নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
আজ ২০ বছর হয়ে গেল , লাবণী বিছানায়, হুইল চেয়ারটা তার সংগী। আস্তে আস্তে লাবণী সব জানতে পারলো, অণির্বান বহু চেষ্টা করেছে, বহু দেশে বিদেশে চিকিতসা করিয়েছে, লাভ হয় নি। শেষে লাবণীই আনন্দের সংগে এই জীবনকে মেনে নিয়েছে। এতে তার কোন দু:খ নেই। আর এই নিয়ে অণির্বান এরও কোন অভিযোগ নেই। ভালই আছে তারা। এই তো সে দিন লাবণী আব্দার করলো, “একাদশীর পরদিন পারন, আমিত তো করতে পারি না, কল্পনা বৌদি আর মনোরমা মাসিকে বলি, আমার বাসায় এসে পারন করতে।” অণির্বান বল্লো,” আমি তো তোমার কোন কাজে বাঁধা দেই নি। তুমি যদি ভালো থাকো, করো, বৌদি তার ছেলে মেয়ে নিয়ে পারন করে খেয়ে যাক, তাতে তো আমার কোন আপত্তি নেই, আমার কথা হলো , তোমার ভালো থাকা। আগে বলো, আমি বাজার করে দেবো।”
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী। শনিবার। ভালোবাসা দিবস। সকালে উঠে লাবণী মোহনাকে দিয়ে তার লাল শাড়ীটা বের করে হাতে নিয়ে বসে আছে। ২০ বছর আগে কেনা, শাড়ীটা তেমনি আছে। আর সেই শাড়ীর ভাঁজে ভাঁজে আছে অণির্বান প্রতি ভালোবাসা, আছে ২0 বছরের সুখ দু:খের স্মৃতি।
লাবণী ভাবলো আর তার হলো না, এই লাল শাড়ী পড়ে মোটর সাইকেলের পিছনে বসে ভালোবাসা দিবসে অণির্বান র কোমড়টা জড়িয়ে ধরে পিছন দিক থেকে মুখটা অণির্বান এর কানের কাছে এনে বলা, ”আমি তোমাকে ভালোবাসি”। লাবণীর দুচোখে জল এলো, সে শাড়ীটার ভাঁজ খুলে ধরলো। হুইল চেয়ারটা টেনে ড্রেসিং টেবিলের কাছে আনলো, সিন্দুরের কৌটা থেকে সিঁথি জুড়ে সিন্দুর পড়লো আর বড় একটা টিপ। লাল শাড়ীটা কাঁধ থেকে সামনে মেলে ধরলো, আর চোখ বন্ধ করে বল্লো.”আমি তোমাকে ভালোবাসি”। চোখ বন্ধ করেই লাবনী মোটর সাইকেলে বসে আছে।
হটাত কার দুটো হাত পিছন থেকে এগিয়ে এলো। চোখ খুলে দেখে অণির্বান । তার কপালটা দুহাতে টেনে মুখের কাছে নিল। তারপর দুটো ঠোঁটের একটা গরম পরশ দিয়ে বল্লো,’লাবণ্য, আমি তোমাকে খুব খু-ব ভালোবাসি”।
©somewhere in net ltd.