নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফ্রিল্যান্সার।। ইদানীং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে জানতে ও পড়াশোনা করতে বেশ ভাল লাগছে।
রিসেন্টলি একটা নিউজ বাংলাদেশের মিডিয়াতে বেশ আলোড়ন তুলেছে। আর তা হলো - বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা দেবে ইলন মাস্কের স্টারলিংক। স্টারলিংক কি, এটা কিভাবে কাজ করে, কোন কোন দেশ স্টারলিংক এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, আমাদের দেশে স্টারলিংক এর ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ কতটুকু স্বাচ্ছন্দ পাবে, স্টারলিংক তথা স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এর সুবিধা আর অসুবিধা কি কি - এই সব নিয়ে কথা বলবো আজকে।
পুরো লেখাটি ভিডিও আকারে দেখতে পারেন এখানে - স্টারলিংক বাংলাদেশের জন্য কতটা ভাল হবে?
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:১২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: স্টারলিংক বাংলাদেশের আম জনতার ধরা-ছোঁয়ার অনেক বাইরে বলে আমি মনে করি। তবে তুলনামূলকভাবে বড় এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত ব্যবসাগুলো এই সার্ভিস থেকে উপকৃত হতে পারে যদিও সেটা পরীক্ষামূলকভাবে মোটামুটি বছরখানেক ব্যবহারের পর আরো পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। উন্নত বিশ্বের বেশীরভাগ মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সার্ভিস প্রযোজ্য নয় বা দরকার নেই যদিও ক্ষেত্র বিশেষে এই সার্ভিস বেশ কাজে দিচ্ছে।
সত্যি কথা বলতে কি, এই ধরনের সার্ভিস বাংলাদেশে যতটানা প্রয়োজন তার চেয়ে দেশে ভালো ইন্টারনেটের অবকাঠামো গড়ে তোলা বেশী জরুরী বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে বাংলাদেশের শহরগুলোতে ভূ-গর্ভস্থ অবকাঠামোতে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে ইন্টারনেটের কেবল স্থাপন জরুরী। যেসব স্থানে মাটির নিচে কেবল টানা সম্ভব নয়, সেখানে বৈদ্যুতিক খুঁটির উপরে বিদ্যুতের পাশাপাশি উচ্চ-গতির অপটিক্যাল ফাইবার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ বা গ্রাম পর্যায়ে সরকারিভাবে স্থাপন করে তা বড় বড় কিছু ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে (ব্যান্ডউইডথ হিসেবে)। কোম্পানীগুলোর দায়িত্ব হবে এই সেবা প্রতিটি বাড়ি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। করিম-রহিম তাদের দোকান থেকে ইন্টারনেট দেয়ার প্রথা বন্ধ করতে হবে। উন্নত বিশ্বের কোথাও এভাবে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হয় না। আজ তার ছিঁড়ে গেছে, কাল রাউটার এসব নাটক বন্ধ করতে হবে। আর সেটা সম্ভব বড় আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে। আমেরিকায় এ ধরনের কোম্পানীগুলোর (ভ্যারাইজন, স্পেকট্রাম, এটিএন্ডটি ইত্যাদি) ভ্রাম্যমান টিম সব-সময় রাস্তায় বা বাড়ির সামনে দেখা যায়। যখনই কোন সমস্যা চোখে পড়ছে বা কাস্টমার অভিযোগ দিচ্ছে, তারা দ্রুত সেখানে গিয়ে সেটা ঠিক করে দিচ্ছে।
মূল কথা হলো, সরকার কখনোই বিষয়গুলোকে নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবেনি বা তাদের ঐ ধরনের কোন প্ল্যানও আছে বলে আমার জানা নেই। থাকলেও এই শতাব্দীতে এসেও এখনো ৫/৬ মেগাবিটের ইন্টারনেট ব্যবহার করা হাস্যকর বিষয়। নামে "ডিজিটাল" বললেও নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে কোন ব্যক্তি এখনো এর মর্মার্থ বুঝতে অপারগ। তাদের কাছে ডিজিটাল হলো ইউটিউব আর ফেইসবুক ব্যবহার করা। সাইট বানিয়ে তথ্যের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা, লক্ষ-কোটি মানুষের তথ্য হ্যাকারদের হাতে তুলে দেয়া, ব্যাংক থেকে শত শত মিলিয়ন ডলার চুরি হওয়া বার বার এটাই প্রমাণ করছে যে দেশে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির অভাব রয়েছে।
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এসব বিষয় গুলো আমি একেবারেই কম বুঝি।
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯
নাহল তরকারি বলেছেন: বিমান, বাস, ট্রেনে এর ব্যাবহার করা যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী কাজে ব্যবহারের জন্য একটা ব্যাকআপ থাকা ভালো। যদি কোন কারনে সাবমেরিন কেবল বা সারফেস ক্যাবল বিপর্যস্ত হয় তখন অনেকে জরুরি প্রয়োজনে এটা ব্যবহার করতে পারবে।