নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই!!

এই আমি খুব খারাপ !

মানবীরকস

"বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়। বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে। বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো। অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায় অনায়াসে সম্মতি দিয়ো না। কেননা সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়, তারা আর কিছুই করে না, তারা আত্মবিনাশের পথ পরিষ্কার করে" - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

মানবীরকস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুলগাছের অবদান পৃথিবীর বিকাশে

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

আমাদের জগৎটাকে আজ যদি চেয়ে দেখি আমরা তাহলে মনে হবে প্রাণী যদি না থাকত তাহলে হয়ত আজ এমন সুন্দর নাও হতে পারত পৃথিবী । বিবর্তনের পথ ধরে একটু একটু করে বিবর্তিত হয়ে আজ আমরা সভ্য মানুষ হয়ে উঠেছি । কিন্তু তা কেবল মাত্র পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে ,বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নয় ।



কিভাবে আজ আমরা এমন সভ্য মানুষ হয়ে উঠলাম , তা জানতে হলে আমাদের শুরু করতে হবে ডায়নোসরের যুগ থেকে ।তখনো এই পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার করে চলছিল উদ্ভিদরাই ।পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশ ছিল শুধু ফুলগাছ ।প্রায় ১৪ কোটি বছর ধরে ফুলগাছেরা নিজেদের বিবর্তিত করে নিজেদের আধিপত্যতা বজায় রাখার জন্য ।এক গবেষণায় জানা যায় ডায়নোসরদের মধ্যে প্রায় ৯০ভাগই ছিল তৃণভোজী । তখন উদ্ভিদরাই ডায়নোসরদের প্রতিযোগী ছিল !ডায়নোসররা যে হারে তাদের খেয়ে ফেলত তারা সে হারে বংশ রক্ষা করে চলছিল অনেক আবার অস্ত্রের জন্ম দিল ,আর সেটি হল কাঁটা যুক্ত পাতা ।

যখন পথিবীর বাইরে থেকে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সম্পন্ন এক উল্কা পৃথিবীকে আঘাত করল তখন ডায়নোসরদের পাশাপাশি আরেকটি প্রজাতীরো বিরাট ক্ষতি হয়ে যায় ।আর সেটি ফুলগাছ । তাদের সকলের কান্ড পুড়ে যায় । কিন্তু এই উল্কাপাতের কারনে যেই ক্ষতিকারক পদার্থের সৃষ্টি হয় তা বাতাসে বাষ্পীভুত হয়ে বৃষ্টির সাথে মাটিতে পরে । সেই পানি উদ্ভিদরা গ্রহন করে স্বমুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

কিন্তু তারপরেও ডায়নোসরের মত ফুলগাছেরা হারিয়ে যায়নি ,কারন তাদের ছিল বীজ ।সেই বীজ দিয়ে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হল ।তাদের প্রজাতীরা আবার যেন এমন দুর্ঘটনার কবলে না পরে তার জন্য তারা নিজেদের গঠনে পরিবর্তন আনল । ডায়নোসরেরা তখন আর ছিলনা এই পর্যায়ে তারা সাহায্য নিল স্তন্যপায়ীদের ।তারা তাদের ফুলগুলোকে পরিবর্তন করল সুস্বাদু ফলে , তার ভিতরে অনেক যত্নে তাদের বীজকে রেখে দিল । বানর প্রজাতিরা ফল খেয়ে জীবন ধারন করত ।তাদের হাত-পা গুলো ছিল বেশ বলিষ্ঠ গাছে চড়ার উপযোগী ।কিন্তু তারা সারাক্ষণ ক্ষুধার্ত এবং ফল পরিপক্ক হওয়ার আগেই তারা ফলগুলো খেয়ে ফেলত । তখন উদ্ভিদরা তাদের ফল গুলোকে পরিপক্ক অবস্থায় অনেক অনেক আকর্ষণীয় করে তুললো ।মুলত ফল ছিল প্রাণীদের কাছে গাছের বিজ্ঞাপন !কিন্তু তখনকার সময়ের বেবুনরা ছিল বর্ণান্ধ । তখন সেই বানর প্রজাতিরাও এর সাথে তাল রেখে বিবর্তিত হচ্ছিল । আজ সেই বর্ণান্ধ বেবুনদের বিবর্তনের ফলাফল হল মানুষ । পৃথিবীর এই যুগান্তকারী পরিবর্তন কেবল মানুষদের জন্য নয় !

#Discovery channel – How to grow a planet

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দারুন পোস্ট, খুব ভালো লাগলো! :) ইদানীং ফুলের বাগান করছি ছাদে। নিরীহ সুন্দর ফুলদের ডাইনোসর যুগে এত প্রতাপ ছিলো পৃথিবীতে! :-* পৃথিবীর এক চতুর্থ ভাগ শুধু ফুল! ডাইনোসর যুগে পৃথিবীটা তো সেইরাম সুন্দর আসিল, পুরোটাই ফুলের বাগান! দো পেয়ে গুলো আসার পরে ফুলের চেয়ে তাইলে ফলের কদর বাড়ল! :(
ডাইনোসরদের শৈল্পিক বোধ তো মানুষের চাইতে ভালা আসিল দ্যাখা যায় B:-) B:-)

পোস্ট এক ধাক্কায় প্রিয়তে পাঠাইলাম। :)

আমার বাগানের ফুল ,
Click This Link

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

মানবীরকস বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.