![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার এক প্রেমিকা ছিল ও ধানমন্ডীর মিতালীরোডে থাকতো , ওর নাম নিহারীকা । ওর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় ৩ বছর হয়ে গেল ,একদিন শীত সন্ধেয় মনের ভুলে ওর বাসায় কড়াঁ নাড়লাম । নিহারীর বান্ধবী শিবা দরজা খুললো- খাতির করে এনে ভেতর বসালো । পর জানতে চাইলুম নিহারীর কথা । শিবা বললো- নিহারীকা কানাডা চলে গেছে আর আসার সম্ভাবনা নেই আর যাবার আগে আমার কাছে একটা কথা বলে গেছে তোমাকে বলতে । আমি বললুম:- কথা , শিবা বললো - বলবো সবে তো এলে একটু বসো তোমার জন্য কফি নিয়ে আসছি । ১০ মিনিট পর শিবা কফি এনে হাতে দিয়ে বললো- নিহারিকা আমাকে বলে গেছে তোমাকে বিয়ে করে যেন সুখে রাখি ও শেষ সময়গুলোতে তোমার কথা খুব বলতো ও বলতো সব ওরই ভুল ছিল , ও তোমাকে অনেক অপমান করেছে এসব আরকি । আমি শিবাকে বললুম- নিজের ভুল বুঝে প্রিয় বান্ধবীকে গলায় ঝুলিয়ে দেবার চিন্তা করলো কেন ও ? আর এটা কি সুন্দর দেখায় ? ।
শিবা: কেন সুন্দর দেখাবে না ? আমি কি অসুন্দর বলো ?
আমি: না শিবা আমি এটা বলিনি আসলে বিয়ে করার পরিবেশে আমি নেই ।
শিবা: আচ্ছা মানুষ আমরা না হয় একসাথে থাকি বিয়ে তাতে বিয়ে করার প্রয়োজন নেই ।
আমি: একসাথে থাকতে গিয়েই যত সমস্যার ।
শিবা: ভালো থাকার জন্য তো চেস্ট্রা করতে পারি ।
আমি: না বিয়ে নিয়ে এখনো মাথা ঘামাচ্ছি না , মাথা ঘামালে তোমাকে জানাবো ।
শিবা: একসাথে থাকতে তো সমস্যা নেই, তোমার বাড়ি ভাড়া খরচটাও আমি কিছুটা বহন করলাম পর যদি ভালো না লাগে তাড়িয়ে দিও , অন্তত ৬ মাস থেকে দেখ তোমাকে সুখে রাখতে পারি কিনা পর ডিশিসান নিও ।
আমি: সেই থাকতে গেল তো স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়েই থাকতে হবে ।
শিবা: তাতো একটু মিথ্যার আশ্রয় নিতেই হবে ।
আমি: না আমি পারবো না শিবা ।
শিবা: তুমি না পুরুষ ? কেন পারবে না?
আমি: অন্তত তোমাকে না ।
শিবা: কেন? কি নেই আমার কাছে ?
আমি: তুমি নিহারীকার বান্ধবী তো! কি যেন ওর মত যদি আবার যন্ত্রনা দাও ।
শিবা: আমি কি ওরকম?
আমি: তুমি ওর প্র্রিয় বান্ধবী শুধু ওর জন্যই আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছ নাহলে তো আর চাইতে না ।
শিবা : আমিই চাচ্ছি বিয়ে করতে, করবে?
আমি: না ।
শিবা: এখন কেনা না ।
আমি:তুমি নিহারীকার বান্ধবী তাই ।
শিবা: তুমি নিহারীকাকে অনেক ঘৃর্ণা করো ?
আমি: যতদিন ওকে ভালোবাসতাম ততদিন ও এখন আমার ভেতর বেচেঁ আছে শুধু খারাপদিনগুলো থেকে নেই ।
শিবা: তাতে আমার দুষ কোথায় বলো ?
আমি: আচ্ছা শিবা এতো করে যেহেতু বলছো আমি ভেবে জানাবো ।
শিবা:হুম, একটু ভেবে দেও । দু'দিন পর বিয়ে তো করতেই হবে সেটা আমি হলে খারাপ কি বরংচ ভালই হবে ।
আমি: আচ্ছা শিবা এখন উঠি পর জানাবো তোমাকে ।
শিবা: যাও, বাসায় যেয়ে একটু ভেবে দেখ প্রয়োজনে আরো দশজনের সাথে কথা বলে হলেও ডিশিসান নাও ।
এরপর বের হয়ে আসলাম তারপর আর শিবাদের বাড়ির আস-পাস মাড়াইনি ওর ফোনও রিসিভ করিনি । একদিন আবার কাচাঁ বাজার করতে যেয়ে মুখোমুখি পড়ে গেল পর আবার বিয়ে করার জন্য তাগিদা দিল বার বার রিকুয়েষ্ট করছিলো প্রিয় বান্ধবীর কাছে ও প্রতিজ্ঞা করেছে ও আমাকে সুখে রাখবেই , ওদিন জোর করে আমার বাসা চিনে আসলো , পরদিন সকালে দেখি ওর সমস্ত কিছু নিয়ে আমার বাসায় উপস্থিত ।
©somewhere in net ltd.