![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা জানি খেলা পরস্পরের মধ্যে সৌহাদ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে।একটা সময় যখন দেশে যুদ্ধ লেগে থাকত তখন হিংসায় একে অপরকে সহ্য করতে পারত না, তখন সভ্য মানুষেরা খেলার মাধ্যমে সেীহাদ্য বৃদ্ধি ও হিংসার পরিবর্তে ভ্রাতৃত্ব স্থাপনে সবচেয়ে উত্তম মধ্যম হিসাবে বিবেচনা করত।
সেই খেলার আজ অনেক কদর।এখন খেলা আর শুধু “খেলার”মধ্যে আবদ্ধ নেই।এই খেলার মাধ্যমে কেউ রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে।এই খেলা এখন জাতীয় ঐক্য ও গৌরবের প্রতীক হয়েছে।তাই বলে খেলা কী আজ হিংসায় পরিণত হবে ?ফেসবুক সহ সকল যোগাযোগ মাধ্যম ঘাটলে দেখা যাচ্ছে মাঠে খেলছে ১১ ক্রিকেটার নয়-মাঠে খেলছে পুরা দেশ-বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেন ১৭ কোটি দর্শক অন্যদলের বাইরে যেয়ে অন্যদেশটির শত্রুতে পরিণত হচ্ছে।
অন্য দলটির মুণ্ডু বিচ্ছেদের ছবি ফেসবুকে শোভা পাচ্ছে।পাকিস্থান খেললে আমরা ১৯৭১ সালে ফিরে যাই।কিন্তু কেন? তাহলে আমরা তাদেরকে আমাদের দেশে আমন্ত্রণ করি কেন? কেন তাদের আমাদের দেশে ঢুকতে দেই।বাংলাদেশের কোন নাগরিক পাকিস্তানকে সাপোর্ট করুক তা নিশ্চয় কেউ চাই না-তাই বলে যদি কেউ সাপোর্ট করে তাকে ৭১ এর হিংসায় পরিণত করতে হবে? অনেক পাকিস্তানী বন্ধু কিন্তু তাদের দেশের বাইরে যেয়ে আমাদের সাপোর্ট করছিল।তার মানে এই নয় তারা আমাদের দেশকে সাপোর্ট করেছিল।তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে,অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাপোর্ট করেছিল।জানি এদেশে একদল লোক এখনও পাকিস্তানকে তাদের দেশ মনে করে,ভিতরে ৭১ সালে পরাজিত হওয়ার লাঞ্চনা নিয়ে তার প্রতিশোধে উন্মুখ।তাদেরকে আমাদের অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে।কিন্তু কেউ যদি সত্যি সত্যি ভাল খেলাকে সাপোর্ট করতে যেয়ে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করে তাহলে তাকে কী আমরা প্রতিহত করব!তার দেশপ্রেম নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি,তাই বলে তার যোগ্যদলের সাপোর্ট করা থেকে বিরত রাখা কী ধরণের দেশপ্রেম?
আমাদের অনেকের মাঝে ভারতের বিপক্ষে আমাদের একপ্রকার বিদ্বেষ কাজ করে।যারা ৭১ সালের বাংলাদেশের অদ্ভ্যুদয়কে নিজেদের পরাজয় মনে করেন তাদের কথা আলাদা-তাদের পারলে এদেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত- কিন্তু সত্যিকারের ভালখেলাকে সাপোর্ট করতে যেয়ে কেউ যদি ভারত সাপোর্ট করে -তাহলে তার প্রতি আমাদের হিংসা জাগবে কেন?মনে রাখবেন ভারতের বিরুদ্ধে যতই বিষেদগার করা হউক না কেন,সীমান্ত নিয়ে যতই সহিংসতা থাকুক না কেন-বর্হিবিশ্বে ভারতই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে কূটনৈতিকভাবে ও সরাসরি যুদ্ধ করে আমাদের সাহায্য করেছে তা আপনি কী দিয়ে মাপবেন?১৯৭১ সালে অস্ত্র দিয়ে,ট্রেনিং দিয়ে,শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে যে সাহায্য ভারত সেদিন করেছিল তা কী দিয়ে মাপবেন?আপনি জানেন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে কতজন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রাণ দিয়েছিল?
আবার স্বাধীনতার পরে ভারত আমাদের দেশ থেকে এটা ওটা নিয়ে গেছে বলে একধরণের প্রচারণা আছে।আমরা জানি কারা তা করে এবং কেন করে -তারা ত ক্ষমতায় এসে রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল-এসব কথা লিখতে গেলে অনেক কথা আসবে-আমি আমার মূল লেখায় থাকতে চাই-অামি তার মানে বলছি না আমাদের ভারত সাপোর্ট করতে হবে।
আমি চাই যারা ভাল খেলবে তারাই জিতুক।একজন বাংলাদেশী হিসাবে আমি চাইব ভাল খেলে বাংলাদেশ জিতুক-কিন্তু আমাদের চেয়ে ভাল খেলে যদি ভারত জিতে যায় তাহলে ভারতকে কী স্বাগতম জানাব না? ভিতরে যুদ্ধ আর হিংসা নিয়ে খেলা হয় না। মনে রাখবেন এটা শুধু খেলা।খেলার ঐ সময়টাকে যে কেউ ভাল খেলতে পালে। আমরা চাই ভাল খেলার জয় হোক এবং খেলাটা যেন শেষ পর্যন্ত খেলাই থাকে।
বাংলাদেশ টিম যেন জয় লাভ করে সেই শুভ কামনা জানিয়ে শেষ করছি।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
প্রতিবাদী ডাঃ আবদু সালাম বলেছেন: শত্রুতে রূপান্তর করার অপ্রয়োজনীয়! অতিরিক্ত লাফালাফি ভালো নয়।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২১
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: ভালো বলেছেন। খেলার মাধ্যমে যেন আর কোন যুদ্ধ না বাঁধে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। আর বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: স্বপ্নপূরণের ফাইনাল আজ
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: খেলা খেলাই
বিনোদনের মাধ্যম ছাড়া কিছুই না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: খেলাটা যেন শেষ পর্যন্ত খেলাই থাকে
ও কে।