![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যা সময় বা কালের গহ্বরে কখনও হারিয়ে যায়না..... একটি মুহুর্ত, একটি ক্ষণ অমলিন অম্লান হয়ে থাকে বছরের পর বছর... যুগের পর যুগ....
“মুছে যাক গ্লানি. মুছে যাক জরা
অগ্নি স্নানে শূচি হোক ধরা..”
সুস্থ, সুন্দর নির্মল নতুন জীবনের আহ্বান জানিয়ে নতুন বছর তথা গ্রীষ্মের আগমন ঘটে আমাদের দেশে, পহেলা বৈশাখের উৎসবের আমেজ শেষ হতে না হতেই (কখনও তার কিছু দিন আগে থেকেই) সাধারণ জনজীবন অতীষ্ট হয়ে উঠে দাবদাহে.... সূর্যের প্রখর তেজে ঘর্মাক্ত, পিপাসার্ত মানুষের মনে রবি বাবুর বৈশাখ সঙ্গীত নয়, এক পশলা বৃষ্টি অথবা হীম শীতল রাত্রির আকুতি আচ্ছন্ন করে রাখে....
গোলার্ধের প্রায় উল্টো দিকে প্রতিবছর কাঙ্খিত গ্রীষ্মকালটি প্রকৃতপক্ষেই আনন্দবার্তা বয়ে আনে। সামার বা গ্রীষ্ম মানেই এখানে আনন্দ আর উৎসব.. পরিবার পরিজন সহ দল বেঁধে কোথাও বেরিয়ে পরা, কখনও দূরে কোথাও, কখনও ঘরের কাছেই. .. যে যার সামর্থ মতো দুহাতে লুটে নেয় রৌদ্রজ্জ্যল সময়টার সবটুকু আনন্দ।
এই বছর আমেরিকার অধিকাংশ স্থানে গ্রীষ্মের আগমন ঘটেছে বেশ রুদ্র রূপে... সূয্যিমামার রক্ত চক্ষু প্রায় ভস্মীভূত করে দিতে চাইছে মাঠ, ঘাট, পথ প্রান্তর। এমন উন্নত একটি দেশেও গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রাণহানী ঘটেছে বেশ কিছু মানুষের! ছোট্ট ফ্যান যুক্ত ঠান্ডা পানির স্প্রে বোতল বিক্রী হঠাৎ বেড়ে গেছে, গরমে অতীষ্ট মানুষ অনেক সময় স্থান কাল ভুলে নেমে পড়ছে সামনের জলাশয়ে কিছুটা স্বস্তি কিছুটা প্রশান্তির আশায়- হোক তা ক্ষণিকের!
আমেরিকার বড় অংশ জুড়ে তিন অংকের তাপমাত্রার কছে ঘরের এয়ার কন্ডিশনার যখন প্রায় হার মেনে বসে আছে, তখন কিছু কিছু অংশে শীত নিবারনের জন্য রুম হিটারটিকে সচল রাখতে হচ্ছে দিনের প্রায় অধিকাংশ সময়!!! মহাদেশ বলে কথা- এখানেই একটি দেশ আর মহাদেশের পার্থক্য প্রকট হয়ে উঠে!!
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর তাপমাত্রা তিন অংক দূরের কথা অর্ধ শতকের নীচে বিরাজ করলেও “সামার” কে তো আর এমনি এমনি চলে যেতে দেয়া যায়না..... রৌদ্রজ্জ্যল একটি দিন পেলেই মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পরে আনন্দের খোঁজে।
আমাদের দেশে গ্রীস্মকালের দাবদাহের সাথে সাথে কাঙ্খিত কিছুর আগমন ঘটে- তা হলো আম, জাম, লিচু কাঠালের মতো রসে ভরপুর সুমধুর ফলের সমারোহ!!! তেমনি এই দেশেও গ্রীষ্মের আনন্দ উৎসবে সামিল হয় হরেক রকম সতেজ ফলের বর্ণিল উপস্থিতি।
দাবদাহ খরতাপ নয়, আমার পছন্দ মেঘলা আকাশ, রিমঝিম বৃষ্টি আর তার পরে মিষ্টি হিমেল হাওয়ার শীতকাল তাই বন্ধুবান্ধবদের হরেক রকম পরিকল্পণা এড়িয়ে গ্রীস্ম উৎসব থেকে যথাসাধ্য দূরে সরে থাকি। এবার গ্রীষ্মের ভিন্ন রূপ দেখে মনে হলো, তাপমাত্রা আর আকাশের মেজাজ যেমনই হোক সকলে মিলে একটু ঘুরে আসা যায়...
রৌদ্রের গ্যারান্টি আছে এমন স্থানই বেছে নেয়া হলো, আর এসময় বেড়ানো মানেই সৈকত- হোক তা সমুদ্র অথবা লেকের পাশে... জলের একদম কোল ঘেঁষে...
গন্তব্যে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে, তাই লেকের পানিতে চাঁদের আলোর
ঝলমলে হাসি দেখেই রাত্রির সৌন্দর্য অবগাহনে সন্তোষ্ট হতে হলো।
সকালে ঘুম ভেঙে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হলাম এই গ্রীষ্মেও কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা ভোরের স্নিগ্ধ পবিত্র আমেজে!
সময়ের সাথে সাথে শুরু হলো সূর্য আর মেঘের লুকোচুরি খেলা।
বৃষ্টি ছাড়া ভ্রমন অসম্পূর্ণ এই আমার প্রতি সৃষ্টি কর্তার কৃপা হলো, আবহাওয়া পূর্বাভাসে ঝলমলে রৌদ্রজ্জ্যল দিন সম্পর্কে নিশ্চিত করা হলেও সবকিছু উপেক্ষা করে চারপাশ আঁধার করে বৃষ্টি নামে!!!!
রৌদ্রপ্রেমী যে ভীনদেশী বন্ধুটি আবহাওয়া দেখে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে স্থান নির্বাচন করেছিলো, তাঁর মুখ আকাশের চেয়ে ঘনকালো মেঘ গ্রাস করেছে মরিয়া হয়ে বললো, “দেখো তোমার জন্য এমন অসময়ে বৃষ্টি এসেছে, তোমার সাথে সাথে বৃষ্টি চলে এসেছে। তুমি দয়া করে মেঘকে একটু বলো রৌদ্রকে নিয়ে আসতে”। সামনের লেকের ঘভীর জলে বৃষ্টির টাপুর টুপুর দৌড়ঝাপের আনন্দ থেকে বন্চিত হবো জেনেও বন্ধুটিকে স্বান্ত্বনা দিয়ে বললাম; “আমার সাথে বৃষ্টি এলেও তোমার সাথে রৌদ্র আসার কথা। মন খারাপ করোনা, মেঘকে বলেছি তোমার মতো রৌদ্রপ্রেমিকার জন্য রৌদ্রকে একটু পাঠিয়ে দিবে :-)”
কিছুক্ষণ পর চারপাশের সাথে সাথে আমার বন্ধুর মুখটিও আলো ঝলমলে করে রৌদ্রের আগমন।
ব্যস্ত শহরের কোলাহল থেকে বেশ দূরে পর্যটনের চমৎকার স্থানটি জুড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহ-
পাহাড়, লেক আর ঘনসবুজ চারপাশের সাথে এক হয়ে মিশে আছে বিভিন্ন ফলের বাগান।
কোথাও পরিপূর্ণ বর্ণিল ফল,
আবার কোথাও সদ্য ফুল থেকে উঁকি দিয়ে ফলের সবুজ কচি মুখ..
বিভিন্ন বর্ণের ফলের পাশে মাঝে মাঝে নিজের অস্তিত্ব জাহির করছে গর্বিতা পুষ্পরানী
একবার মুগ্ধতা গ্রাস করলে প্রায় সবকিছুই সুন্দর হয়ে উঠে..
তাই ফেরার সময় পথের পাশে নিতান্ত অবহেলা অযত্নে ফুটে থাকা প্রায় মৃত ফুলের গুচ্ছ,
লেকের অসামান্য সৌন্দর্য,
পহাড়া চূড়া থেকে ওপারের পৃথিবীটা- সবকিছুই হয়ে উঠেছিলো মনোমুগ্ধকর!!
নিজ শহরের কাছাকাছি পৌঁছতেই ঝুম বৃষ্টি বরণ করে নিলো যেনো...
পথে বৃষ্টির ছটা আর মেঘের নাচনে ভিজিবিলিটি প্রায় শূণ্যের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলো কখনও কখনও....
সমুদ্রের নেশার মতো, সব জলরাশির নেশা আছে মনে হয়!
তাই ঘরে ফেরার পরও ছুটে যাই অদূরের লেকে...
এদিকে ঘরের বাগানে কে যেনো অভিমান করেই বললো, দূর দূরান্তে ছুটে চলেছো অথচ এই আমরা এখানেই আছি....
মুগ্ধ হলাম একটি ছোট ডালে সাতজনের সহাবস্থান দেখে।
মনযোগ পেয়েই কিনা জানিনা দুদিন পর যেনো আরো নতুন করে সাজালো নিজেকে...
সাতটির স্থানে আজ দশটি পূর্ণ ও দুটি কুঁড়ির অপরূপ ছটায় মুগ্ধ ও আপ্লুত হলাম!!
শুরুতেই যে অমলিন অম্লান মূহুর্তের কথা উল্লেখ করেছি......এই গ্র্রীস্মের পাগলাটে রূপে বড় বেশি মনে পড়ছে, গতবছর এমন এক সময় দেখা অপার্থিব প্রায় অলৌকিক সন্মোহনী দৃশ্যের কথা!!!
একবছরের পরও যা আচ্ছন্ন করে রেখেছে, যে দৃশ্য অবলোকনের সুযোগ পেয়ে সৃষ্টি কর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যাই আজও...
অপরূপা প্রকৃতির বাস্তবের সৌন্দর্য পুরোপুরি ধারন করার মতো ক্ষমতা বিশ্বের কোন ক্যামেরার নেই বলে বিশ্বাস করি, তারপিও স্মৃতিটুকু ধরে রাখার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র আমাদের!
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২৩
মানবী বলেছেন: বিউটি ইজ ইন দি আইজ ওফ বিহোল্ডার...
আপনি নিজ গুনেই এই সাধারণ ছবিকে ভালো বলেছেন, এখানে আমার তেমন কৃতিত্ব নেই :-)
আন্তরিক ধন্যবাদ ছাইরাছ হেলাল।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২১
নিয়নের আলো বলেছেন: ক্যামেরার ছবিগুলোর জন্য কিছুটা ভ্রমন বোধহয় আমারও হয়েছে।
পোস্টে ভালো লাগা রইল।ধন্যবাদ।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২৫
মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, আন্তরিক ধন্যবাদ নিয়নের আলো।
অনেক ভালো থাকুন।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২২
রেজোওয়ানা বলেছেন: অসাধারণ, নৈসর্গিক, সুন্দর.........আরও অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করেছে....... এত সুন্দর.......এত্ত সুন্দর!!
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩২
মানবী বলেছেন: প্রকৃতির সৌন্দর্য সত্যিই অপরিসীম...
ক্যামেরা এই সৌন্দর্যের কাছে সম্পূর্ণ অসহায়! তবে আপনার মতো এভাবে এই সৌন্দর্য অনুধাবন করতে সুন্দর একটি মন জরুরী- আপনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ আপু।
কৌতুহল হচ্ছে কোন ছবিটি রেজোয়ানা আপুর বেশি ভালো লেগেছে!!
অনেক ভালো থাকুন।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২৭
মির্জা গালিব বলেছেন: অসাধারন আপনার ছবিগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে। আমার ব্লগে নিমন্ত্রন রইলো।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৪১
মানবী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নিমন্ত্রন গ্রহন করা হলো, অবশ্যই পড়ে আসবো আপনার ব্লগ। :-)
ভালো থাকুন।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ!! চমৎকার।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২০
মানবী বলেছেন: বাহ্! ফটপগ্রাফার অন্যমনস্ক শরৎ এর চমৎকার মনে হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো :-)
ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:১৯
সায়েম মুন বলেছেন: আপনার ছবির হাত সুন্দর। ছবিগুলো আমেরিকার কোন এলাকার (ষ্টেট)?
বর্ননা খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। ফুলের আর ফলের ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম। গাছে ঝুলন্ত আপেল - একদম দৃষ্টিনন্দন। গোলাপের ডালে ৭/১০ টি ফুল সত্যি মুগ্ধকর। সব মিলিয়ে সকালবেলা মন ভাল করা পোষ্ট।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২৫
মানবী বলেছেন: পোস্ট দেখে সকালে মন ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো!
অধিকাংশ ছবি আমেরিকার ওয়াশিংটনের।
গোলাপের ডালে প্রথমে একটি ফুল ফুটেছিলো, সে এখনও তার ঝরা পাপড়ির বৃন্ত নিয়ে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে- তার বেশ কিছুদিন পর সাতটি কুড়ি, আর তাদের পূর্ণ প্রকাশ হতেই আরো দু চারজন ছুটে এসে প্রদর্শনীতে সামিল হয়েছে যেনো :-)
আন্তরিক ধন্যবাদ সায়েম মুন।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: একদম প্রথম ছবিটা সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে। এরপর লেকের শেষ ছবিটা, আপেল অর্চার্ডের ছবি গুলো।
আসলে সব গুলো ছবিই সুন্দর
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৩৪
মানবী বলেছেন: আমার পছন্দের সাথে মিলেছে দেখে ভালো লাগলো, অর্চার্ডের ছবির চেয়ে বেশি পছন্দের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছবিটি :-)
রেজোওয়ানার সুন্দর মন দিয়ে দেখা বলেই ছবিগুলো সুন্দর মনে হয়েছে
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৪২
শারমিন সোনালী বলেছেন: সব কিছু মিলিয়ে খুব ভাল লেগেছে ধন্যবাদ।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৪৯
নাআমি বলেছেন: অসাধারন ছবিসহ বর্ণনার এক চমৎকার পোস্ট, যা দেখে মন ভাল হয়ে যায় !! অনেক ধন্যবাদ আপনার ভ্রমনকে আমাদের সাথে সেয়ার করার জন্য !
সব ছবি গুলিই সুন্দর কিন্তু কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা ভোর আর রংধনুরটা সবাচেয়ে সুন্দর !!
ভাল থাকেন ......শুভেচ্ছা অজস্র।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৮
মানবী বলেছেন: সাধারণ পোস্টটি অসাধারণ মনে হলে তা আপনার নিজ গুনে :-)
তারপরও জেনে খুব ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ নাআমি।
আর বিশেষ পছন্দের ছবি উল্লেখ করার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের মাদকতা ছবিতে ধারন করার ক্ষমতা নেই, বাস্তবে তা যে সত্যিই কতোটা মনছোঁয়া ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:১৩
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: যেমন তার বর্ণনা তেমনই তার ছবি একেবারে ১০০ তে ১০০
আহ !! বড়ই ভাল লাগলো কিন্তু এখনই তো আমেরিকায় যেতে চাচ্ছে মন
কি করি এখন
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫৭
মানবী বলেছেন: ১০০ তে ১০০ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হলাম ভাইয়া :-)
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমেরিকা যেতে মন চাইলে তা সম্ভব না হলে, আমেরিকার আরেকটি রূপ ভেবে নিতে পারেন। কুয়াশা, বৃষ্টি, মেঘলা আর সমুদ্র লেকের হিম শীতল আমাজের বিপরীতে, আমেরিকার বড় একটি অংশ কে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে "আভেন" এবং জন জীবনকে "রোস্টেড" বলা হচ্ছে.. নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, দক্ষিণান্চল সহ দেশের বড় একটি এলাকার তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের উপরে, কোথাও ১১০... ভয়াবহ অবস্থা!!
গত কয়েক মাসে এ্যারিজোনায় আবার কয়েক মাই উঁচু "বালুর দেয়াল" এসে হানা দিয়েছে, বাদামী এই দেয়ালে পথচারী, গাড়ি চালকের ভিজিবিলিটি প্রায় শূণ্য হয়েছিলো.. যা অত্যন্ত বিপদজনক!!
দেয়াল সরে যাবার পর দেখা গেছে সাধের সুইমিং পুল গুলো সব কাদার চৌবাচ্চায় পরিনত হয়েছে....!!
এমন অদ্ভুত আবহাওয়া আর আভেনে আসার চেয়ে দেশে বসে শুধু ছবি দেখে আনন্দ লাভ করা ভালো, তাই না?
অনেক ভালো থাকুন।
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:২১
প্লাকিং বলেছেন: অসাধারণ একটা পোষ্ট।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১২
মানবী বলেছেন: অসাধারণ আপনার দৃষ্টি, তাই সাধারণ পোস্টটি অসাধারণ মনে হয়েছে :-)
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো প্লাকিং।
১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: পোষ্টের পাশাপাশি ছবিগুলোও ভাল লেগেছে।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৩
মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন।
১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৬
লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: আপু, ছবিগুলো অসাধারন হয়েছে, যদিও এবার গরম একটু বেশি ই পরেছে তারপরও আমার এখানকার শীতের চাইতে গরম ভালো মনে হয়।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৭
মানবী বলেছেন: শৈশব থেকে গরমের চেয়ে শীত বেশি পছন্দ আমার- শীতে লেয়ারের পর লেয়ার কাপড় পরা যায়, প্রচন্ড গরমে চামড়া তো খুলে রাখা যায়না :-)
তবে, এই দেশে শীতের সাথে সাথে "স্নো" নামের ভয়াবহ জিনিসটি উপস্থিত হলে সত্যিই উইন্টার আর কাঙ্খিত থাকেনা! তার চেয়ে বৃষ্টি ভালো।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সব সময়।
১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৮
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ছবিগুলোর সাথে বর্ননায় পোষ্টকে জীবন্ত মনে হচ্ছে।
সামারের জন্য সারাবছরই মানুষ যে কত ব্যাকুল হয়ে থাকে........
ছবিগুলো বেশ ভালো। ১নং ছবির রেল লাইনের পাশে সাগরের কাছে বসে থাকতে ইচ্ছে করছে।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৮
মানবী বলেছেন: প্রথম ছবিটি আমারও খুব পছন্দের। মজার ব্যাপার হলো "এটা সাগর অথচ সাগর নয়"- বিশাল এই লেকটি প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে মিশেছে :-)
রেল লাইনের অপর পাশেই সাগরের মতো লেকটির কোল গেঁষে সুন্দর একটি বীচ আছে...
সৈকতে গাছের ছায়ায় বসে সময় কাটিয়ে নিন
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: ইশশশ...আমাকে যদি কেউ এমন এত্তগুলো গোলাপ সহ একটা ডাল দিতো...
অনেক ভাল লাগল এত্ত সুন্দর সুন্দর ছবি দেখে
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৯
মানবী বলেছেন: এমন গোলাপগুচ্ছ হাতে নীল- দর্পন আপুটার দ্বারে শীঘ্রই যেনো কেউ উপস্থিত হয়, আন্তরিক শুভকামনা রইলো :-)
ছবি ভালো লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগলো, আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৮
ফাইরুজ বলেছেন: ছবি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। এত এত এত সুন্দর ছবিগুলো
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪১
মানবী বলেছেন: মুগ্ধতা পুরোটা আপনার নিজ গুনে, সকলে মুগ্ধ হতে জানেনা :-)
ছবি সুন্দর মনে হয়েছে জেনে খুব ভাল লাগলো, আন্তরিক ধন্যবাদ ফাইরুজ।
ভালো থাকুন।
১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪০
ডেইফ বলেছেন:
আপনার ছবি তোলার সাথে পরিচিত আমি ব্লগে আসবার প্রথম থেকেই।
কোন ছবিটা রেখে কোনটা বেশি চমৎকার বলা অনেক কঠিন। এত চমৎকার লাগলো ছবিগুলো যে বারবার শুধু দেখছি, কি ফুলের কি ফলের!
ভাল আছেন আশাকরি।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪৪
মানবী বলেছেন: দীর্ঘ দিন আগের ছবির কথা মনে রেখেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনাকেও অনেক দিন পর ব্লগে দেখছি, ভালো ছিলেন আশা করি।
আল্লাহ্'র রহমতে ভালো আছি, অনেক ধন্যবাদ দাইফ।
ভালো থাকুন সবস সময়।
১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৬
অনিক বলেছেন: চমৎকার সব ছবি সেই সাথে চমৎকার বর্ণনা। অনেকদিন পর আপনার পোস্ট পেলাম। বর্ণিল ও দৃষ্টিনন্দন।
ভাল থাকুন। শুভ কামনা রইলো।
২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১২
মানবী বলেছেন: অনেক দিন পর পোস্ট না তো!! :-)
সাধারন ছবিগুলো আপনার মতো বিজ্ঞ ফটোগ্রাফারের কাছে চমৎকার মনে হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো, আন্তরিক ধন্যবাদ অনিক।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৭
মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: ছবিগুলো দারুন লাগল।
+++++++++++++++
২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:০৭
মানবী বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো, আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভালো থাকুন।
২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:০০
সৈয়দা আমিনা ফারহিন বলেছেন: লেকের পানিতে চাদ, মেঘের লুকোচুরিতে কখনও রোদ- কখনো বৃষ্টি, রংধনু, ঘরের কাছের দশটি কুড়ি, কখনো ট্রেন লাইন..... একদম ঘরোয়া সরলতায় প্রতিটি দৃশ্য মন জুড়িয়ে দিল !!!
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৯
মানবী বলেছেন: সৈয়দা আমিনা ফারহিন নামের সরল মেয়েটি এই পোস্টে সারল্য খুঁজে পেয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো :-)
ছবিগুলো আপনার মন জুড়িয়ে দিয়েছে জেনে স্বার্থক হলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
২১| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৫
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
সৈকতে এমন গাছের ছায়ায় বসে জীবনও কাটিয়ে দেয়া যায়
আমেরিকা,কেনাডার লেক গুলো এত বড় কেন? আমি তো প্রথমে বিশ্বাসই করিনি যে লেক এত বড় হয়।
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৫
মানবী বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর!!!
বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে এটা আমাদের দেশের ছবি, হয়তো উত্তাল মেঘনার পাড় অথবা অন্য কোথাও!
যেখানেই হোক এখনই যেতে ইচ্ছে করছে এই ছবির স্থানটিতে :-)
চমৎকার ছবিটি শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমেরিকা কানাডার কিছু কিছু লেখ সত্যিই বিশাল, সমুদ্র না লেক বুঝা দায়। এদের অনেকেই কোথাও সাগর আবার কোথাও মহাসাগরের সাথে মিশেছে, তাই সমুদ্র বলে ভুল করলে খুব দোষের কিছু নয়
ভালো থাকুন।
২২| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০১
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ভয় পাইছি আর যাব না
আপনারাও দেশে চলে আসেন ....!!!! ঐরকম দেশে থাকার দরকার নেই
০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৬
মানবী বলেছেন: ভয় না পাওয়াই ভালো, আপাততঃ আমেরিকা না আসার আক্ষেপটি বিদায় নিলেই হলো :-)
ভালো থাকুন ভাইয়া।
২৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:২৭
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন:
সুন্দর পোষ্ট!
লেখা আর ছবি দুটোই বেশ ভালো লেগেছে।
আশা করছি ভালো আছেন।
শুভকামনা।
আমার সাথে বৃষ্টি এলেও তোমার সাথে রৌদ্র আসার কথা। মন খারাপ করোনা, মেঘকে বলেছি তোমার মতো রৌদ্রপ্রেমিকার জন্য রৌদ্রকে একটু পাঠিয়ে দিবে
০৫ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৪৫
মানবী বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে আর আবদুল্লাহ আল মনসুরকে দীর্ঘদিন পরর ব্লগে দেখে ভালো লাগলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনাকে।
২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩০
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ছবিটা কেনাডার একটি লেক। সাগরের মত লেক।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭
মানবী বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে পোস্টটি আসায় জানলাম অনেক দেরী হয়ে গেছে মন্তব্যের জবাব দিতে, দুঃখিত!
কানাডা বিশাল বিশাল সব লেকের দেশ। আমেরিকা আর কানাডার সীমান্তেই রয়েছে বেশ কিছু মিনি সাগর সাইজের কিছু লেক।
আপনাকে ধন্যবাদ, অনেক ভালো থাকুন।
২৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৬
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
এই ঈদেও অনেক ভাল থাকুন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮
মানবী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। দেরিতে জবাবের জন্য দুঃখিত!!
আপনিও ভালো থাকুন প্রতিদিন প্রতিমুহুর্ত।
২৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
ফারহানা ইসলাম বলেছেন: ++++++
অনেক সুন্দর
১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪০
মানবী বলেছেন: সুন্দর মনে হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:০৭
মেহবুবা বলেছেন: এত সুন্দর সব ছবি । তুমি নিজের চোখে দেখেছো এসব ভাবতেই ঈর্ষা হচ্ছে মানবী ।
রঙধনুকেও ধরে রেখেছো ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬
মানবী বলেছেন: ইস্! সত্যি যদি রঙধনুটাকে ছুঁয়ে ধরে রাখা যেতো!!!
সেই বৃষ্টিভেজা বিকেলে যুগল রঙধনুর এক অপার্থিব সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য সৃষ্টিকর্তা দিয়েছিলেন তা ভেবে প্রতিবার তাঁর প্রতি নতমস্তকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
আর অন্যান্য স্থানের সৌন্দর্যর মতো আমাদের দেশেও আসে পাশে আছে অনেক, চলার পথে খুব অনাদরে হয়তো আমাদের ব্যস্ত চোখ তাদের এড়িয়ে যায়.. ঈর্ষান্বিত হবার মতো নয়তো মেহবুবা :-)
পুরনো পোস্টটি দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আন্তরিক শুভকামনা রইলো।।
২৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
আর একটা ঈদ যে এসে গেল।
আগাম শুভেচ্ছা দিয়ে রাখব নাকি?
১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭
মানবী বলেছেন: অনিচ্ছাকৃত দেরীর জন্য সত্যি দুঃখিত ও লজ্জিত!
ব্লগে বেশ নিয়মিত ভাবেই আমি অনিয়মিত দেখে এমনটা ঘটে মনে হয়।।
আসন্ন ঈদের শুভেচ্ছাটা আপনার জন্য রইলো।
পরিবার পরিজন আর প্রিয়জনের সান্নিধ্যে আপনার জন্য আনন্দময় হয়ে উঠুক আত্মত্যাগের শিক্ষার এই ঈদ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
২৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১
ফয়সল নোই বলেছেন:
ছবি ও লেখা যথাক্রমে দেখে ও পড়ে খুব ভালো লাগলো।
সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:১৬
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
আপনিতো অনেক ভাল ছবি তোলেন ।