নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহু বছর আগে তার কালজয়ী “শ্রীকান্ত” উপন্যাসে শ্রীমান ইন্দ্রকে দিয়ে সর্বকালীন এবং সর্বজন গৃহীত একটি উক্তি করিয়েছিলেন, সেটি হলো,” মরার আবার জাত কি”
বেশ কিছুদিন আগে (তারিখটা মনে নেই) দৈনিক প্রথম আলোয় শ্রী বিশ্বজ্যোতি চৌধুরীর ”মাতৃত্ব” শিরোনামে দূর্লভ একটি ছবি ছাপা হয়েছিলো। ছবিটি বার বার সেই উক্তিটিকেই সামান্য পরিবর্তন করে স্মরন করিয়ে দিয়েছিল,”মায়ের আবার জাত কি”।
নারী জাতি ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এই কারনে যে, সে পেয়েছে জগতের এক অভাবনীয় সুখকর অনুভূতি মাতৃত্ব। যা নারীকে করেছে যুগে যুগে মহিমান্বিত, গৌরবান্বিত। এই মাতৃত্ব গুনেই নারী আজ ঈশ্বরের সুষ্টিশীল জগতের একটা বিশাল দায়িত্বের ধারক ও বাহক।
রানী(একটি কুকুর মাতা) একমাস আগে ৪টি সন্তান প্রসব করে সেই মাতৃত্বের চিরস্থায়ী স্বাদ উপলদ্ধি করতে পেরেছে। যেমন পারে একজন নারী। তা্র সন্তান প্রসবের মধ্যে দিয়ে। একজন সন্তানকে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখাতে যে কি কষ্ট ১০ মাস বহন করতে হয়
তা কেবল নারী জাতিই উপলদ্ধি করতে পারেন।
আর প্রসবকালীন সেই যন্ত্রনা যে যন্ত্রনা কেবল
একটি শিশুর পৃথিবীর মুখ চাওয়ার অদম্য পিপাসা থেকে উদ্ভূত হয়, যে যন্ত্রনা শিশুটি ভুমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত জগতের কোন চিকিতসা বিদ্যা বা জাদুকরী বিদ্যা তা মোচন করতে পারে না সেই যন্ত্রনাও সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের মায়াভরা মুখ দেখে নিমেষে্ উবে যায়। কিন্তু সেই সন্তানের বিয়োগ ব্যথা প্রসবকালীন যন্ত্রনার চেয়েও কষ্টকর । এ কষ্ট রানী উপলদ্ধি করেছে তার চিরস্থায়ীমাতৃত্ব দিয়ে।
এ প্রসংগে আমার বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি একটি সাবলীল উক্তির কথা মনে পড়ে যায়। তখন দিনি প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমেরিকা যাবেন অফিসিয়াল পরিদর্শনে। তখন জয়ের সংগে দেখা করার জন্য তিনি কয়েকদিন ছুটি নিয়েছিলেন, বিষয়টি সমালোচিত হলে তিনি বলেছিলেন,” আমার প্রধানমন্ত্রীত্ব অস্থায়ী কিন্তু আমার মাতৃত্ব স্থায়ী।”-এই উক্তিটিও তখন আমার মনকে সমভাবে ব্যথিত করেছিল। যে ভাবে ব্যথিত করলো রানী তার অপত্য মাতৃ স্নেহে হরিণ শাবকটিকে স্তন্য দান করছে দেখে।
ছবিটি দেখা মাত্রই যেকোন মাতৃহৃদয় বা তার বুকের ভিতর আকু পাকু করে উঠবে, বলে উঠবে আহা!
রানী কুকুর শ্রেণীর হলেও হরিণ শাবককে তার সন্তান তুল্য মনে করেই মাতৃদুগ্ধ দান করেছে। এখানে রানী তার স্তো বিয়োগব্যথায় জর্জরিত। আবার হরিণ শাবকটিও মাতৃহারা।
ছবিতে উভয়ের মিলন এক বিশাল মাতৃত্বের আবেদন এনে দিয়েছে। আর এই আবেদন তৈরীতে যিনি অতি মানবীয় গুনাবলী দেখিয়েছেন, তিনি মৌলভী বাজারের শ্রীমঙ্গলে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বণ্য প্রাণী সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী সিতেশ রজ্ঞন দেব। তার কাছে সমগ্র নারী জাতি আজ শ্রদ্ধায় মাথা অবসত করি। এ ক্ষেত্রে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না গাড়ীচালক মো: আসলামখানকে। তাকেও সমগ্র মায়ের জাতি হতে কুর্নিশজানাই। আর যিনি এই মিলন মেলা তথা ”চিরন্তন মাতৃত্বকে’ উপস্থাপন করেছেন তার আলোক চিত্রের মাধ্যমে সেই বিশ্বজ্যোতি চৌধুরীকে বিশ্বের সকল মায়েদের পক্ষ থেকে জানাই অনবকদ্য এবং প্রগাঢ় ভালোবাসা। রানী আর তার সন্তান দীর্ঘজীবি হোক।
১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০২
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: "আমার প্রধানমন্ত্রীত্ব অস্থায়ী কিন্তু আমার মাতৃত্ব স্থায়ী।" - এই কথার মধ্যেই তো লুকিয়ে আছে ভালবাসার পরম মমতা।
পৃথিবী সকল মা'রা ভাল থাকুক নিরন্তন।