নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কামরুল ইসলাম মান্না

কামরুল ইসলাম মান্না

ফ্রিল্যান্সার।। ইদানীং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে জানতে ও পড়াশোনা করতে বেশ ভাল লাগছে।

কামরুল ইসলাম মান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে পথে কেউ যায় না: অজানা এক ঝর্ণার খোঁজে

২৮ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫০



প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলো আমাকে বরাবরই টানে। সেই অজানা শব্দ, মেঘে ঢাকা পাহাড়ি বাতাস, আর জলরাশির গর্জন—এক ধরণের ডাক যেন! ঠিক তেমন এক ডাকে সাড়া দিয়েই বেরিয়ে পড়েছিলাম আমরা, একদম অজানা এক ঝর্ণার খোঁজে।

এই ঝর্ণাটির কোনো নাম নেই। কোনো পর্যটক আগে এখানে এসেছেন—সেই প্রমাণও নেই। গুগল ম্যাপে নেই, লোকমুখে শোনা যায় না, এমনকি স্থানীয়রাও খুব কমই এই পথে পা বাড়িয়েছেন।

বর্ষার একেবারে শুরুর দিক। পাহাড়ে তখন সবুজের রাজত্ব। ঝিরিপথে পানি বাড়ছে, মাটি স্যাঁতস্যাঁতে। ঠিক এই সময়েই পাড়ি দিয়েছিলাম দুর্গম পাহাড়ি পথ, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক, কাঁদা-পিচ্ছিল ট্রেইল পেরিয়ে।

আমরা জানতাম না আসলে কী অপেক্ষা করছে শেষ প্রান্তে। শুধু জানতাম, আমাদের গন্তব্যে একটা ঝর্ণা আছে।

পথে একসময় মনে হচ্ছিল—এটা আর ট্রেকিং নয়, যেন একটা রুদ্ধশ্বাস অভিযান। মাঝেমাঝে পাহাড়ি বৃষ্টির ফোঁটা, কোথাও জোঁকের ভয়, আর কোথাও হঠাৎ করে রাস্তা শেষ! কিন্তু তবুও আমরা চলছিলাম… কারণ কেউ একজন একদিন বলেছিলেন— "ভ্রমণের আসল তৃপ্তি গন্তব্যে নয়, পাওয়া যায় পথেই।"

হঠাৎই দূর থেকে কানে এল এক টুকরো শব্দ। জলরাশির গর্জন। মনে হচ্ছিল, যেন পাহাড়ের ভেতর থেকে কেউ আমাদের ডাকছে। ঝর্ণার পানির ফোঁটা, পাহাড়ের গায়ে পড়ে এক অপার্থিব সৌন্দর্য তৈরি করছিল। মনের ভেতর ভয় নয়, তখন শুধুই প্রশান্তি।

আমার এই অভিযানের পুরো গল্পটাই তুলে ধরেছি নতুন ভিডিওতে। ভিডিও কেমন হয়েছে জানালে বাধিত হবো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: বান্দববানে একটা ঝর্না পেয়েছিলাম। অতি সাধারন ঝর্না। এই ঝর্না অনেকে চিনে না। মুগ্ধ হয়ে আমি ঝর্না উপভোগ করেছি।

০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১৫

কামরুল ইসলাম মান্না বলেছেন: হুম। এইরকম অপরিচিত ঝর্ণা আর সেই ঝর্ণা খুঁজে পাওয়ার রাস্তাটাই সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.