নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
”মায়ের নাম বলতে নেই।” এই কথা শুনে শুনে পার করেছি কৈশোর যৌবন। অনেকে তো মায়ের নামই জানতো না।ভুলেই যেতে হতো একসময়। হাসিনা সরকার যে কি একটা ভাল কাজ করেছে যে সার্টিফিকেটসহ অফিসিয়াল ডকুমেন্টে মায়ের নাম যোগ করে। এটা আমার মতে সকল মায়েদের জন্য আনন্দের খবর। আমার জানা মতে এই সংবাদ শুনার পর অনেক মা নীরবে অশ্র ফেলে বালিশ ভিজিয়েছেন যে এতদিন পরে তাদের মূল্যায়ন হয়েছে।যে বারে প্রথম এই প্রথা চালু হলো আমার শোনা এবং জানা একটা ঘটনার উল্লেখ না করে পারছি না। কোন এক ছেলে গেছে তার এসএসসির form fill up করতে। সেবারই প্রথম মায়ের নামের ঘর পূরণ করতে হবে।মহাবিপদে পড়লো ছেলেটি। তখন মোবাইলের এত প্রচলন ছিল না। তাই সে জানতেও পারলো না তার মায়ের নাম। অবশেষে ছেলেটি ভাবলো মা তো তার কাছে দেবীর মতো। তাই সে ঐ মুহূর্তে মাকে দেবীর আসনে স্থান করে দিল। অর্থাত তার মায়ের নাম রাখলো দেবী রানী।আমার মেয়ের ভারতের সার্টিফিকেটে ICSE and ISC ২ টা তেই মায়ের নাম প্রথমে আছে। এর জন্য আমার খুব আনন্দ। আমি মাঝে মাঝে সার্টিফিকেট বের করি নিজে দেথি, আর ওর বাবাকে দেখাই আর প্রাণভরে হাসি। কিন্তু সম্প্রতী একটি অনুষ্ঠানের কাণ্ড দেখে আমি খুবই ব্যথিত হয়েছি। আমার মতো আপনারাও হবেন।আামার ঐ মেয়েটা আমেরিকার ট্রয় University তে scholarship পেয়েছে। এর জন্য আইনজীবি কল্যাণ সমিতি থেকে সম্বর্ধনা দেবে।আইনজীবিদের ছেলেমেয়েরা যারা এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে তাদের সংগে সংযুক্ত করে সম্মাননা দিয়েছে।আমি খুব খুশী হয়েছি।কিন্তু খোদ আইনজীবিরা কাজটা কি করলো? অংশগ্রহণকারীদের নামের তালিকা দেখলাম –কৃতী সন্তানের নামের পরে পিতা এডভোকেট………………., আমার মেয়ের নামেও এসেছে পিতা এডভোবেট……………., মায়ের নাম কোথাও নেই। আমার প্রশ্ন ভাগ্যক্রমে এবার না হয় কৃতী সন্তানেরা সকলে আমার শ্রদ্ধেয় পুরুষ আইনজীবিদের সন্তান। আজকাল তো বহু বোনেরা আইন প্র্যাকটিস করছেন, তাদের সন্তানেরা আইনজীবি কল্যাণ সমিতিতে কার নামে পরিচিত হতো? মাতা এডভোকেট…………নিশ্চয়? আরো হতাশ হলাম যখন দেখলাম ওদের যে ক্রেস্টটা দিয়েছে ওখানেও শুধু মাত্র পিতার নাম। হায়রে অভাগা মাতা---আমার নামটি কোথাও নেই। কোথাও নেই আমার নামটি।
©somewhere in net ltd.