নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
সাত(আমাদের অনেক শাস্তি দেবে)
টুনটুন আর মিষ্টির কোন একটা সংক্ষিপ্ত ছুটিতে আমি আর আমার এক ভাবী কার্শিয়ং গেছি ওদের সাথে ছুটি উপভোগ করতে। ভাবীর দুই মেয়ে আমার দুই মেয়ের সাথেই পড়তো।সাথে ভাবীর ছোট ছেলেটা আছে।
সকালে হোটেলে ঘুম ভাঙতেই ছিপ ছিপ করে বৃষ্টি। তাই অনেক বেলা হলে বাইরে যেয়ে ছেলেমেয়েদের নিয়ে সকালের নাশতা সেরে আসলাম।মেয়েরা এর মধ্যেই টাউনে ঘুরে ওদের কেনা কাটা সেরেছে।
এখানে মানুষদের মধ্যে পোষাকে একটা অদ্ভুত কম্বিনেশন আছে। সেটা হলো সকলেই বাইরে বের হয় গায়ে সোয়েটার পওড় আর হাতে ছাতা নিয়ে। প্রথমে হাসতাম এটা কেন? এখন বুঝি সারা বছর শীত আর যখন তখন বৃষ্টি। পাহাড়ের পিছন দিক হতে হাড় কাঁপানো শীতল বাতাস বয়ে আসে। আর কি করা। আমি আর ভাবী হোটেলে বসে গল্প করে বিকাল পর্যন্ত পার করলাম।মাঝে দুপুরে হোটেল বয় শিবাজী অন্য হোটেল থেকে খাবার এনে পরম যত্নে খাওয়ালো।
বিকাল বেলাতে ছেরেমেয়ে রিনয়ে বের হলাম। লম্বা লিস্ট নিয়ে। আগে কেনা কাটা করবো তারপরে হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে ফিরবো্।
ঠিকঠাক মতো সব শেষ করে হোটেল দিল্লী দরবারে যেয়ে বসলাম। ছেরে মেয়েরা এক টেবিলে। আমি আর ভাবী আর এক টেবিলে। এরই মধ্যে কতগুলো লোকাল ছেলে এসে অন্য আর একটি টেবিলে বসলো। ওদের চাওনি টা একটু কেমন যেন লাগলো্।
অমিয়া তো ভয়ে কাঁপতে লাগলো্ । মাগো ওরা কেমন যেন করে তাকাচ্ছে। যদি ওরা ছবি তুলে হোস্টেলে পাঠায় তবে আমাদের অনেক শাস্তি দেবে মা। আমরা খাবো না। তখন আমরা খাবারগুলো প্যাক করে দিতে বল্রাম।
এরই মধ্যে ছেলেগুলো চা টিফিন খেয়ে উঠে গেল। হোটেলের মালিক যিনি তিনি বললেন, ”বৌদি আপনারা এখানে বসে খাবেন বলে অর্ডার দিলেন। এখন প্যাক করে নিচ্ছেন কেন?” আমি ভাবলাম কিছু বলবো না। আবার মনে হলো বলেই দেখিনা সত্য ঘটনা।
”দাদা ঐ ছেলেগুলোকে আপনি চেনেন?” ”না. কেন ওরা কি আপনাদের কিছু বলেছে?” ”না, দাদা এমনিতে “
মালিক দাদা দৃঢ়তার সাথে আমাদের বললেন, ”শুধু এ হোটেলে নয়, গোটা কার্শিয়ং এ কেউ কিছু আপনাদের বলবে না “
(চলবে)
©somewhere in net ltd.