শৈবালী

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

অনেকদিন আগে বাঘের হাট গিয়েছিলাম পুরানো এক বন্ধুর বাসায় এটাই ওদের বাসা।তারও আগে যতবার ওদের বাসায় যেতাম ততবার আলাদা একটা আনন্দ পেতাম কিন্তু এখন দেখি সবাই জানি কেমন হয়ে গেছে । বন্ধুর ছোটবোন কে বললাম : কি রে শৈবালী দুরে দুরে থাকিস কেন, কাছে এসে বস ।শৈবালী বলছিল-আমি এখন বড়ো হয়েছি না! মা বলে দিয়েছে তোমার সামনে বেশি না আসতে,তোমরা শহরের ছেলেরা নাকি সব খারাপ হয়ে গেছ।
-ও!
গতবার ভুলে যে ডাইরীটা রেখে গিয়েছিলে-সেটা দেখেই মা খুব বিরক্ত হয়েছে তোমার প্রতি।ডাইরীতে আমার নামে কিছু কি লিখেছিলে ?।
-আংটি কি বলেছে?
শৈবালী:ডাইরী পড়ে মা বলেছে ছেলেটাকে কত ভালো জানতাম।এত খারাপ মানুষ হয়।তারপর তোমার ডাইরী আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে।

শৈবালী : বলো না মানুষদা আমার নামে কিছু লিখেছিলে কিনা?
-কয়েকটা কবিতা লিখেছিলাম।
শৈবালী: কেন লিখলে তুমি? তুমি কি আমার প্রেমে পড়েছো?।
-তোকে ভালো লাগে আমার।
শৈবালী: তাহলে চল আমরা পালিয়ে যাই,আজ সন্ধ্যার পর।
-নারে শৈবালী তুই আমার ফ্রেন্ডের বোন সেটা ঠিক হবে না।
শৈবালী: তাহলে আমার নামে কবিতা লিখেছিলে কেন?
-তারপর শৈবালীকে বুঝালাম বাস্তবতা এবং ওকে কথা দিলাম শুধু ওর জন্য আবার ওদের বাড়িতে যাব।
এরপর আর কোনদিন যাইনি ওদের বাড়িতে ।আর যাবও না।অনেক মিথ্যা বলে এসেছি ওকে।জানিনা গ্রামীন সহজ-সরল রূপবতী মেয়েটা কেমন আছে।ওদের ফ্যামিলির কারো সাথে যোগাযোগ নেই।শৈবালীকে ভালো লাগতো ঠিকি ,আমার পছন্দের কথা কোনদিন ওকে বা ওদের বাসার কাউকে বলতাম না যদি না ডাইরীটা ওরা পেত।থাকেনা কিছু ভালোবাসা ,ভালো লাগে কিন্তু কোনদিন প্রকাশ করিনা শৈবালী আমার কাছে তেমনি একজন।

০ টি +০/-০