নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আবার নতুন ক্লাশ শুরু হতে আরও এক মাস বাকী। তখন গরম পড়ে যাবে। গ্রামের শীতের পিঠে আর খাওয়া হবে না। তাই আল্পনারা ৩ ভাই বোন মিলে বাবার কাছে আাবদার করলো তারা গ্রামে যাবে। বাবা তো মহা খুশী। এরা তো গ্রামে যেতেই চায় না।গ্রামের মানুষের কথা ওরা্ বুঝতে পারে না। তাই ওদের অপছন্দ গ্রামে যাওয়া। এবার নিজেরা যখন রাজী হয়েছে অনুপ বাবু আর দেরী না করে সুধাসহ ৩ ছেলেমেয়েকে দিন পনেরোর জন্যে গ্রামের বাড়ী কার্পাসডাংগায় পাঠিয়ে দিলেন।
অনেকদিন পর গ্রামে এসেই আল্পনা রা জেঠাতো ভাই বোনদের সংগে চলে গেল পুকুর ঘাটে। পুকুরে ডুবতে ডুবতে গোলাপির মায়ের জন্য সে যাত্রায় বেঁচে গেল। গোলাপরি মা আল্পনার জ্যাঠার বাড়ী সারাদিন ঘরে বাইরে কাজ করতো। আর জেঠিমা পুষ্প রানী সারাদিন চেয়ারে বসে গল্পের বই পড়ে আর চা পান করে আর রেডিও শোনে। গোলাপির মা পুকুরে গেছে বড়ি দেবার জন্য কুমড়ো ধুতে। দেখে আল্পনাকে জল থেকে টেনে তোলে।
দুপুরে খাওয়া র পর আর কেউ বাড়ীতে নেই। বিকালে দেখা গেল ক্ষেত থেকে ছোলার গাছ তুলে এনেছ্ সন্ধ্যায় হুড়াপুড়া হবে।
সন্ধ্যার আঁধার নামতেই রতনরে সংগে সবাই চলে গেছে খেজুরের রস চুরি করত্। রতন ওদের জ্যাঠামশাই এর ছোট ছেলে। নীচে আল্পনা, নিম্মি আর সীমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে রতন উঠেছে খেজুর গাছে। অন্ধকার রাত। শীতে ঠক ঠক করে গা কাঁপছে। ভয়ও লাগছে। দূর থেকে কে যেন আসছে ঠিক পেয়ে রতন সবাইকে চুপ করতে বললো। আর অমনি নীচ থেকে সকলে এক সংগে হেসে উঠলো। মালিক যাচ্ছিল পাশের সরু রাস্তা দিয়ে। ঠিক পেয়ে সবটুকু রস সহ রসের ভাড়টা নিয়ে গেল।
রাতের খাওয়া শেষে সব ভাই বোন মেঝেতে একটানা বিছানা করে শুয়ে পড়লো, ওদের সংগে বড়দা পংকজও এসে শুলো। আল্পনা দের হাসি আর শেষ হয় না। রস চুরি করার কথা মনে হতেই হাসি। হাসি আর থামে না। অমনি বড়দা হাত লেপের মধ্যে দিয়ে বাড়িয়ে আল্পনার বুকটা খামচে ধরলো। আল্পনা বুঝতে পারলো চেচানো ঠিক হবে না । সে আর হাসতে পারলো না। সারা রাত আর ঘুমাতে পারলো না। বুকের উচৃ অংশ দুটো ব্যথা করতে লাগলো্।
ভোর হতেই মা গেল দিদি আর বৌদিদের সংগে আলো চাল গুড়া করতে। ওদিকে পিঠা হতে লাগলো। আল্পনা ওর মায়ের কাছে এগিয়ে এলা। কাঁদতে কাদতে বলল্, ”বাবার কথা মনে হচ্ছে, আমি আর এখানে থাকবো না।” ওরা ফিরে এলো।
বছরের প্রথম ক্লাশ আগামী কাল। আল্পনার লাগবে নতুন খাতা কলম। সকালে বাবাকে বলতে মনে নেই। সুধা তার নিজের কাছ থেকে কিছু টাকা দিয়ে বল্লো, ”যা বাজার থেকে থাতা, কলম, পেন্সিল যা লাগে কিনে আন।”
আল্পনা চল্লো বাজারে। মোড় পার হতেই একটা লোকের দিকে চোখ গেল তার। লোকটি তো তার দিকে এগিয়ে আসছে। ভীড় ঠেলে লোকটি আল্পনার বুকটাতে খামচে দিল। আল্পনা কেবল খালি গা হতে সব সময় ফ্রক পড়া ধরেছে। সে বুঝে ওঠতে পারলো না। কেন তার বুকে খামচে দিল। আবার বুকের দুই উচু অংশটা ব্যথা করতে লাগলো ।
অল্পনা বই না কিনে ফিরে এলো। মাকে বল্রো খাতা কলমের দোকান সব বন্ধ।
রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে আল্পনা কাঁদতে লাগলো। সেকি মাকে বলবে? মা যদি পংকজ দাদাকে কিছু বলে, তাতে যদি জেঠিমা আর মায়ের সংগে ঝগড়া হয়। তার চেয়ে ওরা তো আর গ্রামে যাচ্ছে না। আর ঐ লোকটি ও ওকে আর চিনতে পারবে না্।
মা ঠিক পেয়ে জিজ্ঞাসা করলো,”আল্পনা তুই কাঁদছিস কেন?” ”কাল খাতা কলম ছাড়া স্কুলে যেতে হবে তাই।” মা বল্লো, আমি দেখবো সকালে কি করা যায়, এখন ঘুমো।”।
আল্পনা ভাবতে লাগলো, এরকম কি সবারই হয়? ওর মনে হলো তখন কেবল নার্সারীতে পড়ে। একদিন স্কুল থেকে মায়ের সাথে বাড়ী ফিরছে। পথে বাজারের মোড়টাতে অনেক ভীর। ভীড়ের মধ্যে মায়ের হাতটা ছেড়ে গেল। অমনি একটা লোক ওর পাছার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিল। আল্পনা তখন ছোট ছিল, বোঝে নি যে তাদের কি খেয়ে কিল হজম করতে হয়। তাই চিতকার করে কেঁদে উঠেছিল। মাকে বলতেই সকলে মাকে পরামর্শ দিল,”বৌদি তাড়াতাড়ি বাড়ী চলে যান। পথে ঘাটে চলতে গেলে একটু অসুবিধা হবেই”
এই তো এর মধ্যে এক দিন বিকাল বেলাতেই চারিদিক মেঘে কালো হয়ে গেল। আল্পনারা সকলে বাইরের খেলা বন্ধ করে ঘরে ফিরে এলা। তারা ঠিক করলো ঘরে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ছড়া বলা খেলবে।। সকলে বিছানাই কাঁথা বের করে শুয়ে পড়লো। সুধা আকাশে মেঘ দেখে তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে ঢুকেছে রাতের রান্নাটা সেরে ফেলতে।
ছড়া ছড়া খেলা ছলছে। এমন সময় ঘরে ঢুকলো নগেন দাদা। ও অল্পনাদের গ্রমের এক কাকার ছেলে। ওদের বাড়ীতে থেকে বি, এ, সি পরীক্ষা দেচ্ছে। দাদা ঘরে ঢুকেই সব ছেলেমেযেদের বের করে দিল। বললো, ”আল্পনা থাক।” ”তোমাকে আমি একটা সুন্দর ছড়া শিখাবো্।”
সকলে বাইরে যেতেই নগেন দাদা কাঁথার মধ্যে আল্পনার কাছে এসে শুয়ে পড়লো্ । এমন সময় মায়ের চীতকার করে ডাকটা কানে গেল আল্পনার। সে এক লাফ দিয়ে নীচে নেমে ঘর থেকে দৌড় দিয়ে পালালো।
রান্না ঘরে এসে দেখে মা উনানে ফুঁ দিচ্ছে। ধোঁয়াতে ঘরের কিছু দেখা যাচ্ছে না।”আল্পনা আমাকে কয়লার ঠিলি টা এনে দেতো মা”। আল্পনা কয়রান ঠিলি নিয়ে মায়ের কাছে যেতেই মা জিজ্ঞাসা করলো , ”মারে তোর প্যান্ট ভিজে কেন?”
”মা জান, নগেন দাদা না আমার প্যান্ট খুলে নুনুতে নারকেল তেল দিয়ে দিচ্ছিল, আর অমনি তুমিত ডাকলে, আমিও চলে এলাম।”
সুধা কি করবে, আর কাকে কি বলবে বুঝতে না পেরে ছোট আল্পনাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো।
আল্পনা বুঝলো না মায়ের কান্নার কারন। সে কেবল ফ্যাল ফ্যাল করে এদিক ওদিক চাইতে লাগলো।
বাইরে ততক্ষণে মুষল ধারায় বৃষ্টি নেমে গেল।
২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: ছেলে মেয়ে েইভয়েই সামাজি ক জীব। আমি চেলেমেয়ে নিয়ে তর্ক করতে টাই না। আমি কেবল বাস্তবতা তুলে ধরতে চেয়েছি। এরা ছেলে নয়, মেয়ে নয়, এরা সমাজের কীট
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১০
আনিসুল ইসলাম বলেছেন: আমি যদি আমার ছেলেবেলা লিখি তবে একটি উপন্যাস হয়ে যাবে। আর সেই উপন্যাসের খল চরিত্রে ছেলে/মেয়ে উভয়েই থাকবে।