![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন........
নাস্তিকের বিশ্বাসঃ
১. সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই।
২. মৃত্যুর সাথে সাথে সব কিছু শেষ।
৩. পরকাল, হিসাব নিকাশ, বেহেস্ত বা স্বর্গ ও দোজখ বা নরক বলতে কিছু নেই।
অপরদিকে আস্তিকের বিশ্বাসঃ
১. সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আছেন।
২. মৃত্যুর সাথে সাথে সব কিছু শেষ নয়।
৩. পরকাল, হিসাব নিকাশ, বেহেস্ত বা স্বর্গ ও দোজখ বা নরক এগুলো বিদ্যমান এবং এগুলো ঘটবে।
এখন নাস্তিকের কাছে আমার কিছু প্রশ্নঃ
১. আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী মৃত্যুর পরে যেমন আপনার সবকিছু যেমন শেষ ঠিক তেমনি আমি আস্তিক হলেও আমারও সব কিছু শেষ হয়ে যাবে মানে আত্মা বলতে কিছু থাকবে না এবং বিচার আচার কিছু হবে না।
২. আপনার ধারনা অনুযায়ী সকল আস্তিকের ধর্ম বিশ্বাস ভুল এবং আমরা আফিমের নেশার চেয়েও ক্ষতিকর একধরনের নেশায় ডুবে আছি।
৩. এবং আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী আমি যদি এই ভুল ধর্মবিশ্বাস (আপনার মতে) লালন পালন করে মারা যায় তাহলে আমার কোন লাভ নেই কারন মৃত্যুর সাথে সাথে সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেমন আপনার ও সবকিছু নেই হয়ে যাচ্ছে। মানে দাড়াচ্ছে এইযে আমি আমার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে এবং আপনি আপনার ধর্ম অবিশ্বাস নিয়ে মারা গেলেও ফলাফল একই।
৪. আপনারা বলে থাকেন যে আমাদের ধর্মবিশ্বাস ভুল এবং আমাদের এটা ত্যাগ করা উচিত।
৫. এখন আমার প্রশ্ন হল আমি যদি আমার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে থাকি এবং ভাল কাজ (সমাজ সেবা, মানবতার সেবা, দান খয়রাত ইত্যাদি) করি তাহলে কোন লাভের আশায় আমি আমার বিশ্বাস ত্যাগ করবো??? কারন আমি আমার বিশ্বাস ত্যাগ করে তো আপনা ওখানে যেয়ে কিছুই পাচ্ছি না যেধানে এই পথে কিছু পাওয়ার আশা থাকে।
৬. আর আমি যদি আস্তিক হই এবং নেই সাথে খারাপ কাজ (চুরি করা, ঘুষ খাওয়া, দূনীতি করা ইত্যাদি) করি তাহলে আপনি তো আমাকে এই ভাবেও উপদেশ দিতে পারেন যে, ‘ভাই আপনার ধর্মেই তো আছে এগুলো খারাপ তাহলে আপনার বিশ্বাসের খাতিরে আপনি এই খারাপ কাজ গুলো বর্জন করা‘।
৭. তাহলে আমি এটা তো বলতে পারি যে আপনারা আপনাদের বিভিন্ন যুক্তি তর্ক দ্বারা আমাদের বিশ্বাস থেকে যে সরিয়ে আনতে চান তাহলে আদপে আমাদের কোন উপকার নেই (আপনি অবশ্য আমাদের লাইনে আসলে কিছু লাভের আশা অন্তত করতে পারেন)।
৮. ধর্মকে ভুল প্রমান করার জন্য কোন কোন তথ্য দেবার থেকে বা কটুক্তি করার থেকে আপনাদের বিরত থাকা উচিত। কোন আস্তিক যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে আপনি তাকে বোঝান যে ভাই আপনি অন্যায় করেন না। তাকে অন্য কিছু বোঝানোর তো কোন মানে হয়না।
এক কথায় আমি আস্তিকতাতে তো কিছু লাভ দেখতে পাই কিন্তু নাস্তিকতাতে কোন লাভ নেই।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৭
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: তাহারা বোঝার চেষ্টাও করেনা।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৭
দিশার বলেছেন: ভাই নাস্তিক রা এগুলে যা যা বলসেন কিসু "বিসসাস" করে না। নাস্তিকতা নিয়ে একটু পড়াশুনা করে এসে পোস্ট করলে গ্রহণযোগ্য হত। ধন্যবাদ। যে তিনটা কথা বলসেন , নাস্তিক দের বক্তব্য হচ্ছে যে তাদের কাসে কোন প্রমান নাই, আস্তিক দের এই ক্লেম গুলা সত্য মনে করার। বাস। কালকে প্রমান দেন দুনিয়ার তাবদ নাস্তিক, আস্তিক য়ে পরিনত হবে। কেমন আবুল কিসিমের নাস্তিক এর সাথে আপনার আলাপ হইসে জানি না। কারণ নাস্তিকতার সাথে "বিসসাস" এর কোন সম্পর্ক নাই। প্রমান এর ভিত্তিতে জানার আসে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: দিশার ভাই আপনি এই অধমের পোষ্টে এসেছেন, আমি ধন্য।
আমি জানি নাস্তিকরা এগুলো বিশ্বাস করে না, কারণ তারা এগুলোর কোন দৃশ্যমান প্রমান পায়নি। আমি তাদের তাদের এই ধারনা থেকে সরে আসতেও বলছি না।
আমি এটা বলতে চাচ্ছি যে আমি আস্তিক থাকা অবস্থায় কোন লাভের আশায় নাস্তিক হব? একটু বললে বাধিত হতাম।
ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৮
মেংগো পিপোল বলেছেন: ভাই আমি ব্যাপারটা একটু সহজ করে দেই, সত্যি কারের যারা নাস্তিক এরা অন্যের ধর্ম বিশ্বাস কে কেয়ার করেনা, আমাদের যেমন কেউ নাস্তিক হলে তাকে নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই, তুমি নাস্তিক ঠিক আছে তুমি থাকো তোমার মতন কোন সমস্যা নাই। কিন্তু সমস্যটা হয় ঠিক তখন যখন কেউ ধর্মকে কটাক্ষ করে। এখন প্রশ্ন এই কেউটা কে? এরা ইসলাম বিদ্বেষী বা ধর্ম বিদ্বেষি। এরা নাস্তিক না। অনেক নাস্তিক নাম ধারীর ব্লগ খুজলে দেখবেন সেখানে ইসলাম ভিন্ন অন্য কোন ধর্মের ব্যাপারে কিছু বলা হয় নি, আমার ধারনা এই পরিমানটাই বেশি। এবার আপনার পোষ্টের ব্যাপারে বলি, আপনি যাদের কে আহবান যানাচ্ছেন তারা কিন্তু জেনে সুনে ইসলামের বিপক্ষে লেখে আপনার ডাক তারা সুনবেনা। তবে একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন,
সত্য এসে যখন মিথ্যার সামনে দ্বাড়ায় মিথ্যা বিলুপ্ত হয়।
ভালো থাকবেন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৬
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: আমার পোষ্টে এসে ঘুরে যাবার জন্য আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
সফিক এহসান বলেছেন: ভালো পোস্ট। এবং সেই সাথে ভদ্র-শান্ত-সৌম...
অন্তত আক্রমানত্মক তো নয়ই!
তবে "নতুন যুগের নাস্তিকদের" একটা দাবী- ইতিহাসের বেশির ভাগ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-গণহত্যা-ধর্ষণ ইত্যাদি হয়েছে ধর্মীয় কারণে! ১৯৭১-এর মুক্তি যুদ্ধের রাজাকারদের ভুমিকাও অনেকাংশেই ধর্মীয় ভাবে দায়ী। সাম্প্রতি মায়েনমারের রোহিঙ্গা-রাখাইন ইস্যুও আলোচনায় আসতে পারে যেখানে "অহিংস পরম ধর্ম" এই মন্ত্রে বিশ্বাসী খোদ বৌদ্ধরা নির্মম ভাবে নিরিহ রোহিঙ্গাদের মেরেছে শুধু মাত্র ধর্মীয় কারণে!
তাদের মতে- আমরা যখন বিশ্ব মানবতার কথা বলছি তখন ভৌগলিক সীমারেখার পরেও ধর্ম আরেকটি অদৃশ্য অথচ শক্তিশালী বেড়া যা মানব জাতিকে আরো বিভক্ত করে দিয়েছে আর অনুপ্রাণিত করছে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে!
ধর্মের প্রতি তাদের একটা নেতিবাচক ধারনার অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে এটা। তাছাড়া ধার্মিকদের কারণে অনেক সময় অনেক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বাধাগ্রস্থ হয়েছে- "যেমন সূর্য পৃথিবীর চার দিকে নয় বরং পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরে" এই মতবাদ প্রচার করতে গিয়ে তৎকালীন সময়ে গ্যালিলিও সহ অনেক খ্যাতিমান বিজ্ঞানী/জ্যোতির্বিদকে অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল শুধু মাত্র সেটা তৎকালীন ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থি ছিল বলে!
ধার্মের প্রতি নাস্তিকদের ক্ষোভটা মূলতঃ এখানে। হুমায়ূন আজাদ একটা কথা বলেছিলেন-
"মসজিদ ভাঙ্গে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙ্গে ধার্মিকেরা। আড় আমরা যারা কোন ভাঙ্গা-ভাঙ্গিতে নেই তারা হলাম নাস্তিক..."
কথাটা কিন্তু অনেকাংশেই সত্য!
বাস্তবতা হচ্ছে- এই পোস্টের লেখক আজিজ মোর্শেদ ভাই যেমনটা বলেছেন যে একজন আস্তিক আল্লাহ/ঈশ্বর/পরকালের ভয়ে/লোভে যদি "ভাল কাজ (সমাজ সেবা, মানবতার সেবা, দান খয়রাত ইত্যাদি) করি তাহলে..." তাহলে কোন সমস্যাই ছিল না!
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের সমাজে এটাই এখন বেশীর ভাগ মানুষের বেলায় সত্য যে সরকারী একটা অফিসের দাড়ি ওয়ালা হুজুর চেহারার অফিসারটি যোহরের নামাজ পড়ে এসে ঘুষের টাকা ভালো করে গুনে নিয়ে তার টেবিলে আটকে থাকা ফাইলটা ছেড়ে দেয়! আমাদের রাজনীতিক নেতারা হজ্জ্ব করে এসে টেন্ডার সংক্রান্ত ঝামেলাটা মিটিয়ে ফেলার জন্য তিনজনকে খুন করার জন্য গুন্ডা ভাড়া করে! কিংবা চক্রবর্তী বংশের নামজাদা ব্রাক্ষ্মণ লোকটা জনগনের টাকায় তৈরী করা বিশাল ডুপলেক্সের সাথে একটা তুলসি মন্ডপ বানায় সন্ধ্যা বাতি ধরিয়ে পুজা দেবার জন্য!
পোস্টের চেয়ে বোধহয় আমার কমেন্ট বড় হয়ে যাচ্ছে! তবু শেষ করবো যে কথাটি বলে তা হলো- আজ ধর্ম বিকৃত হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে স্যাটায়ার লেখা হচ্ছে- সেটার জন্য নাস্তিকরা যতটা দায়ী, তারচেয়ে অনেক বেশী দায়ী আমাদের মত (বক) ধার্মিকেরা!
বড় বড় কথা বলে কাউকে বোঝানোর দরকার নেই... আমরা যদি আমাদের কর্ম দ্বারা আমাদের হারানো অতীত ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে এমনিতেই দলে দলে নাস্তিকেরা আমাদের কাঁতারে চলে আসবে। আর সেটা যদি করতে না পারি তাহলে ধর্মগ্রন্থের বানী কিংবা অস্ত্রের মহড়া- কোনটাই আমাদের পতন ঠেকাতে পারবে না!
কারণ, ইতিহাস সাক্ষি দেয়- রাসুল (সঃ) অন্ধকারের আরববাসীকে "ধর্মগ্রন্থের বানী কিংবা অস্ত্রের মহড়া" দেখিয়ে ইসলামে আনেননি। খোদ আরববাসীই তার ব্যবহারের মাধুর্যে আকর্ষিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিল!
তাই অস্ত্র তর্ক যুদ্ধের "জিহাদ" ছেড়ে আমাদের উচিৎ নিজের "নফসের" বিরুদ্ধে শক্তিশালী জিহাদ করা। শান্তির চিন্তা কেবল তখনই করা সম্ভব হবে...
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৪
সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: হায়রে, যদি টাহারা বুঝিতো