নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
গতকাল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা।জীবনের মহত পেশা ডাক্তারী। এক কথায় ঈশ্বরের পরেই অসুস্থ মানুষের মুখে হাসি আর আনন্দের আলো ছড়িয়ে দিতে পারে একজন ডাক্তর। তাই ডাক্তার কে অনেকে দেবতাও বলে থাকেন।
বাংলাদেশে এখনও প্রচুর ডাক্তার আবশ্যক। একজন ছাত্র কিন্তু হঠাত সিদ্ধান্তে কখনও ডাক্তার হতে পারে না। তাকে মেধা এবং মননে তা লালন করেত হয় সেই শৈশব হতে যখন সে পড়ালেখা শুরু করে অর্থাত ১২টি বছর তাকে এই স্বপ্ন লালন করতে হয়। আর তার মা বাবাকে লালন করতে হয় তারও জন্মের আগে থেকে।
আমাদের এই দরিদ্র দেশে গ্রামের ছেলে মেয়েরা ১২ ক্লাশ পাশ করেই এই মহত পেশাকে গ্রহণ করতে ছুটে আসে ঢাকা শহরে কোচিং নিতে।
একজন ছাত্রের পিছনে এই ৩ মাসে প্রায় ১,০০,০০০ টাকা দরিদ্র মা বাবা খরচ করে থাকেন। আর বিনিদ্র রজনী পার করেন তরুন বালক বালিকাকে কোল ছেড়ে ঢাকাতে পাঠিয়ে।
ওই ৩টি মাস ঐ শিশুগুলো অমানষিক কষ্ট স্বীকার করে জীবনের স্বাদ আহ্লাদ ত্যাগ করে চেয়ে থাকে ভর্তি যুদ্ধের দিকে।
কিন্তু কি হলো এমন একটি মহত জীবন শুরুর আগেই তারা মোকাবেলা করলো এক অসত পদ্ধতির সংগে। “প্রশ্নপত্র ফাঁস”।
ফাঁসকারী গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু লাভ কি হয়েছে? এই কোমলমতি ছেলেমেয়ে গুলো কি শিখলো কি পেল? এরা কি সেবা দেবে মানুষকে? যারা ফাঁস কার প্রশ্নে নির্বাচিত হয়ে ভর্তি হয়ে তারা নিশ্চয় ডাক্তার হবে না কষাই ছাড়া।
তাহলে সরকার কষাই উতপন্ন করার খেলায় মেতেছে।
মানণীয় শিক্ষা মন্ত্রী বড় বড় কথা বলেন। শুধু কথা দিয়ে চিরা ভিজালে তো হবে না, কাজ চাই।
দেশে এখন কালচার গড়ে উঠেছে প্রম্ন পত্র ফাঁসের। পি এসসি, জে এস সি, এসএসসি, এইচ এস সি, নীয়োগ পরীক্ষা ভর্তি পরীক্ষা। সব জায়গায় চলছে অর্থের বিনমিয়ে প্রশ্ন কেনা বেচা। এর সংগে জড়ীত আছে এক শ্রেনীর শিক্ষকও বটে।আর কিছু বেহায়া নৈতিকতা বিবর্জিত পিতা মাতা।
আর যারা জড়ীত আছে তারা কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী? নাকি এটা সরকারের নীরব সম্মতি? পাশের হার বাড়াতে যেয়ে যে ফাঁস কালচার আবিষ্কার করেছেন তা সকল পরীক্ষাতেই সংক্রমিত হচ্ছে। যা সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে ।কি জবাব দেবেন আমাদের শিক্ষা মন্ত্রী?
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সকল চক্র গত বছরই কঠিন হাতে দমন হয়েছিল। তাই এবার HSC SSC তে কোন প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা দেখাযায়নি।
তবে এবার দমন হয়েছে মেডিকেল পরিক্ষার্থি দ্বারা পরিক্ষা চলাকালীন প্রশ্নফাঁস চক্র।