নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
শীতের সকালে খুব ভোরে ঘুম ভেংগে যেত।ধুপি পিঠে খাওয়ার লোভে। বেশী দেরী হলে ওরা পিঠে নিয়ে বড় রান্তার মোড়ে চলে যাবে বেচা কেনা করতে।
এই ধুপি পিঠে বানাতো আপু খালা তার মা পটি দাদী তারা। ওরা এসেছিল নদীয়া থেকে। এইজন্য ওদেরকে রিফুজি বলা হতো। তবে আমাদের সঙ্গে ওদের খুব ভাব ছিল।
ওরা এই পিঠে বানাতো অনেকটা ছোট আকারে। মঝখানে একটু নতুন খেজুর গুড়ের ছোঁয়া।কি সুন্দর নরম হতো পিঠে গুলো।
শীতের সকালে কাঁসার গ্লাসে এক গ্লাস খেজুরের রস , একটা গরম ধোঁয়া উঠা ধুপি পিঠে, গায়ে মায়ের কাপড় জড়ানো, নাক দিয়ে গড়িয়ে পড়া সর্দি তার সংগে কাঁপুনি মাঝখান থেকে সুর্যি মামার উকি ঝুকি সে এক অপরূপ দৃশ্য।
পিঠের দাম ছিল ৪ আনা অর্থাত ২৫ পয়সা। সারা দিন ভোরে ২৫ পয়সা যোগাড় করতাম পরদিন সকালের জন্যে।
ঢাকায় এসে এই ধুপি পিঠে হয়ে গেল ভাঁপা পিঠে। আকারে বড় হলো।গুড় দেওয়া বেশী হলো। নারকেল যোগ হলো। এখন খেজুর রসের পরিবর্তে গরম চায়ে ভিজিয়ে ভাঁপা পিঠে খাই। কিন্তু ধুপি পিঠে আর কোথাও পাই না।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২১
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধুপি পিঠেই সারাদেশে ছড়িয়ে গিয়ে ভাপা পিঠি হয়ে গেল। রাজশাহী বা আশপাশের এলাকায় এখনও একে ধুপিই বলা হয়।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আমাদের বৃহত্তর ফরিদপুরে (ভাপা পিঠা, মাপা পিঠা না বলিয়া) ধুপি পিঠাই বলিয়া থাকি আমারা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪
প্রামানিক বলেছেন: ধুপি পিঠেই ভাপা পিঠি হয়ে গেল। ধন্যবাদ