নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

madam

I am trying to publish my story, poem etc

মঞ্জু রানী সরকার

I am a house wife, I love to write something

মঞ্জু রানী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

টয়লেট সমাচার

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

আমি আর আমার সহকর্মী দিদি অফিসিয়াল কাজে পটুয়াখালীতে চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে সাকুরা পরিবহনে পটুয়াখালি - ঢাকা টিকেট করা ছিল। সকাল ৮.৩০ মিনিটে বাসের সময়। আমরা একটু সকাল করেই বের হয়ে পায়রা নদী দেখতে গেলাম। বিশাল এই নদীটির ওপারে মীর্জাগজ্ঞ শহর। ওখান হতে অনেক রোগী পটূয়াখালি চক্ষু হাসপাতালে আসে একমাত্র বাহন নৌকা যোগে । দাড়িয়ে ভাবতে লাগলাম বিদেশ হলে হয়তো এই নদীর উপর সেতু করে যোগাযোগ ব্যব¯থা কত সহজ করে ফেলতো , তার সাথে হয়তো দর্শনীয় কিছু করে এমন ব্যবস্থা করতো যে শেষে পর্যটকের ভীর সামলাতে হিমশিম খেতে হতো। এত বড় নদী অথচ খুব শান্ত মনে হলো। স্থানীয় লোকজন বললো নদীটি দেখতে শান্ত মনে হলেও যখন তখন অশান্ত হয়ে ওঠে। হতভাগ্য মীর্জাগজ্ঞ বাসীর কথা যাদের পটুয়াখালি শহরে আসার একম,াত্র উপায় নৌকা যোগে এই বিশাল নদী পার হয়ে আসা, তাদের কথা ভাবতে ভাবতেই আমারা সময়ের বেশ কিছু পূর্বেই পটুয়াখালি শহরের বাস টার্মিনালে এসে গেলাম। বেশ বড় টার্মিনাল। অন্যান্য জেলা শহরের তুলনায় টার্মিনালটি বেশ বড় এবং বাস ও জন সমাগম কিছুটা কম মনে হলো। এমন সময় দিদির প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিল অবশ্য ছোট টি, কিছুটা দূরে মূল টার্মিনাল বিল্ডিং । ধারণা করলাম ওখানে নিশ্চয় মহিলাদের জন্য সু ব্যবস্থা থাকবে। আমিও ভাবলাম দুরের পথ, সুযোগ যখন পাচ্ছি আমিও খালি হয়ে যাই। আরামে যাত্রা করা যাবে। এই ভেবে দুজনে এগিয়ে গেলাম। ধারনা সঠিক। বিল্ডিং এর ভিতরে পাকা দালানের টয়লেট। ঢুকতেই একজন মহিলা বেঞ্চি পেতে বসে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। খুব ভাল লাগলো । দিদি ভিতরে গেল। মহিলা বললো আপনিও যান, সব খালি, আমি ঢুকেই যে অবস্থা দেখলাম। গা ঘিন ঘন কওে উঠলো। মুখে থুতু এেেস গেল। বাম দিকে পুরুষদের জন্য সাড়ি সাড়ি আধা দেওয়াল উঠানো ব্যব¯থা। মহিলা জোর করে দিদিকে ওখানে বসতে বাধ্য করেছে। দিদি এসে বলেন আপনিও সেড়ে আসেন। কি করবেন আর তো ব্যবস্থা নেই। মহিলা আমাকে বলে তাড়াতাড়ি ওখানে বসে পড়েন। এখন ফাঁকা আছে। আমি কেবল কাপড় ----। এমন সময় পায়খানা হতে একজন পুরুুষ কণ্ঠ শোনা গেল। আমি তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসি। পরে অবশ্য এখানেই কাজ সমাধা করেছি। বের হতেই অভ্যর্থনাকারী মহিলা হাত পাতে টাকার জন্য। তখন আমি আর দিদি কেবল বলেছি, টাকা কিসের পরিস্কার নেই, পানি নেই টাকা দেব কেন? মহিলা যেভাবে আমাদের অপমান করলো, তা বলার মতো নয় সে বলে, সে কারো চাকরী করে না, সে টাকা দিয়ে এটা কিনে নিয়েছে, তার টাকা উঠাতে হবে । ভিআইপি হলে ওখানে আমরা না গেলেই পারতাম। আরও অনেক কথা। এসব কথা শোনার পরও যেহেতু আমরা টয়লেট ব্যবহার করেছি, তাই টাকা দিয়ে আসতে হলো। বের হয়ে ভাবলাম টার্মিনাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কথা। তারা নিশ্চয়ই কিছু শর্তের বিনিময়ে এটি কযেক বছরের চুক্তিতে দিয়েছেন। অথচ তারা কোন মনিটর করেন না ।

যথাসময়ে সাকুরা পরিবহণে আমরা যাত্রা শুরু করলাম।
দিদি আগেই বলে রেখেছিল পাটুরিয়া ঘাটে আমরা পদ্মার ইলিশ ভাজা আর ভাত খাবো। যথন পাটুরিয়া ঘাটে এসে বাস দাঁড়ালো তখন বেলা ৩টা হবে। বাস থামতেই আমরা দু’জনে জানলা দিয়ে হোটেল খুঁজতে লাগলাম-যেখানে ভাত আর ইলিশ ভাজা আছে। কিন্তু সব হোটেলেই গরম পরাটা ডিম ভাজা আর আলু ভাজা। ভাত দেখা গেল না। আমরা পরাটা ডিম ভাজা কিনে খেয়ে নিলাম। জল খেয়ে তো আবার কমানোর ইচ্ছা হলো। দিদি নেমে এলো । এমন সময় দেখি দুটি মেয়ে পাশের বাড়ীর দিকে যাচ্ছ্ েআমার এবং দিদির চোখ সেদিকেই। আমরা দুজন দুজনের মুখের দিকে তাকালাম। দিদি আমাকে ঈশারা করতেই আমি বাস থেকে নেমে আসলাম। মেয়ে দুটোর পিছন পিছন চলতে লাগলাম। দেখি তারা একটা বাড়ীতে ঢুকছে। আমি যাবার আগেই দিদি সেই বাড়ীতে ঢুকে গেল। আমি ঢুকতেই দিদির গলার শব্দ পেলাম। এবং সংগে একজন পুরুষের গলা। আমি ভয় পেয়ে ভিতরে ঢুকি। দেখি একজন মধ্যবয়স্ক লোক টুলে বসে প্রায় ২০/২৫ জন ছাত্র/ছাত্রী কে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। ছেলে মেয়েদের দেখে মনে হলো হয়তো তারা প্রাইমারী স্তরের । কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করে যা শুনলাম তা হলো দিদি যেয়ে ঐ শিক্ষক ভদ্রলোককে জিজ্ঞসা করে টয়লেটে যাওয়া যাবে কিনা। কারণ ঐ ভদ্রলোকই হয়তো এ বাড়টির মালিক হবে। উনি উত্তর দেন ভিতওে একজন গিয়েছে. দিদি বলে তার পওে কি যওয়া যাবে? এতে এ ভদ্ররোক তথা শিক্সকের মম্মানে বড় আঘাত লেগেছে। তিন বলেন বলেছি তো একহজন গিয়েছে এর পওে আপনার আর কোন কথা বরার অধিকার নেই্ আপনি সেবা নিতে এসেছন, অত কতা বরবেন কেন? আমরা দু;জনে তখন বলি ঠিকইতো আপনার বাড়ি আপনাকে াজজ্হাসা করেই আে আমরা যাব্ োতিনি বলেন তিনি তো বরেছেন একজন গিয়েছে, তা থেকে বুজে নিতে হব্ েআর কোন কথা বরা যাবে ন্ াএর পর কিছু কতা কাটাটি হয় আমাদের সংগে। তারপর যা ঘটরো তা হলো ইনি আমাদের শুধু ঘাড় ধওে বের করেন নি। মুখে বরেছেন যান আপনারা বের হয়ে যান, আমার টয়লেট ব্যবহার করতে দেব না ,
এর সংগে তিনি অবশ্য একটা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেছেন তা হরো প্লিজ- আপনা অন্য কোথাও যান। আমরা চলে এলাম। এসে বাসে উঠে বসলাম। আর দু’জনে আলাপ করতে লাগলাম- ঐ ছাত্র /ছাত্রীরা কি শিখলো আজ তাদের শিক্ষকের ব্যবহার থেকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.