ক যদি মাঠে থাকতে পারে । ডেসটিনি ও থাকা উচিত ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: আমি ও আশা করি মার যাবেনা। কিন্তু যতদিন না স্বাভাবিক ব্যবসা চালু না হয় তত দিন আপনি হয়তো আপনার ডিভিবেন্ট পাবেন না।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিশেষ ইন্টারেস্ট নিয়ে মুহিত বা সরকার যদি হলমার্ককে আরো টাকা দেয় সব গুনা মাফ করে দেয় তাহলে অবশ্যই ডেসটিনির সব গুনাহ মাফ করে আরো কয়েক হাজার কোটি টাকা দেয়া উচিৎ। এই কথাটাই সাবেক বা.ব্যাংক গভর্ণর, অর্থনীতিবিদ সবাই বলছে। আর হলমার্ককে কেন মাফ করা হল আরো হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে তা বুঝতে রকেট সায়েনাটিষ্ট হতে হয়না! সময় আছে ৭-৮ মাস!

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ডেসটিনি টাকা চাচ্ছে না, স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবসা করার সুযোগ চাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.