নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
এবারে শিলিগুড়ীতে থাকার সময় সকাল বেলা বাইক চালিয়ে এক ভদ্রলোক আর এক ভদ্রমহিলা হাজির। মমতা বৌদি পরিচয় করিযে বললো তার ধর্ম দাদা। বিয়ের সময় এই জীবন দাদার ছোটভাই তাকে শ্রী নিমাই ঘোসের হাতে সম্প্রদান করেছিল। পরিচয় পর্বে জানা গেল সংগের মহিলা তার ছোট ভাই এর বৌ। নাম তার অজ্ঞু। আমি তো মজ্ঞু। অতএব কথার মিতালী জমলো । আমি তার বড়বোন হলাম। অজ্ঞুর বড়বোনের নাম সত্যিই মঞ্জু। অঞ্জু অসম্ভব সুন্দর গান গায়। আমার অঞ্জু বোনটা বাংলাদেশে থাকে। চিকিতসার জন্য ভারতে গেছে। চিকিতসা শেষ। এখন তার ফেরার পালা। যা হোক ফোন নস্বর বিনিমযের মধ্যে দিয়ে অঞ্জুর কন্ঠে একটা গান শুনতে শুনতে শেষ হলো সেদিনের আলাপ।
এরপর আমি যখন চলে আসবো তখন জীবনদা এক প্যাকেট ঔষধ আমার হাতে দিলেন আর তার ভাই এর ফোন নম্বর দিলেন। বললেন ফোন করলে তার ভাই এসে অঞ্জুর ঔষধ নিয়ে যাবে। ফিরে এসে তাকে জানালাম।তিনি একজন সিভিল ইজ্ঞিনিয়ার। সরকারী চাকুরী করেন। তার অবসর মতো তিনি একদিন এলেন্। অনেক গল্প হলো।
একপর্যায়ে দাদা বললেন কি সুখ এই চাকরী করে? আমার মা ৯০ বছর বয়স। চলাচল করতে পারে না। গ্রামের বাড়ীতে একা থাকে। অঞ্জু আমার বউটা একা শহরের বাড়ীতে থাকে। স্কুলে চাকরী করে। একটা ছেলে সে থাকে হোস্টেলে। আর আমি চাকরীর জন্যে হোটেলে একটা পারমানেন্ট রুম নিয়ে আছি।
আমি বল্লাম আমাদেরও তো একই অবস্থা। দুই মেয়ে এক মেয়ে আমেরিকাতে এক মেয়ে দার্জিলিং এ। আর আমরা দুজনে এখানে। দাদা বড় একটা শ্বাস ফেল্লেন, বল্লেন তবুওতো সারাদিন পরে দাদা আপনার হাসি মুখটা দেখতে পায়। আমি কতদিন অঞ্জুকে দেখিনা। রোজগার তো ভালো করি বৌদি। কিন্তু লাভ কি? থাকে তো না।
৪টা সংসার চালাতে গেলে কিছু থাকে না।;দূর ছাই এর চেয়ে গ্রামের কৃষকরা অনেক ভালো আছে। অশোক এতক্ষণ কথা বলে নি। এখন হাসতে হাসতে বলে হ্যাঁ তারা অন্তত: মধ্য রাতে বৌ এর হতের চুড়ির শব্দ শুনে হাসতে হাসতে ঘুমাতে পারে। আমরা ৩ জনে হেসে উঠলাম।
©somewhere in net ltd.