![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতরাতের ঘুম দুপুর ২টায় ভাঙ্গলো ,তাও ইচ্ছে করে নয়।ঘরের দরজায় ঠক ঠক শব্দশুনে। বিরক্তি নিয়েই দরজাটা ওপেন করলাম-,নিচ তলার সঙ্গীতা এসে হাজির!
ভাইয়া এত বেলা হলো- এখনো ঘুমুচ্ছেন?
-ঘুম পাচ্ছিলো খুব তাই আর কি?।তো কি কারনে আসলে সঙ্গীতা?তোমরা তো আবার বেচেলর পুরুষ মানুষদের এড়িয়ে চলো, হঠাৎ এখানে?
সঙ্গীতা: আপনার ছোট ভাইয়ের কাছে শুনলুম আপনি দু’দিন ধরে কিছু খান না?কেন ?নীলিমা আপুর জন্য কি এতই মন খারাপ?পৃথিবীতে শুধু অন্ধকার নেই ,আলোও তো আছে একটু গুছিয়ে নিন না ।
-ও বলেছে তোমাকে আমি দু’দিন ধরে খাই না? ভুল বলেছে। আমি বাইরে থেকে খেয়ে আসি।ক্ষুদা জিনিস আমি সইতে পারি না তবে আমার খাওয়া নিয়ম-মাফিক না ,যখন ক্ষুদা লাগে তখনি খাই।
সঙ্গীতা : কি খান তো জানিই!
-কি খাই?
সঙ্গীতা: কেন জলের বোতল।
-জলের বোতল?
সঙ্গীতা: হুম।
-এটা কে বলেছে?
সঙ্গীতা: না কেউ বলেনি। কেন আপনি জল পান করেন না বুঝি।
-জল পান করি ঠিক আছে, জলের বোতল বললেই তো এলকোহল জাতীয় মনে হয় ।
সঙ্গীতা: সেটাই তো খাচ্ছেন শুনিচি।
-হাবিব বলেছে?
সঙ্গীতা: ওর কাছেই তো শুনলাম।
-আরে না, আমার বন্ধুর বাসায় ব্রেন্ডির কিছু বোতল ছিল ওগুলোতে কোকোকলা মিশিয়ে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম।কোকোকলার সাথে সোডা মিশিয়ে কিছুক্ষন পর পর খাচ্ছিলাম,এমন সময় হাবিব এসে আমার রুমে দেখে ব্রন্ডির বোতল! ও চোখ –কপালে তুলে বলে-ভাইয়া কি খাচ্ছ তুমি? আমি বললুম-মদ খাচ্ছি দেখতে পাচ্ছিস না! যা এখান থেকে তারপর ও ভয়েই চলে গেল ।আর সবার সাথে বলে বেড়াচ্ছে-আমি মদ খাচ্ছি –নীলিমার জন্য ।
সঙ্গীত: কোকোকলা মদের বোতলেই কি খেতে হবে?এমন করছেন কেন?
-এমনি করছি। মদ কিনার তো টাকা নেই।
সঙ্গীতা: তার মানে,টাকা থাকলে ঠিকি মদ খেতেন।
-হুম খেতাম।প্রচুর ড্রিংস করতে মন চাচ্ছে।
সঙ্গীতা: ড্রিংস করা পাপ জানেন না?
-প্রেম করাও তো পাপ! তুমি আমার সাথে কথা বলছে-এত উর্জ্জ্বল হয়ে সেটাও তো পাপ?
সঙ্গীতা: তবুও মদ খাওয়া তো বেশি পাপ।
-যাইহোক আমি তো এখন সত্যিই সত্যিই মদ খাচ্ছি না।
সঙ্গীতা: তা অবশ্য ঠিক।
-হুম।
সঙ্গীতা: আপনার জন্য মা খাবার রেধেঁ পাঠিয়েছে? দু’দিন ধরে খান না এ জন্য ।
-বেশ ,বেশ,- দাও।
সঙ্গীতা: সত্যিই আপনি অনেক ক্ষুদার্থ।
-হুম।আংটিকে ধন্যবাদ দিও।
সঙ্গীতা: আমাকে দিবেন না?
-ও তোমাকেও দিতে হবে!
সঙ্গীতা: আচ্ছা যাও দিলাম।ধন্যবাদ।
-আচ্ছা সঙ্গীতা, তুমি পায়েষ রান্না করতে পারো?
সঙ্গীতা: কেন বলুন তো?
-আমার নীলিমা ভালো পায়েষ রান্না করতে পারতো।
সঙ্গীতা: তাহলে আমিও রেধে নিয়ে আসবো ক্ষন।
-দুধ,চিনি বেশি দিও।
সঙ্গীতা: কেন? নীলিমাদিকি দুধ,চিনি বেশি দিত?
-হুম, অনেক মিষ্টি হতো ওর হাতের পায়েষ।
সঙ্গীতা: আচ্ছা আমিও ওভাবে রেধেঁ দিব।
-আচ্ছা যাও।
সঙ্গীতা:নীলিমাদির সাথে আর কথা হয়নি?তার অভিমান কমেনি?
-এখনো কমেনি। ও একটু দুরে দুরে থাকছে।
সঙ্গীতা: ঠিক হয়ে যাবে। এমনও তো হতে পারে সে সত্যিই কোন সমস্যায় পড়েছে।
-হয়তো।তাই বলে , যোগাযোগই তেমন করতে পারবে না।
সঙ্গীতা হেসে বললো-যাই আমি।
-আচ্ছা যাও।
এরপর সঙ্গীতা ধীরে ধীরে চলে গেল আর আমি ক্ষুদার্থ পেট খাবার দিয়ে ভরলাম।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
মানুষ আজিজ১ বলেছেন: রুদ্র জাহেদ , কি হতে পারতো ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ভালো লেগেছে...আংটি শব্দটা ঠিক হয়নি বোধহয়