![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন........
স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলা বা কথা বলার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু আপনি স্বাধীনতার ধারক এবং বাহক তখনই হবেন যখন আপনার দ্বারা অন্য কারও নৈতিক, স্বাভাবিক এবং মানবীয় স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
সেক্ষেত্রে ইসলাম বিদ্বেশের নামে তথাকথিত বাক স্বাধীনতা কতটুকু সমর্থন যোগ্য???
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪২
নির্ণয় বলেছেন: বাকস্বাধীনতার নামে ইসলামবিদ্বেষ ভাল নয় তাই তো? আচ্ছা। এবার বলেন ইসলামিক সত্যের নামে এই অশ্রদ্ধা, অনুভূতিতে আঘাতগুলো তো নিশ্চয় আপনার কাছে সমর্থনযোগ্য, তাই না? -
ইহুদি ধর্মের মুসা নবী তৎকালীন সমাজের মূর্তিপূজারীদের মূর্তিপূজার অসারতা বোঝাতে তাদের মতামতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানিয়ে মূর্তি ভেঙেছিলেন। তিনি একই সাথে ইসলামের নবী। মুসা নবীর কাজে কী মূর্তিপূজারীদের অনুভূতিতে আঘাত লাগেনি!
- সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মূর্তিপূজারীদের বিরুদ্ধে একা নবী অশ্রদ্ধা থেকেই একেশ্বরবাদ প্রচার করা শুরু করেছিলেন। পরে মূর্তি ভেঙে তাদের মতামতকে অশ্রদ্ধাও করেছিলেন। তিনি যা সত্য মনে করেছেন তা তিনি কোন অশ্রদ্ধা/অবমাননার তোয়াক্কা না করেই প্রতিষ্ঠা করেছেন।
- ইসলামিক সত্য “যিশু মারা যানননি, তাঁকে তুলে নেয়া হয়েছে” খৃষ্টানদের বিশ্বাস-অনুভূতিতে আঘাত।
- ইসলামিক সত্য “ইহুদিরা অভিশপ্ত” ইহুদিদের বিশ্বাস-অনুভূতিতে আঘাত।
- ইসলামিক সত্য “খৃষ্টানরা পথভ্রষ্ট” খৃষ্টানদের বিশ্বাস-অনুভূতিতে আঘাত।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৪
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ১. আমার জানা মতে ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন ইব্রাহিম (আঃ)। পৃথিবীতে যত নবী রাসূল আসছেন তারা সবাই নির্দিষ্ট সময় বা গ্রোত্রের প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন একমাত্র মহানবী (সঃ) ব্যাতিত। উনি নিশ্চয় আল্লাহর নির্দেশেই এই কাজ করেছিলেন। আর ইনি এটা করেছিলেন মূর্তির অসারতা বোঝাতে ইনি সারা জীবন তো মূর্তি ভেঙ্গে বেড়াননি আর এজন্য তো ওনাকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আল্লাহই ভাল বলতে পারবেন।
আপনারা আপনাদের ইসলাম বিদ্বেশ ছড়াবেন আর তার জন্য একটু গ্রেফতার হলে নাকি কান্না কাদবেন, এটা কি ঠিক।
২. আমি মূর্তি পূজাতে বিশ্বাসী নই, আমার বিশ্বাস তাদের কোন কিছু করার ক্ষমতা নেই। এই ব্শ্বিাসে কারও কোন ক্ষতি হচ্ছে না। আমি যদি দূর্গা দেবী নামে অশ্লীল কোন কথা বলি (ধরুন তার দেহ কাঠামো নিয়ে বিকৃত কথা বললাম এবং প্রচার করলাম) সেক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়।
আপনি নাস্তিক হয়ে বলেন যে আমি কোন সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করিনা, তাতে তো কেও আপনার মাথায় বাঁশ মারছে না। কিন্তু আপনি মুক্তচিন্তা বা মুক্তচর্চার দোহাই দিয়ে বলবেন আল্লাহ জ্যামে আটকে গেছে, কোরান শরীফকে বলবেন আহাম্মকপিডিয়া, ইত্যাদি- এটা কি ঠিক?
৩. আমি বলতেই পারি যে হিন্দুরা ভুল পথে আছে, কারন তার বিশ্বাস আর আমার বিশ্বাস এক না। কিন্তু তার ধর্মকে আমি বিশ্বাস করিনা বলে ‘গনেশ’ কে হাতির বাচ্চা বলতে পারিনা বা দোপ্রদিকে গ্রুপ সেক্সের কুইন বলতে পারিনা (হিন্দু ভায়েরা ক্ষমা করবেন অনিচ্ছা সত্বেও এই প্রসংগ তোরার জন্য)। আমার জানা মতে, ইসলাম অন্য ধর্মকে ভুল বলছে বা পথভ্রষ্ট বলছে কিন্তু অন্য ধর্মের ইশ্বর বা দেবদূত বা দেবতা বা ধর্মীয় রীতিনীতিকে গালিগালাজ বা অশ্লীল শব্দে বর্ণণা করেনি।
৪. আপনি আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ধর্মবিশ্বাস এই দুটি সম্পের্কে একটু ভাল ধারণা নিন।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪
বিদ্রোহী বীর বলেছেন: @ নির্ণয়, এখন এমন একটা বিষয় বলুনতো যেটা ইসলামের অনুভূতিতে আঘাত। তবে অবশ্যই সেটা সত্য হতে হবে।
আপনি মুসলমান হলে আপনাকে কুরআন শরীফ এর বরাত দেয়া যেতো; কিন্তু আপনার কথায় বোঝা যাচ্ছে আপনি মুসলমান নয়, কারণ উপরে বর্ণিত আপনার উদাহরণগুলির দলিল কুরআন শরীফ এ দেয়া আছে।
ওপরের যে কয়টা উদাহরণ দিয়েছেন তার প্রতিটা প্রমাণিত সত্য।
১. মূর্তিপূজা বা মূর্তিপূজারিদের ধর্মের কোন ভিত্তি নেই, কতগুলি বানানো অশ্লীল গাল-গল্পের বাস্তবরূপ দানের প্রচেষ্টা, কাজেই তাদের মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলতে হবে এটাই ঠিক।
২. যিশু তথা হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনি যে মারা যাননি সেটা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় নেতারা খুব ভালো করেই যানে, তবে আপনার কাছে সেটা প্রকাশ করবে না। এতে তাদের ইঞ্জিল শরীফ পরিবর্তনের ধূর্তামি প্রকাশ পেয়ে যাবে।
৩. ইহুদীরা যে অভিশপ্ত সেটা ইহুদীদের তথা বনী ইসরাইলদের ইতিহাস পরে দেখুন। ৭০ হাজার নবীকে শহীদ করেছে এই ইহুদী জাতি তাদের মতকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য।
৪. খ্রিষ্টানরা যে পথভ্রস্ট তার প্রমান তাদের বাইবেল। নিত্যনতুন বাইবেলের ভার্সন তারা তৈরি করছে আর তা পালন করছে। সময় অনুযায়ী তাদের যখন যেভাবে সুবিধা তার সেই অনুযায়ী বাইবেলের ভার্সন করছে- এর চেয়ে আর বড় উদাহরণ চান তারা যে পথভ্রস্ট।
পথভ্রস্টদেরকে সঠিক পথে আনার জন্য তাদের ভুলগুলো প্রকাশ করলে ও সত্য বললে তা অনুভূতিতে আঘাত হয় না, বরং মিথ্যা ও বানায়াট কথাকে সত্য বলে অপপ্রচার চালিয়ে ঘায়েল করার অপচেষ্টাকে বলে আঘাত।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে জবাব গুলো দেবার জন্য।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
নির্ণয় বলেছেন:
বক্তব্য এটাই যে ধর্মপুরুষরা যেটাকে সত্য মনে করেছিলেন তা প্রচারে তারা কারো অনুভূতির আঘাতের তোয়াক্কা করেননি। অন্যের অনুভূতির কী হবে তা ভেবে তারা বসে থাকেননি। তাদের কাছে যা অড মনে হয়েছে তারা সেগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।
সুতরাং আজ ধর্মে কোন কিছুকে অড মনে হলে কেউ যদি তার বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাহলে ধর্মের কোন কিছু বলার মুখ থাকেনা।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ভাই আপনি প্রচার করেন আপনার মতামত, কে বাধা দিচ্ছে। তবে সেটা নোংরা ভাবে কেন???
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
নির্ণয় বলেছেন:
@ বিদ্রোহী বীর
দেখুন আপনি নিজেও আপনি যা ঠিক মনে করেন তা প্রকাশে কুন্ঠিত হননি। আপনি এই ভেবে চুপ থাকেননি যে হিন্দু, খৃষ্টান, ইহুদিরা আপনার মতামত পড়ে অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হবে কী না। যা আপনি সত্য বলে মেনেছেন আপনি তা প্রকাশ করেছেন। হিন্দু, খৃষ্টান, ইহুদিদের যেসব কাজ বেঠিক মনে হয়েছ আপনি তার বিরুদ্ধে লিখেছেন। আপনি যখন অন্যমতের বিরুদ্ধে লিখবেন তা হিন্দু, খৃষ্টান, ইহুদিদের বিরুদ্ধে যাবে জেনেও আপনি চুপ থাকেননা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৫
আমার স্বপ্নগুলি বলেছেন: কোন সমর্থন নাই।