নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিলীমা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

রভাত শেষ হয়েছে, হিংসুক রৌদ্র দুপুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে । আমি বাশঁঝাড়ের ছায়ায় বসে একটু জিরিয়ে নিলাম শার্টের বোতাম খুলে । হালকা ঝির ঝির ঘন ছন্দতুলে বাশঁপাতার বাদ্যযন্ত্র হৃদয়ের কোনে একটা স্থান করে নেয়, ধানচারার ছোট ছোট জীবন-নিরবে দুলে যাচ্ছে ।হঠাৎ হাওয়া থেমে গেল কিছুক্ষনের মধ্যই ভাবসা গরম! প্রকৃতির এই সব নীতিমালাগুলো বড়ই অদ্ভূত । আমি গোলপাতায় মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম-হালকা ভেজা মাটিতে গত রাত্রিতে হয়তো হালকা বৃষ্টি হয়েছিল । ঘুমের ভেতর দেখচ্ছি কে যেন কিল দিচ্ছে পর মনে হলো শুধু ঘুমের ভেতর নয় বাস্তবিকই কিল পড়চ্ছে । হুরমুড় করে উঠেদেখি রমা একের পর এক কিল বসাচ্ছে ।
আমি কিল সইতে না পেরে রমাকে বললাম:-রমা স্বামী কে পেটাচ্ছো ! এটা যে পাপ!এটা যে শাস্ত্রে নেই !
রমা: দুর শাস্ত্র ! আমার স্বামীকে আমি পেটাবো ঔ বেটা ইশ্বরের কি? ইশ্বরের এত মাথা ব্যর্থা কেন।
-ওকে । মেরেছোতো ,রাগ কমলো ।
রমা: হুম কমেছে । -স্বামী তুমি কি না ! এভাবে আমাকে একা রেখে আসতে পারলে ? গ্রামে এসেছি ঘুরে জীবনের সাথে প্রকৃতির মিল দেখাবে , তা না আমাকে রেখেই বেড়িয়ে পড়লে ।
-আমি ভাবলাম তুমি ঘুমুচ্ছো ,কত র্জানি করে এলে তাই ।
রমা: এত দুর্বল শরীর ভাব কেন আমার ?
-যাইহেক ভাবনার কথা বাদ নিই। কি করবে এখন ।
রমা: বলেছিলে ,ঘোলা জলে সাতাঁর সেখাবে , কই মাছ ধরা সেখাবে ।
-কই মাছের উপরে কাটা থাকে।তোমার নরম হাত কেটে যেতে পারে ।
রমা: কাটুক!তবুও মাছ ধরবো ।
-কেটেঁ গেলে তো আমারই সমস্যা ।
রমা: কি?
-বলেছিলাম ও-মাছ নরম হাতে ধরা যায় না ।
রমা: তবে যে বলেছিলে আমাকে শেখাবে ? আমাকে ঠকাচ্ছো নাতো ?
-না না রমা ঠকাচ্ছি কই ! আমি ধরবো তুমি দাড়িয়ে দেখে ।
রমা: না না , আমিও ধরবো ।
-আচ্ছা । ধইরো । বলছিতো যখন ও মাছ কামড়ে দিবে তখন বুঝবে ।
রমা: কই মাছ কি কামড় দেয় ।
-দেয় বৈকি তার মধ্য জলের ঘোলা জলে কত কিছু থাকে । সাপ,যুগ,কেউঠে ওগুলো কি কম ভয়ংকর ।
রমা: তুমি না বলেছিলে তুমি সাপের গর্তে হাত ঢুকিয়ে শাসন করো!
-করিতো । আমার তো সমস্যা নেই ।আমি কত মন্ত্রজানি , সাপে কামড়ালে ওগুলো পড়লে কিছু হয় না ।
রমা: মন্ত্রও জানো তুমি?
-হুম।
রমা: বলো দিকি ?
-ওরা কেউঠে তুই মানসার বাহন, মানসাদেবী আমার মা। উলট-পালট ,পাতালফুড় আমার বিষ তুই নে তোর বিষ কেউঠেকে দে ।
রমা: এটা কোন মন্ত্র হল ?
-হুম । সাপে কামড়ালে এটা বললেই কিছু হয় না ।
রমা: এমন মন্ত্র শিখলে কোথা্য় স্বামী?
-কেন বলেছিলাম না আমার বন্ধু মানিক রতনের কাছে।ও সাপুড়ের ছেলে ছিল ।
রমা: রঙ্গিণী স্লান করে আসতেছে সাপুড়ে পল্লী যাবে বলে ।

এরই মধ্য রঙ্গিণী হাজির ।
রঙ্গিণী: ভাইয়া প্রভাতে আমাকে দিদিকে রেখে আসলে কেন।
-তোরা যে ঘুমুচ্ছিলি ।
রঙ্গিণী: সাপুড়ে পল্লী নিয়ে যাবে না ?
-যাবো তো । সূর্য একটু নিস্তেজ হোক ,যা রৌদ্র ঝড়ছে ।
রঙ্গিণী: হুম অনেক রৌদ্র,প্রচুর গরম।
রমা: চলো না স্বামী ঘুলাজলে যেয়ে স্লান করি ।
-তোমরা ঘোলাজলে স্লান করবে কেন গো । অসুক করবে না ?
রঙ্গিণী: কেন ভাইয়া তুমিই না ঐ দিন বললে-ঘোলাজলে স্লান করলে মন ভালো হয় ।এর জন্যই তোমার মন ভালো থাকে ?
-বলেছিলাম ও কথা ।
রমা: এরই মধ্য ভুলে গেল । তুমি এত ভুলে যাও কেন ।
-ওকে চলো । ঘোলা জলে চুবিয়ে স্লান করি ।

রঙ্গিণী+রমা:- চলো চলো । এই দুই নারী যা বলি সব কিছুতেই রাজি । যদি কখনো বলি নরকের আগুনে অনেক স্বাদ আছে ওরা সেইটাই বিশ্বাস করবে । ওরা আমাকে এত বিশ্বাস করে । ওদের সাথে হাটঁ হাটঁতে মনে মনে বলছিলাম- তোরা এত ভালো কেনরে ? কোন কিছুতেই বেকে বসিস না ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.