নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপেক্ষা.......

.............সুন্দর দিনের আগামী।

মো: আজিজ মোর্শেদ

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন........

মো: আজিজ মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কার্পেটে ঘুমানো এক রাষ্ট্রপ্রধানের বিদায়- আশায় বুক বেধে আছি

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৯

কার্পেটে ঘুমানো এক রাষ্ট্রপ্রধানের বিদায়



টাইমসের প্রতিবেদনটি কি আপনারা খেয়াল করেছেন? ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাহমুদ আহমেদিনেজাদের আট বছরের শাসনকালকে বিখ্যাত ম্যাগাজিনটি বর্ননা করেছে কোলাহলপূর্ণ হিসেবে। এটাতো ঠিকই নিজের শাসনামলে সবসময়ই পশ্চিমাদের এক ধরনের টেনশনে রেখেছেন আহমেদিনেজাদ। ইসরায়েলের সমালোচনায় বরাবরই মুখর ছিলেন তিনি। যে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও ছিলেন চক্ষুশূল। বিপরীত আদর্শের হয়েও ক্যাস্ট্রো, শ্যাভেজের সঙ্গে ছিল তার সখ্যতা।



আহমেদিনেজাদের সবচেয়ে বড় সফলতা সম্ভবত বিশ্ব রাজনীতির দৃষ্টি পশ্চিম থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার মধ্যে। তবে মানুষ আহমেদিনেজাদ নিশ্চিতভাবে ছাড়িয়ে গেছেন রাজনীতিবিদ আহমেদিনেজাদকেও। আট বছর আগে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগের সময়ের কথা টাইমসকে বলেছেন জাফর সালদি নামে এক ইরানি নাগরিক। তিনি বলেন, আমি তাকে প্রথম টিভিতে দেখেছিলাম। দেখে মনে হলো তিনি আমাদের মতই একজন। আমি আমার সন্তান আর পরিচিতদের বললাম তাকে ভোট দিতে।



পেশায় শিক্ষক আহমেদিনেজাদ রাজনীতিতে আসেন ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পরপরই। ২০০৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হন তেহরানের। এরপর ক্রমশ এগিয়ে যান তিনি। দুই বছর তেহরানের মেয়র থাকার পর জনগনের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই তিনি তার অফিসে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন। প্রেসিডেন্ট ভবনের দরজা-জানালা খুলে দেয়া হয় সাধারণের জন্য। প্রেসিডেন্ট অফিসে সপ্তায় পাঁচ দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাধারণ ইরানিদের চিঠি গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়।



প্রেসিডেন্ট হয়েও আহমেদিনেজাদের জীবনধারণ ছিল একেবারেই সাধারণ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই প্রেসিডেন্ট ভবনের দামি কার্পেটগুলো তেহরাণের মসজিদে দান করে দেন। এরপরিবর্তে সাধারণ মানের কার্পেট বিছানো হয় প্রেসিডেন্ট ভবনে। প্রেসিডেন্ট ভবনের ভিআইপি অতিথিশালাও বন্ধ করে দেয়া হয়। একটি সাধারণ ঘরেই ভিআইপিদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা রাখা হয়। রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতেন আরও সাধারণ। মেঝেতে বিছানো কমদামি কার্পেটেই ঘুমাতেন তিনি। সকালে অফিসে আসার সময় একটি সাধারণ ব্যাগে করে স্ত্রীর তৈরি করে দেয়া খাবার নিয়ে আসতেন আহমেদিনেজাদ। প্রেসিডেন্টের জন্য আলাদা বিমান পরিসেবার ব্যবস্থা থাকলেও তা তিনি পরিণত করেন সাধারণ কার্গো বিমানে।



শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নেয়ার আগেও ইতিহাস তৈরি করে গেলেন আহমেদিনেজাদ। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাদেক লারিজানির কাছে লেখা এক চিঠিতে আট বছরে অর্জিত সম্পদের হিসাব দিয়ে যান তিনি। যে হিসাবে দেখা যায়, ২০০৫ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তার সম্পদে যে পরিবর্তন এসেছে, তা হলো- তিনি তার পুরোনো বাড়িটি পুনর্নিমাণ করেছেন। তবে বাড়িটি পুনর্নিমাণের জন্য তিনি ব্যাংক ও প্রেসিডেন্ট দপ্তরের ফান্ড থেকে ঋণ নেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তরের ফান্ড ও ব্যাংক থেকে বাড়ি নির্মাণের জন্য অসংখ্য মানুষ ঋণ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্টও সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে সেই ঋণ নিয়েছেন। ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোন ধরনের প্রভাব খাটাননি। একইসঙ্গে বাড়ি পুনর্নিমাণের ক্ষেত্রে তার স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনরাও সহযোগিতা করেছেন।



পুনর্নিমিত দুই তলা ভবনে চারটি ফ্লাট রয়েছে। ওই ভবনেই তিনি ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করবেন। যে জমিতে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটার আয়তন মাত্র ১৭৫ বর্গমিটার। জমিটুকু বাবার কাছ থেকে পাওয়া। এরইমধ্যে তিনি সরকারি বাসভবন ছেড়ে দিয়েছেন।



জাফল সালদির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলি, আহমেদিনেজাদ আমাদেরই একজন। তবে আমাদের মত নন।



(সংগৃহিত)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: যদি সত্যি হয়ে থাকে.....তাহলে সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধ আগে যা ছিল তা শতগুন করে দিলাম। আল্লাহ্ তাঁকে উত্তম প্রতিদান দিক আর তাঁর ভবিষ্যত জীবনের জন্য শুভকামনা!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৬

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: যতদুর জানি তিনি যথেষ্ঠ সৎ ভাবেই জীবন যাপন করতেন। আর আমেরিকা যে সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানকে ভয় করে চলত তার মদ্যে ইনি অন্যতম।

মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রকৃত জনগণের নেতাতো এরকমই হওয়া উচিত।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৬

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ১০০০% সহমত

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৩

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: আমাদের তিনারাতো ... ... :-< :-< :-<

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৯

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: আমাদের তিনারা পারলে কোন কার্পেটউ রাখেন না আর বলেন আমরা কত সৎ! আর খুজলে কাপের্ট গুলা তার বাসায় পাওয়া যায়।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৬

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: আহামেদিনিজাদ আসলেই একজন সৎ ব্যক্তি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: সহমত

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই

সরকারী কোষাগারে নিজের বিলাই কুকুর থিকা শুরু করে সবার খাওয়া খরচের টাকা, আমেরিকাতে জাতিসংঘের সরকারী সফরে গুষ্ঠির সবারে নিয়া প্রমোদ ভ্রমন, নিজের ছেলের পিএইচডির টাকা রিয়েল এস্টেট কোম্পানীকে মনোপলী ব্যবসার সুযোগ করে দেয়া,দেশের অর্থনীতির তলানীতে নিয়ে যাওয়া ছারা আর কি অবদান আছে তার?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: বুঝলাম না ভাই।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৪

ম্যাংগো পিপল বলেছেন: প্রকৃত জনগণের নেতাতো এরকমই হওয়া উচিত।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৪

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: সহমত

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তারপ্রতি রইল আমার অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। তিনি দেখিয়েছেন মুসলিম শাসকের প্রকৃত রুপ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৫

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

আরিফ নাওগাঁ বলেছেন: আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে ?
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে.........

..................।
.........................................................

--------------------------------------------->

হবে একদিনে ...।অবশ্যই হবে একদিন !

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৬

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: সেই আশায় বুক বেধে থাকি।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

আল ইফরান বলেছেন: মাহমুদ আহমেদিনেজাদের জন্য অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।

তবে ভাই আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন, এই যে আশায় বুক বাধলেন, তারপর নির্বাচনে গিয়ে কাকে ভোট দেবেন ? ? ?
আমার মনে হয় আমাদের জনগনদের আগে ঠিক হওয়া উচিত।
আপনি ভোট দিবেন আম্লীগ, বিম্পি আর ইসলামের মোড়কে সাম্রাজ্যবাদের সবচাইতে বড় এজেন্ট জামাতিদেরকে, আর নেতা চাইবেন মাহমুদ আহমেদিনেজাদের মত, এইটা কি আপনার কাছে লজিক্যাল মনে হয় ? ? ?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩০

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আমি ভোট দিই না। গত নির্বাচনেও দিই নি আর এবারেও দিব না। আর এক্ষেত্রে আমার দর্শন হল, যদি কোন দিন দেখি কোন দল এর ২০% খারাপ আর ৮০% ভাল তাহলে ভোট দিব। কিন্তু এখনকার দলগুলোর মধ্যে ২০% ভাল আর ৮০% খারাপ। আমি তাদের ভোট দিলে তাদের খারাপ কাজের দায় কিছুটা হলেও আমার উপর বর্তায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.