নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
”পাগল হোক আর ছাগল হোক, তবু যেন একটি ছেলে হয়”-এই যখন একজন শাশুড়ী কামনা করে তার পুত্রবধু যখন গর্ভবতী্, তখন বুঝতে হবে আমাদের সমাজে পুত্র সন্তানের কদর কত।
পুত্র সন্তান প্রসব করতে পারলে পরিবারে সেই বউটির পদ মর্যাদা বেড়ে যায়। আর কিছু না হোক সে একজন বংশধর এনে দিয়েছে। এজন্য কখনও কখনও সে স্বামী শাশুড়ীর কাছ থেকে স্বর্ণের উপহারও পেয়ে থাকে। প্রসবোত্তর যত্ন আত্তিও তার একটু অন্য রকম হয়।
পরিবারে ঐ ছেলেটি বড় হয় একটু অন্য রকমভাবে। একটু বেশী আদরে। হোক না সে বাঁদর। মৃত্যর পর যদি ঠাকুমা ঠাকুর দাদা তার কাঁধে খাটিয়া চড়ে শ্বশান যাত্রী হতে পারেন , তা হলে তারা বিনা বাধায় স্বর্গে গমন করতে পারবেন।হায়রে স্বর্গ ।এই কথা শাস্ত্রে কোথায় লেখা আছে আমার জানা নেই্ তবে এটাই বাস্তবতা।
পরিবারে একটি পুত্র সন্তান এবং একটি কন্যা সন্তান বেড়ে ওঠে দুই ভাবে। দই এর মাথা, বড় মাছের মাথা , ভালো স্কুলে পড়া এগুলো ছেলেদের ভাগ্যই জোটে।অরেক সময় ছেলেকে পড়ানোর জন্য মেয়ে সন্তানটি পড়ালেখায় ভালো হলেও, তার পড়ালেখা বাদ দিয়ে তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।যদিও এখন চিত্র কিছুটা বদলেছে।
এমনকি অনেকে ছেলে সন্তানদের ন্যাঙটো করে রাখতে পছন্দ করেন। পুত্র সন্তানের যৌনাংগ দেখিয়ে ছবি তুলাটা যেন মা বাবার একটা সখ থাকে। এই সখটি পুরণ করে আবার অনেকের ঘরে ঐ ছবিটি বড় করে বাঁধিয়ে রাখা হয়। কিন্তু সমাজ একবারও প্রশ্ন তোলে না ছেলে হলেও ওটা তার যৌনাংগ। গোপন অংগ। আর যদি সদর অংগ হয়, তবে মেয়ে সন্তানের নয় কেন?
এমনও দেখা গেছে একজন মা পূর্বে ৬টি কন্যাসন্তান প্রসব করেছে বলে ৭ম সন্তানটিও কন্যা সন্তান হতে পারে এই আশংকায় ঐ মাকে ঘরের পিছনে জংগলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রসব বেদনা উঠলে।
পুত্রবধু যদি পুত্র সন্তান প্রসব করতে না পারে তাহলে মা বাবা পুত্রটির দ্বিতীয় বিবাহ দেবার জন্য প্রস্তুতি নেন।বংশ তো রক্ষা করতে হবে।
এমনও দেখা গেছে পুত্র সন্তানের ঘরে শুধু কন্যা সন্তান বলে ঐ পুত্রটি তার পৈতৃক উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যুক্তি হলো যদি তার পুত্রকে সম্পত্তি দেওয়া হয় তবে পুত্রের মৃত্যুর পর তো ঐ সম্পত্তি তার মেয়েরা পাবে। আর মেয়েরা পেলেই তা চলে যাবে পরের হাতে।অতএব বংশ আর সম্পত্তি রক্ষা করতে ঐ পুত্রকে বঞ্চিত কর্, কারন তার ঔরশে কোন পুত্র সন্তান হয় নি।
এ বিষয়ে জওহর লাল নেহেরু একটি কন্যা সন্তান নিয়েই বিরত ছিলেন, যদিও তাঁর স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন।তাঁর বংশ কি রক্ষা হয় নি? মতিলাল নেহেরু কি স্বর্গে যান নি/ এটা তো কেউ দেখে এনস বলতে পারে না। তবে যা দেখা যায় না তা এত বিশ্বাসযোগ্য কেন?
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বঙ্গবন্ধুরও উত্তরাধিকার কন্যা। তা হলে তারও কি বংশ রক্ষা হলো না?
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
নতুন বলেছেন: আমার মেয়ের বয়স ৯ সপ্তাহ, সবার নয়নের মনি। সবাই আদর করে ।
যদিও মেয়ে হবে শুনে আমরা খুশি দেখে মনে হয় অবাক হয়েছে। পরে আমাদের সাথে সুর মেলানোর চেস্টা করেছে যে আজকাল মেয়েরাও ভাল করছে ছেলেদের চেয়ে ব্লা ব্লা ব্লা।
আমাদের নিজেদের দৃস্টিভঙ্গি পাল্টালে পরিবার/সমাজও তাদের ধারনা থেকে সরে আসবে।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: আমাদের ২ মেয়ে। আমরা তাদেরকে মেয়ে বলে শিক্ষায় পিছিয়ে রাখিনি। এ জন্যও পরিবার আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট কেন আমরা মেয়ের পিছনে এত ব্যয় করি। বিয়ে দিয়ে দিলেই তো হয়। আসলে আমরা তো কেউ উপরে উঠতে চাইলে তাকে টেনে নীচে নামাতে চেষ্টা করি। তবে এটাও ঠিক, আমাদেরকেই এর পরিবর্তন আনতে হবে।ধন্যবাদগ আপনাকে।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
সুমন কর বলেছেন: এটা বর্তমানে শিক্ষিত শ্রেণিতে কমে আসছে। বাকিটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩২
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: থাকথিত শিক্ষিতরা এখনও পুত্র সন্তানের আশায় অধিক সংখ্যক কন্যা সন্তান গ্রহন করছেন, অথচ পুত্র হলে একটিই যথেষ্ট
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এ ধারণা এখন তেমন একটা চলে না!
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৯
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: যারা ভুক্তভুগী তারা জানে চলে কি চলে না
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
ছাসা ডোনার বলেছেন: আসলে এইটাতে অনেকে বিশ্বাস করলেও আমি ব্যাতিক্রম। আমার ছেলে মেয়ে যেই হোক না কেন সমান চোখে দেখব ইনশাাল্লাহ সমান ভাবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করব, কারন মেয়ে হলেও আমারই রক্ত তার শরীরে বইছে। আর যারা আজও কন্যা সন্তানকে আলাদা চোখে দেখে তাদেরকে জানাই ধীক্কার তারা সমাজের অভিশাপ। আর যেসব শাশুড়ীদের কথা শুনা যায় তারা নারী নামের কলন্ক। মেয়ে ছেলেদের আল্লাহ সমান অধিকার দিয়ে পয়দা করেছেন।আমাদের দেশে আইন পাশ করা উচিত সম্পত্তির ভাগ ছেলে মেয়ে সমান ভাবে পাবে। আসুন না আমরা সব নারীদের নিজের মা বোনদের মত দেখি তাহলে থাকবে না আমাডের সমাজে নারী নির্যাতন ।শেখ হাসিনা খালেদা জিয়া নিজেরা নারী হয়েও কেন আমাদের দেশে এই আইন পাশ হয় না বা কাউকে তো পার্লামেন্টে এই ব্যাপারে আলাপ করতেও শুনি না। আমাদের দেশ আজও পুরুষদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।