নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

madam

I am trying to publish my story, poem etc

মঞ্জু রানী সরকার

I am a house wife, I love to write something

মঞ্জু রানী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ভাই

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

আমার কৈশোর কালের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল।একটা রব উঠলো যে ভাই এর বাড়ীতে বোনদের দুধ ভাত খেতে হবে। তা না হলে স্বামী সন্তানের ক্ষতি হবে। মা চিন্তায় পড়ে গেল।মার তো ভাই নেই, তাহলে উপায় কি? উপায় একটা আছে, সেটি হলো ধর্ম ভাই হলেও হবে। বাবা বেড়িয়ে পড়লেন মায়ের জন্য ধর্ম ভাই খুঁজতে। শেষে যোগাড় হলো পশুপতি নামে এক স্থানীয় ভদ্রলোক মায়ের ধর্ম ভাই হতে রাজ হলেন। মা একদিন খুব ঘটা করে তার ভা্ই এর বাড়ী হতে দুধভাত খেয়ে এলো। আর মা তার ভাইকে একদিন নিমন্ত্রণ করে মাছভাত খাওয়ালেন। পরবর্তীতে সম্পর্কটা আর জীবিত থাকতে দেখা যায়নি। যা হোক ভাই এর কথা বলতে গেলে আর একটি কথা চলে আসে আর তা হলো অশোক একদিন বলে , “মজ্ঞু আমার মেয়েদের বাচ্চাদের যে মামাবাড়ী থাকবে না। বিষয়টি আমিও ভাবলাম। তাইতো। কি আর করা। তা হলে এক কাজ করা যাক-এখন আমারা মেয়েদের বাচ্চাদের জন্য মামা প্রজেক্ট নেই। বলে আমরা খুব হাসতে লাগলাম।এই কথার পরে একটা চরম সত্য উপলদ্ধি করলাম যে আমাদের ৩ জেনারেশন হয়ে গেল ভাই নেই। আমার মায়ের কোন ভাই ছিল না, ফলে আমাদের কোন মামা নেই, আমাদের কোন ভাই নেই, তাই আমার মেয়েদের মামা নেই, আবার তাদের কোন ভাই নেই বলে তাদের বাচ্চাদের কোন মামা থাকবে না। এ ক্ষেত্রে ধর্ম সম্পর্কটি মন্দ না। যেমন আমার বিয়ের সময় আমাকে সম্প্রদান করার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আমার বাবা তখন জীবিত নন। জ্যাঠা, কাকা বা ছোট বড় কোন ভাই নেই। শেষে অশোকের এক বন্ধু শ্রীমান কার্তিক সেন আমার বড় ভাই হয়ে আমাকে অশোকের হাতে সম্প্রদান করে। সেই থেকে এক কথায় কার্তিক সেন আমার ধর্ম ভাই। অতএব এদিক থেকে ধর্ম সম্পর্কটা খুব সময়োপযোগী। প্রয়োজন মতো পাতিয়ে নেওয়া যায়। আবার বোনের নামে বা ভাই এর নামে নাম হলেও ধর্ম সম্পর্ক পাতানোর রেওয়াজ আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো কোন কোন সম্পর্ক ধর্ম পাতানো যায়? এ ব্যাপারে কোন শ্রেণীভেদ করা আছে বলে আমার জানা নেই। তবে কি ধর্ম স্বামী বা স্ত্রী পাতানো যায়? এরকম একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হলাম এবার কলকাতায় যেয়ে। আমরা বরানগর রামকৃষ্ণ মঠে যাই। সেখানে এক দিদির সংগে আলাপ্ বাড়ী তার দমদমে। অনেক কথার পরে যখন ফিরে আসবো, তখন নামে পরিচিত হবার পালা। দিদিটির নাম নন্দিনি চক্রবর্তী। আমরা দুজনে নাম বল্লে দিদি নন্দিনি বলেন, আপনার মনে থাকবে কিনা জানিনা তবে ইনার নামটি আমার খুব মনে থাকবে। কারণ আমাদের সেই তাহার নামটিও অশোক। এখন প্রশ্ন হলো শ্রীচক্রবর্তী কি আমার আর শ্রী বিম্বাসকি শ্রীমতি চক্রার্তীর ধর্ম স্বামী? না আমরা হলাম মিতা বউ। তারপর থেকে আমরা টেলিফোনে পরিচয় দিই মিতা বউ বলে। নন্দিনি দিদি তুমি ভালো থেকো। আর আমাকে ক্ষমা করো-আমি তোমাকে বলে আসতে পারিনি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.