শ্যামা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

গত স্বরস্বতী পুর্জাতে অভিকদের বাড়িতে গিয়েছিলাম,ঐ পুর্জোতে প্রায়ই যাওয়া হয় ওদের বাসায় । ও যেমন ঈদের ছুটিতে আমার বাসায় আসে, অনেকটা অদল-বদল মাপা জীবনের মত। পাড়াময় পুর্জোর ধুম, আমি বরাবর যয়েই ওদের বিপাকে ফেলি কারন ব্রততো আর আমি করি না । শ্যামাকে দেখলাম চঞ্চল হয়ে উঠেছে ও-মাথায় বড়মাপের সিদুড় মেখে কাজের ব্যস্ততা দেখাচ্ছে ,যে মেয়েটাকে বিয়ের আগে দেখতাম আমার পিছে লেগে থাকতো!আর এখন পাত্তাই দিচ্ছে না !বিয়ের পর মানুষ কি এমন পায় যে পরিবর্তন হয়ে যায়?ভালোবাসা?
একফাকেঁ শ্যামাকে ডাকদিলাম: এই শ্যামা শুন । কাছে আয় ।
শ্যামা পান চিবুতে চিবুতে জিহ্ববা লাল করে বলছে: বল দাদা আমার অনেক কাজ।আমি বললাম:-দুইদিন হলো তোদের বাসায় আসলাম তেমন কথাই বললি না, কেনরে ?
শ্যামা: ইস! আমার বিয়ে হয়েছে না । এখন কি আর ও সময় আছে ।
-বিয়ে হলেই বুঝি কথা বলতে নেই ।
শ্যামা: না নেই। আমাদের জাতে ওগুলো নিষেধ।
-কথা বলা নিষেধ?
শ্যামা: হুম ।
-কি জানি, আমি তোর দাদাই না ।
শ্যামা: দাদার বন্ধু আপন দাদা নও তারপর আবার অন্যজাতের ।
-এরই মধ্য আবার জাতের গণনাও শুরু করলি ?
শ্যামা: করবো না কি করবো। তুমি যে ভিতু পারলে নাতো আমাকে বিয়ে করতে ! কত বলেছিলাম চলো পালিয়ে যাই ,এখন আবার ডাক কেন?আমি তোমার কে?মনে রেখ আমি পরের স্ত্রী ,এভাবে যখন তখন ডাকবে না ।
-ইস! রাইকমল বলে কি?
শ্যামা: ও নামে আর ডাকবে না । ওটা সেদিনেই শেষ ।
-সত্যিই শ্যামা তোকে অনেক কষ্ট দিয়েচি ।
শ্যামা: ও কথা তুমি বলবে না আর ।ওটা তোমার প্রশ্ন নয় ।
-কেন শ্যামা। আমি জানতে পারি না ।
শ্যামা: না , জানতে পারো না ।
-আমি আর আসবো না,তোদের বাড়ি ।
শ্যামা: এসেছো কেন? পারলে আজকেই চলে যাও ।তোমাকে দেখলে –আমার অসর্হ্য লাগে ।
-তাড়িয়ে দিচ্ছিস!
শ্যামা: হ্যাঁ দিচ্ছি । আসবে কেন তুমি ।অন্যজাতের পুর্জা অর্চনা দেখার এক সখ কেন?
-এসেছিলাম তোকে দেখার জন্যই ।সত্যি বলছি ।
শ্যামা: দেখেছো তো ।চলে যাও আর এসো না ।
-সত্যিই আর আসবো না এই বলে আমি ওর পাশ থেকে উঠে এলাম । শ্যামার চোখের দিগে একবার তাকিয়ে মনে হলো ওর চোখও জলে ছল-ছল করছে ।

০ টি +০/-০