নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
গতকাল পালিত হয়েছে চুয়াডাংগা সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উতসব।আমি ঐ স্কুলের ছাত্রী ছিলাম। ১৯৮২ সালে। এসএসসি পাশ করে এসেছি।বহু স্মৃতি জড়িত স্কুল জীবন। সংগত কারনেই যাবার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু নিতান্ত ব্যক্তিগত কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।কিন্তু গতকাল সারাদিনমান মনটা পড়ে ছিল স্কুল চত্তরে।আর অপেক্ষায় ছিলাম দৈনিক মাথাভাংগায় প্রকাশিত সংবাদ দেখবো বলে।সকালে প্রথমেই অন লাইনে প্রকাশিত প্রত্রিকা দেখলাম। দেখে খুশী হবার চেয়ে দু:খ পেলাম বেশী।প্রথমেই শিরোনাম ব্যথিত করলো হৃদয়কে।
”বিদ্যালয় চত্বরে আনন্দ উল্লাস : বাড়ি বাড়ি উৎসববঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মুখভার-কান্না”:
ভিতরে পড়ে দেখরলাম প্রায় ১০০০ নিয়মিত শিক্ষার্থী অর্থাভাবে যোগ দিতে পারেনি। এটা কি কর্র্তপক্ষ কোনভাবে ম্যানেজ করে তাদেরকে আনন্দের অংশীদার করতে পারতেন না?
দ্বিতীয় ব্যথা পেলাম স্কুলের প্রদান শিক্ষকের নাম পড়ে।প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন উজ্জ্বলের……….স্কুলটি অত্র এলাকায় মেয়েদের শিক্সা ক্ষেত্রে আলোকিত ভূমিকা রেখেছে। অথচ দেশে যখন প্রধানমন্ত্রীসহ অর্ধ ডজন নারী নেত্রী দেশটাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তখন এই স্কুলের শতবর্ষ পূর্তী হলো একজন শিক্ষকের হাত ধরে। কেন হলো না একজন শিক্ষিকার হাতে? দেশে কি মহিলা শিক্সকের বড় অভাব?
তৃতীয় ব্যথা পেলাম””পূর্ব নির্ধারিত প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য শিরিন নাঈম পুনম, পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসানের অনুপস্থিতিতেই সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়”” এই বিশিসষ্ট জনেরা কি একটু কষ্ট স্বীকার করে উপস্থিত হতে পারলেন না?
চতুর্থ ব্যথা পেলাম”’ ১৯৮২ ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ইসমত আরা শাহীন,”’ স্মৃতিচারন করেন। আমি ঐ ব্যাচের একজন কৃতি ছাত্রী হিসেবে জানি আমাদের এই ব্যাচের কোন মেয়ে মেডিক্যালে পড়েনি।
পঞ্চম ব্যথা পেলাম দূনীতির খবরে। সংবাদ হয়েছে আয় ব্যায়েূর পার্থক্য নিয়্ এই যখন শতবর্ষপূর্তি চিত্র। তখন মনের অজান্তে একবার হলেও বলে উঠলো না যেরেত পেরে আর দু:খ পেলাম কই? তার থেকে বেশী দু:থ পেরাম ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে।
©somewhere in net ltd.