নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
উন্নত বিশ্বের একটা গণ্প বলি। গল্পের মেয়েটির নাম জানি না। মনে করে নিই তার নাম জেরী।
জেরী একটা হোমে বড় হয়েছে। এখন সে একা থাকে। তার শৈশব , কৈশর পার হয়েছে হোমে, সিস্টার রা তাকে কিশোরী করেছে।
জেরী তার বাবার নাম বলতে পারে না। সে তার বাড়ী কোথায় জানে না।সে জানে না যে সবার বাবা থাকতে হয় কি না।
জেরীর মাও বলতে পারে না কে জেরীর বাবা। জেরীর মা কিশোরী বয়সে যখন এস্কারসনে যায় তখন জেরী গর্ভে আসে। তার পক্ষে জেরীর বাবা কে আইডেন্টিফাই করা সম্ভব হয় নি।
জেরী জানে সে এক কিশোরী মায়ের সন্তান। হোমের রেজিষ্টারে তার মায়ের নামটা লেখা আছে। তাই সে মায়ের নাম বলতে পারে।
জেরী তার মায়ের চেহারা মনে করতে পারে না। কারণ হোমে যখন ওর ১৩ বছর বয়স, তখন একজন মহিলা তার বয় ফ্রেন্ডের সাথে অনেক চকলেট, পুতুল আর জামা কাপড় নিয়ে জেরীকে দেখতে এসেছিল, সিস্টার রা জেরীকে ডেকে বলেছিল, “উনি তোমার মা।” তাই জেরী একবার তার মাকে দেখেছে।
জেরীর বয়স এখন বিশ বছর।সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। দিন দিন তার শরীর থেকে পেটটা বড় হয়ে যাচ্ছে। সে বুঝতে পারছে অনাগত ভবিষ্যত আসছে। কিন্তু জেরী ও তো জানে না কে তার সন্তানের বাবা?
জেরীর বুঝ হলো যদি তার সন্তান সাদা হয় তবে তার বাবা হবে এক্স দেশীয় আর যদি তার গায়ের রং কালো হয়, তবে তার বাবা হবে ওয়াই দেশীয়।
কিন্তু জেরী ভেবে নিয়েছে সে একাই তার সন্তানকে বড় করবে। হোমে তাকে দেবে না। জেরীর মা যে পুতুল এনেছিল, তার থেকে একটা পুতুল জেরী আজও রেখে দিয়েছে, তার সন্তানকে দেবে আর বলবে, ”তোমার দিদিমা তোমার জন্যে দিয়ে গেছে, যাকে আমি জীবনে একবার দেখেছি।”
এখন বলি, আমার দেশের জড়িনার কথা। জড়িনার বাবা তাকে ফেলে গেছে। মা তাকে এতিমখানায় দিয়েছে। মা একটা ক্লিনিকে আয়ার কাজ করে। প্রতি মাসে এক প্যাকেট চিপস আর নোনতা বিস্কুট নিয়ে ওকে দেখে আসে। এতিম খানার রেজিস্টারে ওর বাবার নাম আছে হিরু মিয়া।
এখন ধরে নিই জড়িনার মা আকলিমা কোন একটা দুর্ঘটনায় মারা গেল।তাহলে এতিম খানার রেজিষ্টারে ওর বাবর নাম থাকবে হিরু মিয়া আর মায়ের নাম আকলিমা। একটা ঠিকানাও থাকবে আর থাকবে চিপস্ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ওর স্মৃতিতে ওর মায়ের মুখ খানা
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প। ধন্যবাদ