নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

madam

I am trying to publish my story, poem etc

মঞ্জু রানী সরকার

I am a house wife, I love to write something

মঞ্জু রানী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউট্রিশনও চাই ওরকম?

১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫০

হরলিক্স শব্দটির সংগে পরিচিত হই অনেক পরে। আমরা বিকালের জলখাবারে মুড়ি চিরা খেতাম। আর কিছু না থাকলে ভাত খেতাম।গরমের সময়ে পানীয় হিসেবে ঘোল লেবুর সরবত আখের গুড় দিয়ে কখনও কখনও জুটতো। আর শীতের সকালে যদি কোন দিন চা হতো তো ছোট খাট উতসব হয়ে যেত।

যখন অস্টম শ্রেনীতে পড়ি, বাবা হটাত অসুস্থ হয়ে পড়েন। রায়হান , মহিউদ্দিন কাকারা বাবাকে দেখতেহ এসে হরলিক্স দিয়ে যান।সেই প্রথম পরিচয় হলো হরলিক্সের সংগে। চোখে দেখাও হলো। মা বললেন এটা অসুস্থ মানুষের খাবার। তাই ওটা বাবাকেই মা দিয়েছে। আমরা ঘুরেও তাকাই নি।তারপর আর কোনদিন হরলিক্স প্রসংগ আসে নি।

আমি যখন প্রথম গর্ভবতী। একদিন সন্ধ্যায় আমার খুব ইচ্ছে হলো হরলিক্স খেতে। অশোক কে বলতেই তখুনি নিয়ে এলো। বানিয়ে দিল এক গ্লাস। ওই জীবনে প্রথম এবং শেষ খাওয়া। পরে বয়ম ধরে ফেলে দেওয়া হলো্ কারণ ওটা ঘরে থাকতে থাকতে জমে গিয়েছিল।

আমার বয়স এখন ৪৯+, উচ্চতা ৫ফুট ২ ইঞ্চি, ওজন ৬৫ কেজি। আমি এম এস সি পাশ করে জীবনে একবার বিসিএস পরীক্সা দিয়ে ১৫শ বিসিএসে কোয়ালিফাই করেছি। ঈম্বর আমাকে ২টি সন্তান কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়া উপহার দিয়েছেন। নরমাল ডেলিভারী। তার আশীর্বাদে এখনও এক ব্যাগ রক্তও লাগে নি। বরং বহুবার রক্ত আমি আর্ত রোগীকে দিয়েছি।

এ যুগে যারা হরলিক্স খাওয়ার মতো স্বাচ্ছন্দে বাস করে। তাদের জীবন যাত্রা। সকালে ঘুম থেকে উঠে(স্কুলে যাবার আধ ঘন্টা আগে) বুয়া ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে দিল, স্কুলের কাপড় চোপড় এনে দিল। মা পড়াতে লাগলো, বুয়া জুতা পরিয়ে দিল। মা মুখের মধ্যে পরাটা আর ডিম ভাজি অথবা নুড়ুলস ঢুকিয়ে দিল্, গিলতে গিলেতে গাড়ীতে এসে বসলো। ড্রাইভার বই এর ব্যাগ নিয়ে এসে গাড়ী স্টার্ট দিল। স্কুলের সামনে এসে থামতেই ড্রাইভার ব্যাগ নিযে স্কুল গেটে দিযে এলো।
টিফিনে কান্টিন থেকে বার্গার, সামুচা, স্যানডুইচ, পিজা এগ রোল চললো। ছুটি হলে আবার একই ভাবে বাসায় এসে গোশত ভাত খেয়ে ড্রাইভার কোচিং এ নিয়ে গেল। সংগে দেওয়া হলো কোক আর চিপস। কোচিং শেষে বাসায় এসে কম্পিউটারে গেমস চললো।
এরই মাঝে ডিনার হয়তো পিজা হাটে হয়ে গেল। আর তা মেষ হলো আইসক্রিম দিয়ে হয়তো। । রাত ভোর লেলো ফেসবুক আর চ্যাটিং মোবাইল। পরদিন আবার সেই একই রুটিন্।
এদের ক্যালোরী কোথায় খরচ হয়? সবটা জমা হয়। আর তাই তো দেখা যায় তৃতীয় শ্রেনীর মেয়েদেরও ঋতুস্রাব হতে (আমার জানা মতে ২য় ম্রেনীর মেয়েদেরও এমন হয়)। আর ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছেলে বাচ্চারা তো মাষ্টার বেড করে।
এদের জন্য কি ২ বেলা চায় দুধের সাথে হরলিক্স আর নিউট্রিশনও চাই ওরকম?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০১

ইমরান আশফাক বলেছেন: দূ:চিন্তার ব্যাপার।

২| ১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: চিন্তার ব্যাপার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.