নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
ব্যবসা/বাণিজ্য মাত্রই লাভ ক্ষতি থাকবে। কিন্তু কোচিং হয়তো একমাত্র ব্যবসা যেখানে ক্ষতির কোন আশংকা নেই। শুধু লাভ আর লাভ।
এই ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স লাগে না এবং সরকারকে ট্যাক্সও দিতে হয় না।অনেকে হয়তো স্কুল কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে স্কুলেই এই ব্যবসা চালায়।
শিক্ষা জীবন শুরু মানেই কোচিং এ জীবন শুরু। স্কুলে ভর্তি কোচিং, কলেজে ভর্তি কোচিং, মেডিকেল, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং, পিএসসি কোচিং, জেএসসি কোচিং, এস এস সি কোচিং, এইচ এস সি কোচিং,
এ+ পাইয়ে দেবার কোচিং। এ ছাড়াও নিয়মিত ক্লাশের জন্যও কোচিং এর ব্যবস্থা আছে।
এগুলো বলছিলাম সবই স্কুলের বাইরের কোচিং এর কথা। স্কুলের ভিতরেও পিএসসি কোচিং, জেএসসি কোচিং, এস এস সি কোচিং, এই কোচিং গুলি আছে, যে গুলো কে শিক্ষকেরা তাদের বৈধ ডিউটি বলে মনে করেন। এই কোচিং গুলি নামে মাত্র পড়ালেখা হয়। কিন্তু টাকাটা স্কুল কতৃপক্ষ ঠিকই বুঝে নেন।
কোচিং সেন্টার গুলো রম রমা ব্যবসা করছে অভিভাবকদের অসচেতনাতার সুযোগ নিয়ে। কারন অধিকাংশ অভিভাবক মনে করেন কোচিং না করাতে পারলে সামাজিক মর্যদা ক্ষুন্ন হয়ে গেল। তা ছাড়া ছেলে মেয়েদের কোচিং আছে বলতেও ভালো লাগে।
কোচিং ব্যবসাগুলো কি করছে? এরা কিছু শিক্ষক বা মেধাবী ছাত্র কে দিয়ে নোট তৈর করে নেয়। পরে এগুলো জেরক্স করে আর ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে বিতরন করে।
আর গাইড বই পড়তে বা কিনতে বাধ্য করে। গাইড বই প্রকাশকদের কাছ থেকে কমিশন পেয়ে একাধিক গাইড বই কিনতে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে ছেলে মেয়েরা মুল পাঠ্য বই হতে বহু দূরে সরে যাচ্ছে।তারা কেবল গাইড বই আর লেকচার শীট পড়ে। পাঠ্য বই ছুইয়েও দেখে না।
গাইড বই এ গণিত সমাধান করা থাকে। তাই তারা গণিত পড়ে। গণিত করে না, তারা গণিত পড়ে।
এক জন লেখক এক এক রকম উদ্দীপক দিয়ে সৃজনশীল প্রশ্নের নমুনা দিয়ে থাকেন তাদের গাইড বই এ। এর মধ্যে যে শিক্ষক যে প্রকাশকের কাছ থেকে কমিশন পান তার গাইড বই থেকে প্রশ্ন করেন। আর সব রব উঠে যায় প্রশ্ন কমন পড়ে নি।মি: এক্স এর বই থেকে প্রশ্ন এসেছে। তারা তো মি: ওয়াই এর বই পড়েছে।
এই গাইড আর কোচিং সেন্টারের লেকচার শীট ত্যাগ না করতে পারলে শিক্ষার মান ক্রমশ: কমতে থাকবে। কারণ তারা আদৌ জানে না তাদের পাঠ্য বই এ কি আছে আর কি নেই।
আমি এর মাঝে এইচএস সির একজন ছাত্রকে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমাদের সিলেবাসে গণিতের কোন্ কোন্ মেথড আছে? সে আমাকে উত্তর দিল, প্রশ্নমালা এক, প্রশ্নমালা দুই …আমি বল্লাম. থাক আর বলতে হবে না।
আমার মনে হয় বেশ বড় একটা অংশ ছাত্র/ছাত্রী তাদের পাঠ্য সিলেবাস বলতে পারবে না তবে স্কুল সরবরাহকৃত সিলেবাসটি তদের মুখস্ত।
মূল পাঠ্য বই এ যদি থাকে নিউটনের সূত্র ৩টি। কোন গাইড বই লেখক কি সেটাকে ৪ টা করতে পারবে? ভাষা কি? এটি হয়তো এক জন লেখক তার মতো করে লিখতে পারেন কিন্তু মূল বিষয়টি তো একই থাকবে
তা হলে আমরা কেন এত গাইড বই নির্ভর করে আমাদের ছেলেমেয়েদের তৈরী করছি?
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
ফ্রিটক বলেছেন: বর্তমানে কোচিং করা যেন একটা সামাজিকতা হয়ে গিয়েছে। আগে যখন কোচিং ছিল না,তখন কি শিক্ষার মান কম ছিল,? বরং এখন মান নেই।
কেন,? মূল বই না পড়ে শুধু নোট পড়লে মান বাড়ে না।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
সুমন কর বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। পাঠ্য বইয়ের কোন বিকল্প নেই। তবে আজকালের ছেলেমেয়েদের চাপ না দিলে পড়াশুনা করতে চায় না। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে পারলে, এ সমস্যা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
+।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপু, কিছু মনে করবেন না - আপনি কি জানেন এই অবৈধ কোচিংগুলোকে যে সরকারের কাছে কর দিতে হয়?
আপনি বলছেন - ছেলেমেয়েদেরকে কোচিং ধ্বংস করছে। কিন্তু আপু বাস্তবতা আপনি কতটা জানেন? এই কোচিংগুলো না থাকলে কিন্তু অনেক ছেলেমেয়েই এসএসসি, জেএসসি, পিএসসি পরীক্ষাগুলো দেওয়ার প্রস্তুতিই নিতে পারতো না।
আমার একটা শহরের সমস্ত স্কুলের হিসাবটা জানা আছে। কোথায় কেমন পড়ানো হয় আর কোথায় ব্যবসা করা হয়। কোচিং সম্পর্কেও জানা আছে।
এইটাকে যে সবাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করে সেটাও জানি।
তবে, এই ধারণাটা দূর করা দরকার - কারণ কোচিং মানেই রমরমা ব্যবসা না। অযথা কোন কিছুর উপর ব্লেম দেওয়াটা আমাদের স্বভাব।
হ্যা, আরেকটা কথা - কিছু কোচিং জন্মায়ই ব্যবসা করার জন্য। অবশ্য তারা বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।