![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মায়ের দুধের বিকল্প নেই.. এই ধ্রুব সত্যটি প্রায় সকলেই জানেন, তারপরও “ওয়ার্ল্ড ব্রেস্ট ফিডিং উইক” স্তন্য দানের জন্য বিশেষ ভাবে একটি সপ্তাহ((আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ) জরুরী কেনো? কারন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই অতি জরুরী ও জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়টি আজও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবহেলিত; তাই এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রচার ও লক্ষ্যের বাস্তবায়নে এমন সপ্তাহের অবতারনা।
পৃথিবীতে সম্ভব সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়- মাতৃগর্ভ। এরচেয়ে নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত ও আরামদায়ক স্থান সম্ভব নয়। সেখান থেকে একজন নতজাতক যখন ধুলোবালি মাখা জীবাণু সংকুল পৃথিবীতে আসে, তার নাজুক শরীর ও দুর্বল রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতার কারনে জীবন হয় ঝুঁকিপূর্ণ! এই পরিবেশে একটি নিরাপত্তাবেষ্টনীর মতো তাকে সকল প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করে মমতাময়ী মায়ের কোল ও শিশুর রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতার অসাধারণ গুনাবলী সমৃদ্ধ মাতৃদুগ্ধ!
আমাদের দেশে এই ব্যাপারটি অত্যন্ত অবহেলিত- কারণ ধরেই নেয়া হয় যিনি জন্ম দিলেন তিনি তো স্তন্যদান করবেনই, এটা তাঁর একার দায়িত্ব এবং অবধারিত ব্যাপার। বিষয়টি এতো সহজ নয়, আর সে কারনেই দেখা যায় শেষ পর্যন্ত অনেক সদ্য প্রসূতীর সন্তান মার্তৃদুগ্ধ থেকে বন্চিত হচ্ছে!! মাতৃদুগ্ধ বন্চিত শিশুরা বিভিন্ন রোগে সহজে আক্রান্ত হয় এবং কখনও অকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
ইউনিসেফের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের সকল নবজাত শিশু ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মাত্র মায়ের দুধ পান করলে প্রতিবছর প্রায় ১৫লক্ষ শিশুর মৃত্যুরোধ হয়তো সম্ভব হতো।
মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই!! মায়ের দুধ শিশুর জন্য শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠতম পুষ্টিকর ও সঠিক খাদ্য নয় বরং তা যে কোন রোগপ্রতিরোধক টিকার চেয়ে অধিক শক্তিশালী ও কার্যকর। ডায়রিয়া, ইনফ্লুয়েন্জ্ঞা, অটাইটিস মিডিয়া, হারপিস ইনফেকশন, শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন, নেক্রোটাইজিং এন্টারোপ্যাথি ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়া ছাড়াও কৃত্রিম ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
ফর্মূলা বা কৃত্রিম শিশু খাদ্যে লালিত শিশুদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি মার্তৃদুগ্ধে লালিত শিশুর চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এসকল রোগ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যহত করে এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকগুন বৃদ্ধি করে।
মায়ের দুধ যে শুধু মাত্র শ্রেষ্ঠতম পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সম্পন্ন তাই নয় বরং তা শিশুর জীবন রক্ষার সাথে সাথে সাশ্রয়ীও- শিশুখাদ্য হিসেবে মাতৃদুগ্ধ পরিবারের খরচ ও সময় দুটোর সাশ্রয় করে থাকে।
বিশ্বের সকল নবজাতকের পুষ্টি, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিষ্চিত করতে WHO এবং UNICEF এর যৌথ প্রচেষ্টায় BFHI বা Baby Friendly Hospital Initiative এর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।
হাসপাতাল বা মাতৃসদনকে স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য একটি শক্তিশালী ও যথাযথ দৃষ্টান্ত এবং সাহায্যকারী অনুকুল স্থান হিসেবে উপস্থাপন করা এর মূল লক্ষ্য।
উন্নতবিশ্বের অধিকাংশ মাতৃসদন ও হাসপাতালে ল্যাকটেশন সেন্টার আছে। মায়েদের স্তন্যদানের সুবিধার্থে সেখানে মানসিক সহায়তা সহ স্তন্যাদানের যথাযথ পজিশন ও টাইমিং শিখানো হয়, এসব সেন্টারে স্তন্যদানে সহায়ক প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী পাওয়া যায়।
শিশুর জন্মের পর অধকিাংশ মা সন্তানকে স্তন্যদান শুরু করলেও অনেক ক্ষেত্রে তা ছয়মাস পর্যন্তও সম্ভব হয়না। এ নিয়ে আমাদের দেশে মায়েদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করার লোকের অভাব না হলেও, এর প্রকৃত কারণ উদ্ধার ও তার সমাধানে এগিয়ে আসার উদ্যোগের অভাব পরিলক্ষিত হয়।
নবকজাত শিশু যেন প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ এবং দুবছর বয়স পর্যন্ত অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি মায়ের দুধের পুষ্টিতে লালিত হতে পারে তা নিশ্চিত করতে মায়ের পাশাপাশি পরিবারের সকলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কাজটিকে সহজ ও বাস্তবায়িত করতে গুরত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা অত্যন্ত জরুরী: -
*মায়ের যত্ন:
১. ব্রেস্টফিডিং বা স্তন্যদানে সবচেয়ে প্রথম এবং প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মায়ের সুস্বাস্থ্য(শারিরিক ও মানসিক দুটোই)। গর্ভবতী মায়ের দেহে বিভিন্ন হরমোনের আধিক্য দেখা যায়, বলা যায় গর্ভবতীর শরীরে চলে হরমোনের উৎসব। যার ফলে তিনি শারিরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ প্রভাবিত হন।
শিশুর জন্মের পর এই প্রভাব কিছুটা কমে এলেও তিনি শারিরিক ভাবে দুর্বল এবং অনেক ক্ষেত্রে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন।
শিশুর লালন পালনে আর সব কিছুর মতো মাতৃদুগ্ধ দানে মায়ের পাশাপাশি পিতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপারটি অনেককে অবাক করলেও এটাই বাস্তবতা। শিশুকে স্তন্যদান করবেন মা আর সেই মায়ের যত্ন, তাঁর পুষ্টি, বিশ্রাম নিশ্চিত করবেন পিতা।
২.এসময় মায়ের যথাযথ খাদ্যগ্রহন ও পুষ্টি জরুরী। মায়ের পুষ্টিহীনতা মতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। এসময় সাধ্য অনুযায়ী দুধ, ডিম, সব্জিসহ পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করা জরুরী।
৩. স্তন্যাদানকারী মায়েদের হাইড্রেশন বা পর্যাপ্ত পানি পান অত্যন্ত জরুরী।
৪.মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম(প্রতিদিন নুন্যতম ৮ ঘন্টা) জরুরী।
*বিশেষ খাবার:
বিভিন্ন দেশের নিজ নিজ বিশ্বাস ও ঐতিহ্যনুসারে এসময় শিশুখাদ্যের পরিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মায়েদের ভিন্ন ভিন্ন ফল, সব্জি, ভেষজ ও খাদ্য গ্রহনে উৎসাহিত করে।
এর মাঝে উল্লেখযোগ্য:
১.দুধ
২.কালোজিরা
৩.লাউ
৪.সাগুদানার পায়েস
৫.পেঁপে
৬.মেথী-আমাদের দেশে কালোজিরার মতো জাপান এবং বর্তমানে আমেরকিায়ও মেথী গ্রহনে উৎসাহিত করা হয়। ল্যাক্টেশন সেন্টারে ক্যাপসুলাকারে মেথী, মেথীর চা বিপুল পরিমানে বিক্রী হয়ে থাকে।
*পজিশন:
স্তন্যদানের যথাযথ পজিশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন-
১. ক্র্যডেল:- সাধারন কোলে নেবার ভঙ্গীতে যে প্রচলিত পজিশনে স্তন্যদান করা হয়, তা সব চেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর।
২.বল হোল্ডিং:- সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেবার পর প্রচলিত পদ্ধতি বা ক্র্যাডেল পজিশনে স্তন্যদান অনেক ক্ষেত্রে মায়ের জন্য কষ্টকর, মাঝে মাঝে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে “বল হোল্ডিং” অত্যন্ত কার্যকর।
একটি বলকে পাশে একহাতে ধরার মতো করে শিশুকে স্তন্যদান করায় মায়ের তলপেট বা সিজিরয়িান সেকশনের ক্ষতস্থানে শিশুর ভার পড়েনা, ফল স্তন্যদান মা ও শিশু উভয়ের জন্য সহজ হয়।
৩.ক্রস ক্র্যাডেল:- প্রিম্যাচিউর শিশুর ক্ষেত্রে অধিক সহায়ক।
৪.লাইং বা শায়িত:- মায়েদের জন্য কিছুটা রিল্যাক্সিং হলেও শিশুর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
*কর্মজীবি মায়েদের জন্য:
আন্তরিক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজে ফেরার পর অনেক মায়ের সন্তানকে কৃত্রিম খাবার বা বেবিফুড, গরুর দুধ বা পাউডার দুধের আশ্রয় নিতে হয়, যা মোটেও কাম্য নয়। এ সমস্যা সমাধানে কর্মজীবি মায়েদের জন্য প্রায় বন্ধু সম একটি যন্ত্র “ব্রেস্ট পাম্প"”। কাজের সময় শিশুকে স্তন্য দান সম্ভব না হলে তাঁরা এই পাম্পের সাহায্যে মতৃদুগ্ধ সংগ্রহ করে তা যথাযথ উপায়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। যা তাঁদের অনুপস্থিতিতে পরিবারের অন্য কেউ বোতলের মাধ্যমে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। ফলে মায়ের অনুপস্থিতিতেও শিশুটি মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা থেকে বন্চিত হয়না।
নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে স্তন্যদানের শুরুতেও ব্রেস্টপাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্রেস্ট পাম্প বিভিন্ন দামের আছে তবে ইলেক্ট্রিক পাম্প সবচেয়ে কার্যকর ও কিছুটা ব্যয়বহুল। ল্যাক্টেশন সেন্টার থেকে এই পাম্প ভাড়া করা যায়।
*পোশাক:
স্তন্যদানের উপযোগী আরামদায়ক ও স্বস্তিকর পোশাক মায়েদের জন্য জরুরী। এবিষয়েও ল্যাক্টেশন সেন্টার সহায়তা করে থাকে।
*প্রস্তুতি:
একজন পুরুষের কাছে স্তন্যদান যতোখানি অপরিচিত ব্যাপার, প্রথমবার সন্তানলাভ করা মায়ের কাছেও অনেকটা তেমনি।
তই, গর্ভবতী অবস্থা থেকে এব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি জরুরী। পরিবারের মুরুব্বী এবং স্বামী উৎসাহ দান করে এই প্রস্তুতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন।
*আধুনিকতা ও স্তন্যদান:
সময়ের সাথে সাথে মানুষ যতো আধুনিক ও শিক্ষিত হচ্ছে উন্নত বিশ্বের মায়েরা ফিরে যাচ্ছেন ব্রেস্ট ফিডিং বা স্তন্যদানে। শিক্ষা, মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা এবং শিশুর জন্য এর গুরুত্ব অনুধাবন তাঁদের এবিষয়ে উৎসাহিত করছে। হাজারও ব্যস্ততার মাঝে শিশু সন্তানকে মাতদুগ্ধের আশির্বাদ থেকে বন্চিত করছেননা।
স্তন্যদানে অন্যতম সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, মা ও শিশুর মানসিক নৈকট্য বা বন্ধন দৃঢ় করায় এর কোন বিকল্প নেই।
মা এইচ আইভি ইনফেকশন বা এইডস আক্রান্ত না হলে আর যেকোন অবস্থায় শিশুকে স্তন্যদানে কোন বাঁধা নেই।
সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমরা সকলেই আমাদের পরিবার ও পরিচিতজনদের শিশুদের মাতৃদুগ্ধের আশির্বাদপুষ্ট হতে সহায়তা করতে পারি।
জন্মের পর থেকে ছয়মাস বয়স পর্যন্ত মার্তদুগ্ধ হোক শিশুর একমাত্র খাদ্য।।
বিশ্বের প্রতিটি শিশু বেড়ে উঠুক মাতৃদুগ্ধের আশির্বাদ ও নিরাপদ ছায়াতলে।
*ব্রেস্টফিডিং এর সিম্বল “গোল্ডেন বো” “সোনালী বো” যা শুধু মাত্র একটি চিহ্ন নয় বরং গুরত্ব ও কার্যকারিতার অর্থ বহন করে। “গোল্ডেন বো”র চমকপ্রদ ব্যাখ্যা।।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৩২
মানবী বলেছেন: কি বলবো ভাইয়া.. কিছু বলার নেই!
মহান আল্লাহ তাঁদের ভালো রাখুন এই প্রার্থনা। তাঁরা যেনো পরকালের মাতৃস্নেহ ভালোবাসায় সিক্ত থাকেন প্রতি মুহুর্ত.. মায়ের স্নেহের পরশ মাখা সেই সময় হবে অনন্ত...
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৪
দুখী মানব বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আজকালকার মর্ডান মায়েরা মনে করেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে তাদের ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৩৫
মানবী বলেছেন: ফিগার ঠিক রাখার জন্য যারা শিশুকে মাতৃদুগ্ধ থেকে বন্চিত করে, তাদের আসলে মডার্ন বলা যায়না কোন ভাবেই.. বরং বলা যায় অজ্ঞ অথবা বোকা!!
দীর্ঘ পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সচেতনতা জরুরী।
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৪৩
ত্রিশোনকু বলেছেন: আমারও হোক মানুষের দুধ একমাত্র পানীয়/খাদ্য যদ্দিন এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকি।
এই দুধ খেতেই শুধু মজার নয় আরো অনেক কিছু।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৫৫
মানবী বলেছেন: আপনার ব্লগ দেখে এলাম, নিকটি হ্যাক হয়েছে কিনা জানতে। মনে হয়না হ্যাখ হয়েছে.....
আপনার মন্তব্যটি স্পষ্ট নয় ত্রিশোনকু, ব্যাখ্যা করুন।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:০৯
শ্যামল বাংলা বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মানবী, অসাধারন সুন্দর এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনার এই লেখাটি হতে পারে আমাদের প্রতিটি পরিবারের মা-বোন, ভাইদের জন্য একটি দিক নির্দেশনা।
খুব খারাপ লাগছে-আপনার এই পোস্ট ব্লগারদের পড়ার এবং পড়ার পর উতসাহজনক কোনো মন্তব্য নাকরতে দেখে। অথচ কত ফালতু পোস্ট পড়ে একশ্রেনীর ব্লগার মন্তব্যের পর মন্তব্য করে, রেটিং করে ভাসিয়ে দিচ্ছেন! আমি ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেছি সম্প্রতি, কিন্তু পাঠক হিসেবে যথেস্ট পুরোনো। আমার উপলব্ধি হয়েছে-এখানেও ব্লগারদের একটা সিন্ডিকেট আছে, একটা বলয় আছে-সেই সিন্ডিকেট/বলয়ভুক্ত ব্লগারগন কোনো ভালো লেখায় আগ্রহী নন। আর একশ্রেনীর ব্লগার আছেন-যারা "তেলিয়ে" এবং "লুলিয়ে" নিজ পোস্টে হিট বাড়াতে সিদ্ধহস্ত। আগে ঐ শ্রেনীতে শুধু পুরুষ ব্লগারেরাই দক্ষ ছিলেন। এখন কয়েকজন নারী ব্লগারও সেই পন্থা অবলম্বন করে নিজেদের হিট বাড়িয়ে বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছেন! আপনি সেই ধারায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পারেননি বলেই-আপনার এমন একটি পোস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঠক উপেক্ষিত!
আপনি আরো লিখবেন। আমাদের মত কতিপয় পাঠক/ব্লগারদের জন্য লিখবেন।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:১৯
মানবী বলেছেন: এই পোস্টের বিষয় কিছুটা অন্য রকম, অনেক পাঠক পাঠিকা হয়তো মন্তব্য করতে সহজ বোধ করবেননা। আমার উদ্দএশ্য মন্তব্য নয়, তথ্যগুলো কেউ উপকৃত হলে, একজনও নতুন কিছু জানলে বা সচেতন হলে পোস্টটি সার্থক।
আমি নিজের বা অন্য কারো পোস্টে মন্তব্য সংখ্যা নিয়ে আসলে কখনও বিচলিত নই। একেক জনের রুচী একেক রকম, আমরা সেভাবেই পোস্ট লিখে থাকি, এবং মন্তব্য করি।
কষ্ট করে পড়ার ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই।
আপনি আমার পোস্ট পড়েন জেনে ভালো লাগলো।
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২১
কালপুরুষ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সত্যিই মানবীয়।
কে কি বলে জানিনা, আমার ধারণা একমাত্র মায়ের দুধই পারে একটি সন্তানকে মা ও তার পরিবারের প্রতি প্রচন্ড রকমের অনুগত হতে ও একজন আদর্শ সন্তান হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে। যারা শৈশবে মায়ের দুধ হতে বঞ্চিত তাদের মাঝে মানবীয় গুনাবলীর অভাব সবচাইতে বেশী বলেই আমার বিশ্বাস। মায়ের দুধ শুধু শারীরিক বিকাশ নয়, মানবিক বোধেরও বিকাশ ঘটায়। এই পৃথিবীর সকল শ্রেষ্ঠ সন্তান তার মায়ের দুধের প্রতি নিজেকে ঋণী ভাবে।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৩২
মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।
শিশুর শারিরিক সুস্থতা, রোগ প্রতিরোধ ও মানসিক বিকাশে মাতৃদুগ্ধ অনন্য।
আন্তরিক ধন্যবাদ কালপুরুষ।
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:০৩
ফয়সল নোই বলেছেন:
পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মানবী।দারুণ লেখা।কাজের।
যেহেতু মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু হয়েছে আজ থেকে; লেখাটি কিছু দিনের জন্য ষ্টিকি করলে অনেকের নজরে আসবে । এই বিষয়ে কতৃপক্ষের কাছে মনযোগ আশা করছি।
শ্রমসাধ্য লেখাটির জন্য বিশেষ ' + ' ।
এই প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছাও জানিয়ে রাখলাম।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১১
মানবী বলেছেন: স্টিকির প্রয়োজন নেই, যাঁরা পড়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বক্রীয় হলেই স্বার্থক।
বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে প্রচার পাচ্ছে আশা করি।
কষ্ট করে দীর্ঘ পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনাকেও বন্ধু দিবসের অনেক অনেক শুভ কামনা।
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:২৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক জরুরী এবং গুরুত্বপুর্ন পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো।
বন্ধু দিবসে অনেক অনেক শুভেচ্ছা মানবী।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৫
মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা।
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১৪
ফয়সল নোই বলেছেন: লেখাটি পড়তে মোটেও কষ্ট হয়নি।সুন্দর বিস্তারিত লেখাটির জন্য আবারও অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ । ব্লগে বিষয়টি খুব একটা পাত্তা না পেলেও সব বড় কাগজ ও টিভিগুলো গুরুত্বের সাথে এই নিয়ে লেখা রিপোর্ট ইত্যাদি প্রকাশ করেছে। সরকারি পর্যায়েও অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টায়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়_'সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়াতে দশটি পদক্ষেপ নিন'।
নিয়েঅবস্থাতো অনেক খারাপ । একটা পত্রিকায় পড়লাম , বলেছে ...
`শুধু অজ্ঞতা ও সচেতনতার অভাবে দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ২০ হাজার নবজাতক মারা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ মায়ের বুকের শাল দুধ না খাওয়ানো। এর ফলে সরকারের কাছে ২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এমডিজির লক্ষ্য অর্জন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমডিজির প্রধান শর্ত মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে শিশুমৃত্যুর হার কমবে না বরং সরকারের পক্ষে এমডিজি অর্জন আরও কঠিন হয়ে পড়বে। এ বছর প্রথমবারের মতো দেশে সরকারি উদ্যোগে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন।
বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেছেন, শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির অপরিহার্য সব নিয়ামকই মায়ের দুধে বিদ্যমান। তিনি বলেন, মায়ের দুধ শিশুর জন্য আদর্শ খাবার। তাই প্রতিটি শিশুর জন্মের এক ঘণ্টা থেকে শুরু করে অন্তত দুুই বছর বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
সমকাল লিখেছে, দেশে এখনও মাত্র ৪৩ শতাংশ শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুর জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু হয় মাত্র ২৪ শতাংশ শিশুকে। অথচ নবজাতককে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়ানো গেলে বছরে ৩৭ হাজার নবজাতকের মৃত্যু এড়ানো সম্ভব। একই সঙ্গে কমানো সম্ভব শিশুমৃত্যুর হারও।
বড় মন্তব্য করে বিরক্তির উদ্রেক ঘটাবো না পাঠকের।
লেখক বলেছেন: স্টিকির প্রয়োজন নেই, যাঁরা পড়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বক্রীয় হলেই স্বার্থক।... তা আর বলতে ! আমি মনে করি এই লেখা একবার পড়লে সারা জীবন কাজে দিবে।নিজেদের বাচ্চা কাচ্চা হলে যেমনি করণীয় কি ঠিক করা যাবে তেমনি পরিচিত বা আশে পাশের কারো হলে ১৫/২০ মিনিটের একটা বক্তৃতা দেয়া যাবে মাতৃদুগ্ধের গুনগান গেয়ে।
লেখাটির জন্য আবারও অনেক ধন্যবাদ মানবী।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪৭
মানবী বলেছেন: ব্লগে নিয়মিত হলে বাংলা পত্রিকা তেমন পড়া হয়না, এখানে অধিকাংশ সংবাদ জানা যায়। সেকারনেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপারটি কতোখানি গুরুত্ব পেয়েছে জানা ছিলোনা।
বিশ্বব্যাপী পালিত সপ্তাহটি দেশের গণমাধ্যমে অন্তত গুরুত্ব পেয়েছে জেনো ভালো লাগলো।
রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে কিছুটা সংশোধন প্রয়োজন মনে হয়, "তাই প্রতিটি শিশুর জন্মের এক ঘণ্টা থেকে শুরু করে ছয়মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ এবং দু বছর বয়স পর্যন্ত অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি মায়ের দুধ খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।"
"দেশে এখনও মাত্র ৪৩ শতাংশ শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুর জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু হয় মাত্র ২৪ শতাংশ শিশুকে। অথচ নবজাতককে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়ানো গেলে বছরে ৩৭ হাজার নবজাতকের মৃত্যু এড়ানো সম্ভব। "
-অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি পরিসংখ্যান। দেশের নবজাত শিশুদের অবস্থা এতোখান ভয়াবহ ধারনার বাইরে। মাত্র ৪৭% শিশু তাদের জন্মগত অধিকার থেকে বন্চিত হচ্ছে!!!
আর জন্মের ২৮ঘন্টার মধ্যে যে কোলস্ট্রাম(আমাদের দেশে শাল দুধ নামে পরিচিত) তাকে "ইয়েলো গোল্ড" বলা হয়, এর অপরিসীম উপকারিতা ও তাৎপর্যের কারণে। বলা যায় কয়েক শত টিকার কাজ করে এই "ইয়েলো গোল্ড", নবজাতকের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি ব্যারিয়ার গড়ে তুলে জীবাণু ও বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে।
সেই কোলস্ট্রাম পাচ্ছে মাত্র ২৪% শিশু।
অত্যন্ত উদ্বেগজনক সংবাদ!!
কষ্ট করে পত্রিকার তথ্য গুলো শেয়ার করে পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ফয়সল নোই।
১৫/২০ মিনিটের লেকচার দেবার মতো তথ্য পোস্টে আছে জেনে ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ।
৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৭
নতুনছেলে বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা জিনিস তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ । তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এখন তো দেখা যায় অনেক নারীই সন্তান নেন না তাদের ফিগার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে। আর যদি নিয়েও থাকেন তাহলে সন্তানতে স্তন পান করান না ফিগার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫১
মানবী বলেছেন: কেউ ইচ্ছে করে সন্তান না নিলে আর কি বলার আছে, এটা তাদের নিজ নিজ অভিরুচী। তবে, ফিগার নষ্ট হয়ে যাবার ভয়ে সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ থেকে বন্চিত করা ভয়াবহ অজ্ঞতা এবং ভীষণ অন্যায়!
অনেক ক্ষেত্রে হয়তো, কেউ কেউ স্তন্যদানে অক্ষম অথচ বাইরের মানুষ তাঁকে ভুল বুঝছে.. এমনও হতে পারে।
পোস্টটি সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো, আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১১
অলস ছেলে বলেছেন: লেখার জন্য ধন্যবাদ। কারণ এটা এমন একটা জরুরী বিষয়, অতুলনীয়, অথচ মানুষ বুঝেই না। যেমনটা আপনি নিজেই লিখেছেন, বাংলাদেশে প্রসঙ্গটা অবহেলিত। নারীদের সামাজিক অবস্থা এর অন্যতম কারণ। আমার এক বিদেশী ক্লাশমেট কে দেখেছিলাম, বিরাট চিন্তিত কিভাবে বউকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজী করাবে। সে চায় যেন বাচ্চাকে ব্রেষ্টফিড করা হোক।
আমি টের পেয়েছি আমাদের বাবু হবার পর, নাহলে হয়তো চিন্তাও করতাম না আমাদের মা'রা কেন 'মা'।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৩
মানবী বলেছেন: প্রবাসে অবস্থানকারী বাংলাদেশী পিতারা যেভাবে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং স্ত্রীকে মানসিক ভাবে সহায়তা করেন, দুঃখজনক হলো বাংলাদেশে অবস্থানকারী অধিকাংশ জনই সেভাবে করেননা।
কিছুটা সামাজিক ব্যবস্থা.. যেখানে এই বিষয়টি অত্যন্ত মেয়েলী ও শুধুমাত্র মহিলা ও মুরুব্বীদের ব্যাপার ভেবে এড়িয়ে যাওয়া হয়। অথচ, মা তো সব দেশেই এক, তাঁর শারীরিক সমস্যা, কষ্ট সব স্থানে অভিন্ন।
আপনার বাবু'র জন্য অনেক দোয়া।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ অলস ছেলে।
১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:২৫
জলপাই দেশি বলেছেন: আপনাকে অনেক অ নে ক শুভেচ্ছা একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং মূল্যবান পোস্ট দেয়ার জন্য। ভালো থাকুন।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৬
মানবী বলেছেন: পোস্টটি প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে জেনে পোস্টটি স্বার্থক হলো, আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক শুভকামনা।
১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫১
ডেইফ বলেছেন: খুব সুন্দর আর কার্যকরী একটি পোস্ট লিখেছেন। ইদানিং শুনি অনেক মহিলারাই তাদের শিশুদেরকে খুব ফিডিং করায় না, এটা পুরোপুরি একটা অপরাধ। কারণ, মাতৃদুগ্ধ প্রতিটি শিশুরই জন্মগত অধিকার।আজকাল মিডিয়া, পত্রিকাগুলোও এ ব্যাপারটি নিয়ে অনেক নীরব।
ভালো থাকবেন,আর এত চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা রইল।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১২
মানবী বলেছেন: মায়ের এইচ আই ভি ইনফেকশন বা এইডস্ ছাড়া আর প্রায় কোন অবস্থাতেই সন্তানকে ব্রেস্ট ফিডিং করায় বাঁধা নেই। ইচ্ছেকৃত ভাবে নবজাত শিশুকে মাতৃদুগ্ধ থেকে বন্চিত করা, আমার কাছেও অপরাধ মনে হয়।
ধুলোবালি আর জীবাণু ভরা এই পৃথিবীতে সদ্যজাত শিশুর নাজুক শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আর প্রতিরক্ষার শক্ত দেয়াল গড়ে দেয় মাতৃদুগ্ধ। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অনুধাবনে অক্ষম মায়েদের প্রয়োজন কাউন্সিলিং।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
বন্ধু দিবসের শুভকামনা, ভালো থাকুন।
১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০২
চতুষ্কোণ বলেছেন: চমৎকার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। পোষ্টটি স্টিকি করা উচিত।
০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৬
মানবী বলেছেন: স্টিকি করে কি হবে ভাইয়া!
আপনারা যে কজন কষ্ট করে পড়ে মূল্যবান মন্তব্য করেছেন, এখানেই পোস্টটি স্বার্থক। একজন পাঠকও নতুন কিছু জানলে বা সচেতন হলে ধন্য হবো।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২৫
চেম্বার জজ বলেছেন: সালাম ও শ্রদ্ধা জানাই এমন একটি গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট লেখার জন্য। এই পোস্টটি স্টীকি করা হলে জন কল্যাণকর হবে।
আল্লাহ আপনার সহায় হবেন।
+
০২ রা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:০২
মানবী বলেছেন: ওয়ালাইকুম সালাম।
পোস্টটি জনকল্যাণকর মনে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে যাক সকলের মাঝে।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৪৮
মুখ ও মুখোশ বলেছেন: অপুর্ব! অসাধারন সুন্দর। ভাল লাগল। পোস্টের জন্য অজস্র ধন্যবাদ। +
০৬ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫২
মানবী বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিজ ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।
পোস্টটি অসাধারণ মনে হয়েছে জেনে সন্মানিত বোধ করছি।
১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩২
ত্রিশোনকু বলেছেন:
আমি এক্কেবারেই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি।
আমার তিন বাচ্চাকে পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া (এমনকি পানিও) খাওয়াই নি।
আমার তিনটি বাচ্চাকেই কমপক্ষে দু'বছর বুকের দুধ খাওয়ানো হয়েছে। একজনকে তারপরও ছাড়াতে না পেরে উৎসে নিম পাতাও ঘঁষতে হয়েছে।
এর ফলশ্রুতিতে আমাদেরকে শিশু বিশেষজ্ঞদের কাছে বাচ্চাদের খুব কমই নিয়ে দৌড়োতে হয়েছে।
তবে অনেকে বলে থাকেন যে (আপনি বলেননি) যে শিশুকালে মায়ের দুধ সেবন, মায়ের সাথে সন্তানের সুন্দর সাবলীল একটি সম্পর্ক তৈরি করে থাকে সে ব্যাপারে আমার ভিন্নমত আছে। তবে তা এখানে আলোচনাযোগ্য নয়।
০৬ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬
মানবী বলেছেন: স্তন্যদান মায়ের সাথে শিশুর মানসিক বন্ধন দৃঢ় করে।
সন্তান বড় হলে তার সাথে মায়ের সম্পর্ক কেমন হবে তার সাথে হয়তো এর তেমন সম্পর্ক নেই।
ধন্যবাদ।
১৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৪০
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +++
০৬ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬
মানবী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৪১
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য।
শুভকামনা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:০৮
মানবী বলেছেন:
শুভকামনার জন্যও ধন্যবাদ আবদুল্লাহ আল মনসুর
১৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৩৬
বীনা বলেছেন: ........... খুব গুরুত্বপূর্ণ, জরুরী, তথ্যবহুল ও উপকারী লেখা...........+++.......
অনেকে সচেতন হতে পারবে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১১
মানবী বলেছেন: লেখাটিকে আপনি গুরুত্বপূর্ণ, উপকারী ও জরুরী মনে করেছেন জেনে লেখাটি স্বার্থক হলো।
সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সকলের মাঝে, প্রতিটি নবজাত শিশু লালিত হোক মাতৃদুগ্ধের আশির্বাদে, এই কামনা।
আম্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে বীনা।
ভালো থাকুন।
২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: ব্লগ মানেই হাসি তামাসা রম্য কবিতা আর বেহায়া পনা নয়।
ব্লগ হোক সকাল থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত জীবন ধর্মী প্রয়োজনীয় আলোচনা।
অনেক ভালো লাগলো মানবি আপনার এমন সুন্দর পোষ্ট।
ভালো থাকা হোক।
০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১৯
মানবী বলেছেন: পোস্ট সুন্দর মনে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থাকুন।
২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৩৩
আকাশ অম্বর বলেছেন: শুধু মা'রা নন, বাবা'রাও উপকৃত হবেন এই পোষ্ট পড়ে।
শিশুকে স্তন্যদান করবেন মা আর সেই মায়ের যত্ন, তাঁর পুষ্টি, বিশ্রাম নিশ্চিত করবেন পিতা।
গোল্ডেন বো'র সুন্দর ব্যাখ্যা জানলাম।
পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় ফেলে আসা নবজাতকের নিরাপত্তাবেষ্টনী নিশ্চিতকরন মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমেই শুরু হোক।
চমৎকার লেখাটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, মানবী।
শুভরাত্রি।
০৮ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫
মানবী বলেছেন: বেশ কজন বর্তমান ও ভবিষ্যত বাবারা এই পোস্টটি পড়ে তাঁদের মূল্যবান অভিমত জানিয়ে লেখাটিকে ধন্য করেছেন। তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।
যদি একজন বাবা, মা অথবা পাঠক/পাঠিকা সচেতন হন, উপকৃত হন.. পোস্টটি স্বার্থক হবে।
মূল্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আকাশ অম্বর।
২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৬:২০
সাকিরা জাননাত বলেছেন: আপু অনেক গুরুত্বপূর্ন এক পোস্ট দিয়েছেন,আপনাকে ধন্যবাদ।
আর পোস্ট প্রিয়তে।
ভালো থাকুন।
০৮ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭
মানবী বলেছেন: পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব সন্মানিত বোধ করছি আপু।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভ কামনা।
২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:২৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ এবং সময়োপযোগী একটি পোস্ট দিয়েছেন, প্রাণঢালা অভিনন্দন নিন। আমার ধারণা, আজকাল আমাদের আধুণিক প্রজন্মের মায়েরাও অনেক সচেতন হয়েছে এবং তারা তাদের বাচ্চাকেও ঠিক মত বুকের দুধ খাওয়ান। এটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক লক্ষণ। আশা করি আমাদের ভবিষ্যত মায়েরাও এই পোস্ট থেকে অনেক দিক নির্দেশনা পাবেন, বিশেষ করে তারা যারা সৌন্দর্য হানির ভয়ে সন্তানকে বুকের দুধ থেকে বঞ্চিত করেন।
ধন্যবাদ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০৮
মানবী বলেছেন: আমিও তাই মনে করি.. মায়েরা যত শিক্ষিতা ও আধুনিক, সন্তানকে মাতৃদুগ্ধে লালন করার ব্যাপারে তাঁরা ততোবেশী সচেতন।
সত্যিকারের শিক্ষা ও আধুনিকতা আমাদের নিজেদের জন্য সর্বোত্তম ও মঙ্গলকর কাজটি করার জ্ঞান দান করে।
আপনার মূল্যবান অভিমত শেয়ারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৩৩
রঙ্গীন প্রজাপতি বলেছেন: সচেতন মা, সুন্দর ভবিষ্যত। আমাদের সচেতনতা জাগ্রত হোক। আর হ্যা, শিশু যাতে মায়ের দুধ ঠিক মত পায়, সে জন্য বাবাকেও সচেতন হতে হবে, মা কে সাহায্য করতে হবে। মায়ের সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:১২
মানবী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন!
শিশুর সঠিক ও শ্রেষ্ঠ লালনে প্রতি পদে মায়ের পাশাপাশি বাবার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রঙ্গীন প্রজাপতি।
২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৫৮
সারথী মন বলেছেন: আপনার অনেকগুলো পোস্ট পড়েছি-যার সবই মানবিক আবেদনপুর্ণ। আপনারমত ব্লগারদের জন্যই আমারমত পাঠকদের প্রত্যাশা পুর্ণ হয়। আল্লাহ আপনার সহায় হবেন।
১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০৮
মানবী বলেছেন: আমি অতি সাধারণ ব্লগার, নিজেকে লেখক লেখিকা বলার মতোও যোগ্যতা নেই। নিজের ভাবনাগুলো মাঝে মাঝে ব্লগের পাতায় শেয়ার করি। সেসব সাধারণ ব্লগ আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
আবারো সন্মানিত হলাম আপনার সুন্দর মন্তব্যে।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
২৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:০৫
নাজনীন১ বলেছেন: অনেক দরকারী এবং তথ্যবহুল একটা পোস্ট। ধন্যবাদ মানবী সুন্দর এ পোস্টের জন্য।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:০৯
মানবী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৬
কাউসার আলম বলেছেন: +++++++++++++++++
স্তন ক্যান্সার এক নীরব ঘাতক---সঠিক সময়ে সনাক্ত হলে এর নিরাময় সম্ভব
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন সুন্দর একটি পোস্টের জন্য অজস্র ধন্যবাদ। +
বুবু, যে হতভাগ্য সন্তান জন্মের পর একটি মুহুর্তের জন্যও মাতৃদুগ্ধ পান করতে পারেনি-তাদের দুর্ভাগ্যের কথা কোনো একদিন লিখো......
নিরন্তর শুভ কামনা।